28/02/2024
এক নজরে বরগুনা-
বরগুনা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর উত্তরে ঝালকাঠি জেলা, বরিশাল জেলা, পিরোজপুর জেলা ও পটুয়াখালী জেলা, দক্ষিণে পটুয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে পটুয়াখালী জেলা, পশ্চিমে পিরোজপুর জেলা ও বাগেরহাট জেলা।
বরগুনা জেলা ৬টি উপজেলা, ৬টি থানা, ৪টি পৌরসভা, ৪২টি ইউনিয়ন ও ২টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। এর মোট আয়তন ১,৮৩১.৩১ বর্গকিমি (৭০৭.০৭ বর্গমাইল)।
নামকরণ:
বরগুনা নামের ইতিহাসের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য না পাওয়া গেলেও জানা যায় যে, উত্তরাঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা এতদ্ঞ্চলে কাঠ নিতে এসে খরস্রোতা খাকদোন নদী অতিক্রম করতে গিয়ে অনুকূল প্রবাহ বা বড় গোনের জন্য এখানে অপেক্ষা করত বলে এ স্থানের নাম বড় গোনা। কারো মতে আবার স্রোতের বিপরীতে গুন(দড়ি) টেনে নৌকা অতিক্রম করতে হতো বলে এ স্থানের নাম বরগুনা । কেউ কেউ বলেন , বরগুনা নামক কোন প্রতাপশালী রাখাইন অধিবাসীর নামানুসারে বরগুনা । আবার কারো মতে বরগুনা নামক কোন এক বাওয়ালীর নামানুসারে এ স্থানের নামকরণ করা হয় বরগুনা ।
চিত্তাকর্ষক স্থান:
বেতাগীতে বিবি চিনি মসজিদ, তালতলীর বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ একাডেমী, পাথরঘাটার হড়িণঘাটার লালদিয়া সমুদ্রসৈকত, সোনাকাটা সমুদ্র সৈকত ও সোনাকাটা ইকোপার্ক, ফাতরার বন, বিহঙ্গ দ্বীপ বা ধানসিড় চর,
তালতলীর শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত, ইত্যাদি।
বিখ্যাত খাবার:
বরগুনা জেলা নারিকেল ও সুপারির জন্য বিখ্যাত।এছাড়াও বরগুনার বিখ্যাত খাবার -চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি, তালের মোরব্বা, শিরনি, নাড়িকেলের সুরুয়া, চালের রুটি, ইলিশ মাছ, মিষ্টি।
অর্থনীতি:
বরগুনা এর অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। প্রধান শস্য ধান, চিনাবাদাম,সরিষা,সূর্যমুখী ও বিভিন্ন ধরনের ডাল। একসময় পাট চাষ হত, কিন্তু তা অর্থকারী ফসল হিসেবে জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলে। উপকূলবর্তী জেলা হওয়ায়, বরগুনার অনেকেই জেলের কাজ করে।
শিক্ষা:
বর্তমানে বরগুনা জেলার সাক্ষরতার হার ৬০ শতাংশের বেশি। বরগুনা জেলায় ভালো মানের ব্যাপক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করা আমাদের প্রিয় বরগুনা জেলার শুভ জন্মদিনে বরগুনা ও বরগুনাবাসির জন্য রইলো অসংখ্য শুভ কামনা।💐🌹
©️