22/01/2024
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীকে নেকাব না খোলায় ভাইবা পরীক্ষার অনুমতি না দেওয়া দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের সাথে স্পষ্ট ধৃষ্টতা : ইসলামী ছাত্র মজলিস
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, এ দেশ হচ্ছে শতকরা ৯২ শতাংশ মুসলমানদের দেশ। এদেশের মুসলমানের জীবনাচরণ শুধুমাত্র ধর্মীয় বিধান নয় বরং সংস্কৃতির-ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুতরাং ইসলামী কোন নিয়ম কিংবা বিধান -কে অবমাননা করা স্পষ্টত এদেশের সংস্কৃতিতে অবমাননা করার নামান্তর। নেতৃদ্বয় বলেন, এরকমই ইসলাম ও সংস্কৃতিকে আঘাত করার মতো হীন কাজ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ভাইবা বোর্ড।
উল্লেখ্য, গত মাসের ১৩ তারিখ ইবি'র হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল ভাইবা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে একজন শিক্ষার্থী ধর্মীয় আবশ্যকীয় বিধান পালনের অংশ হিসেবে নেকাব খুলে ভাইবা দিতে অসম্মতি জানানোর কারণে ভাইবা বোর্ড তার পরীক্ষা নেয়নি। ভাইবা না নেওয়ার কারণ হিসেবে বোর্ড সঠিক শিক্ষার্থী চিহ্নিত করা দুরূহ বলে উল্লেখ করে, উপরন্তু শিক্ষার্থী নারী শিক্ষক দ্বারা প্রয়োজনবোধে তাকে চিহ্নিত করার অনুরোধ জানায়; কিন্তু ভাইবা বোর্ড তা অগ্রাহ্য করে।
নেতৃদ্বয় বলেন, প্রযুক্তির এই সময়ে চেহারা দেখে শিক্ষার্থী চিহ্নিত করা যুগের বিবেচনায় পশ্চাৎপদ নীতি। তাছাড়া ভাইবা বোর্ডের সদিচ্ছা থাকলে শিক্ষার্থী-কে নারী শিক্ষকদের দ্বারা চিহ্নিত করে নিশ্চিত হওয়া যেতো। কিন্তু এক্ষেত্রে ভাইবা বোর্ড ভাইবা নেওয়ার চেয়ে ইসলাম ধর্মের নীতিকে পর্যুদস্ত করার প্রতি-ই বেশি মনযোগী ছিল। যার জন্য তারা ইচ্ছে করে-ই নেকাব না খোলায় ভাইবা নেয়নি ঐ শিক্ষার্থীর।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ৪১ নং অনুচ্ছেদে ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এভাবে নেকাবের অজুহাতে ভাইবা না নেওয়া স্পষ্ট-ই সাংবিধানিকভাবে ধর্মচর্চা বিরোধী এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা পরিপন্থী। এই অসাংবিধানিক কাজের জন্য অবশ্যই ঐ ভাইবা বোর্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভাইবা দিতে না পারা শিক্ষার্থীর ফলাফল পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
সংযুক্তি: সেদিন ভাইবা বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি ড. শিমুল রায়, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উম্মে সালমা এবং বিভাগের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।
বার্তা প্রেরক
জাকারিয়া হোসাইন জাকির
কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক