Md Saimum Parvez

Md Saimum Parvez Saimum Parvez, Ph.D. provides research-based academic analysis and insights on society, culture, politics and media on this page. Saimum Parvez Ph.D.

is a casual academic at the Department of Government and International Relations in the University of Sydney, Australia. He is currently on a leave from the North South University, Bangladesh where he holds a Senior Lecturer position at the Department of Political Science and Sociology. He recently obtained his doctorate degree from the University of Sydney. His research interests include violent

extremism, digital media and politics. His recent publications include an article titled "Anatomy of a rigged election in a hybrid regime: the lessons from Bangladesh" and “Bangladeshi Violent Extremists: What do We Know” (both co-authored with Ali Riaz) and a book chapter titled “Explaining Political Violence in Contemporary Bangladesh (2000-2017)” in the Political Violence in South Asia (2018), Routledge, UK. He has been awarded Center for Genocide Studies and United Nations Development Programme (CGS-UNDP) Peace Fellowship 2018. He is also a Fulbright scholar. Email: [email protected]; Twitter: .

02/03/2022

My take on Ukraine Crisis

খালেদা জিয়া, কর্তৃত্ববাদী সরকার এবং বোধহীন সুশীল সমাজ--সাইমুম পারভেজ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ। চিকিৎসক ও নি...
05/12/2021

খালেদা জিয়া, কর্তৃত্ববাদী সরকার এবং বোধহীন সুশীল সমাজ
--সাইমুম পারভেজ

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ। চিকিৎসক ও নিকটজনদের দেয়া তথ্য মতে, তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সম্প্রতি তার চিকিৎসকেরা সংবাদ সম্মেলনে বেশ পরিষ্কার করেই এই রাজ নৈতিক নেত্রীর সংকটাপন্ন অবস্থার বিবরণ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, এ ধরনের রোগে দেশে চিকিৎসার সুব্যবস্থা নেই; সুচিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু এদিকে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি নিয়ে টালবাহানা করে চলেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা বিষয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারকদের দেয়া বক্তব্য গতানুগতিক রাজনৈতিক বিরোধিতার উর্ধ্বে উঠতে পারছে না। মানবিক আচরণ তো দূরের কথা, মৃত্যুর প্রায় কাছাকাছি চলে যাওয়া এই রাজনৈতিক নেত্রীরকে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত কিনা তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনার একটা বড় অংশ জুড়েই রয়েছে বিচারিক প্রক্রিয়ার আলাপ। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ যেন বড়ই সুষ্ঠু বিচারের দেশ! ভাবে মনে হচ্ছে, এদেশে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো বিচারের রায় দেয়া হয় না, খুনের আসামি রাষ্ট্রপতির নির্দেশে ছাড়া পায় না কিংবা শুধু প্রভাবশালী বাহিনীর আত্মীয় হবার কারণে এদেশে কেউ বিশেষ সুবিধা পায় না! অথচ এর সবকিছুই চলে এদেশে।
শুধু যখন দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেত্রীর জীবন-মরনের প্রশ্ন, তখনই কেমন করে জানি সরকার ভয়ানক আইনের শাসক হয়ে যায়! যখন প্রধান প্রতিপক্ষ শারীরিকভাবে প্রায় অক্ষম, সত্তরোর্ধ, রোগাক্রান্ত, প্রায় মৃত্যুর কাছাকাছি, তখন আওয়ামী লীগের এই প্রচণ্ড আইনপ্রীতি অমানবিকতার আরেকটি উদাহরণ হিসেবেই ধরা দেয়।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে আইন আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সুবিধা নিশ্চিত করতে আর বিরোধীদের দমনে হাতিয়ার হয়ে কাজ করছে। শুধু যারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে তারাই না, দেশে সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত অনেকেই খালেদা জিয়ার এই সংকটপূর্ণ সময়ে আইনের মারপ্যাঁচ সামনে এনে বরাবরের মতোই আওয়ামী স্বার্থরক্ষায় কাজ করে চলেছেন।
খালেদা জিয়ার নানা সমালোচনা থাকতে পারে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো বিতর্কিত নির্বাচন তার আমলেই হয়েছে। তিনি হয়ত কোনো “পার্ফেক্ট নেতা” নন। আবার বাঙালির আবেগী মনের কথা আর বয়ানের মোহ যে তিনি তৈরি করতে পারেননি, সেটাও সত্য। তাই বিতর্কিত নির্বাচন করে তার ফায়দাও তিনি নিতে পারেননি।
খালেদার সমালোচকদের অনেকেই বলেন, তিনি খুবই “এলিটিস্ট”। তার প্রধান প্রতিপক্ষের মতো তিনি রান্না করা, মাছ ধরা, রিকশায় ঘুরে বেড়ানোর ছবি দিয়ে মানুষের মন জয় করেন না, করার চেষ্টাও তার মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। তিনি সাধারণ জনগণের নেত্রী নন, এই অভিযোগ করা হয়।
এতসব সমালোচনা সত্ত্বেও তিনি যে বাংলাদেশিদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়, তার বিভিন্ন নজির কিন্তু থেকেই যায়। খালেদা জিয়া সাধারণত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে পাঁচটি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন। কোনো আসনে নির্বাচনে কখনো পরাজিত হওয়ার কোন রেকর্ড নেই তার। সমালোচকদের ভাষ্যমতে তিনি যদি সাধারণের নেত্রীই না হবেন, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে, গ্রামে-গঞ্জে, খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে তিনি কীভাবে এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন, সেটি একটি ধাঁধা। নাকি আমরা নগরের মধ্যবিত্ত আর বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রেণি জনপ্রিয়তার যে মাপকাঠি তৈরি করেছি, নেতা-নেত্রীর যে গুণাবলী আমাদের কাম্য, তা খুবই সংকীর্ণ? নাকি ঢাকা-ভিত্তিক নাগরিক ভ্যালু ঢাকার বাইরে কাদামাটি-ঘনিষ্ট মানুষদের চেয়ে আলাদা? তাই প্রশ্ন জাগে, যে খালেদা জিয়াকে আমি-আপনি আর্ম-চেয়ার বুদ্ধিজীবীতা দিয়ে মাপছি, তিনি কি তার চেয়ে বেশি কিছু ডিজার্ভ করেন ?
খালেদা জিয়ার নগরভিত্তিক সমালোচকেরা তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বক্রক্তি করে থাকে। অথচ একটু খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যায়, এই সমালোচনা আসলে খালেদা জিয়ার অযোগ্যতার চেয়ে যোগ্যতাকেই তুলে ধরে। তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেণি যতোই এই রাজনৈতিক নেত্রীকে ছোট করুক না কেনো, তাদের মানতেই হবে বিএনপিকে পূর্ণাঙ্গ একটি দলে পরিণত করেছে এই খালেদা জিয়ার নেতৃত্বই।
মৃত্যুর আগে জিয়াউর রহমানের চট্টগ্রাম সফরের একটা বড় উদ্দেশ্য ছিল, সে অঞ্চলে দলীয় কোন্দল নিয়ন্ত্রণে আনা। বেঁচে থাকতে জিয়াউর রহমান তার দলের তৃণমূল পর্যায়ের সংকট কাটিয়ে উঠার সুযোগ আর পাননি। জিয়ার জীবদ্দশায় বিএনপি কেবলই একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে উঠেছিল; তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির সংগঠনগুলো তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু তা শক্তিশালী ও বিস্তৃত হয়েছে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই। খালেদা জিয়া সেই “গৃহবধূ” যিনি সামরিক শাসকের হাতে তৈরি একটি রাজনৈতিক দলকে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রধান দলে পরিণত করেছেন; এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেত্রী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে যখন শেখ হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচন করলেন, তখন এই “অশিক্ষিত” নেত্রী আপোস করলেন না। বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের যতোটুকু ছিটেফোঁটা এখনো আছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত এই “অশিক্ষিত” গৃহবধূর কাছেই। তাই খালেদা জিয়াকে ইতিহাসের সাধারণ সমীকরণ দিয়ে মাপা ভুল।
বাংলাদেশে নারীর অধিকার রক্ষায় সোচ্চার অংশটিও সমালোচনা করতে গিয়ে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভূমিকার চাইতে নারী হিসেবে তার বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়েই কথা বলতে পছন্দ করে। খালেদা জিয়ার মেকআপ, আঁকা ভ্রু, শিফন শাড়ি নিয়ে উপহাস করে। এ অংশটিও খালেদাকে কেবল নারী হিসেবে দেখতে চায়, মানুষ হিসেবে না। তাই খালেদার যে মানসিক সৌন্দর্য, তা তাদের আলোচনায় আসে না। একটা উদাহরণ দেই। ১৯৮৯ সালের ২৫ মে খালেদা জিয়া ফারাক্কা বিরোধী লং মার্চে অংশ নিতে দেশের উত্তরাঞ্চল শিবগঞ্জে যান। শিবগঞ্জ ডাকবাংলো থেকে কানসাট প্রায় ১০ কিলোমিটার দূর। মনে করা হয়েছিল, খালেদা জিয়া গাড়িতে করে সেখানে যাবেন, আর মিছিল যাবে হেঁটে। কিন্তু ডাকবাংলো থেকে বের হয়ে খালেদা বললেন, তিনি মিছিলের সঙ্গে হেঁটে যাবেন। এই পুরোটা পথ হাজারো মানুষের সঙ্গে হেঁটে যান খালেদা। লংমার্চ শেষে বাংলাদেশের ন্যায্য পানির হিস্যা দাবি করেন। খালেদা জিয়া যে মানসিক শক্তির জোরে ১০ কিলোমিটার হাঁটেন, গণতন্ত্র রক্ষায় রাজপথে থাকেন, সেই সৌন্দর্যের কথা আমরা ভুলে যাই। ভুলে যাই যে খালেদা জিয়াই নারীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করে লাখো নারীর ক্ষমতায়নের পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন।
এসব আমরা ভুলে যাই, কারণ ইতিহাসের শুধু একটি ধারাকেই বর্তমান সরকার ও তার অনুগতরা সামনে আসতে দেয়। তাদের এই সত্য আড়াল করার প্রয়াসে বাকি সবাই হয়ে যায় ব্রাত্য। দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের যে কৃতিত্ব থাকতে পারে, একটি পরিবার ছাড়া আরও কারো যে অবদান থাকতে পারে, তা আমাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ভুলে থাকতে হয়। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় খালেদা জিয়া বা বিএনপির পক্ষে যায় এমন কোনো কথা বলা, সেটা যতই সত্য হোক, যেন অপরাধ! তাই আমাদের চতুর বুদ্ধিজীবীরা সবসময় ব্যালান্স করে চলে। তারা প্রয়োজন না থাকলেও বিএনপির সমালোচনা করে তারপর নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে ভালোবাসে। সরকার নিয়ন্ত্রিত যাবতীয় প্রচার যন্ত্র ও অনুগত প্রচার বাহিনীও যেন যথেষ্ট নয়। বিরোধী দল ও দুর্বল প্রতিপক্ষ হিসেবে বিএনপির সমালোচনা করা বেশ সহজ। আর এই সহজ কাজটি করতেই পারদর্শী আমাদের বুদ্ধিজীবী শ্রেণী।
এদিকে খালেদা জিয়া যখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন, তখন বিএনপির ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর কীভাবে বিএনপি দল হিসেবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, তা নিয়ে প্রচার মাধ্যমগুলোতে চলেছে জল্পনাকল্পনা। গত কয়েক বছর ধরেই বিএনপি যে ক্ষয়িষ্ণু একটি দল, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এই আলোচনায় কিছু প্রশ্নের উত্তর অবশ্য পাওয়া যায় না। প্রশ্ন থেকে যায়, কেনো হাজারো মামলা, হামলা ও গুমের পরেও তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি এখনো টিকে আছে? প্রশাসনের অনিচ্ছুক শিথিলতা অথবা আওয়ামী কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে এখনো স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা জিতে আসছে? কেনো এখনো আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে? তাহলে কি বিএনপির ক্ষয়, বিএনপির বিনাশ, বিএনপির অন্ধকার ভবিষ্যত — এসব চিন্তার পিছনে যতটা না সত্যতা, তার চেয়ে বেশি কর্তৃত্ববাদী সরকারের বেঁধে দেয়া ন্যারেটিভই দায়ী?
অথচ এখন বিএনপির ভবিষ্যত কী, এই চিন্তার চেয়ে বেশি জরুরি ছিল বাংলাদেশের ভবিষ্যত চিন্তা করা। বিএনপির মতো মধ্যপন্থী একটি দলের উপস্থিতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য যে খুবই জরুরি, সেই উপলব্ধিটা গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপির অনুপস্থিতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে শূন্যস্থান তৈরি করবে, তা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। দুর্বল বিএনপি বা বিএনপি শূন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক জগৎ কর্তৃত্ববাদী একক নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করবে, উগ্রপন্থার উত্থান ত্বরান্বিত করবে।
বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য বিএনপি ও খালেদা জিয়া উভয়েরই বেঁচে থাকা জরুরি। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বিদেশে পাঠিয়ে খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে, এমন আলামত এখনো দেখা যাচ্ছে না। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। অন্তত: একজন মৃত্যু পথযাত্রীকে বাঁচানোর যে তাড়না আমাদের মানুষ করে তোলে, তার কিছুটা হলেও এই সরকারের আছে, আপাতত এটুকু দেখার আশাবাদ রাখছি।●
সাইমুম পারভেজ, গবেষক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক।

বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য বিএনপি ও খালেদা জিয়া উভয়েরই বেঁচে থাকা জরুরি।

শ্রমিকের সস্তা জীবন, মায়ের আহাজারি আর ধনীর ‘উন্নয়ন’সাইমুম পারভেজ১৭ এপ্রিল ২০২১-তে প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি ছবিতে চোখ আটক...
20/04/2021

শ্রমিকের সস্তা জীবন, মায়ের আহাজারি আর ধনীর ‘উন্নয়ন’
সাইমুম পারভেজ

১৭ এপ্রিল ২০২১-তে প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি ছবিতে চোখ আটকে যায়। ১৮ বছর বয়সী এক শ্রমিকের লাশের ছবি। মনে হচ্ছে এখনো তারুণ্য না পার হওয়া ছেলেটি নির্বিঘ্নে ঘুমাচ্ছেন আর সন্তানের মুখ দুই শীর্ণ হাতে আঁকড়ে ধরে আছেন মা। ছবির ক্যাপশন পড়ে বুঝলাম মা মাথা নিচু করে আহাজারি করছেন। মা আর মৃত সন্তানের এ ছবিটির মতো হৃদয়বিদারক এ পৃথিবীতে কি আর কিছু আছে? অথচ এই গল্পটি অন্য রকম হতে পারত। যে বকেয়া বেতনের জন্য প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরলেন, সেই বেতনে হয়তো তরুণটি মায়ের জন্য একটি নতুন শাড়ি কিনে আনতে পারতেন। মায়ের চোখে অশ্রুর বদলে থাকতে পারত সুখের হাসি।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে নিহত শ্রমিকদের বয়স ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে। জীবন শুরু করতে না করতেই শেষ হয়ে গেল। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে শুরু থেকেই জনমানুষের বিরোধিতা ছিল। এর আগেও এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে প্রাণহানি ঘটেছে। আমাদের এই দেশে গরিবের মৃত্যু সহজ, সংক্ষিপ্ত আর খুব সস্তা। তাই কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিপূরণে মুখ বন্ধ হয়ে যায় সবার। হত্যাকাণ্ডের কোনো সুষ্ঠু বিচার হয় না।

বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন যেকোনো দেশেই স্বাভাবিক ঘটনা। আন্দোলন ঠেকানোর তো নানা উপায় আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি করে মেরে ফেলার মতো ঘটনা বারবার কেন ঘটছে, তার কারণ বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। সাধারণত কর্তৃত্ববাদী সরকারব্যবস্থায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভয়ের সংস্কৃতি সমাজের সব স্তরে জারি রাখা প্রয়োজন হয়, তারই ধারাবাহিকতায় যেকোনো ধরনের প্রতিবাদ ও আন্দোলনকে কঠোর হাতে দমন করা জরুরি হয়ে পড়ে।
সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর জন্য এখন সবচেয়ে বড় হুমকি যে কোনো ধরনের গণ-আন্দোলন। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সম্ভবত জানেন যেকোনোভাবে আন্দোলন ঠেকাতে হবে। তাই প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো সংযম দেখা যাচ্ছে না। তারা হয়তো এটাও জানেন যে তাদের এ ধরনের আচরণ সরকারের সমর্থন পাবে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে সরাসরি সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়, এমন ক্ষেত্রেও কেন সরকার এত কঠোর। বাংলাদেশের বিগত নির্বাচনগুলো ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ। এমন একটি বাস্তবতায় বর্তমান সরকার তার ক্ষমতায় থাকার বিষয়টিকে বৈধতা দিতে উন্নয়নের বয়ানকে ব্যবহার করছে। যে কোনো ধরনের ‘উন্নয়ন’ কাজে ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিরোধী নানা কর্মকাণ্ড ঘটে, যার বিরোধিতাও হয়। এই উন্নয়নের পথযাত্রায় দেশের মানুষ কতটা লাভবান হচ্ছে সেই প্রশ্ন থাকলেও একটি শ্রেণি যে লাভাবান হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই ক্ষমতার আশপাশে থাকা যেকোনো গোষ্ঠীর বিনিয়োগের বিরুদ্ধে আন্দোলনকেও ‘উন্নয়নবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে বলে আমরা শুনে আসছি। উন্নয়নের এই স্তুতি দেশের গণ্ডি ছড়িয়ে দেশের বাইরেও শোনা যায়। বিশ্বব্যাংক আর আইএমএফও তাদের উন্নয়নের সফলতা দেখাতে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে। মানব উন্নয়ন সূচকের নানা ধারায় বাংলাদেশ কীভাবে দ্রুতগতিতে উন্নতি করছে, তা নিয়ে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। সুশাসন, শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়াও বাংলাদেশ কীভাবে উন্নয়ন করছে, তা অনেকের কাছে একটি ধাঁধা। তবে বাংলাদেশের এই দ্রুত উন্নতির প্রতিফলন কি সমাজের সব স্তরে রয়েছে নাকি অল্প কিছু মানুষ ফুলে-ফেঁপে উঠছেন, তা একটি জরুরি প্রশ্ন।

আর এই কথিত উন্নয়নের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলা দরকার। ২০২০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণায় দেখা যায়, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে। এমনকি করোনা মহামারি আসার আগেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধনী-গরিব বৈষম্যও বেড়েছে। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০১৭-১৮: প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ অনুযায়ী বাংলাদেশে ধনীরা আরও ধনী আর গরিবেরা আরও গরিব হচ্ছেন। সবচেয়ে দরিদ্র ৫ শতাংশের খানাপ্রতি আয় (হাউজহোল্ড ইনকাম) ২০০৫ সালে ছিল ১ হাজার ১০৯ টাকা। ২০১৬ সালে তা কমে ৭৩৩ টাকা হয়। আর ধনী ৫ শতাংশের ২০০৫ সালে খানাপ্রতি আয় ছিল ৩৮ হাজার ৭৯৫ টাকা। এই আয় ২০১৬ সালে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮ হাজার ৯৪১ টাকায়।

তাই যে ব্যবস্থার মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ বসবাস করছে, তা যেন কেবল ধনিক শ্রেণির সুবিধা দেখে আর ওপরে ওঠার সিঁড়ি তৈরি করে দেয়। আর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ কোনো ইস্যুতে প্রতিবাদ করলেই ধেয়ে আসে জুলুম, তাদের সেই সব দাবি-দাওয়া যত ন্যায্য ও ন্যায়সংগতই হোক না কেন। ধনীর জামিন হয় আদালতে না এসেই, তাদের দুয়ারে উপস্থিত থাকে উড়োজাহাজ। যাঁরা গণতন্ত্রের কমতিকে উন্নয়নের খাতিরে বৈধতা দিতে চান, গণতন্ত্রের প্রশ্নে চীনের মডেলকে কার্যকরী মনে করেন, তাঁরা ভুলে যান চীনের মডেলে লুটেরাতন্ত্র আর দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না।

কোনো ধরনের সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি না নিয়ে, শুধু ধনিক শ্রেণি তোষণ করে যে উন্নয়ন, তা একদিকে সমাজে বৈষম্য বাড়ায় আর অন্যদিকে গণতন্ত্রহীনতাকেও বৈধতা দেয়। তাই আমরা না পাই গণতন্ত্র, না পাই সত্যিকারের উন্নয়ন। আমরা পাই শ্রমিকের রক্ত-ঘামে ধনীর উল্লম্ফন, আর গরিবের দীর্ঘশ্বাস ভরা ‘উন্নয়ন’।

সাইমুম পারভেজ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক।

সুশাসন, শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়াও বাংলাদেশ কীভাবে উন্নয়ন করছে, তা অনেকের কাছে একট....

আজকের প্রথম আলোয় আমার লেখা।বিশ্বব্যপী কিভাবে কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করছে? " বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্...
11/04/2021

আজকের প্রথম আলোয় আমার লেখা।
বিশ্বব্যপী কিভাবে কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করছে?
" বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ববাদী সরকারের ডিজিটাল মিডিয়ার ওপর নিবর্তনমূলক নিয়ন্ত্রণের একটি বড় কারণ হচ্ছে জনভিত্তি না থাকা। নিয়ন্ত্রণের এই কৌশলগুলোর প্রায় সবই বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী মতকে দমনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এই কৌশলগুলো কর্তৃত্ববাদী সরকারব্যবস্থাকে দীর্ঘ মেয়াদে টিকিয়ে রাখতে ও নাগরিক অধিকারকে হরণ করতে কার্যকরী, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে যত দিন এই ধরনের নিবর্তনমূলক নীতি থেকে সরকারকে নিবৃত্ত করা না যাবে, তত দিন সত্যিকারের গণতন্ত্র চর্চা ও প্রতিষ্ঠা অধরাই থাকবে।"

ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রসারের শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকার কারণে সাধারণ মানুষ অবাধ তথ্যপ্রবা...

4th Episode: "৫০ বছর পূর্তিতে প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন কি সামনের দিনে টেকসই হবে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশাল...
21/03/2021

4th Episode: "৫০ বছর পূর্তিতে প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন কি সামনের দিনে টেকসই হবে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়ে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবে, নাকি বাংলাদেশ একটি পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হবে? কেবল প্রবৃদ্ধির হিসাব নয়, বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে এক ধরনের অংশগ্রহণমূলক অর্থনীতি তৈরি হবে কি না। বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থানের সঠিক ব্যবহার দেশটিকে ভবিষ্যতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে, কিন্তু তা নির্ভর করবে গণতান্ত্রিক স্থিতিশীল রাজনীতি প্রতিষ্ঠা ও সঠিক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের ওপর; বাংলাদেশের আগামীর পথরেখা কি সেই দিকে?"

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে যে কথা বারবার বলা হচ্ছে এবং হবে, তা হ....

"ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতার বাইরের দলগুলো ইসলামপন্থীদের, বিশেষ করে রক্ষণশীল ইসলামপন্থীদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার কারণে সমাজ...
20/03/2021

"ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতার বাইরের দলগুলো ইসলামপন্থীদের, বিশেষ করে রক্ষণশীল ইসলামপন্থীদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার কারণে সমাজে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি তাদের শক্তির চেয়ে বেশি প্রভাবশালী হয়ে পড়েছে। রাজনীতির আলোচনার সূচি অংশত তারাই নির্ধারণ করছে। আশু এই অবস্থার অবসানের সম্ভাবনা নেই। উপরন্তু তা আরও বিস্তৃত হবে বলেই অনুমান করা যায়।"
বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি নিয়ে প্রথম আলোয় চার পর্বের ধারাবাহিকের তৃতীয় পর্ব পড়ুন।

১৯৭২ সালে রচিত বাংলাদেশের সংবিধানে সেক্যুলারিজমকে একটি রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। বাংলায় একে বলা হয় ‘ধ....

বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি নিয়ে চার পর্বের ধারবাহিকের ২য়টি পড়ুন আজকের (১৯ মার্চ ২০২১) প্রথম আলোয়। এই পর্বে প্রফেসর আলী রীয়...
19/03/2021

বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি নিয়ে চার পর্বের ধারবাহিকের ২য়টি পড়ুন আজকের (১৯ মার্চ ২০২১) প্রথম আলোয়। এই পর্বে প্রফেসর আলী রীয়াজ ও আমি লিখেছি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎযাত্রা নিয়ে।
"নিয়ম রক্ষার নির্বাচন, নিয়ন্ত্রিত বিরোধী দল ও গণতন্ত্র রক্ষার বাকসর্বস্ব বুলি নিয়ে বাংলাদেশে এখন কেবল গণতন্ত্রের একটি খোলস পড়ে রয়েছে। অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা, তা থেকে দেশ এখন অনেক দূরে।"

একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ৫০ বছর পূরণ করতে যাচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এমন একটি মাইলফলক, যখন এই দ...

প্রথম আলো সংবাদপত্রে পরপর ৪ দিন (১৮-২১ মার্চ) প্রফেসর আলী রীয়াজ ও আমি যৌথভাবে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি নিয়ে এই ৪টি কলাম ...
18/03/2021

প্রথম আলো সংবাদপত্রে পরপর ৪ দিন (১৮-২১ মার্চ) প্রফেসর আলী রীয়াজ ও আমি যৌথভাবে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি নিয়ে এই ৪টি কলাম লিখেছি। অনলাইনে পড়তে পারেন নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে।

৫০ বছর আগে বাংলাদেশ যখন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, তখন পৃথিবীর মনোযোগ আকর্ষণ না করলেও স্বাধীনতা...

02/03/2021

নিপীড়নমূলক বলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল বা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। এই আইন বাতিল বা সংস্কার করলে কি সমাধান আসবে? নিপীড়ন বন্ধ হবে? নাকি সমস্যার মূল আরো গভীরে?

02/03/2021

বাংলাদেশে কি বাক-স্বাধীনতা রয়েছে? মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রন করার মেকানিজম কি কি?

02/03/2021

অনেকেই রাষ্ট্র ও সরকার কে এক করে ফেলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিবৃতিতে বলার চেষ্টা করা হয় সরকারের সমালোচনা করা অপরাধ। আসলেই কি তাই?

01/03/2021

বাংলাদেশে খুনের আসামীর জামিন হয়, দন্ডিত খুনী আদালতে হাজিরা না দিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্তি পান, কিন্তু সমালোচকের কেন জামিন হয়না?
কেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সরকারের এত প্রয়োজন? কিভাবে কর্তৃত্ববাদী সরকার নিয়ন্ত্রন করে মিডিয়া?
আলোচনা করেছি এসব বিষয় নিয়ে। দেখুন, আপনার মতামত দিন।

07/02/2021

আলজাজিরার ডকুমেন্টারি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সরকারের সমর্থকরা বলছেন এই ডকুমেন্টারিতে উঠে আসা বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা নেই। দেশের বেশীর ভাগ মিডিয়া ও সুশীল সমাজও এতে তাল দিচ্ছেন।
জাতিসংঘ এসব অভিযোগের তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করছে। আপনার এ বিষয়ে কি মতামত?

Snowfall!
17/01/2021

Snowfall!

15/01/2021

নামে গণতান্ত্রিক হলেও বিশ্বের অনেক সরকারই স্বৈরাচারী। স্বৈরাচারী সরকার চেনার উপায় কি? বাংলাদেশের সরকার কি ধরনের সরকার?

05/01/2021

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা। গবেষকদের মতে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে সাম্প্রতিক বাংলাদেশে "গণতন্ত্রের মৃত্যু" ঘটে এবং স্বৈরতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়।
কি হয়েছিল এই নির্বাচনে? এই ভিডিও তে নির্বাচনে জালিয়াতির বিভিন্ন মেকানিজম আলোচনা করা হয়েছে। সেইসাথে আলোকপাত করা হয়েছে ২০১৮ নির্বাচনের পরে বর্তমান রাজনীতির ভবিষ্যত সম্পর্কেও।

Adresse

Breite Strasse
Bonn

Webseite

Benachrichtigungen

Lassen Sie sich von uns eine E-Mail senden und seien Sie der erste der Neuigkeiten und Aktionen von Md Saimum Parvez erfährt. Ihre E-Mail-Adresse wird nicht für andere Zwecke verwendet und Sie können sich jederzeit abmelden.

Service Kontaktieren

Nachricht an Md Saimum Parvez senden:

Videos

Teilen

Kategorie


Andere Video Creator in Bonn

Alles Anzeigen