Tisha's story

Tisha's story সব অজুহাত মিথ্যা, যে তোমাকে চাইবে সে তোমার জন্য যুদ্ধ করবে 😊🖤

23/06/2024

মেট্রোরেলের প্রথম অভিজ্ঞতা

09/01/2024
19/12/2023

17/12/2023

মায়ের হাতে রাজহাঁসের মাংস রেসিপি

15/12/2023

শীতের সকালের ছোয়া

Send a message to learn more

12/12/2023

একটি সুন্দর গল্প বলছি......❤️
চাইলে ৩০ সেকেন্ড ব্যয় করে পড়তে পারেন,
কথা দিলাম আপনার লাভ হবে ক্ষতি হবেনা !!!

❂ একদা এক ব্যক্তি লেখা পড়ছিল "!!!
হঠাৎ সে ব্যক্তি বলে উঠল..
("সুবহানআল্লাহ")

👉 তারপর সে লেখার নিচের দিকে পড়তে
শুরু করল সে বলে উঠল...
("আলহামদুলিল্লাহ")

👉 সে আবার পড়তে শুরু করল
এবং বলে উঠল...
{"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সঃ)}

👉 সে খুবই ভাল অনুভব করতে লাগল এবং বলল..
("আল্লাহ আকবার")

👉 তারপর সে তার নিজের
গোনাহ গুলো থেকে পরিত্রান পেতে বলল,

("আসতাগফিরুল্লাহ")

👉 এবং পরিশেষে সে তার প্রিয়নবী হযরত
মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর দুরুদ পড়ল..

("আল্লাহুম্মা সাল্লিআল্লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ
ওয়ালা আ-লি সায়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদ) !!!

👉 উপরোক্ত কাজগুলো করে সে
অনেক সওয়াব অর্জন করল !!!

আপনি কি জানেন সেই ব্যক্তিটি কে.?

↓↓ ↓↓ সেই ব্যক্তিটি
হলেন আপনি নিজেই -যদি আপনি পড়ে থাকেন
কমেন্টে আলহামদুলিল্লাহ লিখে শুকরিয়া আদায় করুন"!!!"
আলহামদুলিল্লাহ ❤❤❤

29/11/2023

''যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ইমান আছে সে জাহান্নামে যাবে না,,,আর যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে যাবে না ''
( মুসলিম: ৫১০৮)

29/11/2023

রাসূল (স.) বলেন.....
কারো উপর বিপদ আসার পর ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন’ পাঠ করলে, বিপদমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাওয়াব দান করা হয়।❤️

(ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৬০০)

ভয়ে বসে রইছে দুইজন
22/11/2023

ভয়ে বসে রইছে দুইজন

আব্বা-আম্মা পরস্পরকে 'আপনি' বলে সম্বোধন করতেন। শিশুকালেই একদিন আব্বাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম— "চাচারাতো চাচীদেরকে 'তুমি' বলে ...
21/11/2023

আব্বা-আম্মা পরস্পরকে 'আপনি' বলে সম্বোধন করতেন। শিশুকালেই একদিন আব্বাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম— "চাচারাতো চাচীদেরকে 'তুমি' বলে সম্বোধন করেন, আপনি কেন আম্মাকে 'আপনি' সম্বোধন করেন?"

আমার শিশুমনের কৌতূহল নিবারণের উদ্দেশ্যেই কিনা জানি না, আমাকে আব্বা বুঝিয়ে ছিলেন— "তোমার আম্মা আমার চাইতে অনেক বেশি জ্ঞানী। অনেক বেশি নামায পড়েন। কোরআন শরীফ পড়েন। এ কারণে তাঁকে আমি সম্মান করি। তাছাড়া পুরুষের তুলনায় মহিলাদের সম্মান আল্লাহই বেশি দিয়েছেন। একটু ইবাদত করলেই আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে অনেক বেশি সওয়াব দিয়ে থাকেন।

আব্বা সেদিন এমন সুন্দরভাবে আমার প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন যে, এখনও পর্যন্ত আমার মনে মাতৃজাতি সম্পর্কে অন্য কোন ধারণা স্থান করে নিতে পারেনি।

শুধু তাই নয়, আব্বা আমাকে 'তুমি' এবং আমার বোনদেরকে আপনি বলে সম্বোধন করতেন। বলতেন, মেয়েরা সংসারের বরকত, আখিরাতের সম্বল। যার কোন মেয়ে সন্তান নেই, তার চাইতে হতভাগা আর কেউ নেই।

'জীবনের খেলাঘরে' বই থেকে... 🌸

©️

19/11/2023

আপনি কি জানেন...??

●"সূর্য" ডুবার পর কোথায় যায়?
●রাসূল সাঃ, সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবু যর গিফারি (রা:) কে বললেনঃ তুমি কি জানো, সূর্য ডুবার পর কোথায় যায়? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) তা ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ তা যেতে যেতে আরশের নিচে গিয়ে সিজদায় পড়ে যায়। এরপর সে পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয়। আর অচিরেই এমন দিন আসবে যেদিন সেজদা করবে কবুল হবে না, ও অনুমতি চাইবে কিন্তু অনুমতি দেয়া হবে না।

তাকে বলা হবে যে পথে এসেছ সে পথে ফিরে যাও। তখন সে পশ্চিম আকাশে উদিত হবে তখনই ঘনিয়ে আসবে কেয়ামত। তখন থেকে আর দোয়া কবুল হবে না।
(সহীহ বুখারী : ২৯৭১)‌🌸

আল্লাহুম্মাগফিরলী

15/11/2023

অবিনাশী
পর্বঃ৬
রেজওয়ানা_আসিফা

যখন মিসেস তমার ভাই জামাল আয়ানকে মারে তখন খুব ক্ষিপ্ত হয়ে ভাইকে কথা শোনাতে যায় মিসেস তমা। জামাল শিকদারও সেইদিন ছেড়ে কথা বলেনি। ইচ্ছে মতো ধুয়েছে তমাকে। ভাইয়ের অপমান খুব গায়ে লাগে তার। এরপর থেকেই ভাইয়ের সাথে কথা বলেনা।
জামাল সিকদারের এক ছেলে দুই মেয়ে। বড়ো ছেলে নূর মোহাম্মদ। সবাই নূর বলে ডাকে। বেশ ধারমিক সে। আর মেয়ে নূহা। নূহার সাথেই আসভ্যতামি করেছিলো আয়ান। মেয়েটা মাদ্রাসায় পরে। সব সময় পর্দা করে থাকে। কখনো কোনো ছেলের সামনে যায়না।
তিশাও সব সময় বোরকা পরে। কখনো বোরকা ছাড়া বের হয় না।

আয়ান এই বাড়ি আসে এটা নূহা একদম পছন্দ করেনা। আর নূরের সাথে তো লেগেই যায়। নূর ব্যবসা করে। নিজের বিশাল বিজনেস। বেশ চুপচাপ সভাবের ছেলে। গায়ের রং বেশ ফরসা। গাল ভরতি চাপ দাড়ি।
জামাল সিকদারের স্ত্রী মারিয়া বেগম। ছেলে মেয়েকে সব আদর্শ তার শেখানো। তিশার খুব আফসোস হয় মাঝে মাঝে কেনো সে এই লোকটার গর্ভে না হয়ে ওই তমার পেটে হয়েছে। ছোট থেকেই তিশার বেশির ভাগ সময় এই বাড়িতে কেটেছে।

সকাল থেকে মিসেস তমা অনেক আয়োজন করছে। সব রান্না করছে তানিয়া।
আয়ান চৌধুরী লোকটা তানিয়ার সাথ খারাপ করলেও তমার অনেক কাজ তার পছন্দ না। সকাল সকাল এতো আয়োজন দেখে পেপার পরতে পরতে বললো
-যেমন আয়োজন করছো মনে হচ্ছে মেয়ে বিয়ে দিয়েছো আজকে জামাই আসবে। আর ও তো এক বছর বা এক মাস পর আসছে না যে এতো খাবার রান্না করতে হবে। কোনো মহান কাজ করেও আসছে না। ঘুরতে গিয়েছিলো সেখান থেকে আসছে তাহলে এতো আয়োজন কিসের? আর ভালো কথা! ওর জন্য এসব না করে বরোং অন্য কিছুর ব্যবস্থা করো। বুঝতেই পারছো কিসের কথা বলছি।
আমান চৌধুরীর এসব কথায় তমার রাগ হলো না। রাগ হলো তানিয়ার সামনে বলছে তাই। বিরক্ত হয়ে বললো,
-তোমাকে এতো বেশি কথা বলতে হবে না। আমার ছেলের জন্য আমার জা ভালো মনে হবে তাই করবো।
তানিয়া এতোক্ষন কিছু না বুঝলেও এখন বুঝতে পারছে যে আয়ান আসবে।

দুপুরের দিকে আয়ান বাড়ি ফিরলো। সাথে নতুন একটা মেয়ে। তানিয়া দূরে দারিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
তানিয়া বেশ অবাক হয়ে দেখছে। আয়ানকে অনেক চেঞ্জ লাগছে। সাদা শার্ট পরা। চুল গুলো এলোমেলো না।
আর পাশের মেয়েটা একটা পাতলা শাড়ি পড়া। দেখতে খুব ভদ্র মনে হচ্ছে। তানিয়া মনে মনে বললো,
-ওর সাথে এতো ভদ্র শান্ত মেয়ে কোথা থেকে আসলো।
আয়ান মেয়েটার হাত ধরে বললো।
-মা ওকে আমি বিয়ে করবো।
মেয়েটা এসে তমার পায়ে সালাম করলো। আয়ান হাসি হাসি মুখ করে তানিয়ার দিকে এগিয়ে তানিয়ার দুই কাধে হাত রেখে বললো,
-দিশু(দিয়া) এটা হচ্ছে আমার ভাবি। মায়ের সমতূল্য ভাবি আমার। আমার ভাবিও তোমার মতো বেশ ভদ্র বুঝেছো।
মেয়েটা এসে তানিয়ার পায়ে সালাম করলো। তানিয়ার সব কিছু সন্দেহজনক লাগছে। মনে মনে বললো,
-বিষয় টা তারাতাড়ি তিশাকে জানাতে হবে। আচ্ছা আয়ান কী তিশার ওইদিক দিয়ে আসেনি! তিশার তো এতোক্ষনে মার ফোনে কল করার কথা ছিলো। নিশ্চয়ই ওখান দিয়ে আসেনি।
মিসেস তমা আয়ানের হাত ধরে টেনে দূরে নিয়ে গিয়ে বললো,
-কোথা থেকে এনেছো এই মেয়েকে? মেয়ে জানে তোমার সম্পর্কে? এই মেয়ের তো তোমার সাথে আসার কথা না।
গিয়েছিলে ইতালি কিন্তু মেয়ে তো আমাদের দেশের।
আয়ান হেসে বললো,
-আমি ইতালি জাইনি। দেশেই ছিলাম। আর তোমার কি মনে হয় আমার সম্পর্কে যানলে এই মেয়ে জীবনে পটতো?
-সেটাই তো মনে হচ্ছে।
-এতো কথা বুঝি না মা। এই মেয়েকে বিয়ে করবো। ওর ভাই বোন কেউ নেই বাবার একমাত্র মেয়ে। বাবা এমেরিকায় থাকে। একটা প্রেম করেছিলো। ছেলেটা নাকি কী কারনে ব্রেকআপ করে দিয়েছে। দেখছোই তো খুব প্রাচীন টাইপের মেয়ে। এই ব্রেকআপ নিয়ে তার কি যে কষ্ট। আমার সাথে দেখা হয় একটা রেস্টুরেন্টে। মামার বাসা থেকে বের হয়ে যখন খেতে যাই তখন। দেখেই ভালো লাগে। একটু খোচা মারতেই সব কথা ফর ফর করে বেরিয়ে গেলো। এইজন্য আর ইতালি জাইনি। সজা ওদের বাসায় বসে ওরে পটাইছি।
তোমার যেই স্বামী আমি জানি সব সম্পত্তি ঈশান আর তিশার নামে দিবে। তাই এই সুযোগ আমি হাতছাড়া করতে চাইনা। একবার ওকে বিয়ে করতে পারলে ওর বাবার সব সম্পত্তি আমার। আর তানিয়াকে ভালো ভাবে বারন করবে যাতে দিয়া কিচ্ছু জানতে না পারে। দিয়া যদি কিচ্ছু জানতে পারে বিয়ের আগে। আমি কিন্তু তানিয়াকে খু*ন করে ফেলবো।
মিসেস অনেক চিন্তা করে বললো,
-আচ্ছা ঠিক আছে ও কিচ্ছু জানতে পারবে না। কিন্তু বিয়ের পর যদি এই মেয়ে তোর সম্পর্কে যানে তাহলে কি হবে বুঝতে পারছিস? ওর বাবা তোর কি অবস্থা করবে?
-কিছুই করতে পারবেনা। ওরে একবার ইমোশনার বানাই ফেললে ওই ওর বাবার হাত থেকে আমাকে বাচাবে।

-ঠিক আছে। শোন তুই ওকে তানিয়ার ঘরে পাঠা তানিয়ার সাথে। একটা নতুন লোক রেখেছি সে এসে তোর ঘরটা পরিষ্কার করে দিবে। তোর ঘরের সেই অবস্থা। ওকে কোনো ভাবেই নেওয়া যাবে না।
-তানিয়ার ঘরে নেওয়ার আগে তুমি তানিয়াকে সব বলে দাও।
তানিয়া এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে। তমার ডাকে তার হুশ ফিরলো। তমা কাছে ডেকে বললো,
-ওকে তোমার সাথে তোমার ঘরে নিয়ে যাও। আর ও যাতে কিচ্ছু জানতে না পারে। ও যদি কিছু যানে তোমার কিন্তু খুব খারাপ অবস্থা হবে।
তানিয়া মাথা নেড়ে দিয়া কে নিয়ে চলে গেলো। মেয়েটা আশপাশে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে আর তানিয়া মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে।
তানিয়ার এমন ভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে মেয়েটা বললো,
-এমন ভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো? আমার মুখে কী কিছু লেগে আছে?
-আরে না না। তুমি অনেক সুন্দর তাই দেখছিলাম।
আচ্ছা তোমার বাড়ি কই? আর আয়ানের সাথে কীভাবে পরিচয়?
-আমার বাসা ঢাকায়। আয়ানের সাথে তো একটা রেস্টুরেন্টে পরিচয়। যানেন, লোকটা আমার জন্য কি না করেছে। আমার মন খারাপ এইজন্য ইতালি জায়নি। তিন মাস আগে আমার প্রথম প্রেমিক আমাকে ছেড়ে চলে যায়। কতো ছেলে আমাকে ইমপ্রেশ করার চেষ্টা করেছে কারো ব্যবহার বা কারো কথাই আমার ভালো লাগেনি। কিন্তু ও আমাকে পাচদিনে যেই ভালোবাসা দিয়েছে তাতে আমি দুই বছরের প্রেম ভুলে গেছি। মানুষ টা এতো ভালো। এমন একটা মানুষ পেয়েছি আমার ভাগ্যের প্রশংসা করতে হয়।
তানিয়া সব বুঝতে পারলো।

নতুন মহিলা টা এসে আয়ানের ঘর পরিষ্কর করে দিলো। আয়ান দিয়া কে নিজের দেখালো। তারপর দিয়াকে অন্য রুমে থাকতে দিলো। রাতে আমান চৌধুরী এসে এসব শুনে খুব রেগে গেলো। কিন্তু তমার জন্য কিছু বলতে পারলো না।
রাতে সবার সব কাজ শেষ করে রুমে গেলো তানিয়া। ঈশান আগেই ঘুমিয়ে ছিলো। বারান্দায় গিয়ে তিশাকে ফোন করে সব বললো।
তিশা চিন্তিত হয়ে বললো,
- একবার বিয়েটা হয়ে গেলে মেয়েটার জীবন শেষ। যেকোরেই হোক বিয়েটা আটকাতে হবে। তুমি একটা কাজ করো, তুমি মেয়েটাকে সব বলে দাও।
-তুমি চেনো না তোমার মা ভাইকে? আমাকে বারবার বলে রেখেছে কিচ্ছু না বলতে। তাহলে অন্য কিছু করতে হবে।
-কী করবে? কোনো বুদ্ধি?
-হ্যা!

সকালে উঠে সবাই খেতে বসেছে। হঠাৎ আয়ান বললো বিয়ে দুই দিনের মধ্যে হবে।দিয়া
দিয়া অবাক হয়ে বললো,
-বাবাকে আসতে দেবে তো। বাবা বলেছে পরের সপ্তাহে এসে তোমার সাথে কথা বলবে।
আয়ান ধমক দিয়ে বললো,
-আমি বলেছি তো দুই দিনের মধ্যে হবে।
দিয়া অবাক হয়ে গেলো আয়ানের এমন ব্যবহার দেখে। ছলছল চোখে বললো,
-তুমি এমন করছো কেন? এভাবে কথা বলছো কেনো?
-আরে আরে পাগল কাদছো কেনো? আমার কিছু দিন পরেই একটা কাজের জন্য বাইরে জেতে হবে। তাই তোমাকে নিয়ে যাবো।এইজন্য বললাম। তুমি কান্না করো না প্লিজ।

চলবে..................

আমার সাথে এমন কিছু হবে ভাবতেও পারিনি।🙂 আজকে ৭০০ শব্দ লেখার পর নিজের হাত লেগে ডিলিট হয়ে গেলো বিকেলে। আমি কান্না করে দিছি। ভেবেছিলাম আজকে বড়ো পর্ব দিবো🙂 আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি আপনাদের এখনো একটা পর্ব বেশি উপহার দিতে পারলাম না। {আজকের পর্বে কিন্তু একটু স্পেশাল আছে। দেখি কারা ধরতে পারে}

15/11/2023

অবিনাশী
পর্বঃ৫
রেজওয়ানা_আসিফা

তিশার যাওয়ার পর তানিয়া বেশির ভাগ সময়ে ভয়ে ভয়ে থাকে।বিশেষ করে তিশার দেওয়া মোবাইল টা নিয়ে তার ভয়ের মাত্রা আরো বেশি। তিশাকে দিয়ে আসতে আয়ান গেছে। ওখান থেকে ১০ দিনের জন্য ইতালি গেছে ঘুর
তে। তাই এখন আয়ান কে নিয়ে ভয় কম। তিশা গিয়ে ফোন করে কথা বলেছে তানিয়ার সাথে। জতোক্ষন কথা বলেছে ততোক্ষন পযর্ন্ত মিসেস তমা এক পলক অন্য দিকে তাকাইনি। এই ভেবে যদি তিশা কোনো বাজে বুদ্ধি শিখিয়ে দেয় তানিয়াকে।তানিয়া বোকা সহজ সরল মেয়ে তা সে যানে। বিয়ের আগে সব খোজ নিয়েছে। কিন্তু তিশা! তার সব বিপদ তিশাকে নিয়ে। নিজের মেয়ে কতোটা চালাক আর তার জন্য কতোটা ভয়ংকর তা সে ভালো করে যানে। তাই তিশাকে নিয়ে সে কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চায়না।

তানিয়ার বাবা বলেছিলো মিসেস তমা কে। তানিয়াকে যেনো একটা বাটন ফোন দেয়। মিসেস তমা সোজা বলে দেয়। তাদের বাড়ির বউরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেনা। কারো সাথে কথা বলার ইচ্ছে হলে বড়োদের ফোন থেকেই কথা বলবে। তাই তানিয়ার বাবা প্রতিদিন নিয়ম করে একবার মিসেস তমার মোবাইলে ফোন করে মেয়ের সাথে কথা বলে। তানিয়া কান্না আটকে রাখতে চাইলেও পারে না। মাঝে মাঝে কান্না করে দেয়। কি হয়েছে জিগ্যেস করলে মিসেস তমা বলে বাচ্চা মানুষ তো আপনাকে ছাড়া থাকছে তাই আপনার কথা মনে পরলে কান্না করে।

ঈশান আগের মতো তানিয়াকে দেখলেই রিয়েক্ট করে না। আর এখন একটু আধটু কথাও বলে। একদিন মিসেস তমা কথায় কথায় বলে ফেলে আয়ান ঈশান কে একবার অনেক মারে এরপর থেকেই আয়ানকে ভয় পায় ঈশান। তবে যখন আয়ান বাড়ি না থাকে তখন ঈশান অনেক টা সাভাবিক হয়ে যায়। আর এর প্রমাণও তানিয়া পেয়েছে। কারণ দুই দিন আগে তানিয়া প্রথম এই বাড়িতে এসে রান্না করে। এমনে সব কাজ করলেও রান্না করতো না। মিসেস তমা সব কাজ কাজের লোক দিয়ে করালেও রান্না নিজে করে।
তানিয়া খেয়াল করলো আয়ান বাড়ি না থাকলে তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করে না তেমন মিসেস তমা। যেহেতু এই বাড়ি এসে পরেছে। ভাগ্য কে মেনে নিয়ে তানিয়াও সব গুছিয়ে নিতে লাগলো। দুই দিন আগে যখন তমা রান্না করছিলো তানিয়া ইচ্ছে করে গিয়ে বলে সে রান্না করতে চায়। মিসেস তমা গম্ভীর গলায় বললো,
-ভেবে বলো! রান্না খারাপ হলে ঈশানের বাবা একদম খেতে পারেনা। আর বাড়িতে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
তানিয়া শান্ত গলায় বললো,
-আমি পারবো। আপনি দিন আমাকে।
সেইদিন তানিয়া তাদের গ্রামের কিছু রান্না করে।

সব রান্না শেষ করে খাবার টিবেলে রেখে রান্না ঘর পরিষ্কার করছিলো তানিয়া। হঠাৎ তার শাশুড়ি ডেকে উঠলো,
তানিয়া আসতেই দেখলো তার শশুরের খাবার তালুতে উঠে গেছে। মিসেস তমা তানিয়া কে ধমক দিয়ে বললো,
-কী রান্না করেছো এসব। মুখে দিতেই খাবার তালুতে উঠে যায়! এইজন্য বললাম বেশি পাকামো করো না। অনেক বেশি বোঝো হ্যাঁ।
তানিয়ার শশুর পানি খেতে খেতে বললো,
-খাবার খারাপ হলে এমন হয় নাকি তমা? কবে থেকে এটা আবিষ্কার করলে?
মিসেস তমা কিছু বলতে যাবে তার আগেই ঈশান বলে উঠলো,
-খাবার টা কী মজা! এটা খুব মজা। প্রতিদিনের ওই দুধ আর অসট্ থেকে খুব মজা।
মিসেস তমা ঈশানের কথা শুনে সম্পূর্ণ খেয়াল টা তার দিকে দিয়ে বললো,
-মজা হয়েছে? তোমার কাছে মজা লেগেছে? আরো একটু দেই।
ঈশান প্লেট এগিয়ে দিলো। মিসেস তমা খুব খুশি হয়ে ঈশানের প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছে।
আর তানিয়ার শশুর বলছে,
-আমি বলতে চাচ্ছিলাম খাবার টা মজা হয়েছে আর ঈশান বলে দিলো। বাহ্।
মিসেস তমা তানিয়াকে বললো,
-বাসার সব কাজ অন্য লোক করবে। রান্না তুমি করবে এখন থেকে। তোমার রান্না ঈশানের ভালো লেগেছে।
তানিয়া হঠাৎ বলে উঠলো,
-প্রতিদিন ওই দুধ কলা আর গম গুরো কার ভালো লাগে।
তমা চোখ গরম করে তাকাতেই তানিয়া রান্না ঘরে চলে গেলো।

রাতে তানিয়া বই পরছে। ঈশান ঘরে এসে বললো,
-খুব মজা করে রান্না করো তুমি। দাদু চলে যাওয়ার পর আজকে প্রথম এতো মজার খাবার খেলাম তুমি আমাকে প্রতিদিন মজার খাবার দিয়ো!?
তানিয়া আবার বই নিয়ে বসলো। শান্ত কন্ঠে বললো,
-দেবো তবে শর্ত আছে একটা।
-শর্ত? কী শর্ত?
তানিয়া ঈশানের খুব কাছে গিয়ে বললো,
-এটা খুব গোপন কথা। কানে কানে বলতে হবে।
ঈশান ফিশ ফিস করে বললো,
- হ্যা। তুমি বলো! আমি বলবো না কাউকে,
-আয়ানকে আর ভয় পেলে চলবে না। এটাই আমার শর্ত।
আয়ানের কথা শুনেই ঈশান ঘাবরে যায়। ফিস ফিস করে বলে,
-ও তো খুব খারাপ। খারাপ লোকেদের ভয় পেয়ে হয়।
-ও খারাপ কিন্তু তুমি তো ভালো। আর খারাপ লোকদের ভয় পেতে হয় না।তাই তোমাকে ভয় পেলে চলবে না। আর যদি তুমি ওকে ভয় পাও তাহলে আমি আর তোমাকে মজার খাবার রান্না করে দিবোনা।
-ঠিক আছে ঠিক আছে। আমি আর ভয় পাবো না ওকে।
তানিয়া হেসে বললো,
-এইতো ভালো ছেলে!

ঈশান কে আগে তানিয়ার জতোটা অসহ্য লাগতো এখন ততোটা লাগে না।
এভাবেই এখন ঈশানের সাথে খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেছে তানিয়া।

তানিয়া সুয়ে আছে। হঠাৎ সেই মোবাইল টার কথা মনে পরলো। ইশানের দিকে তাকিয়ে দেখলো ও ঘুমাচ্ছে। আস্তে আস্তে করে আলমারি থেকে মোবাইল টা নিয়ে বারান্দায় গেলো। দেখলো তিশা অনেক গুলো কল করেছিলো। কল ব্যাক করে হ্যালো বলতে যাবে তার আগেই পেছন থেকে কেউ তার মোবাইল টা টান মেরে নিয়ে গেলো।
সাথে সাথে তানিয়া আতকে উঠলো। তার বুকে ধুকপুক করছে। ভয়ে ভয়ে পেছনে তাকাতেই দেখরো মিসেস তমা। তমাকে দেখে কিছুক্ষনের জন্য তানিয়ার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো। তমা ভয়ংকর কন্ঠে জিগ্যেস করলো কার সাথে কথা বলছিলে?
তানিয়া চুপ করে আছে। মিসেস তমা ধমক দিয়ে আবার জিগ্যেস করলো,
-কী হলো বলো কার সাথে কথা বলছিলে?
তমার মনে পরলো মোবাইল টা তো তার কাছেই। মোবাইল টার স্কিনে তাকিয়ে দেখলো তিশার নাম্বার। ফোনটা কেটে মোবাইল টা নিজের কাছে রেখে বললো,
-আচ্ছা তানিয়া বলোতো, তোমাকে এখানে কেউ মারে? নাকি আমি তোমাকে দিয়ে সব কাজ করাই? গরিবের মেয়ে তুমি। এখানে কতো সুখে আছো। নিজের বাড়িতে তো ভালো মন্দ খেতেও পারতে না। আর এখানে এই এতো বড়ো বাড়ির বউ হয়ে আছো।এটা ভালো না খারাপ? শুধু শুধু এই সব কাজ করে আমার মাথা গরম করোনা।
কথা গুলো বলে মোবাইল টা নিয়ে তমা চলে গেলো।

তানিয়া সেখানেই দারিয়ে আছে। এতো দিন এই মোবাইল টা দিয়ে লুকিয়ে বাবার সাথে কথা বলতো। এখন আর হবে না। তার চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পরছে। তানিয়া মনে মনে বলছে,
-গরবি ঘরের মেয়ে বলেই আষ্টেপৃষ্ঠে এভাবে চিবিয়ে খাচ্ছে। অন্য কেউ হলে এতো দিন সব ফাস হয়ে হয়ে জাবে।
সে রাতে আর তানিয়ার ঘুম হলো না। সকাল বেলা রান্না করছে তানিয়া। হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো। তানিয়া দরজা খুলতে যাবে তার আগেই মিসেস তমা তানিয়াকে ইশারা করে বারন করলো যেতে। তানিয়া আবার রান্না ঘরে চলে গেলো।
মিসেস তমা দরজা খুলে দেখলো ডেলিভারি ম্যান অনেক বড়ো একটা বাক্স নিয়ে দারিয়ে আছে।
মিসেস তমা কিছু বলার আগেই ডেলিভারি ম্যান বললো,
-এটা কী মিসেস তানিয়ার ঠিকানা? ওনার জন্য একটা পার্সেল এসেছে।

চলবে...............

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। বাসার নেট খুব খারাপ ছিলো তাই গল্প দিতে দেরী হলো

15/11/2023

অবিনাশী
পর্বঃ৪
রেজওয়ানা_আসিফা

তিশাকে ঘরে আটকে রেখেছে তার মা। বাড়ির নিচে একটা আন্ডারওয়্যার আছে। যেখানে তিশা কে আটকে রেখে আয়ান পাহারা দিচ্ছে আর অন্য একটা মেয়ের সাথে পার্টি করছে। তিশা বার বার ছোটার চেষ্টা করছে। কিছুতেই ছুটতে পারছে না। অনেকক্ষন চেষ্টা করার পর তিশা চিৎকার করে বললো,
-তুই আমার ভাই! ছিঃ লজ্জা করছে আমার। এভাবে নিজের বোনকে আটকে রেখে বোনের সামনে এসব করছিস!
আয়ান মা*তাল কন্ঠে বললো,
-সরি বোন। মার কথা মানতে হবে। তাহলেই তো ওই মেয়েটাকে পাবো। মা বলেছে তোরে আটকিয়ে রাখতে পারলে ওই মেয়েটাকে আমার খরে দেবে। তাই সরি। তোখে ছারতে পারবো। আর কিছুক্ষন অপেক্ষা কর। তারপর ছেড়ে দেবো।
- প্রথমত তোর বাবা মা মেয়েটার জীবন টা নষ্ট করছে। তারপর আবার তুই এইগুলা বলছিস? তোর লজ্জা লাগে না? আর যাইহোক ওটা তো তোর ভাইর বউ!
-আমি যদি ওরে আরেকটু ভালো ভাবে দেখতাম তাহলে আর ভাইর বউ হতে পারতো না।
-তোর এসব ফালতু কথা শোনার টাইম নেই। আমাকে ছাড়, ভালোয় ভালোয় বলছি।
পাশে থাকা মেয়েটা বললো,
-আয়ান বেবি তো বলেছে, একটু পর ছেড়ে দেবে তারপরও এতো কথা বলছো কেন? শুধু শুধু নিজেকে ক্লান্ত করছো। চুপ করে বসে থাকো তাহলে আর শরীরের ক্যালোরি নষ্ট হবে না।
তানিয়া জোরে জোরে হাসতে হাসতে বললো,
-সাধারন মানুষ যারা ব*স্তিতে থাকে তাদের ব*স্তির ছেলে মেয়ে বলে। আসলে এটা ভুল! যেসব মেয়েরা রাতে নাইট ক্লাবে নাচে আর এইসব বাজে ছেলেদের সাথে মিশে তারা আসলে প্রকৃত ব*স্তির মেয়ে। আর সেই ব*স্তির মেয়ে নাকি আমাকে জ্ঞান দিচ্ছে।
মেয়েটা রেগে গিয়ে তিশার সামনে এসে তিশার গায়ে হাত দিতে গেলেই তিশা খুব জোরে মেয়েটার পেঠে লা*থি মারে। তিশার হাত বাধা ছিলো কিন্তু পা খোলা ছিলো।
আয়ান মেয়েটাকে ধরে বললো,
-বেশি সাহস দেখাচ্ছিস? আমার বোনের গায়ে হাত দিবি?
কিচ্ছুক্ষনের মধ্যেই আবার বললো,
-তোমাকে বলেছি না তুমি কথা বলো না। আমার বোনের রাগ অনেক বেশি। ওর কাছে যেয়ো না।

বাবা যাওয়ার সময় অনেকক্ষন কান্না করলো তানিয়া।
বুক ছিড়ে জাচ্ছে তার। খুব বলতে ইচ্ছে করছিলো তার, যে আমাকে নিয়ে যাও। এরা খুব ভয়ংকর। তার বাবা জাওয়ার পর তানিয়া কান্না করতে করতে ঘরে চলে গেলো।
আজকে তার ওই বাড়ি যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তার শাশুড়ি হঠাৎ কর বলে আজকে যেতে দিবে না। এতো দূরের পথ আরো পরে যাবে। এসব নিয়ম পালন করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বাধ্য হয়ে তানিয়াকে রেখেই চলে গেলো তার বাবা।
তানিয়ার শাশুড়ি, মিসেস তমা তানির বাবা মা চলে যাওয়ার সাথে সাথে তারাতাড়ি তিশার কাছে এলো। মিসেস তমা এসে তিশার হাত খুলে দিলো। তিশা রাগে খোপে চলে আসলো সেখান থেকে চলে আসলো। তানিয়ার ঘরে গিয়ে দেখলো সে কাদছে। তিশা রেগে গিয়ে বললো,
-এখন কাদছো কেনো? এখন কেদে কী হবে। ঠিক আছে। ভালো হয়েছে। একপা সুযোগ ছিলো তোমার সেটাও শেষ। এখন আজীবন এখানে পচে মরো।
-তুমি বুঝবে না আমার অবস্থা। তোমার মা আমার সৎ মাকে ৮ হাজার টাকা দিয়েছে যাতে বাবা আমাকে নেওয়ার জন্য জোর করলে আমার সৎ মা তাকে বাধা দেয়। হ্যাঁ সব তোমার মার ইচ্ছে মতোই হলো। প*চে মরার কথা বলছো? হ্যাঁ পচে মরবো। করার কিছু নেই। দুই ভাই বোন নিয়ে বাবা মা নিজেই খেতে পায় না। তারপর কতো গুলো টাকা ধার করা। এর মধ্যে আমি এসব বলে আরো কষ্ট দেবো! ছোট থেকে অঢেল টাকার মধ্যে বড়ো হয়েছো। অর্থের অভাব তুমি বুঝবে না।
-তোমার জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই।
- এক ভাই বিয়ে করে আরেক ভাই ন*ষ্টামি করছে। এই রকম পরিবার জীবনে দেখিনি। আমি তোমাদের পরিবারের মতো এতো শিক্ষিত না। কিন্তু আমরা মানুষের কাতারে পরি। তোমার পরিবার মানুষের কাতারে পরে না। সব অসুস্থ। মানসিক ভাবে সব গুলো অসুস্থ।

রাতে সবাই খাবার খাচ্ছে। তানিয়া খায়নি।তিশা তানিয়ার জন্য খাবার নিয়ে এসেছে। তানিয়া কান্না করছিলো। তিশাকে দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারলো না সে। তিশাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো। হঠাৎ পেছন থেকে কেউ বলে উঠলো
- কান্না করো কেনো তুমি? তুমি কী কষ্ট পাচ্ছো?
তানিয়া আর তিশা দুই জনেই তাকালো। দেখলো ঈশান একা হেটে এসেছে। আর কথা গুলো সেই বলেছে।
তাদের দুই জনের সামনে হঠাৎ করে সে বিছানায় পরে গেলো। সাথে সাথে ঘুমিয়ে গেলো।

-দেখো তানিয়া! আমি জতোদিন এখানে আছি ততোদিন তোমার কোনো ক্ষতি হতে দেবো না। আর আয়ানকেও তোমার কাছে আসতে দেবো না। কিন্তু তার পর কী হবে জানিনা। আর তার পরের কথা ভাবলেও আমার ভয় হচ্ছে। মা এখানে আমাকে বেশি দিন থাকতে দেবে না। ছোট থেকেই ওদের সব কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে ছিলাম আমি। তাই এসএস সি পরিক্ষা দেবার পরেই আলাদা রাখে আমাকে। তার আগেও একবার ঢাকা আমাকে মামার বাসায় রেখে এসেছিলো। আমি চলে এসেছিলাম। লজ্জার কথা। তারপরও তোমাকে বলতে হবে। তোমাকে সাবধান করার জন্য,
-একবার, বাড়ির এক কাজের মেয়ের সাথে অসভ্যতামি করলো আয়ান। মেয়েটা কান্না করতে করতে সব বিচার দিলো মায়ের কাছে। মা তার মান সন্মান বাচানোর জন্য মেয়েটাকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বের করে দিলো। তার উচিৎ ছিলো আয়ানকে কঠিন শাস্তি দেওয়ার। কিন্তু সে তা করলো না। মিসেস তমা তার দুই ছেলে বলতে অঙ্গান। আয়ান ক্লাস ৯ এ বসে নেশায় জড়িয়ে যায়। আমি যখন ৪ এ পড়ি। একদিন ওর ঘরে গিয়ে না বুঝে ওর ওই গুলোতে হাত দিয়ে। ও রাগে আমাকে খুব মারে। মার খেতে খেতে আমি অঙ্গান হয়ে যাই। তারপরও মা কিচ্ছু বলেনি ওকে।
এটা পাপের সং*সার।
-আমাকে তোমার দেখে রাখতে হবে না। আমি আর এই জীবন নিয়ে ভাবি না। যা হবার হবে।

__________

দেখতে দেখতে কেটে গেলো ৩ মাস!
এই তিন মাস তিশা বাড়ি থেকে জায়নি। অনেক জোর করেও ওকে ঢাকা পাঠাতে পারেনাই তমা। প্রতিটা সময় তানিয়াকে দেখে রেখেছে। বতর্মানে তানিয়াকে আটকে রেখেছে মিসেস তমা। কয়ক দিন আগে তিশা প্রতিবেশীদের কাছে গিয়ে সব বলে দেয়। সেটা তমা শুনতে পেয়ে তানিয়া কে মেরে সাবধান করে জাতে বাইরের কারো সামনে কিছু না বলতে। আর মেরে ফেলার হুমকি পযর্ন্ত দেয়। আর যখন প্রতিবেশীরা খোজ নিতে আসে। তখন তিশকে ভুল প্রমান করে তানিয়া মিথ্যা বলে।আজকে তিশা একটু বাইরে গেছে। তানিয়া ঘরে। হঠাৎ আয়ান তানিয়ার ঘরে ঢুকে পরে। তানিয়ার সাথে জোরাজুরি করলে ঈশান ঘরে ঢুকে পরে। ঈশানের চোখ লাল হয়ে আছে। আয়ানের কাছে এসে আয়ানকে অনেক জোরে মারে ঈশান। আয়ান নিজেকে বাচানোর চেষ্টা করলেও পারলো না। কী জানি কীভাবে সব শক্তি ওর শরীরে চলে এসেছে। মিসেস তমা সব শুনতে পেয়ে আয়ানকে বাচায়। আয়ানকে ঈশানের হাত থেকে ছাড়াতেই ঈশান মেঝেতে পরে যায়। বাড়ি এসে তিশা সব শুনে অনেক অবাক হয়। আর বললো,
-তারপরও ভালো তুমি বেচে গেছো।
তানিয়া হেসে বলে এভাবে আর কতো দিন। একদিন দুই দিন! বিয়ের ছয় মাস হয়ে গেলো বাবাকে দেখিনা। তুমি ঠিকি বলেছিলে এখানেই পচে মরতে হবে আমার।

তিশার কলেজ থেককে বারবার ফোন আশায় এবার থাকে যেতে হবে। তিশা তানিয়াকে নিয়ে খুব ভয় পাচ্ছে। আবার রাগ হচ্ছে। সেইদিন যদি চলে জেতো আজ এই দিন দেখতে হতো না।
তিশা সব গুছিয়ে রাখছে। তানিয়া তিশার ঘরে এসে তিশার কাছে বসলো। হঠাৎ তিশা ঘরের দরজা লাগিয়ে দিলো। তানিয়া বেশ অবাক হলো। দরজা বন্ধ করে বিছানার নিচ থেকে একটা ফোন বের করে তানিয়ার হাতে দিলো। তানিয়া ফোন দেখে ভয় পেয়ে গেলো,
-এ কী করছো? এটা আমার কাছে দিচ্ছো কেনো? তোমার মা দেখলে আমার রেহাই নেই।
-দেখবে না। আলমারিতে লুকিয়ে রাখবে। কখনো খারাপ কিছু হলে সাথে সাথে আমাকে কল করবে।
-কিন্তু একবার দেখে ফেললে কী হতে পারে তোমার আমার ধারনার বাইরে।
-তারপরও এটা তোমার কাছে রাখো। তুমি অনেক বোকা। তুমি এখনো বুঝতে পারছো না তোমাকে আটকে রেখেছে। এখন যদি তোমাকে মেরে কোথাও ফেলেও দেয় তাহলে কেউ কিচ্ছু জানতে পারবে না। এরা অনেক ভয়ংকর বার বার বলছি তোমাকে। তোমাকে আগে সব কথা বলার সময় আমার ছিলো না। আগে যদি এসব কিছু বলতে পারতাম তাহলে তুমি চলে জেতে পারতে।

চলবে...............

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। আজকের পর্ব টা একটু অগোছালো লাগতে পারে। আমার নিজের কাছেও কেমন যেনো লেগেছে। আর এই গল্পের নাইকা তিশা হবে। নায়কের এন্ট্রি এখনো আসেনি। এই পর্বে যেসব বিষয় ঘোলাটে লাগবে আমি পরের পর্বে সব ক্লিয়ার করে দেবো। সত্য ঘটনার আংশিক অংশ এখানেই শেষ। কেউ বিরক্ত হবেন না। আমি আজকে পর্ব টা পোস্ট করতে চাইছিলাম না তারপরও করলাম।

Dubai🥰
12/11/2023

Dubai🥰

Dirección

Madrid

Página web

Notificaciones

Sé el primero en enterarse y déjanos enviarle un correo electrónico cuando Tisha's story publique noticias y promociones. Su dirección de correo electrónico no se utilizará para ningún otro fin, y puede darse de baja en cualquier momento.

Contato La Empresa

Enviar un mensaje a Tisha's story:

Videos

Compartir

Categoría

Compañías De Medios cercanos