BanglaDigital

  • Home
  • BanglaDigital

BanglaDigital Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from BanglaDigital, Digital creator, .

08/08/2023

জ্ঞানের কথা, জ্ঞানীর কথাঃ “একই সূর্যের আলো চুলের কালো রঙ হাল্কা/ধুসর করে অথচ শরীরের চামড়ার হাল্কা রঙ গাঢ় করে, কেন?”

‘রৌদ্রে খেলা-ধুলা করলে গায়ের রঙ পুড়ে যাবে’ সন্তানদের প্রতি পিতা-মাতার এমন শাসনের কথা প্রায় সবারই জানা। তা ছাড়াও সী-বিচে সান-বাথের মাধ্যমে শরীর পুড়ানোর বিলাসিতা শীত-প্রধান দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, গ্রীষ্ম-মন্ডলীয় দেশগুলি এমনকি আমাদের মত দারিদ্র-পীড়িত দেশ-সমূহেও বেশ সংক্রামিত হয়েছে। অপরদিকে, সূর্যের প্রচন্ড তাপে চুলের রঙ বদলে হাল্কা হওয়ার ঘটনাও আমাদের অজানা নয়। অর্থাৎ সূর্যের আলো গায়ের রঙ পুড়িয়ে গাঢ় কিংবা তামাটে করে অথচ চুলের রঙ হাল্কা বা ফ্যাকাসে করে। মানব দেহের বিভিন্ন অংশে একই সূর্যের আলোর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার রহস্যটা আসলে কি!

বিশ্বখ্যাত New York Times ম্যাগাজিনের বিজ্ঞান-বিষয়ক জার্নালিস্ট DANIEL ENGBER তার Why Does Sunlight Lighten Hair ButDarken Skin? এবং ক্লিনিক্যাল ডার্মাটলজিস্ট Zoe Diana Draelos তার “Hair, sun, regulation, and beauty” প্রবন্ধে মানুষের মাথার চুল এবং শরীরের চামড়ায় সূর্যালোকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোকপাত করেছেন। সূর্যের আল্টা-ভায়োলেট রশ্মি মানব দেহের চামড়া এবং চুল উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হলেও প্রতিক্রিয়ায় ভিন্নতা রয়েছে। এ ভিন্নতার মূলে রয়েছে শরীরের বিভিন্ন অংশের Cell এর ভিন্নতা এবং melanin এর কার্যকারিতা।

মানব দেশের চামড়ার Cell গুলি জীবন্ত, যা সূর্যালোকের আল্টা-ভায়োলেট রশ্মির বিপরীতে প্রতিক্রিয়াশীল থাকে এবং মানিয়ে নিতে পারে। সূর্যের আল্টা-ভায়োলেট রশ্মি চামড়ার উপর পড়া মাত্র বিশেষ ধরণের হরমোন নিঃসরণ হয়, যা অধিক পরিমাণে মেলানিন তৈরির মাধ্যমে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দৃঢ করে। অধিক পরিমাণে উৎপাদিত melanin চামড়ার উপরি স্তরে জমা হয় এবং চামড়া গাঢ় বা কালো বর্ণ ধারণ করে।

মানুষের চুলে বিদ্যমান Cell গুলি জীবন্ত নয়, অর্থাৎ মৃত। ফলে সূর্যের আল্টা-ভায়োলেট রশ্মির প্রভাবে সেখানে সান-বার্ণ সম্ভব না হওয়ায় চুলের বর্ণ গাঢ় হওয়ার পরিবর্তে ফ্যাকাশে হয়। কাল বর্ণের চুল সাদাটে হয় এবং সোনালী বর্ণের চুল হলুদাভ হয়।

আমরা জানি সূর্যালোক থেকে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন-ডি এর যোগান পায়। তবে এটাও সত্যি বেশী সময় সূর্যালোকে থাকিলে মাথার চুলের রঙ বিনষ্ট হওয়াসহ শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।

28/06/2023

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যেকোন নতুন আবির্ভাবে সর্বদা যুগপৎভাবে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক থাকে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেল....

This is going to be an excellent start for beginner content writers
25/06/2023

This is going to be an excellent start for beginner content writers

Alison offers free online content marketing courses. Grow your business today through effective and persuasive communication with your customers.

11/06/2023

ফেসবুক ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে নায়ক-নায়িকাগণ’র সশরীরে বিরাজমান থাকার সুযোগ নেই। বিভিন্ন কর্মকান্ড যেমন পোস্ট, শেয়া...

04/06/2023

ই-বুক পাঠকের জ্ঞানের তৃষ্ণা মিটাতে যতটা পারদর্শী, মনের তৃষ্ণা মিটাতে তেমনটি নয়। গ্রাহকের হ্রদয় স্পর্শ করতে পেপার...

28/05/2023

ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থা গ্রাহক-কেন্দ্রীক; কেবলমাত্র আকর্ষণীয় ওয়েবপেজ চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবসা টিকিয়ে র....

08/05/2023

“পরিবর্তনশীলতা মানব-জীবনের চরম সত্য; অথচ অনেকেই তা অস্বীকার করি”

মানব জীবন পরিবর্তনশীল; প্রাকৃতিক নিয়ম এবং মানুষের দ্বারা কৃত্রিমভাবেও পরিবর্তন হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিক নিয়মে আমাদের বয়স বাড়ে, মন-মানসিকতায় পরিবর্তন আসে। তাছাড়াও প্রতিনিয়ত আমাদের অবস্থান পরিবর্তিত হচ্ছে, চাকরী, প্রযুক্তি, আইডিয়ার ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। জীবনে পরিবর্তন যেমন সত্য, তেমনি সত্য আমরা অনেকে পরিবর্তন মেনে নিতে মোটেও ইচ্ছুক নই। জীবনের অনিবার্য্য পরিবর্তন যারা স্বাগত জানাতে পারে তাদের জীবনে সফলতা আসে, পক্ষান্তরে অবজ্ঞা/অস্বীকার করলে জীবনে পিছিয়ে পড়ার আশংকা থাকে, জীবন ধারণ দূর্বিসহ হয়ে উঠতে পারে।
মানুষ কেন পরিবর্তনকে অস্বীকার করে, ভয় পায়??
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক অন-লাইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান Hack Spirit এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফ্রি-ল্যান্সার রাইটার Roselle Umlas এর “People who fear change often share these 10 rigid traits” প্রবন্ধে পরিবর্তনশীলতায় ভীত মানুষের কতিপয় পরিচিত বৈশিষ্ট্যাবলী অর্থাৎ পরিবর্তনশীলতাকে স্বাগত জানাতে ব্যর্থতার নেপথ্যের কারণ বর্ণনা করেছেন। এ ধরণের ব্যক্তিবর্গ পরিবর্তনকে জীবন চলার পথে দূরহ চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে থাকে।
Roselle Umlas তার প্রবন্ধে যেকোন ধরণের পরিবর্তনকে ভয়ের পিছনে নিম্নোক্ত ১০ টি কারণ চিহ্নিত করেছেনঃ

1) Perfectionism- আশংকা করা হয় পরিবর্তনের ফলে নতুন ইস্যু, নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিবে। ফলে কার্যক্রম পরিকল্পনা মাফিক এবং নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।

2) Fear of failure- পরিবর্তনের মাধ্যমে কমফোর্ট জোনের বাহিরে গিয়ে নতুন পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সফলতা না আসা অর্থাৎ ব্যর্থতার আশংকা থেকে অনেকেই পরিবর্তনে অনাগ্রহী হয়ে থাকেন।

3) Fear of judgment- চারিপাশের মানুষজন পরিবর্তনকে কিভাবে মূল্যায়ণ করে অর্থাৎ যদি ভালোভাবে না নেয়? এ ধরণের আশংকাও নেতিবাচকভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

4) Low self-esteem- যাদের মধ্যে উচ্চাশার অভাব রয়েছে, পরিবর্তন মোকাবেলার তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয়।


5) Stubbornness- অনেক মানুষের মধ্যে নিজের অবস্থানে অনড় থাকার বিষয়ে এক ধরণের জেদ কাজ করে। এ ধরণের জেদী মানসিকতার মানুষ পরিবর্তনে অনীহা প্রকাশ করে থাকে।

6) Overdependence on routine- অনেক মানুষ জীবনটাকে গাণিতিক নিয়মে পরিচালিত করতে অভ্যস্ত। রুটিনের বাহিরে একচুল নড়াতেও তাদের অনীহা। এ মানসিকতা মানুষকে পরিবর্তনকে কোন মতেই মেনে নিতে উৎসাহিত করে না।

7) Inability to let go-পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে আমাদেরকে পরিচিত জীবন যাত্রা বিসর্জন দিয়ে নতুনকে আলিংগন করতে হয়। কিন্তু অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের পক্ষে পরিচিত কোন কিছু পরিত্যাগ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। ফলে তাদের পক্ষে পরিবর্তন হওয়া সম্ভব হয় না।

8) Need for control- মানুষ সবসময় চায় পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে থাকুক। তাই তো পরিচিত পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। যখন কোন পরিবর্তন আসে তখন নিয়ন্ত্রণ বজার রাখতে না পারা কিংবা নিয়ন্ত্রণহীনতার আশংকা দেখা দেয়। নিয়ন্ত্রণের অভাববোধ থেকে মানুষ পরিবর্তনের বিরোধী হয়ে পড়ে।

9) Procrastination- কোন কাজে গড়িমসি কিংবা দীর্ঘসূত্রিতার স্বভাব রয়েছে এমন লোকজন পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে আগ্রহী হয় না। গড়িমসি কিংবা দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে তারা সময়মত পরিবর্তনে অনীহা প্রদান করে থাকে।

10) Catastrophic thinking- কিছু মানুষ আছেন যারা যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে এর ভয়ংকরতম ধ্বংসাত্মক প্রভাব নিয়ে বেশী চিন্তা করে থাকেন। যে কোন পরিবর্তনের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাবটিই তাদের ভাবনায় বেশী কাজ করে। ফলে তারা পরিবর্তনকে এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন।

এটা মনে করার কোন কারণ নেই, সকল পরিবর্তন সর্বদাই ইতিবাচক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে । তবে ইনোভেটিভ এবং বুদ্ধিমানেরা সকল পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে তা থেকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে লাভবান হওয়ার উপায় খুঁজে বের করে নেয়।

15/03/2023

Notes of Appreciation টিম স্পিরিট বৃদ্ধির মহৌষধ

অপ্রত্যাশিত হলেও সত্য যে, কর্মক্ষেত্রে কর্মীর ছোট খাটো ভুলত্রুটিও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি এড়ায় না; অথচ তাদের ভালো কাজের কৃতিত্ব বা স্বীকৃতি দিতে যত গড়িমসি! ত্রুটি/বিচ্যুতি কিংবা দায়িত্ব পালনে অবহেলা/শৈথিল্যের কারণে কর্মীদের পরোক্ষ এমনকি প্রত্যক্ষভাবেও তিরস্কার/ কর্মচ্যুতির ভয়ভীতি দেখাতে মোটেও দ্বিধা করা হয় না। অথচ এ ধরণের পদক্ষেপ অনেক সময় কর্মীদের কাজের দক্ষতা এবং কর্মস্পৃহার উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে, যা সামগ্রিকভাবে টিমের কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। পক্ষান্তরে কর্মের প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতি কর্মীর মনোবল বহুগুণে বৃদ্ধি করে থাকে, যা সামগ্রিকভাবে কোম্পানীর কর্মকান্ডে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

লীডারশীপ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী Disruption Advisors এর প্রেসিডেন্ট Amy Humble এবং সিইও Whitney Johnson যৌথভাবে লিখিত “Notes of Appreciation Can Boost Individual and Team Morale” শিরোনামে Harvard Business Review ম্যাগাজিনে ২১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে প্রকাশিত প্রবন্ধটিতে উল্লেখ করা হয়েছে সাধারণভাবে কোন বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য নেতিবাচক মন্তব্যের চেয়ে ৩০গুণ বেশী শক্তিশালী হয়। মানুষ ফীড-ব্যাক পেতে আগ্রহী নয়, তাদের কর্মকান্ডের প্রতি অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণে অধিকতর আগ্রহী। সক্ষমতার উপর ফোকাস নিবদ্ধ হলে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়, ফলে সামগ্রিকভাবে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
কর্মীদের সম্পর্কে প্রশংসাসূচক নোটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করা সম্ভব হয়ঃ

(ক) কর্মীদের শক্তি সম্পর্কে তাদের ধারণা উন্নত করা সম্ভব- সাধারনভাবে মানুষের পক্ষে নিজের ক্ষমতা/সামর্থ্য সম্পর্কে যথাযথ ধারণা লাভ করা সম্ভব হয় না । ফলশ্রুতিতে নিজের সামর্থ্য সম্পর্কে অবমূল্যায়ণ হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। এক্ষেত্রে Notes of Appreciation মিরর হিসেবে কর্মীকে তার মধ্যে বিদ্যমান সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা প্রদান তথা তা ব্যবহারে উজ্জীবিত করতে পারে।

(খ) Notes of Appreciation এর মাধ্যমে কর্মীর সফলতা সংশ্লিষ্ট দক্ষতার প্রতি ফোকাস নিবদ্ধ করে উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব- নিউরো সায়েন্সের থিউরী মতে মানুষের ব্যর্থতাকে ফোকাস করা হলে মানুষের চিন্তা-চেতনায় ব্যর্থতা প্রভাব বিস্তার করে। পক্ষান্তরে “সফলতাকে” ফোকাস করা হলে অধিকতর সফলতা অর্জনের স্পৃহা জাগ্রত হয়।

(গ) Notes of Appreciation দ্বারা কর্মীদের গুরুত্বের বিষয়টি এক ধরণের স্বীকৃতি লাভ করে- যখন কারো সম্পর্কে লিখা হয় তখন সে বিশেষ কর্মীর প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নিপতিত হয়। যার মাধ্যমে টিমে কর্মীটির উপস্থিতিকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

কোন টিমের কর্মকান্ডে গতিশীলতা আনয়ণের লক্ষ্যে একই সাথে টিম এবং টিমের প্রতিটি সদস্যের উপর নজর দেয়া আবশ্যক। আধুনিক কর্মী ব্যবস্থাপনায় টিমের সদস্যদের মোটিভেট করার জন্য Notes of Appreciation সহজতর এবং অত্যন্ত কার্যকর কৌশল হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছে।

28/02/2023

চাকরীর জন্য পরীক্ষায় ভাল ফলাফল নয় “soft skills” থাকা জরুরী

নতুন চাকরী প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর হল, চাকরীর জন্য ভালো ফলাফলের পিছনে জীবন-মরণ যুদ্ধের দিন শেষ হয়ে আসছে এবং “soft skills” এর কদর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্বের নামীদামি কোম্পানিসমূহ কর্মী নির্বাচনের যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে ভালো ফলাফল, GPA, গ্রেড ইত্যাদিকেই প্রাধান্য দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে চাকরী প্রত্যাশীরা কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কেবলমাত্র চাকরীর যোগ্যতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করলেও কর্ম ক্ষেত্রে প্রায়োগিক “soft skills” যেমন problem-solving skills, communication skills, critical-thinking skills ইত্যাদি উপেক্ষা করেছে। অধিকন্তু সাধারণভাবেই ভালো ফলাফলধারীর সংখ্যা সীমিত থাকায় চাকরীদাতাদের চাহিদা পূরণ হয় না; অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানী উচ্চতর একাডেমিক ফলাফল সম্বৃদ্ধ জনবল সংকটে ভুগে। আমেরিকার NewsNation পত্রিকার জার্নালিস্ট Dray Clark তার “Why ‘soft skills’ are essential for new graduates” প্রবন্ধে “soft skills” এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি কোম্পানিসমূহ অনুধাবন করতে শুরু করেছে মর্মে উল্লেখ করেছেন। প্রবন্ধটিতে National Association of Colleges and Employers (NACE) এর এক জরীপের ভিত্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি কর্মী-নিয়োগের ক্ষেত্রে “soft skills” রয়েছে তেমন ছাত্রদের প্রাধান্য দিচ্ছে। বিশ্বখ্যাত ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি Deloitte সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ২০৩০ সাল নাগাদ আমেরিকার ২ মিলিয়ন ম্যানুফেকচারিং কর্মী সংকটের আশংকা রয়েছে। এ সংকট মোকাবেলায় কোম্পানিসমূহ কর্মী নিয়োগের প্রচলিত ফোকাস ভালো একাডেমিক ফলাফল পরিহার করে “soft skills” মুখী হয়েছে।

আমেরিকার বিখ্যাত Technology & Service প্রোভাইডার CENGAGE GROUP কর্তৃক পরিচালিত Demand for “Uniquely Human Skills” Increases Even as Technology and Automation Replace Some Jobs জরীপের ফলাফল থেকে জানা যায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যুনতম ৬৫% কোম্পানি চাহিদার শীর্ষে রয়েছে “soft skills”, ক্যাটাগরিভিত্তিক চাহিদা ছিল নিম্নরুপঃ
• Listening skills (74 percent)
• Attention to detail and attentiveness (70 percent)
• Effective Communication (69 percent)
• Critical thinking (67 percent)
• Interpersonal skills (65 percent)
• Active learning/Learning new skills (65 percent)

আমেরিকার Gratuate College at the University of Cincinnati ভবিষ্যত চাকরী প্রত্যাশীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ১০টি চিহ্নিত করেছে, যা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ


1. Dependability/Reliability
2. Motivation/ Initiative
3. Communication
4. Commitment
5. Creativity
6. Problem Solving
7. Flexibility
8. Teamwork
9. Leadership
10.Time Management

অতএব ভবিষ্যত চাকরী প্রত্যাশীদের কেবলমাত্র ভালো একাডেমিক ফলাফল কিংবা উচ্চতর GPA অর্জনের জন্য সময় ব্যয় না করে কর্মক্ষেত্রে প্রায়োগিক“soft skills” অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে।

02/02/2023

বিশ্বের টেক-জায়ান্ট কোম্পানিসমূহে গণহারে কর্মী ছাঁটাই- কেন?

বর্তমান যুগে ডিজিটাইজেশন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেঃ ইনোভেশনের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ভিত্তিক কোম্পানিসমূহে বর্ধিত হারে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক করোনা মহামারিকালে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রায় সকল খাতে স্থবিরতা বিরাজমান থাকলেও ডিজিটাল খাত অকল্পনীয় ভাবেই উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। দূর্যোগ কিংবা মহামারিকালেও ডিজিটাল প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবসায় কোন ধরণের ছন্দপতন না ঘটার বিষয়টি বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানীসমূহ এবং একইসাথে ইনোভেটিভ যুবকদেরকে এ খাতে অধিকহারে সম্পৃক্তকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের এ “হানিমুন পিরিয়ড” বেশী দিন স্থায়ী হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বখ্যাত টেক-কোম্পানীসমূহ প্রায় গণহারে কর্মচারী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে এ খাতে অশনি সংকেত দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান অপ্রত্যাশিত এবং আত্মঘাতি এ পদক্ষেপের নেপথ্য কারণ নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মার্কেটিং এবং প্রযুক্তি বিশারদ Bernard Marr এ বিষয়টির উপর পর্যালোচনা করেছেন। তার পর্যালোচনাটি বিশ্বখ্যাত মার্কিন বিজনেস FORBES ম্যাগাজিন গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে “The Real Reasons For Big Tech Layoffs At Google, Microsoft, Meta, And Amazon” শিরোনামে Editor’s Pick হিসেবে প্রকাশ করে। কেবলমাত্র Meta, Alphabet, Amazon এবং Microsoft এ চারটি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে প্রায় ৫০,০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। অপরদিকে ইলন মাস্কের “Twitter” থেকেও বড় আকারের কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে নতুনরা নয় বরং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পুরাতন কর্মীরা লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে; যাদের গড় চাকরীকাল প্রায় ১১.৫ বছর, স্বভাবতই তারা তূলনামূলকভাবে উচ্চতর বেতনভোগী, যারা কোম্পানীসমূহের তথাকথিত ব্যয় সাশ্রয়ী নীতিমালার শিকার। আরো দুঃখজনক হল ছাঁটাইকৃত কর্মীদের ৫৬% নারী, যা টেক-কোম্পানীসমূহের লিংগ-বৈষম্য হ্রাসের প্রতিশ্রুত কৌশলের পরিপন্থি। ছাঁটাইকৃত কর্মীদের ২৮% HR কর্মচারী, এ যেন নিজেদের তৈরি মৃত্যুকূপে নিজেদের ঝাঁপ দেয়া। অধিকহারে HR কর্মচারী ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ভবিষ্যতে নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম হ্রাস পাওয়া এবং কর্মী ব্যবস্থাপনা Automation করার উদ্যোগ।
Bernard Marr এ বিষয়টি বিবেচনায় দু’টি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন,
- টেক-কোম্পানীগুলি কি প্রয়োজনের তুলনায় বেশী সম্প্রসারিত হয়েছে? তাদের প্রবৃদ্ধি কি অতি দ্রুতুতর ছিল? অথবা
- ইনোভেশন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, অটোমেশন কি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যার ফলশ্রুতিতে আর্থিক সাশ্রয়ের জন্য মেশিন দ্বারা জনবল প্রতিস্থাপন অপরিহার্য্য হয়ে পড়েছে? তিনি বিপুল কর্মী ছাঁটাইয়ের নেপথ্যে উভয় কারণের সম্মিলিত প্রভাবকে দায়ী করেছেন।

অপরদিকে, The Verge ম্যাগাজিনে গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে Elizabeth Lopatto এর “Why are so many tech companies laying people off right now?” প্রবন্ধ থেকে উদ্বেগজনক তথ্য পাওয়া যায়; ছাঁটাইকৃত কর্মীরা জায়ান্ট টেক-কোম্পানীসমূহের আত্মঘাতি প্রতিযোগিতার শিকার। টেক-কোম্পানিসমূহের আর্থিক সক্ষমতার মানদন্ড হিসেবে “Revenue per employee”বিবেচনা করা হয়। Microsoft এর মত বৃহৎ কোম্পানিসমূহ প্রতি কর্মীর বিপরীতে ন্যুনতম ৩,০০,০০০-৫,০০,০০০ মার্কিন ডলার আয়ের প্রত্যাশা করে। করোনা পরবর্তীতে টেক-কোম্পানিসমূহের আয়ে কিছুটা নিম্নমুখিতা বিরাজমান থাকায় কর্মী ছাঁটাই করে আর্থিক সক্ষমতা উন্নয়নের অনাকাংখিত কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির লাভ অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব হলেও কর্মীদের প্রতি ন্যুনতম মানবিকতাও দেখানো হচ্ছে না।

11/12/2022

পোস্ট-কোভিড ই-কমার্স ব্যবসায় সফলতার জন্য করণীয়:

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মানুষের জীবনযাত্রার বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন উৎপাদন, উন্নয়ন, ব্যবসা, চাকরী ইত্যাদির উপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সত্যি, তবে আশ্চর্য্যজনকভাবেই তা ই-কমার্সের জন্য আশির্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে; কোভিড-১৯ এর হাত ধরে ই-কমার্স বিশেষত ই-কমার্স এসএমই এর ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ই-কমার্স প্রসারের সাথে সাথে কোভিড-১৯ গ্রাহকদের প্রত্যাশা এবং চাহিদার ক্ষেত্রে বড় ধরণের পরিবর্তন এনেছে, যা সম্ভাবনার সাথে সাথে বড় ধরণের চ্যালেঞ্জের জন্ম দিয়েছে। পোস্ট-কোভিড ই-কমার্স নিয়ে বিশ্বখ্যাত ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানী McKinsey একটি গবেষণা পরিচালনা করে এবং ফলাফল “E-commerce: At the center of profitable growth in consumer goods” শিরোনামের প্রবন্ধে প্রকাশিত হয়।

গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় কোভিড ই-কমার্সের নিম্নোক্ত তিনটি বিষয়কে উদ্ভূত/প্রভাবিত করেছে, ফলশ্রুতিতে গ্রাহকদের আকর্ষণ করা জটিলতর হয়েছেঃ

(১) New ways to reach consumers will continue to emerge-দ্রুততম সময়ে গ্রাহক হোম ডেলিভারি পেতে আগ্রহী- ১৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা;
(২) Competition for marketing and trade dollars will heatup- ই-কমার্সের প্রমোশনাল বাজেটের একটি বড় অংশ কমার্স মিডিয়াগুলিতে ব্যয় হচ্ছে, যা ক্রমাগতভাবে উচ্চতর হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে; প্রাক্কলন অনুযায়ি ২০২৪ সালে তা ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও অধিক হবে।
(৩) Personalization and precision targeting will become top priorities-প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য গ্রাহক-সম্পর্কিত বিপুল পরিমাণে ডাটা সংগ্রহ করতে হবে, যা পাইকারী বিক্রেতাদের জন্য সহজসাধ্য হলেও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য বেশ ব্যায়-সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য।

McKinsey কোম্পানী কোভিড-পরবর্তীতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করে ই-কমার্সে সফলতা লাভের জন্য কতিপয় কৌশল সুপারিশ করেছে, যা নিম্নরুপঃ

1. Be wherever consumers shop—in a targeted and strategic way

2. Invest in data and analytics to enable flexible, full-funnel marketing

3. Maintain a laser focus on continuous improvement

4. Invest in digital talent ahead of the curve

5. Rethink the end-to-end supply chain to support omni-channel growth

04/08/2022

ই-কমার্সঃ ফিশিং (Phishing) আক্রমণ

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের মতে আইডেন্টিটি চুরি সংক্রান্ত প্রতারণার মধ্যে ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট সংক্রান্ত প্রতারণা শীর্ষে রয়েছে, ২০২০ সালে যার সংখ্যা ছিল ৩,৯৩,২০৭টি। The 2019 American Express Digital Payments Survey এর তথ্যমতে ৭৭% কোম্পানী এবং ৫৩% গ্রাহক কোন না কোনভাবে ক্রেডিট কার্ড প্রতারণার শিকার হয়েছে। হ্যাকাররা সাধারণত একাউন্ট হ্যাকিং করে কিংবা বিক্রেতাদের নিকট থেকে একাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যাদি ক্রয়ের মাধ্যমে গ্রাহকের একাউন্টে প্রবেশ করে এ ধরণের অপকর্ম সংগঠিত করে। হ্যাকাররা সাধারণত ব্যক্তিগত আইডেন্টিটি বিষয়ক তথ্যাদি, আর্থিক লেন-দেন সংক্রান্ত তথ্যাদি, পাসওয়ার্ড ও সিকিউরিটি কোড, একাউন্ট টেক-ওভার ইত্যাদি চুরি করে। এ ধরণের জালিয়াতি ক্রেডিট কার্ডের মালিকদের সরাসরিভাবে আর্থিক ক্ষতি সাধন করে। তাছাড়াও কোন গ্রাহক বিক্রেতার নিকট রিফান্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে বিক্রেতাদের আর্থিক ক্ষতির কারণও হতে পারে। সর্বোপরি, যে ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয়ের ফলে গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ডের আইডেন্টিটি চুরি হয়, সে ব্র্যান্ডের ইমেজ/সুনাম দারুনভাবে ক্ষুন্ন হয়। গ্রাহকদের মাঝে ধারণা সৃষ্টি হয় সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট গ্রাহকের ব্যক্তিগত এবং আর্থিক তথ্যাদির যথাযথ নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ।

ফিশিং এক ধরণের সাইবার আক্রমণ যেখানে ছদ্মবেশী হাতিয়ার হিসেবে সাধারণত ই-মেইলকে ব্যবহার করা হয়। আক্রমণকারী সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে ই-মেইল প্রাপককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ই-মেইলকে আস্থায় নিতে বাধ্য করে। প্রাপক বিশ্বাস করে ই-মেইলের মাধ্যমে চাহিত তথ্যাদির যথাযথ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিংবা কোন বিষয়ের সংশোধনী/হালনাগাদ করার জন্য ই-মেইলের সাথে প্রেরিত লিংক ক্লিক করা বা প্রেরিত ডকুমেন্ট ডাউনলোড করা প্রয়োজন।

প্রাপক ই-মেইলের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে ফিশিং ই-মেইল আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ডাটা সিকিউরিটি কোম্পানি SecurityMetrics ফিশিং ই-মেইল সনাক্তকরণের নিমিত্ত ৭টি টিপস সুপারিশ করেছেন, যা নিম্নরুপঃ
১। বৈধ কোন কোম্পানী ই-মেইল মারফত গ্রাহকের কোন স্পর্শকাতর তথ্যাদি প্রদানের অনুরোধ করে না।
২। বৈধ কোন কোম্পানী ই-মেইলে সম্ভাষণের ক্ষেত্রে গ্রাহকের নাম ব্যবহার করে; যেমন প্রিয় মিঃ জন। কখনো “প্রিয় একাউন্ট হোল্ডার”, “প্রিয় ভ্যালুড মেম্বার” কিংবা “প্রিয় কাস্টমার” ইত্যাদি ব্যবহার করে না।
৩। বৈধ কোম্পানীর ডোমেইন ই-মেইল থাকে। উদাহরণস্বরুপ বৈধ কোম্পানীর ই-মেইল এড্রেস হয় [email protected] ; কখনো [email protected] হয় না।
৪। বৈধ কোম্পানীর ই-মেইলে পেশাদারিত্বের ছাপ থাকে। ব্যাকরণগত ভুল কিংবা বানান ভূল থাকে না। ফিশিং ই-মেইলসমূহ ব্যকরণগতভাবে দূর্বল হয়; ভুল বানানের ছড়াছড়ি থাকে।
৫। বৈধ কোম্পানী গ্রাহককে কখনো ওয়েবসাইট ক্লিক করার জন্য বাধ্য করে না।
৬। বৈধ কোম্পানী অপ্রত্যাশিতভাবে ই-মেইলের মাধ্যমে সংলগ্নি হিসেবে গ্রাহকের নিকট কোন ডকুমেন্টস প্রেরণ করে না।
৭। বৈধ কোম্পানীর প্রেরিত লিঙ্ক অবশ্যই তাদের কোম্পানীর বৈধ ওয়েবসাইট এড্রেসের URLs সাথে ম্যাচ করে। ক্লিক করার পূর্বে প্রেরিত লিঙ্কটি সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে যাচাই করা যেতে পারে।

26/07/2022

ই-কমার্সঃ নকল/ভেজাল/জাল পণ্য সরবরাহ

ই-কমার্স গ্রাহকের একটা বড় চ্যালেঞ্জ হল আসল পণ্যের পরিবর্তে নকল/ভেজাল কিংবা জাল পণ্যের ডেলিভারী প্রাপ্তি। এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Memphis বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন গবেষক John A. Narcum এবং Joshua T. Coleman তাদের “YOU CAN’T FOOL ME! OR CAN YOU? ASSIMILATION AND CONTRAST EFFECTS ON CONSUMERS’ EVALUATIONS OF PRODUCT AUTHENTICITY IN THE ONLINE ENVIRONMENT” প্রবন্ধে বিষয়টি আলোকপাত করেছেন। অনেক সময় অন-লাইন গ্রাহকেরা কোন ব্র্যান্ডের আসল পণ্য ক্রয়ের জন্য অর্ডার করে দাবীকৃত মূল্য পরিশোধ করার পরও নকল/ভেজাল কিংবা জাল পণ্য ডেলিভারী পান। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রতারণামূলকভাবে প্রেরিত জাল পণ্যটি অত্যন্ত কম মুল্যমানের, গুণগত মান নিম্নতর এবং ব্যবহারিক ভ্যালুও অত্যন্ত কম হয়ে থাকে।

গ্রাহকদের পক্ষে অন-লাইন স্টোর থেকে ক্রয়কৃত পণ্যের অথেনটিসিটি কিংবা জেনুইনিটি (সত্যতা/খাটিত্ব) নির্ধারণ করা খুবই কঠিন কাজ। প্রবন্ধটিতে ভেজাল পণ্য সনাক্তকরণের নিমিত্ত গ্রাহকদের জন্য সতর্কতামূলক কয়েকটি চিহ্ন বা “রেড-ফ্ল্যাগ” উল্লেখ করা হয়েছে।

১ম “রেড-ফ্ল্যাগ”- যখন বাজারে বিদ্যমান নির্দিষ্ট কোন পণ্যের মূল্যের তুলনায় অন-লাইনে অবিশ্বাস্য রকম কম মূল্য অফার করা হয় তখন বুঝতে হবে পণ্যটি নকল/ভেজাল, ঐ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বাস করা মোটেও সমীচীন হবে না।

২য় “রেড ফ্ল্যাগ”- এক্ষেত্রে হিসেবে বিক্রেতার দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে; পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহে ভেজাল/নকল পণ্য বেশী উৎপাদিত হয় বিধায় ঐ সকল দেশ থেকে পণ্য ক্রয়ে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বলা হয়।

৩য় “রেড-ফ্ল্যাগ”- অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা ইমেজ/ছবির মাধ্যমে গ্রাহককে প্রতারণা করা সংক্রান্ত। অন-লাইন গ্রাহকদের কেনাকাটার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে বিদ্যমান পণ্যের বর্ণনা এবং ছবি/ইমেজের উপর বহুলাংশে নির্ভর করতে হয়। ভেজাল/নকল পণ্য বিক্রি করিলেও ই-কমার্স ওয়েবসাইটসমূহে আসল পুণ্যের ছবি ব্যবহার করা হয়।

চতুর্থ এবং শেষ “রেড ফ্ল্যাগ”- সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের গ্রাহক ফীড-ব্যাক যাচাই করার বিষয়ে বলা হয়েছে। নেতিবাচক গ্রাহক ফিড-ব্যাক সম্বলিত প্রতিষ্ঠান এড়িয়ে চলার মাধ্যমেও ভেজাল/নকল পণ্য ক্রয় সংক্রান্ত প্রতারণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।

18/07/2022

ই-কমার্স: রক্ষক যেখানে ভক্ষক

এটা সর্বজন স্বীকৃত যে ই-কমার্স বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যাদুকরী পরিবর্তন সূচিত করেছে। Statista এর তথ্যমতে বিশ্বের রিটেইল ই-কমার্সের বিক্রির পরিমাণ ২০১৪ সালে ছিল ১.৩৩৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২১ সালে ৪.৯৩৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, ২০২৫ সালে তা ৭.৩৯১ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে মর্মে আশা করা হচ্ছে। ২০২২-২০২৫ পর্যন্ত প্রাক্কলিত বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১১.৫৮%।

MARKETINGBLOG এর তথ্যমতে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ২৬ মিলিয়ন ই-কমার্স সাইট রয়েছে। ২০২১ সালে অন-লাইন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল মোট ২.১৪ বিলিয়ন, যা, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭.৬%।

ই-কমার্সের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা মোটেও নিষ্কলুষ ছিল না। আশার আলোর বিপরীতে ছিল অন্ধকারের অমানিশা।

ই-কমার্সের বিস্তৃতির সাথে পাল্লা দিয়ে ই-প্রতারণা/চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।

Merchant Savvy, 2020 প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ২০১১ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রতারণা/চুরির পরিমাণ তিনগুণেরও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে; ৯.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩২.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে এ প্রতারণা/চুরির পরিমাণ ২০২০ সালের তুলনায় ২৫% বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫ সালে ৪০.৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে।

অপ্রত্যাশিত হলেও ই-কমার্সের ক্ষেত্রে “বাতির নীচে অন্ধকার” কিংবা “রক্ষকই ভক্ষক” এর মত নেতিবাচক প্রবাদসমূহ সত্যতায় পরিণত হয়েছে।

PwC report এর ২০২০ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বিশ্বব্যাপী
ই-কমার্স প্রতারণা/চুরির ৫৭% অর্থাৎ অর্ধেকের বেশী ঘটনার সাথে কোম্পানীর স্টাফদের সম্পৃক্ততা ছিলঃ হয় নিজেরা সংঘটিত করেছেন; অথবা বাহিরের কারো সহায়তায় তা করেছেন।

California Restaurant Association এর তথ্যমতে ৯৫% ই-কমার্স কোম্পানী স্টাফ-সংশ্লিষ্ট প্রতারণা/চুরির শিকার হয়েছে।

ক্ষুদ্র ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য স্টাফ সংশ্লিষ্ট চুরির ঘটনা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। Complete Controller এর তথ্যমতে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের ৬৪% স্টাফের চুরির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে।

CUTimes এর তথ্যমতে ই-কমার্স চুরির ৭৯% ঘটনার সাথে একাধিক স্টাফ জড়িত ছিল।

Static Brain এর তথ্যমতে ৭৫% স্টাফ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে একবার চুরি করেছেন।

06/07/2022

Influencer Marketing: Don’t underestimate fans and followers

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম কার্যকর একটি কৌশল “Influencer marketing”; কোন সেলিব্রেটির জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে পণ্য/সেবার প্রমোশনাল কার্যক্রম গ্রহণ।
একজন সেলিব্রেটি তিনি বিখ্যাত গায়ক, নায়ক কিংবা খেলোয়ার যাই হোন তার জনপ্রিয়তার ভিত্তিমূল fans and followers বা ভক্তকূল। নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সফলতা অর্জনের কারণে সেলিব্রেটিদের ভক্তকূল তৈরি হয়, যারা সেলিব্রেটিদের ভালবাসেন, পছন্দ করেন। ভক্তকূল সেলিব্রেটিদের অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে থাকেন, সামর্থ অনুযায়ী সেলিব্রেটিদের অনুসরণে পণ্য/সেবা ক্রয় করেন; যা “Influencer marketing” এর মূল মোটিভেশন।
ভক্তরা নিজেদের জন্য সরাসরি কিছু প্রত্যাশা না করিলেও সেলিব্রেটিদেরকে ভক্তকূল ধরে রাখার জন্য সতর্ক থাকতে হয়; কেননা এ আকর্ষণ অন্ধ নয়, “হেমিলনের বাঁশিওয়ালার মত সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়ার মত” শক্তিশালী নয়।

বিশ্বনন্দিত ফুটবলার “মেসি” যদি কোন প্রমোশনালে ফুটবল খেলা শেষে “বিশেষ কোন সাবান” দিয়ে গোসল করেন তবে তার অনেক ভক্ত সে সাবান ব্যাবহারে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সেই “মেসি” যদি মিস্ত্রি সেজে রংগিন টিনের গুণগান করেন, সে ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে আম-ছালা উভয়ই হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে। ভক্তকূলের প্রত্যাশার বিপরীতে গিয়ে কোন সেলিব্রেটি ইনফ্লুয়েন্সার হলে তা অত্যন্ত নেতিবাচক হয়, তার একটা নমুনা………

“You’re Not য়উ, When You’re Hungry” শিরোনামে Snickers’ চকলেট এর একটি মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে বিখ্যাত ইংলিশ মডেল কেটি প্রাইস এবং জনপ্রিয় ইংলিশ ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার ইয়ান বোথাম কে যুক্ত করা হলে তারা সিদ্ধান্ত নেন যে ব্র্যান্ডের প্রচারণায় ক্ষেত্রে শ্লোগানটিকে আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করা হবে।

ইতিপূর্বে মডেল “কেটি প্রাইস” এর প্রায় সকল টুইট ছিল রাজনৈতিক ভাবধারার ফ্যাশন নির্ভর। Snickers’ এর জন্য তিনি শুরু করেন রাজনীতি এবং অর্থনীতি নির্ভর টুইট। তেমনি ইয়ান বোথাম, যিনি সবসময় ক্রিকেট বিষয়ক টুইট করে থাকেন তিনিও অর্থনৈতিক ভাবধারার টুইট শুরু করেন। তাদের ব্যতিক্রমধর্মী বিষয়ের টুইটগুলি টুইটারে বেশ চমক সৃষ্টি করে। পরিচিত গন্ডির বাহিরে টুইটগুলি ভক্তদের মাঝে এমন ধারণা তৈরি করে হয়তোবা তাদের একাউন্ট হ্যাক হয়েছে। অনেক টুইট করার পর তারা অনুভব করতে শুরু করেছিলেন তাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে, সোস্যাল মিডিয়ায় সৃষ্ট ধোঁয়াশে ধারণার মধ্যে একসময় উভয়ে হাতে “You're Not you When You're Hungry.”ক্যাপশন সম্বলিত Snickers বার নিয়ে ছবি পোষ্ট করেন। তাদের শেষ টুইটটি তাদেরকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছিল।

অনেকের কাছে তাদের কর্মকান্ড অবৈধ হিসেবে গণ্য হয়; যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞাপনের মাননিয়ন্ত্রণ সংস্থা কর্তৃক এ প্রমোশনাল ক্যাম্পেইনের বিষয়ে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে প্রমোশনাল ক্যাম্পেইনটিকে আইনানূগভাবে বৈধ ঘোষণা করা হলেও ভক্তদের বিচারে তারা দোষী ছিলেন। ফলশ্রুতিতে প্রমোশনালটি Snickers কোম্পানির আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির পাশাপাশি সেলিব্রেটিদ্বয়ের ইমেজে নিদারুন নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল।

শিক্ষনীয় বিষয়ঃ ইনফ্লুয়েন্সার নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সেলিব্রেটির জনপ্রিয়তা নয় সোস্যাল মিডিয়া রেপুটেশন এবং সোস্যাল মিডিয়া প্রেপারেন্স যাচাই করা উচিত। কেননা “বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্ষোড়ে”।

27/06/2022

সোস্যাল মিডিয়ার ভাল, মন্দ এবং কুৎসিত রুপ
(Social Media: The Good, the bad and the Ugly)

বর্তমান ডিজিটাল যুগে সোস্যাল মিডিয়া মানব জীবনের অপরিহার্য্য অনুষংগ রুপে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা পছন্দ করি কিংবা না করি সোস্যাল মিডিয়ার প্রভাবমুক্ত থাকার কোন সুযোগ নেই। Dataportal এর জানুয়ারী/২০২২ মাসের তথ্যানুযায়ী বর্তমানে ৪.৬২ বিলিয়ন মানুষ সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৮.৪%। প্রতিদিন মানুষ গড়ে ২ ঘন্টা ২৭ মিনিট সোস্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায়। ব্যবহারকারীর সংখ্যার ভিত্তিতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে facebook, youtube এবং WhatsApp. হালের ক্রেজ TIKTOK রয়েছে ৬ষ্ট স্থানে। অপরদিকে Statista এর তথ্যানুযায়ী সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদেশের তালিকার শীর্ষে চীন, দ্বিতীয় স্থানে ভারত এবং ৯ম স্থানে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
সোস্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনে, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছে। এ পরিবর্তনের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সোস্যাল মিডিয়া কখনো ভাল, কখনো মন্দ আবার কখনোবা কুৎসিত রুপে আবির্ভূত হয়।

নিউজিল্যান্ডের Media analyst & STEM গবেষক Konstantina Slaveykova সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন রুপ নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি সোস্যাল মিডিয়ার ভাল, মন্দ এবং কুৎসিত প্রভাবসমূহ নিম্নরুপে বর্ণনা করেছেনঃ

(ক) তথ্যের অবাধ প্রবাহঃ

(১) ভাল দিকঃ Twitter নিরন্তর updating Reader’s Digest of the content। আমেরিকার বিখ্যাত মিডিয়া ম্যাগাজিন Forbes এর ভাষায় Twitter হল The Best Place for Breaking News। Facebook এবং Flipboard যেন ব্যবহারকারীর “pocket magazine”, যে কোন দরকারী তথ্যের যোগানদাতা। সোস্যাল মিডিয়া Citizen journalism and quality blogging/vlogging কে উৎসাহিত করার মাধ্যমে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

(২) মন্দ দিকঃ Stanford বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা পত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে, সোস্যাল মিডিয়ায় কোন ধরণের থার্ড-পার্টি ফিল্টারিং, সত্যতা-যাচাই কিংবা সম্পাদনা ব্যতিরেখে প্রচারের সুযোগ থাকায় সহজেই ভূয়া, মিথ্যা, অসত্য, অর্ধসত্য সংবাদ/তথ্যাদি প্রচার হচ্ছে। এ ধরণের ভূয়া সংবাদ বার বার দেখে লোকজন তা বিশ্বাস করছে, যা পরিণামে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে।

(৩) কুৎসিত রুপঃ কোন কন্টেন্ট প্রচারযোগ্য কিনা, এর নেতিবাচক প্রভাব কি তা বিচার ব্যতিরেখে সোস্যাল মিডিয়া তা প্রচার করে। কন্টেন্ট প্রচারকারী এ সুযোগে নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক, হিংসাত্মক, বিভেদ সৃষ্টিকারী কন্টেন্ট প্রচারের মাধ্যমে পারিবারিক শান্তি বিনষ্ট, সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি কিংবা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ক্ষতি সাধণ করতে পারে।
(খ) যোগাযোগ স্থাপন

(১) ভাল দিকঃ
বিশ্বের যেকোন প্রান্তে অবস্থান করে দিন-রাত যেকোন সময়ে পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধু-বান্ধব পরিচিতজনদের সাথে সহজে এবং প্রায় বিনা খরচে যোগাযোগ সম্ভব হয়। সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কর্মক্ষেত্রেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা সম্ভব হয়। কোভিড-১৯ মহামারীকালে বিশ্ব যখন লক-ডাউনে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল, তখনো সকল অফিসিয়াল যোগাযোগ অব্যাহত ছিল সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
(২) মন্দ দিকঃ
বিশ্বখ্যাত TIME ম্যাগাজিন social media কে “toxic mirror” হিসেবে অভিহিত করেছে, যা টিন-এজারদেরকে নিষিদ্ধ ইমেজ বিনিময়ে আসক্ত করেছে। সোস্যাল মিডিয়া সমাজের জন্য ক্ষতিকর যোগাযোগকে কেবল সহায়তা নয় বরং উৎসাহিত করছে।
(৩) কুৎসিত রুপঃ
বর্তমান যুগে Gossip এবং trolling এর মত সামাজিক ব্যধির বিস্তারে সোস্যাল মিডিয়ার অগ্রণী ভূমিকা দেখা যায়। সোস্যাল মিডিয়া এ ধরণের আচরণ তৈরি করে না, তবে এর ব্যাপক বিস্তারে ভূমিকা রাখে।

Filipino animation writer, Ronnie del Carmen বলেছেন সোস্যাল মিডিয়ার অপার সম্ভাবনাকে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য ব্যবহারকারীদের সতর্কতা প্রয়োজন। সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু করণীয় এবং কিছু বর্জনীয় রয়েছে তা অনুসরণ করা উচিত।

WHAT I SHOULD BE DOING ON SOCIAL MEDIA?

•Be polite and respect others
•Share posts that you find interesting
•Display your interests for others to see
•Post positive statuses
•Post your opinions in a polite way
•Make good comments on friends posts if you agree/disagree
•If you make statements, make sure that you have the information to back you up
•Share suitable photos of yourself
•Tag your friends if they are in suitable pictures
•Follow pages that interest you
•Reply to friends

WHAT I SHOULD NOT BE DOING ON SOCIAL MEDIA?

•Use bad language
•Spread rumours
•Disrespect others or write rude comments
•Reply to friends days later
•Like friends posts just to get a like in return
•Post private information or feelings
•Fight/argue with friends where everyone can see, keep it private
•Post pictures that make you look bad or that make your friends look bad
•Post information if you do not have the facts to back it up
•Watch your spelling and grammar
•Send spam to your friends

19/06/2022

সোস্যাল মিডিয়ায় “ভাইরাল” হওয়া (Going VIRAL on Social Media)

ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক বিষয়াদি মুখে মুখে ফেরি করা মানুষের সহজাত অভ্যাস। আমাদের মত অনুন্নত দেশসমূহে মানুষের এ সেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডকে “নিজের খেয়ে বনের মহিষ চড়ানো” বলে অবজ্ঞা করা হলেও উন্নত দেশসমূহে মানুষের এ সেবাকে বাণিজ্যিকভাবে মূল্যায়ণ করে “Word-of-mouth Marketing (WOM Marketing)” বলা হয়ে থাকে, কেননা তারা বিশ্বাস করে “There is no free lunch in the world”. বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে “Commerce” থেকে “e-Commerce” হওয়ার মতই “WOM Marketing” হয়েছে “e-WOM Marketing”; যা সোস্যাল মিডিয়ায় “Viral Marketing” হিসেবে সমধিক পরিচিতি লাভ করেছে।
“ভাইরাল” শব্দটি এসেছে “ভাইরাস” থেকে যা অতিদ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক কালের “করোনা” অভিজ্ঞতা থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায় “ভাইরাস” স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং মোটেও ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া প্রত্যাশিত নয়। তবে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট “ভাইরাল” করা অনেকের স্বপ্ন, যদিও কখনো কখনো তা দুঃস্বপ্নেও পরিণত হয়ে যায়।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত অগণিত পোস্ট আপ-লোড করা হলেও মাত্র গুটিকতক পোস্ট “ভাইরাল” হয়। পোস্ট ভাইরাল হওয়ার জন্য মানুষের কতিপয় “আবেগ” কাজ করে; যা ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক উভয়ই হতে পারে। Jason Hawkins, CEO, The Miami SEO Company তার “The Story of How Social Posts Go Viral” প্রবন্ধে সোস্যাল মিডিয়া পোস্ট ভাইরাল হওয়ায় নেপথ্যের কতিপয় মানবীয় “আবেগ” বা “অনুভূতি” উল্লেখ করেছেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিম্নরুপঃ
(১) বিস্ময়কর পোস্ট
(২) আনন্দদায়ক পোস্ট
(৩) লোভ-লালসা
(৪) ক্রোধ
(৫) হতাশা
আমরা সবাই মোটামুটি অবগত আছি যে, সোস্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক কন্টেন্ট বেশী বেশী “ভাইরাল” হয়। কিন্তু কেন?
Kent Campbell, CMO, Reputation X তার “ Why do people click on bad news? Negativity bias” প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন নেতিবাচক কোন কিছুর প্রতি মানুষের সহজাত আসক্তি রয়েছে। সোস্যাল মিডিয়ায় কোন নেতিবাচক পোস্ট ভিজিটরকে দারুনভাবে আকর্ষণ করে। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সোস্যাল মিডিয়ায় যদি দু’টো প্রবন্ধের শিরোনাম যথাক্রমে "The weather is beautiful today!" এবং “ A dark storm was headed your way” তবে তার বিশ্বাস দ্বিতীয় প্রবন্ধটির উপর অধিকতর ক্লিক পড়বে। নোবেল বিজয়ী Daniel Kahneman মানুষের এ প্রবণতাকে “Negativity bias” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। নেতিবাচক ঘটনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার মানসিক তাড়না থেকে মানুষের মধ্যে “Negativity bias” কাজ করে।

ফলে সোস্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক পোস্ট বেশী বেশী ভাইরাল হয়ে থাকে।

Address


Telephone

+8801720343861

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BanglaDigital posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BanglaDigital:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share