19/08/2022
জ্ঞানের বাতিঘর
ড.সলিমুল্লাহ খান স্যারের সাথে আমার পরিচয় হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের মারফতে। বছর দুয়েক হলো খান স্যারের সাথে কথা বিনিময় হয় বিভিন্ন মাধ্যমযোগে। জসিম বুক হাউজ প্রকাশিত আমার লেখা ১ম গ্রন্থ "শিক্ষা সঞ্জীবনী" এর মুখবন্ধ নমস্য খান স্যার অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে লিখে দিয়েছিলেন। কিছুকাল পূর্বে সলিমুল্লাহ খান স্যার তাঁর অনূদিত কবিতার বই "উহারা বাতাসে" আমাকে উপহার পাঠিয়েছিলেন। এ বছরের ১৮ মে আমি দেখা করি খান স্যারের সাথে, এক ঘন্টার মতো আলাপ হয়েছিল। সেই একঘন্টা আমার জীবনের আনন্দময় সময়ের উল্লেখযোগ্য অংশ। এ সময় আমার সাথে ছিলেন আমার মেন্টর ড. রঞ্জিত পোদ্দার স্যার। মহান মানুষেরা তাঁদের অধীনস্থদের আগলে রাখেন, যত্ন নেন। তেমন মানুষ হলেন আমাদের শিক্ষক ড. রঞ্জিত স্যার ও ড. সলিমুল্লাহ খান স্যার। আমার দেখা মতে,এই দুজনই মাটির নরম মন নিয়ে বেঁচে আছেন এই ইটওয়ালা কীটের শহরে।
আজ ড.সলিমুল্লাহ খান স্যারের জন্মদিন, ৬৫ বছরে পা দিলেন আমার প্রিয় খান স্যার। ড.সলিমুল্লাহ খান স্যারকে নিবেদেন করে বিধান রিবেরু তাঁর একটি লেখাতে উল্লেখ করেছেন " আমি সেই বৃক্ষের তলায় ফল কুড়ানো বালকমাত্র।" বিধান রিবেরু যদি ড. সলিমুল্লাহ খান স্যারের জ্ঞানবৃক্ষের তলায় ফল কুড়ানো বালক হয়ে থাকেন সে তুলনায় আমি তো নবজাতক। নমস্য খান স্যার আপনি দীর্ঘ,সুস্থ,সুন্দর, আনন্দময় জীবন উপভোগ করুন।
সুস্থ, সুন্দর, শৈল্পিকতার বন্ধুর পথে আপনাকে আমাদের প্রয়োজন কারণ বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তার জগতে আপনি আমাদের প্রিয়জন। আবারো জন্মদিনের শুভেচ্ছা আমাদের প্রিয় ড.সলিমুল্লাহ খান স্যার।
লেখক: মুস্তাফিজ সৈয়দ
শিক্ষার্থী, এম.এড, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, সিলেট।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানের ৬৪তম জন্ম দিবস আজ।
তিনি একাধারে একজন শিক্ষক, বক্তা, লেখক, গবেষক, দার্শনিক, আইনজ্ঞ, সাহিত্য সমালোচক, রাজনীতি বিশ্লেষক এবং চিন্তক।
সলিমুল্লাহ খানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কক্সবাজারে। তিনি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। স্নাতক ডিগ্রি নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে, পরে যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের দ্য নিউ স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন। এখানে তার অভিসন্দর্ভের বিষয় ছিল ‘ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং তত্ত্ব, ১৭৯৩-১৮৭৭’। এ অভিসন্দর্ভের জন্য তাকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়।
তিনি পাঁচ ভাই তিন বোনের মধ্যে চতুর্থ। তাঁর বাবা ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। শিক্ষকতা জীবন শুরু করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ব্যবসা প্রশাসন ইন্সটিটিউটে (আইবিএ) পড়িয়েছেন কিছুদিন। হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট সদস্যও। এক যুগেরও বেশি সময় ভিনদেশে জ্ঞানার্জন শেষে নিজ দেশে ফিরে বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) অধ্যাপক হিসেবে স্থায়ী হয়েছেন। পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ইউল্যাবে স্থাপিত সেন্টার ফর এডভান্সড থিওরির।
বাংলা ভাষায় শিক্ষার বিস্তার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহার নিয়ে তার প্রস্তাবনা রয়েছে। পশ্চিমা চিন্তাধারা ও বক্তব্যকে ঔপনিবেশিক এবং সাম্রাজ্যবাদী লিগ্যাসির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি শার্ল বোদলেয়ার, জাঁক লাকা, ওয়াল্টার বেঞ্জামিন, মিশেল ফুকো, ফ্রানৎস ফানোঁ, লেভি স্ত্রস, এডওয়ার্ড সাঈদ, তালাল আসাদ ও অন্যান্যদের ওপর লেখালেখি করেছেন। বাংলায় পশ্চিমা দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ ভাষ্যকার হিসেবে তিনি পরিচিত।
যুক্তি নির্ভর কথা, গভীর দার্শনিক আলোচনা, বস্তুনিষ্ট উপস্থাপনার পাশাপাশি তিনি বইও লেখেন। সলিমুল্লাহ খান আব্দুর রাজ্জাকের বিখ্যাত বক্তব্যের ওপর একটি বই লেখেন। ১৯৮১ সালের বইটির নাম ‘বাংলাদেশ: স্টেট অব দ্য নেশন’। যা পরে ‘বাংলাদেশ: জাতীয় অবস্থার চালচিত্র’ নামে অনূদিত হয়। অন্যান্য আলোচিত বইয়ের মধ্যে আছে বেহাত বিপ্লব ১৯৭১ (সম্পাদনা) , সত্য সাদ্দাম হোসেন ও স্রাজেরদৌলা, আমি তুমি সে, সাইলেন্স: অন ক্রাইম অব পাওয়ার, আহমদ ছফা সঞ্জীবনী, স্বাধীনতা ব্যবসায়, আহমদ ছফার স্বদেশ, আদমবোমা, সক্রাতেসের তিন বাগড়া,উহারা বাতাসে প্রভৃতি।
২য় অংশ
জ্ঞানের বাতিঘর
ড.সলিমুল্লাহ খান স্যারের সাথে আমার পরিচয় হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের মারফতে। বছর দুয়েক হলো খান স্যারের সাথে কথা বিনিময় হয় বিভিন্ন মাধ্যমযোগে। জসিম বুক হাউজ প্রকাশিত আমার লেখা ১ম গ্রন্থ "শিক্ষা সঞ্জীবনী" এর মুখবন্ধ নমস্য খান স্যার অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে লিখে দিয়েছিলেন। কিছুকাল পূর্বে সলিমুল্লাহ খান স্যার তাঁর অনূদিত কবিতার বই "উহারা বাতাসে" আমাকে উপহার পাঠিয়েছিলেন। এ বছরের ১৮ মে আমি দেখা করি খান স্যারের সাথে, এক ঘন্টার মতো আলাপ হয়েছিল। সেই একঘন্টা আমার জীবনের আনন্দময় সময়ের উল্লেখযোগ্য অংশ। এ সময় আমার সাথে ছিলেন আমার মেন্টর ড. রঞ্জিত পোদ্দার স্যার। মহান মানুষেরা তাঁদের অধীনস্থদের আগলে রাখেন, যত্ন নেন। তেমন মানুষ হলেন আমাদের শিক্ষক ড. রঞ্জিত স্যার ও ড. সলিমুল্লাহ খান স্যার। আমার দেখা মতে,এই দুজনই মাটির নরম মন নিয়ে বেঁচে আছেন এই ইটওয়ালা কীটের শহরে।
আজ ড.সলিমুল্লাহ খান স্যারের জন্মদিন, ৬৫ বছরে পা দিলেন আমার প্রিয় খান স্যার। ড.সলিমুল্লাহ খান স্যারকে নিবেদেন করে বিধান রিবেরু তাঁর একটি লেখাতে উল্লেখ করেছেন " আমি সেই বৃক্ষের তলায় ফল কুড়ানো বালকমাত্র।" বিধান রিবেরু যদি ড. সলিমুল্লাহ খান স্যারের জ্ঞানবৃক্ষের তলায় ফল কুড়ানো বালক হয়ে থাকেন সে তুলনায় আমি তো নবজাতক। নমস্য খান স্যার আপনি দীর্ঘ,সুস্থ,সুন্দর, আনন্দময় জীবন উপভোগ করুন।
সুস্থ, সুন্দর, শৈল্পিকতার বন্ধুর পথে আপনাকে আমাদের প্রয়োজন কারণ বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তার জগতে আপনি আমাদের প্রিয়জন। আবারো জন্মদিনের শুভেচ্ছা আমাদের প্রিয় ড.সলিমুল্লাহ খান স্যার।
লেখক: মুস্তাফিজ সৈয়দ
শিক্ষার্থী, এম.এড, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, সিলেট।