Itz Nayan Vlog

Itz Nayan Vlog New Vloger Support Plz

09/01/2025

আজকেও একজক কে উল্লু বানালাম 🤣🤣🤣

30/12/2024

সবাই পাশে থাকেন আর সাপোর্ট করেন।
এরকম ভিডিও পেতে আমাদের পেজটি ফলো করে রাখুন
Viral video comedian shoewhite Itz Nayan Vlog

29/12/2024

আমাদেরই নতুন পেজটি সবাই ফলো করে রাখুন এবং সাপোর্ট করুন video @
আচ্ছা প্রেমে কিভাবে পড়ে..🤔🤔
লাফ দিয়ে..💁
🐸.. নাকি ঝাঁ!প দিয়ে..😌

28/12/2024

ভিডিওটা পুরো দেখুন, লাস্টে খুব মজা আছে।
নতুন হয়ে থাকলে পেজটা ফলো করে রাখুন
এরকম ভিডিও পেতে এই পেজটিকে ফলো করে রাখুন
Itz Nayan Vlog

27/12/2024

একটু আজহার উদ্দিনের সাথে মজা করছিল 🤣🤣🤣🤣
Itz Nayan Vlog Jaffar Ali Khan নিলাস প্রেমিক

16/11/2024
20/05/2024

পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল অংকের নাম জীবন ।
যে সূত্রেই প্রয়োগ করা হোক
না কেন, ফলাফল কিন্তু মৃত্যুই
আসবে।

27/04/2024

গ্রামের থেকে যে আনন্দটা আছে।
শহর সে আনন্দটা টাকা দিও কিন্তু পাওয়া যাবে না
❤️❤️
Itz Nayan Vlog @

24/04/2024

একটা ছেলে বা মেয়ের কাছে।
Itz Nayan Vlog
এরকম ভিডিও পেতে পেজটিকে ফলো করে রাখো

22/04/2024

এরকম ভিডিও পেতে একটি ফলো করে রাখ

16/04/2024

আপনারা চাইলে পরবর্তী পর্ব পোস্ট করব। নতুন পাঠকেরা পরবর্তী পর্ব পড়তে পেজের সাথেই থাকুন ❤️ # Nayan Vlog

Love Story...(কাঁদবিনা  Plz)...........😭😭💔নিলয় : তোমাকে না বলছি অন্য ছেলেদেরসাথে কথা বলতে না..!মীম : ওরা আমার ফ্রেন্ড ৪...
07/04/2024

Love Story...(কাঁদবিনা Plz)...........😭😭💔

নিলয় : তোমাকে না বলছি অন্য ছেলেদের
সাথে কথা বলতে না..!
মীম : ওরা আমার ফ্রেন্ড ৪-৫ বছর এক সাথে পড়েছি কথা না বললে কি হয় হা..??
নিলয় : তুমি নিষেধ করার পর আমি তো কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা...!!
তুমি তোমার মেয়ে বন্ধুদের সাথে কথা
বলো সমস্যা নেই....।
কিন্তু ছেলে বন্ধুদের সাথে কোন কথা বলবে না, এটা আমি পছন্দ করি না, এটা আমি সহ্য করতে পারি না।
মীম : তোমার পছন্দ অপছন্দে আমার কিছু
যায় আসে না....।
তুমি ছাড়াও আমার পার্সোনাল লাইফ আছে যা আমি এড়িয়ে চলতে পারবো না।
নিলয় : কি....!!!...????
আমি ছাড়া তোমার অন্য পার্সোনাল লাইফ..!!!
আমি তোমার স্বামী, আমার কি তোমাকে কিছু বলার, নিষেধ করার অধিকার নেই....???
মীম : বেশী অধিকার ফেলাতে এসো না !!
নিলয় : সরি, তোমাকে নিষেধ করা আমার ভুল হইছে, ক্ষমা চাই, ক্ষমা করে দিও আমায়।
মীমের কথা শুনে নিলয় খুব কষ্ট পেলো। নিলয় কল্পনাও করেনি এমন কথা বলবে বা বলতে পারে মীম।
নিজের অজান্তেই কয়েক ফোটা
অশ্রু গড়িয়ে দু'চোয়াল শিক্ত হলো..। মীমকে নিলয় অনেক বেশী ভালবাসে।
মীম : কি ব্যপার না ঘুমিয়ে অমন করে কি
দেখছো......???
নিলয় : আচ্ছা মীম...!! ধরে নাও আমি
নেই... আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে....???
মীম : কেন কোথায় যাবে তুমি.....??
নিলয় : এমনি ধরে নাও মানুষ এই আছে এই নাই, কখন কি হয় বলা তো যায় না...!!
আমায় ছাড়া একা থাকতে পারবে.....???
মীম : এসব কি বলছো.....??
ঘুমাও তো......
নিলয় : আমার কথা কি মনে পড়বে....???
মীম : না একটুও মনে পড়বে না।
নিলয় : আমি তোমার যোগ্য নই তাই না...??
মীম : আমার এসব একটুও ভালো লাগছে না......
ঘুমাও তো, আর একটা কথাও বলবে না।
মীম ওপাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়লো।
সকাল বেলা চোখ খুলতেই মীম দেখতে
পেলো নিলয় ওর দিকে চেয়ে আছে,
নিলয়ের চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে, পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে নিলয় রাতে ঘুমায় নি।
মীম : কি ব্যপার সারারাত ঘুমাও নি...???
নিলয় : হুম, ঘুমাইছি তো... একটু আগেই উঠলাম।
নিলয় : তুমি তো আমার আগে উঠো না আজ কেন..???
নিলয় : না এমনিতেই......
নিলয় কখনোই মীমের সাথে মিথ্যা বলেনা সেটা যে বিষয়ই হোক না কেন।
কিন্তু মীম স্পষ্ট বুঝতে পারলো নিলয় মিথ্যে বলছে.... নিলয় সারারাত ঘুমায়নি।
নিলয় প্রতিদিন বের হবার সময় মীমের কপালে একটা চুমু খেয়ে বের হয়।
আজ দুইবার চুমু খেলো, অন্য
দিন হাসিখুশি যায়, আজ চুপচাপ নিস্তব্ধ, চোখে জল ছলছল করছে।
নিলয় : যাই বাবু.... (কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসলো)
মীম : কি হলো কিছু ফেলে গেছো.....???
নিলয় : না....
মীম : তবে.......
নিলয় কিছু না বলে মীমকে জড়িয়ে ধরলো
কপালে আবার চুমু খেলো আর বললো লক্ষী হয়ে থেকো বাবু।
নিজেকে কনট্রোল করতে পারছে না নিলয়...।
আর কিছু না বলে নিলয় চলে আসলো,
মীমের চোখে জল.... মীম ভাবছে নিলয়ের কি হলো.....??? ও তো এমন না.....!!
নিলয়কে খুব ভাল করেই চিনে মীম, প্রেম
করে বিয়ে হয়েছে ওদের।
নিলয় মীমের চেয়ে পড়াশোনা কম করছে আবার চেহারার দিক দিয়েও মীম ওয়াও আর নিলয় একটু কালো।
কিন্তু মীম জানে নিলয় ওকে নিজের
চেয়েও বেশী ভালবাসে।
নিলয় মীমকে অনেক বার বলেছে
আমি কি তোমার যোগ্য...?
উত্তরে মীম বলেছে : দেখো নিলয়...!! ভালবাসা যোগ্যতা বা চেহারা দিয়ে হয় না, তুমি আর এসব কথা বলবে না।
মীম নিলয়ের অনেক কথাই মানতে
চাইতো না যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করতো।
নিলয় কিছু বলতো না, কোন বিষয় জোর করতো না, হার মেনে নিতো...।
বিছানা ঠিক করতে যেয়ে মীম একটা চিরকুট পেলো....।
নিলয়ের লিখা.......
বাবু তোমাকে ছাড়া থাকা কষ্টের।
তোমার সাথে অন্য কাউকে দেখা বা কথা বলা আরো অনেক অনেক
বেশী কষ্টের যা আমি সহ্য করে নিতে পারছি না।
আমি চেষ্টা করেছি তোমাকে ফিরাতে কিন্তু আমি ব্যর্থ।
হয়তো এখন আমার কোন মূল্য নেই
তোমার কাছে......
যেখানে আমি তোমার স্বামী
হয়ে কোন মূল্য পেলাম না তাই চলে যাচ্ছি অনেক দূরে ............
আজ থেকে তুমি স্বাধীন, মুক্তো করে
দিলাম তোমায়।
বাবু ' আমার কথা মনে পড়লে আকাশের তারাঁর দিকে তাকাবে......
সবচেয়ে উজ্জ্বল তাঁরা টাই আমি,
দূর থেকে তোমায় দেখবো,
কথা বলবো আমার বাবুটার সাথে।
লক্ষী হয়ে থেকো, ভালো থেকো"
সাথে সাথে নিলয়ের মোবাইলে কল দিলো
মীম কিন্তু মোবাইল বন্ধ পেলো।
কি করবে বুঝতে পারছে না মীম।
নিলয় অন্য ছেলেদের তুলনায় খুব বেশী
ইমোশনাল।
মীম ফ্যামিলির সবার কাছে কল দিলো।
সবাই নিলয়ের নাম্বার বন্ধ পাচ্ছে....!!
মীম অঝোর ধারায় কাঁদছে এদিকে সবাই নিলয়কে খুঁজতে খুঁজতে পেরেশান হয়ে যাচ্ছে কোথাও নিলয়কে পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রায় ৪-৫ ঘন্টা পর খবর এলো নিলয়ের লাশ হাসপাতালে......!!!
রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে নিলয়।
মীম পাথর হয়ে গেল, মীমের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো, মীম জানে এটা এক্সিডেন্ট না.....।
নিলয় আত্যহত্যা করছে।
আর এ জন্য দায়ী মীম........।
মীম কিছুতেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে না,
মীম নিজের ভুল বুঝতে পারছে,
হাউ মাউ করে কাঁদছে...,
সামান্য কিছু ভুলের জন্য সে আজ তার
ভালোবাসার মানুষকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেললো..।
মীম হাজার চাইলেও আর নিলয়কে
ফিরিয়ে আনতে পারবে না...।
মীম এখন রাত হলেই ছাদে গিয়ে বসে থাকে নিলয়ের সাথে কথা বলার জন্য।
ছাদে গিয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল তাঁরাটার দিকে
তাকিয়ে থাকে আর কথা বলে.....
" বাবু কেমন আছো তুমি আমাকে ছেড়ে"...??
বাবু আমি এখন কারো সাথে কথা বলি না।
বিশ্বাস করো, প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও, শুধু তোমার সাথে বলি এখন আমি শুধু তোমার বাবু।
আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি বাবু তাই না....??
বাবু আমি বুঝতে পারি নাই আমাকে ক্ষমা করে দাও,
আমি খুব পচা,খুব খারাপ তাই না বাবু.....??
কি বললে.?? আমার বাবু টা পচা না খারাপ না.....???
হুম আমি খারাপ আমার ভুলের জন্য তোমাকে আজ হারিয়ে আমি এখন একা।
এভাবেই প্রতিদিন মীম কথা বলে নিলয়ের সাথে নিজ থেকে নিজে।
মীমকে ডাক্তারর দেখানো হয়, আস্তে
আস্তে মীম কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
মীম বিকাল হলেই ছাদে গিয়ে বসে থাকে
নিলয়ের জন্য...কিন্তু নিলয় তো আর ফিরে
আসে না.....!!
সে যে চলে গেছে না ফেরার দেশে

বি.দ্র:যারা গল্প পরেন বা গল্প পোরতে ভালবাসেন এমন কেউ যদি থেকে থাকেন তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর আমার গল্প গুলো সবার আগে পেতে আইডি টা ফলো করে রাখুন 👉

তিনের ঘরের নামতা=====মুদি দোকানে ডিম কিনতে গিয়েছি। পাশে এক লোক বাচ্চা নিয়ে দোকানে এসেছে। লোকটা সম্ভবত শ্রমিক বা রিকশাচাল...
07/04/2024

তিনের ঘরের নামতা=====

মুদি দোকানে ডিম কিনতে গিয়েছি। পাশে এক লোক বাচ্চা নিয়ে দোকানে এসেছে। লোকটা সম্ভবত শ্রমিক বা রিকশাচালক। শুকনা। কন্ঠার হাড্ডি বের হয়ে গেছে। অভাব অনটন তাকে কেমন জীর্ণশীর্ণ করে দিয়েছে।

তার বাচ্চাটারও একই অবস্থা। লোকটা ২৫০ গ্রাম তেল আর লবন কিনতে এসেছে। বাচ্চাটা জুলজুল চোখে লজেন্সের বয়ামের দিকে তাকিয়ে আছে। বেচারা চাইতে সাহস পাচ্ছে না। ওর বাবা সেটা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু দারিদ্র্য মাঝেমাঝে চোখে নির্লজ্জ টিনের চশমা পড়িয়ে দেয়। সেই কথিত "চশমার" আড়ালে ছেলের মায়াভরা মুখটা দেখে ভালোবাসায় ভেজা গলায় বাবাটা বললো, "কিছু নিবি?"

ছেলেটা লাজুক ভাবে কথা না বলে আঙ্গুল তুলে দেখালো। বাবা হেসে লজেন্সের বয়ামের কৌটা খুলে দুইটা লজেন্স বের করে ছেলেকে খুব আদর করে বলো, "তিনের ঘরের নামতাটা বল তো বাবা"।

বলেই লোকটা আড়চোখে সবার দিকে হালকা তাকালো। তার সেই দৃষ্টিতে কেমন একটা চাপা উত্তেজনা। যদি না পারে? সবাই তো তাকিয়ে আছে!

ডিমের পুটুলি হাতে নিয়ে আমিও তাকিয়ে আছি ছেলেটার দিকে।

দোকানদারও সরু চোখে তাকিয়ে আছে। এই পিচ্চি পোলা! নাক দিয়ে সিকনি ঝরছে, সে বলবে তিনের ঘরের নামতা! এই কঙ্কালসার ছেলে তিনে তিনে কত হয় সেটাই তো জানে না!

ছেলের হাতে লজেন্স। সে লজেন্স দুইটা এহাত-ওহাত করছে। বাবার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে স্পোর্টস কারের গতিতে সে বলতে শুরু করলো,

"তিন এক্কে তিন, তিন দুগুনি ছয়, তিন তিরিক্কে নয়, তিন চারে বারো...."

কেমন টেনেটেনে গানের তালে মাথা নেড়েনেড়ে সে বলে যাচ্ছে। বাবার চোখে যেন নামতার পাতাটা সেঁটে আছে, ও শুধু দেখে দেখে পড়ে যাচ্ছে।

নামতা শেষ হলো ত্রিশ কি চল্লিশ সেকেন্ডে। শেষ করে সে একটা লজেন্স মুখে পুড়লো। মুখ ঝলমল করে বাবাকে বললো, "বাবা, চারের নামতাও জানি। বলব?"

সেই জীর্ণ লোকটা, হয়তো প্রতিদিন ঠিক মতো পয়সা পায় না। পাঁচটাকা বেশী রিকশা ভাড়া চাইলে দুইচারটা গালি খায়, মহাজনের গুঁতা খায়।

সেই গাল ভাঙ্গা কুঁজো হয়ে যাওয়া লোকটা প্রতিদিনই হেরে যায়। সমাজের কাছে, সংসারের কাছে, পিতৃত্বের কাছে।

আজ সে হারেনি। আজ তার অনেক বেশি আনন্দ। সবার সামনে ছেলে তার মুখ উজ্জ্বল করেছে। এবার সে আড়চোখে না, পূর্ণ দৃষ্টিতে আমাদের সবার দিকে তাকালো। তার চোখে গর্বের অশ্রু, আনন্দাশ্রু।

যে লোক শুধু পরাজিতই হয়, আমাদের চোখে, আসলে সে পরাজিত না। সে আসলে অনেক বড় যোদ্ধা। আমাদের চেয়ে অনেক সাহসী। আমরা তো যুদ্ধের আগে নানান পরিকল্পনা করি, কত ফন্দিফিকির, কাকে নিচে নামিয়ে কাকে মাড়িয়ে আমরা উপরে উঠবো।

কিন্তু এই লোকগুলো কাউকে মাড়িয়ে উপরে উঠতে চায় না, নিশ্চিত পরাজয় জেনেও প্রাণপণ যুদ্ধ করে যায়।

যে সিঁড়ি বেয়ে আমরা তড়তড়িয়ে উপরে উঠে যাই, আমরা কি জানি তাদের কাঁধের উপরই সেই সিঁড়ি চাপানো!

লোকটা আজ সাহস পেয়েছে। তিনের ঘরের নামতাটা শুধু নামতা নয়, একটা সাহস, একজন বাবার শক্ত একটা কাঁধ, একটা অবলম্বন। তিনের ঘরের নামতাটা এই দরিদ্র লোকটার স্বপ্ন পূরণের উপাখ্যান।

লোকটা তার ছেলেকে কোলে তুলে ফেললো। সে কেঁদেই ফেলেছে। এই সময় হুট করে দোকানী ডীপফ্রিজ খুলে একটা ললি আইসক্রিম পিচ্চির হাতে দিলো,

"সাবাস! জজ ব্যারিস্টার হয়ে দেখিয়ে দিস সবাইকে! নে, আইসক্রিম খা। বেশি খাস না, গলা ফুলে গেলে কথা বলতে পারবি না।"

ছেলেটা খুশি মনে আইসক্রিমটা নিলো। বাবা ছেলে চলে গেলো। আমি ওদের দিকে তাকিয়ে আছি।

দোকানদার আমাকে বললো, "আমি তো ভাবতেও পারি নি। বাঁদরটা কেমন গড়গড় করে নামতা বলে দিলো! দেখলেন কারবারটা!"

একি! দোকানির চোখেও জল! আসলে যারা ক্ষুধার কষ্ট বোঝে, তাদের একজনের মনের সাথে অন্যজনের মন একই সুতোয় গাঁথা থাকে। একজনের কষ্ট আরেকজন বুঝতে পারে, আবার আনন্দগুলোও স্পর্শ করে প্রবলভাবে।

আর আমরা? কোটি টাকার স্বপ্নে বিভোর আর প্রতিযোগীতার উন্নাসিকতায় ভুলে যাই আমরা আসলে কি!!!

আমি ডিম হাতে একা একাই হাঁটছি আর বলছি, "তিন এক্কে তিন, তিন দুগুণে ছয় ..."
লেখক মঙ্গল ✌️

সবজি কেনার জন্য ১৫মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু দোকানদার আমাকে সবজি দিচ্ছে না। আমার পরে যারা আসছে সবজি বিক্রেতা তাদের কাছ...
22/03/2024

সবজি কেনার জন্য ১৫মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু দোকানদার আমাকে সবজি দিচ্ছে না। আমার পরে যারা আসছে সবজি বিক্রেতা তাদের কাছে ঠিকিই সবজি বিক্রি করছে অথচ আমাকে তাকিয়েও দেখছে না। আমি কিছুটা রেগে বললাম,
- ফাইজলামি করেন আমার সাথে? কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি সবজি কেনার জন্য আমাকে পাত্তা দিচ্ছেন না অথচ আমার পরে যারা আসছে তাদের কাছে ঠিকিই সবজি বিক্রি করছেন।

সবজি বিক্রেতা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,
- “যে ছেলে তার বৃদ্ধ বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতে পারে তার কাছে কোন সবজি বিক্রি করবো না। শুধু আমি কেন এই বাজারের কোন সবজি বিক্রেতাও আপনার কাছে সবজি বিক্রি করবে না”

সবজি বিক্রেতার কথাই সত্যি হলো। আমার কাছে কেউ সবজি বিক্রি করতে চাইলো না। আমি টাকা বাড়িয়ে দিতে চাইলাম তবুও না। মাথাটা ঠান্ডা করার জন্য একটা দোকানে গিয়ে দোকানদারকে যখন বললাম,
- ভাই একটা সেভেন আপ দেন তো।
দোকানদার লোক বললো,
সেভেন আপ নাই।
আমি দোকানদারকে ফ্রিজে থাকা সেভেন-আপ দেখিয়ে অবাক হয়ে বললাম,
-এইগুলো কি তাহলে? সেভেন-আপ থাকার পরেও আপনি না করছেন কেন?
দোকানদার উত্তর দিলো,
- “এই সেভেন-আপ আপনার কাছে বিক্রি করবো না। শুধু সেভেন-আপ কেন? আপনার কাছে কোন কিছুই বিক্রি করবো না। যে ছেলে তার বৃদ্ধ মা-বাবাকে বৃদ্ধশ্রমে রেখে আসতে পারে। তার কাছে আমি একটা সুইও বিক্রি করবো না”

আমি কিছু না বলে মাথা নিচু করে চুপচাপ চলে আসলাম।

বাসার দারোয়ান সব সময় আমায় দেখলে স্যালুট দেয় কিন্তু আজকে আর দেয় নি। আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম,
- কি চাচা, আজকে যে স্যালুট দিলেন না?
চাচা মাথা নিচু করে বললো,
- “আপনার মতো কুলাঙ্গার সন্তানকে বাসায় যে ঢুকতে দিছি তাই তো অনেক”

আমি দারোয়ানকে কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলাম না। বাসায় এসে আমার স্ত্রীকে যখন বললাম,
-টেবিলে খাবার দাও তো খুব খিদে পেয়েছে।
আমার স্ত্রী আমার পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
- “খাবার দিবো কি করে, রান্নাই তো করতে পারি নি। বাসায় পানি নেই। গ্যাস নেই। আমি ভেবেছিলাম সবার একই অবস্থা। কিন্তু না পরে খোঁজ নিয়ে দেখি শুধু আমাদের বাসাতেই গ্যাস পানি নেই।”

আমাদের কথা বলার মাঝখানে কারেন্ট চলে গেলো। একটু পর বাড়িওয়ালার ছোট ছেলে এসে আমাদের বললো, আগামী মাসে আমরা যেন বাসা ছাড়ি।

খুব অবাক হয়ে বললাম,
-বাসা ছাড়বো মানে! আমরা তো ঠিক সময়ের আগেই বাসা ভাড়া দেই। তাছাড়া আমরা তো এমন কোন অন্যায় করি নি যার জন্য আমার বাসা ছাড়তে হবে।

বাড়িওয়ালার ছেলে বললো,
- “নিজের জন্মদাতা পিতা মাতাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন এর চেয়ে বড় অন্যায় আর কি হতে পারে? যাই হোক আমার বলা উচিত বলে দিয়েছি সামনের মাসে বাসা না ছাড়লে আমি আপনাদের গলা ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিবো।”

আজকাল বেশিভাগ মানুষেই বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে কিন্তু তাদের সাথে তো কেউ এমন কিছু করে না। আমি রেখে আসলাম আর আমার বেলায় এতো দোষ। একে তো বাজার করতে পারি নি আর দ্বিতীয়ত বাসায় যা আছে তাও রান্না করার সুযোগ নেই। আমি আর আমার স্ত্রী বের হলাম বাহিরে অন্য দূরে কোথাও খেয়ে আসার জন্য। বাসা থেকে বের হবার সময় আমাকে আর আমার স্ত্রীকে দেখে পাশের বাসার ভাবী তার ছেলেকে বললেন,
- “ এই যে দেখ তোর আবীর আংকেল। উনি কিন্তু নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছে। তাছাড়া এখন অনেক বড় চাকরি করে। কিন্তু আমি তবুও চাই না তুই উনার মতো হো। আমি চাই তুই কম পড়াশোনা করে ছোট চাকরি করলেও মানুষের মতো মানুষ হ। উনার মতো অমানুষ যেন না হোস।”

মায়ের কথা শুনে ছেলে তখন বললো,
- আমরা অমানুষ কাদের বলি?

ভাবী উত্তর দিলো,
- মানুষের মতো দেখতে হলেও যারা মানুষের পর্যায়ে পড়ে না তাদের অমানুষ বলে। তুই কখনো পারবি আমাকে ছাড়া একটা রাত ঘুমাতে।

ছেলেটা মনমরা হয়ে উত্তর দিলো,
-কখনোই পারবো না তোমায় ছাড়া একটা দিন থাকতে।

ভাবী আমাদের দিকে তাকিয়ে বললো,
-কিন্তু যারা অমানুষ তারা নিজের বাবা মাকে ছাড়া দিনের পর দিন থাকতে পারে। আসলে মানুষ তো মরে গেলে পচে যায় অথচ অমানুষগুলো বেঁচে থাকাকালীনই পচে যায়।

কথা গুলো বলে ভাবী নাক মুখ চেপে ধরে এমন ভাবে আমাদের সামনে থেকে চলে গেলো মনে হলো আমাদের শরীর থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছিলাম আমি কতবড় ভুল করেছি। যে বাবা মা না থাকলে আমি পৃথিবীর আলো বাতাস দেখতে পেতাম না আমি কিনা সেই বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে এসেছি । পাশে তাকিয়ে দেখি আমার স্ত্রী কাদছে। আমার হাত ধরে সে বললো,
-আমরা অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি চলো আমরা বাবা মাকে ফিরিয়ে আনি।
আমিও আমার চোখের জলটা মুছে বললাম চলো যাই—-

এটা গল্প হলেও আমাদের সামজের মানুষগুলো যদি গল্পের প্রতিটা চরিত্রের মতো এইভাবে প্রতিবাদ করতো তাহলে সমাজের কেউ তাদের বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার সাহস করতো না। সমাজটাই বদলে যেতো-

নিয়মিত গল্প পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন হয়ে পাশে থাকুন

চলো পাল্টাই

সবার সাপোর্ট কামনা করছি তোমাদের সবার সাপোর্টে আমার ছোট পেজটা বড় করতে সাহায্য করবেন

লাইক ফলো দিয়ে 👉 গল্প Story পেজে সাথে থাকবেন ধন্যবাদ

28/12/2023

Mosti

এক ৮ বৎসরের বাচ্চার মা মা/রা গিয়েছিল।পরে তার বাবা আর একটা বিয়ে করল।একদিন বাচ্চাটার বাবা তাকে জিজ্ঞেসকরল...বাবা, বলতো তো...
25/12/2023

এক ৮ বৎসরের বাচ্চার মা মা/রা গিয়েছিল।
পরে তার বাবা আর একটা বিয়ে করল।
একদিন বাচ্চাটার বাবা তাকে জিজ্ঞেস
করল...
বাবা, বলতো তোমার
নতুন মা এবং পুরাতন মায়ের মধ্যে পার্থক্য কি?
বাচ্চাটি বলল, আমার
নতুন মা সত্যবাদী, আর পুরাতন মা মিথ্যাবাদী ছিল।
বাবা তার ছেলের
কথা শুনে চমকে গেল
এবং বলল কেন বাবা...?? তোমার যেই মা
তোমাকে জন্ম দিল সে মিথ্যা বাদী, আর যে কয়েক দিন হল আসলো সে সত্যবাদী হয়ে গেল?
বাচ্চাটি বলল... আমি যখন সারাদিন খুব দুষ্টামি
করতাম, তখন আমার মা আমাকে বলত তুই যদি এমন
দুষ্টামি করতে থাকিস তাহলে তোর খাওয়া
দাওয়া বন্ধ করে দিব।
তারপর সারাদিন যখন আমাকে খুজে না পেতো, তখন
সারা গ্রাম খুজে আমাকে ধরে এনে
নিজের পাশে বসিয়ে নিজ হাতে খায়িয়ে দিতো।
আর আমার নতুন মা বলে তুই যদি
এমন দুষ্টামি করিস তাহলে তোর খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিব।
সত্যি সত্যি আজ তিন দিন যাবত
আমাকে কোন খাবার দেয়া হয় নি।

নিজের মায়ের মত মা, পৃথিবীতে
কেউ হতে পারে না............. ❤️
©
মন ছুঁ'য়ে যেতে নতুন নতুন গল্প পেতে আমার আইডি ফলো করে রাখুন 🥰

জানি আজ কাল ভালো কিছু মানুষে সেয়ার দেয়না,

Address

Bankura, Punisole
Bankura
722152

Telephone

+919339214974

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Itz Nayan Vlog posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Itz Nayan Vlog:

Videos

Share