19/07/2022
★ অভিমান জিনিষটা ভয়াবহ ! প্রচন্ড অভিমান আর জমানো ক্ষোভ ধীরে ধীরে যে কাউকে বানিয়ে ফেলতে পারে মানসিক রোগী।
★ এই যে আমরা যখন তখন প্রিয়জনদের উপর রাগ দেখাই, কারনে অকারনে দায়িত্ব চাপিয়ে দেই, কখনো সরি বলি না, হাসি মুখে সব মেনে নেয়া প্রিয়জনরা কি সত্যিই কিছু মনে করেন না? দিনের পর দিন এই ধরনের ব্যবহার কি উনাদের অভিমানী হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে না? সত্যি বলতে কি, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল যে সবসময় মুখ বুঁজে সয়েই যাবে, একটুও রাগ দেখাবে না বা কষ্ট পাবে না ! দিনের পর দিন হাসি মুখে আপনার অত্যাচার কেউই মেনে নেবে না, সেটা মা, বাবা, ভাই, বোন, স্বামী, স্ত্রী যেই হোন না কেন!
★ অভিমান লুকিয়ে অনেকেই হাসতে পারেন, শুধুই সংসারের মঙ্গলের কথা ভেবে অনেকেই মানিয়ে নেন, রাগের জবাবে পাল্টা রাগ দেখান না। কেউ কেউ নিজের অভিমান লুকিয়ে শুকনো হাসি হাসেন কারন রাগ করলেই বিপদ, হিতে বিপরীত হবে! কেউ কেউ এতই দুর্ভাগা যে তাদের রাগ দেখানোর কোন সুযোগই সংসারে থাকে না। ফলফল, রাগ পুষতে পুষতে, অভিমান জমিয়ে রাখতে রাখতে, একদিন প্রচণ্ড ক্ষোভে ফেটে পড়া আর আরো ডিপ্রেসিভ হয়ে ওঠা!!
★ যাকে মেশিন এর মতো আপনার রাগ ঝাড়ার যন্ত্র মনে করছেন, মাঝে মাঝে একটু তার সার্ভিসিংটা করুন। ঠিক যতটুকু রাগ আপনি তাকে দেখালে সে হাসি মুখে আপনাকে পাগল বলে সান্ত্বনা দেয়, তাকেও মাঝে মাঝে আপনাকে শাসন করার, আপনার উপর রাগ ঝাড়ার সুযোগ দিন। এক দুইদিন তাকেও সরি বলুন। দেখুন আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ কত বেড়ে যায়। মানিয়ে নেয়া দু পক্ষকের থেকেই হতে হয়। একতরফা কিছু হলে পরে একজন একসময় ক্লান্ত হয়ে যায়। যার উপর রাগ করা যায় না তার সাথে আসলে গভীর ভালোবাসাও হয় না।
★ সম্পর্ক জিনিসটা ভয়াবহ, এই সামাজিক সম্পর্কের বাঁধন না থাকলে দুইজন মানুষ কখনো একসাথে দীর্ঘদিন চলতে পারতো না। বহু আগেই সম্পর্কের যবনিকা পাত হতো।
★ প্লিজ একটু কি ভাববেন? রেগে মেগে অস্থির তো হলেন, এবার কি একটু সরি বলার অভ্যেস করবেন? কাছের মানুষদেরকে কি সেই সুযোগটা দেবেন যেন তারাও আপনার উপর রাগ দেখাতে পারে? শুধু স্বামী স্ত্রী না, রক্তের সম্পর্কের মা, বাবা, ভাই, বোনও কিন্তু অভিমান করতে পারে। তাই সময় থাকতেই, প্রিয়জনকে মানসিক রোগের হাত থেকে বাঁচান!