Jarz Gaming Fun Time

18/08/2022

13/04/2022

18/06/2020

FAST MATCH 15 KILL IN CLASSIC MODE Mobile legends Bang Bang
https://www.youtube.com/channel/UCxtNBGYSa5npRZZqtOwRicg?view_as=subscriber

06/06/2020

https://youtu.be/QcePybub1Yc

01/06/2020

Hello Friends Please Stay Home Stay Safe🥰

23/03/2020

13/03/2020

https://youtu.be/miyRDqntE6Q

Watch me stream Dead Target on Omlet Arcade! Follow me for more: https://omlet.gg/profile/gamex.bd

12/02/2020

08/02/2020

08/02/2020

Everytime
I close my eyes,
I wish i will see u
When i open it..........!

06/11/2019

08/09/2019

08/09/2019

04/09/2019

02/08/2019

বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ৩ আগস্ট জিলহজ মাস শুরু হবে। সেই হিসাবে বাংলাদেশ...

01/08/2019

16/06/2019

চাঁদ দেখা বিতর্ক যুগে যুগে সমাধান কোন পথে

মঈন চিশতী

‘ওয়াল ক্বামারি ইজা তালাহা’ আল্লাহ বলেন ‘শপথ চাঁদের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে’ সূর্য অস্তমিত হওয়ার পরে যে চাঁদ আসে, তা দামী বলেই আল্লাহ এর শপথ নিয়েছেন।সেই দামী চাঁদকে নিয়ে যুগযুগ ধরে বিতর্ক তৈরী করে রেখেছি।বিশেষ করে আমাদের ধর্মীয় উৎসব পর্বাদি সামনে আসলে।এবার এই বিতর্ক আমাদের বিশ্বাসের জায়গাকে একেবারে খেলো করে দিয়েছে।এই বিতর্ক শুরু হয়েছিলো শবেবরাতের পর্ব হতেই।আমরা চাঁদ দেখার ব্যাপারে আরবের অনুসরণ না করলেও অনু অনুসরণ করি অর্থাৎ যেখানে যেদিন চাঁদ উদিত হয় তার একদিন পর আমরা উদয়ের হিসাব করি।কিন্তু এবার শাবানের চাঁদ এর গননা দুই দিন পর হতে হিসাব করে ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে শবেবরাত পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।দেশের বিভিন্ন স্থান হতে এর প্রতিবাদ হলে সরকার একটি রিভিও কমিটি করে একজন আলেমের নেতৃত্বে কিন্তু যারা শাবানের চাঁদ একদিন আগে দেখেছে বলে দাবী করেছে তাদের সাক্ষী আমলে না নিয়ে পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।শবেবরাত একটি নফল এবাদত এ নিয়ে জনগণ আর মাথা ঘামায়নি।কিন্তু ঈদের হুকুম ভিন্ন ঈদের দিন রোজা রাখা হারম।তাই সন্ধ্যা রাতের ঘোষনায় প্রবল প্রতিবাদ,স্যোশাল মিডিয়ায় সমালোচনা।শিশু কিশোরদের ঈদ আনন্দে উন্মুখ হওয়া আমাদের ঈদ উৎসবের কাছাকাছি নিয়ে আসে।বর্তমান গ্লোবালাইজেশনের যুগে হাজার মাইল দুরও অতি নিকটে সবার হাতে স্মার্টফোন অনেকের পিতা মাতা বা নিকটাত্মীয় উমরার সফরে মক্কা মদিনায়।তারা গ্রীনিচ টাইমে তিন ঘন্টা পিছিয়ে থাকায় চাঁদ আমরা না দেখলেও তারা দেখে ফলে তারা চাঁদ সংশ্লিষ্ট আমলগুলো আগে করে।কিন্তু সূর্য সংশ্লিষ্ট আমলগুলো আমরা আগে করি।সঙ্গত কারণেই তারা ঈদ আগে করে বাড়ীতে সন্তানাদি এবং নিকটাত্মীয়কে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়।

এবার চাঁদ দেখা বিতর্ক নিয়ে উমরা সফররত বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং রেডিও টিভির জনপ্রিয় ইসলামী উপস্থাপক জনাব খালিদ সাইফুল্লাহ বকশীর ভাবনা –

‘বঙ্গদেশের পূর্ব দিকে চায়না ও পশ্চিমে পাকিস্তান চাঁদ দ্যাখে আগের দিন।
আর বাংলাদেশ দ্যাখে পরের দিন।ব্যাপারটা তাহলে কি হলো? একটা উদাহরণ দিলে ক্লিয়ার হবে।

ধরি একটা সোনালী রঙের বাস ফার্ম গেইট থেকে রওনা করলো গুলিস্তান যাবে। ফার্ম গেইটের লোকজন সোনালী রঙের বাস বাসটিকে দেখলো। কারওয়ান বাজারের লোকও দেখলো। শাহবাগ এলাকার লোকেরাও দেখলো। শুধু বাংলামোটর এলাকার লোক দেখতে পেলোনা। তার অর্থ কি এই যে বাসটি বাংলামোটর এলাকার উপর দিয়েই যায়নি।বাসটি সোজা পথেই চলেছিলো।দোষ কার বাসটির নাকি এলাকার লোকের?আমার জানামতে চাঁদ দেখা কমিটির বেশির ভাগ লোকই চশমা ছাড়া পেপার পড়তে পারেনা।তাদের সারা দেশের কমিটির অবস্থাও তাই। তারা ছাদে উঠবে চাঁদ খুঁজবে।

আরে ভাই চাঁদ থাকে মেঘের আড়ালে। মেঘের উপর উঠা কোন কঠিন কাজ নয়। একটা হেলিকপ্টার নিলেই তো হয়।তা নেবেনা কারণ নবীজির আমলেতো আবার হেলিকপ্টার ছিলোনা।
জ্বর হলে প্যারাসিটামল ঠিকই খায়।যদিও ঐ আমলে প্যারাসিটামল ছিলোনা।আর সেগুলোর কিসের দরকার?পৃথিবীর কোন অঞ্চলের কোন জায়গায় চাঁদ ও সূর্য কতটা মিনিট কত সেকেন্ডে অবস্থান করে তা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত। অবাক হতে হয় যখন দেখি কিছু চোখ ওয়ালা মানুষ
কিছু বিজ্ঞানবিমূখ মান্ধাতা আমলের সেকেলে চিন্তাধারার বনি আদমের অন্ধ অনু্সরণ করছে।

এসব বিষয় নিয়ে ২০১৮ সালের ১ম রমজানে যমুনা টিভির লাইভ (রোজার দিনে) অনুষ্ঠানে আমরা বহুমূখী তথ্য তুলে ধরেছি। আমার উপস্থাপনায় ড. শমশের আলী ও ঢাবি শিক্ষক ড. যুবায়ের মোঃ এহসানুল হক বিষয়গুলি ক্লিয়ার করেছেন।আমি এই মুহূর্তে মক্কায়। আমার দেশ থেকে মাত্র ৩ ঘন্টা আগে।আমি ঈদের নামাজ পড়েছি ১২ ঘন্টা আগে। আমার বাচ্চারা ঈদের হাসি হাসবে আরো ৩৬ ঘন্টা পর। কি বলবো? ভাষা নেই।
-মক্কা থেকে খালিদ সাইফুল্লাহ বকসী’

চাঁদ দেখা কমিটির লোকেরা আমলা নির্ভর হয়ে থাকে।তাদের নিজস্ব কোন সোর্স থাকে না।থানার দারোগা পুলিশের সোর্স আছে তাদের বাজেট আছে কিন্তু চাঁদ দেখা কমিটির লোকেরা আসরের পর হতে সভাকক্ষে হাজির হয়ে শীতল ঘরে বসে থাকে।নিজেরা চাঁদ দেখতে চেষ্টা করেনা।এমন কি জনগণ মেসেজ পাঠালে বা ফোন দিলে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসির সাথে যোগাযোগ করতে বলে।তাদের উচিত নিজেরা বিশ্বস্ত সোর্স রাখা।জনগণ কেন ট্যাকের পয়সা খরচ করে ফোন দিতে যাবে?ফোনগুলো কি টোল ফ্রী?বহুজাতিক বানিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যের মোড়কে পণ্যের অভিযোগ মতামতের জন্য টোল ফ্রী নাম্বার দেয় আর আমাদের চাঁদ দেখা কমিটি তা দিতে পারেনা।

ঈদ নিয়ে বিশ্ব ভাবনা

ঈদ উৎসবের দিন হলেও এর সাথে আল্লাহর হুকুম এবং এবাদত জড়িত।ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম এবং ঈদের নামাজের আগে যেকোন নফল নামাজ নিষিদ্ধ।সুতরাং এই বিষয়টি আমলে নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি মক্কার আকাশে চাঁদ দেখা গেলে বিশ্বের এক গোলার্ধের মানুষ ঈদ করবে যেখানে দিনের প্রভাব বেশী থাকে তারা ঈদ করবে স্বাক্ষ্য সাপেক্ষে।কারণ মক্কার জমিন পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এবং বাইতুল্লাহ দুনিয়ার প্রথম ঘর যা বরকতময় এবং সমগ্র আলমের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তৈরী করেছেন। আল্লাহ বলেন ‘ইন্না আউয়ালা বাইতিন নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম ঘর উদ্বিয়া লিন্নাসি যা মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, লাল্লাজি বিবাক্কাতা মোবারাকান সেটা হচ্ছে এই বরকতময় ঘর যা মক্কায় অবস্থিত ওয়া হুদাল্লিল আলামিন আর তা সমগ্রজগতের হেদায়েত স্বরূপ’।

বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য চাঁদ দেখার বিষয়টি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন চাঁদ দেখা এবং সে মোতাবেক হিজরী মাস গণনা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ওপর দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। কমিটি প্রতি বছর রমজানের চাঁদ আরব বিশ্বসহ প্রায় সব দেশের এক দিন পরে দেখতে পায়।কিন্তু এবারে চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক শাবানের চাঁদ দেখা গেছে দুই দিন পর। সে হিসেবে বাংলাদেশের মুসলমানরা আরব বিশ্বসহ অন্যান্য দেশের মুসলমানদের দুই দিন পর শবেবরাত উদযাপন করেছে।শাবানের হিসাবে আরব বিশ্বসহ অন্যান্য দেশের দুই দিন পর বাংলাদেশে রোজার মাস শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের এক দিন পর রমজানের চাঁদ দেখার ঘোষনা আসে যা এই দেশের গতানুগতিক ঐতিহ্য বলে ধরে নেয়া যায়। কিন্তু তার পরও প্রশ্ন থাকে, আরব বিশ্বসহ প্রায় সব মুসলিম রাষ্ট্রে এক দিনে চাঁদ দেখলে বাংলাদেশ কেন পরদিন দেখবে? পৃথিবী একটি, চাঁদও একটি। আমাদের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির যুক্তি,রাসুলুল্লাহ স. চাঁদ দেখে রোজা রাখা এবং রোজা ভাঙার কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে যতো হাদীস আছে,তাতে একই রকম মতামত পাওয়া যায়।

সব দিক পর্যালোচনা করে দেখা যায়,ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে আমরা অন্যান্য দেশের এক দিন পর নতুন চাঁদ দেখতে পাই। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আরববিশ্বে বাংলাদেশের ৩ ঘণ্টা পর সূর্যাস্ত হয়। সেজন্য ৩ ঘণ্টা পর আরববিশ্ব নতুন চাঁদ দেখতে পেলেও সময়ের ব্যবধানের কারণে বাংলাদেশে তা দেখতে পাওয়া যায় না। এ যুক্তি যদি ধরে নেওয়া হয়,তাহলে আমাদের এক ঘণ্টা আগে ইন্দোনেশিয়া এবং দুই ঘণ্টা আগে মালয়েশিয়ায় সূর্যাস্ত হওয়ায় তারাও নতুন চাঁদ দেখার কথা নয়।কিন্তু তারা একই গোলার্ধে হওয়ার কারণে আরব বিশ্বকে অসুসরণ করে। বাংলাদেশে সময়ের ব্যবধানে নতুন চাঁদ দেখা না গেলে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কীভাবে দেখতে পারে? বাস্তবতা হচ্ছে,প্রতি বছরই দেখা যায় আরববিশ্বে যেদিন নতুন হিজরি মাস শুরু করে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া সেই পঞ্জিকা অনুসরণ করে। তারা আরববিশ্বের সঙ্গে একাত্ম হয়ে লাইলাতুল বারাত রোজা রাখে ঈদ এবং লাইলাতুল কদর উদ্‌যাপন করে। এ দুটি মুসলিম দেশ আরববিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হিজরি মাস কেন শুরু এবং শেষ করে,তার নিশ্চয়ই গ্রহণযোগ্য যুক্তি আছে। বাংলাদেশের ইসলামী স্কলারগণ এ দুই দেশের যুক্তিগুলো পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন।

নতুন চাঁদ দেখা নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে বিতর্ক চলছে তা নিয়ে ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি)’-এর উদ্যোগে ধর্মীয় পন্ডিত ও নামকরা আলেমরা পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন,একটি মুসলিম দেশে চাঁদ দেখা গেলে অন্যান্য দেশেও তা মানা হবে।

২০১৬ সালের মে মাসে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল হিজরী ক্যালেন্ডার ইউনিয়ন কংগ্রেস’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের মধ্যে যে বিভক্তি রয়েছে তা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সম্মেলনে সবাই একমত না হলেও বেশির ভাগ প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞ একটি হিজরী বর্ষপঞ্জির পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। রাসুলুল্লাহ স শুধু আরব দেশের জন্য প্রেরিত নবী নন।তার ভাষ্য মতে ইন্নি রাসুলুল্লাহি ইলাইকুম জামিয়া’ আল্লাহ তাকে সারা বিশ্বের জন্য নবী হিসেবে প্রেরণ করেছেন। প্রায় দেড় হাজার বছর আগের বিশ্ব আজকের মতো তৎক্ষণিক ও ব্যাপক যোগাযোগের আওতায় ছিল না। তাই বিশ্বের কোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে তা বিশ্বের অন্য দেশের জনগণের জানার সুযোগ ছিল না। জ্যোতির্বিজ্ঞান,ডিজিটাল প্রযুক্তিসহ বিজ্ঞান আজ অনেক উন্নত ও বিকশিত। চাঁদ দেখা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্কের অবসানকল্পে বিজ্ঞানের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। আল কোরআনে ৭৫০টির অধিক আয়াতে বিজ্ঞান বিষয়ে দিকনির্দেশনা আছে। সূরা ইয়াসিনের ২নম্বর আয়াত ‘ইয়াসীন ওয়াল কোরআনিল হাকীম’ এর বাংলা তরজমা কেউ লিখেছেন,‘হেকমতপূর্ণ কোরআনের শপথ’,কেউ লিখেছেন,‘শপথ এই বিজ্ঞানময় কোরআনের’। সূরা আলে ইমরানের ১৯০ নম্বর আয়াত ‘ইন্না ফী খালক্বিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বে লা আয়াতিললি উলিল আলবাব নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পরিবর্তনে বুদ্ধিমানদের জন্য নিদর্শন আছে।’ঐতিহাসিকভাবে সত্য যে,একসময় কোরানের আলোকে মুসলমানরা বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু করে এর যাত্রা শুরু করেছিলেন। মুসলিম শাসক আল মামুনের রাজত্বকালে আকাশতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী আবুল হাসান নবম শতাব্দীতে দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানের পথ উন্মুক্ত করেন। দশম শতাব্দীতে বিজ্ঞানী আল বাত্তানী সৌরমন্ডলের গতি, চান্দ্রমাসের সঠিক গণনা,চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের তথ্যাদি নির্ণয় করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। বর্তমানে বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগে ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অগ্রগতির যুগে যখন মানুষ চাঁদে যাচ্ছে,মঙ্গলগ্রহে বসবাসের স্বপ্ন দেখছে,ব্ল্যাকহোলের ছবি মানুষের চোখের সামনে তুলে ধরছে এবং বাংলাদেশের ‘বঙ্গবন্ধুস্যাটেলাইট’ মহাকাশে অবস্থান করছে,সেই সময়ে নতুন চাঁদ দেখা নিয়ে যে বিতর্ক বিদ্যমান,এর অবসান কি অসম্ভব? সামনে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি রমজানসহ সকল চাঁদ দেখার বিষয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবে।১৯৯৮ সালে তিরিশ তারাবীহ ২৯ রোজা শেষে ঈদ আবার ২০১৯ সালে তিরিশ তারাহীহ ২৯ রোজা শেষে ঈদ এই ভুল যেন আর না হয়। ইসলামের সব দলিলের আলোকে ওআইসিসহ বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমের মতামতকে বিবেচনায় নিয়ে আমরা একই গোলার্ধের মানুষ কাবা কেন্দ্রিক চান্দ্র মাসের হিসেবে যেন নিবিষ্ট হতে পারি সেই তৌফিক আল্লাহর কাছে চাচ্ছি।আল্লাহ যেন আমাদেরকে পৃথিবীর মানুষের কাছে খেলো হিসেবে আর উপস্থিত না করেন।আসুন শ্লোগান উঠাই ‘বিজ্ঞানময় কোরান হোক বিতর্কের অবসান’। আমিন।

Email:[email protected]

03/06/2019

সুন্নতে নবীর অনুসরণই জাগতিক উন্নতির সোপান
মঈন চিশতী

রাসুল আমার ভালোবাসা
রাসুল আমার আলো আশা
রাসুল আমার প্রেম বিরহের মূল আলোচনা
রাসুল আমার কাজে কর্মে অনুপ্রেরণা।

রাসুলের সুন্নাহ বা আদর্শ আমাদের সর্বকাজে প্রেরণা যোগালেই আমরা প্রকৃত মুমিন হতে পারবো।নবীজি ফরমান লা ইউ'মিনু হাত্তা ইয়াকুনা হাওয়াহু তাব'আন লিমা জি'তু বিহী।তোমরা ততোক্ষণ মুমিন নও যতোক্ষণ না তোমাদের প্রবৃত্তিকে আমার আনিত জিনিসের উপর বিলীন করতে পেরেছো।কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য তার আদর্শ শুধু ধর্মীয় এবাদত তথা নামাজ রোজা ছাড়া অন্য কোন সামাজিক এবাদতে এমন কি হজ্ব যাকাতেও ধরে রাখতে পারিনি বলে আমরা প্রকৃত মুমিনও হতে না পেরে দুনিয়ার কল্যাণ হতে বঞ্চিত।আজ যে হজ্ব উমরা হচ্ছে রিয়ায় পরিপূর্ণ সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির এক নতুন কৌশল মাত্র।নেতা হজ্ব করে ভোটের কাটতি বৃদ্ধির জন্য ওয়ায়েজীন হজ্ব করে দাওয়াত বৃদ্ধির জন্য।কিন্তু প্রকৃত হজ্ব কোথায় তা জানার জন্য নবীজির সীরাত বা জীবনীর দিকে নজর করতে হবে।সেখানে দেখা যাবে প্রায় ১৫০০ সাহাবী নিয়ে নবীজি ৮ম হিজরীতে বায়তুল্লাহ সফরে উমরা করতে গেলে মক্কার কোরাইশরা তাকে হোদায়বিয়ায় আটকে দিয়ে মক্কায় প্রবেশে বাধা দেয়।অথচ যুগযুগ হতে রেওয়াজ হলো বায়তুল্লাহ সফরে কাউকে বাধা দেয়া যাবেনা।মক্কার পরিস্থিতি জানার জন্য কোরাইশদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উসমানকে রা মক্কা পাঠান।উসমানের ফিরে আসতে দেরী হওয়ায় ষড়যন্ত্রকারীরা রব উঠায় মক্কায় উসমানকে হত্যা করা হয়েছে।কেউ বলছে উসমান কোরাইশদের সাথে সমঝতা করে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ শুরু করেছে। নবীজি বলেন আমাকে ছাড়া উসমান বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবেনা।তাকে হত্যা করা হয়েছে তাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে তেমন কিছু হয়ে থাকলে আমরা তার হত্যার বদলা না নিয়ে যাবো না। আসো আমার হাতে হাত রেখে ক্বেসাসে উসমানের অঙ্গীকার নাও।যা ইতিহাসে "বাইয়াতে রেদ্বওয়ান" বলে উল্লেখ আছে।আমরা আমাদের স্বার্থে এই বাইয়াত হতে দূরে থাকা এবং কোটারী স্বার্থে বাতিলের অনুচরদের সাথে আপোশ করার কারণেই মার খাচ্ছি বিশ্বব্যাপী। লুট করে নিচ্ছে আমাদের সম্পদ ভিন্ন জাতি।আমাদের মক্কা মদিনায় ভিন্ন জাতির প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও তাদের ব্যবসা চলছে দেদারছে।ইহুদী নাসারা নিজেরা অহিনকূল সম্পর্কে থাকলেও মুসলিম অগ্রযাত্রায় তারা জিগরী দোস্ত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।মক্কা হেরেমের প্রধান গেট দিয়ে বের হলে তাদের কেএফসি,ম্যাগডোনাস নজরে পড়বে সবার আগে।যাদের ব্যবসার একটি অংশ বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধনে ব্যয় হয়।মদীনা হেরেমের প্রধান গেট দিয়ে বের হলে দেখা যায় ওমেগা ঘড়ি যা হারিয়ে যাওয়া হাজীদের একটি নির্ধারিত পয়েন্ট।মক্কা মদীনার বাজারগুলো দখল করে আছে চায়না জাপানী পণ্য।এমন কী আপনার হাতের তসবী জায়নামাজও তাদের তৈরী।মাজুর মুসুল্লীদের চেয়ারগুলোর বাজার সৌদীর বিখ্যাত চেইনশপ বিনদাউদের মাধ্যমে দখল করে রেখেছে।অথচ এই সামগ্রীগুলো মানসম্মতভাবে আমরা সরবরাহ করতে পারি।আমাদের অভাব দূরদর্শিতার। তারা ভিন্নধর্মী হয়েও দূরদর্শিতার কারণে একজাতি হয়ে কাজ করছে। যে নামাজ এসেছে আশরাফ আতরাফকে একই কাতারে শামিল করে সামাজিক ঐক্য দৃঢ় করতে সেই নামাজকে আমরা রুসুমী নামাজে পরিণত করেছি।নামাজের আহবান হলো "হাইয়্যা আলাল ফালাহ" আসো কল্যাণের দিকে।খোঁজ নিলে দেখা যাবে নামাজী হয়েও সেই কল্যাণ হতে আমরা বঞ্চিত।আমরা ফাওয়াইলুল্লিল মুসাল্লিনার মধ্যে পড়ে গেছি। আল্লামা ইকবালের ভাষায় "রাহ গিয়া রুসমে আজাঁ রূহে বেলালী না রাহী" আজানে রেওয়াজ রয়ে গেছে কিন্তু বেলালের আত্মিক শিক্ষা হতে বঞ্চিত। এই কারণে আমরা ফেরকা গোষ্ঠীতে বিভক্ত। বিশ্ব সংস্থাগুলোর দিকে তাকালে বিষয়টি সহজে আঁচ করতে পারবন।তারা মানবতার জয়গান করলেও কোথাও মুসলিম নাগরিকদের মানবতা লংঘিত হলে উট পাখীর মতো বালিতে মুখ গুজে বসে থাকে।এর কারণ কী? কারণ হলো তারা নিজেরা নানা গোত্র বর্ণ ধর্মে ভিন্ন হলেও নিজেদের স্বার্থে একটি উম্মাহ।কিন্তু আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের ধারক বাহক হয়ে অন্যকে নিয়ে উম্মাহ গঠন করবো তো দূরের কথা নিজেরাই শতধা বিভক্ত।রাষ্ট্রচিন্তায় নবীজির অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত:
মদিনায় গিয়ে যেখানে নবীজি স মদীনার ভিন্নধর্মীদের নিয়ে মদিনার স্বার্থে একটি লিখিত চুক্তির মাধ্যমে উম্মাহ গঠন করেছিলেন আমরা আজ সেই সুন্নাহ হতে দূরে প্রতিবেশী হিন্দু ভাইদের অহরহ মালাউন চাড়াল বলে সম্বোধন করি।অথচ প্রতিবেশীর হক আদায়ে নবীজির কোন ধর্মীয় বিভক্তি ছিলোনা।
মদিনায় এসে সকল নাগরিকদের নিয়ে একটি জাতি তৈরী করেছিলেন যা আধুনিক রাষ্ট্রে দেখা যায়।আমরা বাংলাভাষী কোলকাতায় বসবাসরত বাংলাভাষী হতে ভিন্ন বাংলাদেশী জাতি তারা ভারতীয় আবার একই ধর্মের হয়েও মাওলানা সাদ ভারতীয় আর মাওলানা জোবায়ের বাংলাদেশী এটাই আধুনিক রাষ্টচিন্তার নিয়ম যা নবীজির মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে মদীনায় শুরু হয়েছিলো।মদীনায় আওস ও খাজ্বরাজ গোত্রের যূগযুগ ধরে চলে বাদ বিসম্বাদ নবীজি স এর মাধ্যমে তিরোহিত হয়েছিল।ফা আল্লাফা বাইনা ক্বুলুবিকু অত:পর আল্লাহ তোমাদের অন্তর মিলিয়ে দিলেন ফা আসবাহতুম বি নি'মাতিহি ইখওয়ানা । আর আল্লাহ তার অসীম করুনায় তোমাদের ভাইয়ে ভাইয়ে পরিণত করে দিলেন।

"মদীনা মদীনা তোমায় ভুলতে পারিনা"
মদীনার আদব এবং প্রেম:মক্কার কাবা হলো মানবপ্রেমের উৎস বা পাওয়ার হাউস আর সেই পাওয়ার হাউজের সুইচ মদিনার গম্বুজে খাজ্বরা বা সবুজ গম্বুজ।সেখানে কী আকর্ষণ তা আশেক মাত্রই জানে। সবুজ গম্বুজের ছায়ায় কী মজা যারা সেখানে বসে তারাই জানে।রমজানে আসরের পর হতে ইফতারীর দস্তরখান বিছানো হয় আশ্চর্যজনক হলেও সত্য সবুজ গম্বুজের পূর্বপার্শ্বে বাবে বেলালে কোন দস্তরখান বিছানো হয়না।কারণ হলো বেলালের উত্তরসুরী আশেকে রাসুলরা এখানে বসে থাকে ইফতারী আশায় নয় নবীর প্রেমের আশায় ঠিক ইফতারীর আগ মুহূর্তে হাতে হাতে ইফতারী দিয়ে দেয় নবীপ্রেমিকগণ।
মদীনার সবচে বড় কাজ নবীজিকে সালাম দেয়া আর চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ তাকবিরে উলার সাথে মসজিদে নববীতে আদায় করা।এর বিনিময়ে নেফাক্বী বা মনের কুটিলতা দূর হওয়া আর জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্তির কথা নবীজি বলেছেন।প্রথমবার যখন হজ্বে আসি আমাদের মুয়াল্লিম খুব সতর্কতার সাথে এর গুরুত্ব বুঝিয়েছেন।ইদানিং এর তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়না।শুধু জিয়ারত করে অনেকে চলে যায়।চল্লিশ নামাজের সাথে আত্মার কী সম্পর্ক তা বুঝলে এটি কেউ বাদ দিতেননা।অনেকে বলেন এখানে আটদিন না থেকে কাবায় গিয়ে তাওয়াফ করা উত্তম। তাওয়াফ অবশ্যই উত্তম।কিন্তু নবীপ্রেমের চেয়ে তা উত্তম কি? নিজের মনের কাছে প্রশ্ন করুন নবীজিকে যিনি ঈমানের সাথে দেখে ঈমান নিয়ে বিদায় হয়েছেন তিনি সাহাবীর মর্যাদা লাভ করেন।আর কাবা দেখলে এর তাওয়াফ করলে হাজীর মর্যাদা লাভ করেন কার মর্যাদা বেশী?আর আমরা কি আবু বকর উমর উসমান আলী প্রমূখ সাহাবী রেদ্বওয়ানুল্লাহ হতে দ্বীনি বিষয় বেশী বুঝি? ঐসব জলীলুল ক্বদর সাহাবীরা নিজ মাতৃভূমি ব্যবসা বানিজ্য এবং মক্কার তাওয়াফের ফজিলত ছেড়ে নবীজির খেদমতে চলে এসেছিলেন।
সুযোগ পেলেই প্রেমাস্পদের কাছে ছূটে আসি বার বার:
এবার মদীনার যাত্রা উশ্বাকে রাসুলদের সাথে।আমরা পারিবারিক ভাবে এলেও মক্কা হতে যে বাসে আসি সে বাসে সারা রাস্তায় চলে দরূদ এবং কাসিদা।আমি কিছু বক্তব্য রাখি মদীনার আদবের উপর ছোট হুজুর কবি নজরুলের "আমি যদি আরব হতাম মদীনার পথ" গেয়ে যাত্রীদের নবীপ্রেমে মাতিয়ে তোলেন।জোহরের পরপর নেমে নবীজিকে সালাম দিয়ে আসরের অপেক্ষায় থাকি সবুজ গম্বুজের পাশে।মদীনার ভক্তরা আমার বসার স্থানে আগেই ইফতারীর দস্তরখান পেতে রেখেছিলো। মদীনায় ইফতারী এক এলাহীকান্ড।মোখতার রমজান মাদানী নামে এক আমেরিকান নাগরিক প্রায় ২৬ বৎসর যাবৎ মসজিদে নববীর ভিতরে ১৫৩ নং জুতার বাক্সের কাছে প্রায় হাজার খানে হাজীর ইফতারীর আয়োজন করেন তার সাথে ধৈবাৎ সাক্ষাত হলে একদিন বাধ্য হয়ে ইফতার করি তিনি আতর হাদিয়া দেন আমি হাতে আংটি হাদিয়া দেই।এখানের নিয়ম হলো যে যেখানে আয়োজন করবেন সারা রমজান তাকে সেখানে ইফতারীর আয়োজন করতে হবে।মসজিদের চতুরপার্শেও এর আয়োজন চলে।যাদের দস্তর মসজিদের যতো কাছে তারা সামজিকভাবে এখানে ততো মর্যাদার অধিকারী।আমাদের দেশে ইফতার মাহফিল পার্টি সেন্টার বা হোটেলে আয়োজন করে রাজনৈতিক রূপ দেয়া মর্যাদার প্রতীক ধরা হয় এমন কি ইসলামী দলগুলো তেমনটি করে।অথচ ইফতার একটি ইবাদত এটি মসজিদে হওয়াই উত্তম।আমরা সেই এবাদতকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে রোজাকে হালকা করে দিচ্ছি। মদীনা এলে বিষয়টি বুঝা যায় এই এবাদতকে তারা কতোটা তাকওয়ার সাথে গ্রহণ করেছে।

02/06/2019

ক্ষমার দশকে কাবা চত্তরে মনের ভাবনা
মঈন চিশতী
মাইঁ উনকে না জোঁ পে লোট গায়া হুঁ /
মগর ওহ মুঝ ছে ফেদাঁ নেহী হ্যাঁয়" জনৈক উর্দূ কবি বলেন " আমি তো আল্লাহর নাজ নেয়ামতে নিজেকে হারিয়ে ফেলে তার চরণে লুটে পড়ি কিন্তু তিনি তিনি কেন যেন আমার প্রতি বিরাগ হয়ে আছেন।
সারা দুনিয়ার মুসলিম উম্মাহ সুযোগ পেলেই কাবা পানে ছুটে আসে তবু তিনি কেন যেন আমাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে বিশ্বব্যাপী আমাদের মার খাওয়াচ্ছেন। বিষয়টি বুঝার জন্য কাবা চত্তরে বার বার ছুটে আসি।এবারের সফরসঙ্গী আমার আম্মাজান লালপুরী শাহর জীবনসঙ্গিনী আমার ভাই এবং মামা খালারা। অনেক দিনের স্বপ্ন আল্লাহ এবার পূরণ করায় আল্লাহর শোকরিয়ায় জ্ঞাপন করছি।এই সফর প্রক্রিয়াকালে লালপুরী শাহর রূহানী আওলাদ আহমদ উল্লাহ ভাই রমজানের কলামের জন্য ৬ টি লেখা তলব করেন আর বলেন মক্কা এবং মদিনা হেরেম থেকে যেন অন্তত দু'টি লেখা যুগান্তরের পাঠকদের জন্য পাঠাই।জবাবে সেখানে গেলে ইবাদত নিয়ে ব্যস্ত থাকি তারপরও চেষ্টা করবো।
এবার উমরা সফরের প্রস্তুতি: মাস তিনেক আগে হঠাৎ লালপুরী দরবারের ছোট হুজুর তার এক সফরসঙ্গী আলেমকে বলেন চলেন হজ্ব মৌসুম শুরু হওয়ার আগে বড় হুজুরকে সাথে করে মক্কা মদিনা সফর করে আসি তিনি হজ্বের উপর গবেষণা করে কিতাব লিখেছেন।দোয়া কবুলের স্থান মানাজিলুল কোরান সাহাবীদের স্মৃতির জায়গাগুলো তিনি জানেন যা কর্তৃপক্ষ সাধারণত হজ উমরাকারীদের গোচরে আনেনা।এবার কাবা এবং মদিনা সফর হবে নিরিবিলি পরিবেশে কারণ প্রেমের মঞ্জিলে একা যেতে হয়। তাইলে প্রেমে মজা আসে।কাবা তো প্রেমের উৎস মানবজাতির প্রথম ঘর।ইন্না আউয়্যালা বাইতিয়া উদ্বিয়া লাল্লাজিনা বিবাক্কাতান নিশ্চয়ই মানবজাতির প্রথম ঘর যা মক্কায় অবস্থিত।মানুষ তো প্রেমের উৎস।কারণ মানুষের সৃষ্টি প্রেমের কারণে।মানুষ হলো দুনিয়ায় আল্লাহর প্রতিভূ 'জ্বিল্লুল্লাহি ফীল আরদ্ব'।মানুষ না হলে আল্লাহর পরিচয় কোথায় পেতাম? মানুষও বানাইলো আল্লাহ প্রেমের কারণে /প্রেমের ডুরি বান্দরে মানুষের সনে।এই কারণেই মানবতার খেদমতে আল্লাহ মিলে যায়। কথায় বলে খেদমতে খোদা মিলে।হাদীসে আছে "ইরহামু মান ফীল আরদ্বে দুনিয়ায় যারা আছেন তাদের উপর দয়া করো ইয়ারহামুকুল মান ফিসসামাঈ তাইলে আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদের উপর দয়া করবেন।"কেউ স্বীকার করুক আর না করুক বিশ্ব পরিচালিত হচ্ছে কাবাকে কেন্দ্র করে। কাবা চত্তরে গেলে দেখা যায় সাদা কালো নানা কিসিম নানা ভাষার লোক কাবায় এক অজানা আকর্ষণে বসে আছে। সেই আকর্ষণটি হলো দ্বীনে কায়্যিম পরিশুদ্ধ ভারসাম্য পূর্ণ ধর্ম শরীয়ত বা জীবন ব্যবস্থা।কালামে পাকের ভাষায় আল্লাহ বলেন "লা তাবদিলা লি খালকিল্লাহি আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন নেই,জালিকা দ্বীনিল কাইয়্যিম এটাই একটি ভারসাম্যপূর্ণ ধর্ম।কিন্তু আমরা দ্বীনকে টুকরা করে দুনিয়ার দোকান বানিয়ে নিয়েছি।দ্বীনকে নিজ গোষ্ঠী বা কোটারী স্বার্থে ব্যবহারের ফলে নামাজী বেড়েছে হাজী বেড়েছে কিন্তু ঈমান ও বিশুদ্ধ জবান হারিয়ে গেছে।কালামে পাকে আছে ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু হে ঈমানদারেরা ইত্তাক্বুল্লাহা তোমরা পরহেজগারী অবলম্বন করো আর তা অর্জনের জন্য ক্বুলু ক্বাওলান সাদিদা ইয়ুসলিহ লাকুম আ'মালাকু পরিশুদ্ধ কথা বলো কিন্তু আমরা জবান ঠিক করতে পারিনা বলে আমলও ঠিক হচ্ছে না।পরীক্ষার খাতায় এলোমেলো লিখে যেমন পাশের আশা করা যায়না তেমনি ইচ্ছাধীন আমল করে দুনিয়ার কল্যাণ আর আখেরাতের নেয়ামতের আশা করা যায়না
আমাদের এবাদতগাহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে দিকেই নজর করেন দেখবেন আমরা নিজেদের খেয়াল মতো সব সাজিয়ে নিয়েছি। মুনাফাখোর মজুতদারদের টাকায় মসজিদগুলো সাজুগুজু মসজিদে রূপান্তরিত হচ্ছে।ফলে নিরাপত্তার কারণে জামাতের আধা ঘন্টার হয়ে তালাবন্ধ হয়ে যায়।ফলে মদিনার খেজুর পাতার ছাউনি মসজিদে যে ঈমান আমলওয়ালা লোক তৈরী হয়েছে।এখন আর সেই লোক তৈরী হয়না।আমাদের মসজিদগুলোর নির্মাণ সাজসজ্জায় রিয়া বা লৌকিকতা এবং হালাল মালের সাথে হারাম মাল মিশে গেছে।ফলে ইবাদতের স্বাদ এবং রূহানিয়ত হতে আমরা বঞ্চিত।কবি নজরুলের ভাষায় " নামাজী তোর নামাজ হলো যে ভুল/ মসজিদে তুই রাখলি সেজদা ছাড়ি ঈমানের মূল।ঈমান শুধু মৌখিক স্বীকৃতির নাম নয়।স্বীকৃতির সাথে সাথে কর্মে পরিণত করা মানব সেবা করাও ঈমানের দাবী ঈমানের ৭০টি শাখা প্রশাখার মধ্যে "ইমাতাতুল আজা আনিত্তারিক" রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু সরানোও ঈমানের অংশ বলে নবীজি স বলেছেন।
আমরা সেই মানবতার কাজ ছেড়ে হালাল হারামের তমিজ না করে মসজিদ খানকা ইত্যাদি সজ্জিতকরণের প্রতিযোগীতায় নেমেছি।আমরা যে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের কোরাইশদের চেয়ে নিম্নগামী তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
মক্কার কোরাইশ নেতারা হালাল অর্থের অভাবে খানায়ে কাবার ইব্রাহিমী ভিত্তির কিছু অংশ ছেড়ে কাবাকে পুনঃনির্মাণ করেন।সে কারাণেই কাবায় বার বার মানুষ ফিরে আসে কাবার আকর্ষণে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা মানুষ তাওয়াফে ব্যস্ত থাকে মাতাফ সংলগ্ন মসজিদে ইতিকাফ তেলাওয়া জিকিরে রত থাকে।আর আর আমাদের মসজিদ হতে নামাজ শেষে দ্রুত মসজিদ ছেড়ে চা ষ্টলে বসে আড্ডা দেয় আর মানুষে দোষত্রুটি খুঁজে বেড়ায়। রাজনৈতিক নেতানেত্রী পীর মাশায়েখ আশেক মজ্জুবদের নিয়ে নানা নানা কটু কথা বলে বেড়ায়।অথচ অগোচরে দোষত্রুটি খুঁজে বেড়ানোওয়ালাদের আল্লাহ কঠোর ভাষায় "ওয়াইলুল্লি কুল্লি হুমাজাতিল লুমাজা বলে ধমক দিয়েছেন"।
মসজিদে সন্দেহযুক্ত টাকায় এবাদতের রূহানিয়ত নষ্ট হয়।লালপুরী দরবার শরীফের ঢাকা খানকার পাশে যাত্রবাড়ী বড় মাদ্রাসা।প্রতিবছর খতমে বুখারীর দোয়া অনুষ্ঠানে শরীক হই।এই মাদ্রাসা প্রধান নিপাঠ ভদ্রলোক। অনাড়ম্বর চলাফেরা যেমন নিজে করেন তেমনি মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদকেও রেখেছেন অনাড়ম্বর দরজা জানালাহীন হোগলার চাটাই বিছানো মেঝে।বছর কয়েক আগে গিয়ে দেখি টাইলসে সজ্জিত মেঝে নামাজের সেজদা দিলে আগের মতো মজা পাইনা।আমার মনে হলো টাইলসের দাতার সন্দেহজনক টাকা এখানে লাগানো হয়েছ। বিষয়টি কাকে জিজ্ঞেস করবো এমন সময় মাদ্রাসা প্রধান মাওলানা মাহমুদুল হাসান স্বয়ং মাইকের সামনে গিয়ে বলেন।তার উমরা সফরকালে ঐ দাতা নায়েব মোহাতামিমের কাছে এসে বলেন "বড় হুজুর আসলে কাজটি করতে পারবো না আমার অনেকদিনের ইচ্ছা মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদটি টাইলস করে দেবো আপনি অনুমোতি দিলে হুজুরের সফরের আগেই কাজটি শেষ করে দেব।বড় হুজুর দেশে ফিরে বলেন আমার অনুমোতি না নিয়ে ঐ লোকের টাকা মসজিদে লাগানো ঠিক হয়নি।সন্দেহযুক্ত টাকার মাল সেজদার স্থানে লাগাতে শরীয়ত নিরুৎসাহিত করেছে।এজন্যই হেরেমে মক্কার আবু জেহেলের বাড়ীটি নামাজের মুসাল্লা হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।কিন্তু আমাদের দেশের একটি অলিখিত নিয়ম হলো সমাজে যার কাঁচাটাকা আছে তারা নিয়মিত মুসুল্লী না হলেও মসজিদের সভাপতি সেক্রেটারী এবং তার দান খয়রাত সবার চেয়ে বেশী তার টাকা হালাল হয়ে দানের সাথে রিয়া বা লৌকিকতা জড়িত তা আমরা মাথায় রাখিনা।আমাদের আমল বিশুদ্ধ না করে, হৃদয় মসজিদ অসুন্দর রেখে ইট কাঠের মসজিদ যতোই সাজাইনা কেন পরকালে এর কোন মূল্য নেই।রমজানের মাগফিরাতের দশকে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে হৃদয় মসজিদ সাজিয়ে তার এবাদত জিকির আজকার করার তৌফিক দিন।আমিন।

মঈন চিশতী
১৩ রমজানুল মোবারক ১৪৪০ হিজরী
কাবা চত্তর মসজিদে আবু বকর শরিকা মক্কা হিল্টন হোটেল।আল মক্কাতুল মোকাররমা।
email : [email protected]

17/05/2019

https://youtu.be/2VzR_AgsTgg

Tri Nation Series 2019 | LIVE | Powered by Rabbithole

15/05/2019

https://youtu.be/lkbAAXQ5ftg

যে দোয়ার কারণে আল্লাহ হযরত আদম (আঃ)কে মাফ করে দিলেন।। মিজানুর রহমান আজহারী। Please Don’t Forget To Like, Commen...

07/05/2019

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2394765640582463&id=100001471525002

মৃতব্যক্তি নিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী Please Don’t Forget To Like, Comment, Share Enjoy & stay connected with us! ► Subscribe To :- https://www.yout...

28/04/2019

Please Like, Comment, Share & Subscribe.

Surah Maryam Khalid Juhaym سورة مريم خالد الجهيم Subscribe : http://bitly.com/2SQXhfZ Please Don’t Forget To Like, Comment, Share Thanks For Watching.

24/04/2019

Please Subscribe & Share