24/05/2020
গল্প
↘️
#ভালোবাসার_উল্টোপিঠে
Part➡️ 02
রিয়ান তো শুধু ওর মায়ের সাথেই কথা বলতো।রিয়ানের ওর অবধি পৌছানো সম্ভব ছিলো না।
ঝিনুক রিয়ানদের বাড়িতে পৌছার পর ওর সব খারাপ লাগা কোথায় যেন উবে গেলো। রিয়ানের পরিবার ওকে এতো আপন করে নিয়েছে যে ঝিনুক বুঝতেই পারছিলো না ও এই প্রথম এখানে এসেছে।ওদের সাথে ওর যেন কতো বছরের পরিচয়।
সব ফর্মালিটি শেষে ঝিনুককে রিয়ানের রুমে নিয়ে যাওয়া হলো।
রাত প্রায় ১২ টা। রিয়ান তখনও ঘরে আসেনি। ঝিনুক বসে বসে ভাবছিলো রিয়ান এই রাতটা নিয়ে কতো শত গল্প করতো।কতো প্লানিং ছিলো ওর। ঝিনুক চুপচাপ মুগ্ধ হয়ে সেসব গল্প শুনতো আর হাসতো।
অথচ সেই রাতটা আজ ওদের জীবনে এলেও রিয়ানের সেদিকে কোনো খেয়ালই নেই। আচ্ছা রিয়ান কি তাহলে এই এক বছরে বদলে গেছে? ভুলে গেছে সেসব গল্প?
ঝিনুকের এসব ভাবনার মাঝেই ঘরে ঢুকলো রিয়ান। ঝিনুকের দিকে একবারও ফিরে তাকায়নি ও। ঘরে ঢুকেই কাপড় নিয়ে চেঞ্জ করতে চলে গেলো।
রিয়ান ফিরে এসে দেখলো ঝিনুক সেখানেই বসে আছে।
" এখানে এভাবে বসে না থেকে চেঞ্জ করে এসো। আর হ্যা আর একটা কথা তোমার সাথে বিছানা শেয়ার করা আমার পক্ষে সম্ভব না।
" কি বলছো রিয়ান? কেন বলছো?
" কিছুই জানোনা? না জানলেও তোমাকে জানানোর দায় আমার নয়। শুধু এটাই জেনে রাখো তোমার সাথে বিয়েটা করেছি শুধুমাত্র আমাকে দেওয়া কষ্টগুলো তোমাকে ফেরত দেওয়ার জন্য। প্রথমে ভেবেছিলাম বিয়ে করবো না। পরে আবার ভাবলাম আমি যতোটা কষ্ট পেয়েছি সেগুলো তোমাকে বুঝানোর এটাই সুযোগ। আমি কষ্টে থাকবো আর তুমি অন্য কারও সাথে ভালো থাকবে তা তো হতে পারে না। তোমারও বোঝা উচিত কষ্ট কেমন হয় যখন ভালোবাসার মানুষ দূরে চলে যায়। চোখের সামনে নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে যখন অন্য কারও পাশে দেখতে হয়। তুমি আমাকে পেয়েও পাবে না। তোমার আর আমার মধ্যে কখনোই হাসবেন্ড ওয়াইফের মতো বন্ডিং হবে না।
ভালোবাসার উল্টোপিঠে ঘৃণা থাকে জানোতো? আমি তোমাকে এখন শুধু ঘৃণাই করি। শুধুই ঘৃণা। যতোটা ভালোবেসেছিলাম তার চেয়ে বেশি ঘৃনা করি তোমাকে।
কথাগুলো শুনে ঝিনুক কথা বলার শক্তিই হারিয়ে ফেলে। কি বলবে ও?
রিয়ান ওকে ঘৃনা করে এটা শোনার পর ওর কি বা বলার থাকে। ঝিনুক শুধু এটাই ভাবছে ও কি এমন করলো যে রিয়ান ওকে এতোটা ঘৃণা করে? ভালোবাসার মানুষকে অন্য কারও পাশে দেখার কথাই বা কেন বললো? কি বুঝাতে চাইলো রিয়ান?
রিয়ানের দিকে তাকাতেই দেখলো রিয়ান নিচে বিছানা করে শুয়ে পড়েছে। ঝিনুক ভাবছিলো রিয়ানকে ডেকে বিছানায় শুতে বলবে।কিন্তু সাহস হলো না।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে ঝিনুক রিয়ানের মায়ের কাছে যায়। রিয়ানের মায়ের আন্তরিকতায় ঝিনুক মুগ্ধ। ও যেন নিজের মাকে আবার ফিরে পেলো।
" আমি আজই ঢাকা চলে যাবো। অফিস থেকে কল এসেছিলো।
সবাই নাস্তা করছিলো। রিয়ানের কথা শোনে খাওয়া বন্ধ করে ওর দিকে তাকায়।
" তোর না পাঁচদিন ছুটি ছিলো?
রিয়ানের বাবা বললো।
" ছুটি বাতিল হয়েছে। কাজ পরে গেছে। যেতে হবে এখন।
" তাহলে ঝিনুক কি করবে?
রিয়ানের মা উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
" সেটা ও জানে। চাইলে যাবে আমার সাথে নয়তো থাকবে এখানে।
" কি রে ঝিনুক তুই কি বলিস? কি করবি?
রিয়ানের মা ঝিনুকের দিকে তাকিয়ে বললো।
" আমি কি বলবো মা? আপনারা যা ভালো বুঝেন বলুন।
" কি আবার বলবে ও ঢাকায়ই যাবে রিয়ানের সাথে।
রিয়ানের বাবা বলে উঠলেন।
" হ্যা আমারও মনে হয় সেটাই ভালো।
রিয়ানের মা ও গলা মেলালেন।
" যদি যেতেই হয় তাহলে তাড়াতাড়ি ব্যাগ গুছাতে বলো।আমি একটু পরই বেরিয়ে পড়বো।
কথাটা শুনে ঝিনুক খাওয়া ছেড়ে উঠে রুমে চলে এলো সব গোছগাছ করে নিতে।
চলবে?
আপনারা নিয়মিত পাশে থাকলে অনেক সুন্দর, মজার মজার গল্প দিব।
Waiting for next part.
↘️
Please comment kore janaben kamon hoise.