Arafatul Islam

Arafatul Islam Bangladeshi-German journalist based in Bonn, Germany. Life in Germany, Study in Germany, Legal route to Germany, Mobile Videography, Mobile Journalism, Vlog
(1)

22/12/2024

আগামী নির্বাচন ও ছাত্রদের লড়াই

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন যে ২০২৬ সালের দিকে হবে সেটা কয়েকমাস আগেই ধারনা করা গিয়েছিল৷ যারা বাংলাদেশের রাজনীতি বোঝেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট বোঝেন, নিয়মিত ভেতরে বাহিরে খোঁজ রাখেন তাদের পক্ষে এটা বোঝা কষ্টকর ছিল না৷ আর যেসব রাজনৈতিক দল নিয়মিত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারাও এটা না বোঝার কারণ দেখি না৷

যাহোক, এবার আরেকটা ব্যাপারে আসি৷ আগামী নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে৷ আর সেটা নিশ্চিত করতে দেশিবিদেশি বিভিন্ন পর্যবেক্ষক দল থাকবে, অনেকেরই নজর থাকবে৷

সেই নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গড়া নতুন রাজনৈতিক দলের মধ্যে বলে আমি মনে করি৷ অন্যান্য দুয়েকটি দলের ভোট হয়ত বাড়বে কিন্তু তারা নিজস্ব শক্তিতে আলাদাভাবে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়ার মতো পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে বলে মনে হয় না৷

এখানে দুটো বিষয় দেখার আছে:
০১. বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বড় এবং সাংগঠনিকভাবে গোছানো একটি দল৷ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল অবধি দলটির সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে৷ কিন্তু গত ১৫ বছরে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি৷ তবে এটা বিশ্বাস করা হয় যে দলটির বিশাল সংখ্যক ভোটার রয়েছেন যারা রাজপথে সক্রিয় না হলেও সুষ্ঠুভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে ভোট বিএনপিকে দেবেন৷ গত তিনটি নির্বাচনে এই ভোটাররা ভোট দেয়ার সুযোগ পাননি বলার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ রয়েছে৷ বিএনপি তাদের আস্থা, বিশ্বাস এখনো ধরে রাখতে পেরেছে কিনা সেটা আগামী নির্বাচনে দেখা যাবে৷
০২. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখনো সাংগঠনিকভাবে গোছানো কোনো রাজনৈতিক দল নয়৷ কিন্তু এই দলের সেন্ট্রিস্ট বা মধ্যপন্থি তরুণ নেতাদের আহ্বানে দলমত নির্বিশেষে লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিলেন এবং হাজারের উপরে মানুষ জীবন দিয়েছেন ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন৷ দেখার বিষয় হচ্ছে এই তরুণদের উপর যে তীব্র আস্থা ও সমর্থন গত জুলাই-আগস্টে দেখা গেছে আগামীতে ভোটের বাক্সে তা প্রতিফলিত হয় কি না৷

সামনের দিনগুলোতে তাই বিএনপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গড়া দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রকট আকার ধারন করবে বলে আমি মনে করি৷ তারা নিজেদের মতো করে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান, আদর্শ, নীতির জানান দেবে, আরো মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাবে৷

তবে দল দুটো আগামী মাসগুলোতে কে কতটা সাধারণ সাধারণ জনতার কাছে পৌঁছাতে পারবে এবং তাদের প্রধান নেতা কে কে হবেন সেটা অনেক কিছু নির্ধারণ করে দেবে৷

২০২৪ কোন কোন কারণে মনে থাকবে আপনার? 🌅
22/12/2024

২০২৪ কোন কোন কারণে মনে থাকবে আপনার? 🌅

10/12/2024

বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল Bangladesh Nationalist Party-BNP আজ ব়্যাবকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে৷ ২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের আমলে তৈরি এই বাহিনীকে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন৷

গতবছর ডয়চে ভেলের এক অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রে উঠে এসেছিল বিশেষ বাহিনীটির ভয়াবহ কিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা৷

আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডজয়ী তথ্যচিত্রটি দেখতে পারেন মন্তব্যে থাকা লিংকে গিয়ে৷ 👇

অসত্যের আড়ালে লুকানো সত্যের সন্ধানে সময় দিন। যা দেখবেন তাই-ই বিশ্বাস করবেন না। নিজের বিচার বিবেচনাবোধকে আরো জাগ্রত করুন...
30/11/2024

অসত্যের আড়ালে লুকানো সত্যের সন্ধানে সময় দিন। যা দেখবেন তাই-ই বিশ্বাস করবেন না। নিজের বিচার বিবেচনাবোধকে আরো জাগ্রত করুন।

28/11/2024

দেশেবিদেশে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের এত দাপটের পেছনে আমি মূলধারার সংবাদমাধ্যমের একটা বড় দায় দেখি৷ তারা প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারেনি৷ তারা নিউ মিডিয়ার গুরুত্ব বোঝেনি, বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অনুসন্ধানের বদলে শুধু নিউজ ছেপে নিজেদের দায় মেটাতে চেয়েছে৷

মূলধারার সংবাদমাধ্যমের উচিত এসব দিকে আরো মনোযোগী হওয়া৷ কারণ তাদের সেই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং লোকবল রয়েছে৷ প্রয়োজনে আরো লোকবল নিয়োগ করা তাদের পক্ষে সহজে সম্ভব৷

সস্তা ক্লিক, ভিউয়ের চেয়ে অনুসন্ধানী, বিশ্লেষণমূলক কনটেন্ট আরো বেশি তৈরিতে মনোযোগী হওয়া উচিত৷ কোনো ইস্যু স্পর্শকাতর ভেবে এড়ানোর চাইতে সেটির জন্য উপযুক্ত লোকবল কাজে লাগিয়ে পরীক্ষিত তথ্যের প্রবাহ নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে আসার চেষ্টা করা উচিত৷ তাদেরও নতুন নতুন চেহারা তৈরি করতে হবে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে উঠবে কিন্তু সেটা সম্পাদকীয় নীতিমালার মধ্যে থেকে৷

এসব করা না গেলে নানা ইনফ্লুয়েন্সারের দাপটে সংবাদমাধ্যম ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়বে৷ আর তাতে অপতথ্য, ভুয়াতথ্য আর তথ্যের বিকৃতির সুযোগ আরো বেড়ে যাবে যা সমাজে, রাজনীতিতে নানারকম নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারবে আরো দ্রুত৷ আমরা ইতোমধ্যে এধরনের প্রতিক্রিয়ার নমুনা দেখতে পাচ্ছি৷

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বিচক্ষণ সাক্ষাৎকারটি ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীনকে দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ...
27/11/2024

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বিচক্ষণ সাক্ষাৎকারটি ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীনকে দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রোপাগান্ডা আর টুইস্টেড ইনফরমেশনের কবল থেকে বাঁচতে চাইলে পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখুন।

দলীয় প্রধান যখন মুক্ত ছিলেন না। পরিস্থিতির কারণে দ্বিতীয় প্রধান সক্রিয় বিদেশ থেকে। তখন দেশের মাটিতে সামনে থেকে ন...

26/11/2024

গত কয়েকমাসে বাংলাদেশের কাঠামোতে একটি ভয়াবহ দুর্বলতা আমার চোখে পড়েছে৷ অনলাইনভিত্তিক প্রোপোগান্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাংলাদেশের সরকার, সরকারি বিভিন্ন সংস্থা, ছোটবড় অনেক রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম কারোরই সেরকম কোনো প্রস্তুতি নেই৷ ফলে সুসংগঠিত অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্টরা টুইটার, ফেসবুকের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নিমিষেই তিলকে তাল, সাদাকে কালো আর কালোকে সাদা করে দিচ্ছে৷

আগে হয়ত এসব প্রোপাগান্ডাকে গুরুত্বহীন বলে উড়িয়ে দেয়া যেতো৷ কিন্তু গত কয়েকমাসে আমি দেখলাম এসব প্রোপাগান্ডা রীতিমত ন্যারেটিভ তৈরি করে ফেলছে এবং প্রভাবশালী বিভিন্নক্ষেত্রকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারছে৷ শুধু তাই নয়, বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে দ্রুত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতেও এসব প্রোপোগান্ডা মেশিন সক্ষম হচ্ছে৷

এটা অত্যন্ত উদ্বেগের ব্যাপার৷ এবং সামগ্রিকভাবে সবাই কমবেশি এতে ভুগছেন, ভুগবেন যদি এধরনের অসৎ প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে বুদ্ধিভিত্তিক লড়াইয়ের কার্যকর প্রস্তুতি নেয়া না হয়৷ আর সেই প্রস্তুতি নেয়ার এখনই সময়৷

আমরা স্বাধীনতা চর্চার জন্য কতটা উপযুক্ত হয়েছি সেটা মাঝে মাঝে ভাবি। নিজের বিদ্যা বিচার বিবেচনাবোধের যৌক্তিক ব্যবহার করতে ...
25/11/2024

আমরা স্বাধীনতা চর্চার জন্য কতটা উপযুক্ত হয়েছি সেটা মাঝে মাঝে ভাবি। নিজের বিদ্যা বিচার বিবেচনাবোধের যৌক্তিক ব্যবহার করতে না শিখে আমরা যদি শুধু ক্ষুদ্রস্বার্থে নিজেকে বিকিয়ে দেয়ায় আগ্রহী হই তাহলে স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়বে।

স্বাধীনতা আপনাকে যেমন মুক্ত করে তেমনি সেই মুক্তি রক্ষার নৈতিক দায়িত্বও আপনাকেই দেয়। এটা ভুলে গেলে পরাধীনতার শিকলে বন্দি হতে হবে বারংবার। কাঙ্খিত মুক্তি আর মিলবে না।

24/11/2024

বড় দল এবং ‘মাইনাস তত্ত্ব’

‘মাইনাস টু’ আর ‘মাইনাস ফোর’ নিয়ে মাঝেমাঝেই কথা ওঠে৷ কেউ কেউ এই আলোচনা উস্কে দিয়ে একধরনের ভীতি ছড়াতে চান বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে৷

ভোটের বিবেচনায় বাংলাদেশে বড় রাজনৈতিক দল এখন কোন কোনটা সেটা নিয়ে অবশ্য পরিষ্কার ধারনা পাওয়া কঠিন৷ সর্বশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন এমনটা ভাবার যৌক্তিক কারণ নেই৷ আর এই না পারার কারণও একাধিক৷ সেটা লম্বা আলোচনা৷

তবে, আমার মনে হয় যেহেতু গত তিনটি নির্বাচনে সাধারণ ভোটারের মতের প্রতিফলন না ঘটার নজিরই বেশি, ফলে এই মুহূর্তে ভোটারের বিবেচনায় সবচেয়ে বড় দল যাদের মনে করা হচ্ছে বা যারা নিজেদের মনে করছে সেটা বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে৷

বরং ভবিষ্যতে যদি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন করা যায় সেক্ষেত্রে এটা বোঝার সুযোগ হবে যে বাংলাদেশে প্রকৃত বড় দল কোনগুলো৷ তার আগে ব্যক্তিগতভাবে আমি ধরে নেয়ার দলে নেই৷

এবার আমি ‘মাইনাস টু’ এবং ‘মাইনাস ফোর’ এর আলোচনায় আসি৷ বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সময়েই মূলত ‘মাইনাস থ্রি’ হয়ে গিয়েছিল৷ শেখ হাসিনার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ভবিষ্যতে মায়ের স্থানে রাজনীতি করার কোনো আগ্রহই দেখাননি৷ আওয়ামী লীগও তাকে সেভাবে প্রস্তুত করার কোনো দৃশ্যমান বা কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি৷ বরং তিনি ক্রমশ পর্দার আড়ালেই চলে গেছেন৷

অন্যদিকে, তারেক রহমান নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন দেড় দশকের বেশি সময় ধরে৷ আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিগত সরকারের শেষের দশ বছর কার্যত রাজনীতি থেকে ‘মাইনাসই’ ছিলেন৷

খেয়াল করলে দেখবেন এই পুরোটা সময় কেউ ‘মাইনাস তত্ত্ব’ নিয়ে আলোচনা করেননি৷ এখন শেখ হাসিনা গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর কোনো কোনো মহল আবার ‘মাইনাস তত্ত্ব’ সামনে আনতে চাচ্ছে৷

আমি মনে করি, এই চেষ্টা নিছক এক ভয়ের ন্যারেটিভ তৈরি করার জন্য যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়৷ এর বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই৷

বরং যেটা দেখা যাচ্ছে তাহচ্ছে খালেদা জিয়া আবারো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছেন৷ তারেক রহমান দেশে ফিরে রাজনীতিতে আরো সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ সজীব ওয়াজেদ জয় বিদেশে বসেই পুরোপুরি সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন৷ আওয়ামী লীগে তার মতো আর কেউই বর্তমানে সক্রিয় নেই৷

বাংলাদেশে গণআন্দোলনে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে৷ ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে৷ তার অনুপস্থিতিতেই চলছে বিচার প্রক্রিয়া৷ ভারতে শেখ হাসিনা কেমন আছেন সেটা আপাতদৃষ্টিতে দেশের কেউই জানেন বলে মনে হচ্ছে না৷ পাঁচ আগস্টের পর তাকে প্রকাশ্যে কোথাও দেখা যায়নি, বাংলাদেশ ইস্যুতে সক্রিয় ভারতীয় গণমাধ্যমের কোথাও তার কোনো সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়নি, এমনকি সেদেশে তার পরিবারের বা তার দলের কেউ তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে পেরেছেন এমন কোনো তথ্যও নেই৷

আমি মনে করি সবকিছু মিলিয়ে এখন প্রকৃত ভোটারদের সামনে একটা সম্ভবনা তৈরি হয়েছে রাজনীতিতে নিজের মতের প্রতিফলন দেখার৷ রাজনৈতিক দলগুলোর তাই উচিত যতটা সম্ভব জনগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করার৷ নাহলে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর যে জাতীয় নির্বাচন হবে তাতে বেকায়দায় পড়তে পারে জনবিচ্ছিন্ন দল, নেতারা৷

23/11/2024

আমার Arafatul Islam পাতাতে করা এক জরিপে দেখা যাচ্ছে ৭৭% মানুষ চাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক৷ সেক্ষেত্রে এই দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে কাকে দেখতে চান? 🤔

21/11/2024

জুলাই-আগস্টের এই স্মৃতিগুলো টাইমলাইনে থাকুক।

কয়েকমাস আগেও এমন চিত্র অনেকের কাছেই অকল্পনীয় ছিল। এক গণঅভ্যুত্থান বদলে দিয়েছে সব হিসেব।
21/11/2024

কয়েকমাস আগেও এমন চিত্র অনেকের কাছেই অকল্পনীয় ছিল। এক গণঅভ্যুত্থান বদলে দিয়েছে সব হিসেব।

20/11/2024
রোমানিয়ার কোনো এক হালাল রেস্তোরাঁয় আমি, আরিফ আর এক খাবার পরিবেশনকারী৷ তার ভি চিহ্ন দেখানোর কারণ অবশ্য জানা হয়নি৷ পুরনো ...
16/11/2024

রোমানিয়ার কোনো এক হালাল রেস্তোরাঁয় আমি, আরিফ আর এক খাবার পরিবেশনকারী৷ তার ভি চিহ্ন দেখানোর কারণ অবশ্য জানা হয়নি৷ পুরনো ফুটেজ ঘাটতে গিয়ে পেলাম ছবিটা৷

গতমাসে নেটফ্লিক্সে সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি একটা মুভি দেখেছিলাম৷ আফ্রিকার এক দেশের এক মুসলমানকে বিনা বিচারে বছরের পর বছর ...
15/11/2024

গতমাসে নেটফ্লিক্সে সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি একটা মুভি দেখেছিলাম৷ আফ্রিকার এক দেশের এক মুসলমানকে বিনা বিচারে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছিল বিশ্বের কুখ্যাত এক কারাগারে৷ তার অপরাধ ঠিক কী জানানো হচ্ছিল না৷ তাকে আদালতেও তোলা হচ্ছিল না৷ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন৷

এই কাহিনীর একটা জায়গায় টুইস্ট ছিল যেখান থেকে সেই যুবক যে নির্দোষ সেটা পরিষ্কার হয়ে উঠেছিল৷ এক ভয়াবহ অপরাধের সঙ্গে কেউ একজনকে অভিযুক্ত করে কেস ক্লোজড করার প্রয়োজন হয়েছিল৷ সে কারণে দিনের পর দিন বর্বর নির্যাতন করে, তার মায়ের সঙ্গে ভয়াবহ কিছু করার হুমকি দিয়ে জোর করে তার একটি জবানবন্দি আদায় করা হয়েছিল এমন অপরাধের যার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না৷

আজকে সেই ঘটনাটি আবার মনে পড়লো সাদ বিন আজিজুরের ছবিটি দেখে৷ গত কয়েকদিন ধরে ব়্যাবের বরাতে সংবাদমাধ্যম ছাপিয়ে চলেছে যে সে ভয়াবহ এক অপরাধ করেছিল৷

আর এই সংবাদকে পুঁজি করে একদল অনলাইন ক্যাম্পেইনার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ছোট করার উপলক্ষ্য তৈরি করে নিল৷ তারা এক আজিজুরকে দিয়ে বোঝাতে চাইলো যে সব ছাত্র আন্দোলনকারীই তার মতো! অনেকে তা শেয়ার করে ছড়িয়েও দিল৷

আজকে আবার পুলিশ জানালো আজিজুর সেই অপরাধ করেনি৷ করেছে তার বাড়ির ভাড়াটিয়ারা৷

ঘটনা যেদিকেই মোড় নিক, আজিজুরের চরিত্রহরন কিন্তু শেষ৷ এই সুযোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও একটু হেয় করা গেলো৷

আমার এই লেখা ঠিক সেকারণে নয়৷ কথা হচ্ছে, অনলাইনে ভুয়া সংবাদ, তথ্য, প্রচারণা যে দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে এবং মানুষ যে সেগুলো গ্রহণও করছে তা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার৷

মুশকিল হচ্ছে অপেক্ষাকৃত নতুন এই চর্চার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে খাবি খাচ্ছে বিভিন্ন দেশ৷

এক্ষেত্রে মূলধারার সংবাদমাধ্যমের বড় অবদান রাখার সুযোগ আছে৷ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার দিকে তাদের মনোযোগ দেয়া উচিত৷

যাচাইবাছাই না করেই দ্রুত সংবাদ প্রকাশের প্রতিযোগিতা থেকে বাইরে গিয়েও চিন্তা করা জরুরী৷ একক সূত্র থেকে পাওয়া সংবাদ প্রকাশের অভ্যাস বাদ দিতে হবে৷

পাশাপাশি ফ্যাক্টচেকিং এবং মিডিয়া লিটারেসির দিকেও মনোযোগী হতে হবে৷ শুধু সংবাদমাধ্যম নয় রাষ্ট্র, সরকার, দল সবারই এগিয়ে আসতে হবে ভুয়া তথ্যের প্রচার ঠেকাতে৷ নতুবা বাস্তবে যা ঘটেনি তা দিয়েও ঘায়েল হয়ে যেতে পারে ব্যক্তি, সম্প্রদায়, জাতি, সমাজ, দেশ শুধুমাত্র অনলাইনে ভুয়া প্রচারণার জোরে৷

সুতরাং সাবধান৷

Adresse

Bonn

Benachrichtigungen

Lassen Sie sich von uns eine E-Mail senden und seien Sie der erste der Neuigkeiten und Aktionen von Arafatul Islam erfährt. Ihre E-Mail-Adresse wird nicht für andere Zwecke verwendet und Sie können sich jederzeit abmelden.

Service Kontaktieren

Nachricht an Arafatul Islam senden:

Videos

Teilen