Jewel Rana,UK

  • Home
  • Jewel Rana,UK

Jewel Rana,UK Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Jewel Rana,UK, Video Creator, .

Let’sMake Bangladesh Great🇧🇩
I’m Jewel Rana🇧🇩 Living in England 🏴󠁧󠁢󠁥󠁮󠁧󠁿
Talking about:🔎💬⤵️

•Education
•Motivation
•Travel vlog
•Skills Development

Follow me on a journey of Progress and learning,
Leads to a promising future

আপনার বয়স যদি হয় ১৮ থেকে ২৫ বছর হয়। তাহলে এই বিষয়গুলো আপনার জন্য।১.যাদের পাসপোর্ট নেই তারা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করে ফে...
01/11/2024

আপনার বয়স যদি হয় ১৮ থেকে ২৫ বছর হয়। তাহলে এই বিষয়গুলো আপনার জন্য।

১.যাদের পাসপোর্ট নেই তারা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করে ফেলুন।

২.পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট করে রাখুন। ২-৩ ধরনের CV তৈরি করে রাখুন।

৩.একটা ইনকাম সোর্স তৈরি করুন বা এমন একটা দক্ষতা অর্জন করুন যা দিয়ে ইনকাম করা যায়।ফ্যামিলি সাপোর্ট ভালো থাকলে দেশ-বিদেশ ট্রাভেল এর চেস্টা করুন।

৪. ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে উঠুন। গাড়ী ড্রাইভিং শিখে রাখুন। কম্পিউটারের বেসিক প্রোগ্রামগুলো শিখে রাখুন।

৫.রান্না বা নিজের খাবার নিজে তৈরী করা শিখুন।বিনোদনের পিছনে সময় নষ্ট না করে পেশাদার যেকোনো কাজ শিখে রাখুন।

৬.ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসুন। ভাগ্যে থাকলে বিদেশ যাবেন, তাই বলে কাজ বন্ধ না করে কাজ শিখুন অথবা চাকুরি করুন, ডিপ্রেশন আসবে না, বিদেশ গিয়ে কাজ করতে হতাশ হবেন না।

একটা সময় যখন নিজের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভূগবেন। তখন এসব কিছুর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন।

সর্বশেষে সবার জন্য দোয়া রইল ও আমার জন্য দোয়া করবেন।

01/11/2024

স্পেনের বার্সেলোনা শহর॥Barcelona City॥😯


01/11/2024

Jumma Mubarak 🏴󠁧󠁢󠁥󠁮󠁧󠁿

29/10/2024

Good Morning London Kings Cross 🏴󠁧󠁢󠁥󠁮󠁧󠁿

29/10/2024

রিযিক আপনাকে সারপ্রাইজ দিবে সবসময়। আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না কিভাবে, কোথা থেকে আপনার রিযিক চলে এসেছে। কারণ আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী।

28/10/2024

welcometo my page vlog🌸

28/10/2024

Welcome to my page London vlog

27/10/2024

শুধুমাত্র এই কারণে জন্য হলেও আপনি উচ্চশিক্ষার জন্য চীনকে বেছে নিতে পারেন। ॥ why choose China for higher study ॥

আমাদের পূর্বপুরুষরা কৃষক ছিলেন, শ্রমিক ছিলেন। থাকতেন মাটির কাঁচা ঘরে। অর্থাভাবে-অন্নাভাবে কখনও-সখনও উপোসও করতেন। পরতেন ম...
23/10/2024

আমাদের পূর্বপুরুষরা কৃষক ছিলেন, শ্রমিক ছিলেন। থাকতেন মাটির কাঁচা ঘরে। অর্থাভাবে-অন্নাভাবে কখনও-সখনও উপোসও করতেন। পরতেন মলিন পোশাকপরিচ্ছদ। আমাদের বাবারা চাইলেন আমরাও যেন পূর্বসূরিদের মতো শ্রমিক না হই, আমাদেরকেও যেন মাটির ঘরে থাকতে না হয়, আমরা যেন পাকা ঘরে থাকি, যেন পেট পুরে তিনবেলা খেতে পাই। বাবারা আমাদেরকে নিয়ে বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে করে গ্রাম ছাড়লেন, মফস্বলে এনে পড়াশোনা করালেন, টিনশেড ঘরে রাখলেন। আমরা পড়াশোনা করলাম, মফস্বল ছাড়লাম, উচ্চশিক্ষার্থে মহানগরে এলাম, স্নাতক হলাম, স্নাতকোত্তর হলাম; পূর্বপুরুষদের বিশাল বাড়ি ছেড়ে অ্যাপার্টমেন্ট নামক কংক্রিটের বস্তিতে উঠলাম, কায়িক পরিশ্রম থেকে মুক্ত হলাম, বুদ্ধিবৃত্তিক কাজকর্ম (আসলে কেরানিগিরি) করে জীবিকা নির্বাহ করা শুরু করলাম, পোশাকে-আশাকে ফিরিঙ্গিদের মতো ফিটফাট হলাম, শরীরে-মনে আভিজাত্য এল। আমাদের পা আক্ষরিক অর্থেই আর মাটিতে পড়ল না, গা আর বৃষ্টিতে ভিজল না। আমরা মাটির ঊর্ধ্বে উঠে গেলাম, বৃষ্টির ঊর্ধ্বে চলে গেলাম। সর্বোচ্চ স্মৃতিশক্তি প্রয়োগ করেও আমরা মনে করতে পারি না— আমরা সর্বশেষ কবে মাটিতে হেঁটেছিলাম, বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম বা ঘাসের ছোঁয়া পেয়েছিলাম। এমনকি, নিজের কেনা অ্যাপার্টমেন্টের ছাদের চাবিও আমাদের কাছে থাকছে না, আমাদের মিলছে না নিজের মালিকানাধীন ভবনেরও ছাদে যাওয়ার অবাধ সুযোগ। মানুষ চাঁদে যাচ্ছে, আমরা পারছি না ছাদেও যেতে।

আমাদের দাদারা ছিলেন সুন্দর খাঁ, সুরুজ আলি কিংবা ময়েজুদ্দিন। আমরা হলাম ফাহাদ ফারাজ অনন্য, ইফতেখার ইশমাম ইশতি কিংবা আহনাফ মুনতাসির উচ্ছ্বাস। আমাদের দাদিরা ছিলেন সূর্য ভানু, করিমন বেওয়া কিংবা জরিতন নেছা। আমরা হয়েছি আনিকা আজিজ অর্নি, মালিহা তাবাসসুম অবন্তী কিংবা সেগুফতা শেহরিন আনিলা। আমাদের কারো-কারো নামের আগে-পিছে-মাঝে যুক্ত হতে লাগল এসএম, কেএম, এবিএম, আ ক ম, আ ন ম, আ আ ম স। আমাদের নাম ক্রমশ শক্ত হতে লাগল, কাটখোট্টা হতে লাগল, দুর্বোধ্য হতে লাগল। অথচ আমাদের পূর্বপুরুষরা সোজাসাপটা নাম ধারণ করেই একটা জীবন কাটিয়ে দিয়ে গেছেন, তাতে তাদের বেঁচে থাকতে সবিশেষ অসুবিধে হয়নি। আমরা আলুভর্তার নাম দিয়েছি ম্যাশড পটেটো উইথ গ্রিন চিলি, পুদিনা পাতা দেওয়া লেবুর শরবতের নাম দিয়েছি মিন্ট লেমনেড, ভাতের মাড়ের নাম দিয়েছি চিকেন থাই সুপ। নতুন নামের খাদ্যের দাম শতগুণ হলেও পুরোনো সেই স্বাদ আমরা আর পাচ্ছি না। আমরা গায়েহলুদকে বানিয়েছি মাহেন্দি নাইট, কনে নাওয়ানোর নাম দিয়েছি ব্রাইডাল শাওয়ার, বউভাতকে বিদায় করে আমদানি করেছি রিসিপশন। আমাদের নামাজ, রোজা, রমজান, সেহরি, জিলাপি হয়ে গেছে যথাক্রমে সালাত, সাওম, রামাদান, সুহুর, জালেবি; কিন্তু হারিয়ে গেছে আমাদের ভাবগাম্ভীর্য, হারিয়েছে আধ্যাত্মিকতা, হারিয়েছে সহজিয়া জীবনবোধ; বিনিময়ে সাপের মতো এঁকেবেঁকে জেঁকে বসেছে উত্তুঙ্গ উগ্রবাদ আর পৌনঃপুনিক প্রদর্শনবাদ।

কায়িক পরিশ্রম না-করতে না-করতে আমাদের দেহে পুরু চর্বি জমল, সার্বক্ষণিক রোগবালাই বাসা বাঁধল, ডায়াবেটিস হানা দিলো। চিকিৎসকরা আমাদের খাবারের পরিমাণ বেঁধে দিলেন— দিনে ছয় কাপ ভাত, চারটা রুটি, এক কাপ শবজি, একটা শশা, দেড়টা গাজর, আড়াইটা আঙুর। চিকিৎসকরা আমাদেরকে প্রতিদিন দৌড়াতে বলে দিলেন। আমরা স্টপওয়াচ চালু করে হাফপ্যান্ট পরে ভুঁড়ি নাচিয়ে রাজপথে দৌড়াতে লাগলাম, জিমনেশিয়ামে গিয়ে বাঁদরের মতো এ-ডাল ও-ডাল ঝুলতে লাগলাম, বুকডনের নামে নাকে খত দিতে লাগলাম; আমরা সেসবের গালভরা নাম দিলাম— 'ওয়ার্ক আউট', 'ক্যালরি বার্ন'। শহরে থাকতে-থাকতে ক্লান্ত হয়ে আমরা দু-তিন মাস পরপর ছুটতে লাগলাম রিসোর্টে। একটু গাছপালা আছে, ডোবার মতো একটা হাজামজা পুকুর বা পচা-গলা সুইমিংপুল আছে, ছাদ বা বেড়া খড়কুটোর, সন্ধ্যার পর গোটা দশেক জোনাকির দেখা পাওয়া যায়, বৃষ্টি হলে চার-পাঁচটা ব্যাঙ ডাকে— বেছে-বেছে আমরা এমন রিসোর্টে যাওয়া শুরু করলাম, ভাড়া গুনতে লাগলাম রাতপ্রতি দশ হাজার। রিসোর্টে লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক দিয়ে ভাত খেয়ে বিল দেওয়া শুরু করলাম বেলাপ্রতি মাথাপিছু একহাজার; বারবিকিউ নামক মাংসপোড়ার পেছনে ঢালতে লাগলাম আরো হাজার-হাজার। বারবিকিউর সাথে আমরা খাই তেল-ছাড়া পরোটা, অথচ আমাদের পূর্বপুরুষদের স্বপ্ন ছিল বড়লোক হয়ে একদিন তারা তরকারিতে ইচ্ছেমতো তেল খাবেন। আমরা— উত্তরসূরিরা তরকারিতে তেল খাওয়ার মতো আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করেছি, কিন্তু আমাদের পাকস্থলী তেল সইছে না। খাওয়ার জন্য আমরা বড়লোক হলাম; বড়লোক হওয়ার পর আমাদের কারো-কারো ক্ষুধাই লাগছে না, ক্ষুধা লাগানোর জন্য চিকিৎসকদের পেছনে আমরা ঢালছি কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা।

যে-পেট পুরে খাওয়ার জন্য আমরা শহরে এসেছিলাম বা বড়লোক হয়েছিলাম; আমাদের সেই পেটে এখন আর খাবারই সয় না, প্রকৃতি আমাদের জিহ্বা কেড়ে নিয়েছে, মুখ থেকে খাবার কেড়ে নিয়েছে, এখন খাবার আমাদের খেতে হয় কাপ মেপে। আমাদের বাবা-মায়েদের পাতে মাংস জুটত না, মাসে একবার বাজার থেকে একজোড়া কবুতর বা এক পোয়া গোমাংস কিনে এনে এক কেজি আলু মিশিয়ে রেঁধে পাঁচ সদস্যের পুরো পরিবার একবেলা মেতে উঠতাম মাংস-উৎসবে। এখন আমরা মাংস খেতে পারি না হার্ট অ্যাটাকের আতঙ্কে। মাংস এখন রেফ্রিজারেটরে পচে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা খেতে পারছি না। মাংস আমাদেরকে ছেড়ে গেছে। আমরা শারীরিক পরিশ্রম থেকে বাঁচার জন্য পড়াশোনা করেছিলাম; কিন্তু প্রকৃতি আমাদেরকে বাধ্য করছে কুকুরের মতো জিভ বের করে নোংরা রাস্তায় দৌড়াতে, জিমনেশিয়ামে ঝুলতে, বাটখারা তুলতে, বস্তা কিলাতে। কুলিরা চাউলের আড়তে যা যা করেন; জিমনেশিয়ামে আমরা তা-ই করছি, করে গর্বের সঙ্গে সেসবের ভিডিও দিয়ে রিল বানাচ্ছি, বানিয়ে দেখাচ্ছি— আমরা কে কত স্বাস্থ্যসচেতন, কে কত অভিজাত, কে কত আলাদা। যার জিমের মাসিক চাঁদা যত বেশি, সে তত বেশি অভিজাত। শ্রমিকদের মতো দৌড়াব না বলে আমরা সুট-বুট পরে দালানে ঢুকেছিলাম, আমরা এখন ট্রেডমিল কিনে সেই একই দালানের ভেতরই দৌড়াচ্ছি। আমরা দৌড় ছাড়তে চেয়েছিলাম, দৌড় আমাদেরকে ছাড়েনি, দৌড় আমাদেরকে দৌড়ানি দিচ্ছে।

কুঁড়েঘরে থাকব না বিধায় আমরা গ্রাম ছেড়েছিলাম, এখন আমরা কিছুদিন পরপরই পর্যটনকেন্দ্রের গলা-কাটা কৃত্রিম কুঁড়েঘরে যাই স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে। কাচঘেরা বায়ুরোধী ভবন বানিয়ে শ্বাসকষ্ট বাঁধিয়ে বুকভরা বাতাস নিতে লাখ টাকা খরচ করে আমরা সমুদ্রসৈকতে ছুটছি। গায়ে মাটি লাগাব না বলে আমরা গ্রাম ছেড়েছিলাম, একটু মাটির স্পর্শের আশায় এখন আমরা পার্কে-পার্কে ছুটছি কিংবা ছাদবাগান করছি। 'চাষাভুষা' শব্দটাকে আমরা গালি বানিয়েছিলাম, এখন ছাদবাগানে এক ডজন টমেটো ফলাতে পারলে গর্বিত 'নগরচাষি' হিশেবে বুক ফুলিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা প্রচার করছি। মাছধরা মানুষদের জাইল্লা বলে তাচ্ছিল্য করা আমরাই লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে বড়শি পেতে বসে থাকছি সরকারি দিঘিতে সেই মাছই ধরার জন্য। শবজি খাব না বলে আমরা বড়লোক হয়েছিলাম; এখন বাজারে শবজির দামই বেশি, রেস্টুরেন্টে শবজিজাত খাবারের দামই বেশি, শবজি এখন বড়লোকদেরই খাবার। পূর্বপুরুষরা যে শবজি খেতেনই না, যে শবজি বেড়ে উঠত বাড়ির পেছনের ঝোপঝাড়ে অনাদরে-অবহেলায়; শহরে আমরা এখন সেই অনাহুত শবজিই কিনে খাচ্ছি কেজিপ্রতি শত-শত টাকা খরচ করে।

আমাদের পূর্বপুরুষরা ছেঁড়া কাপড় পরতেন অর্থাভাবে, এখন আমরা চড়া দামে ছেঁড়া-খোঁড়া জিন্স কিনে পরি। তারা পান্তাভাত খেতেন তিনবেলা রান্নার মতো জ্বালানি ছিল না বলে; আমরা পহেলা বৈশাখে ঐ পান্তাভাতই খাই গরম ভাতে জোরপূর্বক পানি দিয়ে, হাজার-হাজার টাকার শ্রাদ্ধ করে; খেয়ে ডায়রিয়া বাধাই, বাধিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। মহানগরের সেসব রেস্টুরেন্টের খাবারের দামই এখন সবচেয়ে বেশি; যেসব রেস্টুরেন্টের সাজগোজ গ্রামের মতো, যেসব রেস্টুরেন্টে মেঝেতে বিছানো জাজিমে বসে খেতে হয়, যেসব রেস্টুরেন্টের আবহসংগীত হিশেবে বাজে গাঁও-গেরামের গান। আমরা বাসায় রাঁধি না সময় বাঁচানোর জন্য, অনলাইনে অর্ডার করে রেস্টুরেন্টের খাবার বাসায় আনিয়ে খেয়ে দিনাতিপাত করি, সেই বেঁচে যাওয়া সময়ে আমরা পয়সা উপার্জন করি; এর পর আমরা লিভার সিরোরিস বাঁধাই, শেষে সেই পয়সা খরচ করি লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায়। আমরা পরিবারের সবাই মিলে চাকরি নিয়েছিলাম স্বাবলম্বী হব বলে; স্বাবলম্বী আমরা হয়েছি, স্বাবলম্বী হতে-হতে কেউ বা ধনকুবেরও হয়েছি, কিন্তু আমাদের সন্তানরা বড় হচ্ছে গৃহকর্মীদের হাতে। আমরা এতটাই স্বাবলম্বী হয়েছি যে, আমাদের সন্তানরা জাগ্রত অবস্থায় দেখছে আমরা ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছি, ঘুম থেকে জেগে দেখছে আমরা অফিসে চলে গেছি। স্বাবলম্বনের দাপটে আমাদের মা-বাবারা বার্ধক্য কাটাচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রমে, সন্তানরা শৈশব কাটাচ্ছে চাইল্ড কেয়ারে, আমরা যৌবন কাটাচ্ছি ডেস্কটপে। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বিয়ে করব না ভেবে আমরা কেউ-কেউ ত্রিশেও বিয়ে করছি না, পঁয়ত্রিশেও বিয়ে করছি না; করছি চল্লিশের পরে অথবা করছিই না। অথচ পূর্বপুরুষরা চল্লিশে দিব্বি নাতি-নাতনির মুখ দেখতেন। কিসের জন্য যেন অপেক্ষা করতে-করতে আমরা যৌবনেই বুড়িয়ে যাচ্ছি, বুড়ো বয়সে যুবকের ভূমিকায় অভিনয় করছি, শুগার ড্যাডি বা শুগার মম হচ্ছি; কোনোকিছুই শুরু বা শেষ করছি না যথাসময়ে।

সূর্যের আলো গায়ে লাগিয়ে ক্ষেতখামারে কাজ করব না বলে আমরা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রাজপ্রাসাদে ঢুকেছিলাম। ঢুকে দেখলাম— শরীরে সূর্যের আলোর অভাবে আমাদের ঘুম আসে না। রাতের ঘুম ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ওষুধ খাওয়া শুরু করলাম, তাতেও কাজ না হওয়ায় সূর্যের আলো গায়ে লাগানোর জন্য আমরা 'মর্নিং ওয়াক' শুরু করলাম। শীতাতপনিয়ন্ত্রক যন্ত্র ওদিকে আমাদের শরীরে ডেকে আনল নিউমোনিয়া-অ্যাজমা-হুপিংকাশি। প্রযুক্তি আমাদের চোখ খেল, কান খেল, নাক খেল; আমাদের চোখে ধরিয়ে দিল চশমা, কানে বসিয়ে দিল হিয়ারিং এইড, নাকে নেবুলাইজার। পূর্বপুরুষদের যা যা আমরা করতে চাইনি, আমরা— উত্তরপুরুষরা এর সবকিছু করতে বাধ্য হচ্ছি। বড়লোক হতে-হতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। টাকা খেয়ে আমরা কুলাতে পারছি না। টাকা রাখারও জায়গা হচ্ছে না আমাদের। টাকা ব্যাংকে রাখলে ক'দিন পরে ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে শেয়ারবাজার লুট হয়ে যায়। এখন আমাদের গরিব হতে ইচ্ছে করে। কিন্তু পারি না। গরিবরা বড়লোক হতে পারে, কিন্তু বড়লোকরা একবার বড়লোক হয়ে যাওয়ার পর আর গরিব হতে পারে না।

আমরা পাঠ্যবহির্ভূত বই পড়তাম। খবরের কাগজ পড়তাম। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্র দেখতাম। শুক্রবার বিকেল তিনটা কুড়ি মিনিটে দেখতাম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি। এর মধ্যে খবরের কাগজ বাদে বাকি সবগুলোকেই আমাদের পূর্বসূরিরা অন্যায় বলে মনে করতেন। পাঠ্যবইয়ের ভাঁজে কমিকের বই পেলে প্রহার করতেন, প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার খবর পেলে প্রহার করতেন, প্রহার করতেন এমনকি প্রতিবেশীদের বাড়িতে শুক্রবারের ছায়াছবিটিও দেখতে গেলে। আমরা ভাবতাম বড় হয়ে বড়লোক হলে আমাদেরকে কেউ ঠেকাতে পারবে না— আমরা ইচ্ছেমতো বই পড়ব, চলচ্চিত্র দেখব, গান শুনব। আমরা বড় হলাম, বড়লোকও হলাম। ততদিনে দেশ থেকে প্রেক্ষাগৃহ উধাও হয়ে গেছে, চলচ্চিত্রজগৎই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে, চলে গেছে আমাদের পাঠাভ্যাস। আমাদের ফোনে এখন হাজার-হাজার বইয়ের পিডিএফ, ওটিটি-ইউটিউবে অগণিত চলচ্চিত্র। বই পড়ার জন্য এখন গ্রন্থাগারে যেতে হয় না, চলচ্চিত্র দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে যেতে হয় না, গান শোনার জন্য কিনতে বা ভাড়া করতে হয় না ক্যাসেট-সিডি-ডিভিডি। কিন্তু আমাদের এখন কিছুই দেখা হয় না, কিছুই শোনা হয় না, কিছুই পড়া হয় না। আমাদের সবকিছু জমা হয়ে আছে, আমাদের সবকিছু জমে গেছে— উত্তর মেরুর বরফের মতো। সবকিছু হাতের মুঠোয় চলে আসায় আমরা এখন আর কিছুই দেখি না, শুনি না, পড়ি না। আমাদের ভেতরকার পাঠকের মৃত্যু হয়েছে, শ্রোতার মৃত্যু হয়েছে, দর্শকের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের পূর্বসূরিরা ভ্রমণকাহিনী পড়তেন, পড়ে কল্পনায় ওসব জায়গা দেখে নিতেন, পরে পয়সা জমলে সেসব জায়গায় ভ্রমণে যেতেন। এখন আমরা ভিডিওতেই সব দেখে ফেলছি, আমাদের আর কল্পনা করতে হচ্ছে না, ফলে আমাদের কল্পনাশক্তিও নেই হয়ে গেছে। আমরা এখন আর কল্পনা করি না। কোথাও বেড়াতে গেলে সেই জায়গাটা দেখি না, শুধু ভিডিও করি, জায়গাটাকে ব্যাকগ্রাউন্ড বানিয়ে সহস্র ছবি তুলি; পরবর্তীকালে সেসব ছবি আমরা আর একবারও খুলে দেখি না। ফলে মরে গেছে আমাদের দর্শনেন্দ্রিয়ও। আমাদের সর্বাঙ্গে মরিচা ধরেছে, সব ইন্দ্রিয়ে জং ধরেছে। যখন সবকিছু দুর্লভ ছিল, তখন ঠিকই আমরা মূল্যবান বস্তুর মূল্য দিতাম।

সময় বাঁচানোর জন্য আমরা ফোন কিনেছিলাম। পরে, দেখলাম— ফোনই আমাদের জীবনের সিংহভাগ সময় খেয়ে ফেলেছে। যখন দু-টাকার খামে করে চিঠি লিখে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হতো এক মাস, তখনও আমরা নিঃসঙ্গ ছিলাম না। কিন্তু এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের অযুত-নিযুত অনুসারী, মেসেঞ্জারে কড়া নাড়লে এখন উত্তর পাওয়া যায় সেকেন্ডের মধ্যে, কথা বলার জন্য এখন সবুজ বাতি জ্বালিয়ে রাখে শত-সহস্র অনুরাগী; কিন্তু মন খুলে কথা বলার মতো এখন আমরা কাউকেই খুঁজে পাই না, মানুষ খুঁজে পেলেও কথা খুঁজে পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাত্যহিক গল্প এত বেশি বলে ফেলি এবং দৈনন্দিন জীবনের ছবি-ভিডিও এত বেশি দেখিয়ে ফেলি যে, এখন আমরা সবার সবকিছু জানি, মুখোমুখি সাক্ষাতে বলার মতো কোনো গল্পই এখন আর আমাদের অবশিষ্ট থাকে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলতে-বলতে আমরা আমাদের সব গল্প শেষ করে ফেলেছি, দেখিয়ে শেষ করে ফেলেছি সমস্ত ছবি। দু-টাকার হলুদ খামের যুগেও আমরা নিঃসঙ্গ ছিলাম না, কিন্তু দু-সেকেন্ডের সবুজ মেসেঞ্জারের যুগে আমরা নিঃসঙ্গ। এখন আমরা নিঃস্ব, নিঃসঙ্গ এবং গল্পশূন্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত গল্পগুলো আমরা এমন ব্যক্তিদেরকে বলে ফেলেছি, ব্যক্তিগত ছবিগুলো এমন ব্যক্তিদেরকে দেখিয়ে ফেলেছি; যারা আমাদের ব্যক্তিজীবনের অংশই না, যাদের সাথে কখনোই দেখা বা কথা হবে না। ভূগর্ভস্থ পানি বেশি তুলে ফেললে নলকূপ আর পানি দেয় না, জীবনের গল্প বেশি বলে ফেললে জীবনও নলকূপের মতো আচরণ করে। আমরা এখন একেকজন পরিত্যক্ত নলকূপ।

আমাদের পূর্বপুরুষদের বাড়িতে ছিল বিশাল পুকুর, সারি-সারি ফলগাছ, শবজির ক্ষেত, গোয়ালঘর। বড়লোক হয়ে আমরা পুকুরের পরিবর্তে দেড় হাত চওড়া বাথটাব বানিয়েছি, ছাদে গাছ নাম নামক কিছু প্রহসন লাগিয়েছি, খাঁচায় পালছি কুকুর-বেড়াল-খরগোশ। গাঁয়ের বিঘা-বিঘা জমি বেচে শহরে এসে আমরা ফ্ল্যাট নামক সাড়ে সাতশো বর্গফুটের খোপ কিনছি। খোপের ড্রয়িংরুমে সাজিয়ে রাখছি বনসাই। একেকটা বনসাইয়ের দাম মূল গাছের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। আমরা স্বপ্ন দেখি— শহরে কামানো টাকা দিয়ে শেষ বয়সে গ্রামে গিয়ে বাগানবাড়ি করব। অথচ আমাদের পূর্বপুরুষরা বাগানবাড়িতেই জন্মেছেন, বাগানবাড়িতেই দিনাতিপাত করেছেন, বাগানবাড়িতেই মরেছেন। অর্থাৎ শেষ বয়সে যে জীবন যাপন করব বলে শহরে বসে আমরা খেটে মরছি বা স্বপ্ন দেখছি, প্রাচীন আমলের অশিক্ষিত লোকজন বিনা পড়াশোনায়ই সেই জীবন আজীবন যাপন করে গিয়েছেন। শিক্ষিত বড়লোক হয়ে শহরে বসে আমরা যা যা করছি বা করার চেষ্টা করছি, আমাদের অশিক্ষিত গরিব পূর্বপুরুষরা ওগুলোই করতেন। কিন্তু রাত আটটার মধ্যে তারা ঘুমিয়ে পড়তে পারতেন, তাদের চোখে ঘুম ছিল। আর এদিকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে সকাল আটটায়ও আমাদের ঘুম আসে না। পূর্বপুরুষদের যা যা আমরা এড়াতে চেয়েছিলাম, এর সবকিছু আমরা উচ্চমূল্যে করতে বাধ্য হচ্ছি। বরং তাদের বাড়ি ছিল আমাদের ফ্ল্যাটের চেয়ে বহুগুণ বড়, তাদের খাবার ছিল বিশুদ্ধ, তাদের শরীর ছিল সুঠাম। অথচ আমরা ভেবে বসে আছি শিক্ষিত ও বড়লোক হয়ে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের চেয়ে ভালো আছি।

তা হলে? আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের চেয়ে কতটুকু এগোলাম? তাদের চেয়ে আমরা কতটা ভালো আছি? প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে শেষ পর্যন্ত আমরা কি বিজয়ী হয়েছি? নাকি গো-হারা হেরে বসে আছি? আমরা কি আমাদের পরাজয় টের পাচ্ছি?

✍️আখতারুজ্জামান আজাদ

23/10/2024

West Ham Stadium 🏟️ London 🏴󠁧󠁢󠁥󠁮󠁧󠁿

23/10/2024

টেমস নদী (Thames Rive)🏴󠁧󠁢󠁥󠁮󠁧󠁿

21/10/2024

এই নদীর পারেই অবস্থিত লন্ডন শহর 🏴󠁧󠁢󠁥󠁮󠁧󠁿😍

I've just reached 4K followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each one of you. 🙏🤗...
19/10/2024

I've just reached 4K followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each one of you. 🙏🤗🎉

🎉 Just completed level 3 and am so excited to continue growing as a creator on Facebook!
18/10/2024

🎉 Just completed level 3 and am so excited to continue growing as a creator on Facebook!

18/10/2024

London Canary Wharf 🇬🇧

🇧🇩🇬🇧🇨🇦🇺🇸🇮🇪HSC তে যদি পাশ করো, লেখাপড়াটা এখানেই শেষ করো। এখন বিদেশ চলে যাও। যদি এটা করতে পারো ১০/১২ বছর পর তুমি সুপ্রতিষ্...
18/10/2024

🇧🇩🇬🇧🇨🇦🇺🇸🇮🇪HSC তে যদি পাশ করো, লেখাপড়াটা এখানেই শেষ করো। এখন বিদেশ চলে যাও। যদি এটা করতে পারো ১০/১২ বছর পর তুমি সুপ্রতিষ্ঠিত। গাড়ী বাড়ি সব ই থাকবে। আর তোমার পড়ুয়া বন্ধু দেখবা তখন লেখাপড়া শেষ করে ১৮ হাজার টাকা বেতনের চাকুরী করছে। দু চারজন হয়তো বিসিএস ক্যাডার হয়েছে আর বাকিসব বেকার ঘুরছে।

প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া, বিশেষ করে আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য একটা অভিশাপের মতো। সময় মতো কিছু শেষ করতে পারবা না। শেষ করলেও চাকুরী পাবা না। চাকুরী পেলেও পেটে তিন বেলা ভাত দেয়া ছাড়া এটা দিয়ে আর কিছু করতে পারবা না। ১৮-৩০ একটা মানুষের জীবনে সবচেয়ে স্বনার্লী সময়। আর সেই মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়টাই আমাদের দেশে ছেলেমেয়েরা একদম অযথা শুয়ে বসে আড্ডা মেরে শেষ করে। এটা তাদের দোষ না। আমাদের সিস্টেমের দোষ। সিস্টেম এই দেশে কখনো বদলাবে না। সমাজও ভালো হবে না। সমাজ কখনো ভালোর দিকে যায় না। বরং উল্টো দিন দিন খারাপের দিকে যায়। শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়ে লাখ লাখ ছেলেমেয়ের জীবন এই দেশে নীরবে নষ্ট হচ্ছে। কেউ তা টেরও পাচ্ছে না।

বিদেশে গিয়ে ১০/১২ বছর কামলা দাও আর যাই ই দাও। নিজের শ্রম দিয়ে উপার্জন করে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হবার পর জীবনে তাকিয়ে দেখবে লেখাপড়া আসলে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও জীবনে তেমন কিছু আসে যায় না। যারা বিজ্ঞানী হবে, ডাক্তার হবে যাদের কোন স্পেশাল কোয়ালিটি থাকে তারা লেখাপড়া করুক। তোমার বিজ্ঞানী হবার দরকার নেই ডাক্তার হবার দরকার নেই, তোমার স্পেশাল কোন গুনও নেই। তোমার শিক্ষার একমাত্র লক্ষ্য একটা চাকুরী। নিন্ম মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা প্রতিটি জীবনের লেখাপড়ার উদ্দেশ্য ই হচ্ছে, একটা চাকুরী।

জীবনে টাকা পয়সা হবার পর নিজের বাড়ীতে একটা সুবিশাল লাইব্রেরী দিও। সেখানে রাজ্যের জ্ঞানের বই রাখো। শিক্ষা যদি জ্ঞান অর্জনের জন্যই হয় তাহলে একাডেমিক লেখাপড়া না থাকলেও চলে। সেই লাইব্রেরীতে বসে বসে জ্ঞান অর্জন করিও। তবে অবশ্যই সেটা টাকা অর্জনের পর। জ্ঞান অর্জনের চেয়ে টাকা অর্জন জীবনে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এটা তখন ই বুঝবা যখন বয়স ৩০ পার হবে। কিন্তু তখন আর কিছু করার থাকে না। এর চেয়ে আগেভাগেই বুঝো। অল্প হলেও বুঝো।

Copied
#বিদেশেউচ্চশিক্ষা

18/10/2024

Evening riding London city🇬🇧

I've received 2,000 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
14/10/2024

I've received 2,000 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

13/10/2024

London City 🇬🇧

13/10/2024

Kings cross London 🇬🇧🏴󠁧󠁢󠁥󠁮󠁧󠁿

13/10/2024

ইংল্যান্ডে জব করে টিউশন ফি দেওয়া সম্ভব🤔!🇬🇧
॥Possible to manage Tution fees in The UK?॥

Celebrating my 2nd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉
10/10/2024

Celebrating my 2nd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

I've just reached 1.5K followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each one of you. ...
08/10/2024

I've just reached 1.5K followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each one of you. 🙏🤗🎉

08/10/2024

লন্ডনে ব্যস্ত জীবনে সময় পেলেই সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পরি

04/10/2024

অপরচুনিটি কার্ড ভিসা কিভাবে সহজেই জার্মানি আসবেন!😲🇩🇪
॥How to come to Germany by Opportunity card visa ॥

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jewel Rana,UK posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jewel Rana,UK:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share