27/02/2024
আলি হাসান উসামা সাহেবের জবাব চাই -
মিয়ারে হক বা সত্যের মাপকাঠি শুধু রাসূল সা: সাহাবায়ে কেরাম নন। বিখ্যাত আলিমদের ফতোয়া:
১| দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা ক্বারী তায়্যিব রহঃ বলেন:
اِتَّبِعُوْا مَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْكُمْ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَ لَا تَتَّبِعُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اَوْلِیَآءَ١ؕ قَلِیْلًا مَّا تَذَكَّرُوْنَ
"তোমরা তাঁর অনুসরণ কর, যা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং তা বাদ দিয়ে আউলিয়াদের অনুসরণ করো না। তোমরা অল্পই উপদেশ গ্রহণ করে থাক।"-সূরা আল আরাফ : ৩
দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাক্তন মুহতামিম মাওলানা ক্বারী তায়্যিব (র) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে-
جیسا که ما انزل الیکم کا تقاضا هي كه معيار حق ما انزل هو جو خدا کی طرف سے نازل شده هو اور هم تك بعينه وهي نازل شده چيز
پهونچي هو - مقالات طيبة ص ٦٠
“যেভাবে ما انزل اليكم অর্থাৎ 'যা তোমাদের নিকট অবতীর্ণ হয়েছে' এর দাবী ও স্পষ্ট চাহিদা হচ্ছে যে, তা সত্যের মাপকাঠি হবে। তা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত এবং তা আমাদের নিকট হুবহু সম্পূর্ণ অবিকৃত ভাবে পৌছেছে।"-মালাকাতে তায়্যিবাহ : ৬০
মি'য়ারে হক্ক সম্পর্কিত বক্তব্য:
মহামান্য মুহতামিম ক্বারী মুহাম্মাদ তায়্যিব সাহেব রাহঃ এর নিকট কোন এক ব্যক্তি বিস্তারিতভাবে জানতে চাইল- সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম মি'য়ারে হক্ক কিনা? প্রশ্নের জবাবে হযরত মুহতামিম সাহেব মাওলানা মওদূদী রাহঃ সম্পর্কে পরিপূর্ণ সত্যায়ন করেন এবং খুবই সংক্ষিপ্ত অথচ তথ্যবহুল উত্তর রচনা করে পাঠিয়ে দেন। উত্তরটি নিম্নরূপ:
উত্তর: আমার কাছে আপনার প্রেরিত চিঠি পৌঁছেছে। আমি ওই দিনগুলোতে সফরে ছিলাম এ কারণে উত্তর প্রদানে বিলম্ব হয়েছে।
মি'য়ারে হক্ক শুধুমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হযরত সাহাবায়ে কেরাম এই সত্যের বর্ণনাকারী ও বাস্তব জীবনে বাস্তবায়নকারী ছিলেন। এ কারণে সাহাবায়ে কেরামের প্রতি সম্মান ও আনুগত্য প্রদর্শন সকলের জন্য আবশ্যক। যদিও এই মর্যাদার ক্ষেত্রে কিছু মতভেদ অর্থাৎ বিভিন্ন প্রকার রেওয়ায়াত বিদ্যমান রয়েছে, তবুও উসুলে ফিকহের নিয়ম অনুযায়ী তাদের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব ও অগ্রাধিকার এবং অন্যান্য বিষয়ে সামঞ্জস্য বিধান করা হয়েছে। অন্যথায় সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে স্বয়ং বিভিন্ন প্রকার হাদিসের বর্ণনার ফয়সালা কি হবে? আম্বিয়া কেরাম আলাইহিমুস সালাম ইজতিহাদী ভুল ত্রুটি করেছিলেন। কিন্তু এই ভুলের মাঝে উনারা অটল ছিলেন না। তৎক্ষণাৎ তাদেরকে ওহীর মাধ্যমে সঠিক দিকটি বর্ণনা করে দেওয়া হয়েছে। পরিশেষে তাদের ইজতিহাদও শরয়ী টেক্সটে পরিণত হয়। বিস্তারিত বলার সময় নেই। সময় সঙ্কীর্ণ।"
দস্তখত
মুহাম্মাদ তায়্যিব
মুহতামিম দারুল উলুম দেওবন্দ
তথ্যসূত্র: (ক) রিসালায় হাকিকত পৃষ্ঠা নং ১৮ থেকে ১৯ আল্লামা আমের ওসমানী দেওবন্দী এর সূত্রে, প্রকাশনায় মাকতাবায়ে তামিরে মিল্লাত চকবাজার মুলতান শহর।
২| ইমামুল হিন্দ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ রহঃ বলেন:
شرعا معيار حق صاحب وحى هي - صحابه کرام کو جو مقام حاصل هے وه تبعا حاصل ہے یعنی انھوں نے انحضرت صلى الله عليه وسلم کے قول وفعل كا حتى الا مكان اتباع کیا اس لئے ان کی شخصیت بھی ہمارے لئے قابل احترام ہوئی لیکن هر حال میں اصل شخصیت صاحب وحی کی هے نه که کسی اور کی انحضرت صلى الله عليه وسلم کے سوا ہمارے عقیدہ میں کوئی شخص معصوم عن الخطأ نهيں هي - يهي وجه هے كه امام مالک نے انحضرت صلى الله عليه وسلم کی قبر کی طرف اشارہ کر کے کہا : اس قبر والے کے سوا ھر شخص سے دلیل پوچھی جائے گی اور غلطی پر باز پرس هو گی ۔
ملفوظات آزاد ص ۱۱۰
"ওহীপ্রাপ্ত রাসূলই শরীয়তের দৃষ্টিতে 'মিয়ারে হক' বা 'সত্যের মাপকাঠি। সাহাবায়ে কেরামের যে মর্যাদা অর্জিত হয়েছে তা অনুসরণের দরুন অর্জিত হয়েছে। অর্থাৎ তারা যথাসাধ্য নবী করীম (স)-এর কথা ও কাজের অনুসরণ করেছেন। এজন্য তাঁদের ব্যক্তিত্বও আমাদের জন্য সম্মান উপযোগী। তবে সর্বাবস্থায় মূল ব্যক্তিত্ব ওহীপ্রাপ্ত নবীর জন্যই স্বীকৃত, অন্য করো জন্য নয়। এজন্য ইমাম মলেক (র) নবী করীম (স)-এর কবর শরীফের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন: এ
কবরবাসী ছাড়া সকলের কাছেই দলিল চাওয়া হবে এবং ভুলের জন্য তাকে জিজ্ঞেস করা হবে।"-মালফুজাতে আযাদ : ১১০
মাওলানা আযাদের (র) এ বক্তব্য থেকে জানা গেল যে, ওহীপ্রাপ্ত নবীই শরীয়তের দৃষ্টিতে সত্যের মাপকাঠি। সাহাবায়ে কেরাম নন। বরং সাহাবায়ে কেরাম তাঁর অনুসারী। সর্বাবস্থায় মূল ব্যক্তিত্ব হলেন রাসূল (স)। রাসূল (স) ছাড়া সকলের কাছে দলিল চাওয়া হবে এবং ভুলের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মাওলানা আযাদের এ আকীদা মাওলানা মওদূদী (র) প্রণীত জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রে সত্যের মাপকাঠির আকীদার সাথে ষোল আনা মিলযুক্ত ও সামঞ্জস্যশীল এবং এ আকীদা-বিশ্বাসই হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের স্থির আকীদা-বিশ্বাস।
৩| জমিয়তের আলেম মাওলানা মুশাহিদ আলী বায়মপুরী রহ: বলেন:
خلاصه يه هے كه جبتك انسان جمله امور میں خواه سياسيه هو يا
غير سياسيه جناب رسول مقبول ﷺ کو واحد فيصل نه سمجهے اور
پھراپ کی فیصلہ
کو اطمئنان کلی کے ساته بطيب خاطر قبول نه
کرے اسی وقت وہ مؤمن نهيں هو سكتا - فتح الكريم ص ١١
"মোদ্দাকথা এই যে, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ যাবতীয় বিষয়ে চাই তা রাজনৈতিক হোক অথবা অরাজনৈতিক হোক জনাব রাসূল মাকবুল (স)-কে একমাত্র মীমাংসাকারী হিসেবে মেনে না নেবে এবং তাঁর দেয়া ফায়সালা ও সিদ্ধান্তকে সন্তুষ্টচিত্তে এবং পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে মুমিন হতে পারে না।"-ফাতহুল করীম: ১১
এখানে দেখা যায় যে, মাওলানা আযাদ ও মাওলানা মুশহিদ উভয়ে সত্যের মানদণ্ড রাসূল (স)-কে স্থির করেছেন। 'মিয়ারে হক' আর 'ওয়াহিদ ফায়সল'-এর মধ্যে শব্দগত বিভিন্নতা আছে কিন্তু অন্তনির্হিত ভাবধারা এক ও অভিন্ন ।
জমিয়তের শ্রেষ্ঠ আলেম মাওলানা মাদানী (রহ)-এর সুযোগ্য সাগরিদ মাওলানা মুশাহিদ (র) দ্বিধাহীনভাবে ঘোষণা দিচ্ছেন যে, সকল বিষয়ে রাসূল (স)-কে একমাত্র মীমাংসাকারী হিসেবে গ্রহণ না করা পর্যন্ত কোনো মানুষ ঈমানদার হতে পারে না। এ কারণেই মাওলানা মওদূদী (র) রাসূল )স)-কে সত্যের মানদণ্ড বলেছেন। জমিয়তের নেতা যাকে واحد فيصل 'একমাত্র মীমাংসাকারী' বলেছেন মাওলানা মওদূদী তাঁকে 'সত্যের মাপকাঠি' বলেছেন। শব্দ বিভিন্ন হলেও মর্মার্থ এক ও অভিন্ন। তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, মাওলানা মুশহিদ এখানে কুফরী ফতোয়া জারি করেছেন। অর্থাৎ যে ব্যক্তি যাবতীয় বিষয়ে একমাত্র রাসূল (স)-কে মীমাংসাকারী মানবে না সে মুমিন নয়, তাহলে নিশ্চয়ই সে কাফের। তিনি এর সমর্থনে কুরআনের একটি আয়াতও পেশ করেন।
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي
أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا )
"হে মুহাম্মাদ তোমার রবের শপথ, তারা কিছুতেই ঈমানদার হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তারা সকল বিষয় তোমাকেই চূড়ান্ত ফায়সালাকারী হিসেবে গ্রহণ করে। তোমার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অন্তরে কোনো দ্বিধা-সংকোচ না রেখে অবনত মস্তকে তা মেনে নেয়।" -(সূরা আন নিসা : ৬৫)
আয়াতটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, একমাত্র রাসূল (স) সত্যের মাপকাঠি এবং তিনিই সকল বিষয়ে চূড়ান্ত মীমাংসাকারী। একেই বলে সত্যের মানদণ্ড। সুতরাং যারা সাহাবা তাবেঈদের সত্যের মানদণ্ড মানতে চান তারা নির্ঘাত ভুলের উপর রয়েছেন। তাতে কোনোই সন্দেহ নেই।
৪| আল্লামা জাফর আহমদ উসমানী স্পষ্ট করে বলেছেন:
کلمه اسلام کے دوسرے جزء محمد رسول الله كے معنى يه هے كه
اب معيار حق سيدنا محمد ﷺ کے سواء کوئی انسان نهیں هے اس لئے یه عبارت هر مرد مؤمن و مسلم کا عقیدہ ہے اور ھونا چاھئے ۔
দেখুন;
۔ جماعت اسلامی اسی علماء کی نظر میں
"কালিমায়ে ইসলামের ২য় অংশ “মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ"-এর অর্থ এই যে, বর্তমানে একমাত্র রাসূলুল্লাহ ছাড়া আর কেউই মিয়ারে হক বা সত্যের মাপকাঠি নয়। তাই এটা প্রত্যেক মু'মিনের ও মুসলমানের বিশ্বাস এবং এ বিশ্বাস থাকা আবশ্যক।"
৫| মাওলানা আব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদী রহঃ বলেন:
آپ نے بنیادی عقیدہ کی جو عبارت نقل کی ہے وہ عین حق وصواب
ھے اور ھر مسلمان کا یہی عقیده هونا چاهئے رسول خدا کو معيار حق بنائے کے معنی یه هے که سارے انبیاء کے تصدیق اس میں اگئی معترض کو شاید تنقید اور توهین و تنقیص کے درمیان فرق نھیں معلوم، محدثین نے کسی غضب کی تنقید رواۃ پر کی ھے کیا وہ سب توهین و تنقیص کے مرتکب هوے هیں ؟
দেখুন;
جماعتا اسلامی اس علماء کی نظر میں ۔
"আপুনি মৌলিক আকীদা-বিশ্বাস সম্পর্কীয় যে উদ্ধৃতিটি পাঠিয়েছেন। তা সম্পূর্ণ সত্য ও সঠিক। এবং প্রত্যেক মুসলমানের এ আকীদা হওয়া উচিত। আল্লাহর রাসূল (স)-কে সত্যের মাপকাঠি স্বীকার করার ভিতর দিয়ে অন্যান্য নবীদের স্বীকৃতিও এসে গেছে। অভিযোগকারীর কাছে সম্ভবত তানকীদ (যাচাই-বাছাই) এবং তাওহীন (অপমান) তানকীস (অসম্মান)-এর মধ্যে ব্যবধান অজ্ঞাত। হাদীস শাস্ত্রবিদগণ হাদীস বর্ণনাকারীদের কী কঠোরভাবে তানকীদ করেছেন এতে কি তাঁরা অসম্মানকারী হয়ে গেলেন?"
মাওলানা মওদূদী (র)-এর দৃষ্টিতে সত্যের মাপকাঠি:
ইসলামের বুনিয়াদী আকীদাহঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলল্লাহ-এর প্রতি ঈমান আনার অনিবার্য দাবি ও স্পষ্ট চাহিদার প্রেক্ষিতে মাওলানা মওদূদী (র) বলেছেন:
প্রেক্ষিতে মাওলানা মওদূদী (র) বলেছেন:
(১) আল্লাহর রাসূল ছাড়া অন্য কোনো মানুষকে 'মিয়ারে হক' বা সত্যের
মাপকাঠি বানাবে না।
(২) কাউকে তানকীদ বা যাচাই-বাছাই এর ঊর্ধ্বে মনে করবে না।
(৩) কারো যেহনী গোলামী বা অন্ধ অনুসরণে লিপ্ত হবে না।
(৪) বরং প্রত্যেককে আল্লাহর দেয়া ঐ মিয়ারে কামেল বা পূর্ণাঙ্গ মাপকাঠিতে যাচাই ও পরখ করবে এবং এ মাপকাঠির দৃষ্টিতে যার যে মর্যাদা হবে তাকে সেই মর্যাদা দিবে অর্থাৎ যিনি যে স্তরের হবেন তাকে সেই স্তরেই রাখবে।"
( দস্তুরে জামায়াতে ইসলামী )
মাওলানা মওদূদী (র)-এর দৃষ্টিতে সত্যের মাপকাঠির ব্যাখ্যা:
মিয়ারে হক বা সত্যের মাপকাঠি সম্পর্কিত মাওলানা মওদূদী (র) প্রণীত জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের কথাগুলো যখন কোনো কোনো ধর্মীয় মহলের নিকট অস্পষ্ট ও আপত্তিকর মনে হলো তখন তাঁকে পুনর্বার সত্যের মাপকাঠি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তার ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
هماری نزديك معيار حق سے مراد وہ چیز هے جس سے مطابقت ركهنا حق هو اور جس کے خلاف هونا باطل هو اس لحاظ سے معیار حق صرف خدا کی کتاب اور اس کے رسول کی سنت هے صحابه كرام معيار حق نهیں هیں بلکه کتاب وسنت کے معیار پر پورے اترتے هيں كتاب وسنت کے معیار پر جانچ کرهم اس نتیجے پر پھنچے هیں
که وه بر حق ہیں ۔
"আমাদের মতে 'মিয়ারে হক' (সত্যের মাপকাঠি) হচ্ছে সেই বস্তু যার অনুকুল হওয়ার মধ্যে 'হক' নিহিত এবং যার বিপরীত হওয়ার মধ্যে বাতিল (মিথ্যা) নিহিত। এ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায় যে, একমাত্র আল্লাহর কিতাব কুরআন ও তাঁর রাসূলের সুন্নাতই হচ্ছে সত্যের মাপকাঠি। সাহাবায়ে কেরাম (রা) সত্যের মাপকাঠি নন। বরং তারা কুরআন ও সুন্নাহর মাপকাঠিতে পূর্ণভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। কুরআন ও সুন্নাহর মানদণ্ডে যাচাই করে আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, সাহাবায়ে কেরাম (রা) নিঃসন্দেহে সত্যনিষ্ঠ দল।"
( তরজমানুল কুরআন, জেলদ ৫৬, সংখ্যা ৫ )
শায়খ হুসাইন আহমদ মাদানী + মাওলানা আহমদ শফী + মুফতি মনসুরুল হক + মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী প্রমুখের মতে,
মিয়ারে হক বা সত্যের মাপকাঠি হওয়ার জন্য ইসমত শর্ত।
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন;
দস্তুরে মওদুদী, পৃষ্ঠা ৩৩ ও ৬৯।
হক বাতিলের চিরন্তন দ্বন্দ্ব, মিয়ারে হকের আলোচনা দ্রষ্টব্য |
নুরে মদীনা বর্ধিত সংস্করণ।
কুরআন ও হাদীসের আলোকে মওদুদী মতবাদ।
দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক প্রধান মুফতী মোহাম্মদ শফী (র) বলেন:
ان سب حضرات کا اس پر بھی اتفاق هے که صحابه كرام انبیاء کرام کی طرح معصوم نہیں ۔ ان سے خطائیں اور گناھیں سرزد ہو سکتے ھیں اور ھوئے ھیں جن پر رسول الله صلى الله عليه وسلم حدود و سزائیں جاری فرمائی ہیں احاديث نبويه ميں يه سب واقعات ناقابل
انکار ہیں - مقام صحابه ص ۱۱۱
"আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সকল ইমাম একমত যে, সাহাবায়ে কেরাম আম্বিয়ায়ে কেরামের মত নিষ্পাপ নন। বরং তাদের পক্ষে গোনাহ ও ভুল-ত্রুটি সংঘটিত হতে পারে এবং হয়েছেও। যার জন্য রাসূল (স) দণ্ডবিধি ও বিভিন্ন প্রকারের শাস্তি প্রয়োগ করেছিলেন। রাসূলের হাদীসে এসকল ঘটনা অনস্বীকার্য।"-মাকামে সাহাবা: ১১১
আল্লামা আলুসী (র) রুহুল মা'আনীতে বলেন, "অধিকাংশ আলেম এ সম্পর্কে যে সুষ্পষ্ট অভিমত পোষণ করেন, তাই সত্য ও নির্ভুল। তারা বলেন, সাহাবায়ে কেরাম নিষ্পাপ নন, তাদের দ্বারা কবীরা গোনাহ সংঘটিত হতে পারে, যা ফিসক তথা পাপাচার। এরূপ গোনাহ হলে তাঁদের বেলায় শরীয়াত সম্মত শাস্তি প্রযোজ্য হবে এবং মিথ্যা সাব্যস্ত হলে তাদের খবর ও সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করা হবে। কিন্তু কুরআন ও সুন্নাহর বর্ণনাদৃষ্টে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর আকীদা হচ্ছে এই যে, সাহাবী (রা) গোনাহ করতে পারেন, কিন্তু এমন কোনো সাহাবী নেই, যিনি গোনাহ থেকে তাওবা করে পবিত্র হননি।"- তাফসীরে মা'আরেফুল কুরআন সংক্ষিপ্ত -১২৭৯
এখন আপনারাই বলুন, উপরের চারজন দেওবন্দী আলিমদের মত অনুযায়ী সাহাবায়ে কেরাম কি করে সত্যের মাপকাঠি হবেন?
তাদের বিভিন্ন দলিলগুলো পরবর্তী তে পর্যালোচনা করা হবে ইংশাআল্লাহ।
পোস্টের শুরুতে যে সকল আলিমদের ফতোয়া যোগ করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে আলী হাসান উসামা ফতোয়া কি হবে?
তাহলে, এলাউস সুনান গ্রন্থাকার + মাওলানা আব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদী প্রমুখ আলিমরাও কি অবুঝ, অজ্ঞ, গোমরাহ?
পোস্ট লিখেন
রিফআত হাসান
ফাযেলে দেওবন্দ