03/09/2024
লিভিং সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এবং একই সাথে কুরআনে হাফেজ এমন শিক্ষার্থীদের জন্য
আয়ারল্যান্ডে বাংলার দর্পণ
(2)
লিভিং সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এবং একই সাথে কুরআনে হাফেজ এমন শিক্ষার্থীদের জন্য
অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম 👏
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ধবলধোলা...
আয়ারল্যান্ডে যারা অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন তাদেরকে নিয়ে অল বাংলাদেশী এসোসিযে়শন অব আয়ারল্যান্ড (আবাই) এর মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট মেম্বার মিস সিনথিয়া । বিশেষ অতিথি ছিলেন জনাব আজাদ তালুকদার কাউনি্সলর লিমিরিক সিটি কাউন্সিল। উক্ত মিটিংয়ে আলোচনা হয় অনিয়মিত অভিবাসি বাংলাদেশিদের নিয়মিত করতে সবার জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করা হয় । মিস সিন্থিয়া এই ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন উনার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করবেন এবং হলিডে ইন ডাবলিন এয়ারপোর্টে থাকা সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি থাকায় তাদের খাবারের সমস্যাটা দেখবেন ।
কিছুক্ষন আগে গ্রেফতার হয়েছে সাবেক স্টেট মিনিস্টার মোহাম্মদ এ আরাফাত
আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
দুই নারীসহ ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে কুমিল্লার চারজন, ফেনীর একজন, চট্টগ্রামে দুজন, নোয়াখালীর একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও কক্সবাজারে তিনজন রয়েছেন।
বন্যায় ৭৭টি উপজেলার ৫৮৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আট লাখ ৮৭ হাজারের বেশি পরিবার ক্ষয়ক্ষতির কবলে পড়েছে।
সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন
সুধী, আসছে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার, ডাবলিনে আসছে বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যান্ড সোলস। বিকেল ৬ টা ৩০ মিনিট থেকে তাদের কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে ডাবলিনের টালার সায়োন্টোলজি অডিটোরিয়ামে। সাথে থাকবে লোকাল বাংলাদেশী আরও একটি ব্যান্ড। উক্ত অনুষ্ঠানে আপনাকে আমন্ত্রন।
কনসার্টের টিকিট সংগ্রহ করা যাবে নিচের লিংক থেকে।
https://buytickets.at/soulsdublin/1299606
শেখ হাসিনা, মেনন ও ইনুর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ...
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের নেতা রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুরের দেশ পলিটেকনিক কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান আলভী (১৫) নিহতের ঘটনায় তার বাবা মো. আবুল হাসান আজ সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ করেন। অভিযোগকারীর আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ তদন্ত সংস্থা গ্রহণ করেছে।আবেদনে অভিযোগটি কমপ্লেইন্ট রেজিস্টারভুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের বিধান অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। আবেদনে আসামি হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল–মামুন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদ ও যুবলীগের সেক্রেটারি মাইনুল হাসান নিখিলসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো এবং এসব সংগঠনের নেতা–কর্মী, পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যসহ অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।অভিযোগে বলা হয়, আন্দোলনরত অবস্থায় আসামিদের নির্দেশে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৪ আগস্ট শাহরিয়ার হাসান আলভী মারা যায়।
তদন্ত সংস্থায় দাখিল করা এই আবেদনে ঘটনার স্থান হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশ উল্লেখ করা হয়। এতে ঘটনার তারিখ ও সময় হিসেবে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এবং ঘটনার তারিখে আহত হয়ে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন তারিখে নিহত উল্লেখ রয়েছে। আর আবেদনে অপরাধের ধরন বিষয়ে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে ১ থেকে ২৭ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র–জনতাকে হত্যা করে তাঁদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করার অপরাধ।
আরমানকে মুক্ত করতে টিউলিপের সহায়তা চেয়েছিল পরিবার.....
২০১৬ সালে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আহমদ বিন কাসেমকে (আরমান) গুম করা হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ‘আয়নাঘর’ নামে গোপন কারাগারে। যেখানে তিনি দীর্ঘ আট বছর বন্দি ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে গত আট বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো গোপন কারাগার থেকে বের করা হয় ব্যারিস্টার আহমদ বিন কাসেমকে। ৪০ বছর বয়সি আহমেদকে একটি গাড়ি থেকে ঢাকার উপকণ্ঠে একটি কর্দমাক্ত খাদে জীবিত ফেলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আট বছরে এই প্রথম আমি তাজা বাতাস পেলাম। আমি ভেবেছিলাম ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এবার আরমানের পরিবারের বরাতে চাঞ্চল্যকর আরও একটি তথ্য সামনে এনেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।
টেলিগ্রাফ বলছে, আরমানকে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্ত করতে যুক্তরাজ্যের ‘সিটি মিনিস্টার’ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে সহায়তা চেয়েছিল তার পরিবার। তবে তারা সহায়তা পাননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, খালা শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় এক দশক ধরে আটক ব্রিটিশ-প্রশিক্ষিত ব্যারিস্টার কাশেম আরমানকে সাহায্য করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন টিউলিপ।
২০১৬ সালে নিখোঁজ হওয়া ৪০ বছর বয়সি কাশেম আরমানের আইনজীবীরা বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবহার করে তাকে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি দিতে পারতেন। তবে তিনি তা করেননি।
আরমানের আইনজীবী মাইকেল পোলাক বলেন, বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে অবহিত হওয়ার পরেও টিউলিপ শেখ হাসিনাকে তার মহান আদর্শ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আমরা টিউলিপ সিদ্দিককে তার খালার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে এ বিষয়ে (আরমানের মুক্তির বিষয়ে) কথা বলার জন্য সম্মানজনকভাবে অনুরোধ করেছিলাম। এই অনুরোধ আমার ও আরমানের মায়ের পক্ষে থেকে করা হয়। তিনি টিউলিপকে, নিজের ছেলেকে তার ছোট দুই মেয়েসহ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য হস্তক্ষেপ করতে বলেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত, টিউলিপ সাহায্য না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
পলক-মহিউদ্দিনের নির্দেশে বাংলাদেশে ইন্টারনেট শাটডাউন: তদন্ত প্রতিবেদন...
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৮ জুলাই প্রথম দফায় সারা দেশে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছিল তৎকালীন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায়। আর মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের নির্দেশে।
মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে এ তথ্য পেয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন একাধিকবার দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। সারা দেশে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ ও সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫-১৬ জুলাই সময়কালে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতিরেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশক্রমে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়। অন্যদিকে ১৭ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, ওই সময়ে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলমান।’
বিসিবিকে নতুনভাবে সাজানোর ঘোষণা দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ...
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই দেশে বইছে পরিবর্তনের জোর হাওয়া। সেই হাওয়া এবার লাগতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিতে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিসিবিকে নতুনভাবে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবিসহ সব ফেডারেশনকেই ঢেলে সাজানোর কথা জানান তিনি।
বর্তমানে বিসিবিপ্রধানের ভূমিকায় রয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তার অধীনে ২৪ জন পরিচালক রয়েছে বিসিবিতে। যারা নানা দায়িত্বে কাজ করছেন। তবে গত কদিন ধরেই গুঞ্জন পদত্যাগ করতে চলেছেন বর্তমান বোর্ডপ্রধান পাপন। তিনি পদত্যাগ করলে বাকি পরিচালকের কি হবে সেটি নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এসব বিষয়েই আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।বিসিবিতে পরিবর্তন আনার বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘বিসিবির পরিবর্তন নিয়ে বললে— আমরা রিফর্ম করব সিস্টেমের, কোনো ব্যক্তির নয়। সিস্টেমকে যারা করাপ্ট করেছে, তাদের ব্যাপারেও পরিবর্তন আসবে সুনিশ্চিত। আমরা বোর্ডের পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। যারা নতুন আসবে, তাদের মাধ্যমে ডেমোক্রেটিক করে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি এতদিন যত অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোও প্রকাশ করতে হবে। যাতে করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে নতুনভাবে সাজানো যায়। শুধু বিসিবি নয়, বাংলাদেশের সব ফেডারেশন নিয়েই আমাদের একই মতামত।’
একই দিন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েও কথা বলেছেন আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য একটি ল্যান্ডমার্ক হবে, যেহেতু বাংলাদেশ একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে যারা আমাদের মেহমান হয়ে আসবেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। সবকিছু বিবেচনায় এটা এখন আর শুধু স্পোর্টস মিনিস্ট্রিতে নেই, এটা এখন স্টেটের ব্যাপার হয়ে গেছে। তো প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নতুন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিযুক্ত হয়েছেন। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেব। আর আইসিসির সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ চলমান আছে। দ্রুতই আমরা এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত আপনাদের জানাব।’
হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ায় থানা ঘেরাও, অবশেষে গভীর রাতে এন্ট্রি.....
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহর বাবা।
শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রীসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
এজাহার বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতো ‘আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’এর শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহও অংশ নেয়। গত ১৮ জুলাই, আসামিদের প্রত্যক্ষ মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান খালিদ।
এর আগে এ ঘটনায় মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীর লালবাগ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা।
শনিবার রাত ১টা পর্যন্ত তাদের থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এ সময় থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা সদস্যদেরও সেখানে অবস্থান করতে দেখা যায়। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রাত দু’টা নাগাদ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মামলার এজাহার গ্রহণ করা হয় বলে জানান বাদী কামরুল হাসান।
প্রাণ রক্ষার্থে সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ৬২৬ জনকে.....
প্রাণ রক্ষার্থে রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ মোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রাণ রক্ষার্থে রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ মোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, গত ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এ সময় প্রাণনাশের আশঙ্কায় কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিবিধ নাগরিকরা সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এর প্রেক্ষিতে বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ, জীবন রক্ষা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জীবন বিপন্ন ২৪ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ২৮ জন পুলিশ অফিসার, ৪৮৭ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার-পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়।
৫ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন স্ব-উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করে। আশ্রয় প্রদানকৃত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ৪ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত ৩ জন তাদের পরিবারের ৪ জন সদস্যসহ মোট ৭ জন সেনানিবাসে অবস্থান করছে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সব তথ্যাদি প্রদান করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ, পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ক্ষেত্রে গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ধৈর্যশীল ও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শনের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনসাধারণের পাশে আছে, থাকবে।
গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে কীভাবে কাতরাচ্ছেন দেখে যান: সারজিস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার এতদিন বলে আসছিল আন্দোলনকারীদের ওপর শুধু রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। হাসপাতালের বেডগুলোতে ঘুরে যান, এই বেডগুলোতে কারা অবস্থান করছে। শরীরের এক পাশ দিয়ে বুলেট ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে আরেক জনকে আঘাত করেছে। এ ধরনের বুলেট ব্যবহার করেছে ফ্যাসিস্টরা। বিশ্বাস না হলে হাসপাতালগুলোতে দেখে যান, গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীরা কীভাবে বেডে কাতরাচ্ছেন।
শনিবার বিকাল ৪টায় কুর্মিটোলা হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। সারজিস আলম বলেন, এই গণহত্যা সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের যেন প্রত্যেকের দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে বিচার হয়। এর জন্য সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোটা আন্দোলনের আহত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো নানা অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি টাকা নিয়েছে এমন কিছু অভিযোগ শুনেছি। এখন থেকে কোনো অভিযোগ পেলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এর সঙ্গে প্রশাসনসহ যারা যারা জড়িত থাকবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন সারজিস।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আইনের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা
যাচাই-বাছাইয়ের পর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত হলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তিনি আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ফারুক ই আজম বলেন, ‘ভুয়া পরিচয় দিয়ে, জাল সনদ নিয়ে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে ছিটকে পড়েছেন। এবার সঠিকভাবেই তালিকা করা হবে। যারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, তারা অপরাধ করেছেন। তাই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তারা এতদিন রাষ্ট্রের ভাতাও ভোগ করেছে। মন্ত্রণালয় তা যাচাই-বাছাই করবে। রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণার জন্য তাদের শাস্তিও ভোগ করতে হবে।’
ফারুক ই আজম আরও বলেন, ‘আমরা দেশে কি পরিমাণ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় চাকরি পেয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থা কি সব বিষয় যাচাই-বাছাই করে জনসাধারণের নিকট উন্মুক্ত করে দেব।’
পরে তিনি কোতোয়ালি থানা পরিদর্শন করেন এবং পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার ফখরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরা এমনই প্রতিযোগী যাদের সামনে খোঁড়া যুক্তি-তর্ক, অজুহাত, আবদার, মিথ্যে সব বুমেরাং হয়ে ফিরে যায়। সাহস তাদের হাতিয়ার, মেধা তাদের অস্র, আর দেশপ্রেম তাদের গোলাবারুদ।
এ প্রজন্ম কেন এত সংগ্রামী, বিপ্লবী, প্রতিবাদী? কী এমন অনুপ্রেরণা তাদের মধ্যে যা তাদেরকে অধিকার আদায়ের জন্য মৃত্যু....
স্বরাষ্ট্রে নেই এম সাখাওয়াত, উপদেষ্টাদের দায়িত্বে বড় পরিবর্তন......
নতুন চার উপদেষ্টা শপথ নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দায়িত্বে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন শপথ নেওয়া ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুরোনো উপদেষ্টাদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্বরাষ্ট্রের সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ও সামলাবেন।
নতুন উপদেষ্টাদের মধ্যে আলী ইমাম মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সকলের আকাঙ্ক্ষার রেইনবো জাতি গড়ে তুলবো : মির্জা ফখরুল....
‘সকল ধর্মের ও মতাদর্শের মানুষদের নিয়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষার রেইনবো জাতি গড়ে তুলবো’ এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আশাবাদী, কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী, কোনো দলের নয়। এরা যতই চেষ্টা করুক তারা এই দেশের সম্প্রীতি বন্ধন, সৌহার্দ্য নষ্ট করতে পারবে না। এবারো প্রমাণিত হয়েছে, অনেক চেষ্টা করে সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য বিনষ্ট করতে পায়নি। সকল ধর্মের ও মতের মানুষদের নিয়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষার রেইনবো জাতি গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যে সেটিকে নিজের সমস্যা বলে মনে করি, সেগুলো তুলে ধরে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, আসুন ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আবার সেই চেতনাকে পরিস্ফুটিত করি। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক দেশ নির্মাণ করি।
হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান ক্লান্তিকালে আমরা দেশের বিরাজিত পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। আমরা শান্তি চাই, স্বস্তি চাই, আমরা বাঁচতে চাই। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে নানা দলের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কথাগুলো এ দেশের যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন তাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই স্বপ্নের গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই।
শিগগিরই খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়া হবে: ফখরুল....
উন্নত চিকিৎসার জন্য খুব শিগগিরই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, ‘আল্লাহ যদি রহম করেন তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে বিএনপির উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষে’ এক দোয়া মাহফিলের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বর্তমানে একটি ভাসমান অবস্থায় আছি। ভারতে বসে শেখ হাসিনা যেকোনো একটা ষড়যন্ত্রের সুযোগ নিতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের দিয়ে একটা চক্রান্ত তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তারা সেটি পারেননি। জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সেটা মোকাবেলা করেছে।’
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো দুষ্কৃতিকারী যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য প্রত্যেক এলাকায় শান্তি বিগ্রেড তৈরি করতে হবে। মসজিদ, মন্দিরসহ সংখ্যালঘুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা দেবেন। আমাদের নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এক ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছি। নব্য ফ্যাসিবাদ যাতে আর আসতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নতুন সরকার। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কিছু জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে, তা পরিষ্কার করতে হবে। আমাদের সবাইকে সেই পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করতে হবে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ....
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য জাতিসংঘের দরজা খোলা। সংস্থাটি নতুন সরকারের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মুখপাত্র মনিকা গ্রেইল।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতি- জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারীর এমন প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন সংস্থাটির মুখপাত্র মনিকা গ্রেইলের কাছে জানতে চান- ড. ইউনূসকে নিজেদের অংশীদার মনে করে জাতিসংঘ। সেই প্রেক্ষিতে এই সরকারকে কীভাবে দেখছেন?
জবাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতির দরজা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের জন্য খোলা। বাংলাদেশের জন্য তিনি (সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতি) অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবেন।
অপর এক প্রশ্নে এই প্রতিবেদক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যোগ দিয়ে জানতে চান, সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেখামাত্র গুলির নির্দেশের কারণে বাংলাদেশে ছাত্রদের বিক্ষোভে যে বর্বরতা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তে আগামী সপ্তাহে ঢাকা যাচ্ছে জাতিসংঘের একটি তদন্ত দল। এ বিষয়ে মহাসচিবের অভিমত কী?
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, তদন্ত দলটি কী কাজ হবে তা আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
পরে ইমেইলে পাঠানো এই প্রশ্নের বর্ধিত জবাবে ফারহান হক বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এবং মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের অফিস থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য যে সমর্থন দেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে ব্যাপক পরিসরে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে জবাবদিহিতার বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত। আগামী সপ্তাহ থেকে একটি দল ঢাকা সফর করবে যাতে সহায়তার ক্ষেত্র এবং সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায়। হাইকমিশনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের মানুষের একটি সফল ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য খুবই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মানবাধিকার রক্ষার শক্তিশালীকরণে সহায়ক হবে।
মুশফিক তার দ্বিতীয় প্রশ্নে জানতে চান, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে জাতিসংঘ তাদের একজন অংশীদার মনে করে- এমন বিবেচনায় বাংলাদেশের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন দিতে দেশটির সঙ্গে আরও সম্পৃক্ততা বাড়াবেন কিনা মহাসচিব? এদিকে, ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশের সাবেক একনায়ক ও প্রধানমন্ত্রী বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছেন এবং সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছেন।
জবাবে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, আপনি বাংলাদেশকে সমর্থনের যে কথা বলেছেন সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, প্রয়োজন অনুসারে বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণকে আমরা সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
শাহবাগে শেখ হাসিনার বিচারসহ ৪ দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান....
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্টান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগে সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার পর থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন তারা।
সেখানে বিভিন্ন গানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করতে শুরু করেন সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা। শাহবাগে অবস্থান নেওয়া প্রায় হাজারো ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ১৫ আগস্ট শোক দিবসের নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে প্রতিহত করা হবে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার শোক দিবসের নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবে। সেটি প্রতিহত করতে আমরা মাঠে থাকব। পাল্টা গণঅভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হলে, কেউ গায়েবানা জানাজা পড়ার লোকও খুঁজে পাবে না।
তিনি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা না যায়, ততদিন রাজপথে থাকব আমরা।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো-
১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
আয়নাঘরের বন্দীজীবনের বর্ণনা দিলেন ব্যারিস্টার আরমান....
দীর্ঘ আট বছর পর গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ থেকে ফিরেছেন জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)। ২০১৬ সালে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি ছাড়া পান।
দীর্ঘ সময় বন্দি থাকা জীবনকাল নিয়ে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে লুক্সেমবার্গভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে তার অন্ধকারজীবন ও মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোপন কারাগার থেকে চোখ বেঁধে হাতকড়া লাগিয়ে ব্যারিস্টার আরমানকে মুক্তি দেওয়া হয়। বের হওয়ার সময় গুলির আওয়াজ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আরমান। তাকে এমনভাবে বের করা হয়েছিল যেন শ্বাস রোধ হয়ে মারা যাচ্ছিলেন। পরে তিনি টের পান যে তাকে কর্দমাক্ত একটি ময়লা খাদে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তখনো তিনি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের বিষয়ে জানতে পারেননি। ফলে নিজে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়ার বিষয়টিও তখনো বুঝতে পারেননি ব্যারিস্টার আরমান।
তিনি জানান, বন্দি থাকা অবস্থায় আট বছরের মধ্যে তিনি কোনোরকম প্রাকৃতিক আলো বাতাসের ছোঁয়া পাননি।
ব্যারিস্টার আরমানকে যখন মুক্তি দেওয়া হয় তখন তিনি ভাবেন, তাকে হয়তো হত্যা করা হবে। কেননা তাকে হাত, চোখ বেঁধে নিয়ে আসার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই শেখ হাসিনার পতনের বিষয়টি তার অজানা ছিল। গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এ দিনও আয়নাঘরের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দি ছিলেন আরমান।
যে গোপন কারাগারের কথা আরমান বলেন সেই কারাগারে কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনো উপায় ছিল না। দীর্ঘ আট বছর একটি কক্ষে তাকে আটক রাখা হয়েছিল। কারাগারের বিষয়ে যেন কেউ কোনো তথ্য না পায় সেজন্য গোয়েন্দারা কঠোর নীতি অনুসরণ করতেন।
ব্যারিস্টার আরমান জানান, কারাগার থেকে তিনি বাইরের আজানের ধ্বনি শুনতে পেতেন। সেখানে জোরে জোরে গান বাজানো হতো। আজানের শব্দ শুনে কেবল দিন রাতের পার্থক্য করতেন তিনি। কতদিন কারাগারে অতিবাহিত করেছেন সে বিষয়ে তার কোনো ধারণা ছিল না।
তিনি জানান, কারাগারে গান বন্ধ হলেই তিনি অন্য বন্দিদের চিৎকার শুনতেন। ফলে ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে পারেন যে সেখানে তিনি একা নন। সম্ভবত সেখানে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বন্দিরা চিৎকার করত।
২০২২ সালে একটি গণমাধ্যমে আয়নাঘর সম্পর্কে খবর প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ওই গোপন কারাগার সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণাই ছিল না। যদিও বিগত সরকারের সময় বলা হয়েছিল, যারা নিখোঁজ হয়েছেন তারা অবৈধ উপায়ে ইউরোপে পারি দিতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছেন।
ব্যারিস্টার আরমানের বাবা জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী। ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। একই বছর আরমান নিখোঁজ হন।
আরমান তার বাবার বিচারিক কার্যক্রমে আইনি লড়াই করতে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ৩২ বছর। সে সময় ট্রইব্যুনালের বিভিন্ন পদ্ধতিগত ত্রুটি এবং বিচারিক পক্ষপাতের বিষয়ে গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টে উঠে আসে।
২০১৬ সালে এক রাতে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে সিঁড়ি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে গাড়িতে তোলা হয়। তাকে তুলে নেওয়ার চার সপ্তাহ পর মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ব্যারিস্টার আরমান জানান, তাকে ফেলে যাওয়ার পর তিনি বাড়ির পথ খোঁজার চেষ্টা করছিলেন। পরে তিনি তার বাবার প্রতিষ্ঠিত একটি হাসপাতালের খোঁজ পান এবং সেখানে গিয়ে তিনি তার পরিচয় দেন। হাসপাতালটির এক কর্মকর্তা তার পরিচয় শনাক্ত করতে পেরে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। এ সময় তিনি হাসপাতালে উপস্থিত লোকজনের কথা শুনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনের কথা জানতে পারে। এ আন্দোলনের ফলে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
আরমান বলেন, দেশের তরুণদের জন্য আমি মুক্তি পেয়েছি। আমি যখন এই তরুণদের দেখি যে তারা দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তখন আমি বাংলাদেশের সঠিক গন্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি।
অন্যদিকে আরমানের পরিবার বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছে, আরমান ফিরে আসলেও তার মানসিক অবস্থা এখনো অনেক খারাপ।
‘মারা গেলে আমার লাশ ফেলে যাইস না’....
পঁচিশ বছরের টগবগে যুবক পারভেজ হাওলাদার। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। পরিবারের আদরের ছেলেটির স্বপ্ন ছিল বিদেশ যাবে। তারপর একটা সুন্দর বাড়ি করবে।
সেই বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকবে। তবে বাড়ি করতে না পারলেও পারভেজের নামে একটি সড়কের নামকরণ করেছে এলাকাবাসী। কারণ বাড়ি করার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে একটি বুলেট। নিভে গেছে পারভেজের জীবন প্রদীপ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়া পারভেজ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মাত্র দুই ঘণ্টা আগে মাথায় বুলেটবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এরআগে সকালে ফেসবুকে সে তার আইডি থেকে শেষ স্ট্যাটাস দেয় ‘আল্লাহ তুমি ভালো পরিকল্পনাকারী, আল্লাহ তুমি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবনের খেয়াল রাইখো।নিহত হচ্ছিল ছাত্ররা। তখন পারভেজ বলে, তোমরা বাসায় থাকো। গুলি খেয়ে মরে গেলে তো এক কথা। আর না মরলে পঙ্গু হয়ে গেলে তো তোমার মেয়ের বিয়ে দিতে পারবা না। তার ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যাবে। তখন তাকে বলি ঠিক আছে আমরা যখন আন্দোলনে যাবো না তাহলে তুমিও যেতে পারবে না। সে বলে আচ্ছা। কিন্তু সকালে নাস্তা খেতে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে ফোন দিলে বলে ঠিক আছি কোন চিন্তা করো না। বলি সাবধানে থাকিস। বলে কোন সমস্যা নাই। আবার ১১টার দিকে ফোন দিলে বলে, ঠিক আছি। সাড়ে ১১টায় বন্ধু মহসিনকে বলে‘ ‘আমি মারা গেলে আমার লাশ ফেলে যাইস না, পরিবারের কাছে লাশ পৌছে দিস, বেওয়ারিশ ভাবে যেন আমার দাফন না হয়’। ১২টার পর শাকিল ফোন করে বলে পারভেজ মারা গেছে।
কান্নাজড়িত কন্ঠে সেলিনা আক্তার বলেন, পারভেজ বলতো আমি ছাত্র ছিলাম। এখন ছাত্রদের আন্দোলনে কি ঘরে বসে থাকা যায়। জীবন দিয়ে হলেও তাদের সঙ্গে আছি। আর্থিক সংকটের কারণে বেশিদূর পড়তে পারেনি সে। এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে কাজ করে সংসারে কিছুটা সহায়তা করতো। আর বলতো আমাকে বিদেশ পাঠিয়ে দাও। বিদেশ গিয়ে এই নিমাইকাশারীতে একটা বাড়ি করবো। সবাইকে নিয়ে সেই বাড়িতে থাকবো। বলতাম এতো টাকা কই পাবো। ধৈর্য ধরো, টাকা যোগাড় হলে বিদেশ পাঠাবোনে। সে বলতো ‘স্বপ্ন দেখতে সমস্যা নাই। স্বপ্ন পুরন করবো আল্লাহ’। কিন্তু ভাইয়ের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো।
পারভেজের মা হাসি বেগম বলেন, গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি দিঘীরপাড় এলাকায় নদী ভাঙ্গায় সব শেষ হয়ে গেছে। ৩৫-৪০ বছল আগে গ্রাম থেকে চলে আসি। স্বামী মজিবুর রহমান ঢাকার সদরঘাটে ফেরি করে। কালিগঞ্জের চরে আশ্রয় নেই। এরপর পারভেজের বয়স যখন ৬ বছর তখন নিমাইকাশারী এলাকায় ভাড়ায় বাসায় উঠি। গ্রামে কিছুই নাই। তাই এখানেই ভোটার হই। ১৪ মাস আগে পারভেজের বাবা মারা যায়। সবার ছোট পারভেজ অনেক আদরের সন্তান ছিল আমার। মাঝে মাঝেই আমার হাতে খেত। ৪ আগস্ট রাতেই নিজ হাতে খাওয়াইছি। আজ আমার বাবা (পারভেজ) নাই। কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসি বেগম। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার কিছু চাওয়ার নাই। আমার ছেলেকে যেন মানুষ ভুলে না যায়। সে দেশের মানুষের জন্য শহীদ হয়েছে। সরকার যেন তার নাম শহীদ হিসেবে লিখে রাখে
টাকা পাচারকারীদের শান্তিতে ঘুমাতে দেওয়া হবে না: গভর্নর
দেশের টাকা যাঁরা পাচার করছেন, তাঁদের শান্তিতে ঘুমাতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তাঁদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করা না গেলেও আইনের ভিত্তিতে দৌড়ের ওপর রাখা হবে।
গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ বুধবার আহসান এইচ মনসুর এ কথা বলেন।গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাতে এখন যে খারাপ অবস্থা, তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকও দায়ী। এখন দেখার বিষয়, কেন তারা অনিয়মে সহায়তা করেছে। মনে রাখতে হবে, সামগ্রিকভাবে জাতিগত পতনের সঙ্গে ব্যাংক খাতের এই দুরবস্থা তৈরি হয়েছে।
মূল্যস্ফীতিকে বর্তমানের মূল চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এটা কমে আসবে। তবে আজই কমবে, তা নয়; কীভাবে তা কমিয়ে আনা যায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রিজার্ভ বাড়ানো ও মূল্যস্ফীতি কমাতে কাজ করা হবে।’গভর্নর বলেন, অর্থ পাচার ঠেকাতে সরকারের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করবে।
আহসান মনসুর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্ব নিয়ে আগে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি; সম্প্রতি দু-একজনকে নিয়ে কথা হয়েছে, এটা দুঃখজনক।
9 Mount Drinan Crescent
Kinsealy
K67D778
Be the first to know and let us send you an email when Irish Bangla Times posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Send a message to Irish Bangla Times:
[LIVE - Part 2] ইসলামিক মাহফিল লিমেরিক। UK থেকে আগত মুহতারাম শায়খ মোঃ শহীদ উল্লাহ আহাজারি। প্রধান ইমাম ইসলামিক সেন্টার বার্মিংহাম এবং ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপ্যাল জামিয়া দারুল উলুম বার্মিংহাম
[LIVE - Part 1] ইসলামিক মাহফিল লিমেরিক। ইংল্যান্ড থেকে আগত প্রধান বক্তা মুহতারাম শায়খ মোঃ শহীদ উল্লাহ আহাজারি এবং আয়ারল্যান্ডের প্রখ্যাত মুহতারাম আব্দুল মান্নান ও মুহতারাম মোঃ কামরুজ্জামান।
[LIVE] সম্প্রতি কোটা আন্দোলনে নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের হত্যাকান্ড ও জুলুমের প্রতিবাদে সংহতি জানাতে লিমেরিক
কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদেরকে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ডাবলিনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিতে। সেখানে সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
''ইসলামিক কালচারাল এক্সিবিশন''। লিমেরিক সিটি ও কাউন্টি কাউন্সিলের সহযোগিতায় লিমেরিকের হান্ট মিউজিয়ামে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। নন-মুসলিমদের মাঝে ইসলামের ধারণা পৌঁছে দিতে ''ইসলামিক কালচারাল এক্সিবিশন'' প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি কাউন্সিলর আজাদ তালুকদারের বক্তব্য।
গ্রেটার কুমিল্লা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ড - ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান - ক্রীড়া পর্ব
লিমেরিকে অনুষ্ঠিত হল ''ইসলামিক কালচারাল এক্সিবিশন''। লিমেরিক সিটি ও কাউন্টি কাউন্সিলের সহযোগিতায় লিমেরিকের হান্ট মিউজিয়ামে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। নন-মুসলিমদের মাঝে ইসলামের ধারণা পৌঁছে দিতে ''ইসলামিক কালচারাল এক্সিবিশন'' প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র জন মোরান ও কাউন্সিলর আজাদ তালুকদার।
গতকাল ২৯ই জুন ডাবলিনে অনুষ্ঠিত হল এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশী ডক্টরস অফ আয়ারল্যান্ডের ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান। আয়ারল্যান্ডে সকল পেশাদার ডাক্তারদের পদচারনায় মুখর ছিল অনুষ্ঠানটি।
পৃথিবী জুড়ে বেড়েছে বন নিধন। যার প্রভাব পড়েছে প্রকৃতিতে। জোরালো ব্যবস্থা না নিলে হয়ে যাবে বিরাট ক্ষতি।
লিমেরিকের প্রজেক্ট স্কুলে Muslim Sisters of Eire এর উদ্যোগে Culture Morning এর আয়োজন করে। সেখানে নারীদের হস্তকর্ম আর্টওয়ার্ক, এথনিক খাবার ও পোশাকের প্রদর্শনী হয়। এছাড়াও ছিল হেনা, ফেইস আর্ট ইত্যাদি। কাউন্সিলর আজাদ তালুকদার বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন, এছাড়াও থাকেন আল ফুরকান মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম। Muslim Sisters of Eire আইরিশ মুসলিম নারীদেরকে নিয়ে একটি ভলান্টারি সংগঠন। তারা বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত। তন্মধ্যে মুসলিম নারীদের সাহায্য, মাইগ্রেন্ট পরিবারকে সাপোর্ট , তরুণদেরকে প্রমোট করা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং ডাইভার্সিটি অন্যতম।