08/08/2024
মন্তব্য-মতামত:
মোহাম্মদ মারুফ
ছাত্রদের মুখ্য ভূমিকা-নেতৃত্বে আমার স্বদেশের নতুন এ যাত্রা- সকল অশুভ শক্তির কবল থেকে বেঁচে থাকুক
স্বাগতম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এবং অগ্রিম শুভেচ্ছা
২০২৪ এর বিজয়। ৫৩ বছর পর দ্বিতীয় বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত। নতুন বাংলাদেশের দিকে যাত্রা। যে যাত্রা বিগত ৫৩ বছরে বারবার ব্যাহত হয়েছে।
মানুষের মুখের ভাষা, মানুষের ন্যুনতম অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার সকল রাস্তা বন্ধ হোক নতুন এ যাত্রায়।
দেশ হোক সকল বাংলাদেশীর। স্বাধীন হওয়ার পর থেকে তেপ্পান্ন বছর যাবত সুখে-দুঃখে বুক ফুলিয়ে এদেশের আলো-হাওয়ায় বেড়ে উঠা সকল ধর্ম-মত-চিন্তার মানুষের। তেপ্পান্ন বছর পর বিভাজনের খেলা আর নয়। প্রতিপক্ষ শুধুমাত্র অশুভ শক্তি-লুটপাটকারীরা। যে দেশদ্রোহী। সে দেশদ্রোহীই- এ নিয়ে রাজনীতি নয়।
এখন কাজের সময়। দেশ গড়ার সময়। দেশের স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভিত্তি-প্রতিষ্ঠানসমূহ- (যা তেপ্পান্ন বছর পূর্বেই করার কথা ছিল।) গড়ার সময়। যে কোন ছন্দপতনে যে ভিত্তি-প্রতিষ্ঠানের উপর ভর করে, অশুভশক্তি-অগণতান্ত্রিক শক্তিকে রুখে দেশকে এগিয়ে নেয়া যাবে। দেশ এগিয়ে যাবে। লুট করে পার পাওয়া যাবে না। দূর্ণীতি থাকবে না।
২০২৪ এর ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা ২৫-২৬ বছরের টগবগে যুবক। বাংলাদেশের অর্ধেক বয়সের তারা। তাদের কর্ম-চিন্তা সকল মানুষের উপযোগী এক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বের অনেক ছাত্র আন্দোলনের সফলতা, দেশের অরাজকতা দূর করে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসার ইতিহাসে বাংলাদেশের ছাত্ররা নতুন এক পালক সংযোজন করলো।
ছাত্রদের মুখ্য ভূমিকা-নেতৃত্বে আমার স্বদেশের নতুন এ যাত্রা- সকল অশুভ শক্তির কবল থেকে বেঁচে থাকুক।
#
শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে আছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংগঠক আদিলুর রহমান খান, সিনিয়র আইনজীবী হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এম সাখাওয়াত হোসেন, আদিবাসী নেতা সুপ্রদিপ চাকমা, নারী নেত্রী ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বিধান রঞ্জন রায়, আ.ফ.ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, শারমিন মুরশিদ, ফারুকী আযম।