Sajib & Swarna's world

  • Home
  • Sajib & Swarna's world

Sajib & Swarna's world Sub Inspector of Bangladesh Police Hon's Master's (Political science) L.L.B (Law Instructor)
(4)

03/02/2024

সোয়া চাঁন পাখি
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছো নাকি।

প্রকৃতি মানুষের মন উদাস করে দেয়। তাই প্রকৃতির কাছে ছুটে আসি।
08/01/2024

প্রকৃতি মানুষের মন উদাস করে দেয়। তাই প্রকৃতির কাছে ছুটে আসি।

08/12/2023

যদি তোর ডাক শোনে কেউ না আসে
তবে একলা চলো রে.......
(রবীন্দ্রসঙ্গীত)

❤️❤️
25/11/2023

❤️❤️

27/10/2023

ওয়াচ টাওয়ার, টাঙ্গুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জে কিছুক্ষণ।

10/10/2023

মিষ্টি মেয়ের সাথে গান
স্পর্শিতা স্পর্শি

26/09/2023

আমাদের দেশটা স্বপ্ন পুরী
সাথী মোদের ফুলপরি 🥰।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সাথে।

21/09/2023

গল্প বলা
শ্রেণি- প্রাক প্রাথমিক
স্বর্ণালী মজুমদার (স্বর্ণা)

20/09/2023
20/09/2023

কেউ যদি মিথ্যা মামলা দায়ের করে ফাসাতে চায়, তাহলে তার কি শাস্তি হতে পারে?

17/09/2023

আয়না খেলার মাধ্যমে ক্লাসের ফাঁকে বাচ্চাদের মনযোগ বৃদ্ধি করার ক্ষুদ্র প্রয়াস।

(স্বর্ণালী মজুমদার স্বর্ণা)

16/09/2023

প্রয়োজনীয় পোস্ট:

জীবিকার তাগিদে মানুষ কত খারাপ কাজ করে। তেমনি একটি লোমহর্ষক ঘটনা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

ঘটনাটি ঠিক কোরবানি ঈদের দুই দিন আগে ঘটেছিল। গ্রামের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির গরুর খামার ছিলো। গরুর খামারে প্রায় ২০/২২ টি গরু‌ ছিলো।

প্রভাবশালী ব্যআক্তই তার গরুর খামার দেখাশোনা করার জন্য ৪ জন লোক নিয়োজিত করে ছিলেন।২ (দুই) জন দিনে আর ২ (দুই) জন রাতে গরুগুলোর দেখাশোনা ও পাহারা দিতো।

কোরবানি ঈদের ২ দিন আগে প্রায় ২৫/৩০ জনের একটি দল ঐ প্রভাবশালী গরুর খামারির বাড়িতে হানা দেয়। দুই জন পাহারাদারকে ছুরি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তারপর তাদের হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।

গরুর খামারির সকল গরু প্রায় ২০/২২ গরু নিয়ে ৪ টা বড় ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছিল।

কোরবানি ঈদের আগে পুলিশের উপর ইন্সট্রাকশন (লিখিত আদেশ) ছিলো যে কোনো গরুর গাড়ি যাতে আটকানো না হয়।

আসলে গরুর ব্যাবসাহীদের আবেদন ছিলো যে, গরুর গাড়ি থেকে টাকা আদায় করা হয়।

তার পরিপ্রেক্ষিতে গুরুর গাড়ি নাআটকানোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

গরুর খামারী যখন রাত ৩ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার পাহাদারদের রক্তাক্ত জখম করে হাত পা ও মুখ বেধে সবগুলো গরু নিয়ে গেছে তখন তিনি সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করেন।

আমার অফিসার ইনচার্জ মহোদয় রাত তিনটা চারটা পাঁচটার সময়ও ফোন আসলে ধরতেন।

যথারীতি অফিসার ইনচার্জ কল রিসিভ করেন এবং সকল টহল পার্টিকে গরু যাতে নিয়ে যেতে না পারে এই সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন এবং চেকপোস্ট পার্টিকে এলার্ট হতে বলেন।

তখন হাইওয়ে রোডে শত শত গরুর গাড়ি চলছে।

একটা চেকপোস্টে বড় জোর ছয় থেকে সাত জন পুলিশ থাকে।

এর মধ্যে থেকে শত শত গাড়ি চেক করা অসম্ভব ব্যাপার।

অফিসার ইনচার্জ চেকপোস্ট পার্টিকে মোবাইল ফোনযোগে জানালেন সবগুলো গাড়ি আটকায়ি দিতে যাতে কোন গাড়ি যেতে না পারে।

যেইমাত্র সবগুলো গাড়ি আটকানো হলো তখন ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষ থেকে (মোবাইল ফোনে) আদেশ আসলো কেনো পুলিশ কেন গরুর গাড়িগুলো আটকাচ্ছে।

অফিসার ইনচার্জ গরুর খামারির ঘটনার বরাত দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মোবাইল ফোন যোগে বললেন যে,
গরুর খামারির বাড়িতে দুইজন পাহারাদারকে ছুরি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে গরুচোরেরা প্রায় ২০/২২টা গরু নিয়ে গেছে।

সাথে সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রেসপন্স করলেন। দুইদিকে ব্যারিকেড বসানো হলো।

চুরি যাওয়া গরুগুলো নিয়ে গরুর চুররা রাস্তায় বেরিগেট দেখে গাড়ি ঘুরিয়ে অন্যদিকে যেই যেতে চাইলো প্রশাসনের কাজটা সহজ হয়ে গেল।

পর্যায়ক্রমে দুইটা টহল গাড়ি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একটা গাড়িযোগে চারটা গরুর গাড়িকে ধাওয়া করা হলো।

উপায়ান্তর না দেখে গরুচোরেরা চারটা গাড়ি রাস্তার একপাশে সাইড করে রেখে পালিয়ে যেতে লাগলো।

অত:পর অল্পবয়সী তরুণ কনস্টেবলরা প্রায় ছয় জন গরুচোরকে ধরতে সমর্থ হল।
চারটা গাড়িতে (বড় ট্রাক) চুরি করে নিয়ে যাওয়া গরু জব্দ করা হলো।

গরু উদ্ধার হল এবং সাথে গরুচুর ধরা পড়লো।
যথারীতি আইনি কার্যক্রম গ্রহণপূর্বক নিয়মিত মামলা থানায় গ্রহণ করা হলো।

যেহেতু ভোর রাত্রে ঘটনাটা ঘটেছে তখন গরু চোরদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সকল ঊর্ধ্বতনি কর্তৃপক্ষ সকাল ১০ ঘটিকার মধ্যে এসে উপস্থিত হলেন।

আমরা রাত্রেও ডিউটি করেছি আবার সারাদিন সজাগ আমাদের তো ঘুম হারাম অবস্থা।

তারপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গরুচোরদের সহযোগী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ওদেরকে অফিসরুমে ডাকতে বললেন।

গরু চোর ও তাদের সঙ্গী অন্যান্য গরু চোরদের নাম ঠিকানা জানতে চাইলেন এবং কিভাবে তারা এই কান্ডটি ঘটিয়েছে, কে চুরি করার করেছে, কে মুখ বেঁধেছে, কে পা বেঁধেছে, কে হাত বেধেছে, স্থানীয় কোন লোকজন এর পিছনে জড়িত ইত্যাদি ইত্যাদি জানতে চাইলেন।

কিন্তু তখনই একটি অবাক কান্ড শুরু হল।
৬ জন গরুচোর যারা গ্রেপ্তার হয়েছিল তাদের মধ্যে তিনজন হঠাৎ করে তাদের পেটে ব্যাথা বলে এমনভাবে চিৎকার চেঁচামেচি এবং গায়ের প্রত্যেকটা অঙ্গ বাঁকা করে ঘাড় ঘুরিয়ে গায়ের রগগুলো বাঁকা করতে লাগলো।

যেন তাদের শরীরে কেউ আগুন লাগিয়েছে এরকম একটা অবস্থার সৃষ্টি করলো।

অতঃপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ না করেই হসপিটালাইজড করা হলো।

ডাক্তার দেখেই বিভিন্ন টেস্ট দিলেন দিয়ে বললেন ওরা তো আসলে ঢং ধরেছে।

তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে ডাক্তার ঘুমের ইনজেকশন দিলেন।

এরমধ্যে বাকি তিনজনও এর মধ্যে একই অবস্থা ধারন করলো।

তাদেরকেও যথারীতি হাসপাতালে ভর্তি করা হলো এবং যথারীতি তাদের অবস্থা ও ঘাড় মুছড়ানো দেখে এবং শরীরের সকল অঙ্গ বাকা করে মুছড়ানো দেখে ডাক্তার তাদেরকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে দিলেন।

তাদেরকে আর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৬১ ধারায় কোন আসামকে ২৪ ঘন্টার বেশি থানাহাজতে রাখা যায় না বিদায় সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হলো।

অন্যান্য আসামীদেরকে ধরার জন্য যথারীতি কার্যবিধির ১৬৭ ধারায় রিমান্ড চাওয়া হলো।

রিমান্ডে ৬ জন আসামিকে আনার পর তারা আবার একই অবস্থা শুরু করলো। আবার তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে ঘুমের ঔষধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে পরের দিন জেলহাজতে পাঠানো হলো।

তাদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া গেল না।

গরুর খামারি তার গরু গুলো ফেরত পেয়ে থানায় একটি গরু দিতে চেয়েছিল কিন্তু থানার অফিসার ইনচার্জ যে দুইজন পাহারাদার আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য তাদেরকে গরুটিকে দিয়ে দিলেন।

যথারীতি ছয় জনকে আসামি করে এবং বাকি ১৬ জন আসামি অজ্ঞাতনামা রেখে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারায় চার্জশিট প্রদান করা হলো।

"আসলে পুলিশ চেক পোস্ট করে কেন"?

অনেক সময় অনেক ভালো মানুষ যাতায়াত করার সুযোগে অনেক অপরাধীরাও সেই সুযোগ হাতে নিয়ে অপকর্ম করে বেড়ায়।

তাই শুধু প্রশাসনের উপর নির্ভর করে নয় নিজের সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রত্যেক বড় ব্যবসায়ীদের আরো বেশি তৎপর হওয়া প্রয়োজন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
যারা গরুর খামারী মাছের খামারী আছেন এবং বিভিন্ন খামার ব্যবসা সাথে জড়িত তারা অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রাখবেন এবং পুলিশ প্রশাসনের নাম্বার অবশ্যই অবশ্যই মোবাইল ফোনে সেভ রাখবেন।

মনে রাখবেন আপনার এরকম খামার ব্যবসা দিয়ে আপনার জীবন চলে যেমনি ঠিক তেমনি বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য খামার ব্যবসায়ীদের অবদান অনস্বীকার্য।

সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আরো বেশি দায়িত্বশীলতার সাথে পর্যবেক্ষণ করুন এবং দেশকে খাদ্যের যে চাহিদা সেটি মেটাতে উদ্যোক্তা হয়ে দেশের প্রয়োজন খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করুন।

কোন এলাকায় চুরি ডাকাতি এর প্রভাব বাড়লে প্রত্যেক ঘর থেকে একজন করে নিয়ে পাহারাদার বসানোর ব্যবস্থা করুন।

আমার এই ঘটনার বিবরণে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে যারা এই কাজে লিপ্ত থাকে তারা অত্যন্ত পারদর্শী এবং তারা কারো নাম প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নয়।

তারা যে অভিনয় এবং ঢং করে তাদের কাছ থেকে কোন স্বীকারোক্তি আদায় করা যায়নি এর অন্যতম কারণ হলো তারা ইতিপূর্বেও গরু চুরি করে ধরা খেয়েছে অথবা জেল খেটেছে।

তাদের অভিজ্ঞতা অসীম।

তাদের এই অবস্থার মধ্যে তাদেরকে কোন প্রকার মারধর করা হলে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তখন পাবলিক সেন্টিমেন্ট গরু চোরের পক্ষে চলে যাবে।

অতএব
"সাধু সাবধান"

নিজের সম্পত্তি ও নিজের সম্পদ দেখভাল করার জন্য সজাগ থাকুন এবং প্রয়োজনে সি সি ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরের মাধ্যমে তা অবলোকন করুন।

মহান সৃষ্টিকর্তা সবার সহায়ক হউনএবং অপরাধীরা যাতে অপরাধ করতে না পারে সেই জন্য সকল জনগণ এবং প্রশাসন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এই অপরাধ নির্মূলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করুন।

ভালোবাসা ও শুভেচ্ছান্তে

সাব-ইন্সপেক্টর: সজীব দেব রায়

16/09/2023

শিক্ষনীয় পোষ্ট:

আমার এক কলিগ ছুটি নিয়ে কর্মস্থল হতে বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি যাচ্ছিলেন।
বাসে উঠার পর পাশে বসা কোট টাই পরা এক ব্যাক্তি উনার পাশে বসে আমার কলিগদের নাম, পেশা জিঞ্জেস করলেন।

যাত্রাপথ অনেক দূর তাই দুজনে গল্প জুড়ে দিলেন।

পথিমধ্যে পাশে বসা ভদ্রলোক আমার কলিগকে পান খেতে দিলেন।
পান খাবার পর আমার কলিগ ঘুমিয়ে অচেতন হয়ে পড়লেন।
পাশে বসা ভদ্রলোক আমার কলিগের সকল টাকা পয়সা ও ব্যাগ নিয়ে পরের স্ট্যশনে নেমে পড়লেন।

আমার কলিগ তার গন্তব্যস্থল পার হয়ে অনেক দূর চলে গেলেন।
বাসের কন্ডাক্টর তাকে (আমার কলিগকে) অনেক ডাকাডাকি করে ঘুম থেকে না উঠায় পাশ্ববর্তী হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তার নাম ঠিকানা জানতে চাইলেন।
তার সাথে যেহেতু কিছুই ছিলনা এবং তিনি অজ্ঞান ছিলেন বিধায় তার জ্ঞান ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
দুইদিন পরে আমার কলিগের জ্ঞান ফিরে এবং তিনি তার কর্মস্থলে ঠিকানা এবং বাড়ির ঠিকানা হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে প্রকাশ করেন।
অতঃপর সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে তাকে তার কর্মস্থল এ ফিরিয়ে আনা হয়।

আমরা কয়েকজন পুরো টিম মিলে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে কোট টাই পরনে একজন লোককে চিহ্নিত করতে পারি। কিন্তু নাম ঠিকানা সঠিক না থাকায় শুধু ছবি দিয়ে তাকে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না।

আমরাও অপেক্ষা করতে থাকলাম। ঠিক ১২ দিন পর কোট টাই পড়নের একজন লোক আবার বাসে উঠলেন। সাথে উঠলাম আমরা আরো ছয় জন।

তারপর যথারীতি উনি যাত্রা পথে ওনার পাশে বসা অন্য একজন লোককে পান খেতে দিলেন।
পান খাওয়ার পরেই লোকটি অজ্ঞান হয়ে গেল।

পরবর্তী বাসটপেজে যখন উনি নামবেন তখন আমরা ৬ জন মিলে উনাকে গ্রেফতার করলাম এবং পাশে বসা লোকটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।

আমার কলিগকেও ডাকা হল যে, কোটটাই পরা লোকটি যে অজ্ঞান করেছে এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তি কিনা তা জানার জন্য। আমার কলিগ জানালেন না এই লোক সেই লোক না।

অতঃপর গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে আমাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলাম যে ওদের এরকম অজ্ঞান পার্টির সদস্য সংখ্যা কত?

তাদের সংখ্যার পরিমাণ জেনে আমরা তো প্রায় হতবাক। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি জানালেন তাদের সংখ্যা প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন।

যারা বিভিন্ন রুটে এরকম পান খাইয়ে বা মলম লাগিয়ে লোকজনকে অজ্ঞান করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়।

অনেক সময় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে যাদের হার্টের সমস্যা তারা মারাও যায়।

এত বিশাল অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের কে ধরা অসম্ভব ছিল এবং যেহেতু একজন ধরা পড়েছে তারা সকলেই আড়ালে চলে গেল।

কিন্তু তারা যেহেতু এই পেশায় নিয়োজিত এই পেশার উপরে নির্ভরশীল তারা কোন না কোন ভাবে আবার এই কাজ আবার করবে এই আশায় আমরা প্রতিদিন প্রতিটা বাসে তিনজন চারজন পাঁচজন করে উঠতাম এবং প্রত্যেকটা লোকের উপরে নজর রাখতাম যে কেউ ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা।

অবশেষে আমরা একজন দুইজন করে তাদের অজ্ঞান পার্টির প্রায় ১০ থেকে ১২ জনকে দীর্ঘ ছয় মাসে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

বাকিরা বিষয়টি টের পেয়ে আমাদের কর্মস্থল ত্যাগ করে অন্য জায়গায় গিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

আসলে অপরাধ করার আগে কাউকে গ্রেফতার করা যায় না।
একজন ব্যক্তির ছুরি হাতে নিয়ে ঘুরলেই সে অপরাধী হয়ে যায় না, কারণ সে ছুরি দিয়ে মাংস কাটতে পারে।

কিন্তু সেই ছুরি দিয়ে যদি সে কোন ব্যক্তিকে আঘাত করে বা তার আঘাত করার কোন ইনটেনশন নিয়ে বাসা থেকে বের হয় বা কাউকে মারার জন্য চিল্লা চিৎকার করে চুরি নিয়ে তার দিকে ধাওয়া করে তখন তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব বা গ্রেফতার করা যায়।

অর্থাৎ কোন অপরাধ সংগঠিত না হলে কাউকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করা যায় না। তবে কোন ব্যক্তি যদি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে মলম বা চুরি বা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে বের হয় এবং সেটি জানাজানি হয় তখন পুলিশ কর্তৃক তাকে গ্রেফতার করা যায়।

অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের ধরতে গিয়ে আমরা পুরো রাত্রেই প্রত্যেকটা প্যাসেঞ্জার এর উপর নজর রাখতে হয়েছিল।
এমনকি যারা পানটান না খেয়েও ঘুমিয়ে ছিলেন তাদেরকেও আমরা অনেক ডিস্টার্ব করতে বাধ্য হয়েছি যে তারা অজ্ঞান পার্টি খপ্পরে পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা, তা যাচাই বাছাই করতে গিয়ে প্যাসেনজার(যাত্রী )অনেকেই খুবই বিরক্ত হয়েছেন।

ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের কেন আমরা ডিস্টার্ব করছি সেই কৈফিয়ত তারা আমাদেরকে জানতে চেয়েছেন?

তাদেরকে অনেক বুঝিয়ে শুুঝিয়ে আবার বলছি যে আপনি সুস্থ আছেন তো ?
অজ্ঞান পার্টি সদস্যরা থাকতে পারে এইজন্য আপনাকে ঘুম থেকে জাগানো হয়েছে।

তারা এটাকে হ্যারাসমেন্ট হিসেবেই নিয়েছেন। অনেকে আবার বলেছেন আমরা তো পান খাই না পরিবার নিয়ে যাচ্ছি আমাদেরকে মলম লাগানো বা পান কে খাওয়াবে?

আসলে এই প্রফেশনটা হল থ্যাঙ্কসলেস জব।

কোন কোন গাড়ি থেকে যখন আমরা মলম পার্টির সদস্যকে ধরতে পেরেছি তখন সেই গাড়ির প্যাসেঞ্জাররা আবার হাততালি দিয়েছেন।

আর যে গাড়িতে মলম পার্টির সদস্য ধরতে পারিনি বা মলম পার্টির সদস্যরা টের পেয়ে কাউকে মলম লাগায়নি সেই গাড়ির লোকজন আমাদের উপর চরম বিরক্ত হয়েছেন।

তবে তাদের সিন্ডিকেট এত বড় এবং তারা তাদের টিমের সদস্যের নাম, ঠিকানা বা ছবি তাদের মোবাইলে রাখে না তাদেরকে সনাক্ত করা যথেষ্ট কঠিন। গ্রেফতারকৃত অজ্ঞান পার্টি বা মলম পার্টির সদস্যদের জিজ্ঞেস করলে তারা তাদের টিম মেম্বারের নাম বলতে পারেনা।
এখন কিন্তু আবার মলম পার্টি বা অজ্ঞান পার্টি খুবই সক্রিয় এবং এদের সাথে "মহিলারা"ও যুক্ত হয়েছে।

কোন মহিলা মুচকি হেসে কোন কিছু দিলেই সাথে সাথে খাবেন না।

বিশেষ করে লং জার্নিতে আপনারা নিজের টাকায় নির্দিষ্ট স্টপেজে নেমে আপনাদের প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারবেন এবং কোন কিছু খাওয়ার থাকলে খাবেন, দয়া করে কারো দেয়া কোন কিছু খাবেন না।

এই অপারেশনটা করতে গিয়ে আমাদের প্রায় টানা ছয় মাস রাত্রে ঘুমহীন থাকতে হয়েছিল।
কারণ একজন অজ্ঞান পার্টি বা মলম পার্টির সদস্যকে ধরার পর মিনিমাম ১০ থেকে ১৫ দিন পরে তারা আরেকটা অপারেশন করে।

যাই হোক আমার কর্মস্থলের আশেপাশের মলম পার্টি অজ্ঞান পার্টি সদস্যদের ধরার কারণে ওই জায়গা থেকে বাকি সদস্য পালিয়ে গেলেও অন্যান্য জায়গায় কিন্তু তারা ঠিকই তাদের অপকর্ম করে যাচ্ছে এবং তাদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে।

দূরপাল্লার যাত্রায় সবসময় সতর্ক থাকুন নিজের ব্যাগ মানিব্যাগ পরিচয় পত্র সুন্দরভাবে গোপনীয় স্থানে রাখুন এবং কারো দেয়া কোনো কিছু খাবেন না আপনাদের প্রতি এই অনুরোধটুকু রইলো।

প্রত্যেক যাত্রীদের যাত্রা শুভ হোক।
রাস্তায় চলার পথে গাড়ি চালকের ঘুমঘুম ভাব দেখলে তাকে ডেকে তুলুন কারণ,
" যাত্রা যেন হয় শান্তির মৃত্যুর নয়।"
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।
আমার লেখাটা যারা কষ্ট করে এতক্ষণ ধরে পড়েছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

আশা করি আপনারা যারা দূরপাল্লার কোন জায়গায় ভ্রমন করেন তাদের এই বিষয়টি কাজে লাগলেও লাগতে পারে।
লেখাটা ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন কারন এ সব বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা অনেক আছে ।
অন্য কোন একটা লেখায় আরেকটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে উৎসাহ বোধ করব।
বি দ্র: যাত্রাপথে আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা ফেসবুকে আপলোড করবেন না এতে আপনার শত্রু আপনার লোকেশন জানতে পারে।
ভালোবাসা ও শুভেচ্ছান্তে:
সাব-ইন্সপেক্টর সজীব দেব রায়।

Right 👍👍👍
16/09/2023

Right 👍👍👍

Good performance by Bangladesh Tigers.... Carey on ang go with a long run....
16/09/2023

Good performance by Bangladesh Tigers.... Carey on ang go with a long run....

Super11 Asia Cup 2023 | Super 4 | India vs Bangladesh | Highlights

আমার সুন্দর-সুন্দরীরা ☺️ (বাজরিগার পাখি)।আমার মানসিক প্রশান্তির জায়গা। 😌ভালো লাগার জায়গা টা নিতান্তই ব্যক্তিগত।  আমার ভা...
15/09/2023

আমার সুন্দর-সুন্দরীরা ☺️ (বাজরিগার পাখি)।
আমার মানসিক প্রশান্তির জায়গা। 😌
ভালো লাগার জায়গা টা নিতান্তই ব্যক্তিগত।
আমার ভালো লাগার জায়গা এরাই।
আমার সান,মুন,কল্প,তরু আর হলুদিয়া
❤️❤️❤️❤️❤️
(স্বর্ণালী মজুমদার স্বর্ণা)

Back follow immediately..... please follow to follow...
13/09/2023

Back follow immediately..... please follow to follow...

Miss u dada
13/09/2023

Miss u dada

I've received 2,800 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
11/09/2023

I've received 2,800 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

রাত ৯.৪৫ থেকে ১০.৪৫ পর্যন্ত এক্টিভ আছি।ফলো টু ফলো।ব্যাক পাবেন অবশ্যই।
10/09/2023

রাত ৯.৪৫ থেকে ১০.৪৫ পর্যন্ত এক্টিভ আছি।
ফলো টু ফলো।
ব্যাক পাবেন অবশ্যই।

Address


Telephone

+8801714482393

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sajib & Swarna's world posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share