White Wolf

White Wolf Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from White Wolf, Gaming Video Creator, .

06/07/2024

E-Sports Worldcup...

05/07/2024

গ’দা’ সুজন একটা ক্যান্সার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। এটা বিসিবি যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততো ভাল। সে লাইমলাইটে আসার জন্য টিমের অনেক কিছু লিক করে দেয় এটা সেই ২০১৯ এর বিশ্বকাপ থেকেই হয়ে আসতেছে। হয়তো ২০১৯ এর আগেও এমন হইতো। তবে এটা খুব স্ট্রংলি হ্যান্ডেল করা দরকার।

 #টাইম_মেশিন ৩য় অংশনদীর পাশ দিয়ে ঢেউ এর শব্দ শুনে হেটে হেটে বাসায় ফিরতে বরাবরের মতোই খুব ভালো লাগে আমার । উইনিপেগ শহরটাও...
23/06/2024

#টাইম_মেশিন
৩য় অংশ

নদীর পাশ দিয়ে ঢেউ এর শব্দ শুনে হেটে হেটে বাসায় ফিরতে বরাবরের মতোই খুব ভালো লাগে আমার । উইনিপেগ শহরটাও খুব সুন্দর। যেনো কোনো কিছুরই কমতি নেই এখানে। আর রহস্যের কথা নাই বা বললাম।
রাস্তা থেকে বাসায় ঢুকার সময় মনে হলো আমার পিছে কেও আছে যে আমাকে অনেকক্ষন ধরে অনুসরন করছে। কিন্তু কয়েকবার পিছনে ঘুরেও কাউকে দেখিনি।
বাসায় আশার পর বন্ধুরা সব বরাবরের মতো সামনে হাজির হয়-
ঃ কিরে সারাদিন কই ছিলি?
ঃ সকালে জেনিফার আসছিলো তোকে খুজতে ।
ঃ তোর ফোন বন্ধ ছিল কেনো?
ঃ কিরে কিছু বলিস না কেনো?
ঃ আগে তোদের প্রশ্ন করা শেষ কর , তারপর উত্তর দিচ্ছি।
ঃ আরে বল,
ঃ এক কথায় উত্তর দেই কেমন?
ঃ কি?
ঃ জেনিফারের সাথে স্কেটিং এ গেছিলাম স্টোনি পাহাড়ে, সেখানে নেটওয়ার্ক ছিল না। সারাদিন ওর সাথেই ছিলাম ।
ঃ কানাডিয়ান মাইয়ারা আসলেই খুব ফাস্ট রে , আর সাথে তুইও।
ঃ জেনি যে কি সেটা তোদের বুঝার সাধ্য নাই। আমি আমার রুমে গেলাম, Good night.
ঃ তোর জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম, ভাবলাম একটু আড্ডা দিবো সবাই।
ঃ খুব টায়ার্ড রে, আচ্ছা আধা ঘন্টা শুধু,
ঃ আয় বস। মনিকারা কালকেই শিফট হতে চাচ্ছে এখানে,
ঃ মাসতো শেষ হয় নাই এখনো।
ঃ বুঝিসই তো, আর ওরা যেই এপার্টমেন্ট টায় থাকে সেখানে মানুষও কম।
ঃ আমি আর কি বলবো। আসতে চাইলে আসবে।
ঃ দোস্ত, জেনিফারের সাথে তোর কিছু চলতেছে নাকি? মনে হচ্ছে সিটিজেনশিপ আমাদের আগেই পেয়ে যাবি তুই।
ঃ আরে নাহ, তেমন কিছুই না। ও ভালো বন্ধু আমার শুধু।
ঃ তাহলে আমার জেনিরে পছন্দ হইছে।
ঃ থাপড়াই কান গরম করে ফেলবো। আমি গেলাম ঘুমাতে। বায়।
ঃ হিহিহিহি, এইতো আসল কথা বের হইছে, পার্টি হবে পার্টি।
ওরা কথা বলছিল আর আমি আমার ঘরে চলে আসি। প্রফেসর যে নিউজ পেপার গুলো দিয়েছিল সেগুলো বের করি দেখার জন্য। ব্যাগ থেকে একটু বের করতেই দেখলাম পেপারের হেডলাইন ফ্রেঞ্চ ভাষায় দেওয়া। সাথে সাথে আবার ব্যাগেই রেখে দিলাম পেপার গুলো।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠি প্রায় ৯ টার দিকে, কেননা চাকরি তো নেই। ঘুম তখনো ভাংতো না , যদি না নিচ থেকে চিল্লা চিল্লির শব্দ শুনতাম,
নিচে গিয়েই দেখি মনিকা আর ওর বান্ধবি গেটের বাহিরে দাঁড়িয়ে হুশ হুশ করছে আর জিসান ভিতর থেকে লাঠি হাতে। সিঁড়ি দিয়ে নেমে দরজার কাছে যেতেই দেখলাম হাস্কি কুকুর দুইটা। আমাকে দেখে কুকুর দুইটা আমার দিকে দৌড়ে আসে । জিসান ভাবে জিসানকে কামড়ানোর জন্য আসতেছে। ও লাঠি ফেলে ঘরের ভিতরের দিকে দৌড় দেয়।
কুকুর দুইটা এসেই আমার গায়ের উপর ঝাপ দেয়। বেশ বড় বড় হওয়ায় আমি সোফার সাথে ডেলান দিয়ে বসে পরি। জিসান তাড়াতাড়ি করে লাঠি নিয়ে ওগুলো বারি দিতে গেলে আমি ওকে থামিয়ে দেই।
ঃ কিছু করিস না, এগুলা কামড়াচ্ছে না। জেনির পোষা এগুলো।
ঃ জেনির ?
ঃ হ্যা, ওইদিন ব্লেকডেলে যেগুলোকে আনতে গেছিলাম।
ঃ জেনিতো নাই বাহিরে,
ঃ এই এগুলো ওগুলো নাতো?
ঃ কোন গুলো?
ঃ তুই গিয়ে মনিকাকে ভিতরে নিয়ে আয়। আমি চেক করে দেখি।
ঃ দেখিস আবার কামড় খাইস না।
ঃ তোর মতো না এগুলা।
ঃ Snow , hey Snow, look at me ice.
পাত্তাও তো দেয় না দেখছি। ওগুলো , ওগুলোর মতোই আমার পায়ের সাথে ওগুলোর গলা ঘসছিল।
ঃ কিরে কিছু বের করতে পারলি?
ঃ নারে , এগুলো জেনির না।
ঃ আমি একটু আদর করে দেখি( মনিকা)
যেই মনিকা ওদের একজনের গায়ে ছোয়া দিতে যায় অমনি গেররর করে উঠে।
ঃ ভাই কেও ধরিস না এগুলারে। শুনছি এগুলো নাকি খুব ডেঞ্জারাস হয়।
ঃআচ্ছা যাইহোক, মনিক তোমাদের জিনিসপত্র কই?
ঃ কার্লো আর ফেদ্রিখ আনতেছে।
ঃভালো। এখন আমি এগুলারে নিয়ে কি করি!
ঃ যা খুশি কর, কিন্তু আমাদের কাছ থেকে দূরে রাখ। দেখে মনে হচ্ছে তোর পোষা।
ঃ কি যে বলিসনা। মনে হয় ক্ষুদা লাগছে এগুলার।
বাসায় কি আছে খাওয়ার?
ঃ যা আছে তা এগুলা খাবে না।
ঃ তাও তো কথা, আচ্ছা আমি একটু জেনির বাসা থেকে ঘুরে আসি, ও ভালো বলতে পারবে কি খায় এগুলো।
ঃ যা ভাই, এগুলোকেও তোর সাথে করে নিয়ে যা।
ঃ আমার নেওয়া লাগবে না , একাই আসবে।
বাহিরে প্রচুর ঠান্ডা ছিল। আমি ভেবেই অবাক হচ্ছিলাম এগুলো এতোদুর আসলো কি করে।
আমি রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম আর দুইটা আমার দুইপাশে ছিল । ব্যাপারটাই অন্যরকম লাগছিল । জেনির বাসায় দরজা নক করারপর জেনি চোখ ডলতে ডলতে দরজা খুলে।
ঃGood morning,
ঃ Good morning,
ঃ এতো সকাল সকাল আমার বাসায়?
ঃ প্রায় ১০ টা বাজে। আর তাছাড়া আমার বাসায়ও এই দুই নতুন অতিথি সকাল সকাল হাজির হয়।
ঃ আরে এগুলো তো সেই কালকের দুইটা, চলে আসছে তোমার কাছে।
ঃ তোমার গুলো কি বাসায়?
ঃ হ্যা, ওইযে ঘুমাচ্ছে দেখো, ভিতরে আসো।
ঃ তোমার গুলোকে তোমার মতই মনে হচ্ছে, ঘুম কাতুরে।
ঃ হুম , শুধু খায় আর ঘুমায়। কিন্তু এই দুইটাও অনেক কিউট। রেখে দেও তোমার কাছে।
এই বলে জেনি ওদেরকে হাত দিয়ে আদর করা শুরু করে।
ঃ আরে , তোমাকে কিছু করছে না যে?
ঃ কি করবে?
ঃ অন্য কেও ধরলে রেগে যায় এগুলো খুব। কিন্তু আমি ধরলে কিছু করে না। এখন দেখছি তোমাকেও কিছু করছে না।
ঃ কি জানি। বলতে পারলাম না। বসো, আমি ফ্রেস হয়ে আসি।
ঃ তার আগে ওদেরকে কিছু খেতে দিয়ে যাও।
ঃ আচ্ছা দিচ্ছি।
জেনি ওদেরকে ডগফুড খেতে দেয়। ওগুলো এমন ভাবে খাচ্ছিল যেনো অনেকদিন কিছু খায়নি। কিন্তু আমার আর জেনির সাথে ওগুলোর কি সম্পর্ক সেটাও বুঝতে পারছিলাম না।
ঃ তারপর কি অবস্থা তোমার?
ঃ এইতো কালকে যেমন দেখেছো।
ঃ তোমার সাথে পরিচয় হলো, ঘুরতে গেলাম কিন্তু তোমার ফোন নাম্বার টাই রাখা হয়নি এখনো।
ঃ আমারও একি অভিযোগ ।
ঃ হাহাহাহাহা,
ঃ ও ভালো কথা, মনিকা ওর বান্ধবীকে নিয়ে আমাদের ওখানে শিফট হচ্ছে।
ঃ তাই নাকি। ভালো তো। তুমি আমার এখানে শিফট হয়ে যাও। আমি তো একাই থাকি।
ঃ হাহাহাহা, চিন্তা করে দেখবো। বাহিরে যাবা না?
ঃ গ্রেন্ডপার অফারটার কথা কি চিন্তা করলা ?
ঃ ধুর , আমি উনার সাথে কি কাজ করবো বলো।
ঃ উনি যেহেতু বলেছে, সেহেতু কিছু একটা চিন্তা করেই বলেছে তাই না।
ঃ হুম, আচ্ছা ভেবে দেখি।
ঃ আপনার দুইটাও ঘুম।
ঃ কই, ও আচ্ছা, হাহা... পেট শান্তি করে ঘুম দিছে।
ঃ আচ্ছা তোমার ক্যারিয়ার নিয়ে কি চিন্তা ভাবনা?
ঃ ভাবিনি এখনো কিছু। যা হওয়ার হবে। যখনকার টা তখন দেখবো।
ঃএই তোমার গ্রেন্ডমা কোথায় ?
ঃ উনিতো ২০০১ এ উপরে চলে গেছেন ৬১ বছর বয়সে ।
ঃ ৬১ বছর বয়সে মানে?
ঃ মানে ১৯৪০ এ জন্ম উনার।
ঃ কি যে বলো মাথায় কিছুই ঢুকেনা। প্রফেসরের বয়সই তো এখন ৪০ মনে হয়।
ঃ জি না, উনার বয়স এখন ৮১ বছর।
ঃ আচ্ছা এই ব্যাপার গুলো আর কেও জানে না?
ঃ নাহ, আর কেও জানে না ।
ঃ আমাকে কেনো বললা?
ঃ এখন তোমাকে কিভাবে বুঝাই বলতো?
ঃ যেভাবে বুঝানো যায়।
ঃ উহু। এমনিই সব জেনে যাবা সময় হলে।
ঃ আচ্ছা যাইহোক, এই দুইটাকে কি নাম দিবো?
ঃ আমার গুলোতো স্নো-আইস।
ঃতাহলে আমার গুলো Storm and Wind .
ঃ হাহাহা, perfect.
জেনি কিছুক্ষন চুপ করে এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে । বাসার মধ্যে একদম নিস্তব্ধ । জেনির সাথে তাল মিলিয়ে স্নো-আইস আর স্টোরম- ওয়াইন্ড ও বসে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে ।
ঃ কি ব্যাপার , তোমরা আমার দিকে ভুতের মতো এভাবে তাকিয়ে কি দেখো?
ঃ ভাবতেই অবাক লাগে।
ঃ কি অবাক লাগে ?
ঃ তোমার মুখে এতো গুলা তিল।
ঃ পাগল হয়ে গেছো?
ঃ নাহ, নাস্তা করছো ?
ঃ না করিনি।
ঃ আচ্ছা বসো, আমিও করিনি। ব্রেড -বাটার নিয়ে আসি।
ঃ হুম , আনো।
ঃ আচ্ছা তোমার পরিবারে কে কে আছে ?
ঃ বাবা-মা, একটা ভাই ......
ঃ আর একটা বড় বোন, তাইনা?
ঃ হ্যা, কিন্তু তুমি কি করে জানলা?
ঃতোমার কথার ধরন দেখে গেস করলাম , সেটেল হওয়ার ইচ্ছা কি কানাডায় ?
ঃ হুম ইচ্ছাতো এখানেই ।
ঃ যাক ভালোই। নাও, ব্রেড -বাটার খাও। ঘরে আর কিছু নেই।
ঃ এটাই চলবে ।
আচ্ছা আমি যাই এখন, ভার্সিটিতে দেখা হবে।
ঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
ঃ ও হ্যা , ভালো কথা , ওদের খাবার পাবো কোথায় ?
ঃ বিকালে শপিংএ যাবো, তখন নিয়ে নিও।
ঃ বিকালে শপিং?
ঃ হ্যা,
ঃ আচ্ছা ঠিক আছে, টাটা।
আমি রাস্তা দিয়ে হেটে যাই আর কুকুর দুইটা আমার দুইপাশে দৌড়ায় । হঠাত একটা দোকান থেকে একজন আমাকে ডাক দেয়-
ঃ এক্সকিউজ মি স্যার! ২ মিনিট সময় হবে?
ঃ আমাকে বলছেন ?
ঃ জ্বি।
ঃ বলুন।
ঃ কুকুর গুলো কি আপনার?
ঃ হ্যা।
ঃ কি করেন আপনি?
ঃ মানিটোবার ছাত্র।
ঃ আমার এখানে পার্ট-টাইম চাকরি করবেন?
ঃ কিসের চাকরি ?
ঃ এইতো জিনিসপত্র বিক্রি করবেন।
ঃ করা যায়, ঘন্টায় কত?
ঃ ১৮ ডলার। কিন্তু আপনার কুকুর দুইটাও লাগবে। পাহারা দিবে দোকানের ভিতরে।
ঃ ওরা পাহারাদার না। ধন্যবাদ ।
এই বলে আমি হাটা দেই,
ঃ ঘন্টায় ২০ দিবো,
ঃ১০০ দিলেও কাজ হবে না।
সব চুপ-চাপ, পিছনে ঘুরে দেখি স্টোরম -ওয়াইন্ড গেরররর শব্দে চোখ বড় করে দোকানদারের দিকে তাকায় আছে। আর দোকানদার একটা ঢোক গিলে দোকানের ভিতরে চলে যায় ।
আমি হাত দিয়ে ইশারা করে ডাক দিতেই ওগুলো আমার কাছে দৌড়ে চলে আসে।
আমি ওদের সাথে কথা বললে মনে হতো ওরা সব কিছু বুঝে ।
১২টার দিকে স্টোরম-ওয়াইন্ডকে আমার ঘরে রেখে আমি ভার্সিটিতে চলে আসি। ক্যাম্পাসে ঢুকতেই দেখলাম একটা বাঙালি মেয়ে, মনে হয় নতুন ভর্তি হয়েছে। জিসান উনার দিকে এগিয়ে যায় কথা বলার জন্য।
আমার পিছন থেকে প্রফেসর এসে আমার ঘাড়ে হাত রাখে-
ঃ হে প্রফেসর ! আজকে কোনো প্লান আছে নাকি?
ঃ হায় অনুরাগ ! এখনো নেই। কিন্তু হয়েও যেতে পারে।
ঃহুম, প্লানিং হুট করেই হয়, আগে থেকে চিন্তা-ভাবনা করে হয় না।
ঃ এইতো বুঝেছো।
এই বলে উনি অফিসের দিকে চলে যায়।
জিসান মেয়েটাকে নিয়ে আমার দিকে আসে।
ঃ কি হইসে?
ঃ হোলে সিট বুকিং দিয়ে আসেনি। এখন জায়গা নেই থাকার।
ঃ কোন ডিপার্টমেন্টে আপু?
ঃ বিবিএ তে। আচ্ছা এখন কোথায় উঠছেন?
ঃ হোটেলে।
ঃ সেই খরচ। আচ্ছা জিসান , মনিকার সাথে কথা বলে দেখ ওরা ৩ জন একরুমে এডজাস্ট করতে পারবে কিনা। আপু সিট পাওয়ার পর না হয় পরে শিফট হয়ে যাবে ।
ঃ ওকে
জেনিফার তখন ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে । আমি ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলাম ।
ঃ অনুরাগ -
ঃ ও হায় জেনি।
ঃ Wait here please.
তারপর ও ক্যাম্পাসের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা শুরু করে-
আজকে আমার জন্য একটা বিশেষ দিন মানে আমার জন্মদিন।
ঃ কিহ তোমার জন্মদিন?
ঃআগে আমাকে বলতে দেও
ঃ আচ্ছা বলো-
আমরা মাঝখানে দাঁড়ায় ছিলাম ক্যাম্পাসের। চারপাশ-উপরে ২ তালা-সিড়ি সব দিক থেকে সবাই আমাদের দিকে তাকায় ছিল-
ঃ আমার জন্মদিনের সবচেয়ে বড় উপহারটা আজকে একজনের কাছে চাইবো। আশা করি সে আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিবে না-
এই বলে ও ওর জ্যাকেটের পকেট থেকে একটা রিং বের করে আমার সামনে ধরে -
ঃ I love you, Would you like to make me your other half?
আমি হা করে ওর দিকে তাকিয়েই রইলাম উল্লুক এর মতো। সবাই অনুরাগ-জেনিফার বলে সাউট করছিল চার পাশ থেকে। এমন চিপায় আগে কখনো পরিনি। খেয়াল করলাম প্রফেসর স্টিভও দূর থেকে কপালে ৫টা ভাজ ফেলে দেখছে। উনাকে দেখে মনে হচ্ছিল উনি এটা দেখে খুশি না-
ঃ No .... I wouldn't like to make you my Other half( সবাই চুপ)
But I would love to make you my life partner . ( সবার চিল্লাচিল্লি শুরু)
জেনি এক্সাইট্মেন্টে আমার হাতে রিং টা পরিয়ে দিয়ে ক্যাম্পাসে সবার সামনে ফ্রেঞ্চ কিস করে বসে যেটা আমার কাছে একদম অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল । কিন্তু ওদের কাছে এটা সম্পূর্ণ নরমাল ব্যাপার ছিল। জিসান আমার দিকে ডেব ডেব করে তাকিয়ে ছিল।
আমি কেনো জেনির প্রপোজাল এক্সেপ্ট করলাম আমি নিজেও জানিনা। জেনি আমাকে হাগ করেছিল আর আমি সামনে তাকিয়ে দেখি প্রফেসর নেই ।
সেদিন বাসায় ফেরারপর মাথায় কিছু ধরছিল না, কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না । হঠাত ওয়ান্ড আমার কাছে সেই পেপার গুলো নিয়ে আসে যেগুলো প্রফেসর আমাকে দিয়েছিল-
পেপার গুলো খুলে দেখলাম যার মধ্যে কিছু ইংরেজি পেপারও ছিলো-
পুরো পেপার খুজেও কিছু পাই নাই। হঠাত ছোট করে কোনায় একটা ছবিসহ দেওয়া -
Professor and the rising young scientist Mr, Richard Stive is missing for last 7 Day from his research room. And It has become a mystery .
পেপারটা ছিল ১৯৬৭ সালের । ছবিটা ভালো করে বুঝা না গেলেও বুঝতে পারছিলাম ওটা প্রফেসরের ছবি। মাথা চুলকাতে চুলকাতে পেপার গুলো ব্যাগে ভরছিলাম এমন সময় পেপারের ভিতর থেকে ছোট একটা কাগজের টুকরা বের হয় । যেখানে লেখাছিল -
Triple_A Company has lunched their new project of time machine .
আরে টাইম মেশিন নিয়ে তো এখনো কিছু বেরই হয়নি । তাহলে কেমনে কি,
আমি কাগজ গুলো সুন্দর করে আমার ড্রয়ারে রেখে দেই।
৭ টার দিকে জেনির বার্থডে পার্টি সেলিব্রেট করার জন্য আমরা সবাই জেনির বাসায় জাওয়ার জন্য বের হই।
জেনির বাসায় যাওয়ার আগে বন্ধুরা সবাই মিলে জেনির জন্য কিছু উপহার কিনে নেই। যার মধ্যে আমার উপরহারটা ছিলো একটা হাত ঘড়ি।
যাইহোক , জেনির বাসায় ওর কয়েকটা বন্ধু ছাড়া আর কেও ছিল না।
ঃ দোস্ত জেনির বাসাটা বেশ বড় ।
ঃ হুম,
ঃ ওর নিজের বাসা ?
ঃ হ্যা।
ঃ তুই তো মনে হয় এখানে শিফট হয়ে যাবি তাহলে।
ঃ ধুর ! কি বাসা বাসা লাগায় রাখছোস ,
ঃ কেনো জেনিরে বিয়ে করবি না?
ঃ এতো কথা না বলে এখানে চুপ -চাপ বস।
জেনিকে কোথাও দেখতে পারছিলাম না। ড্রয়িংরুমে ওর বন্ধুরা বসে ছিল।
ঃ হায়, জেনি কোথায়?
ঃ আপনিই অনুরাগ? জেনির বয়ফ্রেন্ড?
ঃ হুম, হ্যা।
ঃ খুব ভালো মেয়ে জেনি, অনেক হেপি থাকবেন আপনারা।
ঃ ধন্যবাদ, কিন্তু জেনি?
ঃ ও মনে হয় রান্না ঘরে ।
ঃ আসতেছি আমি।
মনিকা তোরা এখানে বস।
আমি রান্না ঘরে গিয়ে দেখি জেনি একা একাই সব রান্না করছে-
ঃ হায়, কি রান্না করছো?
ঃ তুমি কখন আসলা?
ঃ এইতো একটু আগে, ইশ কত কষ্ট করতেছো।
ঃ আসতে বলছিলাম বিকাল বেলা ...... কিন্তু আসো নাই। এখন দরদ দেখাচ্ছো ?
ঃ একটু কাজে ব্যাস্ত ছিলাম। এখন সাহায্য করতেছি।
ঃ আর লাগবে না। সব হয়ে গেছে।
ঃ ও, প্রফেসর কোথায় ?
ঃ উনি কেক নিতে গেছে। এখনি চলে আসবে । চলো তোমাকে আমার বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।
ঃপরিচিত হয়েছি । আমি এই নাস্তা গুলো নিয়ে যাচ্ছি, তুমি উপরে গিয়ে রেডি হয়ে আসো।
ঃ তাই নাকি ?
ঃ হুম,
ঃ ওকে ডিয়ার
জেনি উপরে চলে যায় , আমরা সবাই মিলে নিচে কথা বলতে থাকি। কিছুক্ষনপর প্রফেসর কেক নিয়ে হাজির হয়।
ঃ হায়, সবাই এসে গেছে দেখছি।
ঃ আপনার অপেক্ষাই ছিলো ।
ঃ জেনি কোথায়?
ঃ উপরে ড্রেস চেঞ্জ করতে গিয়েছে।
ঃ ও আচ্ছা, আসো আমরা কেক আর বেলুন গুলো সাজিয়ে ফেলি।
এমন সময় জেনিফার আমাকে উপর থেকে ডাক দেয়-
ঃ অনুরাগ, একটু উপরে আসো তো তাড়াতাড়ি ,
ঃ আসতেছি,
ঃ ওই যে ডাক পরছে । ( প্রফেসর)
ঃ তোমরা সাজাও আমি আসতেছি।
উপরে গিয়ে আমি একদম অবাক হয়ে যাই। কেননা, জেনি শাড়ী পরার চেস্টা করছিলো ।
ঃ এই তোমাদের এখানে মেয়েরা শাড়ি পরে?
ঃ নাতো ।
ঃতাহলে শাড়ি পেলে কোথায়? তাও আমার পছন্দের নীল রঙের।
ঃ হ্যা আমি জানি তোমার পছন্দের। আর তাই ব্যাবস্থা করেছি। কিন্তু এখন পরতে পারছি না।
ঃ আমাকে পরায় দিতে বলতেছো?
ঃ তো নয় তো কি ?
ঃ হাহাহাহাহাহাহা, তুমি যা পরছো আমি ওইটুকও পরায় দিতে পারতাম না ।
ঃ বেশি কথা না বলে হেল্প করো। আগে এটার পিছনের হুক লাগাই দেও। এটাকে কি বলে?
ঃ ইংরেজি তে কি বলে জানিনা, তবে আমাদের ভাষায় ব্লাউজ বলে।
ঃ আচ্ছা ব্লাউজ পরা হইছে। এটাকে কি বলে ?
ঃ এটার নাম আমি নিজেও জানিনা। বাদ দেও তোমার পরতে হবে না।
ঃ না আমি পরবো।
ঃ এটা পরতে গেলে আজকে রাত পার হয়ে যাবে তাও পরা হবে না।
ঃ কিন্তু আমি পরতে চাই।
ঃ আচ্ছা একটা অফার দিবো আজকে এটা না পরার বদলে।
ঃ কি অফার?
ঃ আজকে অন্য ড্রেস পরো , আমি তোমাকে সামনের ছুটিতে বাংলাদেশ নিয়ে যাবো। সেখানে আমার আম্মুর কাছ থেকে শিখে নিও শাড়ি পরা।
ঃ হাহাহা, বেস্ট এক্সচেঞ্জ অফার । আমি রাজি।
ঃ যাক ভালো।
ঃ ড্রেস কোনটা পরবো?
ঃ ওই নীল টা।
ঃ জানতাম ।
ঃ তোমাদের এখানে ঠান্ডা পরাতে ভালোই হইছে।
ঃ কেনো কেনো?
ঃ ভিতরে সব সময় শর্টস পরা থাকে ঠান্ডার জন্য। নাহলে যে আমার এখন কত্ত কিছু দেখা লাগতো।
ঃ হাহাহাহা, তাই না? চলেন এবার যাওয়া যাক ।
ঃ You are looking beautiful as usual dear. let's go.
ঃ ও , হাহাহা, হুম।
নিচে গিয়ে দেখি সবাই বেলুন টেলুন সাজিয়ে সোফায় ঢেলান দিয়ে গালে হাত রেখে বসে আছে ।
ঃ কি হলো সবার , এই অবস্থা কেনো?
ঃ যাক আসলা তাহলে তোমরা। আমরা তো ভাবলাম আজকে রাতে আর নিচে নামবা না ।
ঃ থাক আমরা এতো দূর না আগাই ।
তারপর সবাই মিলে একসাথে কেক কাটি। একটা ব্যাপারে অবাক হচ্ছিলাম যেটা হলো জেনির বাবা মা। তাদের কথা জেনি খুব কমই বলতো।,
যাইহোক, ডিনারেরপর বেশ রাত হয়ে যায়, আর এতো কিছু পরিস্কার করা ওর একার পক্ষে সম্ভব ছিল না।
ঃ আচ্ছা, কার্লো, জিসান- তোরা যা । আমি জেনিকে হেল্প করার জন্য এখানেই থাকবো ।
ঃ হুম তুই এখানেই শিফট হয়ে গেলে পারিস।
ঃ তাতো ও হবেই।
ঃ এতো কথা না বলে তোরা যা। আর তাছাড়া প্রফেসরও রাতে এখানে থাকবে।
ঃ আর তোর ওই দুই বাফাদার কুত্তা?
ঃকুত্তা বলবি না ওদের। ওগুলো এখানেই থাকবে।
ঃএখানে থাকাই ভালো। আচ্ছা আমরা গেলাম ।
ওরা জাওয়ার পর তিনজন মিলে টেবিল আর ঘর পরিস্কার করছিলাম-
ঃ আচ্ছা প্রফেসর , টাইম মেশিন টা কি আমি বানাইছিলাম নাকি আপনি?
ঃ মানে?
ঃ মানে রহস্য উন্মোচন হয়ে গেছে ।
ঃ আগে আমার ঘর পরিস্কার করো। তারপর রহস্য উন্মোচন এর কথা শুনবো। ( জেনি)
ঃ করতেছি করতেছি
ঘর পরিস্কার করার পর ৩ জন সোফায় জন বসি ।
ঃ এবার বলো।
ঃ ১৯৬৭ তে আপনি টাইম মেশিনে করে এখানে চলে আসেন । এখন আর ফেরত যেতে পারছেন না ।
ঃ একটু একটু ধরতে পারছো। আসলে এই সব কিছু তোমার জন্য হইছে।
ঃ আমার জন্য মানে?
ঃ বলি শোনো-
১৯৬৭ সালে আমি আমার রিসার্চ রুমে কাজ করছিলাম, হঠাত আলোর মতো তীব্রগতিতে কিছু আসা শুরু করে আমার রুমে , আর একসাথে জমাট বাধা শুরু করে।
কিছুক্ষন পর একটা মেশিন দেখলাম, যার ভিতর থেকে ২ জন মানুষ বের হয়ে আসে। একটা তুমি আরেকটা জেনি ছিল।
ঃ পুরা ছবির কাহিনির মতো লাগতেছে। তারপর-
ঃ আমাকে তোমরা ভবিষ্যতে ২০৪২ সালে নিয়ে যাও।
আর আবার আমাকে আমার সময় ১৯৬৭ তে পাঠানোর বদলে ২০১৩ তে পাঠায় দেও অর্থাৎ আমার মৃত্যুর ২ বছর পর আমি আবার এখানে ফিরে আসি। তাও জোয়ান হয়ে। আমার বউ টার সাথেও সময় কাটাইতে পারি নাই আমি তোমার জন্য।
ঃ বিজ্ঞানীরা কি সত্যিই আপনার মতো পাগল হয়?
ঃ মানে?
ঃ মানে যেকোনো কিছু বলবেন আর আমি বিশ্বাস করবো?
ঃ এই জন্যই তোমাকে খুজে বের করতে বলছিলাম রহস্য ।
ঃ আচ্ছা আমি কেনো আপনাকে ২০১৩ তে পাঠাবো বলেন?
ঃ সেটা আমি কি জানি। কিন্তু সময়ের উল্টা কাটা তুমি ঘুরায় দিছিলা ২০১৩ তে। আমাকে দেখতেও দেও নাই।
ঃ আমার মাথা ব্যাথা করতেছে। আমি ঘুমাতে গেলাম। জেনি চলো।
ঃ অনু, আমাকে আমার বউ এর কাছে ফেরত পাঠানোর ব্যাবস্থা করো তাড়াতাড়ি ।
ঃ আমি কিছু জানিনা।
ঃ আমি এই ৪ বছর শুধু তোমার এখানে আসার অপেক্ষা করছি।
ঃবউ এর কথা ভুলে জান, এখানে নতুন বিয়ে করে ফেলেন। Good night professor. ।
ঃ তুমি যার হাত ধরে যাচ্ছ সেটা কিন্তু আমার নাতনী।
আমরা উপরে চলে আসি আর উনি উনার বউ এর গান গেয়েই যাচ্ছিলেন।
(TO BE CONTINUED)
#টাইম_মেশিন

টাইম মেশিন ২য় অংশ----------------জেনিফার আর আমি হাটা শুরু করলাম। ও দেখতে অনেকটা আমেরিকানদের মতো। চুল গুলো সম্পূর্ণ লালচে...
22/06/2024

টাইম মেশিন
২য় অংশ
----------------
জেনিফার আর আমি হাটা শুরু করলাম। ও দেখতে অনেকটা আমেরিকানদের মতো। চুল গুলো সম্পূর্ণ লালচে কালো। শরীরের রঙ ফর্সার মধ্যে হালকা হলদে ।
ঃ আমরা কোথায় যাচ্ছি এখন?
ঃআমার বাসায়।
ঃ তোমার বাসায় মানে ?
ঃ গেলেই বুঝতে পারবা।
ঃ তোমার বাসা কোথায় ?
ঃ এইতো ভেজওড রোড এর সাথেই।
ঃ ওখানে আমার জানামতে দেখার মতো কোনো জায়গা আছে বলে মনে হয় না।
ঃ তুমি কি সব সময় এতো প্রশ্ন করো?
ঃ না , আসলে নতুনতো এখানে তাই।
ঃ বুঝলাম, আমরা যেখানে যাবো সেই জায়গায় গাড়ী নিয়ে যেতে হবে । তাই বাসায় যাচ্ছি আগে গাড়ী নেওয়ার জন্য।
ঃ কেনো বেশি দূর নাকি জায়গাটা?
ঃ উফফ, গেলেই দেখতে পারবা । আর একটা প্রশ্নও না ।
ঃ হুম ওকে।
ওর বাসাটা কাঠের একটা ডুপ্লেক্স বাড়ী ছিল । বাসাটা বাহির থেকেই দেখতেই কেমন যেনো অদ্ভুত ছিল।
ও চাবি দিয়ে বাসার দরজা খুললো-
ঃ বাসায় কেও নেই?
ঃ না, বাবা- মা ভেনকুয়েভারে থাকে। আমি একা থাকি এখানে।
ঃ ও আচ্ছা,
ঃ ভিতরে আসো।
ঃ না না, আমি বাহিরেই ঠিক আছি।
ঃ হাহাহা, ভয় পাচ্ছো নাকি?
ঃ না, এমনিই।
ঃ আচ্ছা , এক কাজ করো, চাবিটা নিয়ে যাও। ওই গ্যারেজ থেকে গাড়ী বের করো। আমি আসতেছি।
ঃহুম সেটা করা যায়।
গ্যারেজে গিয়ে দেখলাম আদিকালের একটা কেডিলেক গাড়ী। আদিকালের হলেও সেটা কেডিলেক।
যাইহোক, আমি গাড়ী বাহিরে বের করে দাঁড়িয়ে রইলাম। ১০ মিনিট পর জেনি বের হলো । ড্রাইভ ও করবে কেননা আমার কাছে কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।
ঃ আচ্ছা এখন তো বলা যায় আমরা কই যাচ্ছি।
ঃ আমরা ব্লেকডেল যাবো ।
ঃ চিনি না, যেতে কতক্ষন লাগবে?
ঃ এই ১ ঘন্টা।
আমরা পাম্বিনা হাইওয়ে দিয়ে যাওয়া শুরু করি। রাস্তা পুরো খালি ছিল । জেনি , যতটা দ্রুত সম্ভব গাড়ী চালাচ্ছিল।
ঃ আচ্ছা জেনি একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?
ঃ হ্যা, কিন্তু একটাই।
ঃ তুমি তো আমাকে চিনো না, বা আমিও তোমাকে চিনি না। এখন যদি কিছু একটা হয়ে যায়।
ঃ হাহাহা, যে ছেলে একা একটা মেয়ের ঘরে ঢুকার সাহস করে না সে করবে আবার কিছু একটা। হাহাহা।
যাইহোক, আমি জানি আমি তোমার সাথে নিরাপদ এবং তুমিও আমার সাথে নিরাপদ।কিভাবে সেটার বর্ণনা এখন দিতে পারছি না ।
ঃ বুঝলাম।
ঃ সত্যি বলতে গেলে আমি তোমাকে পছন্দও করি বটে.
ঃ অহ! তোমরা কানাডিয়ানরা কি সব ক্ষেত্রেই এরকম সোজাসাপটা কথা বলে দেও?
ঃ হুম, বলতে পারো।
ঃ আর কতক্ষন লাগবে?
ঃ সেন্ট পোউল এসে পরছি। আর ১০ মিনিট লাগবে।
তারপর , পড়াশুনারপর প্লানিং কি ? এখানে থাকবা নাকি নিজের দেশে চলে যাবা?
ঃদেখা যাক কি হয় । ভবিষ্যত কে দেখেছে বলো।
ঃ হয়তোবা আমরাই কোনো একদিন দেখতে পারি।
ঃ অতীতকে নিয়ে যদি কিছু করা সম্ভব হয় তাহলে ভবিষ্যত কে নিয়েও কিছু একটা করা সম্ভব হবে।
ঃ যেমন?
ঃ যেমন পরে বলবো। এখন এই বিষয়ে আলাপ করতে ইচ্ছা করছে না।
ঃ এসে পরছি আমরা।
ঃ এটাই ব্রেকডেল?
ঃ হুম,
ঃ এটা শহর কোথায়? এখানে তো একটা মানুষকেও দেখা যাচ্ছে না। শুধু পাহাড় আর পাহাড়।
ঃ আরে বাবা আসোই না।
ঃ চলেন-
গাড়ী থেকে নেমে পাহাড়ের দিকে এগিয়ে যেতেই দেখলাম একটা কাঠের ঘর।
ঃ ওই ঘর কার জেনি?
ঃ ওটা আমার, ওখানে আমার দুইটা বন্ধু থাকে।
ঃ এই জায়গায় তোমার বন্ধু?
ঃ হ্যা।
গিয়ে দেখি ঘরের ভিতর দুইটা হাস্কি কুকুর ঘুমাচ্ছে। হাস্কি আমি এই প্রথম দেখি। জেনি কে দেখেই কুকুর গুলো ওর কোলের উপর উঠে পরে।
ঃ এই দুইটা তোমার?
ঃহ্যা !, এগুলো এখানেই থাকে গরমের সময়। এখন ঠান্ডা বেশি পরা শুরু হয়েছে , তাই ওদেরকে নিতে আসলাম।
ঃ ও, এই বাহিরে ওইটা হরিণ না?
ঃ হ্যা, এখানে অনেক জীব- জন্তু আছে।
ঃ তুষার পরতে শুরু করেছে। ৮ টা বাজে, একটু পর সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
ঃসন্ধ্যা হতে এখনো ২ ঘন্টা। তবে আমাদের যাওয়া উচিত। তুষার বেশি পরলে গাড়ী চালানো যাবে না।
গাড়ীতে করে ওয়েস্ট সেইন্ট পোউল আসতেই দেখলাম রাস্তা তুষারে ঢাকা পরে গেছে। গাড়ির চাকা বার বার স্লিপ করছিল। একসময় জেনি গাড়ী থামিয়ে দিল।
ঃ কি হলো?
ঃ সামনে ব্রিজ , গাড়ী স্লিপ করলে আমরা সোজা গিয়ে ওই ঠান্ডা পানিতে পরবো।
ঃ তুষার পরবে জেনেও আজকে আশার কি দরকার ছিল?
ঃ আমার স্নো আর আইস ঠান্ডায় কষ্ট পেতো নাহলে।
ঃ ও আচ্ছা সেটাও তো কথা । এখানে স্নো কোনটা আর আইস কোনটা? দুইটা তো একি রকম।
(জেনি আইস বলে ডাক দিতেই একটা সামনে আমাদের দিকে ঘুরে তাকায়।)
বুঝে গেছি এটা আইস আর ওটা স্নো।
ঃ জ্বি না, এটা স্নো আর ওটা আইস। স্নো কে ডাক দিলে আইস তাকায় আর আইস কে ডাক দিলে স্নো।
ঃ খুব কনফিউজিং। আচ্ছা আমরা এখানে কতক্ষন এভাবে বসে থাকবো?
ঃ যতক্ষন না কেও আমাদের উদ্ধার করতে আসে।
ঃ বলো কি! যদি কেও না আসে?
ঃ তাহলে এখানে এভাবেই কালকে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ঃ মনে হচ্ছে তোমার কপাল ভালো, একটা গাড়ী আসতেছে ।
গাড়িটার সামনে বরফ সরানোর জন্য স্টিলের পাত লাগানো ছিল।
ঠিক আমাদের গাড়ির সামনে এসে থামে গাড়ীটা।
গাড়ির ভিতর থেকে যে নেমে আসে তাকে দেখে আমি একটু অবাক হয়ে যাই। কেননা , উনি আর কেও না, প্রফেসর স্টিভ ছিলেন।
আমার মাথায় তো আকাশ ভেঙ্গে পরলো তখন যখন জেনি, গাড়ী থেকে নেমে গ্রেন্ডপা বলে উনার দিকে দৌড়ে গেলো।
আমিও মাথা চুলকাতে চুলকাতে গাড়ী থেকে বের হয়ে দাড়াই।
ঃ এখানে কতক্ষন ধরে ?
ঃ এইতো ১ ঘন্টার মতো হবে, তুমি আসতে এতো দেরি করলা যে?
ঃ কাজে ফেসে গেছিলাম, হায় অনুরাগ! বেশি ঠাণ্ডা লাগছে নাকি?
ঃ না, আমার শরীরতো গরম হয়ে উঠছে।
ঃ তাহলে তো ভালোই। গাড়িতে বসো। তুষারপাত আরো বাড়তে পারে। এখান থেকে তাড়াতাড়ি কেটে পরাই ভালো।
ঃ হুম, বাড়বেই মনে হচ্ছে।
ঃ তোমরা আমার গাড়ির পিছনে পিছনে আসো।
আমরা গাড়িতে করে প্রফেসরের গাড়ির পিছনে পিছনে যেতে থাকি।
ঃ তুমি আমাকে আগে বলো নাই কেনো যে তুমি প্রফেসরের নাতনি।
ঃ হাহাহা, বললে কি হতো?
ঃ বললে কিছু হতো না অবশ্য।
ঃ উহু, তোমাকে চেক করা হতো না তাহলে।।
ঃ মানে?
ঃ কিছু না।
ঃ আচ্ছা আমার মাথায় একটা ব্যাপার ঢুকছে না।
ঃ কি ব্যাপার?
ঃ তুমি বয়সে এতো বড়, প্রফেসরের নাতনি কিন্তু উনি দেখতে এতো ইয়াং কিভাবে? মানে উনাকে দেখলে মনে হয় উনার বয়স ৩০-৩২ হবে।
ঃ আসলে এই রহস্য টার উত্তর আমার কাছেও নেই। কিন্তু উনি আমার আপন দাদা।
ঃ তোমরা এতো অদ্ভুত কেনো?
ঃ হাহাহা, তোমার কাছে মনে হচ্ছে তাই।
ঃ না আসলেই, উনি তোমার আপন দাদা?
ঃ হ্যা, সত্যিই উনি আমার আপন দাদা। আর আমার জ্ঞ্যান হওয়ার পর থেকেই উনাকে এভাবেই দেখে আসছি।
ঃভাল, খুব ভালো শরীর মেইনটেইন করেছেন উনি মনে হচ্ছে,
ঃ হতে পারে। আমরা চলে আসছি প্রায় ।
ঃ ব্লেকমোরে নামায় দিও আমাকে।
ঃ আচ্ছা ঠিক আছে
বাসায় ঢুকারপর দেখলাম ৩টাই আমার দিকে টেড়া চোখে তাকায় আছে ।
ঃ কিরে এমনে তাকায় আছোস কেন তোরা?
ঃ আগে বল ওই মেয়ের সাথে কি করলি এতোক্ষন? (কার্লো)
ঃ ওই মেয়ের বাসায় গেছিলাম।
ঃ কি বলিস দোস্ত ! সোজা বাসায় ? তোরা না কোন শহর ঘুরতে যাস? (জিসান)
ঃ আগে আমাকে বলতে দিবি?
ঃ হ্যা বল, আমরা সবাই চুপ।
ঃ ওর বাসায় যাই গাড়ী নিতে। আমরা ব্ল্যাকডেল গেছিলাম দুইজন।
ঃ ব্ল্যাকডেল তো সেই অনেক দূর, আর ওখানে পাহাড় ছাড়া তেমন কিছুই নেই। ( ফেদ্রিখ)
ঃ হ্যা, ওখানে ওর দুইটা হাস্কি ছিল, ওগুলোকে আনতে গিয়েছিলাম।
ঃ যাক ভালোই ।
ঃ এই ও কিন্তু প্রফেসরের নাতনি ।
ঃ কোন প্রফেসর?
ঃ আরে স্টিভের।
ঃ আহাহাহাহাহাহা,
ঃ হাসিস কেন?
ঃ প্রফেসরেরতো বউ ই নাই, নাতনী কোথা থেকে এলো?
ঃ মানে?
ঃ মানে আমরা তার পরিবারের কথা আজ পর্যন্ত শুনি নাই।
ঃও আচ্ছা, তাহলে মনে হয় মজা নিছে আমার সাথে।
ঃ যাই বলিস, জেনিফার কিন্তু বেশ সুন্দর। ও কিন্তু সচারাচর ছেলেদের সাথে তেমন কথা বলে না। তোর সাথে আজকে একা এতো দূর কিভাবে গেলো বুঝতেছি না।
ঃ জানিনা কিছু, বাদ দে।
ঃ ও আচ্ছা আরেকটা কথা,
ঃ কি?
ঃমনিকা ওর একটা বান্ধবীকে নিয়ে আমাদের এখানে শিফট হতে চাচ্ছে।
ঃ কেন, ওদের ওখানে কি হইছে?
ঃ ওদের ওখানে ভাড়া বেশি। আর একা থাকতে নাকি ভয় লাগে ওদের ।
ঃ তাহলে আর কি, জিসান রে নিচে ড্রয়িং রুমে ট্রান্সফার করে ওদের দুজনকে জিসানের রুমে শিফট হতে বল।
ঃ আমি রাজি দোস্ত, ( জিসান)
ঃ জানতাম তুই রাজি হবি , তাই তোর কথা বলছি।
যাইহোক, মজা করছিলাম। আমাদের এখানে মেয়ে ঢুকানো যাবে না। পরে ঝামেলা হতে পারে।
ঃ কি ঝামেলা হবে, তুই তো আমাদের ভালো করেই জানিস। ওরাও চিনে। তাইতো আসতে চাচ্ছে। আর তাছাড়া , আমাদের রান্না যে বাজে , ওরা আসলে তো একটু ভালো ভাবে খাওয়া যাবে।
ঃ আমাদের ৪ জনের ৪ টা রুম, ওরা কই থাকবে?
ঃ জিসান আর আমি এক রুমে থাকবো। (কার্লো)
ঃসিউর?
ঃ ১০০%
ঃ তাহলে আমার কোনো সমস্যা নেই। সকালে কাজ আছে। ঘুমাতে গেলাম আমি।
ঃ গুড নাইট।
ঃ গুড নাইট ফ্রেন্ডস
আমি প্রত্যেকদিন সকাল ৮ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ভার্সিটির পাশে একটা রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম কাজ করি।
আর তারপর ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ভার্সিটিতে ক্লাস করতে হয়।
পরেরদিন সকালবেলা যথারীতি আমি আমার কাজে চলে আসি। গ্রাহক দের অর্ডার নেওয়াই আমার কাজ ছিল।
সকাল ১১ টার দিকে জেনিফার এসে রেস্টুরেন্টে ঢুকে।
ঃ তুমি এখানে?
ঃ হ্যা, তোমার বন্ধুরা বললো তুমি এখানে জব করো। তাই এসে পরলাম দেখা করতে।
ঃ ওদের কই পাইছো তুমি?
ঃ তোমার বাসায় গিয়েছিলাম।
ঃ আর আমার বাসা কিভাবে চিনলা?
ঃ এতো প্রশ্ন কেনো? যেভাবেই হোক চিনেছি তো।
ঃহুম,
ঃ নাস্তা করছো?
ঃ না করিনি, একটু পরে করবো।
ঃ আমিও করিনি। এক কাজ করো, দুইটা ডাবল চিকেন সেন্ডইচ আর কফি দুইটা।
ঃ দুইটা দিয়ে কি হবে?
ঃ আমি অর্ডার করেছি, প্রশ্ন করতে বলিনি।
ঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
কিছুক্ষনপর আমি ওর টেবিলে খাবার দেওয়া হয়। আমি অন্য টেবিলে অর্ডার নিচ্ছিলাম।
ঃ হে অনুরাগ!
ঃ জ্বি বলো।
ঃবসো, কথা আছে। নাস্তা করতে করতে বলবো।
ঃ আমার working hour চলতেছে। বসলে প্রবলেম হবে।
এই কথা শুনে ও উঠে সোজা আমার ম্যানেজার এর কাছে গিয়ে আমার দিকে ইশারা করে কথা বলছিল। একটু পর ম্যানেজার এসে আমাকে চাকরি থেকে বের করে দিল।
কারন জানতে চাইলে কাস্টমার কমপ্লেইন বলে চলে যায় উনি।
ঃ এবার তো বসতে আর কোনো সমস্যা নেই?
ঃএটা কি হলো?
ঃ যা হওয়ার হইছে। এখন নাস্তা করো। আর তাছাড়া এর চেয়ে আরো অনেক ভালো ভালো চাকরি তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
ঃ আর সেই চাকরি গু্লো আমাকে কে দিবে শুনি, তোমার দাদা?
ঃ হিহিহিহি, দিতেও পারে।
ঃ ও আচ্ছা ভালো কথা , তুমি আমাকে কালকে মিথ্যা বললা কেনো যে প্রফেসর তোমার দাদা?
ঃ আরে বাবা সত্যিই উনি আমার দাদা।
ঃ আমার বন্ধুরা যে বললো উনার কোনো পরিবার নেই!
ঃআসলে কেও জানে না এখানে, আমরা ভেনকুয়েবারে ছিলাম।
ঃ ও আচ্ছা, আমারতো কোনো একটা পেচ আছে মনে হচ্ছে ।
ঃ ভার্সিটিতে যাবা না?
ঃ আজকে আমার বন্ধ।
ঃগ্রেট, চলো এক জায়গায় যাই।
ঃ কালকের মতো আবার?
ঃ নাহ, আগে চলোই না।
ঃ বেশি দূরে কিন্তু যাবো না।
ঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
ও আমাকে একটা বাসায় নিয়ে যায়। পুরানো বাসা, গেটে জং পরা, ঘরের সামনে একটা ছোট বাগান। জেনিফার দরজার সামনে গিয়ে দারাতেই দরজা একা একাই খুলে যায়। বাড়ির নিচতালায় ড্রয়িং রুম আর কিচেন , সম্পূর্ণ পরিস্কার। জেনি নিচে না দারিয়ে আমাকে নিয়ে সোজা উপরে চলে যায়। উপরে গিয়েই আমার মাথা ঘুরানো শুরু করে,
এ যেনো এক যন্ত্র পাতির মেলা । ওখানে এমন এমনও জিনিসপত্র ছিল যা আমি আগে কখনো দেখিনি।
ঃ হায় অনুরাগ, কেমন আছো?
ঃ এইতো ভালো আছি মি স্টিভ। আপনার কি অবস্থা?
ঃ আমার অবস্থাতো দেখতেই পাচ্ছো। ভিতরে আসো।
ঃ এটা কি বানাচ্ছেন?
ঃ স্কেটিং করতে যাবো আমরা , তাই অটোমেটিক স্কেটিং বোট বানাচ্ছি। প্রায় হয়ে গেছে। জেনি, আমাদের জন্য কফি আনা যায়?
ঃ অবশ্যই, আমি নিয়ে আসছি।
ঃ আচ্ছা কাচের বড় এই জিনিষ টা কি ?
ঃ তোমার সাফল্য ।
ঃ মানে?
ঃ না মানে আমার একটা প্রোজেক্ট।
ঃ কিসের প্রোজেক্ট?
ঃ টাইম মেশিন।
ঃ Really? i mean seriously বলছেন?
ঃহ্যা, কিন্তু আমি সময় কে কন্ট্রোল করার ব্যাপারটা এখনো ঠিক করতে পারিনি।
ঃচিন্তা নেই, হয়ে যাবে । সব কিছুতো আর একবারেই হয় না, একটু সময় লাগে ।
ঃ সময় এবং সঠিক মানুষ দুটোকেই লাগে ।
ঃ আচ্ছা আপনার এতো সুন্দর শরীর মেইন্টেইন এর রহস্য টা জানতে পারি।
ঃ রহস্য যেহেতু নিজেই বের করে নেও। তবে একটা clue দিতে পারি।
ঃ আর সেটা কি?
ঃ আমার বয়স এখন ৮১ চলছে।
ঃ হাহাহাহাহাহাহা, বেশ ভালো মজাই করতে পারেন। আপনার বয়স বেশি হলে ৪০ হবে।
ঃ গ্রেন্ডপা ঠিকি বলছে , উনার এখন ৮১ চলতেছে।
ঃ একটু ঠান্ডা পানি হবে?
ঃ এই ঠান্ডায় , ঠান্ডা পানি?
ঃ খাবো না , তোমাদের মাথায় ঢালবো।
ঃ হাহাহা, আচ্ছা বিশ্বাস না হলে কি করার।
ঃ কিন্তু এই রহস্য তো আমি উদঘাটন করেই ছারবো।
ঃ শুভ কামনা রইলো, এই নিউজ পেপার গুলো নিয়ে যাও, বাসায় গিয়ে পড়বা।
ঃ অনেক আগের নিউজ পেপার মনে হচ্ছে।
ঃ হুম , এখন চলো স্কেটিং করতে যাবো।
ঃ চলেন যাই।
স্কেটিং করার জন্য আলাদা জামা-কাপড় দরকার ছিলো। কেননা , আমার গায়ে পরা জাম্বু জ্যাকেট পরে তো আর স্কেটিং করতে পারতাম না।
ঃ স্কেটিং আগে করেছো কখনো?
ঃ না করিনি প্রফেসর।
ঃ চিন্তা নেই, আমি যেই স্কেটিংবোড বানিয়েছি এটা দিয়ে সহজেই স্কেট করতে পারবা ।
ঃ দেখা যাক।
ঃ জেনি তোরা নিচে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে ফেল। আমি আসতেছি এগুলো নিয়ে।
ঃ ওকে গ্রেন্ডপা।
নিচে জেনি আমাকে ওদের স্টোর রুমে নিয়ে যায়, ওখানে আরো বেশি যন্ত্র -পাতির কারখানা। কিছু কিছু মেশিনে দেখলাম ট্রিপল-এ সাইন খোদাই করা।
ঃ জেনি!
ঃ হুম বলো-
ঃ ট্রিপল -এ দিয়ে কি বোঝায় ?
ঃ কোথায় দেখি!
ঃ এই যে-
ঃ গ্রেন্ড-পা বলতে পারবে। আমি জানিনা এটার ব্যাপারে।
ঃ ও আচ্ছা ,
ঃ দেখোতো এই স্কেট স্যুট আর গ্লাবস গু্লো হবে নাকি তোমার।
ঃ হুম একদম মাপ মতো।
ঃ আর এগুলা আমার।
এটা বলেই ও ওখানে ওর ড্রেস খোলা শুরু করে। আমি তা দেখে উল্টা দিকে ঘুরে যাই।
ঃ এটা কি করছো জেনি?
ঃ কেনো ড্রেস চেঞ্জ করছি।
ঃতাই বলে এভাবে আমার সামনে ?
ঃ হাহাহাহাহা, ভিতরে আমার শর্টস পরা আছে। আর তাছাড়া তোমার ব্যাপারে আমি ভালো ভাবেই জানি ।
ঃ কিভাবে জানো? পরিচয়ই হলো আজকে মাত্র ২ দিন।
ঃ ঘুরতে পারো , আমার ড্রেস চেঞ্জ করা হয়ে গেছে।
ঃ হুম এবার বলো- কিভাবে জানো?
ঃ গ্রেন্ড -পা এর রহস্য টা খুজে বের করো। সব জেনে যাবা।
ঃI hate puzzle ,
ঃ But am sorry to inform you that, this is the starting of puzzles . And you have to solve them all .
এমন সময় প্রফেসর এসে হাজির হয়-
ঃ কি কথা হচ্ছে?
ঃ এইতো এমনি কথা হচ্ছিল।
ঃআজকে আমরা স্টোনি মাউন্টেইন যাবো । অনুরাগের কোনো কাজ নেই তো?
ঃ আমার আর কি কাজ থাকবে! যে একটা কাজ ছিল সেটাও আপনার নাতনীর জন্য আজকে সকালে চলে গেছে ,
ঃব্যাপার না। জেনি গাড়িতে লাকড়ি আছে?
ঃ হ্যা আছে,
ঃ তোরা গিয়ে গাড়িতে বস।
গাড়িতে আসার পর-
ঃ আচ্ছা লাকড়ি দিয়ে কি হবে ?
ঃ ওখানে গিয়ে খাবো, কি শুনি?
ঃ লাকড়ি খাবো?
ঃ আরে নাহ, লাকড়ি পুড়িয়ে চিকেন আর ফিস বারবিকিউ করা হবে।
ঃ আমি এসে গেছে- এবার যাওয়া যাক।
ঃ আজকে প্রচুর ঠান্ডা ।
ঃ হুম, একটু পর গরম হয়ে যাবা।
ঃ প্রফেসরের টাইম মেশিন কত টুকু হয়েছে?
ঃ এইতো বললাম না সময়ে আটকে গেছি।
ঃএটা দিয়ে কি শারিরিক ভাবে টাইম ট্রাভেল করা যাবে?
ঃ না শুধু অতীতে ম্যাসেজ পাঠানো যাবে।
ঃ ভবিষ্যতে কেনো পাঠানো যাবে না?
ঃ কেনোনা ভবিষ্যত তো এখনো সৃষ্টিই হয়নি। আমরা যা করবো সেটাই তো ভবিষ্যত তাই না।
ঃ আচ্ছা বুঝলাম, কিন্তু একটা ব্যাপার আমার মাথায় পেচ খায় সব সময়।
ঃ কি ব্যাপার?
ঃ আমরা যে তারা -নক্ষত্র গুলো দেখি সেগুলো ২-৩ শত বছর পুরনো । তাই না?
ঃহ্যা, কারন আলো আসতে এতো বছর লাগিয়ে দেয়।
ঃ তাহলে সেই নক্ষত্র গুলোর তুলনায় আমরা এখন তাদের অতীত। আর সেই হিসাব করলে ২-৩শত বছরের ভবিষ্যত আগেই ক্রিয়েট হয়ে গেছে।
ঃ তার মানে তুমি কি এটা বলতে চাও , ২-৩ শত বছর পর বা এর মধ্যে কি হবে সেটা আগেই নির্ধারণ হয়ে গেছে।
ঃ এক্সেক্টলি। এবং সেটা ঘটেও গেছে। তবে আমাদের গ্রহের জন্য না। অন্যান্য দূরে যে গ্রহ গুলো আছে সেগুলোর জন্য। এবং সে গ্রহ গুলো থেকে আমাদের গ্রহতে আলো আসতে যত সময় লাগে তারা আমাদের চেয়ে তত বছর এগিয়ে আছে।
ঃ আমার মাথা ঘুরাচ্ছে , তোমরা এখন আপাতত এই টপিক বন্ধ করো। ( জেনি)
ঃআচ্ছা ঠিক আছে , এই টপিক বাদ।
খেয়াল করলাম প্রফেসর আমার দিকে তাকিয়ে গাড়ির স্টেয়ারিং ছেড়ে দিয়েই কথা বলছিল। আর গাড়ী প্রায় ১০০ কিমি বেগে এগিয়ে চলছিল।
ঃ এক্সিডেন্ট করবে তো। গাড়ির স্টেয়ারিং ধরেন।
ঃ গাড়ী অটোমেটিক মুডে চলছে।
ঃ মানে?
ঃ মানে নিজে নিজেই। সেন্সরের মাধ্যমে। জিপিএস এ ডেস্টিনেশন দেওয়া আছে। ওখানে গিয়ে থেমে পরবে গাড়ী।
ঃ আর সামনে যদি কোনো গাড়ী বা অন্য কিছু এসে পরে?
ঃ সেন্সরের কারনে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে নাহলে থেমে যাবে।
ঃ এরকম মডেলের কোনো গাড়ী বের হইছে বলে আমি শুনিনাই।
ঃ কেনোনা এরকম কিছু এখনো লঞ্চ হয়নি।
ঃএটা আপনি বানিয়েছেন?
ঃ নাহ, আমি বানাইনি।
ঃ তাহলে?
ঃ কেও একজন বানিয়ে আমাকে দিয়ে গেছে।
তখন হঠাত গাড়ী রাস্তার একপাশে এসে থেমে যায়।
ঃ কি হলো?
ঃ আমরা এসে পরছি। এই GPS tracker নিজেদের শরীরে লাগিয়ে নেও। যেনো একে ওপরকে সহজেই খুজতে পারি হারিয়ে গেলে।
ঃ ওকে,
ঃ আগে আমরা গিয়ে মাছ ধরবো, ( জেনি)
ঃ কোথায়?
ঃ নদী আছে সামনে একটা।
ঃ আমি গাড়ী থেকে বড়শি আর বরফ কাটার ব্লেড নিয়ে আসতেছি। তোরা গিয়ে দেখ নদীর পানি বরফ হয়েছে কিনা।
ঃ ডান দিক টায় যাবো?
ঃ হুম যেতে পারিস। ওদিকে ভালো মাছ পাওয়া যায়।
ঃ ওকে
আমি আর জেনি হাতে স্কেটবোড নিয়ে নদীর দিকে হাটা শুরু করি। কাছে গিয়ে দেখলাম নদীর উপরে একটা মোটা বরফের আস্তরন পরেছে।
ঃ এখানে কি মাছ পাওয়া যাবে?
ঃ সেলমন ফিস। প্রচুর আছে এখানে।
প্রফেসর এসে বরফে গোল গোল করে গর্ত করে সেখানে বড়শী দিয়ে রাখে। আর তারপর আমরা স্কেটিং শুরু করি। প্রফেসর আমাদের আগে আগে স্কেট করছিল। আর আমরা তার পিছে পিছে, জেনি আমার হাত ধরে ছিল , কেননা , শুরুতেই দুই একটা আছাড় খাওয়া শেষ আমার। জেনি খুব ভালো স্কেটিং পারে।
আর সেই সুবাদে আমার আস্তে আস্তে জেনিকে ভালো লাগতে শুরু করে।
কিছুক্ষন পর আমরা বড়শীর কাছে ফিরে যায় আর দেখি দুই বড়শী তে মোটামোটি বড় আকারেরই দুইটা মাছ ধরেছে।
আমি নদীর শক্ত বরফের উপর দিয়ে হাটতে হাটতে মাঝখানের দিকে যাচ্ছিলাম। জেনি আর প্রফেসর আগুন ধরানোতে ব্যাস্ত ছিল।
অনেকটা মাঝখানের দিকে চলে যাই তখন জেনি আমাকে পিছন থেকে জোরে ডাক দেয়-
ঃ অনুরাগ আর সামনে যেও না। বরফ ভেঙ্গে পানিতে পরে যাবা।
ও বলতে না বলতেই বরফ ভেঙ্গে আমার এক পা পানিতে , অন্য পাশের বরফ ফাটা শুরু করে এমন সময় দুইটা হাস্কি কুকুর আমার স্যুটের পিছনে কামড় দিয়ে টেনে আমাকে। শক্ত বরফে নিয়ে যায়। ততক্ষণে জেনি আর প্রফেসর আমার এদিকে চলে আসে।
ঃ ঠিক আছোতো তুমি?
ঃ হ্যা, কিন্তু এগুলা কোথা থেকে এলো?
ঃ আমার স্নো -আইস না এগুলা।
ঃ আগে এখান থেকে সাইডে চলো।
ঃ হুম।
ঃ এগুলোতো পোষা মনে হচ্ছে।
আমি ওদের গলায় হাত দিয়ে আদর করতেই চুপ -চাপ হয়ে আদর নিচ্ছিল। কিন্তু যখনি প্রফেসর ওগুলোকে ধরতে যায়, কুকুর গুলো সরে আমার দিকে চলে আসে।
ঃ একটা জিনিস বুঝলাম না, তোমাদের সাথে থাকলেই আমার সাথে এমন অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। তারউপর মনে হয় যে তোমাদেরকে নিয়ে হাজার হাজার বছর পুরানো কোনো রহস্য ঘিরে আছে।
ঃহাহাহাহাহা, রিলেক্স, এগুলো জংলি কুকুর, তোমাকে মনে হয় ভালো লাগছে। দেখো কিভাবে তোমার শরীরের ঘ্রান নিচ্ছে। ।
ঃ হুম জঙ্গলি কুকুর হলে চলে যাবে।
সেদিনকার মতো আমরা খাওয়া দাওয়া করে সেখান থেকে চলে আসি। কুকুর গুলোকে সেখানেই রেখে আসি।
গাড়ী যখন প্রায় আমার বাসার কাছে চলে আসে তখন-
ঃ অনুরাগ, I have an offer for you.
ঃ কি অফার?
ঃ আমার সাথে কাজ করবা?
ঃ ওই যন্ত্র পাতি নিয়ে? এসিস্টেন্ট হিসেবে ?
ঃ আরে না না, পার্টনার হিসেবে। মানে ৫০-৫০।
ঃ হাহাহাহা, কই আপনি একজন বিজ্ঞানী আর আমি সাধারন একজন ইলেক্ট্রিকেল ইঞ্জিনিয়ারিঙ্গের ছাত্র। আমিতো আপনার এসিস্টেন্ট হওয়ারও যোগ্য না। জেনির জন্য আমার চাকরিটা গেছে আর সেই জন্য মনে আমাকে অফার টা দিচ্ছেন।
ঃ আরে নাহ, তুমি ভুল বুঝতেছো ।
ঃ Don't worry. ওরকম চাকরি কত আসবে যাবে। কিন্তু এরকম বন্ধুতো আর কখনো পাবো না। আর তাছাড়া জেনির সাপেক্ষে ওই চাকরিটা অতি নগন্য।
ঃহুম। কিন্ত.....
ঃ আর কিন্তু না। আমি চলে আসছি। আমাকে ঐ মোড়ে নামায় দিলেই হবে।
ঃ হুম
ঃ আজকের জন্য ধন্যবাদ, শুভরাত্রি জেনি
ঃ কালকে দেখা হবে, bye। ( জেনি)
চলবে-

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when White Wolf posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to White Wolf:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share