19/07/2021
📌Gig Ranking Factors
পুরো পোস্ট মনোযোগ দিয়ে শেষ করেন , আশা করি কোন প্রশ্ন থাকবেনা , যদি থাকে কমেন্টস এ রেখে যাবেন , সময় সুযোগ করে উত্তর দিয়ে যাব।
🎉Fiverr 3.0
কিছু কথা শুরু করার আগেঃ
যদি মনে করেন স্কিলের ঘাটতি আছে , তাহলে দু কদম পিছে যান , নিজেরে মার্কেটপ্লেস এর মতো করে রেডি করে তারপর আসেন। ফিরে আসুন । আপনি নিজেই দায়ি আপনার সফলতা কিংবা ব্যর্থতার জন্য ।
যদি একটা জিনিস এতোই সহজ হতো, তাহলে পৃথিবীর সবাই ফ্রিলান্সিং করত বাড়ি, গাড়ি সব থাকতো। সঠিক ওয়ে এবং প্রচেস্টা এখানে অনেক বেশি ইমপরটেন্ট।
চেষ্টা করুন যদি ব্যাসিক জানেন , তাহলে দিনে ১ ঘন্টা করে এডভান্স শিখবেন ধাপে ধাপে, ধীরে ধীরে, বুঝে বুঝে( ইউটিউব, ব্লগ, ফোরাম, গুগল) এই সবের সাহায্য নিন।
এবার আসি , কি আপডেট ,কেন , কি করব?
২০২০ সাল থেকে লক্ষ্য করছেন যে , র্যাংকিং আর ওইভাবে কাজ করেনা , বিগত সময়ে যেভাবে কাজ করতো। একটু ভালো করে লক্ষ্য করেন , ফাইভার কিন্তু মার্কেটপ্লেস , তার আগে ও সে কিন্তু একটা সার্চ ইঞ্জিন ।
এখন সার্চ ইঞ্জিন জিনিসটা কি ভাই,
সার্চ ইঞ্জিন হলো Google . তাদের নিজস্ব এলগরিদম আছে আর এই এলগরিদম উপর ভিত্তি করেই সে একটা ওয়েবসাইট/গিগ কে র্যাংকে নিয়ে আসে।
প্রশ্ন হলো ,
এই এলগরিদম কি বা র্যাংকিং ফ্যাক্টর টা কি , ভাই গুগল এর ২০০+ র্যাংকিং ফ্যাক্টর আছে । একজন SEO Expert হিসেবে এখন অব্দি ৩০০+ ওয়েবসাইট কে প্রথমে নিয়ে আসছি আর তার জন্য অনেক রিসার্চ আর অনেক কিছু অনুধাবন করে যে তিন টা জিনিস বুঝতে পারছি সেটা হলোঃ
Relevance (রিলেভেন্সিঃ)
আমরা Google অথবা ফাইভার এ যখন কোন কিছু লিখে সার্চ করি , তখন তাদের বোট গুলো এমন কিছু ওয়েবসাইট বা গিগ খুজে বের করে সামনে নিয়ে আসে , যেগুলো আমাদের সার্চ এর সাথে যায় , যেমনঃ
আপনি যদি wordpress seo optimization লিখে সার্চ করেন ফাইভার এ তখন প্রতিটা গিগ সামনে আসে যারা কিনা এই কীওয়ার্ড নিয়ে গিগ দিয়েছে , চলেন দেখি র্যাংকিং গিগ এর টাইটেলঃ
I will do WordPress SEO optimization and fix issues
মজার ব্যাপার কি জানেন , এই গিগ টা সামনে আসার ৫ টা কারন হলোঃ
সে টাইটেল এ কীওয়ার্ড রাখছে, তার ডেসক্রিপশনের প্রথম প্যারায় কীওয়ার্ড আছে, তার সবচেয়ে ইম্পোর্টেন্ট পয়েন্টে তার কীওয়ার্ড আছে, তার ইমেইজ কোয়ালিটি ( গিগ ইমেইজ) ভালো আর তার একাউন্ট এ ভালো কয়েকটা রিভিউ আছে(৫টা মাত্র)।
এই যে সে তার ফোকাসিং কীওয়ার্ড টা ভালো করে অপ্টিমাইজ( সাজানো) করছে এটাকে বলে গিগ এস ই ও আর আপনি ওয়েবসাইট অথবা গিগ যেখানেই এই রুলস ফলো করেন না কেন , সামনে আসবেই আর এইটাকেই বলে রিলেভেন্সি ।
ভাবুন তো, আপনি কখনো গুগলে সার্চ করলেন ( মোবাইল ফোন) , গুগল কি আপনাকে কখনো ল্যাপটপের ওয়েবসাইট সামনে এনে দিবে , কখনোই না । আপনি যা চান( বায়ার যা চায়) সেটাই সামনে আসবে আর এটা সামনে আসার জন্য অবশ্যই আপনাকে গিগ এস ই ও করতে হবে ( মানে আপনার কীওয়ার্ড কে সর্বোচ্চ প্রায়রিটি দিয়ে , টাইটেল, ডেস্ক্রইপশন আর ইমেইজে রাখতে হবে।
Quality( visibility):
যখন কেউ একজন টাইম স্পেন্ড করে যেকোন কিছুতেই , সেটা মানে জিনিস টা এট্রাকটিভ , কোয়ালিটিফুল , অথবা প্রয়োজনীয়।
আমরা একটা ভালো মুভি , ২ ঘন্টা না টেনে কিন্তু দেখি , কিন্তু আপনি কি হিরো আলম সাহেবের মুভি দুই ঘন্টা একটানা দেখতে পারবেন?
একটা ভালো গান , বার বার শুনি, ফিল করি । কিন্তু মাহফুজুর রহমান স্যারের গান সামনে এলেই স্কিপ করে যাই।
ঠিক তেমনি,
বায়ার একটা গিগ যখন ওপেন করে , ভালো হলে সে প্রথম থেকে শেষ অব্দি পড়বে আর কেন পড়বে জানেন , কারন কোয়ালিটি ভালো , ইনফরমেটিভ । সে যা চায় তা এখানে আছে । আর সে যা চায়, তার যা দরকার তা যদি সে এখানে পায় তাহলে অন্য কারো কাছে যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা।
এখানে দুইটা লাভ , ফাইভার মনে করে বায়ার বেশি টাইম স্পেন্ড করতেছে এই গিগে , তার মানে এখানে ভালো কিছু আছে , আর ফাইভার এর কাস্টমার কিন্ত বায়ার ও সো সে চায় যেন প্রতিটা বায়ার এমন ভালো কিছুই পায় তাই সে একটা গিগ কে ধীরে ধীরে সামনে নিয়ে আসে। এমন না আজকে গিগ দিলেন কালকেই র্যাংকে চলে আসবে । ১৪-২১ দিন অপেক্ষা করেন বড়শি নিয়ে , ভালো খাবার দেন , মাছ ধরবেই।
তো কি করতে হবে তার জন্য , ৫ টা জিনিস নোট করে নেনঃ
১। ডেস্ক্রিপশন সহজ ইংরেজি তে হতে হবে ( ৯ম -১০ম শ্রেনির ছাত্র ছাত্রীদের বোঝার মতো করে)। মনে রাখবেন অনেক ক্লাইন্টসই আছে যারা ইংরেজি ভালো জানেনা তাদের কথা মাথায় রাখেন । যারা ভালো জানে তারা তো বুঝতেই পারবে পাশা পাশি যারা জানেনা তারা ও বুঝতে পারবে।
২। পয়েন্ট আকারে গুছিয়ে লিখুন , মনে রাখবেন কপি পেস্ট সাময়িক সমাধান হয়তো কিন্তু স্থায়ী নয়, রিসার্চ করুন , বুঝুন , সাজান তারপর লিখুন।
৩। বাড়াবাড়ি করে , এই করবেন সেই করবেন, এইটা দিবেন , ওইটা দিবেন এইগুলো বইলেন না ভাই, যা পারবেন যতটুকু দিতে পারবেন ততটুকুই লিখেন । বলে দেন ২৪/৭ একটিভ , ভাই আবেগের বশে এমন কথা কেন বলেন, একটা মানুষের পক্ষে পসিবল , রোবটের ও তো ভাই দিনশেষে এক ঘন্টা চার্জ দরকার হয়। যা দিবেন তাই বলেন ,অর্ডার এর পর একটা রিভিউ এর ও ব্যাপার থাকে ভুলে যাইয়েন না ।
৪। ভালো ইমেইজ দেন ( এট্রাকটিভ ) কার্টুন ব্যবহার করতে পারেন , নিজের ছবি ব্যবহার করতে পারেন। তবে কোন পরিচিত মুখ কখনোই না ( নায়ক , নায়িকা)। যদি ভালো ভিডীও দিতে পারেন তাহলে তো কথাই নাই ।
৫। প্রাইজে খেয়াল রাখেন , আপনার কম্পিটিটর ( যারা র্যাংকে আছে তাদের প্রাইজ যদি এভারেজ ২০-৩০ হয় তাহলে আপনি ১৫ তে নামতে পারেন ( না নামাটাই ভালো) । কিন্তু দয়া করে ৫ এ নেমে আইসেন না , এইটা মার্কেটপ্লেস , প্রফেশনাল দের মিলনমেলা , আপনি মাছ বিক্রি করতে যাইয়েন না ।
চলেন এইবার আসি অর্ডার পাওয়ার পর কি করতে হবেঃ
Fiverr ৩.০ ভালোবাসে স্পিড , আপনি মনে রাখবেন অর্ডার পাওয়ার পর ই আপনার র্যাংকে ঠিকে থাকার যুদ্ধ শুরু হয়, নিচের বিষয় গুলো মাথায় ডুকিয়ে নেন ঃ
_ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্ডার কমপ্লিট করা।
_ রিকোয়েস্ট করা বায়ারকে যেন সে ও তাড়াতাড়ি এক্সেপ্ট করে।
_রিভিশন এর ঝামেলায় না যাওয়া ( খুব বেশি) শুধু ডিজাইনার দের ক্ষেত্রে বায়ার এর কন্সেপ্ট বুঝে কাজ করে দেওয়া।
_ Delivering before the “you have 12 hours to deliver” notification
_ ক্যান্সেলেশন এভইড করেন।
ব্যাস গিগ এর উপর পেরেক মেরে রেখে দেন , এতো সহজে নামবেনা গিগ নিচে। দেখেন , আপনার পারফেরমেন্স খারাপ মানে আপনার ই খারাপ , বাকি সবাই কিন্তু বসে থাকবেনা , তারা ভালো পারফেরমেন্স করলে , ফাইভার বাধ্য তাদের সামনে নিয়ে আসতে । আপনি ভালো করলে আপনার অধিকার সামনে থাকার।
যারা বলেন গিগ নিচে নেমে আসছে ভাই , দেখেন তো উপরের কর্ম থেকে কোন সুকর্ম আপনি করছেন যার জন্য গিগ নিচে নেমে আসছে।
সুত্র টা বলে নেই এইবারঃ
প্যারা ০১+ প্যারা ০২+ বায়ার সেটিসফেকশন+ পজিটিভ রিভিউ = সাকসেস
প্রথম প্যারায় বললাম , কিভাবে গিগ র্যাংকে আসে , ট্রাই করে দেখেন , র্যাংকে আসার পর , অর্ডার আসার পরের স্টেপ হলো , প্যারা ০২ আর বায়ার সেটিসফেকশন তো বুঝেন ই , বায়ার কে হ্যাপি রাখা আর পজিটিভ রিভিউ তখন ই আসবে , যখন বায়ার ভালো কাজ পাবে আর সব মিলে গেলেই সাকসেস।
মনে রাখবেন,
বায়ার সবসময় বায়ার ই , সে ইন্ডিয়ান হোক , পাকিস্থানী হোক , অথবা যে কোন দেশের হোক , যদি মনে করেন কাজ করলে নেগেটিভ ফিডব্যাক আসবে, ফাইভার সবসময় পাশে আছে , সাপোর্ট এ বলেন বুঝিয়ে বলেন , প্রমান দেন তারা ক্যানসেল করে দিবে অর্ডার ,প্রফাইলে ইম্পেক্ট পড়বেনা।