29/04/2023
হ্যালো চেয়ারম্যান…
"Folk TV Bangla" Is A Channel Where We Present You Bangla Folk Songs. We Believe That Bangla Folk Song Is Our Soul. Folk Song Is Our Tradition. Our Focus On ...
দেশের প্রথম কোন উপজেলার ফিল্ম সংগঠন-খ?
হ্যালো চেয়ারম্যান…
"Folk TV Bangla" Is A Channel Where We Present You Bangla Folk Songs. We Believe That Bangla Folk Song Is Our Soul. Folk Song Is Our Tradition. Our Focus On ...
প্রকৃতির মাঝে না হাড়ালে সৃষ্টিশীল চিন্তা টা ঠিক জমে না। আপনার কাছে মনেই হতে পারে দর্শকবিহিন অগোছালো কোন আয়োজন আমাদের। কিন্তু আমরা মনে করছি এর থেকে গোছানো কিছু হতেই পারে না। আমাদের অতিথিরা অবশ্যই সমাজে উচ্চ স্তরের মানুষ। জমকালো সব আয়োজনেই তারা আমন্ত্রিত হোন। আমরাও সে ধরনের আয়োজন হয়তো করতে পারতাম। কিন্তু খোকসা ফিল্ম সোসাইটি চেয়েছে এসব গুনি মানুষ কিছুটা হলেও প্রকৃতির ছায়াতলে দু’দন্ড নির্মলতা খুঁজে পাক। অতিথিদের চোখের চাহনিই বলে দিয়েছে আমরা সফল। আবারও ধন্যবাদ সবাইকে।
মিউজিক ভিডিও কিভাবে ২০ মিনিটে এডিটিং করবেন | How to Edit Music Video in 20 Minutes | Tutorial 22মিউজিক ভিডিও খুবই জনপ্রিয় একটা বিষয় আমাদের কাছে। ....
নিউজ পড়লাম
https://youtu.be/yzqtYEffZvs
ডিজিটাল যুগে সংবাদ মাধ্যম খুবই একটা জরুরী বিষয় বিশেষ করে টিভি সংবাদ। শুধু টিভি নয়- অনলাইনে নিউজ, পত্রিকার নিউজ, রে.....
আমরা অনেকেই এখন ছোট বড় নানা ধরণেরে নাটক, শর্ট ফিল্ম বা মিউজিক ভিডিও প্রডাকশন তৈরী করি। এসব কাজে প্রফেশনাল লুক আনতে...
নতুন করে ইউটিউবিং শুরু করলাম। মুলত চ্যানেলটি এডিটিং, মোশন গ্রাফিক্স, ক্যামেরা, ডাইরেকশনসহ আরো কিছু টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে কথা বার্তা হবে। চেষ্টা করবো আমার স্বল্প অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করতে। যারা এই বিষয়গুলোয় আগ্রহী তারা চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন...
https://youtu.be/g2kB5lvNtQo
পেশা হিসাবে ভিডিও এডিটিং সবসময় ছিল আকর্ষ ণীয়। এখনকার দিনে নানা ধরণের ভিডিও ক্রিয়েট হচ্ছে আবার তা এডিটিং এর জন্য দ....
গত সপ্তাহে গ্রামে গিয়ে ভাই ব্রাদারস সাথে নিয়ে বেড়িয়ে পরেছিলাম প্রকৃতি দেখতে। অসাধারণ প্রকৃতির ছোঁয়ায় মুগ্ধ হয়েছি। সাথে গ্রামের মানুষের নিরেট ভালবাসাতো রয়েছেই। আপনাদের সাথে নিতে না পারলে ভিডিওটি দেখতে পারেন আশা করি আপনিও মুগ্ধ হবেন।
ফুল ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন
https://www.youtube.com/watch?v=EqRNTBx7pgc
"Folk TV Bangla" Is A Channel Where We Present You Bangla Folk Songs. We Believe That Bangla Folk Song Is Our Soul. Folk Song Is Our Tradition. Our Focus On ...
আনন্দের সাথে জানাচ্ছি-
আগামী ৯ জানুয়ারী ২০২২ রবিবার সকাল ১০ টায় ‘আমার খোকসা’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি দেখানো হবে। যারা দেখতে আগ্রহী তারা ঐদিন সকালে চলে আসুন খোকসা কলেজে। দেখা হবে আড্ডা হবে...
We are looking for non-fiction films made on liberation and human rights issues from all over the world. Best film of national and International Competition will receive BDT 100,000.00 and USD 1,000.00 respectively.
Submission link:
Film Freeway:
https://filmfreeway.com/LiberationDocfestBangladesh
Website:
https://liberationdocfestbd.org/film-submission-2022
খোকসা ফিল্ম সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অসীম কুমার এর জন্মদিন উদযাপন।
আজ খোকসা ফিল্ম সোসাইটির সিনিয়র সহসভাপতি মিঃ অসিম কুমার সরকারের শুভজন্মদিন। কেএফএস মেম্বারদের পক্ষ থেকে অসিম কুমার কে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।
রাজকুমার হিরানী।
1) Munna Bhai M.B.B.B - 2003 ( Hit)
2) Lage Raho Munna Bhai - 2006 ( Blockbuster)
3) 3 Idiots - 2009 ( All Time Historical Movie)
4) Pk - 2014 ( All Time Blockbuster)
5) Sanju - 2018 ( All Time Blockbuster)
এমন ইতিহাস সৃষ্টিকারী সিনেমার জন্মদাতা তিনি। আজ এই গুনী পরিচালকের জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা...
শুভ জন্মদিন হিরানী সাব
আজ প্রয়াত অভিনেতা মিজু আহমেদের ৬৮ তম শুভ জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৩ সালের আজকের এইদিনে তিনি কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবুল মোহাম্মদ। মা লুৎফুন নেসা বেগম ছিলেন একজন হোমিও চিকিৎসক। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে মিজু আহমেদ ছিলেন সবার ছোট। বড় ভাই মরহুম লতিফুর রহমান ও মেজ ভাই অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান।
আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে জনপ্রিয় খল অভিনেতার সংখ্যা হাতেগোনা ক'জন। খল অভিনেতা হিসেবে যাঁরা খ্যাতির শিখরে পৌঁছেছেন, অর্থাৎ যাঁরা কেবল খল অভিনেতা হয়েও দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন, তিনি ছিলেন তাঁদের অন্যতম একজন। খল চরিত্রে ভিন্নমাত্রার অভিনয় দক্ষতার প্রতিভা দেখিয়েন অনায়াসে। পেয়েছেন জনপ্রিয়তা, হয়েছেন প্রসংশিত। তিনি হলেন প্রয়াত খল অভিনেতা মিজু আহমেদ।
ছোটবেলা থেকেই নাটকে অভিনয়ের ব্যাপারে ভীষণ আগ্রহী ছিলেন তিনি। স্কুল জীবন থেকেই কুষ্টিয়ার স্থানীয় নাট্যদল 'নূপুর'-এর সাথে যুক্ত হন এবং বিভিন্ন মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন।
মিজু আহমেদ কুষ্টিয়া হাইস্কুল থেকে এসএসসি, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও রসায়নে অনার্স এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। একসময় রাজনৈতিক কারণে ঢাকায় চলে আসেন এবং যুক্ত হন চলচ্চিত্রের সাথে।
১৯৭৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তিপ্রাপ্ত নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত 'তৃষ্ণা' ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢালিউডের রূপালী পর্দায় পা রাখেন তিনি। মিজানুর রহমান থেকে নাম পাল্টে হয়ে যান মিজু আহমেদ।
সত্তর দশকের শেষ সময়ে চলচ্চিত্রে যুক্ত হলেও জনপ্রিয় হতে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে নব্বই দশক পর্যন্ত। তিনি চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠা পান মূলত কাজী হায়াতের হাত ধরে। তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা ছবিগুলোর অধিকাংশই কাজী হায়াতের পরিচালনায়। নানা রকম চরিত্র দিয়ে মিজু আহমেদকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতেন পরিচালক কাজী হায়াত। সেসব চরিত্রে উৎরে গিয়ে চলচ্চিত্রে মজবুত অবস্থান তৈরি করেছিলেন মিজু আহমেদ। মিজু আহমেদ অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হলো সৈকত নাসির পরিচালিত 'পাষাণ'।
প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী মিজু আহমেদকে দেখলেই বলতেন, "ভাই আপনি তো দেখতে দিলীপ কুমারের মতো। খল নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন কেন? আপনার মতো চেহারা থাকলে আমি নায়ক চরিত্র ছাড়া অভিনয়ই করতাম না"।
এই অভিনেতা ভক্তদের মুখোমুখি হতে ভয় পেতেন। একবার ফেরি পার হয়ে ভক্তদের মুখোমুখি পড়ে যান। গাড়ির সামনে ভক্তরা দাঁড়িয়ে অনুরোধ করে বসেন প্রিয় খল অভিনেতার মুখ থেকে সরাসরি গালি শুনবেন। পরে উপায় না পেয়ে মিজু আহমেদ ভক্তদের 'হালকা ঝাড়ি' শোনান। তা শুনে ভক্তরা খুশিতে করতালি দিতে শুরু করেন। এমনই ছিলো খল অভিনেতা মিজু আহমেদের জনপ্রিয়তা।
চরিত্রের প্রয়োজনে ছবিতে অশালীন শব্দ ব্যবহার করে সংলাপ বলতে হতো মিজু আহমেদকে। কিন্তু বাস্তব জীবনে তিনি কখনোই কোন আপত্তিকর কথা মুখেই আনতেন না, স্বভাবে ছিলেন স্বল্পভাষী। তিনি এতটাই স্বল্পভাষী ছিলেন যে, বোঝাই যেতো না তিনি বাড়িতে আছেন নাকি নেই। এছাড়াও তিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ একজন মানুষ। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন তিনি।
মিজু আহমেদ রাজধানী ঢাকার পান্থপথ এলাকায় থাকতেন। ক্রিকেট খেলা দেখতে খুব পছন্দ করতেন তিনি। একসময় ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার সাথেও জড়িত ছিলেন।
মিজু আহমেদ অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনার সাথেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৯২ সালে বন্ধু প্রয়াত অভিনেতা রাজীবকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান 'ফ্রেন্ডস্ মুভিজ'। এ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে একে একে নির্মাণ করেন মহৎ, চালবাজ, আসামী গ্রেফতার, জবরদখলের মত ব্যবসা সফল ছবিগুলো।
মিজু আহমেদ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক ও দুই মেয়াদে সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। এছাড়া তিনি 'নিরাপদ সড়ক চাই'-এর কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টাও ছিলেন।
সু অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ দুইবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৯২ সালে 'ত্রাস' ছবিতে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা(পার্শ্ব চরিত্র) এবং ২০১০ সালে 'ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না' ছবিতে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা(খল চরিত্র) হিসেবে এ সম্মাননা অর্জন করেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক মিজু আহমেদ বিয়ে করেন পারভীন বেগমকে। বড় মেয়ে তাহনিম আহমেদ কেয়া ও ছোট মেয়ে আফিয়া আহমেদ মৌ এবং ছেলে হারসাত আহমেদ।
২০১৭ সালের ২৭ মার্চ ইলিয়াস ভূঁইয়া পরিচালিত 'মানুষ কেন অমানুষ' ছবির শুটিং-এ অংশ নিতে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীর উদ্দেশ্য রওনা দেয়ার পথে ট্রেনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৪ বছর। কুষ্টিয়ার কোটাবাড়ি গ্রামের বাড়িতে এ অভিনেতাকে সমাহিত করা হয়।
শুভ জন্মবার্ষিকীতে এই অভিনেতার প্রতি রইলো শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
'বিদায়' ছবির একটি দৃশ্যে মিজু আহমেদ, শাবানা, মঞ্জুর রাহী ও সহশিল্পীবৃন্দ।
#"জেলের আসামি থেকে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা"
#কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান
প্রাইমারি স্কুলে যখন পড়তাম, সে সময়ে একটা রেওয়াজ ছিল আর তা হলো পরিবারের সবাই একসঙ্গে সিনেমা দেখা।সেসময়ে #কোলকাতার পরিবার কেন্দ্রিক সিনেমা গুলো একটু বেশীই আবেগের সৃষ্টি করতো।বেশীরভাগ সিনেমাতেই
#রঞ্জিত মল্লিকের বাবার চরিত্রে একজন বৃদ্ধ বয়সী সুদর্শন ব্যাক্তি অভিনয় করতেন।সেজভাই সবসময়ই বলতেন ইনার বাড়ি #মিলপাড়ায়।ভেবে অবাক হোতাম ইনি কিভাবে মিলপাড়ার বাসিন্দা হোন? হ্যাঁ।ইনি আর কেউ নন,ইনি হলেন বিখ্যাত অভিনেতা #হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়।গুণী এই অভিনেতা ৬ নভেম্বর ১৯২৬সালে মিলপাড়ার বিখ্যাত "বন্দ্যোপাধ্যায়" পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।শৈশব থেকে শুরু করে কৈশোরের ও বেশীর ভাগ সময় তিনি মিলপাড়াতে কাটিয়েছেন। কুষ্টিয়া মিউনিসিপ্যাল স্কুল থেকে ১৯৪৪ সালে মেট্রিক পাশ করেন।তিনি ১৯৪৬ সালে #কোলকাতা সিটি কলেজ থেকে আই.এ পাশ করে একটি বিমা কোম্পানি তে চাকরি নেন।ভারতে যখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ওঠে তখন আন্দোলনে যোগদানের অপরাধে তিনি কারাভোগ করেন।১৯৪৮ সালে #দেবদ্রুত সিনেমার মাধ্যমে সিনেমা জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।সিনেমার পাশাপাশি তিনি ছিলেন ভারতের বিখ্যাত মঞ্চাভিনেতা। #সত্যজিৎ রায়ের অসংখ্য সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন।বাংলা সিনেমার পাশাপাশি তিনি অসংখ্য #হিন্দি সিনেমাতে অভিনয় করেন।"পরিণিতা" ও "বরফি" তার বিখ্যাত হিন্দি সিনেমা।৬৫ বছর পর্যন্ত সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবং তার জীবদ্দশায় তিনিই ছিলেন ভারতের সবচেয়ে প্রবীণ অভিনেতা। সিনেমা জগতে অবদান স্বরূপ ২০০৫ সালে #ক্রান্তিকাল সিনেমার জন্য সেরা পাশ্বঅভিনেতা বিভাগে #ভারতীয় জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে তাকে #বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করেন।
গুণী এই অভিনেতা ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তাঁর সন্তান #কৌশিক ব্যানার্জি & পুত্রবধূ #লাবণী সরকার কোলকাতার সিনেমায় পরিচিত মুখ।
#কুষ্টিয়ার মিলপাড়ার দোতলা বাড়িতে তিনি সর্বোশেষ ১৯৭৩ সালে এসেছিলেন।তাঁর স্মৃতি বিজরিত এই বাড়িটিকে ঘিরে কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করে নি প্রশাসন।গুণী এই অভিনেতার জন্য আমরা কুষ্টিয়াবাসি গর্বিত।
#কৃতঞ্জতা
মিষ্টি দোকানি (মাখন তালুকদারের ছেলে) #হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী।
#আনন্দবাজার পত্রিকা
পোস্ট: কুষ্টিয়া সাংস্কৃতি ও সৌন্দর্য
সত্যজিত রায়ের " পথের পাঁচালী"- র ইন্দির ঠাকরুন এর ভূমিকায় অভিনেত্রী" চুনীবালা দেবী" -হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্না প্রথম ভারতীয় অভিনেতা / অভিনেত্রী। এ খবর সম্ভবত আমরা খুব কম জনই রাখি! আজ সেই চুনীবালা দেবীকে নিয়ে অনেকের কাছে কিছু অজানা খবর নিয়ে " জানার কোন শেষ নাই " এর দরবারে পেশ করতে এসেছি।
★★
সত্যজিত তখন" পথের পাঁচালী " সিনেমার হরিহর, সর্বজায়া,অপু, দুর্গা সব চরিত্রের অভিনেতা/ অভিনেত্রী পেয়ে গেছেন কিন্ত ইন্দির ঠাকরুন চরিত্রের অভিনেত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না। মাথায় হাত। ঐ রকম একজন বৃদ্ধা অভিনেত্রী না পেলে যে এ সিনেমা করাই যাবে না! অবশেষে সন্ধান মিলল ঠাকরুনের। পাইকপাড়ায় থাকেন এক বৃদ্ধা। বয়েস আশি। নাম তার চুনীবালা দেবী।
এক সকালে সত্যজিত হাজির হলেন চুনীবালা দেবীর বস্তির বাড়ীতে। সত্যজিত একটা মোড়ায় মুখোমুখি বসলেন চুনীবালার সামনে।বহুদিন আগে একটি সিনেমার ছোট্ট একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন।সত্যজিত রায় একজায়গায় বলেছেন... তখন চুনীবালা দেবীর বয়েস আশি পেরিয়ে গেছে। তোবড়ানো গাল,দেহের চামড়া ঝুলে পড়েছে। ঠিক যেমনটি সত্যজিত ভেবেছিলেন এই চরিত্রটিকে ঠিক তেমনি। কথায় কথায় সত্যজিত জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি পথের পাঁচালী পড়েছেন? বৃদ্ধা চুনীবালা অল্প লেখাপড়া শিখেছিলেন। কিছু বইও পড়েছিলেন।
চুনীবালা বললেন, হ্যাঁ পড়েছি বাবা।
- সিনেমায় ইন্দির ঠাকরুন করতে পারবেন?
চুনীবালা ফোকলা দাঁত বার করে হেসে বললেন, " তা তোমরা একটু শিখিয়ে পড়িয়ে নিলে পারবো বই কি বাবা!"
সত্যজিত বললেন, "বলুন তো একটা ছড়া? শুনি একটু।"
চুনীবালা " ঘুম পাড়ানির মাসিপিসি... " পুরো ছড়াটা গড়গড় করে সুন্দর করে বলে দিলেন। সত্যজিত পরে একজায়গায় বলেছেন, ঐ ছড়াটা আমি চার লাইনের বেশি বলতে পারতাম না। কিন্তু উনি সবটা বলে দিলেন। এই বয়েসে আশ্চর্য স্মৃতি দেখে সত্যজিত স্তম্ভিত হয়ে গেলেন! সত্যজিত বুঝে গেলেন ইন্দির ঠাকরুন পেয়ে গেছেন।
কিন্তু কলকাতা থেকে বড়াল গ্রামে প্রতিদিন শুটিং - এ যাবার ধকল এই বয়েসে নিতে পারবেন কিনা জিজ্ঞাসা করাতে চুনীবালা বললেন", খুব পারবো। তোমরা এত কষ্ট করে বই করছো, ওটুকু কষ্ট আমি ঠিক করতে পারবো। "
ওনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল প্রতিদিন কত টাকা পারিশ্রমিক নেবেন। উনি বলেছিলেন "দিনে দশ টাকা দিও। " সত্যজিত বলেছিলেন, " আপনাকে প্রতিদিন কুড়ি টাকা দেওয়া হবে।"
শুটিং এগিয়ে চলল। প্রতিদিন সকালবেলায় ট্যাক্সি করে চুনীবালাকে শুটিং স্পটে নিয়ে যাওয়া হত। সন্ধ্যেবেলায় আবার ট্যাক্সি করে ফিরিয়ে দেওয়া হত বাড়িতে।
সত্যজিত একদিন চুনীবালাকে জিজ্ঞাসা করলেন," আপনি ধর্মমূলক গান গাইতে পারবেন?" চুনীবালা বললেন, পারবো।"
পথের পাঁচালীতে চুনীবালা চাঁদনি রাতে দাওয়ায় বসে হাততালি দিয়ে গাইছেন সেই গান " হরি দিন তো গেল সন্ধ্যা হলো, পার করো আমারে... "
এই গানটা চুনীবালা সত্যজিত রায়কে শুনিয়েছিলেন। সেই খালি গলায় গান শুনে সত্যজিত মুগ্ধ!সেই গানই রেকর্ড করা হল। ছবিতে খালি গলায় সেই গানই গাইলেন চুনীবালা। এক অসম্ভব সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে সেই গান পথের পাঁচালী ছবিকে এক অন্য জগতে পৌঁছে দিলেন চুনীবালা।
পথের পাঁচালী সিনেমা ১৯৫২ সালে এক শরতকালে কাশ ফুল আর রেলগাড়ির দৃশ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল ; শেষ হতে সময় নিয়েছিল তিন বছর। ১৯৫৫ সালে ২৬ অগাস্ট পথের পাঁচালী মুক্তি পেয়েছিল। সেই বছরেই নিউইয়র্কেই এ ছবি প্রথম মুক্তি পেয়েছিল।
সত্যজিত বুঝেছিলেন এ ছবির মুক্তি চুনীবালা দেবী দেখে যেতে পারবেন না। তাই একদিন প্রজেকটার মেশিন নিয়ে সত্যজিত রায় এ সিনেমা চুনীবালাকে তাঁর বাড়িতে দেখিয়ে এসেছিলেন। চুনীবালা পথের পাঁচালি ছবি বাড়িতে বসেই দেখে গেছলেন, মুক্তির আগে মহান হৃদয় সত্যজিত রায়ের উদ্যোগে।
ছবির মুক্তি চুনীবালা দেখে যেতে পারেননি তার আগেই " হরি দিন তো গেল সন্ধ্য হলো পার করো আমারে.. " গাইতে গাইতে চলে গেলেন!
এবার আসল চমক এলো! ম্যানিলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আন্তর্জাতিক সম্মানের পুরস্কারে সম্মানিতা অভিনেত্রীর নাম ঘোষিত হল। চুনীবালা দেবী হলেন, ভারতীয় অভিনেতা ও অভিনেত্রীর মধ্যে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিতা অভিনেত্রী! এক বিরল সম্মানের অধিকারিনী। অনেকেই সম্ভবত এ খবর জানেন না।
কিন্তু এই পুরস্কার তিনি গ্রহণ করতে ম্যানিলায় যেতে পারেননি কারণ তার আগেই তিনি বিদায় নিয়েছিলেন।
চুনীবালা বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়েস ১৫০ বছর হতো।
দুর্ভাগ্য চুনীবালার! দুভার্গ্য বাঙালির !
ইন্দির ঠাকরুন " চুনীবালা" - র প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা।
(সংগৃহীত)
আগামীকাল ফিল্ম জমা দেওয়া শেষ দিন...
KFS Film Competition 2021
২০১৬ সালের ১৫ই অক্টোবর, রবিবার অনুষ্ঠিত হয় ‘খোকসা ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে আলোকচিত্র প্রতিযোগীতা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
কোনো চরিত্রের হাতে যদি আইফোন দেখেন, তবে ধরে নিতে পারেন তিনি কোনোভাবেই খলনায়ক নন। চলচ্চিত্রের কোনো পর্যায়ে আপাতদৃ...
চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়ার এই তো সুযোগ! তো আর দেরি কেনো, ঝটপট লেগে পড়েন শর্টফিল্ম নির্মাণে...
# # #শর্টফিল্ম এর পাশাপাশি শর্ট ডকুমেমেন্টারীও জমা নেওয়া হবে। সুতরাং কেউ চাইলে খোকসার প্রকৃতি, স্থাপনা অথবা বিশেষ কোন সাবজেক্টের উপর ভিডিও নির্মাণ করে জমা দিতে পারবেন।
এবার তৈরি হয়ে যান মোবাইল অথবা ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে আর বানিয়ে ফেলুন আপনার ফিল্মটি।
প্রান্তিক পর্যায়ের চলচ্চিত্র নির্মাতা তুলে আনতে ‘খোকসা ফিল্ম সোসাইটি’ আয়োজন করেছে ‘শর্ট ফিল্ম কম্পিটিশন ২০২১’।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা পাবেন ‘খোকসা ফিল্ম সোসাইটি’র তরফ থেকে বিশেষ সন্মাননা...
নিয়মাবলীঃ
* মোবাইল অথবা যেকোন ক্যামেরা ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে।
* ফিল্মটি ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে হতে হবে।
* চিত্রনাট্য নিজস্ব হতে হবে।
* অন্য কোন লেখকের গল্প থেকে পান্ডলিপি তৈরী করা যাবে।
* ফিল্মমেকারকে অবশ্যই খোকসার হতে হবে।
*খোকসা ফিল্ম সোসাইটির উপদেষ্ঠামন্ডলি ছাড়া যে কেউ ফিল্ম জমা দিতে পারবেন।
* ১৫ নভেম্বর ২০২১ এর মধ্যে ফিল্ম জমা দিতে হবে।
যে বিষয়গুলোতে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে-
১. বেস্ট ফিল্ম- (প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়)
২. বেস্ট ডিরেক্টর
৩. বেস্ট অভিনেতা/অভিনেত্রী
৪. বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি
যে ভাবে ফিল্ম জমা দিবেন-
* ফিল্ম তৈরি হওয়ার পর গুগল ড্রাইভে আপ করে লিংক পাঠাতে হবে- [email protected]
* সরাসরি পেন ড্রাইভেও দেওয়া যাবে।
বি. দ্র. প্রতিযোগিতার জন্য জমা দেয়া শর্টফিল্মের সকল স্বত্ত্ব খোকসা ফিল্ম সোসাইটির। বাছাইকৃত ফিল্ম প্রকাশ করা হবে সোসাইটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে।
পেজ- https://www.facebook.com/Khoksa-Film-Society-113310110843814/?ref=pages_you_manage
গ্রুপ- https://www.facebook.com/groups/56695460473332
‘আমি প্রতি মুহূর্তে আপনাকে ধাক্কা দিয়ে বোঝাব যে, ইট ইজ নট এন ইমেজিনারি স্টোরি বা আমি আপনাকে সস্তা আনন্দ দিতে আসিনি। প্রতি মুহূর্তে আপনাকে হাতুড়ি মেরে বোঝাব যে যা দেখছেন তা একটা কল্পিত ঘটনা, কিন্তু এর মধ্যে যেটা বোঝাতে চাইছি আমার সেই থিসিসটা বুঝুন, সেটা সম্পূর্ণ সত্যি, সেটার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই আমি আপনাকে এলিয়েন্ট করব প্রতি মুহূর্তে। যদি আপনি সচেতন হয়ে ওঠেন, ছবি দেখে বাইরের সেই সামাজিক বাধা দুর্নীতি বদলের কাজে লিপ্ত হয়ে ওঠেন, আমার প্রোটেস্টাকে যদি আপনার মধ্যে চাপিয়ে দিতে পারি তবেই শিল্পী হিসেবে আমার সার্থকতা।’
-ঋত্বিক ঘটক
জন্মদিনে শুভেচ্ছা হে সিনেমা যোদ্ধা
অভিনন্দন সবাইকে
বৃহৎ পরিসরে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেছে চলচ্চিত্র বিষয়ক খোকসার একমাত্র সংগঠন খোকসা ফিল্ম সোসাইটি (.....
খোকসা ফিল্ম সোসাইটির ১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন
মুক্তি পেলো ‘আমার খোকসা’ থীম সং...
https://youtu.be/eUhTeUCHyAc
"Folk TV Bangla" Is A Channel Where We Present You Bangla Folk Songs. We Believe That Bangla Folk Song Is Our Soul. Folk Song Is Our Tradition. Our Focus On ...
খোকসা ফিল্ম সোসাইটি উদ্যোগ নিয়েছে কিছুদিনের মধ্যেই তিনটি ফিল্ম নির্মান করার।
১. বিয়ের দাবিতে অনশন
২. বন্ধুত্ব
৩. সরলা
যারা অভিনয় করতে আগ্রহী তারা ইনবক্স এ যোগাযোগ করুন।
খোকসার অসাধারণ সব লোকেশনে নির্মিত ‘খোকসা ফিল্ম সোসাইটি’র প্রথম শর্ট ফিল্ম ‘একদিনের মুসাফির’ দেখতে লিংকে ক্লিক করুন-ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার, কমেন্ট ও লাইক করবার অনুরোধ রইলো।
https://youtu.be/fE4yav0u0Os
"Folk TV Bangla" Is A Channel Where We Present You Bangla Folk Songs. We Believe That Bangla Folk Song Is Our Soul. Folk Song Is Our Tradition. Our Focus On ...
খোকসা ফিল্ম সোসাইটির প্রথম শর্ট ফিল্ম-‘একদিনের মুসাফির’ শুভমুক্তি আগামীকাল রাত ৯টায় ফোক টিভি বাংলার ইউটিউব চ্যানেল থেকে...
https://www.youtube.com/channel/UCu1whKK5zFrrig-57Ks8cZQ
মাদক থেকে দূরে রাখতে সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করতে খোকসা ফিল্ম সোসাইটি আয়োজন করেছেন শর্টফিল্ম কম্পিটিশন। আর এই কম্প....
চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়ার এই তো সুযোগ! তো আর দেরি কেনো, ঝটপট লেগে পড়েন শর্টফিল্ম নির্মাণে...
এবার তৈরি হয়ে যান মোবাইল অথবা ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে আর বানিয়ে ফেলুন ৫ থেকে ১৫ মিনিটের একটি শর্টফিল্ম।
প্রান্তিক পর্যায়ের চলচ্চিত্র নির্মাতা তুলে আনতে ‘খোকসা ফিল্ম সোসাইটি’ আয়োজন করেছে ‘শর্ট ফিল্ম কম্পিটিশন ২০২১’।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা পাবেন ‘খোকসা ফিল্ম সোসাইটি’র তরফ থেকে বিশেষ সন্মাননা...
নিয়মাবলীঃ
* মোবাইল অথবা যেকোন ক্যামেরা ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে।
* ফিল্মটি ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে হতে হবে।
* কাহিনী, চিত্রনাট্য নিজস্ব হতে হবে।
* ফিল্মমেকারকে অবশ্যই খোকসার হতে হবে।
* ১৫ নভেম্বর ২০২১ এর মধ্যে ফিল্ম জমা দিতে হবে।
যে বিষয়গুলোতে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে-
১. বেস্ট ফিল্ম- (প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়)
২. বেস্ট ডিরেক্টর
৩. বেস্ট অভিনেতা/অভিনেত্রী
৪. বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি
যে ভাবে ফিল্ম জমা দিবেন-
* ফিল্ম তৈরি হওয়ার পর গুগল ড্রাইভে আপ করে লিংক পাঠাতে হবে- [email protected]
* সরাসরি পেন ড্রাইভেও দেওয়া যাবে।
বি. দ্র. প্রতিযোগিতার জন্য জমা দেয়া শর্টফিল্মের সকল স্বত্ত্ব খোকসা ফিল্ম সোসাইটির। বাছাইকৃত ফিল্ম প্রকাশ করা হবে সোসাইটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে।
পেজ- https://www.facebook.com/Khoksa-Film-Society-113310110843814/?ref=pages_you_manage
গ্রুপ- https://www.facebook.com/groups/566954604733326
#শুভ_জন্মদিন
#৫০
#সালমান_শাহ
♥️♥️♥️
সালমান শাহ ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা ও মডেল। তার প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন।
টেলিভিশন নাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হলেও ১৯৯০-এর দশকে তিনি চলচ্চিত্রে অন্যতম জননন্দিত শিল্পী হয়ে উঠেন। ১৯৯৩ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত মুক্তি পায়। একই ছবিতে নায়িকা মৌসুমী ও গায়ক আগুনের অভিষেক হয়। জনপ্রিয় এই নায়ক নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশে সাড়া জাগানো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি সর্বমোট ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সবকয়টিই ছিল ব্যবসাসফল। তিনি ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অকালে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুবরণ করেন।
চলচ্চিত্রে অভিষেক
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে সালমান শাহ চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আনন্দ মেলা তিনটি হিন্দি ছবি 'সনম বেওয়াফা' 'দিল' ও 'কেয়ামত সে কেয়ামত তক' এর কপিরাইট নিয়ে সোহানুর রহমান সোহানের কাছে আসে এর যে কোন একটির বাংলা পুনঃনির্মাণ করার জন্য কিন্তু তিনি উক্ত ছবিগুলোর জন্য উপযুক্ত নায়ক-নায়িকা খুঁজে না পেয়ে সম্পূর্ণ নতুন মুখ দিয়ে ছবি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। নায়িকা হিসেবে মৌসুমীকে নির্বাচিত করলেও নায়ক খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তখন নায়ক আলমগীরের সাবেক স্ত্রী খোশনুর আলমগীর 'ইমন' নামে একটি ছেলের সন্ধান দেন। প্রথম দেখাতেই তাকে পছন্দ করে ফেলেন পরিচালক এবং সনম বেওয়াফা ছবির জন্য প্রস্তাব দেন, কিন্তু যখন ইমন 'কেয়ামত সে কেয়ামত তক' ছবির কথা জানতে পারেন তখন তিনি উক্ত ছবিতে অভিনেয়র জন্য পীড়াপীড়ি করেন। তার কাছে কেয়ামত সে কেয়ামত তক ছবি এতই প্রিয় ছিলো যে তিনি মোট ২৬ বার ছবিটি দেখেছেন বলে পরিচালক কে জানান।
শেষ পর্যন্ত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান তাকে নিয়ে কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন এবং ইমন নাম পরিবর্তন করে সালমান শাহ রাখা হয়। পরে মৌসুমীর বিপরীতে তিনি আরও তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ছবি তিনটি হল অন্তরে অন্তরে (১৯৯৪), স্নেহ (১৯৯৪) ও দেনমোহর (১৯৯৫)।
#শুভজন্মদিন
#মহানায়ক
#উত্তমকুমার
🌼♥️
উত্তম কুমার (প্রকৃত নাম অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়) ছিলেন একজন ভারতীয়-বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা, চিত্রপ্রযোজক এবং পরিচালক। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তাকে 'মহানায়ক' আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
উত্তম কুমারের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল দৃষ্টিদান। এই ছবির পরিচালক ছিলেন নীতীন বসু। এর আগে উত্তম কুমার মায়াডোর নামে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন কিন্তু সেটি মুক্তিলাভ করেনি। বসু পরিবার চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর সাড়ে চুয়াত্তর মুক্তি পাবার পরে তিনি চলচ্চিত্র জগতে স্থায়ী আসন লাভ করেন। সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তিনি প্রথম অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল উত্তম-সুচিত্রা জুটির সূত্রপাত হয়।
উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে অনেকগুলি ব্যবসায়িকভাবে সফল এবং একই সাথে প্রশংসিত চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় একসাথে অভিনয় করেছিলেন। এগুলির মধ্যে প্রধান হল - হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা এবং সাগরিকা।
উত্তম কুমার বহু সফল বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। তার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ছোটিসি মুলাকাত, অমানুষ এবং আনন্দ আশ্রম অন্যতম। তিনি সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় দু’টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। প্রথমটি নায়ক এবং দ্বিতীয়টি চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানা চলচ্চিত্রে তিনি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্ট বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। রোমান্টিক ছবির ফাঁকে দু'একটা ভিন্ন স্বাদের ছবিতেও অভিনয় করছেন তিনি। এর মধ্যে একদিন সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে ডাক পেলেন উত্তম নায়ক ছবিতে অভিনয়ের জন্য।
পাড়ার অভিনেতা থেকে অরিন্দমের নায়ক হওয়ার গল্প নিয়ে ছবিতে উত্তম অভিনয় করতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেকে। তবে উত্তম কুমার নিজেকে সু-অভিনেতা হিসেবে প্রমাণ করেন এ্যান্টনি ফিরিঙ্গি ছবিতে স্বভাবসুলভ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। কারণ এই ছবিতে উত্তম কুমার তার পরিচিত ইমেজ থেকে সরে আসার চেষ্টা করেছিলেন। এতে তিনি সফলও হয়েছিলেন। উত্তমের সেই ভুবন ভোলানো হাসি, প্রেমিকসুলভ আচার-আচরণ বা ব্যবহারের বাইরেও যে থাকতে পারে অভিনয় এবং অভিনয়ের নানা ধরন, মূলত সেটাই তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে এ্যান্টনি ফিরিঙ্গি ও চিড়িয়াখানা ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন (তখন এই পুরস্কারের নাম ছিল 'ভরত')। অবশ্য এর আগে ১৯৫৭ সালে অজয় কর পরিচালিত হারানো সুর ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন সমগ্র ভারতজুড়ে। সেই বছর হারানো সুর পেয়েছিল রাষ্ট্রপতির সার্টিফিকেট অফ মেরিট। ইংরেজি উপন্যাস 'রানডম হারভেস্ট' অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়। প্রযোজক ছিলেন উত্তম কুমার নিজেই। কমেডি চরিত্রেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী।
দেয়া নেয়া ছবিতে হৃদয়হরণ চরিত্রে অভিনয় করে সেই প্রতিভার বিরল স্বাক্ষরও রেখে গেছেন। এক গানপাগল ধনীপুত্র অভিজিৎ চৌধুরীর বাবা কমল মিত্রের সঙ্গে রাগারাগি করে বন্ধু তরুণ কুমারের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। বাবা গান পছন্দ করেন না, কিন্তু অভিজিৎ চৌধুরীর লক্ষ্য ছিল অনেক বড় শিল্পী হওয়া। নায়িকা তনুজার মামা পাহাড়ি স্যানালের বাড়িতে হৃদয়হরণ নামে ড্রাইভারের কাজ নেয়। সাবলীল অভিনয় দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন হৃদয়হরণ চরিত্রটি। ছবিটির একটি আকর্ষণীয় সংলাপ ছিল “টাকাই জীবনের সবকিছু নয়”। এছাড়াও, অত্যন্ত চমকপ্রদ একটি গানও রয়েছে - “জীবন খাতার প্রতি পাতায়, যতোই করো হিসাবনিকাশ, পূর্ণ হবে না”।
Be the first to know and let us send you an email when Khoksa Film Society posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Send a message to Khoksa Film Society:
Want your business to be the top-listed Media Company?