Surah Al-Zalzalah | সূরা যিলযাল | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 99/ ৯৯
Surah Al-Zalzalah | সূরা যিলযাল | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 99/ ৯৯
(1
إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا
যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে,
When the earth is shaken to her (utmost) convulsion,
(2
وَأَخْرَجَتِ الْأَرْضُ أَثْقَالَهَا
যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।
And the earth throws up her burdens (from within),
(3
وَقَالَ الْإِنسَانُ مَا لَهَا
এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ?
And man cries (distressed): 'What is the matter with her?'-
(4
يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا
সেদিন সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে,
On that Day will she declare her tidings:
(5
بِأَنَّ رَبَّكَ أَوْحَى لَهَا
কারণ, আপনার পালনকর্তা তাকে আদেশ করবেন।
For that thy Lord will have given her inspiration.
(6
يَوْمَئِذٍ يَصْدُرُ النَّاسُ أَشْتَاتًا لِّيُرَوْا أَعْمَالَهُمْ
সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়।
On that Day will men proceed in companies sorted out, to be shown the deeds that they (had done).
(7
فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ
অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে
Then shall anyone who has done an atom's weight of good, see it!
(8
وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।
And anyone who has done an atom's weight of evil, shall see it.
সূরা যিল্যাল(আরবি: سورة الزلزلة) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৯৯ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১। যিল্যাল সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এই সূরার বিষবস্তু হচ্ছে, মৃত্যুর পর মানুষের দ্বিতীয় জীবনের সূত্রপাত কিভাবে হবে এবং মানুষের জন্য তা হবে কেমন বিস্ময়কর ও সেখানে দুনিয়ায় করা সমস্ত কাজের হিসাব মানুষের সামনে এসে যাওয়া। হযরত আবী হাতেম হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে যে রেওয়ায়েতটি উদ্ধৃত করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছেঃ যখন আয়াতটি নাযিল হয় তখন আমি রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি আমার আমল দেখবো? তিনি জবাব দিলেন, হাঁ। আমি বললাম, এই বড় বড় গুণাহগুলিও দেখবো? জবাব দিলেন, হাঁ। বললাম, আর এই ছোট ছোট গুণাহগুলিও? জবাব দিলেন, হাঁ। একথা শুনে আমি বললাম, তাহলে তো আমি মারা পড়েছি। তিনি বল
Surah Al-Adiyat| সূরা আদিয়াত| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 100/ ১০০
Surah Al-Adiyat| সূরা আদিয়াত| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 100/ ১০০
(1
وَالْعَادِيَاتِ ضَبْحًا
শপথ উর্ধ্বশ্বাসে চলমান অশ্বসমূহের,
By the (Steeds) that run, with panting (breath),
(2
فَالْمُورِيَاتِ قَدْحًا
অতঃপর ক্ষুরাঘাতে অগ্নিবিচ্ছুরক অশ্বসমূহের
And strike sparks of fire,
(3
فَالْمُغِيرَاتِ صُبْحًا
অতঃপর প্রভাতকালে আক্রমণকারী অশ্বসমূহের
And push home the charge in the morning,
(4
فَأَثَرْنَ بِهِ نَقْعًا
ও যারা সে সময়ে ধুলি উৎক্ষিপ্ত করে
And raise the dust in clouds the while,
(5
فَوَسَطْنَ بِهِ جَمْعًا
অতঃপর যারা শক্রদলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে-
And penetrate forthwith into the midst (of the foe) en masse;-
(6
إِنَّ الْإِنسَانَ لِرَبِّهِ لَكَنُودٌ
নিশ্চয় মানুষ তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ।
Truly man is, to his Lord, ungrateful;
(7
وَإِنَّهُ عَلَى ذَلِكَ لَشَهِيدٌ
এবং সে অবশ্য এ বিষয়ে অবহিত
And to that (fact) he bears witness (by his deeds);
(8
وَإِنَّهُ لِحُبِّ الْخَيْرِ لَشَدِيدٌ
এবং সে নিশ্চিতই ধন-সম্পদের ভালবাসায় মত্ত।
And violent is he in his love of wealth.
(9
أَفَلَا يَعْلَمُ إِذَا بُعْثِرَ مَا فِي الْقُبُورِ
সে কি জানে না, যখন কবরে যা আছে, তা উত্থিত হবে.
(10
وَحُصِّلَ مَا فِي الصُّدُورِ
এবং অন্তরে যা আছে, তা অর্জন করা হবে?
And that which is (locked up) in (human) breasts is made manifest-
(11
إِنَّ رَبَّهُم بِهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّخَبِيرٌ
সেদিন তাদের কি হবে, সে সম্পর্কে তাদের পালনকর্তা সবিশেষ জ্ঞাত।
That their Lord had been Well-acquainted with them, (even to) that Day.?
সূরা আল-আদিয়াত (আরবি: سورة العاديات) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০০ নম্বর সূরা, এর আয়াতের সংখ্যা ১১টি, এর রূকুর সংখ্যা ১টি এবং ৩০ পারা। আ'দিয়াত সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
Sūrat Al-ʿĀdiyāt (Arabic: سورة العاديات, "The Courser, The Chargers") is the 100th sura of the Qur'an with 11 verses (ayat).
Name of the surah:
Hamiduddin Farahi is a celebrated Islamic scholar of Indian subcontinent is known for his groundbreaking work on the concept of Nazm, or Coherence, in the Quran. He writes that Some sūrahs have been given names after some conspicuous words used in them.
Surah Al-Qari'a| সূরা ক্বারিয়াহ| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 101/ ১০১
Surah Al-Qari'a| সূরা ক্বারিয়াহ| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 101/ ১০১
(1
الْقَارِعَةُ
করাঘাতকারী,
The (Day) of Noise and Clamour:
(2
مَا الْقَارِعَةُ
করাঘাতকারী কি?
What is the (Day) of Noise and Clamour?
(3
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْقَارِعَةُ
করাঘাতকারী সম্পর্কে আপনি কি জানেন ?
And what will explain to thee what the (Day) of Noise and Clamour is?
(4
يَوْمَ يَكُونُ النَّاسُ كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوثِ
যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতংগের মত
(It is) a Day whereon men will be like moths scattered about,
(5
وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ الْمَنفُوشِ
এবং পর্বতমালা হবে ধুনিত রঙ্গীন পশমের মত।
And the mountains will be like carded wool.
(6
فَأَمَّا مَن ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ
অতএব যার পাল্লা ভারী হবে,
Then, he whose balance (of good deeds) will be (found) heavy,
(7
فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ
সে সুখীজীবন যাপন করবে।
Will be in a life of good pleasure and satisfaction.
(8
وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ
আর যার পাল্লা হালকা হবে,
But he whose balance (of good deeds) will be (found) light,-
(9
فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ
তার ঠিকানা হবে হাবিয়া।
Will have his home in a (bottomless) Pit.
Sūrat al-Qāriʻah (Arabic: سورة القارعة) is the 101st chapter (sura) of the Quran with 11 verses. This chapter takes its name from its first word "qariah",referring to the Quranic view of the end time and eschatology. "Qariah" has been translated to calamity, striking, catastrophe, clatterer, etc. According to Ibn Kathir, a traditional exegete, Al-Qariah is one of the names of the Day of Judgement, like Al-Haaqqa, At-Tammah, As-Sakhkhah and others. After a picturesque depiction of judgement day in first 5 ayaat, next 4 ayat describe that Allah's Court will be established and the people will be called upon to account for their deeds. The people whose good deeds will be heavier, will be blessed with bliss and happiness, and the people whose good deeds will be lighter, will be cast into the burning fire of hell. The last 2 ayaat describe Háwíyah in similar emphatic way as Al-Qariah was emphasi
Surah At-Takathur | সূরা তাকাসূর | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 102/ ১০২
Surah At-Takathur | সূরা তাকাসূর | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 102/ ১০২
(1
أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ
প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে,
The mutual rivalry for piling up (the good things of this world) diverts you (from the more serious things),
(2
حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও।
Until ye visit the graves.
(3
كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
But nay, ye soon shall know (the reality).
(4
ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
অতঃপর এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
Again, ye soon shall know!
(5
كَلَّا لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ
কখনই নয়; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে।
Nay, were ye to know with certainty of mind, (ye would beware!)
(6
لَتَرَوُنَّ الْجَحِيمَ
তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে,
Ye shall certainly see Hell-Fire!
(7
ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِينِ
অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে দিব্য প্রত্যয়ে,
Again, ye shall see it with certainty of sight!
(8
ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ
এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।
Then, shall ye be questioned that Day about the joy (ye indulged in!).
সূরা আত তাকাসুর মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০২ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮ টি এবং রূকুর সংখ্যা ১। আত তাকাসুর সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
তাকাসুর শব্দটি আরবি: كثرة থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ প্রচুর ধন-সম্পদ সঞ্চয় করা। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও হাসান বসরী (রহঃ) তফসীর করেছেন। এ শব্দটি প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা অর্থেও ব্যবহূত হয়। কাতাদাহ্ (রহঃ) এ অর্থই করেছেন। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) একবার এ আয়াত তেলাওয়াত করে বললেনঃ এর অর্থ অবৈধ পন্থায় সম্পদ সংগ্রহ করা এবং আল্লাহ্র নির্ধারিত খাতে ব্যয় না করা।
শানে নুযূল:
ইবনে আবু হাতেম আবু বুরাইদার (রাঃ) রেওয়ায়েত উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছেঃ বনী হারেসা ও বনিল হারস নামক আনসারদের দুটি গোত্রের ব্যপারে এ সূরাটি নাযিল হয়। উভয় গোত্র পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে প্রথমে নিজেদের জীবিত লোকদের গৌরবগাঁধা বর্ণনা করে। তারপর কবরস্থানে গিয়ে মৃত লোকদের গৌরবগাঁধা বর্ণনা করে
Surah Al-Asr | সূরা আছর| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-103/ ১০৩
Surah Al-Asr | সূরা আছর| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-103/ ১০৩
(1
وَالْعَصْرِ
কসম যুগের (সময়ের),
By (the Token of) Time (through the ages),
(2
إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ
নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত;
Verily Man is in loss,
(3
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।
সূরা আছর মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৩ নম্বর সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩ টি।
সূরা আছর কুরআনের একটি সংহ্মিপ্ত সূরা তবে মুসলামানদের কাছে এটি বেশ তাৎপর্যপূর্ন সূরা এবং অনেক মুসলমান মনে করে মানুষ এ সূরাটিকেই চিন্তা ভাবনা সহকারে পাঠ করলে তাদের ইহকাল ও পরকাল সংশোধনের জন্যে যথেষ্ট হয়ে যায়। সূরার বক্তব্য অনুসারে এ সূরায় স্রষ্টা যুগের কসম করে বলেছেন যে, মানবজাতি অত্যন্ত হ্মতিগ্রস্ত এবং এই হ্মতির কবল থেকে কেবল তারাই মুক্ত, যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সাথে পালন করে - ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস, সৎকর্ম, অপরকে সত্যের উপদেশ এবং ধর্য্য রাখার উপদেশ দান।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
মুজাহিদ , কাতাদাহ ও মুকাতিল একে মাদানী বলেছেন । কিন্তু মুফাসসিরগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ একে মক্কী সূরা হিসেবে গণ্য করেছেন। আর এই সূরার বিষয়বস্তু সাক্ষ দেয় , এটি মক্কী যুগেরও প্রথামিক পর্যায়ে নাযিল হয়ে থাকবে। সে সময় ইসলামের শিক্ষাকে সংক্ষিপ্ত ও অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী বাক্যের সাহায্যে বর্ণনা করা হতো। এভাবে শ্রোতা একবার শুনার পর ভুলে যেতে চাইলেও তা আর ভুলতে পারতো না এবং আপনা আপনি লোকদের মুখে তা উচ্চারিত হতে থাকতো।
বিষয়বস্তুর বিবরণ:
তাফহীমুল কোরআনের ব্যাখ্যা অনুসারে, সময় মানে বিগত সময়-অতীত কালও হতে পারে আবার চলিত সময়ও। এই চলিত বা বর্তমান কাল আসলে কোনো দীর্ঘ সময়ের নাম নয়। বর্তমান কালে প্রতি মুহুর্তে বিগত হচ্ছে এবং অতীতে পরিণত হচ্ছে। আবার ভবিষ্যতের গর্ভ থেকে প্রতিটি মুহুর্ত বের হয়ে এসে বর্তমানে পরিণত হচ্ছে এবং বর্তমান থেকে আবার তা অতীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এখানে যেহেতু কোনো বিশেষত্ব ছাড়াই শুধু সময়ের কসম খাওয়া হয়েছে, তাই দুই ধরনের সময় বা কাল এর অন্ত্রভূক্ত হয়। অতীতকালের কসম খাওয়ার মানে হচ্ছেঃ মানুষের ইতিহাস এর স
Surah Al-Humaza | সূরা হুমাযাহ | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-104 /১০৪
Surah Al-Humaza | সূরা হুমাযাহ | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-104 /১০৪
(1
وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ
প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ,
Woe to every (kind of) scandal-monger and-backbiter,
(2
الَّذِي جَمَعَ مَالًا وَعَدَّدَهُ
যে অর্থ সঞ্চিত করে ও গণনা করে
Who pileth up wealth and layeth it by,
(3
يَحْسَبُ أَنَّ مَالَهُ أَخْلَدَهُ
সে মনে করে যে, তার অর্থ চিরকাল তার সাথে থাকবে!
Thinking that his wealth would make him last for ever!
(4
كَلَّا لَيُنبَذَنَّ فِي الْحُطَمَةِ
কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে।
By no means! He will be sure to be thrown into That which Breaks to Pieces,
(5
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ
আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি?
And what will explain to thee That which Breaks to Pieces?
(6
نَارُ اللَّهِ الْمُوقَدَةُ
এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি,
(It is) the Fire of (the Wrath of) Allah kindled (to a blaze),
(7
الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ
যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে।
The which doth mount (Right) to the Hearts:
(8
إِنَّهَا عَلَيْهِم مُّؤْصَدَةٌ
এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে,
It shall be made into a vault over them,
(9
فِي عَمَدٍ مُّمَدَّدَةٍ
লম্বা লম্বা খুঁটিতে।
In columns outstretched.
সূরা হুমাযাহ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৪ নম্বর সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৯ টি। এ সূরাটিতে তিনটি জঘন্য গোনাহের কথা বলা হয়েছে। গোনাহ্ তিনটি হল গীবত, সামনাসামনি দোষারোপ করা ও মন্দ বলা এবং অর্থলিপ্সা।
বিষয়বস্তুর বিবরণ
এ সূরায় তিনটি জঘন্য গোনাহে শাস্তি ও তার তীব্রতা বর্ণিত হয়েছে। গোনাহ্ তিনটি হচ্ছে গীবত অর্থাৎ পশ্চাতে পরনিন্দা করা, সামনাসামনি দোষারোপ করা ও মন্দ বলা এবং অর্থলিপ্সা। এর মধ্যে প্রথম দু'টি গোনাহ্ হচ্ছে অত্যন্ত জঘন্যতম। পশ্চাতে পরনিন্দার শাস্তির কথা কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। যার মুখোমুখি নিন্দা করা হয়, তাকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হয়। এর কষ্টও বেশী, ফলে শাস্তিও গূরুতর। রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেনঃ "আল্লাহ্র বান্দাদের মধ্যে নিকৃষ্টতম তারা, যারা পরোহ্ম নিন্দা করে, বন্ধুদের মধ্যে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে এবং নিরপরাধ লোকদের দোষ খুঁজে ফিরে"। তৃতীয়টি ছিল অর্থলিপ্সা যা আয়
Surah Al-Fil| সূরা ফীল| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-105/১০৫
Surah Al-Fil| সূরা ফীল| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-105/১০৫
(1
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ
আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন?
Seest thou not how thy Lord dealt with the Companions of the Elephant?
(2
أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ
তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি?
Did He not make their treacherous plan go astray?
(3
وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ
তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী,
And He sent against them Flights of Birds,
(4
تَرْمِيهِم بِحِجَارَةٍ مِّن سِجِّيلٍ
যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল।
Striking them with stones of baked clay.
(5
فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُولٍ
অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।
Then did He make them like an empty field of stalks and straw, (of which the corn) has been eaten up.
Surah Quraish| সূরা কোরাইশ| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-106/১০৬
Surah Quraish| সূরা কোরাইশ| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-106/১০৬
(1
لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ
কোরাইশের আসক্তির কারণে,
For the covenants (of security and safeguard enjoyed) by the Quraish,
(2
إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاء وَالصَّيْفِ
আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের।
Their covenants (covering) journeys by winter and summer,-
(3
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ
অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার
Let them adore the Lord of this House,
(4
الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
Who provides them with food against hunger, and with security against fear (of danger)
Islamic Channel
www.facebook.com/islamicbdchannel
Surah Al-Ma'un| সূরা মাউন| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-107
Surah Al-Ma'un| সূরা মাউন| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-107
(1
أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ
আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
Seest thou one who denies the Judgment (to come)?
(2
فَذَلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ
সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
Then such is the (man) who repulses the orphan (with harshness),
(3
وَلَا يَحُضُّ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ
এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
And encourages not the feeding of the indigent.
(4
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
So woe to the worshippers
(5
الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
Who are neglectful of their prayers,
(6
الَّذِينَ هُمْ يُرَاؤُونَ
যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
Those who (want but) to be seen (of men),
(7
وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
But refuse (to supply) (even) neighbourly needs.
Surah An-Nasr| সূরা নছর| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-110
Surah An-Nasr| সূরা নছর| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-110
(1
إِذَا جَاء نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
When comes the Help of Allah, and Victory,
(2
وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,
And thou dost see the people enter Allah.s Religion in crowds,
(3
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
Celebrate the praises of thy Lord, and pray for His Forgiveness: For He is Oft-Returning (in Grace and Mercy).
Subscribe our YouTube channel
https://www.youtube.com/channel/UC67DOJtqQ1s5RkqHiIl3Pww
Surah Al-Lahab | সূরা লাহাব | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-111
Surah Al-Lahab | সূরা লাহাব | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-111
(1
تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে,
Perish the hands of the Father of Flame! Perish he!
(2
مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে।
No profit to him from all his wealth, and all his gains!
(3
سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে
Burnt soon will he be in a Fire of Blazing Flame!
(4
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ
এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে,
His wife shall carry the (crackling) wood - As fuel!-
(5
فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ
তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে।
A twisted rope of palm-leaf fibre round her (own) neck!
Subscribe our youtube channel
www.youtube.com/channel/UC67DOJtqQ1s5RkqHiIl3Pww
Surah Al-Falaq | সূরা ফালাক্ব |পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনু...
Surah Al-Falaq| সূরা ফালাক্ব |পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-113
(1
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
Say: I seek refuge with the Lord of the Dawn
(2
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,
From the mischief of created things;
(3
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
From the mischief of Darkness as it overspreads;
(4
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে
From the mischief of those who practise secret arts;
(5
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
And from the mischief of the envious one as he practises envy.
সূরা আল-ফালাক (আরবি: سورة الفلق; নিশিভোর) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১৩ নম্বর সূরা; এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৫ এবং রূকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আল-ফালাক মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে; যদিও কোন কোন বর্ণনায় একে মক্কায় অবতীর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[১] এর পাঁচ আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা হয়। এই সূরাটি এবং এর পরবর্তী সূরা আন-নাসকে একত্রে মু'আওবিযাতাইন (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু'টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় বা ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়া একটি ঐতিহ্যগত সুন্নত.
নামকরণ:
সূরা ফালাক ও সূরা আন-নাস আলাদা আলাদা সূরা হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর ও উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সাথে এত বেশি নিকট সম্পর্কিত যে এদেরকে একত্রে “মু’আওবিযাতাইন” (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে ডাকা হয়; আর এই সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে একই ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে।
শানে নুযূল:
সূরা আল ফালাক ও পরবর্তী সূরা নাস একই সাথে একই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর উপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহু্দী জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসুলুল্লাহ (সাঃ) লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দুটি পড়ে ফুক দেওয়ায় গিরুগ
Surah Al-Qadr| সূরা কদর|পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ...
Surah Al-Qadr | সূরা কদর |পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-97/৯৭
(1
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।
We have indeed revealed this (Message) in the Night of Power:
(2
وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
And what will explain to thee what the night of power is?
(3
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
The Night of Power is better than a thousand months.
(4
تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
Therein come down the angels and the Spirit by Allah.s permission, on every errand:
(5
سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
Peace!...This until the rise of morn!
সূরা আল কদর (আরবি: سورة القدر) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৯৭ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৫ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১। আল কদর সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
কদরের এক অর্থ মাহাত্ন্য ও সম্মান। এর মাহাত্ন্য ও সম্মানের কারণে একে "লায়লাতুল-কদর" তথা মহিম্মান্বিত রাত বলা হয়। আবু বকর ওয়াররাক বলেনঃ এ রাত্রিকে লায়লাতুল-কদর বলার কারণ এই যে, আমল না করার কারণে এর পূর্বে যার কোন সম্মান ও মূল্য মহিমান্বিত থাকে না, সে এ রাত্রিতে তওবা-এস্তেগফার ও এবাদতের মাধ্যমে সম্মানিতও হয়ে যায়।
ঐতিহাসিক পটভূমি:
হযরত আবু যর গেফারী (রাঃ) বর্ণিত রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেনঃ ইবরাহীম (আঃ)-এর সহীফাসমূহ ৩রা রমযানে, তওরাতে ৬ই রমযানে, ইঞ্জিল ১৩ই রমযানে এবং যাবুর ১৮ই রমযানে অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআন পাক ২০শে রমযানুল-মোয়ারকে নাযিল হয়েছে।[১] হাদীসে আছে, শবে-কদরে জিবরাঈল ফেরেশতাদের বিরাট এক দল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামায অথবা যিকরে মশগুল থাকে, তাদের জন্যে রহমতের দোয়া করেন। ফেরেশতাগণ শবে-কদরে সারা বছরের অবধারিত ঘটনাবলী নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে। কোন কোন তফসীরবিদ একে "সালাম্মুন" এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করে এ অর্থ করেছেন যে, এ রাত্রিটি যাবতীয় অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে শান্তিস্বরূপ।[২] শবে-কদরের এই বরকত রাত্রির কোন বিশেষ অংশে
Surah Al-Nas| সূরা নাস|পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ ...
Surah Al-Nas | সূরা নাস |পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-114
(1
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,
Say: I seek refuge with the Lord and Cherisher of Mankind,
(2
مَلِكِ النَّاسِ
মানুষের অধিপতির,
The King (or Ruler) of Mankind,
(3
إِلَهِ النَّاسِ
মানুষের মা’বুদের
The Allah (for judge) of Mankind,-
(4
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,
From the mischief of the Whisperer (of Evil), who withdraws (after his whisper),-
(5
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
(The same) who whispers into the hearts of Mankind,-
(6
مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ
জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
Among Jinns and among men.
সূরা আন-নাস (আরবি: سورة الناس; মানবজাতি) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১৪ নম্বর এবং সর্বশেষ সূরা; এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৬ এবং রূকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আন-নাস মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে; যদিও কোন কোন বর্ণনায় একে মক্কায় অবতীর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[১] এর ছয় আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা হয়। এই সূরাটি এবং এর পূর্ববর্তী সূরা আল-ফালাককে একত্রে মু'আওবিযাতাইন (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু'টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় বা ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়া একটি ঐতিহ্যগত সুন্নত।
নামকরণ:
সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস আলাদা আলাদা সূরা হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর ও উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সাথে এত বেশি নিকট সম্পর্কিত যে এদেরকে একত্রে “মু’আওবিযাতাইন” (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে ডাকা হয়; আর এই সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে একই ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে।
শানে নুযূল:
সূরা ফালাক ও পরবর্তী সূরা আন নাস একই সাথে একই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর উপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহু্দী জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু
Surah Al Ikhlas | সূরা এখলাছ | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অ...
Surah Al Ikhlas | সূরা এখলাছ | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-112/১১২
(1
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
Say: He is Allah, the One and Only;
(2
اللَّهُ الصَّمَدُ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
Allah, the Eternal, Absolute;
(3
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
He begetteth not, nor is He begotten;
(4
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
And there is none like unto Him.
সূরা আল ইখলাস (আরবি ভাষায়: الإخلاص) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১২ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৪টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। আল ইখলাস সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটিকে ইসলামের শেষ পয়গম্বর মুহাম্মদ (সা:) বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাৎপর্যের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই আয়াতে আল্লাহ্র সবচেয়ে সুন্দর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে । এটি কুরআনের অন্যতম ছোট একটি সূরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে।
শানে নুযূল:
মুশরিকরা মুহাম্মদ (সা:)-কে আল্লাহ্ তাআলার বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জওয়াবে এই সূরা নাযিল হয়। অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে যে, মদীনার ইহুদিরা এ প্রশ্ন করেছিল। কোন কোন রেওয়ায়েতে আছে যে, তারা আরও প্রশ্ন করেছিলঃ আল্লাহ্ তাআলা কিসের তৈরি, স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জওয়াবে সূরাটি অবতীর্ণ হয়েছে ৷
হাদিস:
হযরত আবু হোরায়ারা (রাঃ) বর্ণনা করেন, একবার রসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ তোমরা সবাই একত্রিত হয়ে যাও। আমি তোমাদেরকে কোরআনের এক তৃতীয়াংশ শুনাব। অতঃপর যাদের পক্ষে সম্ভব ছিল তারা একত্রিত হয়ে গেল এবং তিনি সূরা এখলাস পাঠ করে শুনালেন। তিনি আরও বললেন ঃ এই সূরাটি কোরানের এক তৃতীয়াংশের সমান। - (মুসলিম, তিরমিযী)[৩]
আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মিসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। - (ইবনে-কাসীর)
ওকবা ইবনে আমের (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সূরা বলছি, যা তওরাত, ইঞ্জীল, যবুর ও কোরআনসহ সব কিতাবেই রয়েছে। রাত্রিতে তোমরা ততক্ষণ নিদ্রা যেয়োনা, যতক্ষণ সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। ওকবা (রাঃ) বলেনঃ সেদিন থেকে আমি কখনও এই আমল ছাড়িনি। - (ইবনে কাসরী)
হযরত আবদুল্ল
সূরা আল-কাওসার | Surah Al-Kauthar | سورة الكوثر | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-112
সূরা আল-কাওসার | Surah Al-Kauthar | سورة الكوثر | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-112
(1
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি।
To thee have We granted the Fount (of Abundance).
(2
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।
Therefore to thy Lord turn in Prayer and Sacrifice.
(3
إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ
যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।
For he who hateth thee, he will be cut off (from Future Hope).
সূরা আল কাওসার (আরবি: سورة الكوثر) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৮ নম্বর সূরা। এই সূরাটি মক্কায অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩ টি।
শানে নুযূল:
যে ব্যক্তির পুত্রসন্তান মারা যায়, আরবে তাকে নির্বংশ বলা হয়। রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর পুত্র কাসেম আথবা ইবরাহীম যখন শৈশবেই মারা গেলেন, তখন কাফেররা তাঁকে নির্বংশ বলে উপহাস করতে লাগল। ওদের মধ্যে 'আস ইবনে ওয়ায়েলের' নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার সামনে রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর কোন আলোচনা হলে সে বলতঃ আরে তার কথা বাদ দাও, সে তো কোন চিন্তারই বিষয় নয়। কারণ, সে নির্বংশ। তার মৃত্যু হয়ে গেলে তার নাম উচ্চাচরণ করারও কেউ থাকবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে সূরা আল কাওসার অবতীর্ণ হয়।
বিষয়বস্তুর বিবরণ:
সারকথা, পুত্রসন্তান না থাকার কারণে কাফেররা রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর প্রতি দোষরোপ করত আথবা অন্যান্য কারণে তাঁর প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন করত। এরই প্রেক্ষাপটে সূরা কাউসার অবতীর্ণ হয়। এতে দোষরোপের জওয়াব দেয়া হয়েছে যে, শুধু পুত্রসন্তান না থাকার কারণে যারা রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-কে নির্বংশ বলে, তারা তাঁর প্রকৃত মর্যাদা সম্পর্কে বে-খবর। রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর বংশগত সন্তান-সন্ততিও কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, যদিও তা কন্যা-সন্তানের তরফ থেকে হয়। অনন্তর নবী আধ্যাত্নিক সন্তান অথাৎ, উম্মত তো এত অধিকসংখ্যক হবে যে, পূর্ববর্তী সকল নবীর উম্মতের সমষ্টি অপেহ্মাও বেশি হবে। এছাড়া এ সূরায় রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যে আল্লাহ্ তা'আলার কাছে প্রিয় ও সম্মানিত তাও তৃতীয় আয়াতে বিবৃত হয়েছে।
Islamic Channel BD
www.facebook.com/islamicbdchannel
www.twitter.com/Islamicchannelb