Islamic Channel

  • Home
  • Islamic Channel

Islamic Channel This Channel is belong to Islamic video and advice & Mission works for mainly making reach the truth

Islam is an Abrahamic monotheistic religion teaching that there is only one incomparable God (Allah)and that Muhammad is the messenger of God. It is the world's largest religion and the fastest-growing major religion in the world with over 1.8 billion followers or 24.1% of the global population who are known as Muslims. Muslims make up a majority of the population in 49 countries. Islam teaches th

at God is merciful, all-powerful, unique, and has guided mankind through prophets, revealed scriptures and natural signs. The primary scriptures of Islam are the Quran, viewed by Muslims as the verbatim word of God, and the teachings and normative example (called the sunnah, composed of accounts called hadith) of Muhammad (c. 570–8 June 632 CE). Muslims believe that Islam is the complete and universal version of a primordial faith that was revealed many times before through prophets including Adam, Abraham, Moses, and Jesus. As for the Quran, Muslims consider it to be the unaltered and final revelation of God. Like other Abrahamic religions, Islam also teaches a final judgment with the righteous rewarded paradise and unrighteous punished in hell. Religious concepts and practices include the Five Pillars of Islam, which are obligatory acts of worship, and following Islamic law, which touches on virtually every aspect of life and society, from banking and welfare to women and the environment. The cities of Mecca, Medina and Jerusalem are home to the three holiest sites in Islam. Apart from the Muslim viewpoint, Islam is believed to have originated in the early 7th century CE in Mecca, and by the 8th century the Islamic empire extended from Iberia in the west to the Indus River in the east. The Islamic Golden Age refers to the period traditionally dated from the 8th century to the 13th century when much of the historically Islamic world was experiencing a scientific, economic and cultural flourishing. The expansion of the Muslim world involved various caliphates and empires, traders and conversion to Islam by missionary activities. About 13% of Muslims live in Indonesia, the largest Muslim-majority country, 31% in South Asia (Bangladesh), the largest population of Muslims in the world, 23% in the Middle East-North Africa, where it is the dominant religion, and 15% in Sub-Saharan Africa. Sizable Muslim communities are also found in the Americas, Caucasus, China, Europe, Horn of Africa, Mainland Southeast Asia, Philippines, Russia and Swahili coast. This page is belong to Islamic video and advice & Mission works for mainly making reach the truth of Islam to the world.

21/03/2018
Surah Al-Zalzalah | সূরা যিলযাল | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 99/ ৯৯

Surah Al-Zalzalah | সূরা যিলযাল | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 99/ ৯৯
(1
إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا
যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে,
When the earth is shaken to her (utmost) convulsion,
(2
وَأَخْرَجَتِ الْأَرْضُ أَثْقَالَهَا
যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।
And the earth throws up her burdens (from within),
(3
وَقَالَ الْإِنسَانُ مَا لَهَا
এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ?
And man cries (distressed): 'What is the matter with her?'-
(4
يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا
সেদিন সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে,
On that Day will she declare her tidings:
(5
بِأَنَّ رَبَّكَ أَوْحَى لَهَا
কারণ, আপনার পালনকর্তা তাকে আদেশ করবেন।
For that thy Lord will have given her inspiration.
(6
يَوْمَئِذٍ يَصْدُرُ النَّاسُ أَشْتَاتًا لِّيُرَوْا أَعْمَالَهُمْ
সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়।
On that Day will men proceed in companies sorted out, to be shown the deeds that they (had done).
(7
فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ
অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে
Then shall anyone who has done an atom's weight of good, see it!
(8
وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।
And anyone who has done an atom's weight of evil, shall see it.

সূরা যিল্‌যাল(আরবি: سورة الزلزلة‎‎) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৯৯ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১। যিল্‌যাল সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এই সূরার বিষবস্তু হচ্ছে, মৃত্যুর পর মানুষের দ্বিতীয় জীবনের সূত্রপাত কিভাবে হবে এবং মানুষের জন্য তা হবে কেমন বিস্ময়কর ও সেখানে দুনিয়ায় করা সমস্ত কাজের হিসাব মানুষের সামনে এসে যাওয়া। হযরত আবী হাতেম হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে যে রেওয়ায়েতটি উদ্ধৃত করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছেঃ যখন আয়াতটি নাযিল হয় তখন আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি আমার আমল দেখবো? তিনি জবাব দিলেন, হাঁ। আমি বললাম, এই বড় বড় গুণাহগুলিও দেখবো? জবাব দিলেন, হাঁ। বললাম, আর এই ছোট ছোট গুণাহগুলিও? জবাব দিলেন, হাঁ। একথা শুনে আমি বললাম, তাহলে তো আমি মারা পড়েছি। তিনি বললেন, আনন্দিত হও, হে আবু সাঈদ কারণ প্রত্যেক নেকী তার নিজের মতো দশটি নেকীর সমান হবে।

বিষয়বস্তুর বিবরণ
(১) এখানে বলা হয়েছে, ধাক্কার পর ধাক্কা দিয়ে এবং ভূমিকম্পের পর ভূমিকম্পের মাধ্যমে পৃথিবীকে ভীষণভবে কাঁপিয়ে দেওয়া। আর যেহেতু পৃথিবীকে নাড়া দেবার কথা বলা হয়েছে তাই এথেকে আপনা-আপনিই এই অর্থ বের হয়ে আসে যে, পৃথিবীর কোনো একটি অংশ কোনো একটি স্থান ব অঞ্চল নয় বরং সমগ্র পৃথিবীকে কম্পিত করে দেওয়া হবে। তারপর এই নাড়া দেবার এই ভূ-কম্পনের ভয়াবহতা আরো বেশী করে প্রকাশ করার জন্য তার সাথে বাড়তি "زلزالها" শব্দটিও বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ শব্দটির শাব্দিক মানে হচ্ছে, "কম্পিত হওয়া" অর্থাৎ তার মতো বিশাল ভূ-গোলককে যেভাবে ঝাঁকানি দিলে কাঁপে অথবা যেভাবে ঝাঁকানি দিলে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে ভীষণভাবে কাঁপে ঠিক সেভাবে তাকে ঝাঁকানি দেওয়া হবে। অর্থাৎ যে কম্পনের পর পৃথিবীর সব সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং তার সমগ্র ব্যবস্থাপনা ওলট-পালট হয়ে যাবে।

(২) এই বিষয়টি সূরা ইনশিকাকের এভাবে বলা হয়েছেঃ

আর যা কিছু তার মধ্যে রয়েছে তা বাইরে নিহ্মেপ করে দিয়ে খালি হয়ে যাবে। --- (৪ আয়াত)

এর কয়েকটি অর্থ হতে পারে। মরা মানুষ মাটির বুকে যেখানে যে অবস্থায় যে আকৃতিতে আছে তাদের সবাইকে বের করে এনে সে বাইরে ফেলে দেবে। আর পরবর্তী বাক্য থেকে একথা প্রকাশ হচ্ছে যে, সে সময় তাদের শরীরের সমস্ত চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অংশগুলো এক জায়গায় জমা হয়ে নতুন করে আবার সেই একই আকৃতি সহকারে জীবিত হয়ে উঠবে যেমন তার প্রথম জীবনের অবস্থায় ছিল। দুই, এর দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে, কেবলমাত্র মরা মানুষদেরকে সে বাইরে নিহ্মেপ করে হ্ম্যান্ত হবে না বরং

তাদের প্রথম জীবনের সমস্ত কথা ও কাজ এবং যাবতীয় আচার-আচরণের রেকর্ড ও সাহ্ম প্রমাণের যে বিশাল স্তুপ তার গর্ভে চাপা পড়ে আছে সেগুলিকেও বের করে বাইরে ফেলে দেবে। পরবর্তী বাক্যটিতে একথাই প্রকাশ ঘটেছে। তাতে বলা হয়েছে, যমীন তার ওপর যা কিছু ঘটেছে তা বর্ণনা করবে।

(৩) গাঢ় লেখা মানূষ অর্থ প্রত্যেকটি মানুষ হতে পারে। কারণ পুনরায় জীবন লাভ করে চেতনা ফিরে পাবার সাথে সাথেই প্রত্যেক ব্যক্তির প্রথম প্রতিক্রিয়া এটিই হবে যে, এসব কি হচ্ছে? এটা যে হাশরের দিন একথা সে পরে বুঝতে পারবে। আবার মানুষ অর্থ আখেরাত অস্বীকারকারী মানুষও হতে পারে। কারণ যে বিষয়কে অসম্ভব মনে করতো তা তার সামনে ঘটে যেতে থাকবে এবং সে এসব দেখে অবাক ও পেরেশান হবে। তবে ঈমানদারদের মনে এ ধরনের বিস্ময় ও পেরেশানি থাকবে না। সূরা ইয়াসীনের এই দ্বিতীয় অর্থটি সমর্থন করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

তারা বলবে, হায় আমাদের দূর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উত্থিত করল? রহমান আল্লাহ্‌ তো

এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন। --- (৫২ আয়াত)

(৪) হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) রেওয়ায়েত করেছেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) এ আয়াটি পড়ে প্রশ্ন করলেনঃ "জানো তা সেই অবস্থা কি?" লোকেরা জবাব দেয়, আল্লাহ্‌ ও তার রসূল ভালো জানেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেনঃ

সেই অবস্থা হচ্ছে, যমীনের পিঠ প্রত্যেক মানব-মানবী যে কাজ করবে সে তার সাহ্ম দেবে। সে বলবে, এই ব্যক্তি উমুক দিন উমুক কাজ করেছিল। এই হচ্ছে সেই অবস্থা, যা যমীন বর্ণনা করবে।[২]

হযরত রাবাআহ আল খাশীর রেওয়ায়েত করেছেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেন,

যমীন থেকে তোমরা নিজেদেরকে রহ্মা করে চলবে। কারণ এ হচ্ছে তোমাদের মূল ভিত্তি। আর এমন কোনো ব্যক্তি নেই যে এর ওপর ভালো মন্দ কোনো কাজ করে এবং সে তার খবর দেয় না।[৩]

হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেছেনঃ

কিয়ামতের দিন যমীন এমন প্রতিটি কাজ নিয়ে আসবে যা তার পিঠের ওপর করা হয়েছে।

তারপর তিনি এই আয়াতটি তেলাওয়াত করেন।[৪] যমীনের ওপর যা কিছু ঘটে গেছে তা সবকিছু সে কিয়ামতের দিন বলে দেবে, যমীন সম্পর্কে এ কথাটি প্রাচীন যূগে মানুষকে অবাক করে দিয়ে থাকবে, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু আজ পদার্থবিদ্যা সংক্রান্ত নতুন নতুন জ্ঞান-গবেষণা, আবিস্কার-উদ্ভাবন, টেপরেকর্ডার ও ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদির আবিস্কারের এ যুগে যমীন তা নিজের অবস্থা ও নিজের ওপর ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী কিভাবে বর্ণনা করবে একথা অনুধাবন করা মোটেই কঠিন নয়। মানুষ যা কথা বলে তা সব ইথারে ভাসতেছে। আল্লাহ্‌ যখনি চাইবেন এই কথাগুলো যমীনের মাধ্যেমে মানুষকে শুনাবে তার কি কি বলে ছিল। আখেরাতে যখন আল্লহ্‌ আদালতে কায়েম করবেন তখন সেখানে যাকেই শাস্তি দেবেন ইনসাফ ও ন্যায়নীতির দাবী পুরোপুরি পালন করেই শাস্তি দেবেন। তাঁর আদালতে প্রত্যেকটি অপরধী মানুষের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হবে তার সপহ্মে এমন সব অকুটিল সাহ্ম প্রমাণ পেশ করা হবে যার ফলে তার অপরাধী হবার ব্যাপারে কারো কোন কথা বলার অবকাশ থাকবে না। সূরা বনী-ইসরাঈলের বলা হয়েছে,

পাঠ করো তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্যে তুমিই যথেষ্ট। --- (১৪ আয়াত)

কারণ ছোট বড় এমন কোন বিষয় নেই য তাতে যথাযথভাবে সংযোজিত হয়নি। নিজের পহ্ম থেকে কোন ওজর পেশ করার কোন সুযোগই তার থাকবে না। (৫) এর দুটো অর্থ হতে পারে। এক, প্রত্যেক ব্যক্তি একাকী তার ব্যক্তিগত অবস্থায় অবস্থান করবে। পরিবার, গোষ্ঠী, জোট, দল, সম্প্রদায় ও জাতি সব ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। কোরআন মাজ়ীদের অন্যান্য স্থানেও একথা বলা হয়েছে। সূরা আন'আমে বলা হয়েছে,

তোমরা আমার কাছে নিঃসঙ্গ হয়ে এসেছ, আমি প্রথমবার তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলাম। --- (৯৪ আয়াত)

আর সূরা মরিয়মে বলা হয়েছে,

সে আমার কাছে আসবে একাকী। --- (৮০ আয়াত)
কেয়ামতের দিন তাদের সবাই আল্লাহ্‌র কাছে একাকী অবস্থায় আসবে। --- (৯৫ আয়াত)

দুই, এর দ্বিতীয় অর্থ হতে পারে, বিগত হাজার হাজার বছরে সমস্ত মানুষ যে যেখানে মরেছিল সেখান থেকে অর্থাৎ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে চলে আসতে থাকবে। সূরা নাবায় বলা হয়েছে,

যে দিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে সমাগত হবে। --- (১৮ আয়াত)

এ ছাড়া বিভিন্ন তাফসীরকার এর যে অর্থ বর্ণনা করেছেন তার অবকাশ এখানে উল্লেখিত "আশতাতান" শব্দের মধ্যে নেই। তাই আমার মতে সেগুলি শব্দটির অর্থগত সীমাচৌহদ্দীর বাইরে অবস্থান করছে।

(৬) এর দুটি অর্থ হতে পারে। এক, তাদের আমল তাদেরকে দেখানো হবে। অর্থাৎ প্রত্যেকে দুনিয়ায় কি কাজ করে এসেছে তা তাকে বলা হবে। দুই, তাদেরকে তাদের কাজের প্রতিফল দেখানো হবে। বিশেষ করে যখন কোরআন মাজ়ীদের বিভিন্ন স্থানে একথা সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কাফের ও মুমিন, সৎকর্মশীল ও কাফের, আল্লাহ্‌র হুকুমের অনুগত ও নাফরমান সবাইকে আবশ্যি তাদের আমলনামা দেয়া হবে। একথা সুস্পষ্ট, কাউকে তার কার্যবলী দেখিয়ে দেওয়া এবং তার আমলনামা তার নিজের হাতে সোপর্দ করার মধ্যে কোন তফাৎ নেই। তাছাড়া যমীন যখন তার ওপর অনুষ্ঠিত ঘটনাবলী পেশ করবে তখন হক ও বাতিলের যে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ শুরু থেকে চলে আসছিল এবং কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে, তার সম্পূর্ণ চিত্রও সবার সামনে এসে যাবে। সেখানে সবাই দেখবে, সত্যের জন্য যারা কাজ করেছিল তারা কি কি কাজ করেছে এবং মিথ্যার সমর্থকরা তাদের মোকাবেলায় কি কি কাজ করেছে।

(৭) এটি হচ্ছে এর একটি সহজ সরল অর্থ। আবার একথা সম্পূর্ণ সত্য যে, মানুষের অণূ পরিমাণ নেকী বা পাপ এমন হবে না যা আমলনামায় লিখিত হবে না।

(৮)

Islamic Channel BD
www.facebook.com/islamicbdchannel
www.twitter.com/IslamicchannelB

20/03/2018
Surah Al-Adiyat| সূরা আদিয়াত| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 100/ ১০০

Surah Al-Adiyat| সূরা আদিয়াত| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 100/ ১০০
(1
وَالْعَادِيَاتِ ضَبْحًا
শপথ উর্ধ্বশ্বাসে চলমান অশ্বসমূহের,
By the (Steeds) that run, with panting (breath),
(2
فَالْمُورِيَاتِ قَدْحًا
অতঃপর ক্ষুরাঘাতে অগ্নিবিচ্ছুরক অশ্বসমূহের
And strike sparks of fire,
(3
فَالْمُغِيرَاتِ صُبْحًا
অতঃপর প্রভাতকালে আক্রমণকারী অশ্বসমূহের
And push home the charge in the morning,
(4
فَأَثَرْنَ بِهِ نَقْعًا
ও যারা সে সময়ে ধুলি উৎক্ষিপ্ত করে
And raise the dust in clouds the while,
(5
فَوَسَطْنَ بِهِ جَمْعًا
অতঃপর যারা শক্রদলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে-
And pe*****te forthwith into the midst (of the foe) en masse;-
(6
إِنَّ الْإِنسَانَ لِرَبِّهِ لَكَنُودٌ
নিশ্চয় মানুষ তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ।
Truly man is, to his Lord, ungrateful;
(7
وَإِنَّهُ عَلَى ذَلِكَ لَشَهِيدٌ
এবং সে অবশ্য এ বিষয়ে অবহিত
And to that (fact) he bears witness (by his deeds);
(8
وَإِنَّهُ لِحُبِّ الْخَيْرِ لَشَدِيدٌ
এবং সে নিশ্চিতই ধন-সম্পদের ভালবাসায় মত্ত।
And violent is he in his love of wealth.
(9
أَفَلَا يَعْلَمُ إِذَا بُعْثِرَ مَا فِي الْقُبُورِ
সে কি জানে না, যখন কবরে যা আছে, তা উত্থিত হবে.
(10
وَحُصِّلَ مَا فِي الصُّدُورِ
এবং অন্তরে যা আছে, তা অর্জন করা হবে?
And that which is (locked up) in (human) breasts is made manifest-
(11
إِنَّ رَبَّهُم بِهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّخَبِيرٌ
সেদিন তাদের কি হবে, সে সম্পর্কে তাদের পালনকর্তা সবিশেষ জ্ঞাত।
That their Lord had been Well-acquainted with them, (even to) that Day.?

সূরা আল-আদিয়াত (আরবি: سورة العاديات‎‎) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০০ নম্বর সূরা, এর আয়াতের সংখ্যা ১১টি, এর রূকুর সংখ্যা ১টি এবং ৩০ পারা। আ'দিয়াত সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।

Sūrat Al-ʿĀdiyāt (Arabic: سورة العاديات‎, "The Courser, The Chargers") is the 100th sura of the Qur'an with 11 verses (ayat).

Name of the surah:
Hamiduddin Farahi is a celebrated Islamic scholar of Indian subcontinent is known for his groundbreaking work on the concept of Nazm, or Coherence, in the Quran. He writes that Some sūrahs have been given names after some conspicuous words used in them.[1]Jalaluddin Al-Suyuti co-author of the classical Sunni tafsīr known as Tafsir al-Jalalayn suggests that some of the sūrahs have been named using incipits (i.e. the first few words of the sūrah). The Surah has been so designated after the word ash-shams with which it opens.

Period of revelation
Surahs in the Qur'an are not arranged in the chronological order of revelation because the order of the wahy or chronological order of revelation is not a textual part of the Quran. Muhammad told his followers sahaba the placement in Quranic order of every Wahy revealed along with the original text of Quran. Wm Theodore de Bary, an East Asian studies expert, describes that "The final process of collection and codification of the Quran text was guided by one over-arching principle: God's words must not in any way be distorted or sullied by human intervention. For this reason, no serious attempt, apparently, was made to edit the numerous revelations, organize them into thematic units, or present them in chronological order....". The manuscript, or version, of the Quran we see today was compiled by Uthman, the third caliph (reign 644 to 656); a caliph being the political leader of a Caliphate (Islamic government).Before Uthman canonized the Quran there were different versions or codices, none of which exist today. These codices never gained general approval and were viewed by Muslims as the personal copies of individuals. However, "the search for variants in the partial versions extant before the Caliph Uthman's alleged recension in the 640s has not yielded any differences of great significance".Whether this Surah Al-Adiyat is a Makki or a Madani is disputed. But the subject matter of the Surah and its style clearly indicate that it is not only Makki, but was revealed in the early stage of Makkan period. Abdullah bin Masud, Jabir, Hasan Basri, Ikrimah, and Ata say that it is Makki. Anas bin Malik, and Qatadah say that it is Madani; and from Ibn Abbas two views have been reported, first that it is a Makki Surah, and second that it is Madani. But the subject matter of the Surah and its style clearly indicate that it is not only Makki but was revealed in the earliest stage of Makkah. So the surah is considered to be Meccan conclusively.

Islamic Channel BD
www.facebook.com/islamicbdchannel
www.twitter.com/IslamicchannelB

13/03/2018
Surah Al-Qari'a| সূরা ক্বারিয়াহ| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 101/ ১০১

Surah Al-Qari'a| সূরা ক্বারিয়াহ| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 101/ ১০১
(1
الْقَارِعَةُ
করাঘাতকারী,
The (Day) of Noise and Clamour:
(2
مَا الْقَارِعَةُ
করাঘাতকারী কি?
What is the (Day) of Noise and Clamour?
(3
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْقَارِعَةُ
করাঘাতকারী সম্পর্কে আপনি কি জানেন ?
And what will explain to thee what the (Day) of Noise and Clamour is?
(4
يَوْمَ يَكُونُ النَّاسُ كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوثِ
যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতংগের মত
(It is) a Day whereon men will be like moths scattered about,
(5
وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ الْمَنفُوشِ
এবং পর্বতমালা হবে ধুনিত রঙ্গীন পশমের মত।
And the mountains will be like carded wool.
(6
فَأَمَّا مَن ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ
অতএব যার পাল্লা ভারী হবে,
Then, he whose balance (of good deeds) will be (found) heavy,
(7
فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ
সে সুখীজীবন যাপন করবে।
Will be in a life of good pleasure and satisfaction.
(8
وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ
আর যার পাল্লা হালকা হবে,
But he whose balance (of good deeds) will be (found) light,-
(9
فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ
তার ঠিকানা হবে হাবিয়া।
Will have his home in a (bottomless) Pit.

Sūrat al-Qāriʻah (Arabic: سورة القارعة‎) is the 101st chapter (sura) of the Quran with 11 verses. This chapter takes its name from its first word "qariah",referring to the Quranic view of the end time and eschatology. "Qariah" has been translated to calamity, striking, catastrophe, clatterer, etc. According to Ibn Kathir, a traditional exegete, Al-Qariah is one of the names of the Day of Judgement, like Al-Haaqqa, At-Tammah, As-Sakhkhah and others. After a picturesque depiction of judgement day in first 5 ayaat, next 4 ayat describe that Allah's Court will be established and the people will be called upon to account for their deeds. The people whose good deeds will be heavier, will be blessed with bliss and happiness, and the people whose good deeds will be lighter, will be cast into the burning fire of hell. The last 2 ayaat describe Háwíyah in similar emphatic way as Al-Qariah was emphasized in the beginning.

সূরা আল ক্বারিআহ বা আল ক্বারিয়াহ (আরবি: سورة القارعة‎‎) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ১০১তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১। এটি একটি মক্কী সূরা অর্থ্যাৎ এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এ সূরার প্রথম শব্দ ক্বারিআহ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে। এ সূরায় শুধু কিয়ামত ও আখেরাতের ওপর আলোকপাত তরা হয়েছে। সূরার শুরুতে মানুষকে একটি "মহা দূর্ঘটনা!" বলে সতর্ক করা হয়েছে: ‘কী সেই মহা দূর্ঘটনা? তুমি কি জানো সেই মহা দূর্ঘটনাটি কী?’ এভাবে শ্রোতাদেরকে একটি ভয়াবহ ঘটনা অনুষ্ঠিত হবার খবর শোনার জন্য প্রস্তুত করার পর দুটি বাক্যে তাদের সামনে কিয়ামতের নক্শা এঁকে দেয়া হয়েছে।

বিষয়বস্তুর বিবরণ:
এ সূরায় আমলের ওজন ও তার হালকা এবং ভারী হওয়ার প্রেক্ষিতে জাহান্নাম অথবা জান্নাত লাভের বিষয় আলোচিত হয়েছে। আমলের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা সূরা আ'রাফের শুরুতে করা হয়েছে। সেখানে লিখিত হয়েছে যে, বিভিন্ন হাদীস আয়তের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে জানা যায়, আমলের ওজন সম্ভবতঃ দুবার হবে। প্রথমতঃ ওজন করে মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হবে। মুমিনের পাল্লা ভারী ও কাফেরর পাল্লা হালকা হবে। এরপর মুমিনদের মধ্যে সৎকর্ম ও অসৎকর্মের পার্থক্য বিধানের জন্যে হবে দ্বিতীয় দফা ওজন করা হবে। এ সূরায় বাহ্যতঃ প্রথম ওজন বোঝানো হয়েছে, যাতে প্রত্যেক মুমিনের পাল্লা ঈমানের অভাবে হালকা হবে, সে যদিও কিছু সৎকর্ম করে থাকে। যার আমল আন্তরিকতাপূর্ণ ও সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সংখ্যায় কম হলেও তার আমলের ওজন বেশি হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সংখ্যায় তো নামায, রোযা, সদকা-যাক্বাত, হজ্জ অনেক করে, কিন্তু আন্তরিকতা ও সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্য কম, তার আমলের ওজন কম হবে

Islamic Channel BD
www.facebook.com/islamicbdchannel
www.twitter.com/IslamicchannelB

10/03/2018
Surah At-Takathur | সূরা তাকাসূর | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 102/ ১০২

Surah At-Takathur | সূরা তাকাসূর | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা- 102/ ১০২
(1
أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ
প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে,
The mutual rivalry for piling up (the good things of this world) diverts you (from the more serious things),
(2
حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও।
Until ye visit the graves.
(3
كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
But nay, ye soon shall know (the reality).
(4
ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
অতঃপর এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
Again, ye soon shall know!
(5
كَلَّا لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ
কখনই নয়; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে।
Nay, were ye to know with certainty of mind, (ye would beware!)
(6
لَتَرَوُنَّ الْجَحِيمَ
তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে,
Ye shall certainly see Hell-Fire!
(7
ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِينِ
অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে দিব্য প্রত্যয়ে,
Again, ye shall see it with certainty of sight!
(8
ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ
এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।
Then, shall ye be questioned that Day about the joy (ye indulged in!).

সূরা আত তাকাসুর মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০২ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮ টি এবং রূকুর সংখ্যা ১। আত তাকাসুর সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।

তাকাসুর শব্দটি আরবি: كثرة থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ প্রচুর ধন-সম্পদ সঞ্চয় করা। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও হাসান বসরী (রহঃ) তফসীর করেছেন। এ শব্দটি প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা অর্থেও ব্যবহূত হয়। কাতাদাহ্ (রহঃ) এ অর্থই করেছেন। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) একবার এ আয়াত তেলাওয়াত করে বললেনঃ এর অর্থ অবৈধ পন্থায় সম্পদ সংগ্রহ করা এবং আল্লাহ্র নির্ধারিত খাতে ব্যয় না করা।

শানে নুযূল:
ইবনে আবু হাতেম আবু বুরাইদার (রাঃ) রেওয়ায়েত উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছেঃ বনী হারেসা ও বনিল হারস নামক আনসারদের দুটি গোত্রের ব্যপারে এ সূরাটি নাযিল হয়। উভয় গোত্র পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে প্রথমে নিজেদের জীবিত লোকদের গৌরবগাঁধা বর্ণনা করে। তারপর কবরস্থানে গিয়ে মৃত লোকদের গৌরবগাঁধা বর্ণনা করে। তাদের এই আচরণের ফলে আল্লাহ্র এই বাণী নাযিল হয়। কিন্তু শানে নূযুলের জন্য সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণ যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তাকে এই সূরা নাযিলের উপলহ্ম বলে মেনে নেবার সপহ্মে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করা যায় না।

ইমাম বুখারী ও ইবনে জারীর হযরত উবাই ইবনে কাবের (রাঃ) একটি উক্তি উদ্ধৃত করেছেনঃ তাতে তিনি বলেছেনঃ "আমরা রসূলে করীম (সাঃ) এর এ বাণীটিকে

বনি আদমের কাছে যদি দুই উপত্যকা সমান সম্পদ থাকে তারপরও সে তৃতীয় একটি উপত্যকার আকাংহ্মা করবে। আদম সন্তানের পেট মাটি ছাড়া আর কিছু দিয়ে ভরে না।

কুরআনের মধ্যে মনে করতাম। এমন কি শেষ পর্যন্ত আলহাকুমুত্ তাকাসুর সূরাটি নাযিল হয়।"

ফযীলত:
রসূলে করীম (সাঃ) একবার সাহাবায়ে কেরামকে লহ্ম্য করে বললেন তোমাদের মধ্যে কারও এমন হ্মমতা নেই যে, এক হাজার আয়াত পাঠ করবে। সাহাবায়ে কেরাম আরয করলেনঃ হাঁ, এক হাজার আয়াত পাঠ করার শক্তি কয়জনের আছে। তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ কি সূরা তাকাছুর পাঠ করতে পারবে না? উল্লেখ্য এই যে, দৈনিক এই সূরা পাঠ করা এক হাজার আয়াত পাঠ করার সমান।

Islamic Channel BD
www.facebook.com/islamicbdchannel
www.twitter.com/IslamicchannelB

27/02/2018
Surah Al-Asr | সূরা আছর| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-103/ ১০৩

Surah Al-Asr | সূরা আছর| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-103/ ১০৩

(1
وَالْعَصْرِ
কসম যুগের (সময়ের),
By (the Token of) Time (through the ages),
(2
إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ
নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত;
Verily Man is in loss,
(3
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।

সূরা আছর মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৩ নম্বর সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩ টি।
সূরা আছর কুরআনের একটি সংহ্মিপ্ত সূরা তবে মুসলামানদের কাছে এটি বেশ তাৎপর্যপূর্ন সূরা এবং অনেক মুসলমান মনে করে মানুষ এ সূরাটিকেই চিন্তা ভাবনা সহকারে পাঠ করলে তাদের ইহকাল ও পরকাল সংশোধনের জন্যে যথেষ্ট হয়ে যায়। সূরার বক্তব্য অনুসারে এ সূরায় স্রষ্টা যুগের কসম করে বলেছেন যে, মানবজাতি অত্যন্ত হ্মতিগ্রস্ত এবং এই হ্মতির কবল থেকে কেবল তারাই মুক্ত, যারা চারটি বিষয় নিষ্ঠার সাথে পালন করে - ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস, সৎকর্ম, অপরকে সত্যের উপদেশ এবং ধর্য্য রাখার উপদেশ দান।

নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
মুজাহিদ , কাতাদাহ ও মুকাতিল একে মাদানী বলেছেন । কিন্তু মুফাসসিরগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ একে মক্কী সূরা হিসেবে গণ্য করেছেন। আর এই সূরার বিষয়বস্তু সাক্ষ দেয় , এটি মক্কী যুগেরও প্রথামিক পর্যায়ে নাযিল হয়ে থাকবে। সে সময় ইসলামের শিক্ষাকে সংক্ষিপ্ত ও অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী বাক্যের সাহায্যে বর্ণনা করা হতো। এভাবে শ্রোতা একবার শুনার পর ভুলে যেতে চাইলেও তা আর ভুলতে পারতো না এবং আপনা আপনি লোকদের মুখে তা উচ্চারিত হতে থাকতো।

বিষয়বস্তুর বিবরণ:
তাফহীমুল কোরআনের ব্যাখ্যা অনুসারে, সময় মানে বিগত সময়-অতীত কালও হতে পারে আবার চলিত সময়ও। এই চলিত বা বর্তমান কাল আসলে কোনো দীর্ঘ সময়ের নাম নয়। বর্তমান কালে প্রতি মুহুর্তে বিগত হচ্ছে এবং অতীতে পরিণত হচ্ছে। আবার ভবিষ্যতের গর্ভ থেকে প্রতিটি মুহুর্ত বের হয়ে এসে বর্তমানে পরিণত হচ্ছে এবং বর্তমান থেকে আবার তা অতীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এখানে যেহেতু কোনো বিশেষত্ব ছাড়াই শুধু সময়ের কসম খাওয়া হয়েছে, তাই দুই ধরনের সময় বা কাল এর অন্ত্রভূক্ত হয়। অতীতকালের কসম খাওয়ার মানে হচ্ছেঃ মানুষের ইতিহাস এর সাহ্ম দিচ্ছে, যারাই এই গুনাবলী বিবর্জিত ছিল তারাই পরিনামে হ্মতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বর্তমানকালের কসম খাওয়ার অর্থ হল যে, বর্তমানে যে সময়টি অতিবাহিত হচ্ছে সেটি আসলে এমন একটি সময় যা প্রত্যেক ব্যক্তি ও জাতিকে দুনিয়ায় কাজ করার জন্য দেয়া হয়েছে।

Islamic Channel BD
www.facebook.com/islamicbdchannel
www.twitter.com/IslamicchannelB

04/02/2018
Surah Al-Humaza | সূরা হুমাযাহ | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-104 /১০৪

Surah Al-Humaza | সূরা হুমাযাহ | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-104 /১০৪
(1
وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ
প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ,
Woe to every (kind of) scandal-monger and-backbiter,
(2
الَّذِي جَمَعَ مَالًا وَعَدَّدَهُ
যে অর্থ সঞ্চিত করে ও গণনা করে
Who pileth up wealth and layeth it by,
(3
يَحْسَبُ أَنَّ مَالَهُ أَخْلَدَهُ
সে মনে করে যে, তার অর্থ চিরকাল তার সাথে থাকবে!
Thinking that his wealth would make him last for ever!
(4
كَلَّا لَيُنبَذَنَّ فِي الْحُطَمَةِ
কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে।
By no means! He will be sure to be thrown into That which Breaks to Pieces,
(5
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ
আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি?
And what will explain to thee That which Breaks to Pieces?
(6
نَارُ اللَّهِ الْمُوقَدَةُ
এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি,
(It is) the Fire of (the Wrath of) Allah kindled (to a blaze),
(7
الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ
যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে।
The which doth mount (Right) to the Hearts:
(8
إِنَّهَا عَلَيْهِم مُّؤْصَدَةٌ
এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে,
It shall be made into a vault over them,
(9
فِي عَمَدٍ مُّمَدَّدَةٍ
লম্বা লম্বা খুঁটিতে।
In columns outstretched.

সূরা হুমাযাহ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৪ নম্বর সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৯ টি। এ সূরাটিতে তিনটি জঘন্য গোনাহের কথা বলা হয়েছে। গোনাহ্‌ তিনটি হল গীবত, সামনাসামনি দোষারোপ করা ও মন্দ বলা এবং অর্থলিপ্সা।

বিষয়বস্তুর বিবরণ
এ সূরায় তিনটি জঘন্য গোনাহে শাস্তি ও তার তীব্রতা বর্ণিত হয়েছে। গোনাহ্‌ তিনটি হচ্ছে গীবত অর্থাৎ পশ্চাতে পরনিন্দা করা, সামনাসামনি দোষারোপ করা ও মন্দ বলা এবং অর্থলিপ্সা। এর মধ্যে প্রথম দু'টি গোনাহ্‌ হচ্ছে অত্যন্ত জঘন্যতম। পশ্চাতে পরনিন্দার শাস্তির কথা কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। যার মুখোমুখি নিন্দা করা হয়, তাকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হয়। এর কষ্টও বেশী, ফলে শাস্তিও গূরুতর। রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেনঃ "আল্লাহ্‌র বান্দাদের মধ্যে নিকৃষ্টতম তারা, যারা পরোহ্ম নিন্দা করে, বন্ধুদের মধ্যে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে এবং নিরপরাধ লোকদের দোষ খুঁজে ফিরে"। তৃতীয়টি ছিল অর্থলিপ্সা যা আয়াতে একে এভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে-অর্থলিপ্সার কারণে সে তা বার বার গণনা করে। অন্যান্য আয়াত ও হাদীস সাহ্ম্য দেয় যে, অর্থ সঞ্চয় করা সর্বাবস্থায় হারাম ও গোনাহ্‌ নয়। তাই এখানেও উদেশ্য সেই সঞ্চয় হবে, যাতে জরুরী হক আদায় করা হয় না, কিবাং গর্ব ও অহমিকা লহ্ম্য হয় কিবাং লালসা কারণে দ্বীনের জরুরী কাজ বিঘ্নিত হয়।

জাহান্নামের এই অগ্নি হূদয়কে পর্যন্ত গ্রাস করবে। প্রত্যেক অগ্নির এটাই বৈশিষ্ট্য। যা কিছু তাতে পতিত হয়, তার সকল অংশ জ্বলে-পুড়ে ভষ্ম হয়ে যায়। মানুষ তাতে নিহ্মিপ্ত হলে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসহ হূদয়ও জ্বলে যাবে। এখানে জাহান্নামের অগ্নির এই বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করার কারণ এই যে, দুনিয়ার অগ্নি মানুষের দেহে লাগলে হূদয় পর্যন্ত পৌঁছার আগেই মৃত্যু হয়ে যায়। জাহান্নামে মৃত্যু নেই। কাজেই জীবিত অবস্থাতেই হূদয় পর্যন্ত অগ্নি পৌঁছবে এবং হূদয়-দহনের তীব্র যন্ত্রণা জীবদ্দশাতেই মানুষ অনুভব করবে।

Islamic Channel
www.facebook.com/islamicbdchannel
www.twitter.com/IslamicchannelB

03/02/2018
Surah Al-Fil| সূরা ফীল| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-105/১০৫

Surah Al-Fil| সূরা ফীল| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-105/১০৫

(1
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ
আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন?
Seest thou not how thy Lord dealt with the Companions of the Elephant?
(2
أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ
তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি?
Did He not make their treacherous plan go astray?
(3
وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ
তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী,
And He sent against them Flights of Birds,
(4
تَرْمِيهِم بِحِجَارَةٍ مِّن سِجِّيلٍ
যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল।
Striking them with stones of baked clay.
(5
فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُولٍ
অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।
Then did He make them like an empty field of stalks and straw, (of which the corn) has been eaten up.

03/02/2018
Surah Quraish| সূরা কোরাইশ| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-106/১০৬

Surah Quraish| সূরা কোরাইশ| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-106/১০৬
(1
لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ
কোরাইশের আসক্তির কারণে,
For the covenants (of security and safeguard enjoyed) by the Quraish,
(2
إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاء وَالصَّيْفِ
আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের।
Their covenants (covering) journeys by winter and summer,-
(3
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ
অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার
Let them adore the Lord of this House,
(4
الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
Who provides them with food against hunger, and with security against fear (of danger)

Islamic Channel
www.facebook.com/islamicbdchannel

02/02/2018
Surah Al-Ma'un| সূরা মাউন| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-107

Surah Al-Ma'un| সূরা মাউন| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-107
(1
أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ
আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
Seest thou one who denies the Judgment (to come)?
(2
فَذَلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ
সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
Then such is the (man) who repulses the orphan (with harshness),
(3
وَلَا يَحُضُّ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ
এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
And encourages not the feeding of the indigent.
(4
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
So woe to the worshippers
(5
الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
Who are neglectful of their prayers,
(6
الَّذِينَ هُمْ يُرَاؤُونَ
যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
Those who (want but) to be seen (of men),
(7
وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
But refuse (to supply) (even) neighbourly needs.

29/01/2018
Surah An-Nasr| সূরা নছর| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-110

Surah An-Nasr| সূরা নছর| পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-110
(1
إِذَا جَاء نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
When comes the Help of Allah, and Victory,
(2
وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,
And thou dost see the people enter Allah.s Religion in crowds,
(3
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
Celebrate the praises of thy Lord, and pray for His Forgiveness: For He is Oft-Returning (in Grace and Mercy).

Subscribe our YouTube channel
https://www.youtube.com/channel/UC67DOJtqQ1s5RkqHiIl3Pww

29/01/2018
Surah Al-Lahab | সূরা লাহাব | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-111

Surah Al-Lahab | সূরা লাহাব | পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-111
(1
تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে,
Perish the hands of the Father of Flame! Perish he!
(2
مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে।
No profit to him from all his wealth, and all his gains!
(3
سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে
Burnt soon will he be in a Fire of Blazing Flame!
(4
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ
এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে,
His wife shall carry the (crackling) wood - As fuel!-
(5
فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ
তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে।
A twisted rope of palm-leaf fibre round her (own) neck!

Subscribe our youtube channel
www.youtube.com/channel/UC67DOJtqQ1s5RkqHiIl3Pww

23/10/2017
Surah Al-Falaq | সূরা ফালাক্ব |পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনু...

Surah Al-Falaq| সূরা ফালাক্ব |পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বাংলা অনুবাদ সহ সূরা-113
(1
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
Say: I seek refuge with the Lord of the Dawn
(2
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,
From the mischief of created things;
(3
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
From the mischief of Darkness as it overspreads;
(4
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে
From the mischief of those who practise secret arts;
(5
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
And from the mischief of the envious one as he practises envy.

সূরা আল-ফালাক (আরবি: سورة الفلق‎‎; নিশিভোর) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১৩ নম্বর সূরা; এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৫ এবং রূকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আল-ফালাক মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে; যদিও কোন কোন বর্ণনায় একে মক্কায় অবতীর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[১] এর পাঁচ আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা হয়। এই সূরাটি এবং এর পরবর্তী সূরা আন-নাসকে একত্রে মু'আওবিযাতাইন (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু'টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় বা ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়া একটি ঐতিহ্যগত সুন্নত.

নামকরণ:
সূরা ফালাক ও সূরা আন-নাস আলাদা আলাদা সূরা হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর ও উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সাথে এত বেশি নিকট সম্পর্কিত যে এদেরকে একত্রে “মু’আওবিযাতাইন” (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে ডাকা হয়; আর এই সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে একই ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে।

শানে নুযূল:
সূরা আল ফালাক ও পরবর্তী সূরা নাস একই সাথে একই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর উপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহু্দী জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসুলুল্লাহ (সাঃ) লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দুটি পড়ে ফুক দেওয়ায় গিরুগুলো সাথে সাথে খুলে য়ায এবং সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে শয্যা ত্যাগ করেন।[৬]

হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রসুলুল্লাহ (সাঃ)- এর উপর জাদু করলে তার প্রভাবে তিনি মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি, তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে বললেনঃ আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তা'আলা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বললঃ ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ কে জাদু করেছে? উত্তর হল, ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ'সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলঃ কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হল, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হল, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হল, খেজুর ফলের আবরণীতে 'বির যরোয়ান' কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) সে কূপে গেলেন এবং বললেনঃ স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন।[৭]

মুসনাদে আহমদের রেওয়ায়েতে আছে, রসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর এই অসুখ ছয় মাস স্থায়ী হয়েছিল।

হাদিস:
• রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মিসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। - (ইবনে-কাসীর)[৯]
• সহীহ মুসলিমে ওকবা ইবনে আমের (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তোমরা লক্ষ্য করেছ কি, অদ্য রাত্রিতে আল্লাহ তাআলা আমার প্রতি এমন আয়াত নাযিল করেছেন, যার সমতুল্য আয়াত দেখা যায় না। অর্থা ক্বুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক এবং ক্বুল আউযু বিরাব্বিল নাস আয়াতসমূহ। অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, তওরাত, ইঞ্জীল, যাবুর এবং কোরআনেও অনুরূপ অন্য কোন সূরা নেই।
• এক সফরে রসূলুল্লাহ (সাঃ) ওকবা ইবনে আমেন (রাঃ)-কে সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করালেন, অত:পর মাগরিবের নামাযে এ সূরাদ্বয়ই তেলাওয়াত করে বললেনঃ এই সূরাদ্বয় নিদ্রা যাওয়ার সময় এবং নিদ্রা শেষে বিছানা থেকে উঠার সময়ও পাঠ করো। অন্য হাদীসে তিনি প্রত্যেক নামাযের পর সূরাদ্বয় পাঠ করার আদেশ করেছেন। -
• হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবীব (রাঃ) বর্ণনা করেন, এক রাত্রিতে বৃষ্টি ও ভীষণ অন্ধকার ছিল। আমরা রসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে খুঁজতে বের হলাম। যাখন তাঁকে পেলাম, তখন প্রথমেই তিনি বললেনঃ বল। আমি আরয করলাম, কি বলব? তিনি বললেনঃ সূরা এখলাস ও কূল আউযু সূরাদ্বয়। সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো তিন বার পাঠ করলে তুমি প্রত্যেক কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে।

Address


Telephone

+8801743160781

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Islamic Channel posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share