07/05/2025
অপারেশন সিঁদুর: নয়টি সন্ত্রাস ঘাঁটিতে একযোগে আঘাত, জেগে উঠল ভারতীয় শক্তি
তারিখ: ৭ মে, ২০২৫
প্রতিবেদক: নিজস্ব সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি
ভারতের ইতিহাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রাত। গতকাল, ৬ মে রাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এক যুগান্তকারী ও সফল সামরিক অভিযান চালায়, যার নাম দেওয়া হয়েছে “অপারেশন সিঁদুর”। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত নয়টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে একযোগে বিমান, স্থল ও স্যাটেলাইট সমন্বয়ে ব্যাপক হামলা চালানো হয়।
---
অভিযানের প্রেক্ষাপট: প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে ভারত
২২ এপ্রিল, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৬ জন নিরীহ ভারতীয় নাগরিক। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, এই হামলার পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ হয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতেই। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রতিরক্ষা দপ্তর “সুনির্দিষ্ট প্রতিশোধমূলক অভিযান”-এর নীল নকশা তৈরি করে, যার নাম হয় অপারেশন সিঁদুর—এক প্রতীকী নাম, যা ভারতের বিজয় ও আত্মত্যাগের রং বহন করে।
---
অভিযান কিভাবে পরিচালিত হয়
রাত ১২টা থেকে ভোর ৩টার মধ্যে অত্যন্ত গোপনে চালানো হয় অপারেশন।
বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, সিয়ালকোট, কোটলি-সহ মোট ৯টি ঘাঁটিতে একযোগে বায়ুসেনার প্রিসিশন স্ট্রাইক, সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে ৯৫% এর বেশি সাফল্য অর্জন হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি।
বিমানবাহিনীর SU-30 এবং Mirage 2000 যুদ্ধবিমান এই অভিযানে অংশ নেয়।
---
প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নজরদারি
অভিযান চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে সাউথ ব্লকের ওয়ার রুম থেকে পুরো অপারেশন পর্যবেক্ষণ করেন। পাশে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান এবং NSA (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) অজিত ডোভাল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,
> “ভারতের নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে কখনো আপোস করা হবে না। অপারেশন সিঁদুর আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার এবং সামর্থ্য দুটোই প্রমাণ করে দিয়েছে।”
---
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ও দাবি
পাকিস্তান এই অভিযানকে "যুদ্ধের উস্কানি" বলে অভিহিত করেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, হামলায় অন্তত ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছে। আরও দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনীর ৫টি যুদ্ধবিমান তারা গুলি করে নামিয়েছে, যদিও এর কোনও স্বতন্ত্র প্রমাণ মেলেনি।