Explore Narayangonj

  • Home
  • Explore Narayangonj

Explore Narayangonj নারায়নগঞ্জ সম্পর্কিত তথ্য এবং ভিডিও

আজকে টিপু ভাই এর জন্মদিনে, ভাইয়ার গাওয়া আমার অন্যতম পছনের গান শেয়ার করলাম।গানঃ সেই তুমি এলব্যামঃ স্বপ্নচারিণীকথাঃ সাইদ হ...
15/01/2024

আজকে টিপু ভাই এর জন্মদিনে, ভাইয়ার গাওয়া আমার অন্যতম পছনের গান শেয়ার করলাম।

গানঃ সেই তুমি
এলব্যামঃ স্বপ্নচারিণী
কথাঃ সাইদ হাসান টিপু
সুরঃ সাইদ হাসান টিপু

Club Obscure is a Fan based channel of Bangladeshi Band "Obscure"গানঃ সেই তুমি এলব্যামঃ স্বপ্নচারিণীকথাঃ সাইদ হাসান টিপু সুরঃ সাইদ হাসান টিপু আমারই আছো .....

আলতাফ মাহমুদের ডাক নাম ঝিলু। গানের প্রতি ঝিলুর ছিল প্রচন্ড ঝোঁক। পড়ালেখায় মন নেই ঝিলুর, সারাক্ষণ গুনগুন করে গেয়ে চলে গান...
22/12/2023

আলতাফ মাহমুদের ডাক নাম ঝিলু। গানের প্রতি ঝিলুর ছিল প্রচন্ড ঝোঁক। পড়ালেখায় মন নেই ঝিলুর, সারাক্ষণ গুনগুন করে গেয়ে চলে গান। ঝিলু যখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র তখন উঠোনের কাঁঠাল গাছে খোদাই করে লিখে রাখে ‘ঝিলু দি গ্রেট’। ঝিলুর বাবা নেজাম আলী একদিন বললেন- ‘বেডার কাণ্ড দেহো। ওরে আবাইগ্যা, গাছডার গায়েতো লেইখা রাখছোস- ‘ঝিলু দি গ্রেট’। গান গাইয়া কি আর গ্রেট হইতে পারবি?’ ঝিলু বলল, ‘দেখ একদিন ঠিকই আমি ‘ঝিলু দি গ্রেট’ হবো। সঙ্গীতে প্রতিভার পাশাপাশি আলতাফ মাহমুদ ছবিও আঁকতে পারতেন।

১৯৩৩ সালের আজকের দিনে (২৩ ডিসেম্বর) আলতাফ মাহমুদ বরিশাল জেলার মুলাদী থানার অন্তর্গত পাতারচর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আলতাফ মাহমুদের বাবার নাম নেজাম আলী হাওলাদার এবং মা কদ বানুর একমাত্র পুত্র সন্তান আলতাফ মাহমুদ।
চলনে বলনে অত্যন্ত সৌখিন মানুষ ছিলেন তিনি। পোশাকের ক্ষেত্রে রঙিন ঝলমলে বিষয়টাকে এড়িয়ে চলতেন। অধিকাংশ শার্টই ছিল সাদা। শার্টের ভেতরে সাদা হাফ হাতাওয়ালা গেঞ্জি পড়তেন। পরনের সাদা শার্টটা সবসময় একদম ধবধবে সাদাই রাখতেন তিনি। খাবার ফেলে বা ময়লা কাদা লাগিয়ে কতোটা ময়লা করতে সেই গল্পটা অজানাই সবার। তবে যেকোনও অনুষ্ঠানে তিনি হাজির তার চিরচারিত শ্বেতশুভ্র পোশাকে। হাতে থাকতো একটি রোলেক্স ঘড়ি, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। অনেক অনেক চশমার ফ্রেম ছিল তার। তবে সবগুলোর রঙই ছিল কালো আর ফ্রেমগুলো ছিল ভারী। পায়ে চটি পরে ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ালেও, আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো তিনিও শখে জুতো পরতেন। সেটি অবশ্যই চকচকে কালি করানো থাকতে হবে। এমনই নিয়ম ছিল তাঁর।

টাই খুব পছন্দ করতেন। আর মাঝে মাঝেই ব্লেজার পরতেন গলা বন্ধ টিশার্ট বা সোয়েটার দিয়ে। এটি তার খুব প্রিয় পোশাক ছিল। কন্যা শাওন মনে করেন, বাবার এই পোশাকটা তিনি জেমস বন্ড ছবিতে নায়ককে পরতে দেখছেন। বাবাও হয়তো সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত ছিলেন। আর খুব প্রিয় ছিল চাদর। বাদামী বা ঘিয়ে রঙের চাদরে হালকা সুতার কাজ। এই ছিল তার প্রিয় চাদর। এটা গায়ে জড়িয়ে তিনি কতো জায়গায় ঘুরেছেন। কত অনুষ্ঠানে গান করেছেন গায়ে চাদর জড়িয়ে। সময় অসময়ের সঙ্গী ছিল চাদর।

খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে ভেতো বাঙালি ছিলেন। সকালে তার ভাত খাওয়া চাই চাই। প্রতিদিন সকালেই ভাত খেয়ে বের হয়ে যেতেন। খাবারের ক্ষেত্রে আর প্রিয় ছিল পান্তা ভাত। যেদিন তিনি পান্তা ভাত খাবেন বলেছেন সেদিন রীতিমতো যজ্ঞ লেগে যেত বাড়িতে। কারণ বাড়ির আদুরে এই ছেলে এমনি এমনি পান্তা ভাত খেতেন না। মুচমুচে করে মাছ ভাজা, ভুনা গরুর মাংস, আচার, পেঁয়াজ, কাচামরিচ, নানা উপকরণ তার লাগতো পান্তা খেতে। আর পান্তা তো একা খেতেন না , রাজ্যের লোক জুটিয়ে ফেলতেন খাওয়ার সময়। যেকোনও ভালো খাবারের প্রতি তার ছিল গভীর আগ্রহ। কিন্তু সেগুলো একা খাওয়া যাবে না সঙ্গে থাকতে হবে পুরো ঢাকা শহরের লোকেদের।

প্রিয় খাবারের রেস্তোরাঁ ছিল দেশবন্ধু হোটেল। রাতভর শুটিং বা কাজ শেষে দেশবন্ধুতে সকালের নাস্তা খেয়ে এবং বাড়ির সবার জন্য নাশতা নিয়ে ফিরতেন।

মাছ কিনতে খুব পছন্দ করতেন। খুব ভোরে উঠে গাড়ি নিয়ে চলে যেতেন মাওয়া ঘাটে। ফিরতেন মাছ নিয়ে। যত মাছ কিনতেন সব মাছ নিয়ে বাড়ি ফিরতেন না শহরের তাবত আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে মাছ বিলিয়ে তবেই শান্তি হতো তার।

শখের মধ্যে তাঁর ছিল পাইপ সংগ্রহ করা। কতশত রকমের পাইপ যে তাঁর ছিল সেটির কোনও হিসেব নেই। বন্ধুরা দিয়েছেন, নিজে কিনেছেন সব মিলিয়ে পাইপের সাম্রাজ্য গড়েছিলেন তিনি।

আলতাফ মাহমুদের সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল চুলের আর গোঁফের স্টাইল। ৬৯ সালে একবার হুলিয়া হওয়ার কারণে গোঁফ, ভ্রু সব কামিয়ে ফেললেন। সে সময় নাকি স্ত্রী সারা মাহমুদও আঁতকে উঠেছিলেন তার নতুন লুক দেখে। দু’দিন পর পর তিনি স্টাইল আর লুক বদলাতেন। চুলের স্টাইল বদলানোতে তিনি ছিলেন মাস্টার। কখনও বাবড়ি চুল, কখনও ছোটো ছোট করে কাটা। কখনও ব্যাকব্রাশ কখনও সিঁথি কাঁটতেন।
মহান এই সুরকার জন্মদিন খুব গুরুত্বের সঙ্গে পালন করতেন না। তবে সারাদিন যাই করেন না কেনও দিন শেষে পরিবারের সবাইকে নিয়ে যেতেন বেবি আইসক্রিম পার্লারে আইসক্রিম খাওয়াতে। এটা ছিল তাঁর জন্মদিন স্পেশাল।

শুভ জন্মদিন সুরের বরপুত্র
নিখোঁজ মানুষের বয়স বাড়ে না।

বিজয় শুভেচ্ছা।
15/12/2023

বিজয় শুভেচ্ছা।

14/09/2020

Explore Narayongonj চ্যনেলে আপনাকে স্বাগতম।
আমরা ভালোবাসি আমাদের প্রানের শহর নারায়ণগঞ্জ কে।
নারায়নগঞ্জ এর ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রচেস্তা নিয়েই এই চ্যনেল।

https://www.youtube.com/channel/UCaTDosl0o97IQj99Ai3P3Sg

08/09/2020

ভালো থেকো
কবিতাঃ হুমায়ুন আজাদ।
আবৃতিঃ ফারজানা কুমকুম।

Explore Narayangonj

04/09/2020

চিঠি দিও
মেসেঞ্জারে বকবক না করে দুই লাইন লিখিও
অদ্ভুত ইমোটিকনের ব্যবহার কমিয়ে
কলমে এঁকে দিও একটি ফুল দুটি পাতা
আর আছে যত না বলা কথা।

Voice By: Gazi Ovi
Vedio: Explore Narayangonj

পোদ্দার বাড়ী, পানাম নগর, সোনারগাঁও।
12/08/2020

পোদ্দার বাড়ী, পানাম নগর, সোনারগাঁও।

10/08/2020
৮০র দশকের নারায়ণগঞ্জ এর চাষাড়া গোল চত্ত্বর!
06/08/2020

৮০র দশকের নারায়ণগঞ্জ এর চাষাড়া গোল চত্ত্বর!

06/08/2020

ধন্যবাদ বন্ধু শিবলী,
এমন একটি পেইজে আমায় যুক্ত করার জন্য,
#নারায়ণগঞ্জ এর একজন স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে আমার উপরেও দ্বায়িত্ব বর্তায় এ শহরটিকে তুলে ধরার, জন্মেছি এ শহরে, এ শহরের আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছি, এ শহরের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি। আমার পূর্ব পুরুষগন ঠিক এভাবেই এ শহরে আমৃত্যু জীবন যাপন করে গেছেন, কতো শত স্মৃতি তাদের, এখানে আমার শেকড়, এখানে আমার নাড়ি, এখানেই প্রাণ, এমন করেই হাজার বছর, হাজার স্মৃতি আর কালের সাক্ষী হয়ে থাকুক আমার প্রাণের শহর নারায়ণগঞ্জ!
"ভালোবাসি নারায়ণগঞ্জ
ভালোবাসায় নারায়ণগঞ্জ
হৃদয়ে নারায়ণগঞ্জ! "
(Farjana Kumkum)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি গ্রামের নাম শাহচিল্লাপুর। নামটি সাধারণ মানুষের জানা না-ও থাকতে পারে। তবে যাঁদের আগ্রহ...
14/07/2020

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি গ্রামের নাম শাহচিল্লাপুর। নামটি সাধারণ মানুষের জানা না-ও থাকতে পারে। তবে যাঁদের আগ্রহ ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে, তাঁদের কাছে নামটি অজানা থাকার কথা নয়। এর কারণ একটিই, বাংলার স্বাধীন সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ। প্রথম ইলিয়াস শাহী বংশের এ সুলতানের সমাধি এই গ্রামেই। পরিদর্শনে সারা বছরই পর্যটকেরা এই গ্রামেই। প্রথম ইলিয়াস শাহী বংশের তৃতীয় সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ।

গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ ছিলেন প্রথম ইলিয়াস শাহি রাজবংশের তৃতীয় সুলতান।তিনি তৎকালীন বাংলার সুপরিচিত সুলতানদের অন্যতম ছিলেন। তার প্রকৃত নাম আজম শাহ। সিংহাসন আরোহণের পর তিনি গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ নাম ধারণ করেন। পিতা সুলতান সিকান্দার শাহ ও পিতামহ ছিলেন সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ। মধ্যযুগে বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজবংশ ইলিয়াস শাহী রাজবংশ। এই রাজবংশ চৌদ্দ ও পনের শতকে বাংলা শাসন করেছে। এর আগে বাংলা দিল্লির শাসনাধীন ছিল। এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ। তিনি বাংলাকে দিল্লির অধীন থেকে মুক্ত করে বাংলায় সুলতানী শাসন কায়েম করেন। ইলিয়াস শাহী রাজবংশের প্রথম রাজধানী ছিল পান্ডুয়ায়। পান্ডুয়া একশ বছর সুলতানী রাজধানী ছিল। এর পর ১৪৫৩ সালে ইলিয়াস শাহী বংশের অষ্টম সুলতান নাসির উদ্দিন লখনৌতে রাজধানী স্থাপন করেন।

তিনি যুদ্ধর চেয়ে মিত্রতা ও কূটনীতির মাধ্যমে রাজ্যকে সমৃদ্ধ করতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। তিনি চীনের মিং সাম্রাজ্যের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন, পারস্যের শীর্ষস্থানীয় চিন্তাবিদদের সাথে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন এবং আসামকে জয় করেছিলেন।শাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি কামরূপের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। তবে অঞ্চল জয়ের চেয়ে শাসন সুসংহত করার প্রতি তার মনোনিবেশ বেশি ছিল। জৌনপুরের খাজা জাহানের নিকট তিনি দূত ও উপহার প্রেরণ করেন। সমকালীন চৈনিক সম্রাট ইয়ং লির সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। ১৪০৫, ১৪০৮ ও ১৪০৯ সালে তিনি চীনে দূত প্রেরণ করেন। ইয়ং লিও তার কাছে দূত ও উপহার পাঠান।

পিতা ও পিতামহের মতো গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ আলেম, সুফিদের ও পন্ডিত ও কবিদের ভক্তি-শ্রদ্ধা করতেন। তাঁর সমসাময়িকদের মধ্যে শেখ আলাউল হক ও নূর কুতুব আলম খুব বিখ্যাত ছিলেন। পারস্যের কবি হাফিজের সাথে তার পত্রবিনিময় হত। বাঙালি মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর তার বিখ্যাত রচনা ইউসুফ জুলেখা এ সময়ে সম্পন্ন করেন। এসময় কৃত্তিবাসের রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করা হয়।

কবি হাফিজকে বাংলায় নিমন্ত্রন করার জবাবে তিনি সুলতানকে একটি গজল রচনা করে পাঠান।

"শক্কর শিকন শওন্দ হমাঃ তূতিয়ানে হিন্দ।
যী কন্দে ফারসী কেঃ ব-বঙ্গালাঃ মী রওদ॥
হাফিয যে শওকে মজ্‌লিসে সুলতানে গিয়াস্‌দীন।
গাফিল ম-শও কেঃ কারে তূ আয নালাঃ মী রওদ॥"
ভারতের তোতা হবে মিষ্টি-মুখো সকল-ই,
ফারসীর মিছরী যবে বাঙ্গালায় চলিছে।
হে হাফিয! গিয়াসুদ্দীন শাহের সভার বাসনা
ছেড়ো না, কাজ তোমারি কাঁদা-কাটায় চলিছে।

১৪১১ সালে গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর সাথে সাথে ইলিয়াস শাহী বংশের এক গৌরবোজ্জল অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি গ্রামের নাম শাহচিল্লাপুর গ্রামেই তাঁর সমাধি। ১৯২০ সালের ২২ নভেম্বর গিয়াস উদ্দিনের সমাধিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পুরাকীর্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সরকার। সর্বশেষ ১৯৮৫ সালে এ সমাধির সংস্কারকাজ করে সরকার। সমাধিটি কষ্টিপাথরে নির্মিত। এটি ১০ ফুট লম্বা, ৫ ফুট চওড়া ও ৩ ফুট উঁচু। সমাধির ৩ ফুট উচ্চতার খিলানের ওপর আরও দেড় ফুট উচ্চতায় ৭ ফুট লম্বা অর্ধবৃত্তাকার কষ্টিপাথরে ঢাকা। মূল সমাধির কার্নিশে রয়েছে সূক্ষ্ম কারুকাজ খচিত অলংকার। দুই পাশে রয়েছে তিনটি করে তিন খাঁজবিশিষ্ট খিলান। খাঁজের মধ্যে রয়েছে প্রলম্বিত শিকল ও ঝুলন্ত ঘণ্টার নকশা।

ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে করে ঢাকা-চট্রগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা নেমে অতপর সি.এন.জি/রিক্সায় ৩০ টাকা ভাড়ায় শাহচিল্লাপুর গ্রামে সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ মাজারে যাওয়া যায়।

হাজীগঞ্জ দুর্গ মুঘল আমলে নির্মিত একটি জল দুর্গ। এটি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার হাজীগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম...
13/07/2020

হাজীগঞ্জ দুর্গ মুঘল আমলে নির্মিত একটি জল দুর্গ। এটি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার হাজীগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এটি খিজিরপুর দুর্গ নামেও পরিচিত। ঢাকা শহর কে রক্ষা করতে সপ্তদশ শতকের আগে পরে যে তিনটি জল দুর্গকে নিয়ে ত্রিভূজ জল দুর্গ বা ট্রায়াঙ্গল অব ওয়াটার ফোর্ট গড়ে তোলা হয়েছিল তারই একটি হলো এই হাজীগঞ্জ দুর্গ; সম্ভবত মুঘল সুবাদার ইসলাম খান কর্তৃক ঢাকায় মুঘল রাজধানী স্থাপনের অব্যবহিত পরে নদীপথে মগ ও পর্তুগীজ জলদস্যুদের আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে দুর্গটি নির্মিত হয়। দুর্গটি রাজধানী ঢাকা থেকে ১৪.৬৮ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত।

সপ্তদশ শতকের পূর্বে ঢাকাকে রক্ষা করতে গড়ে উঠেছিল যে তিনটি ত্রিভূজ জল দুর্গ তার একটি হল হাজিগঞ্জ দুর্গ। এটি শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে গড়ে উঠেছিল। অপর দুটির একটি হল সোনাকান্দা দুর্গ যা বন্দর এলাকার ব্রহ্মপুত্র ও শীতলক্ষ্যা নদীর সঙ্গমস্থলের কিনারে এবং পরটি ইদ্রাকপুর দুর্গ যা মুন্সিগঞ্জে জেলায় অবস্থিত।

প্রাচীন কালে বুড়িগঙ্গা নদী এসে লক্ষ্যা নদীর সাথে এই স্থানে মিলিত হত। মুঘল আমলের প্রথম দিকে স্থানটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কোন লিখিত প্রমাণ না থাকায়, এটি ১৬৫০ সালে নির্মিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়ে থাকে। এটি কে নির্মাণ করেছেন তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। লেখক মুন্সি রহমান আলী তার এক গ্রন্থ থেকে পাওয়া যায় যে, মীর জুমলা ১৬৬০-১৬৬৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দুর্গটি নির্মাণ করেন। এছাড়া অন্যান্য লেখকদের মতে, যেমন হাসান (১৯০৪), তালিস (১৯৮৫) এবং আহমেদ (১৯৯১), দুর্গটির নির্মাতা হলেন মীর জুমলা। অন্যদিকে অন্যান্য লেখকদের মতে, যেমন দানি (১৯৬১) ও তাইফুর (১৯৫৬), এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করেন। আহম্মাদ হাসান দানি তার মুসলিম আর্কিটেকশ্চার ইন বেঙ্গল গ্রন্থে লিখেছেন, ইসলাম খান ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করার পর এটি নির্মাণ করেন।

মুগল সেনাপতি মির্জা নাথান তার বাহারিস্তান-ই-গায়বীতে উল্লেখ করেন, সে তার বিশাল সৈন্য বাহিনী সহকারে খিজিরপুরে (বর্তমান হাজীগঞ্জ) প্রধান ঘাটি স্থাপন করেন। নদী তীরবর্তী স্থানে সেনাদের ছাউনি স্থাপন করেছিলেন। তিনি ১৬১০ সালে মুগল রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করার পূর্বেই ‘ভুঁইয়া’দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই এলাকাটিকে কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।

তাই ধারনা করা হয় বাহারিস্তান-ই-গায়বী'র খিজিরপুরই বর্তমানের হাজিগঞ্জ, এবং স্থাপনাটি খিজিরপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিল যা হয়তো পরবর্তীতে পুনঃ নির্মাণ করা হয়েছিল। মোগল যুগের পূর্বে এ অঞ্চলে আরেকটি দুর্গ ছিল বলে জানা যায়। যা খিজিরপুর দুর্গ নামে পরিচিত। অনেক গবেষক মত প্রকাশ করেছেন— খিজিরপুর দুর্গের ওপরই হাজীগঞ্জ দুর্গ নির্মিত হয়েছিল। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং ভৌগোলিক কৌশলগত দিক বিচারে এই মত নির্বিচারে গ্রহণ করা যায় না। নির্মাণযুগে হাজীগঞ্জ দুর্গটি শীতলক্ষ্যার কোল ঘেঁষে ছিল। এখন নদী বেশ কিছুটা পূর্বদিকে সরে গিয়েছে।

তথ্যঃ উইকিপিডিয়া।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছয় (০৬) টি নদী দ্বারা বেষ্টিত। নারায়ণগঞ্জের মধ্য দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী প্রবাহিত। পূর্ব সীমানা দিয়ে মেঘনা ন...
13/07/2020

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছয় (০৬) টি নদী দ্বারা বেষ্টিত। নারায়ণগঞ্জের মধ্য দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী প্রবাহিত। পূর্ব সীমানা দিয়ে মেঘনা নদী, পশ্চিম সীমানার কিছু অঞ্চল দিয়ে বুড়িগঙ্গা এবং দক্ষিণ/পশ্চিম সীমানায় ধলেশ্বরী নদী প্রবাহিত। ঢাকা থেকে প্রায় ২০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে লাঙ্গলবন্দের মধ্য দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহীত হয়েছে। প্রতিবছর চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে এই স্থানে ব্রহ্মপুত্র নদে পুণ্যস্নানার্থে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্তপ্রাণের আগমন ঘটে। ভক্তগণের বিশ্বাস এ সময় ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান খুবই পুণ্যের, এ স্নানে ব্রহ্মার সন্তুষ্টি লাভ করে পাপমোচন হয়। এই স্নানই অষ্টমী স্নান নামে অভিহিত। অধিকাংশ স্থানীয় লোকজনের বিশ্বাস, চৈত্রের শুক্লাষ্টমীতে জগতের সকল পবিত্র স্থানের পুণ্য ব্রহ্মপুত্রে মিলিত হয়। নদীর জল স্পর্শমাত্রই সকলের পাপ মোচন হয়। যে এই পবিত্র জলে স্নান করে সে চিরমোক্ষ লাভ করে।

অতীত বাংলার মসলিনের গৌরবদীপ্তের আংশিক রেশ নিয়ে আজো অনন্য। প্রাচীনকাল থেকে আমাদের এ শিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে ধারণ করে আস...
13/07/2020

অতীত বাংলার মসলিনের গৌরবদীপ্তের আংশিক রেশ নিয়ে আজো অনন্য। প্রাচীনকাল থেকে আমাদের এ শিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে। রঙ-বেরঙের সুতা আর প্রধানত প্রকৃতিনির্ভর গ্রামীন নকশায় কারুশিল্পীদের সুনিপূন হাতে নান্দনিক রুপ ও বৈচিত্রের এক অনবদ্য সৃষ্টি জামদানি। অতি সাধারন উপাদানে আমাদের কারুশিল্পীদের মনের মাধুরী মেশানো রঙের বহুবিধ ব্যবহার ও কারুকাজের সমন্বয় ঘটছে জামদানী তৈরিতে। কালের আবর্তে আমাদের অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও ঐতিহ্যবাহী মসলিনের উত্তরাধিকার জামদানি শিল্প স্বকীয়তার মাঝে আজো বিকশিত হচ্ছে। এখন দেশের বাজারে জামদানি পন্যের চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ববাজারে জামদানি পন্যের চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ববাজারও প্রসারিত হচ্ছে। একান্তভাবে দেশীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের ব্যবহারে শিল্পীদের মৌলিক শিল্পবোধ ও ধ্যান ধারনায় সৃষ্টি জামদানি। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর আর কোন দেশের কারিগরদের পক্ষে জামদানি তৈরি সম্ভব হয়নি। এ পন্যের আলাদা বৈশিষ্ট হচ্ছে, এর শিল্পীরা সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নেই। আদিকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম, সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকায় জামদানি কারুশিল্পীদের বংশানুক্রমিক বসবাস। জামদানি শিল্পীদের অন্যত্র নিয়ে গিয়ে এটি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এ প্রচেষ্টা সফল হয়নি। কারন এ শিল্প বংশানুক্রমিক পারিবারিক পরিমন্ডলে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে যে শিল্পভহবন তৈরি করেছে, তা বিশ্বের আর কোথাও নেই। তাছাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর পানি থেকে ভস্মিত বাষ্প জামদানি সুতা প্রস্ত্তুত ও কাপড় বুননের জন্য অনুকূল। প্রয়োজন ও সময়ের বাস্তবতায় এ শিল্পের বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জামদানি তাঁতিদের স্বর্নযুগের পুনঃনির্মানের উদ্যোগ গ্রহনের সচেতনতার দায়িত্ব আমাদের সবার।

13/07/2020
১৯৭৫ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার বিশাল এলাকা নিয়ে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। সোনারগাঁয়ের “ব...
13/07/2020

১৯৭৫ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার বিশাল এলাকা নিয়ে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। সোনারগাঁয়ের “বড়সর্দারবাড়ি” নামে পরিচিত একটি প্রাচীন জমিদার প্রাসাদে এই জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।এখানে আরো রয়েছে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, কারুপল্লী

13/07/2020

১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ভীখন লাল পান্ডে (বেণুর ঠাকুর বা লক্ষীনারায়ণ ঠাকুর নামে ও পরিচিত) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট থেকে এ অঞ্চলের মালিকানা গ্রহণ করেন। তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি দলিলের মাধ্যমে শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। তাই পরবর্তীকালে এ স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ।

সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নামের কোনো নগরীর অস্তিত্ব প্রাচীন বাংলার মানচিত্রে পাওয়া যায় না।নারায়ণগঞ্জ নামকরণের পূর্বে সোনার গাঁ ছিল প্রাচীন বাংলার রাজধানী। মুসলিম আমলের সোনার গাঁ নামের উদ্ভব প্রাচীন সুবর্ণগ্রামকে কেন্দ্র করেই। বহু অঞ্চলে মুসলিম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ঢাকা নগরের অভ্যুদয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ-পূর্ববঙ্গের প্রশাসনিককেন্দ্র ছিল সোনার গাঁ। ফিরোজ শাহ চতুর্দশ শতাব্দির প্রায় প্রথমদিকে এই অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে তা অন্তর্ভুক্ত করেন লখনৌতি রাজ্যের। এর ফলে ঘটে হিন্দু রাজত্বের অবসান। সোনারগাঁ লখনৌতি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর থেকে গিয়াসউদ্দীন বাহাদুর শাহ-এর ক্ষমতালাভের (১৩২২) পূর্ব পর্যন্ত সময়ে সোনারগাঁয়ের গুরুত্ব সাময়িকভাবে কিছুটা কমে গেলেও এটি একটি বন্দর ও টাঁকশাল শহর হিসেবে গুরুত্ব পেতে থাকে। ১৩২৪ খৃস্টাব্দে গিয়াসউদ্দীন তুঘলক বাংলা অধিকার করে সাতগাঁও, লখনৌতি ও সোনারগাঁ- এই তিনটি প্রশাসনিক অংশ বা ইউনিটে বিভক্ত করেন। ১৩৩৮ থেকে ১৩৫২ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত সোনারগাঁ ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন রাজ্যের রাজধানীর মর্যাদা লাভ করে।

বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। তিনি সোনারগাঁয়ের শাসনকর্তা বাহরাম খানের সাহায্যকারী ছিলেন। ১৩৩৮ খৃস্টাব্দে সুলতানের মৃত্যু ঘটলে দিল্লী হতে নতুন শাসনকর্তা নিয়োগে বিলম্ব হলে তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করে সোনার গাঁ অধিকার করেন। শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ সোনারগাঁ দখল করেন ১৩৫২ খৃস্টাব্দে। সেখান থেকে জারি করা হয় মুদ্রা। সুদুর বাগদাদ নগরী থেকে দিল্লী আধ্যাত্নিক সাধু সম্রাট শাহ ফতেহউল্লাহ্ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এখানে আসেন। পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যুর পরে এখানেই কবরস্থ করা হয়। তার নাম থেকেই বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত সুফী সাধকের স্মৃতি বিজড়িত এক সময় পরগনা নামে পরিচিত এই এলাকার একটি অঞ্চল ফতেহউল্লাহ্ বা ফতুল্লা নামকরণ করা হয়।মুসা খানের পতনের পর (১৬১১) সোনার গাঁ মুঘল সুবাহ বাংলার একটি সরকারে পরিণত হয়। সোনারগাঁয়ের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বের দ্রুত পতন শুরু হয় ঢাকার মুঘল রাজধানী স্থাপনের (১৬১০) পর থেকেই। সোনারগাঁয়ের একটি অংশে ঊনবিংশ শতাব্দির শেষ থেকে বিংশ শতাব্দির প্রথমদিকে গড়ে উঠেছিল পানাম নগর। নানা স্থাপত্য নিদর্শন থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, বর্তমান পানাম নগর ও খাস নগরের মধ্যবর্তী এলাকার বিস্তৃত হিন্দু আমলের রাজধানী শহর মুসলিম আমলে সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়নি, সম্ভবত এই স্থানে প্রথমদিকের মুসলিম শাসনকর্তাদের আবাসস্থল ছিল।মোগল আমলেরও পূর্বে খিজিরপুর, কদমরসুল ও মদনগঞ্জ বাণিজ্যিক অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক নদীবন্দর ছিল। পলাশী যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর কাছে বাংলার শেষ নবাবের পরাজয়ের পর পর ইংরেজরা দল বেঁধে এ অঞ্চলে আসতে থাকে ব্যবসা-বাণিজ্যের আশায়।

সে সময় এ অঞ্চল পাট, লবণ ও বিভিন্ন ধরনের খাবার মসলার জন্য বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আগমনের সঙ্গে সঙ্গে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। রাজধানী ঢাকা ও সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এবং বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে (শীতলক্ষ্যার পশ্চিমপাড়) সড়ক ও জল পথের সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কোম্পানির লোকেরা শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম সড়কে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। একের পর এক নিম্ন জলাভূমি ভরাট করে গড়ে তোলে ঘরবাড়ি। কোম্পানির আগে মোগল সরকারের আমলে এই নদী বন্দর থেকে ব্যবসায়িক রাজস্ব আয় ছিল ৬ হাজার ৪৪৭ টাকা ১০ আনা ৯ পয়সা। কোম্পানির আমলে ১৮৫০ সালে এই বন্দর থেকে ৩ কোটি গজ চট বস্ত্র ইউরোপ, আমেরিকায় রফতানি করে। তখন ১০০ চট বস্ত্রের মূল্যে ছিল ৭ টাকা। পলাশী যুদ্ধে যেসব ব্যক্তি ইংরেজদের সাহায্য ও সহযোগিতা করেছিল তাদের প্রত্যেককে ইংরেজ সরকার পুরস্কৃত করে। এই সুবাদে বাংলা ১১৭৩ সালে ভীখন লাল ঠাকুর ওরফে লক্ষ্মী নারায়ণ ঠাকুর কোম্পানির নবাব মোজাফফর জঙ্গের (মহম্মদ রেজা খান) কাছ থেকে একটি দলিলের মাধ্যমে এই অঞ্চলের ভোগস্বত্ব লাভ করেন। লক্ষ্মী নারায়ণ ঠাকুরের নামে উৎসর্গকৃত বলে এই অঞ্চলের নাম খিজিরপুর বদলিয়ে অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয় নারায়ণগঞ্জ। নরসিংদীর টোকবর্গী থেকে মুন্সীগঞ্জের মোহনা পর্যন্ত দীর্ঘ ৬৫ মাইল শীতলক্ষ্যা নদী নারায়ণগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত। ইংল্যান্ডের টেমস নদীর পর পৃথিবীর দ্বিতীয় ‘হারবার’ বেষ্টিত শান্ত নদী শীতলক্ষ্যা। এক সময় ইংল্যান্ডের ওষুধ কোম্পানিগুলো ওষুধ তৈরির কাজে এই নদীর স্বচ্ছ সুশীতল পানি ব্যবহার করতো। কোম্পানি এ অঞ্চলকে আধুনিক শিল্প বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৮৭৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর লক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড় কদমরসুল, বন্দর ও মদনগঞ্জ এবং পশ্চিম পাড়ের মোট ৪.৫ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা ঘোষণা দেয়া হয়। প্রথম পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মি. এইচটি ইউলসন।

১৮৬৬ সালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ের সঙ্গে ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয়। এ সময় রানারের মাধ্যমে ডাক সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল। ডাক বিভাগের শাখা ছিল বরপা, হরিহরপাড়া, নবীবগঞ্জ, কাইকারটেক, শীতলক্ষ্যা, টানবাজার ও সোনারগাঁয়ের পানাম নগরীতে। ইংরেজরা তাদের নিজেদের ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করার জন্য ব্যক্তিগত এক্সচেঞ্জ বসিয়ে ১৮৭৭ সালে টেলিফোন সার্ভিস চালু করেন। ইংরেজরা তাদের একচেটিয়া বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বণিকদের উৎসাহিত করতে নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দরকে ১৮৮০ সালে ফ্রিপোর্ট ঘোষণা দেয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নারায়ণগঞ্জের আগমনের পর পর উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকল্পনা অনুযায়ী নদী পথে নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে সমুদ্র পথের চট্টগ্রাম বন্দর, কলকাতাসহ বিভিন্ন নদী পথে নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা চালু হয়। তখন কলকাতা ও আসাম থেকে যাত্রী এবং মালামাল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দরে স্টিমার ভিড়তো। এ সময় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থান ভ্রমণের একমাত্র পথ ছিল নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর। এ জন্য নারায়ণগঞ্জকে বাংলা ভ্রমণের প্রবেশদ্বার বলা হতো। যাত্রী সাধারণের সুবিধার দিকে নজর দিয়ে ও মালামাল পরিবহন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ১৮৮৫ সালে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন সার্ভিস চালু হয়। সব মেইল ট্রেন এই নারায়ণগঞ্জ থেকেই ছেড়ে যেত। ফলে ভারতবর্ষের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ শিল্প ও বন্দর নগরীর যোগাযোগ স্থাপিত হয়। স্থল পথ, জল পথ ও টেলিযোগাযোগের সুব্যবস্থার কারণে বিশ্ব বাণিজ্য বাজারে স্থান করে নেয়।

৫২ এর ভাষা আন্দোলন নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে স্বরণীয় ও বরণীয় এক অধ্যায়। যেহেতু নারায়ণগঞ্জ থেকে ২০ কিঃমিঃ অদুরেই অবস্থিত ঢাকা জেলা, তাই পার্শ্ববর্তী জেলা হিসেবে পাকিসত্মানী স্বৈরশাসককে উৎখাত করার জন্যই এ এলাকার জনগন ছিল প্রতিবাদমুখর। তৎকালীন ছাত্রনেতা শামসুজ্জোহা, বজলুর রহমান, বদরম্নজ্জামান, মফিজ উদ্দিন, হাবিব রশিদ, সুলতান মাহমুদ মলি­ক, কাজী মজিবুর , শেখ মিজান ও এনায়েত নগরের শামসুল হক প্রমুখের নের্তৃত্বে ভাষা আন্দোলনে স্বক্রীয় ভূমিকা নিতে সক্ষম হন। এখনও এ অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে অমত্মরে ধারন করে প্রতিবৎসর ২১শে ফেব্রম্নয়ারী প্রভাতফেরীতে অংশগ্রহন করেন।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে এক বলিষ্ট ভূমিকা ছিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন সুসংঘঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের কমান্ডার এম,এ গনি, মোহাম্মদ আলী, মোঃ নাসির উদ্দিন, মহিউদ্দিন রতন, নুরম্নল ইসলাম, মোঃ সামসুল হক, মমিনুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান প্রমুখ উলে­খযোগ্য।

13/07/2020

Address


Telephone

+8801737510815

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Explore Narayangonj posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Explore Narayangonj:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share