Aayat IslamAyan

Aayat IslamAyan ι мιss ʏouʀ voιcᴇ🗣️
ι мιss ʏouʀ ғᴀcᴇ👰
ι мιss ʏouʀ sмιʟᴇ 😊
ι мιss ʏouʀ ᴇʏᴇs👁️
ι мιss ʏouʀ cᴀʟʟ📱

Hmm🙂
06/01/2024

Hmm🙂

- :গন্তব্য যেহেতু মাটির নিচে 🙂তাহলে আমরা এত স্বপ্ন কেনো দেখি  🙃💔
06/11/2023

- :গন্তব্য যেহেতু মাটির নিচে 🙂
তাহলে আমরা এত স্বপ্ন কেনো দেখি 🙃💔

06/11/2023

পোশাক হয়ে গেলো ছোট / লজ্জা চলে গেলো!
_________________________________
👉রুটি হয়ে গেলো পিৎজা / শক্তি কমে গেলো!
______________________________________
👉ফুল হয়ে গেলো প্লাস্টিকের / সুগন্ধ চলে গেলো!
______________________________________
👉মুখে লাগালো মেকআপ / সৌন্দর্য হারিয়ে গেলো!
______________________________________
👉শিক্ষক হয়ে গেলো ব্যবসায়ী / সুশিক্ষা পালিয়ে গেলো!
_______________________________________
👉খাবার আসছে হোটেল থেকে/ সুস্বাস্থ্য চলে গেলো!
______________________________________
👉সিরিয়াল দেখছি টিভিতে / সংস্কার চলে গেলো!
________________________________________
👉মানুষ হলো টাকার গোলাম / মনুষ্যত্ব চলে গেলো!
_______________________________________
👉ব্যবসায়ী হয়ে গেলো মজুদদার / সমৃদ্ধি চলে গেলো!
________________________________________
👉ক্রিকেটার হয়ে গেলো রাজনীতিবিদ / খেলা দেখার আগ্রহ কমে গেলো!
________________________________________
👉বিচারক হয়ে গেলো ঘুষখোর / সুশাসন হারিয়ে গেলো!
________________________________________
👉তালা হয়ে গেলো পাসওয়ার্ড / সুরক্ষা কমে গেলো!
__________________________________________
👉পরিবার হয়ে গেলো সোশ্যাল মিডিয়া / আত্মীয় পর
হয়ে গেলো!
____________________________________________
👉সময় কাটলো মোবাইলের গেমস ইনটারনেটে /
চোখের জ্যোতি কমে গেলো!
__________________________________________
👉মুন্সী হয়ে গেলো ভন্ড / ঈমান আকিদা বিশ্বাস কমে গেলো!

🕌┏━━━﷽━━━━┓🕌🕋         ALLAH            🕋🕌┗━━━  ﷽━━━━┛🕌• Best photo of the day 🌿                                         ...
06/11/2023

🕌┏━━━﷽━━━━┓🕌
🕋 ALLAH 🕋
🕌┗━━━ ﷽━━━━┛🕌
• Best photo of the day 🌿






💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗💗💗...........পর্ব...০৬….......💗💗শাহেদের মা বাবাও অনেক খ...
05/11/2023

💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗

💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗

💗💗...........পর্ব...০৬….......💗💗

শাহেদের মা বাবাও অনেক খুশি। তারপর বাবা ছেলে মসজিদে আর শ্বাশুড়ি বউমা বাসায় নামাজ আদায় করে নিলো। শাহেদ ও তার বাবা নামাজ পড়ে বাসায় আসলেন। শাহেদের কাছে আজকের সকাল টা কেন জানি অন্য রকম মনে হচ্ছে। অন্যদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে কেমন একটা অস্থি বোধ হতো। আজ সেটা হচ্ছে বরং আজ অনেক শান্তি বোধ করছে। শাহেদ অনেক ভেবেও শান্তি পাওয়ার কারণ টা খুজে পেলো না। আসলে শাহেদ কারণ টা খুজে পাবেই বা কেমন করে।সে কি কখনো নামাজ পড়েছে যে, জানবে নামাজে কতটা শান্তি। যারা নামাজ পড়ে তারাই কেবল জানে নামাজ পড়লে কতটা শান্তি পাওয়া যায়। মাইশা প্রতিদিনের মতো আজও নামাজ পড়ে কোরআন তেলাওয়াত করে সবার জন্য নাস্তা বানালো। শাহেদ ও তার বাবা নাস্তা করে অফিসে চলে গেল। শাহেদের ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও তাকে পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। প্রতি ওয়াক্তে ওর বাবা ওকে সঙ্গে করে নামাজ পড়তে নিয়ে যায়। দেখতে দেখতে কেটে গেল তিনটি সপ্তাহ।শাহেদের প্রথম প্রথম নামাজ পড়তে বিরক্ত লাগলেও এখন অনেক ভাল লাগছে। মাইশার প্রতিও এখন তার মায়া সৃষ্টি হইছে। এখন তার কাছে মাইশাকে আর বিরক্ত মনে হয় না বরং ভালোই লাগে। বর্তমানে মাইশার সাথে শাহেদের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।এটা দেখে শাহেদের বাবা ত ভীষণ খুশি আর মাইশা তো সেই রকমের খুশি হইছে। এতদিনে আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দিছে।

শাহেদ অফিসের কাজ আর নামাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায়।তিন সপ্তাহ ধরে ওর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে যেতে পারেনি। এদিকে শাহেদ কে দেখতে না পেয়ে ইরি একদম পাগল হয়ে গেছে। শাহেদ কেন আসেনি সেটা জানার জন্য ইরি শাহেদ কে ফোন করলো।...

শাহেদ:- হ্যালো, কেমন আছো ইরি?

ইরি:- তুমি জানো না তোমাকে ছাড়া আমি কেমন থাকতে পারি। বউ কে পেয়ে আমায় ভুলে গেছো বুঝি?

শাহেদ:- আরে কি বলো ভুলে যাবো কেন? তোমাকে কি ভুলতে পারি বলো?

ইরি:- মিথ্যা বলে আমাকে বোকা বানানোর একদম চেষ্টা করবে না। আমি বাচ্চা না যে কিছুই বুঝি না।

শাহেদ:- আরে কি মুশকিল মিথ্যা বলব কেন? আমি সত্যিই বলছি তোমাকে আমি ভুলিনি।

ইরি:- তাহলে তিনটা শুক্রবার পার হয়ে গেল তবুও আসলা না কেন?

শাহেদ:- সরি, আসলে বাবা কাল ইংল্যান্ড ফুপির ওখানে যাবে। তাই অনেক ব্যস্ত আছি।

ইরি:- এতই বিজি যে আমাকে একটা কল করারও তোমার সময় নাই। আমি বুঝে গেছি তুমি আমায় আর ভালোবাসো না। থাকো তুমি তোমার কাজ নিয়ে। (কান্না করতে করতে বললো)

শাহেদ:- প্লিজ একটু বুঝার চেষ্টা করো। আচ্ছা কল না করার জন্য কানে ধরে সরি বলছি। প্লিজ এবারের মত মাফ করে দাও।

ইরি:- …...!

শাহেদ:- কি হলো কিছু বলছো না কেন? আরে বাবা সরি বললাম তো প্লিজ আর রেগে থেকো না। প্লিজ!

ইরি:- মাফ করতে পারি তবে এক শর্তে। প্রমিস করো তুমি যতই বিজি থাকো না কেন তবুও প্রতিদিন আমাকে ফোন করবে।

শাহেদ:- ওকে ডিয়ার।

ইরি:- আই লাভ ইউ।

শাহেদ:- আই লাভ ইউ2।

ইরি:- বাই।

শাহেদ:- বাই।

পরের দিন মাইশা ও শাহেদ ওর মা বাবাকে বিদায় জানাতে এয়ারপোর্টে গেল।….

শাহেদের বাবা:- শাহেদ পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে ভুলবে না কিন্তু। সময় মত নামাজ আদায় করে নিবা।

শাহেদ:- ঠিক আছে বাবা।

শাহেদের বাবা:- আর মাইশার সঙ্গে ভুলেও বাজে ব্যবহার করবে না। ওর খেয়াল রাখবে, অফিস থেকে তাড়াতাড়ি চলে আসবে। বেশি রাত করে বাইরে থাকবে না। নিজের প্রতিও খেয়াল রেখো।

শাহেদ:- আচ্ছা বাবা।

তারপর মাইশাকে উদ্দেশ্য করে বললো….

শাহেদের বাবা:- সাবধানে থেকো মা, আর শাহেদ যদি উল্টা পাল্টা কিছু করে তাহলে আমাকে সঙ্গে সঙ্গেই জানাবে। নিজের প্রতি খেয়াল রেখো।

মাইশা:- ঠিক আছে বাবা আপনারা নিজেদের প্রতি খেয়াল রাখিয়েন। (মাইশার চোখে পানি ছলছল করছে)

শাহেদের মা:- এই দেখো পাগলি মেয়ে আবার কান্না করছে। কান্না করছিস কেন মাত্র তো একটা মাস।কান্নাকাটি করিস না তোর চোখের পানি নয় মুখের মিষ্টি হাসি দেখে বিদায় নিতে চাই।

কথাটা বলে মাইশার চোখের পানি মুছে দিলো। তারপর আবার বললো....

শাহেদের মা:- ভালো ভাবে থাকিস। আর হ্যা ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করবি। আর আমার বাদর ছেলে কিছু করলে নিজের মাঝে লুকিয়ে না রেখে অবশ্যই আমাদের জানাবি। আর এই যে আমার গুণধর পুত্র তোর বাবা যা যা বললো সেসব অক্ষরে অক্ষরে পালন করবি।

শাহেদ:- আচ্ছা।

শাহেদ মা:- ভালো থাকিস তোরা আল্লাহ হাফেজ।

তারপর শাহেদের বাবা মা বিদায় নিয়ে চলে গেলেন।
শাহেদ মাইশাও বাসায় আসার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠলো। মাইশা মন খারাপ করে গাড়িতে বসে আছে।কিছুদূর আসার পর শাহেদ কি মনে করে গাড়ি থামালো। তারপর মাইশা কে বললো….

শায়েদ:- তুমি বসো আমি একটু আসছি।

মাইশা মাথা নেড়ে জবাব দিলো…

মাইশা:- আচ্ছা।

১০ মিনিট পর শাহেদ গাড়িতে উঠলো। হাতে করে অনেকগুলো চকলেট আর তিনটা আইসক্রিম নিয়ে এসেছে। শাহেদ একদিন ওর মায়ের কাছে শুনেছিল মাইশা চকলেট আইসক্রিম খুব পছন্দ করে। আজ ওর বাবা মা চলে যাওয়ায় মাইশার মন খুব খারাপ তাই ওকে খুশি করার জন্য নিয়ে এসেছে। তারপর দুইটা আইসক্রিম আর সব চকলেট মাইশার দিকে বাড়িয়ে দিলো। মাইশা অবাক হয়ে শাহেদের দিকে তাকিয়ে আছে।…

শাহেদ:- কি হলো তাকিয়ে থেকে কি দেখছো নাও ধরো।

মাইশা:- আপনি একটা নিলেন আর আমাকে যে দুইটা দিলেন?

শাহেদ:- কারণ তুমি আইসক্রিম খুব পছন্দ করো তাই।আর আমার তেমন একটা ভালো লাগে না।

মাইশা:- আপনি কি করে জানলেন? আমি আইসক্রিম, চকলেট পছন্দ করি।

শাহেদ: তুমি তো পিচ্চি মেয়ে আর পিচ্চিরা তো চকলেট আইসক্রিম পছন্দ করে এটা সবাই জানে। তাই নতুন করে জানার কিছুই নাই।

কথাটা বলেই শাহেদ মুচকি হাসলো। মাইশা একটু অভিমানী করে বললো…

মাইশা:- আমি বাচ্চা মেয়ে? আমাকে দেখে আপনার বাচ্চা মনে হচ্ছে?

শাহেদ:- হুম।

মাইশা:- তাহলে আপনার চোখের পাওয়ার কমে গেছে।তাই বড় জিনিস কে ছোট মনে হচ্ছে, আপনি তাড়াতাড়ি চোখের ডাঃ দেখান।

মাইশার কথা শুনে শাহেদ আর হাসি থামিয়ে রাখতে পারলো না।..

শাহেদ:- হা হা হা হা..

মাইশা:- কি হলো হাসচ্ছেন কেন?

শাহেদ মুচকি হেসে বললো...

শাহেদ:- হাসবো নাতো কি তোমার মত কান্না করবো?

মাইশা:- কিইইইইই আমি কান্না করি?

শাহেদ:- তুমি তো পিচ্চি আর পিচ্চিরা তো সব সময় কান্না করে এতে অবাকের কি আছে।

মাইশা:- আবার আমাকে পিচ্চি বললেন? আমি পিচ্চি আর আপনি কি বুড়া?

শাহেদ:- হুম আমি বুড়া আর শুনো আজ থেকে তোমাকে পিচ্চি বলেই ডাকবো।

মাইশা:- আচ্ছা যান ডাকেন, আমিও তাহলে আপনাকে বুড়া বলে ডাকবো। হি হি হি।

এসব কথা বলতে বলতে তারা বাসায় চলে আসলো।....

চলবে_____________ Aayat IslamAyan󱢏
Aayat IslamAyan

Today's best photo❤❤❤❤❤❤❤                • 
03/11/2023

Today's best photo
❤❤❤❤❤❤❤























Today's the best Photo 🌿🥰Long live Al Aqsa 😍😍•🔴 Beautiful        #
02/11/2023

Today's the best Photo 🌿🥰
Long live Al Aqsa 😍😍

•🔴 Beautiful






#

💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗💗💗...........পর্ব...০৫….......💗💗মাইশা সব কাজ শেষ করে উন...
02/11/2023

💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗

💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗

💗💗...........পর্ব...০৫….......💗💗

মাইশা সব কাজ শেষ করে উনাদের রুমে গেল।

মাইশা:- আচ্ছা বাবা আপনি কি আগে থেকেই নামাজ পড়তেন?

শাহেদের বাবা:- না।

মাইশা:- মা আপনি কি আগে থেকে পড়তেন?

শাহেদের মা:- না।

মাইশা: শাহেদ যখন আপনার গর্ভে ছিল তখন কি আপনি নামাজ পড়েছেন? পর্দা করে চলেছেন? ইসলামের সব বিধান মেনে চলার চেষ্টা করেছেন? ভালো সন্তান লাভের জন্য দোয়া করেছেন?

শাহেদের মা:- না।

মাইশা:- তাহলে কি করে ভালো সন্তান পাওয়ার আশা করছেন? নামাজ, রোজা, পর্দা এবং শরীয়াহর অন্যান্য নিয়ম কানুন পালন না করে। যারা সিরিয়াল নিয়ে বিজি থাকবে ইসলামের প্রতিটা নিয়ম অমান্য করবে তাদের গর্ভের সন্তান কখনো আব্দুল কাদের জিলানী (রা) হবে না। তাদে­র সন্তান চিত্র জগতের নায়ক নায়িকাদের মতোই হবে আর এটাই স্বাভাবিক। কারন মায়ের প্রভাব টা সন্তানের উপর পড়ে আর এটা বর্তমান বিজ্ঞান দ্বারাও প্রামাণিত। বিজ্ঞান বলছে, যখন সন্তানের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয় তখন সে তার মায়ের কার্যকলাপ দ্বারা প্রভাবিত হয়। আর জন্মের পর তো ছোট শিশুরা চরম অনুকরণপ্রিয় হয়ে থাকে। তারা সবসময়ই পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং তাদের সামনে যা করা হয়,তারা সেটা অনুসরণ করে এবং বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে। হাদিসে বলা হয়েছে, সন্তানদের আল্লাহর আনুগত্যের আদেশ দেওয়া, তাঁর অবাধ্যতা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা, তাদেরকে আদব শেখানো এবং শর‘য়ী নিষিদ্ধ জিনিস থেকে তাদেরকে বিরত রাখা ওয়াজিব।কিন্তু আজ প্রায় বাবা মা এই ওয়াজিব পালন করে না। পালন করবেই বা কি করে তারাই ত ইসলামের বিধান মেনে চলে না। এখন পিতামাতাই শরয়ী হুকুমের বিপরীতে চললে সন্তানরা তো এ বিষয়গুলো থেকে বঞ্চিত হবেই। আর অটোমেটিকেলি সন্তানরাও ইসলাম থেকে দুরে সরে যাবে। তবে হ্যাঁ কিছু ব্যতিক্রম হয়, দেখা যায় বাবা মা খারাপ কিন্তু সন্তান ভালো, আবার বাবা মা ভালো সন্তান খারাপ ,সেটা ভিন্ন কথা। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবা মা যেমন হয় সন্তানও তেমন হয়। যদি পিতামাতা দ্বীনদার হয়।তাহলে সন্তানরা ছোটকাল থেকেই দ্বীনি পরিবেশে বড় হয়।যার পরিপ্রেক্ষিতে সন্তানরাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দ্বীনদারই হয়ে থাকে। আবু মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হলো, আতরওয়ালা ও কামারের ন্যায়। আতরওয়ালা হয়তো তোমাকে কিছু দান করবে অথবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু খরিদ করবে অথবা তার কাছ থেকে সুবাস লাভ করবে। আর কামার হয়তো তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে।" (বুখারী, মুসলিম) তারমানে সৎ পিতামাতা সবসময়ই সৎ সঙ্গীর মতো সন্তানের জন্য কল্যান ও উপকার বয়ে আনে। অন্যদিকে অসৎ পিতামাতা অসৎ সঙ্গীর মতো অপকার আর অকল্যানই বয়ে আনবে।

মাইশার কথাগুলো শাহেদের বাবা মা খুব মনোযোগ সহকারে শুনছে আর মনে মনে আফসোস করছে।….

মাইশা:- বাবা এবার বুঝলেন খারাপ সন্তানের জন্য দায়ী কে?

শাহেদের মা বাবার চোখে পানি টলমল করছে।তারা আফসোস করে বলছে আহ কত বড় ভুলটাই না করেছি। আজ নিজেদের ভুলের কারনে আমাদের ছেলেটা ভুল পথে চলছে।…

শাহেদের বাবা:- হ্যাঁ মা এবার সব কিছু পানির মত পরিষ্কার হয়ে গেছে।আমাদের ভুল আর শরয়ী দায়িত্ব অবহেলার কারণে আজ আমাদের ছেলে ভুলে পথে।

কথাগুলো বলেই শাহেদের বাবা কেদে দিলেন।…

মাইশা:- বাবা এখন এভাবে কান্না করে কোনো লাভ নাই। তাই নামাজে কান্না করে উনার হেদায়েতের জন্য দোয়া করেন। কারণ ছেলের জন্য পিতামাতার দোয়া সবচেয়ে বেশি কার্যকর। আল্লাহ তায়া’লা পরম করুনাময় অতি দয়ালু–আল্লাহ যেকোন সময়ই বান্দাকে মাপ করে দিতে পারেন। আল্লাহ তায়া’লা এমন কোন সময় নির্ধারণ করে দেননি-যার পরে আর মানুষের পরিবর্তন বা সঠিক পথ পাওয়া সম্ভন নয়। বরং যেকোন সময়ই তা সম্ভব। আর হ্যাঁ আরেক টা কাজ করবেন আপনার ছেলেকে কাছে ডেকে ইসলামের নিয়ম কানুন মানার কথাগুলো বুঝিয়ে বলবেন। ইসলাম মানলে কি লাভ আর না মানলে কি ক্ষতি এসব উনাকে বলবেন।

শাহেদের বাবা:- হুম ঠিক আছে তাই করবো। আচ্ছা মা অনেক রাত হয়ে গেছে যাও এবার ঘুমিয়ে পড়ো।

মাইশা:- আচ্ছা বাবা।

তারপর মাইশা ঘুমাতে চলে গেল। রাত ৩টার সময় ঘুম উঠে মাইশা তাহাজ্জুদ পড়ে একটু কোরআন তেলাওয়াত করে আবার ঘুমিয়ে পড়ল।ফজরের আজান শুনা মাত্রই আবার ঘুম থেকে উঠলো।প্রতিদিনের মত আজও শাহেদ কে ডাকতে গেলো।
ও আপনাদের একটা কথা বলাই হয়নি শাহেদ আর মাইশা আলাদা রুমে থাকে। কারণ টা হয়তো আপনাদের অজানা নয়। যাই হোক এবার চলেন দেখি আজ শাহেদ কে ডাকতে গিয়ে মাইশার ভাগ্যে কি অপেক্ষা করছে। মাইশা শাহেদের রুমে গিয়ে তো অবাক। ভাবছেন অবাক কেন? কারণ আজ শাহেদের বাবা শাহেদ কে নামাজের জন্য ডাকতে এসেছে।….

শাহেদের বাবা:- শাহেদ এই শাহেদ, আজান দিয়েছে বাবা, ওঠো তাড়াতাড়ি।

শাহেদ ওর বাবার ডাক শুনে ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠল।তারপর ভয়ে দুই গালে হাত দিয়ে ওর বাবাকে বললো....

শাহেদ:- বাবা মাইশা আমি কিছু বলিনি!

ছেলের কান্ড দেখে শাহেদের বাবা হেসে দিলেন। তারপর ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন…

শাহেদের বাবা:- ভয় পেয়ো না আজ তোমাকে মারতে বা বকা দিতে আসিনি। দুনিয়াতে আমরা যেমন একসঙ্গে আছি মৃত্যুর পরেও যেনো একসঙ্গে জান্নাতে থাকতে পারি সেজন্যই তোমাকে ডাকতে এসেছি।

শাহেদ:- মানে?

শাহেদের বাবা:- মানে আজ থেকে তোমাকে নিয়মিত পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। আর নামাজ পড়ার জন্যই তোমাকে ডাকতে এসেছি। এখন তাড়াতাড়ি চলো নাহলে জামাত শুরু হয়ে যাবে।

শাহেদ: ইয়ে মানে বাবা!

শাহেদের বাবা:- ইয়ে টিয়ে বুঝিনা তাড়াতাড়ি চলো।

শাহেদের নামাজ পড়তে যাওয়ার কোনোই ইচ্ছা নাই।তারপরও বাধ্য হয়ে ওর বাবার সঙ্গে নামাজ পড়তে যেতে হলো। শাহেদ কে নামাজে যেতে দেখে মাইশা তো ভীষণ খুশি। শাহেদের মা বাবাও অনেক খুশি। তারপর বাবা ছেলে মসজিদে আর শ্বাশুড়ি বউমা বাসায় নামাজ আদায় করে নিলো।........

চলবে_____________ Aayat IslamAyan
Aayat IslamAyan󱢏

💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗💗💗...........পর্ব...০৪….......💗💗শাহেদ অফিসের জন্য শুক্র...
30/10/2023

💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗

💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗

💗💗...........পর্ব...০৪….......💗💗

শাহেদ অফিসের জন্য শুক্রবার ছাড়া এখানে আসতে পারেনা। আজ শাহেদ কে এখানে দেখে সবাই অবাক।...

ইরি:- কি ব্যাপার মিঃ শাহেদ আজ এখানে, আমি স্বপ্ন দেখছি নাকি? এই আমাকে কেউ চিমটি কাটতো।

কথাটা বলেই ইরি রনির দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো
ইরির কথা শুনে রনি ইরিকে চিমটি কাটলো।....

ইরি:- উহহ,, না স্বপ্ন তো নয় তাহলে সত্যিই শাহেদ ডার্লিং আমার সামনে। তা মিঃ আজ অফিসের রাস্তা ভুলে চলে আসছেন নাকি?

ইরির কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে দিলো।
শাহেদ কোনো কথা না বলে চেয়ারে বসে পড়লো। এবার সবাই খেয়াল করলো শাহেদ কেমন মন মরা হয়ে আছে। শাহেদের মন খারাপ দেখে ইরি শাহেদের কাছে এসে বললো!….

ইরি:- কি হইছে বাবু মুখ অফ কেন??

শাহেদ:- ….. (নিশ্চুপ)

ইরি:- কি হলো বাবু কথা বলছো না কেন? তুমি জানো না তোমার মন খারাপ দেখলে আমার ভীষণ টেনশন হয়। প্লিজ কি হইছে বলো!!

শাহেদ:- আজ ওই গেয়ো মেয়ের জন্য বাবা আমার গায়ে হাত তুলেছে। আর অনেক গুলো কথা শুনিয়েছে।

ইরি:- কিইইইইই,,, আঙ্কেল তোমার গায়ে হাত তুলেছে?তাও আবার ওই ভিক্ষারী মেয়েটার জন্য। নিশ্চয় মেয়েটা তোমার নামে আঙ্কেল কে উল্টা পাল্টা কিছু বুঝিয়েছে। বেহায়া পাজি নির্লজ্জ মেয়ে কত্ত বড় সাহস তোমার নামে আঙ্কেলের কাছে বিচার দিছে। না এটা তো মেনে নেওয়া যাবেনা মেয়েটা কে উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে।

ইরির কথা শুনে বাকিরাও বললো, হ্যাঁ ইরি ঠিক বলেছে। মেয়েটা কে এই অপমানের জন্য চরম শিক্ষা দিতে হবে। মেয়েটা কে আজই ডিবোর্স দিয়ে দে।….

শাহেদ:- না তা সম্ভব নয়, কারন ওকে ডিবোর্স দিলে বাবা আমাকে বাসায় থেকে বের করে দিবে।
ইরি:- ওকে কৌশলে আঘাত করতে হবে যাতে ও নিজ থেকেই ডিবোর্স দিতে রাজি হয়ে যায়!
শাহেদ:- কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব?

ইরি:- মেয়েটা কে আরো বেশি বেশি কষ্ট দেওয়া শুরু করো। তবে হ্যা আঙ্কেল আন্টির সামনে না। যা করবে উনাদের আড়ালে।
শাহেদ:- ধুর তোমার কথামতো তো এই এক বছর ধরে ওকে কম কষ্ট দিইনি। তবুও তো মেয়েটা আমার পিছু ছাড়ছে না। মেয়েটা কি করে যে এত ধৈর্য্য ধরে থাকে, বুঝি না। আর মা বাবার আড়ালে কিভাবে কষ্ট দিবো?

ইরি:- উফ তুমি দেখি কিচ্ছু মনে রাখতে পারো না সব ভুলে যাও। তোমার যেই ফুপি দেশের বাইরে থাকে তার ত কিছুদিন আগে বেবি হইছে। আর তুমি তো বললা আঙ্কেল আন্টি উনাদের দেখতে যাবে। আঙ্কেল আন্টি তো এক মাসের জন্য যাচ্ছে আর এই একমাসে যা করার করতে হবে বুঝেছো?
শাহেদ:- এক বছর ধরে ওকে আমার পিছু ছাড়াতে পারিনি আর এক মাসে কিভাবে সেটা সম্ভব?

ইরি:- এবার কষ্ট দেওয়ার পদ্ধতি একটু চেইঞ্জ করতে হবে তাহলেই কাজ হবে। মাইশাকে এবার রাজি হতেই হবে। শুনো তোমাকে সময় মত সব বুঝিয়ে দিবো। এখন রেষ্টুরেন্টে চলো কিছু খাওয়া যাক। তুমি তো মনেহয় সকাল থেকে না খেয়েই আছো?

শাহেদ:- হুম চলো।
তারপর ওরা সবাই রেষ্টুরেন্টের দিকে পা বাড়াল।
ওরা রেষ্টুরেন্টে যাক আর আমি সেই ফাকে ইরির পরিচয় টা আপনাদের দিয়ে দিই। আপনাদের হয়তো বুঝতে বাকি নেই ইরি শাহেদের কে? হুম ইরি হচ্ছে শাহেদের গার্লফ্রেন্ড। ধনী পরিবারের বখে যাওয়া মেয়ে ইরি। ওর পরিবারে বাবা মা আর ছোট এক ভাই আছে।সারাদিন ছেলেদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া আর শাহেদের সঙ্গে প্রেম করাই ওর নিত্যদিনের কাজ। ও হ্যা আরেক টা কাজ আছে সেটা হচ্ছে শাহেদকে সব সময় বদ বুদ্ধি দেওয়া।
অন্য দিকে মাইশার শ্বাশুড়ি খাবার জন্য রুমের গেয়ে বললো....

শাহেদের মা:- মাইশা তোর যোহরের নামাজ পড়া শেষ হয়নি?

মাইশা:- হ্যা মা হয়েছে।
শাহেদের মা:- কি করছিস?

মাইশা:- একটা কিতাব পড়ছি মা।
শাহেদের মা:- পরে পড়িস আয় আগে খেয়ে নে।

মাইশা:- পরে খাবো মা।
শাহেদের মা:- যা বলছি তাই কর, এখনি নিচে নেমে আয়।

মাইশা আর কথা না বাড়িয়ে বাধ্য মেয়ের মত নিচে নেমে আসলো।…..

মাইশা:- মা এখনো তো আপনার ছেলে খেতে আসলো না। সকালে ত না খেয়ে বেরিয়ে গেছে।

শাহেদের মা:- ওর খাওয়া নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না। এতক্ষণে হোটেলে গিয়ে ঠিক খেয়ে নিয়েছে।তুই এখন চুপচাপ বসে খেয়ে নে তো।

তারপর মাইশা আর তার শ্বাশুড়ি খানা খেতে বসলো।
সন্ধ্যা ৭:৩০মিনিটে শাহেদের বাবা অফিস থেকে ফিরলো। তারপর হালকা একটু নাস্তা করে মাইশা কে বললো.…

শাহেদের বাবা:- আমি একটু বাইরে যাচ্ছি এশার নামাজ পড়ে ফিরবো। তারপর তোমার থেকে গল্প শুনবো ।তুমি নামাজ পড়ে রেডি থেকো আমাকে গল্প শুনানোর জন্য।

মাইশা: ঠিক আছে বাবা।

শাহেদের বাবা বাইরে বের হতে যাবে ঠিক তখন উনার শাহেদের কথা মনে পড়লো।….

শাহেদের বাবা:- এই যে মাইশা মা শাহেদ এখনো আসেনি?

মাইশা:- না বাবা।

শাহেদের বাবা:- ও আচ্ছা।

তারপর শাহেদের বাবা শাহেদকে ফোন করলো।…

শাহেদ:- হ্যালো!

শাহেদের বাবা:- কোথায় আছো? এতক্ষণ বাইরে কি করছো?

শাহেদ:- ইয়ে মানে,,,!!

শাহেদের বাবা:- মানে মানে না করে এখনি বাসায় চলে আসো।

শাহেদ:- ঠিক আছে।

তারপর শাহেদ ইরিকে ইরির বাসায় পৌছে দিয়ে নিজের বাসায় ফিরল।বাসায় এসে সোজা তার রুমে চলে গেল। মাইশা এশার নামাজ শেষ করে শাহেদের রুমে গেল।...

মাইশা:- রাতের খাবার খাবেন না?

শাহেদ শান্ত গলায় বললো….

শাহেদ:- না আমি বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি তোমরা খেয়ে নাও।

শাহেদের ব্যবহার দেখে মাইশা অবাক সেই সঙ্গে অনেক খুশি। বিয়ে হওয়ার পর আজ এই প্রথম মাইশার সাথে শাহেদ শান্ত মেজাজে কথা বললো। মাইশা মনে মনে বলল যাক এতদিনে উনি তাহলে ভালো ব্যবহার করা শিখল।বাবার হাতের থাপ্পড় খেয়ে সুবুদ্ধি হয়েছে এবার হিহি।তারপর মাইশা খুশি মনে নিচে চলে আসলো।….

শাহেদের বাবা:- শাহেদ কোথায়?

মাইশা:- বাবা আপনার ছেলে বাইরে থেকে খেয়ে এসেছে।

শাহেদের মা:- কিরে তোকে খুব খুশি খুশি মনে হচ্ছে ব্যাপার কি?

মাইশা:- মা আজ আপনার ছেলে খুব সুন্দর ভাবে আমার সাথে কথা বললো।

শাহেদের মা:- তাই নাকি? তাহলে আজকের থাপ্পড়ে কাজ হইছে।

কথাটা বলেই তিনজনে হেসে দিলো।তারপর আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করলো। তিনজন এক সঙ্গে খানা খেতে বসলো। খানা খাওয়া শেষ করে মাইশা বললো।

মাইশা:- বাবা আপনারা রুমে গিয়ে বসেন আমি খাবার গুলো ফ্রিজে রেখে যাচ্ছি।

শাহেদের বাবা:- আচ্ছা।

মাইশা সব কাজ শেষ করে উনাদের রুমে গেল।….....

চলবে______________ Aayat IslamAyan

Aayat IslamAyan󱢏

💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗💗💗...........পর্ব...০৩….......💗💗তারপর মাইশা আর কিছু না ...
28/10/2023

💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗

💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗

💗💗...........পর্ব...০৩….......💗💗

তারপর মাইশা আর কিছু না বলে ওর শ্বাশুড়ির কাছে গেল। এদিকে শাহেদের মা মাইশার গালে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে। আর ওদিকে শাহেদের বাবা চিৎকার করে শাহেদ কে ডাকতে ডাকতে ওর রুমে চলে গেল।….

শাহেদের বাবা:- শাহেদ এই শাহেদ। কি হলো কথা কানে যাচ্ছে না? উঠো তাড়াতাড়ি।

সকাল সকাল ওর বাবার চিৎকার শুনে শাহেদ ত একদম অবাক। মনে মনে ভাবছে কি ব্যাপার বাবা এভাবে ডাকছে কেন? মায়ের কিছু হলো নাকি? ভয় আর বিস্ময় নিয়ে শাহেদ ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠলো।বিছানা থেকে নেমেই ওর বাবাকে বললো...

শাহেদ: কি হয়েছে বা,,, - ঠাস

শাহেদের কথা শেষ করার আগেই ওর বাবা ওর ডান গালে সজোরে একটা চড় মারলো। শাহেদ তো পুরাই অবাক গালে হাত দিয়ে ভাবছে কি ব্যাপার বাবা আমাকে মারলো কেন? আজ পর্যন্ত যে বাবা আমাকে ধমক দিয়ে কথা বলেনি সেই বাবা আমার গায়ে হাত তুললো….

শাহেদ:- কি হলো বাবা তুমি আমাকে মারলে কেন? কি করেছি আমি?,,, - ঠাস, ঠাস, ঠাস

এবার বাম গালে পর পর তিনটা চড় মারলো। দুই গালে হাত দিয়ে অবাক হয়ে ওর বাবার দিকে তাকিয়ে আছে।

শাহেদ মনে মনে বলছে আরে কি মুশকিল কথা বললেই চড় মারছে কেন। বাবা কি পাগল হয়ে গেল নাকি? তবে পাগল হোক আর না হোক, এখন আমার আর কথা বলা চলবে না। কথা বললেই আমার খবর আছে।

শাহেদ চুপচাপ গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে।….

শাহেদের বাবা:- কি হলো বাবা গালে হাত দিয়ে আছো কেন? খুব লেগেছে বুঝি!

শাহেদ এবার আরো অবাক, মনে মনে বলছে আরে আমার বাবা তো দেখি সত্যিই পাগল হয়ে গেছে। আজ উনার কথার ধারণ টা কেমন জানি পাল্টে গেছে। শুধু কি কথার ধারণ? ব্যবহারটাও তো পাল্টে গেছে। কেমন রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।মনেহচ্ছে আবার গালের ওপর কয়েকটা থাপ্পড় দিবে। নাহ এক্ষুণি বাবাকে ডাঃ এর কাছে নিয়ে যেতে হবে।….

শাহেদের বাবা:- ডাঃ এর কাছে নিতে হবে না আমি সম্পূর্ণ ঠিক আছি।

শাহেদ:- ও আল্লাহ আমি তো কথাটা মনে মনে বলেছি উনি আমার কথা কিভাবে শুনলো?

শাহেদ চড়ের ভয় মুখ ফুটে কিছুই বলছে না। শুধু অবাক হয়ে ওর বাবার দিকে তাকিয়ে আছে। আর মনে মনে বিড়বিড় করে কথা বলছে।….

শাহেদের বাবা:- কি অবাক হচ্ছো আজকের এমন ব্যবহারে?

শাহেদ:- ….. (নিশ্চুপ)

বাবা:- আজকের এই থাপ্পড় টা তোমাকে আরো আগেই মারা উচিৎ ছিল। শুধু মাইশা মায়ের জন্য চুপ করে ছিলাম এতদিন।এআমাকে জিজ্ঞেস করছো কি হইছে। তুমি জানো না কি হইছে?

শাহেদ:- ….. (নিশ্চুপ)

শাহেদের বাবা:- আজ মাইশার গায়ে হাত তুলেছো কেন? এত এত পড়ালেখা শিখে মানুষ না হয়ে জানোয়ার তৈরি হইছো? আর কত নিচে নামবে? ছিঃ তোমার বাবা হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা হচ্ছে আমার।তোমার মত ছেলের বাবা হওয়ার চেয়ে নিঃসন্তান থাকা অনেক ভালো।

ওহ ওই গেয়ো মেয়েটার জন্য বাবা আমার গায়ে হাত তুললো। গেয়ো ভূতটার এত সাহস বাবার কাছে আমার নামে বিচার দিছে । দুই টাকার মেয়ে সে কিনা শাহেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নালিশ করে। আজ ওকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে নাহলে ওর সাহস আরো বেড়ে যাবে। (শাহেদ কথাগুলো মনে মনে বললো)….

শাহেদের বাবা:- কি হলো রোবটের মত চুপ করে দাড়িয়ে আছো কেন? উত্তর দাও! মাইশার গায়ে হাত তুলেছো কেন?

শাহেদ:- …..! (নিশ্চুপ)

শাহেদের বাবা:- ভালো করে শুনে রাখো এরপর আবার যদি মাইশার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করো। তাহলে আমি ভুলে যাবো তুমি আমার ছেলে। একদম বাসায় থেকে বের করে দিবো। আর হ্যাঁ এখন মাইশার কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে আসো যাও।

শাহেদ:- কিইইইই আমি ওই গেয়ো ভূতের কাছে মাফ চাইবো??

শাহেদের বাবা:- আরো কয়েকটা থাপ্পড় খাওয়ার ইচ্ছা আছে নাকি? যা বলছি তাই করো নাহলে কি ঘটবে আশা করি বুঝতেই পারছো।

শাহেদের বাবা যখন এসব কথা বলছিল ঠিক তখনি মাইশা আর তার শ্বাশুড়ি শাহেদের রুমে আসলো।….

মাইশা:- থাক না বাবা এবার এসব বাদ দিন। উনি আমার স্বামী উনি কেন আমার কাছে ক্ষমা চাইবে?আমি…!

শাহেদের মা:- মাইশা তুই একটা কথাও বলবি না একদম চুপ করে থাকবি।স্বামী হইছে তো কি হইছে হুম? স্বামীরা দোষ করলে সেটা বুঝি দোষ না? ও যেহেতু অন্যায় করেছে তাই ক্ষমা ওকে চাইতেই হবে।
কিরে চুপ করে দাড়িয়ে আসিস কেন? তোর বাবা ক্ষমা চাইতে বলছে শুনতে পারছিস না?

মাইশা:- মা আমি উনাকে ক্ষমা করে দিছি প্লিজ উনাকে এবার ছেড়ে দিন।

শাহেদ:- মেয়েটা দেখছি অভিনয় করতে ভালোই পারে।বাবা মায়ের কাছে আমার বিরুদ্ধে কথা বলে এখন আমার কাছে ভালো সাজার নাটক করছে। যত্তসব ন্যাকামো।

শাহেদ মাইশার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে কথাগুলো মনে মনে বলে! আর হনহন করে বাসায় থেকে বের হয়ে গেল।….

শাহেদের বাবা:- দেখলে কত বড় বেয়াদব। অন্যায় করেছে অবার ও নিজেই রাগ দেখিয়ে বের হয়ে গেল। আল্লাহ বেয়াদব টাকে কবে যে সঠিক বুঝ দান করবে কে জানে। আল্লাহ তুমি কেন আমায় এমন বেয়াদব সন্তান দান করেছো? এর থেকে সন্তান না দিলেই ভালো হতো।

মাইশা:- বাবা নিজের দোষ আল্লাহকে দিবেন না প্লিজ।আর হ্যা আল্লাহ অবশ্যই আপনার আমার চেয়ে ভালো জানেন যে, আপনাকে নিঃসন্তান রাখলে ভালো হবে নাকি সন্তান দিলে ভালো হবে। আল্লাহর কোনো সিদ্ধান্তই ভুল নয়। তিনি সর্বজ্ঞানী তিনি ক্রটিহীন। তাই আবেগের বশে এসব বলে নিজেকে গুনাগার বানাবেন না।

শাহেদের বাবা:- ভুল হয়ে গেছে আল্লাহ মাফ করুক।আর বলবো না। তবে আমার একটা প্রশ্ন তুমি বললে আমার দোষে শাহেদ খারাপ হইছে। আমি কি দোষ করেছি?

মাইশা:- বাবা এখন আমি রান্না করবো। আর আপনিও তো এখন অফিসে যাবেন। তাই রাতে আপনাকে এ ব্যাপারে বলবো ইনশাআল্লাহ।

শাহেদের বাবা:- আচ্ছা শাহেদেরঠিক আছে।

শাহেদ শুক্রবারে যেখানে ওর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয় ওখানে চলে গেল। শাহেদ অফিসের জন্য শুক্রবার ছাড়া এখানে আসতে পারে না। আজ শাহেদ কে এখানে দেখে সবাই অবাক।........

চলবে_____________ Aayat IslamAyan󱢏

‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎• Today's the...
26/10/2023

‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎• Today's the best Photo 🌿🥰•Follow Page Plz ]👈

•🔴 Beautiful 🇵🇸✌️




























💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗💗💗...........পর্ব...০২….......💗💗মাইশা চা বানিয়ে ওর শ্বা...
26/10/2023

💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗

💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗

💗💗...........পর্ব...০২….......💗💗

মাইশা চা বানিয়ে ওর শ্বাশুড়ির রুমে নিয়ে গেল।

মাইশা: আসসালামু আলাইকুম, ভিতরে আসবো মা?

শাহেদের মা:- ওয়ালাইকুম আসসালাম। মায়ের রুমে ঢুকতে আবার পারমিশন লাগে নাকি হুম? তোকে তো বলেই দিছি যখন ইচ্ছা তখনি আমার রুমে আসতে পারবি পারমিশনের দরকার নাই। তবুও কেন সব সময় আসার জন্য অনুমতি নিস?

মাইশা:- মা আমরা অনেকেই মনে করি মা বাবা, ভাই বোন, সন্তানদের রুমে গেলে অনুমতি নেওয়ার দরকার নাই। আমরা ভাবি ওরা তো পরিচিতই তাহলে অনুমতি চাওয়ার কি আছে? কিন্তু মা পরিচিত হলেই যে অনুমতি নেওয়া লাগবে না এই ধারনা টা সম্পূর্ণ ভুল।আমাদের নবীজি সাঃ বলেছেন, কারো ঘরে প্রবেশের পূর্বে ঘরবাসীর অনুমতি নেওয়া ওয়াজিব। এমন কি পিতা-মাতা, ভাই- বোন ও পুত্র-কন্যার রুম হলেও অনুমতি নেওয়া জরুরী। রুমে ঢুকার সুন্নত তরীকা হচ্ছে দরজার বাইরে থেকে সালাম দিবে কিংবা সালাম দিয়ে বলবে আসতে পারি? ভিতর থেকে সাড়া না পেলে আবার সালাম দিবে। এভাবে তিনবার করবে। তারপরও কোনো সাড়া না পেলে সেখান থেকে চলে আসবে। উল্লেখ্য যে এই সালাম কে বলা হয় “সালামে ইস্তিযান” বা অনুমতি গ্রহনের সালাম। এই সালামের উত্তর ওয়ালাইকুমুসসালাম নয়। বরং এর উত্তর হলো রুমে প্রবেশের অনুমতি দেয়া বা না দেয়া।

শাহেদের মা:- হুম অনেক কিছুই জানা হলো তোর থেকে। তবে আমার একটা প্রশ্ন করার আছে।

মাইশা মুচকি হাসি দিয়ে বলল কি প্রশ্ন? বলেন যদি উত্তর জানা থাকে তবে ইনশাল্লাহ উত্তর দিবো।…

শাহেদের মা:- রুমে প্রবেশ করতে বাবা মা, ভাই বোন, সন্তান সবার ব্যাপারে বললি। কিন্তু স্বামী স্ত্রীর ব্যাপারে তো কিছুই বললি না। এই ব্যাপারে ইসলামের কি একই নিয়ম, নাকি ভিন্নতা আছে?

মাইশা:- খুব সুন্দর প্রশ্ন করেছেন মা। হুম এখানে একটু ভিন্নতা আছে। নবীজি সাঃ বলেন, একমাত্র যে রুমে প্রবেশকারীর স্ত্রী বা স্বামী থাকে। সেখানে উক্ত প্রবেশকারীর অনুমতি গ্রহণ করা ওয়াজিব না। তবে সেখানেও কাশি দিয়ে, জুতার শব্দ করে বা কোনো ভাবে সাড়া দিয়ে প্রবেশ করা মুস্তাহাব ও উত্তম।আবার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কেউ রয়েছে বলে নিশ্চিত জানা থাকলে বা প্রবল ধারনা হলেও অনুমতি নেওয়া জরুরী।

শাহেদের মা:- অসংখ্য ধন্যবাদ আজ অনেক কিছুই শিখলাম।

মাইশা:- মা ধন্যবাদ বলে কোনো লাভ নাই। যেহেতু কোনো লাভ নাই তাই ধন্যবাদের জায়গায় বলবেন মেয়ে হলে জাযাকিল্লাহ আর ছেলে হলে জাযাকাল্লাহ।যার অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক। আর কোনো বিষয়ে জ্ঞান লাভ করলে বা শিখলে বলবেন আলহামদুলিল্লাহ্।

মাইশার কথাগুলো শুনে খুশিতে উনার চোখ দিয়ে দু ফোটা আনন্দ অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।…

মাইশা:- কি ব্যাপার মা আপনি কাদছেন কেন? আমার কোনো কথায় কষ্ট পেলেন নাকি? যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে মাফ করে দিয়েন।

শাহেদের মা:- আরে পাগলী মেয়ে, এই অশ্রু কষ্টের না, এই অশ্রু সুখের, এ অশ্রু আনন্দের।ছতোর মত মেয়েকে ছেলের বউ হিসেবে পেয়ে আমরা ধন্য।আল্লাহর কাছে অজস্র শুকরিয়া যে তোর মত মেয়েকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। দোয়া করি আল্লাহ তোর জ্ঞান আরো বাড়িয়ে দিক।

মাইশা আর তার শ্বাশুড়ি যখন কথা বলছিল ঠিক তখনি মাইশার শ্বশুর রুমে প্রবেশ করে বললো…

শাহেদের বাবা:- কি ব্যাপার মা মেয়ে মিলে কি করা হচ্ছে?

শাহেদের মা:- এই তুমি হুট করে রুমে ঢুকলে কেন হুম?মনে রাখবে কারো রুমে ঢুকার আগে অনুমতি নিয়ে তারপর ঢুকতে হয়।

শাহেদের বাবা:- নিজের রুমে ঢুকতে আবার কিসের অনুমতি লাগবে হুম?

শাহেদের বাবার কথা শুনে শাহেদের মা মাইশার কাছে যা যা শুনেছে সব বললো। সব শুনে শাহেদের বাবা বললো!….

মাইশা:- ইনশাআল্লাহ উনি একদিন না একদিন ঠিকই বুঝতে পারবেন। আমায় শুধু একটু ধৈর্য্য ধরে থাকতে হবে। দোয়া করবেন বাবা আমি যেনো এই ধৈর্য্যের পরীক্ষায় পাশ করতে পারি।

শাহেদের বাবা:- হুম মা দোয়া করি আল্লাহ তোমাকে আরো ধৈর্য্য দান করুক। আর আমার ছেলেটা কে হেদায়েত দান করুক।

মাইশা:- আমিন।

শাহেদের বাবা কি একটা বলতে যাচ্ছিল ঠিক তখনি উনার নজর পড়লো মাইশার গালের দিকে।…

শাহেদের বাবা:- কিরে মা তোমার গালে ওটা কিসের দাগ?

শ্বশুরের মুখ থেকে প্রশ্ন শুনে মাইশা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। এখন কি উত্তর দিবে সে কিছুই বুঝে ওঠতে পারছে না। আমতা আমতা করে বললো…

মাইশা: ইয়ে মা,,,,মা,,,নে ও কিছুনা বাবা। আমি যাই রান্না করতে হবে।

এই কথা বলেই মাইশা রুম থেকে বের হওয়ার জন্য পা বাড়াল। তখন ওর শ্বশুর বললো…

শাহেদের বাবা:- দাড়াও! তুমি কি আমাকে বোকা ভেবেছো? আমি কি বুঝিনি ওটা কিসের দাগ? শাহেদ কোথায়?

মাইশা:- থাক না বাবা বাদ দেন।শুধু শুধু অনেকে বকে ঝামেলা করার কি দরকার?

শাহেদের বাবা:- চুপ করো তুমি (ধমক দিয়ে বললেন) একটা কথাও বলবে না। এতদিন তোমাকে অপমান করেছে তার প্রতিবাদ করতে চেয়েছি। কিন্তু তুমি বাধা দিয়েছো তোমার জন্য ওকে কিছুই বলতে পারিনি। বাট আজ ও তোমার গায়ে হাত তুলেছে। আজ আর কারো কথা শুনবো না। বেয়াদব টা কোথায় আছে সেটা বলো!

সকালে মাইশার গালে শাহেদ এত জোরে চড় মেরেছিল যে ওর গালে পাচ আঙ্গুলের দাগ ওঠে গেছে। যা দেখে শাহেদের বাবা প্রচন্ড রকম রেগে গেছে। মাইশার শ্বাশুড়ি মাইশার কাছে গিয়ে মাইশার গাল দেখে উনারও ছেলের প্রতি অনেক রাগ হলো। মাইশা কে উদ্দেশ্য করে শাহেদার মা বললো….

শাহেদের মা:- তোর জন্য ওকে কিছু না বলে দিন দিন ছেলেটা জানোয়ার হয়ে যাচ্ছে। আজ ওকে একটু শাষন করা দরকার। আহারে গালে একদম পাঁচ আঙ্গুলের দাগ ওঠে গেছে। দেখি এদিকে আয় মলম লাগিয়ে দিই।

তারপর শাহেদের মা শাহেদের বাবাকে বললো…

শাহেদের মা:- শাহেদ মনে হয় এখনো ঘুমিয়ে আছে। যাও ওকে গিয়ে আচ্ছা মত বকা দিয়ে আসো।

শাহেদের বাবা শাহেদের রুমে চলে গেল।….

শাহেদের মা:- কিরে তোকে কি বললাম? এদিকে আয় মলম লাগিয়ে দিই।

মাইশা:- থাক মা লাগবে না এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।

শাহেদের মা:- বেশি বকবক না করে যা বলছি তা কর।

তারপর মাইশা আর কিছু না বলে ওর শ্বাশুড়ির কাছে গেল।…...

চলবে_______________ Aayat IslamAyan󱢏

💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗💗💗...........পর্ব...০১….......💗💗দুর মসজিদের ঐ মিনার থেক...
24/10/2023

💗💗…........আদর্শ স্ত্রী…….....💗💗

💗💗.……..শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প………💗💗

💗💗...........পর্ব...০১….......💗💗

দুর মসজিদের ঐ মিনার থেকে ভেসে আসছে আসসালতু খইরুম মিনান নাউম। ঘুম হতে নামাজ উত্তম। আজানের সুমিষ্ট আওয়াজ কর্ণকুহুরে প্রবেশ করা মাত্রই বিছানা ছাড়ে মাইশা। ঘুম থেকে উঠে সে শাহেদ কে নামাজ পড়ার জন্য ডাকতে গেল।...

মাইশা:- এই যে শুনছেন, ফজরের আজান দিয়েছে তাড়াতাড়ি উঠেন। কি হলো উঠেন আর কত ঘুমাবেন?উঠে…

কথাটা শেষ করার আগেই মাইশার গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় মেরে দিলো শাহেদ। তারপর বলতে লাগলো!…

শাহেদ:- অসহ্য প্রতিদিন সকালে ঘুমের ডিস্টার্ব না করলে কি হয় না হুম? এই মেয়ে এই তোমাকে নিষেধ করিনি সকালে ডিস্টার্ব না করতে। কানে কি কথা যায় না? একটু শান্তিতে যে ঘুমাবো সেটাও কোনো উপায় নাই। আর তোমার লজ্জা বলতে কি কিছু নাই নাকি হ্যাঁ? প্রতিদিন সকালে এত অপমান করি তবুও ডাকাডাকি করো কেন?

মাইশা:- নামাজ টা পড়ে আবার না হয় ঘুমাবেন।

শাহেদ:- চুপ একদম চুপ একটা থাপ্পড় খেয়েও কি শিক্ষা হয়নি নাকি? জানো সারাদিন অফিসের কত কাজ করতে হয়। দিন রাত অফিসের শত শত কাজ নিয়ে আমি বিজি থাকি। তোমার তো শুধু সারাদিন শুয়ে বসে থাকা তুমি কি বুঝবে। যাও নিজে গিয়ে নামাজ পড় অন্যের চিন্তা করতে হবে না বুঝলে? বিয়ের জন্য কি আর কোনো ছেলে পাইছিলে না? দুনিয়ার সব ছেলে রেখে আমাকেই বিয়ে করতে হলো তোমার?
আল্লাহ কি পাপ যে করেছিলাম যার জন্য এমন একটা গেয়ো ভূত আমার ভাগ্যে জুটেছে। এই মেয়ের জন্য আমার পুরা লাইফ বরবাদ হয়ে গেল। কি হলো দাড়িয়ে আছো কেন যেতে বলছি না? যাও রুম থেকে এক্ষুনি বের হয়ে যাও।

শাহেদের কথাগুলো শুনে কাদতে কাদতে বের হয়ে গেল মাইশা। আর শাহেদ আবার ঘুমিয়ে পড়লো। মাইশা নামাজ আদায় করে স্বামীর হেদায়েতের জন্য কেদে কেদে দোয়া করলো। তারপর কোরআন তেলাওয়াত করে সবার জন্য চা বানাতে চলে গেল। মাইশা চা বানাক সেই ফাকে আমি ওদের পরিচয় টা আপনাদের দিয়ে দিই কি বলেন? আচ্ছা তাহলে শুনেন….

আপনারা হয়তো এতক্ষণে বুঝে গেছেন মাইশা ও শাহেদ দুজনে স্বামী স্ত্রী। মাইশা কে বিয়ে করার কোনো রকম ইচ্ছাই ছিল না শাহেদের। শাহেদ মনে মনে ঠিক করে রেখেছিল ধনী পরিবারের কোনো এক স্মার্ট মেয়েকে সে বিয়ে করবে। কিন্তু ওর মা বাবার জন্য তা আর হলো না নিজের ইচ্ছাকে দাফন করে শেষে এই গেয়ো ভূত কে বিয়ে করতে হয় তাকে। শাহেদ মা বাবার একমাত্র সন্তান। ওর বাবা ঢাকা শহরের নামকরা ধনীদের মাঝে একজন। শাহেদ দেশের বাইরে গিয়ে লেখাপড়া শেষ করেছে। আর দশ জনের মত শাহেদও স্মার্ট হয়ে চলা ফেরা করে। ইসলামিক নিয়ম কানুন গুলো ওর কাছে বিরক্তিকর লাগে। অপর দিকে মাইশা গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে।যথেষ্ট শিক্ষিতা ইংলিশে অনার্স করেছে। দেখতেও মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর তাকে দেখলে যে কেউ তার প্রেমে পড়ে যাবে।আচরণও খুব নম্র ভদ্র। সব সময় সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলে। জেনারেল শিক্ষিতা হলেও সে ইসলামের প্রতিটা বিধানের প্রতি আন্তরিকভাবে আনুগত্যশীল। সে প্রত্যেকটা বিধানকে স্বাচ্ছন্দ চিত্তে মানার চেষ্টা করে। মাইশা একটু অবসর সময় পেলেই ইসলামিক কিতাব গুলো পড়ে। ইসলাম সম্পর্কে আরো বেশি জানার ও মানার চেষ্টা করে। সে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, কোরাআন পড়ে ও খাস পর্দা করে চলে।

মাইশার এই গুণ গুলো দেখে শাহেদের মা বাবার মাইশা কে খুব পছন্দ হয়ে যায়। এক পর্দায়ে শাহেদ কে না জানিয়ে গ্রামে নিয়ে এসে মাইশার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয়। শাহেদ ওর মা বাবাকে প্রচন্ড ভালবাসে তাই উনাদের কিছুই বলে না। কিন্তু সব শোধ তুলে মাইশার ওপর।যেখানে মাইশার বিন্দু পরিমাণ দোষ নাই। তারপরও শাহেদ ওর সঙ্গে সব সময় বাজে ব্যবহার করে। মাইশা তবুও রাগ করে না, সামান্য প্রতিবাদও করে না। প্রতিদিন ফজরে নামাজ পড়ার জন্য ডাকতে গিয়ে শাহেদের কাছে অপমান হয়। তার পরও মাইশা প্রতিদিন শাহেদ কে নামাজের জন্য ডাকে। কারণ সে জানে ধৈর্য্যশীল কে আল্লাহ কখনো নিরাশ করবেন না। তার বিশ্বাস একদিন না একদিন আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দিবেই। এই আশায় শাহেদের সব অপমান নিরবে সহ্য করে যাই মাইশা। মাইশা চা বানিয়ে ওর শ্বাশুড়ির রুমে নিয়ে গেল।……

চলবে__________________Aayat IslamAyan󱢏

Address

London Colney

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Aayat IslamAyan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category