Maverick Mahadi

11/01/2024

Lagos, Nigeria 🇳🇬

23/12/2023

অবস্থান অবস্থার থেকে গুরুত্বপূর্ণ

19/12/2023

এক গবেষণায় দেখা গেছে,
আমি আমার লেখা নিজেই বিভিন্ন কারণে যতবার পড়ি, ফেসবুকে দিলে গোটা ১৫০০ জন মিলেও এতবার পড়ে না!

ফেসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা শেয়ার করার ক্ষেত্রে আমার ২০% রুলস অটো এপ্লাই হয়। যত লেখি, তার ২০% সর্বোচ্চ শেয়ার করা হয়। বাকিটা নোটে ড্রাফটে থাকে 🤫🤫
আমার লেখার রিচ এন্ড রেসপন্স ও ২ এর ঘরে। ফেসবুকের সংযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ২% লোক আমার লেখা পড়ে। যাদের ২% খুব বেশি হলে রেসপন্স করে। 🤭🤭

মাঝেমধ্যে আমার লেখা ফেসবুক আমাকেই রিকমেন্ড করে। আমিও সেটা নাম না দেখে পড়ি আর ভাবি, বাহ ব্যাটা তো ভালোই লিখছে! আমার ও আরও ভালো লেখা উচিৎ 🥴🥴।
পরে ফলো মারার জন্য প্রোফাইল এ ক্লিক করে দেখি, ওমা... এ তো আমি ই 😵😵
হুরু মিয়া!! 🫤🫤

#লেখা #বাংলাদেশ #পোস্ট

18/12/2023

এলাকায় বড্ড অভাব....

কারোর ভালোবাসার অভাব,
কারোর ভালো বাসার অভাব;
কারোর অভাব ধৈর্যের, তো
কারোর অভাব বিনয়ের;
কারোর অভাব ফ্যাসাদের,
কারোর অভাব শান্তির;
কারোর অভাব সম্পদের, আবার
কারোর অভাব সম্পত্তির ;
কারোর অভাব সম্মানের,
কারোর অভাব সমীহার;
কারোর অভাব অভাবের, তো
কারোর অভাব স্বভাবের;
কারোর অভাব জাগার,
কারোর অভাব টাকার ;

কারোর অভাব স্বাক্ষরের,
কারোর অভাব শিক্ষার,
কারোর জ্ঞানের অভাব,
কারোর হিতাহিত জ্ঞানের;
কারোর সভ্যতার অভাব, তো
কারোর অভাব শৃঙখলার;
কারোর মনোযোগের অভাব,
কারোর মনের অভাব;
কারোর না পাওয়ার অভাব, তো
কারোর পেয়ে যাওয়ার ;
কারোর থাকার অভাব, আবার
কারোর থেকে যাওয়ার ;
কারোর অভাব টিকে থাকার,
কারোর অভাব টিকিয়ে রাখার;
কারোর অভাব অস্তিত্বের,
কারোর অভাব বিলীনের;
কারোর নীতির অভাব,
কারোর অভাব রাজনীতির;
কারোর অভাব যন্ত্রের, তো
কারোর অভাব ষড়যন্ত্রের;

কারোর জয়ের অভাব, তো
কারোর ভয়ের অভাব;
কারোর স্বভাবের অভাব,
কারোর অভাবের স্বভাব;
কারোর নিঃশ্বাসের অভাব, আবার
কারোর অভাব বিশ্বাসের;
কারোর খাবারের অভাব,
কারোর খাবার অভাবের;
কারোর অঙ্গের অভাব,
কারো অভাব অঙ্গে;
কারোর পোশাকের অভাব,
কারোর অভাব হায়া'র,
কারোর সঙ্গের অভাব, অথচ
কারোর অভাব সঙ্গে;
কারোর রঙের অভাব,
কারোর অভাব রঙ্গের;
কারোর লাঠির অভাব, তো
কারোর অভাব জুতোর;
কারোর মুগুরের অভাব,
কারোর ছ্যাঁচা সঙ্গের;

কারোর অভাব মেধার,
কারোর অভাব মস্তিষ্কের;
কারোর আলোর অভাব,
কারোর অভাব আঁধারের;
কারোর প্রয়োজনের অভাব,
কারোর অভাব প্রয়োজনের;
কারোর দেশেই অভাব,
কারোর অভাব বিদেশেও;
কারোর আশার অভাব,
কারোর অভাব হতাশার;
কারোর সুবিধার অভাব; তো
কারোর অভাব সুযোগের;
কারোর প্রেমের অভাব,
কারোর অভাব প্রেমিকের;
কারোর স্বর্ণের অভাব,
কারোর স্বর্ণ খোঁদকের;

কারোর দৃষ্টির অভাব, অথবা
কারোর অভাব দর্শনের;
কারোর সময়ের অভাব,
কারোর অভাব মুহুর্তের;
কারোর হাওয়ায় অভাব, কিন্তু
কারোর অভাব বাতাসের;
কারোর অন্তরের অভাব,
কারোর অভাব আত্মার;
কারোর অভাব ভিড়ের,
কারোর অভাব শূন্যতার;
কারোর অভাব ভাষার,
কারোর অভাব মৌনতার;
কারোর অভাব অন্তরের,
কারোর অভাব অভ্যন্তরের;

কারোর অভাব উক্তির,
কারোর অভাব যুক্তির;
কারোর অভাব খাঁচার, তো
কারোর অভাব মুক্তির;
কারোর অভাব পণের,
কারোর অভাব চুক্তির;
কারোর দেনার অভাব, কিন্তু
কারোর দেনা মুক্তির;
কারোর বিনয়ের অভাব
কারোর অভাব ভক্তির;

কারোর গ্রামের অভাব,
কারোর অভাব শহরের;
কারোর বাহনের অভাব,
কারোর অভাব বহরের;
কারোর এলাকার অভাব,
কারোর অভাব এলাকার;
কারোর অভাবের অভাব,
কারোর অভাব অভাবের!

এলাকায় বড্ড অভাব....!

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩ (সোমবার)
© Mahadi Hasan

#বাংলাদেশ #লেখা #কবিতা #অভাব #এলাকায়_বড্ড_অভাব

18/12/2023

আলো ছায়ার জেলখানায় বন্দী স্বত্ব....

17/12/2023

রেলের ইতিহাস সম্পর্কে একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়, সেটা হলো বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন কুষ্টিয়ার জগতি। বাংলাদেশের প্রথম সারির নিউজ মিডিয়াগুলোকেও এটা বলতে দেখা যায়। তবে এই তথ্য যে একেবারেই সঠিক নয়, তা জানতে খুব বেশি গবেষণার দরকার হয় না।

১৮৫৮ সালে কলকাতা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত ১১২ মাইল রেলপথ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। কলকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত রেলপথ উদ্বোধন করা হয় ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৮৬২ সালে। রানাঘাট থেকে রামনগর (দর্শনা), জয়রামপুর, চুয়াডাঙ্গা, মুন্সীগঞ্জ, আলমডাঙ্গা, হালসা, পোড়াদহ হয়ে কুষ্টিয়া পর্যন্ত রেলপথ উদ্বোধন করা হয় ১৫ নভেম্বর, ১৮৬২ সালে।

কুষ্টিয়া স্টেশন ছিল পদ্মা ও গড়াই নদী সংযোগস্থলে। ১৮৬৩ সালে নদী ভাঙনে কুষ্টিয়া স্টেশন বিলীন হয়ে যায়। ১৮৬৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন স্টেশন নির্মিত হয় (বর্তমান কুষ্টিয়া কোর্ট)। অর্থাৎ তখন পর্যন্ত জগতি নামে কোনো স্টেশনের অস্তিত্ব ছিল না।

১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি পোড়াদহ-কুষ্টিয়া সেকশনের মাঝে জগতি নামক স্থান হতে একটি লাইন বের করে নিয়ে যাওয়া হয় গোয়ালন্দ ঘাটে। ফলে তখন জগতি নামে একটি জংশনের জন্ম হয়। এবং এটাই বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে জংশন। ১৮৮১ সালে কুষ্টিয়া লাইনকে বর্ধিত করে কালিগঙ্গার কাছে (লাহিনী বটতলা সংলগ্ন) জগতি-গোয়ালন্দ সেকশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জগতি থেকে লাহিনী বটতলা পর্যন্ত রেলপথ তুলে ফেলা হলে জগতি জংশনের মর্যাদা হারায়‌‌। বর্তমানে বিলুপ্ত এই লাইনের উপর দিয়ে কুষ্টিয়া-ঢাকা মহাসড়ক অবস্থিত।

সুতরাং জগতি প্রথম স্টেশন তো নয়ই, এমনকি ১৮৬২ সালে নির্মিত প্রথম স্টেশনগুলোর একটিও নয়। ১৮৭০ সালে প্রকাশিত ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের ডকুমেন্টে জগতি নামের অস্তিত্ব নেই। ১৮৬৮ সালে কলকাতা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত ভাড়া দূরত্ব ও স্টেশন তালিকা প্রকাশ করে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে‌। সেখানেও জগতি নামের উল্লেখ নেই। জগতি জংশন স্টেশন হিসেবে নির্মিত হয়েছে ১৮৭১ সালে, যখন গোয়ালন্দ পর্যন্ত রেলপথ পাতা হয়।

জগতি বাংলাদেশের প্রথম স্টেশন নয়, তবে প্রথম জংশন। কালক্রমে লোক মুখে এই 'প্রথম জংশন' পরিণত হয়েছে 'প্রথম স্টেশনে'।

১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়া ৮টি স্টেশনই (দর্শনা, জয়রামপুর, চুয়াডাঙ্গা, মুন্সীগঞ্জ, আলমডাঙ্গা, হালসা, পোড়াদহ, কুষ্টিয়া) এই ভূখণ্ডের প্রথম স্টেশন। এককভাবে কোনো স্টেশনকে 'প্রথম স্টেশন' বলে মহিমান্বিত করার সুযোগ নেই।

ছবিতে:
লাল রং (নির্মিত ১৮৬২)
নীল রং (নির্মিত ১৮৭১, বিলুপ্ত ১৯৫০-এর দশক)
সবুজ রং (নির্মিত ১৮৮১)

বুক রেফারেন্স:
১. ৬০ পৃষ্ঠা, বাংলাদেশে রেলওয়ে, শাকিল আহমেদ।
২. ১১৫ পৃষ্ঠা, রেলকে ঘিরে, জয়দীপ দে।
৩. পূর্ববাংলার রেলওয়ের ইতিহাস (১৮৬২-১৯৪৭), দিনাক সোহানী কবির।

collected

16/12/2023

বাংলাদেশের উচিৎ পতাকার উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া।

পতাকার রং (কালার গ্রেডিয়েন্ট, ওয়েব কালার), পতাকাতে ব্যবহৃত ফ্যাব্রিকস (কাপড়), ফ্যাব্রিকস এর ডেনসিটি (ঘনত্ব) বা জিএসএম, পতাকার সংরক্ষণ পদ্ধতি এসবে নজর দেওয়ার সময় অনেক আগেই হবার কথা থাকলেও শেষ হয়ে যায়নি।

দুনিয়ার সবচেয়ে মলিন, অনুজ্জ্বল আর ফ্যাকাসে পতাকা আমার কাছে বাংলাদেশের পতাকাই লাগে। এই অনুভুতি আবেগ থেকে আসে নাই। এটা আসছে বিবেক দিয়ে অনেক দিনের অবজারভেশনের পরে। চাইলে আপনিও যাচাই করতে পারেন। ওয়েবে দেখেন, আশেপাশে ব্যবহৃত সকল পতাকা দেখেন, আর ফুটবলের সময়ে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পতাকা গুলোর ফাঁকে চিপায় পড়া বাংলাদেশের পতাকার দিকেই তাকান।

আমি দুনিয়ার কোথাও এত অযত্নে অবহেলায় ভাঁজ করে রাখা পাতলা ফিনফিনে কাপড়ের পতাকা সচরাচর কাউকে ব্যবহার করতে দেখি না কোথাও। আশেপাশের যে কোন দেশ ই হোক আর দূরের কোন দেশ। কাউকেই দেখবেন না এত পাতলা ফিনফিনে রংচটা কাপড়ে পতাকা বানাতে। বা সেটা ব্যবহার করতে। শুধু বাংলাদেশেই পাবেন। বাংলাদেশের মানুষকেই পাবেন। কোনরকম কমদামে একটা ছোট্ট পতাকা কিনে ব্যবহার করতে। দেখে মনে হয়, না খেয়ে থাকা কোন অঞ্চলের একেবারে নতুন কোন দেশ যারা কাপড় পায় না জন্য এরকম ফেলে দেওয়া কাপড় দিয়ে পতাকা বানায়। অথচ এটা গার্মেন্টস টেক্সটাইল রপ্তানিতে ৩য় বৃহত্তর দেশ!

যেন তেন করে বানানো এসব পতাকায় না থাকে পতাকার আসল রং ফুটিয়ে তোলার মতো কাপড়ের সঠিক ঘনত্ব, না থাকে ঔজ্জ্বল্য, না থাকে আকর্ষন। আর দীর্ঘদিন অযত্নে ভাঁজ করে ফেলে রাখার পরে চাঁদে চাঁদে বের করে ওভাবেই ব্যবহার করার ফলে পতাকার নিজের ই আত্মসম্মান বলে কিছু থাকে না।
ইন্টারনেটের যুগে, পতাকার সঠিক রং আর ঘনত্ব নির্ভর করে পতাকার ওয়েব কালারের ওপরে, সঠিক কালার গ্রেডিয়েন্ট নির্ধারণের মাধ্যমে, তাহলেই সঠিক রং এর কন্সিসটেন্সি নিশ্চিত করা যায়। কিন্ত বাংলাদেশের পতাকা লিখে সার্চ দিলে, হরেক রকমের রং দেখে সেটা তো লাগে না যে ওয়েবে বা বাস্তবে কোথাও পতাকার সঠিক রং নির্দিষ্ট ভাবে কেউ মেনে চলে। বা এরকম গাইডলাইন কেউ তৈরি করে পাবলিক করছে।

আর এটা যে শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে ঘটে তা না। সরকারি সর্বোচ্চ পর্যায়েও, ডিপ্লোম্যাটিক মিটিং গুলোতেও পেছনে যে ভাঁজ করে পতাকা দেয় সেখানেও দেখবেন, সবচেয়ে মলিন আর ফ্যাকাশে পতাকা হচ্ছে বাংলাদেশের পতাকা!

পতাকার প্রতি ভালোবাসা আর সম্মান যার আছে, তার বুকে এটা তীর হয়েই বেঁধার কথা। কিন্ত ঘটনা ক্রমে ৫০+ বছরের পরেও, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এদিকে ধ্যান দেবার মতো ভালোবাসা কারোর মধ্যে হয়তো জন্মই নেয় নাই! নইলে এটা কবেই সামাধান হয়ে যাবার কথা!
তাই কিনা?

অবস্থা দৃষ্টে লাগে, সবার ভালোবাসার নজর পতাকায় কম চেতনায় ই বেশি নিক্ষিপ্ত। ডিজিটাল হিসেবে তাই হয়তো সবাই এল ই ডি লাইট দিয়ে লাল সবুজের ডিজিটাল পতাকা বানিয়েই খুশি থাকতে আগ্রহী??
কি আর করার, বলা ছাড়া?

জয় বাংলা ✌
৫০ বছর পরেও বলতে হয়, 'পতাকা সামলা'

16/12/2023

TONE Matters.....

কথা বলার ক্ষেত্রে ভাষা নয় ভাষার ব্যবহার গুরুত্ব বহন করে।
স্বর বা স্বরভঙ্গি একই বাক্যের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ তৈরি করতে পারে।

যে কোন ভাষাতেই এটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তবে বাংলার মতো জটিল একটা ভাষা যেখানে শব্দের সামান্যতম ব্যবহার ও ভাষার অর্থের পার্থক্য তৈরি করে সেখানে স্বর এবং স্বরধ্বনি বা স্বরভঙ্গির ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যবহার ভাষার অর্থ নির্ধারণে অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

একটা মুখোমুখি আলাপ উদাহরণ হিসেবে নেই।
একজন ভূগোল নিয়ে অনার্স পড়েছে। সে হয়তো আর্টস ব্যাকগ্রাউন্ডের (স্কুল কলেজে) পড়ে এসেছে। অপর পাশে রয়েছে আজীবন সায়েন্সে পড়া একজন ব্যক্তি, যে অনার্স ও সায়েন্সেই পড়েছে।

একজন আরেকজন কে বলছে 'আমি ভূগোলে পড়েছি, অনেক কঠিন সাবজেক্ট; সায়েন্সের সাবজেক্ট এর মতো!' অপরজন বলছে, সে সায়েন্সের স্টুডেন্ট ছিলো। তার কাছে ভূগোল ডালভাত!

এই কথাটাই অনেক ভাবেই বলা যাবে। ভাষাগত এবং উচ্চারনগত বা স্বরভঙ্গির পার্থক্যগত উপায়েই।
'আমি সায়েন্সের স্টুডেন্ট, ভূগোল আমার কাছে ডালভাত!'

'ধুরু, ভূগোল কোন সাবজেক্ট হইলো? আমরা সায়েন্সের স্টুডেন্ট, ভূগোল আমাদের কাছে ডালভাত!'

'ভূগোল? দেশের নাম মুখস্ত করতে হয়? খুব সহজ! একদম ডালভাত!'

"ভূগোল? ভূ গোল, নামেই সাবজেক্ট শেষ! একদম ডালভাত!'

'ভূগোল? আমাদের ও পড়তে হয়, আপনারা হয়তো দেশের নাম বা অবস্থান অথবা ভুমি বিন্যাস পড়েন, আমরা পড়ি, পৃথিবী গোল কেন, এর রেডিয়াস বা ডাইমেনশন কত, কত এঙ্গেলে ঘোরে, নিজের বা সোলার সিস্টেমের কক্ষপথে সে কত বেগে ঘোরে এসব। সাথে সাথে আমাদের বায়ুমন্ডল এবং এখানকার প্রকৃতি ও ধরন এবং এখানকার রাসায়নিক বৈশিষ্ট সম্পর্কেও জানতে হয়। যারফলে আপনাদের বেসিক বিষয় গুলো আমাদের কাছে পরিচিত এবং সহজ বলে মনে হয়।' :)

'ভূগোল? আমরাও পড়ি! আকর্ষনীয় বিষয়। পৃথিবীর বৈচিত্র সম্পর্কে জানা যায়। আমরা বৈজ্ঞানিক কারন পড়ি বলে আমাদের কাছে আরো আকর্ষনীয় এবং সহজ মনে হয়। কিছুটা ডালভাত এর মতো' :)

এই সব গুলো বাক্য একই উত্তর দেয়। প্রায় একই অর্থ তৈরি করে। কিন্ত ভাষাগত দিক থেকে একেবারেই আলাদা। কিছু দীর্ঘ, কিছু স্বল্প ভাষায় শেষ করা। কিন্ত উচ্চারনগত বা স্বরভঙ্গির পার্থক্যের কারনে এর প্রত্যেকটাই ভিন্ন ভিন্ন অর্থ তৈরি করতে পারে। যেটা পড়ে ভালো মনে হচ্ছে সেটাও স্বর বা টোনের কারনে ভিন্ন অর্থ তৈরি করতে পারে। আর যেটা খারাপ মনে হচ্ছে সেটা পড়তে খারাপ লাগলেও ব্যবহারের পার্থক্যের কারনে কম খারাপ শোনাতে পারে।

স্বরভঙ্গি অথবা প্রকাশভঙ্গির পার্থক্যের মাধ্যমে বোঝা সম্ভব এই বাক্যগুলো কখন তাচ্ছিল্য করে, কখন ছোট করে বা অসম্মান করে ব্যবহার করা হয়েছে; আর কখন সমীহ করে, বা কখন সম্মান দেখিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।

গলার স্বর, মুখভঙ্গি, কিছু ছোট ছোট জেসচার বা অঙ্গভঙ্গি সংকেত বা ইঙ্গিত হিসেবে কাজ করে।
যেমন, কথার বলার আগে পরে বা মাঝে ঠোঁট বাকা করে কথা বলা, ঠোঁট বাকা করে 'ঊহ!' বা 'হুহ!' অথবা 'হেহ!' শব্দের উচ্চারন; অদ্ভুত ভাবে দাত বের করে হাসা এবং ডিনায়াল (প্রত্যাখ্যান বা আগ্রাহ্য) এর উদ্দেশ্যে মাথা দোলানো (পরিষ্কার তাচ্ছিল্য প্রকাশ করে)।
এসব শুধু বলার ক্ষেত্রেই নয়, শোনার সময় শ্রোতার মনোভাব ও প্রকাশ করে।

অপরজন কথা বলার মাঝে হঠাথ করেই 'আহারে!', 'ইস!', 'ঊস!', 'আচ্ছা তাই?', এসব বিকৃত স্বরে উচ্চারণ শ্রোতার বক্তার প্রতি অনাগ্রহ, অমনোযোগ এবং বক্তার প্রতি অসম্মান প্রকাশ করে।
=
=
অনেক ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে যে, কেউ একজন কিছু একটা উচ্চারণ করছে, কিন্ত সে বোঝাতে চাইছে সম্পুর্ণ আলাদা কিছুই। যার সাথে তার উচ্চারিত ভাষার কোন যোগাযোগ ই নেই। রুপকার্থে (metaphor) ব্যবহার করছে ব্যপার টা তেমন ও না। বরংচ এনারা নির্দিষ্ট কিছু ভাষার বাইরে বিশেষ কোন ভাষাগত দক্ষতা রাখেন না। ফলে উনারা সম্পুর্ণ রুপে স্বরভঙ্গি এবং মুখভঙ্গির ওপরে এবং ক্ষেত্রবিশেষে উন্মাদ দেহভঙ্গির ওপরে নির্ভরশীল। এনাদের কথা বুঝতে হলে মেটাফোর বা রুপক অর্থ নয়, বরংচ তারা কোন ভাষা গুলো বা কোন শব্দ গুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে এবং কোন শব্দগুলির ওপরে ওপরে বেশি জোর দিচ্ছে সেদিকে খেয়াল করলে অনেকটাই বোঝা সম্ভব তারা কি বোঝাতে চাইছে। এধরনের মানুষকে উন্নত দেশে 'কারেন' (Karren), নার্সিসিস্ট (Narcissists') বলে, Narcissist এর বাংলা করে দাঁড়ায় 'স্বকামী ব্যক্তি!', যারা নিজের বোঝে, নিজের মতো করে সবকিছু পেতে চায়। আর এর জন্য সে পারেনা করতে এমন কিছু নেই। ফলে এদের স্বরভঙ্গি এবং প্রকাশভঙ্গি বা দেহভঙ্গি খুব রহস্যজনক হয়ে থাকে। এরা যা দেখায় তা এরা নয়।
অপরদিকে কারেন বলতে বোঝায় যারা সোশাল পুলিশ হিসেবে নিজেদের জ্ঞান করে। তাঁদের ধারণা তারা নিয়ম যা তৈরি করবে তা-ই সবখানে সবাইকে মানা উচিৎ। আর তাঁদের এই ধারনা প্রতিষ্ঠা করতে তারা আক্রমণাত্মক স্বরভঙ্গি এবং প্রকাশভঙ্গি বা দেহভঙ্গির ব্যবহার করে থাকে। তারা নিজেদের খুব ক্ষমতাবান এবং প্রভাবশালী দেখাতে তৎপর এবং মরিয়া থাকে। আর এরা সবার ওপরে ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টায় থাকে।
কারেন আর নারসিসিস্ট প্রায় একই রকমের ব্যক্তিত্বের অধিকারি। পার্থক্য হচ্ছে কারেন রা তাঁদের প্রভাব বৃহত্ত্বর পরিসরে বিস্তার করতে চায়, আর নারসিস্টরা পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা কাছের লোকেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে।

যদিও এধরনের মানুষ সাবেক বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অংশ সাউথ এশিয়াতে বেশি দেখা যায় বলেই প্রতীয়মান। তবুও এরা সবখানেই বিদ্যমান। তবে বাংলাদেশে এদের আধিক্য এতই বেশি যে, সামাজিক আচার ব্যবহার নির্ধারণে এরাই সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী!
এ কারনেও, এই এলাকায়, ভাষার পাশাপাশি, ভাষার থেকেও টোন বেশি ম্যাটার করে। স্বরভঙ্গি, মুখভঙ্গি, অঙ্গভঙ্গি এসব বেশি গুরুত্ব বহন করে।

বেশিরভাগ সময় ই কথা বলার সময় সহানুভূতিশীল হয়ে কথা বলা, সম্মান দিয়ে, সম্মান রেখে কথা বলা, কর্তৃত্ব নিয়ে দম্ভের সাথে কথা বলার থেকে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। বিশেষত কাউকে কিছু বোঝাতে চাইলে সর্ববিষয়ের ভাষনের থেকে স্বল্প কথায় মূল কথা বুঝাতে পারা টা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রে কি বলা হচ্ছে তার থেকে কিভাবে বলা হচ্ছে সেটা বেশি গুরুত্ব বহন করে মূল বার্তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে।

--------------------------------------------------------------------------

বর্তমান সময়ে যোগাযোগ ৩/৪ ধরনের।
- মেসেজে বা বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ,
- মুঠোফোনে কথা বলার মাধ্যমে যোগাযোগ,
- মুখোমুখি বা সামনাসামনি হয়ে যোগাযোগ।

একই কথা এই তিন মাধ্যমে তিন ধরনের হয়ে থাকবে। এমনকি অতি পরিচিত দুজন মানুষের মাঝেও খুব পরিচয় বা জানাশোনা অথবা বোঝাপড়া থাকার পরেও তা ভিন্নরুপে গিয়ে থাকবে।

প্রথমত, মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে, বার্তা প্রেরকের স্বরভঙ্গি বা স্ফূর্তি অর্থাৎ প্রকাশভঙ্গি প্রকাশিত হয় না। শুধু ভাষাটা লেখা আকারে যায়। আর সেটা গ্রহীতা নিজের মতো করে স্বরভঙ্গি বা প্রকাশভঙ্গি তৈরি করে নেয়। যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দাতার নয়, গ্রহীতার কল্পনায় তৈরিকৃত প্রকাশভঙ্গি প্রকাশ করে। ফলে মেসেজের ভুল অর্থ তৈরি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। যা আসলে বার্তা প্রেরকের প্রতি বার্তা গ্রহীতার মনোভাবের প্রকাশ মাত্র।

দ্বিতীয়ত, মুঠোফোনে কথা বলার সময় বার্তা উচ্চারিত জবানের মাধ্যমে গেলেও মৌখিক প্রকাশভঙ্গি না থাকায়, এখানেও শুধুমাত্র উচ্চারনের ধরনে বা স্বরভঙ্গির ওপরে নির্ভর করে শ্রোতা প্রকাশভঙ্গি নির্ধারণ করেন। যেটা অনেক ক্ষেত্রেই ভুল বলে প্রতীয়মান হয়ে থাকে। বিশেষত বাংলাদেশের মানুষ যেখানে সঙ্গত অনেক কারনেই মুঠোফোনে চিৎকার করে কথা বলতে পছন্দ করেন। তাঁদের ধারনা, চিৎকার করে বললে কথা অনেক দ্রুত, স্পষ্ট আর জোরে যাবে!

তৃতীয়ত, সামনা সামনি বলার সময় স্বরভঙ্গি, প্রকাশভঙ্গি সবকিছুর অবস্থান থাকে। ফলে এক্ষেত্রে বক্তার মনোভাবের সঠিক প্রকাশ ঘটানোর সবচেয়ে বেশি সুযোগ থাকে। যদিও, এসব কিছু থাকার পরেও একে অন্যের সাথে মিল না পাওয়ার কারনে (অর্থাৎ স্বরভঙ্গি, প্রকাশভঙ্গি বা tone and expression এর মিল না থাকার বা না পাওয়ার কারনেও) ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে।

--------------------------------------------------------------------------

একজন ব্যক্তি যতই চেষ্টা করুক না কেন, তার মনের মধ্যে থাকা সকল কিছুই তার প্রকাশভঙ্গি এবং স্বরভঙ্গির মাধ্যমে প্রকাশিত হবেই! সে যতই চেষ্টা করুক না কেন!
তার টোন তার মৌখিক এক্সপ্রেশনে তার মনের ভেতরে থাকা তেতো বা মিষ্টির বহিঃপ্রকাশ ঘটতে বাধ্য।
এজন্যই বলা। টোন ম্যাটারস। স্বর গুরুত্ব বহন করে। শুধু ভাষাই নয়। ভাষার প্রকাশ ভঙ্গি ও অর্থ বহন করে। সাথে সম্পূরক মুখভঙ্গি বা দেহভঙ্গি ও অনেক অর্থবহ হতে পারে।

জয় বাংলা ✌
যারা পুরোটা পরেন নাই, তাঁদের শুভেচ্ছা।

14/12/2023

Well..... ইন্ডিয়ার অনেকেই বাস্তবতার দিকে ফিরে আসছে সচেতন দুনিয়ার সাথে এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা উদাহরণ বাংলাদেশের সচেতন মানুষ এবং ফেমিনিস্ট দের জন্য।

কেননা ফেমিনিজমের আইডিয়াই (অন্তত) বাংলাদেশে টক্সিক একটা আইডিওলজি। এটা একটা ধর্মের মতো।
যেখানে সবার আগের শর্ত হচ্ছে মেয়ে মানুষ মেয়ে মানুষের পক্ষে দাঁড়াতেই হবে।
এর পরে, মেয়েরা কোনোভাবেই অপরাধী হয় না। তাঁদের কোন ভুল হয় না। তারা সর্বদাই নিষ্পাপ। তাঁদের দ্বারা ভিক্টিম হওয়া ছেলেটাই এটা ডিজার্ভ করে।
আর অত্যাবশ্যক, দুনিয়ার সব পুরুষ ই খারাপ! সব পুরুষ ই এক ই রকম!

এর থেকে টক্সিক আর কি হয়?

Click and Download the Getcontact App - https://gtcinfluencers.onelink.me/fTJl?pid=Getcontact_Influencers&c=offer_IN_nikitathakur_YTExplore the controversial...

14/12/2023

যারা ভাবতে পারে, তাঁদের জন্য এই ভিডিও ইন্সপায়ারিং হবে।

চ্যানেল টা সাবস্ক্রাইব না করে থাকলে করে ফেলতে পারবেন এখানেঃ https://www.youtube.com/ার ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/nurrahman333আমার ফ...

14/12/2023

New Lux .... Big Beauty Bar... only for big pupil.... 😃😃

13/12/2023

সবার মধ্যেই 'এনিম্যাল' থাকে।

কেউ দেখায়, কেউ দেখায় না; কেউ দেখানোর ভান করে, আর কেউ দেখাতে পারে না বা চায় না। সবকিছুই ধৈর্য্য আর ধৈর্য্য সীমার ওপরে নির্ভরশীল।

সমাজ-সোসাইটি, পরিবার, পরিস্থিতি মানুষকে এনিম্যাল হবার জন্য বাইরে ঠেলে দেয়। ভালো মানুষ উষ্কে দেয়। তাঁদের খারাপ হতে, জোড়াজুড়ি করে। এর পরে যখন ভালো মানুষ থেকে এনিম্যাল বের হয়ে আসে, তাঁদের ছিঁড়ে কুঁড়ে খায়, তখন তারা সেটা হজম করতে পারে না। অথচ সাধারন একজন মানুষকে এই এরাই এনিম্যাল বানায়। হতে বাধ্য করে।

বলা হয়, যে যতো ভালো হয়, খারাপ হলে সে ততো বেশি ই খারাপ হয়। ভেড়া যেমন হায়েনার বেশ ধারন করে সভ্য বেড়াল কে হায়েনা হতে বাধ্য করলে ব্যপার টা ভেড়ার জন্য বিধ্বংসী হয় তেমন।

রক্ত আর ভায়োলেন্স দেখার ক্ষমতা ভেড়ার থাকে না। কিন্ত বাইরে থেকে দেখলে দেখবেন এরাই সবচেয়ে ভায়োলেন্ট দেখায়। এই করবে সেই করবে। কিন্ত শিকার করার প্রয়োজন না হলে বা আক্রান্ত না হলে নেকড়ে বা হায়েনা, বাঘ অথবা সিংহ, কেউ ই ভায়োলেন্ট থাকে না। বা এদের কেউ ই নিজেদের শক্তি বা সামর্থের প্রচার করে বেড়ায় না। কে বেড়ায়? ভেড়ার পাল।
রিলস এর সেই ভিডিও দেখেন নাই?
'ইয়া গানা মেসিই, ম্যা ম্যা। ইন্তা হায়াতি, ম্যা ম্যা!'

আশেপাশে তাকালে, সবজায়গায় একটাই আলোচনা, ভালো হওয়া যাবে না, ভালো মানুষের ভাত নাই। তাই সবাই ই খারাপ হবার চেষ্টা আর প্রদর্শনে ব্যস্ত। এরা এখনো প্রকৃত পক্ষে খারাপ হওয়া কাকে বলে জানেই না। এরা নিজেদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ংকর দেখানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষন না তারা আসলেই ভয়ংকর ভয় আর ভায়োলেন্স না দেখে।

কিভাবে?
এক সিনেমার ভায়োলেন্স দেখেই জনগণ সহ্য করতে পারছে না। এরা সেই জনগণ, যারা নিজেদের খারাপ, ভয়ংকর আর ভায়োলেন্ট দাবী করে। এরা সিনেমার সামান্য ভায়োলেন্স দেখে আতংকিত!!

ফানি :D

#এনিম্যাল #এনিমেল #পিশাচ #জন্তু

10/12/2023

'সবজান্তা / সব কাজে পটু'; Jack of all trades এর লিটারাল অর্থ এটা।
master of none এর অর্থ করলে দাঁড়ায়; 'কোন কাজে পূর্ণ দক্ষ না / বিশারদ না!' আমরা এতটুকু জেনে আসলেও এর পরে আরেক লাইন আছে সেটা আমরা কদাচিৎ জানি। হ্যাঁ, often time better than a master of none! অর্থাৎ, 'সচরাচর এক বিষয়ের বিশারদের থেকে উত্তম!'

ছোট কালে স্লিপ প্যাডের নিচে বিভিন্ন কোটেশন লেখা থাকতো। আমার কাছে সেসবের কয়েকশ কালেকশন ছিলো। এর মধ্যে একটা তে পড়েছিলাম...

"কোন বিষয়ে ১০০% জানার থেকে, ১০০ বিষয়ে ১০% জানা বেশি কার্যকরী"

এই ডায়লগ টা আমার খুব মনে ধরেছিলো। আর সেটার ই লিটারেল রিপ্রেজেন্টেশন আজকের 'আমি'!
আমার সবসময়ের টার্গেট ই ছিলো অসংখ্য বিষয়ে ১০% করেও যদি জানি তাহলেও আমি ১০০ বিষয়ে সর্বমোট ১০০০% জানতে পারছি! 😁😁
১০০ থেকে ১০০০ তো বেশি ই বটে! 😛

কিন্ত আমি এখন দ্বিধা বিভক্ত। আমার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক ছিলো কিনা?
'সচরাচর এক বিষয়ের বিশারদের থেকে উত্তম!' হওয়ার সুযোগ তো হয় নাই। আর যখন সেটা হওয়ার জায়গায় ছিলাম, তখন 'সব কাজে পটু' দেখে মানুষ ডাকলেও আদতে গিয়ে তাঁদের মনে হয় আমি অকর্মা, অদক্ষ এবং অপ্রয়োজনীয়। ফলে আমার কাছে কিছু যা নেওয়ার নিয়ে নিয়ে আমারে কিক আউট মারে।
এখানে তখন আরেকটা ডায়লগ আসে, 'জাম্পারস আর লুজারস!'।
তাইলে আমি কি জাম্পার? বা জ্যাক অফ অল ট্রেডস ওয়ালা রা কি সবাই লুজারস?
না।
জাম্পারস রা শেখে না, ধৈর্য্য রাখে না। আর জ্যাক অফ অল ট্রেডারস হতে হলে একজনকে প্রচুর ধৈর্য্য আর অধ্যাবসায় নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা, গবেষণা আর ঘাটাঘাটি করতে হয়। দে ডোন্ট জাম্প। দে আর জ্যাকস।

ইভেন টেকনিক্যাল ফিল্ডে মাস্টার হতে হলেও জ্যাক হতে হয়। যেমন, ইঞ্জিনিয়ারস, ডাক্তারস।
যে ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলের যত বেশি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে পারবে, সে ততো ভালো ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে। (ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দের ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক, মেকানিক্যাল, সফটওয়্যার, সহ একাউন্টিং, ফাইনান্স, স্ট্যাটিস্টিকস সহ সব পড়তে বা জানতে হয়। সেসব ভাঙলে প্রত্যেকটা ফিল্ড ই একেকটা সমুদ্র!)
যে ডাক্তার মেডিক্যাল সায়েন্সের বিস্তৃত ফিল্ডের ধারণা রাখতে পারবে তার পক্ষে ডায়াগনোসিস ততো দক্ষতার সাথে করা সম্ভব বলে আমার ধারণা।
(গুড ডক্টর টাইপের সিরিজ দেখলে এটুকু ধারণা করাই যায়? ক্রিটিক্যাল টাইমে কুইক ডায়াগনোসিস এবং প্রবলেম আইডেন্টিফিকেশনের জন্য বিস্তৃত জ্ঞান কতটা জরুরী)।

এই সংক্রান্ত আরেকটা এক্সিয়াল ডেটা ইমেজ আছে। সেটা পরের পোস্টে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্‌।

06/12/2023

FIRST EVER TEST MATCH at 🇧🇩!
Dacca Stadium (Present Bangabandhu National Stadium)

1st Test | Australia tour of Pakistan.
November 13-18, 1959.
🇧🇩 of course Bangladesh was not independent then, we played as Pakistan in then East Pakistan.

06/12/2023

ফাদার অফ রোবোটিক্স: ইসমাইল আল-জাজারি (১১৩৬-১২০৬)

ইসমাইল আল-জাজারি একজন পলিম্যাথ ছিলেন: মেসোপটেমিয়ার জাজিরার আর্তুকিদ রাজবংশের একজন পণ্ডিত, উদ্ভাবক, যান্ত্রিক প্রকৌশলী, কারিগর, শিল্পী এবং গণিতবিদ। 'দ্য বুক অফ নলেজ অফ ইনজেনিয়াস মেকানিক্যাল ডিভাইস' হল দ্বাদশ শতাব্দীতে ইসমাইল আল-জাজারির লেখা একটি মধ্যযুগীয় আরবি বই। এ বইটিতে ঘড়ি, জল তোলার মেশিন, মিউজিক্যাল স্বয়ংক্রিয়তা এবং হিউম্যানয়েড রোবট সহ পঞ্চাশটিরও বেশি যান্ত্রিক ডিভাইস বর্ণনা আছে । এটিতে আল-জাজারি প্রতিটি ডিভাইস নির্মাণের জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করেন l বইটি ইউরোপীয় ঘড়ি নির্মাণে এবং স্বয়ংক্রিয়তার বিকাশে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল, তিনি মধ্যযুগীয় সময়কালে ইসলামিক বিশ্বের দৈনন্দিন জীবন এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। সবচাইতে বড় কথা তার এই কাজ আধুনিক দিনের রোবোটিক্সের মূল ধারণাগুলিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল l

04/12/2023

ফুড আপ্পি, মেয়েদের মেকি কান্নায় ঘটনা তৈরি, আর পীরের ভং ধরা পোলারাইজড আরজে কিবিরিয়া রা!

=======================================================
"
ফুডা আপ্পি নামে পরিচিত ফাবিহা হাসান মণিষা আপুকে নিয়ে আরজে কিবরিয়া ভাইয়ের উপস্থাপনায় একমাসের ব্যাবধানে পরপর দুইটা শো দেখলাম। প্রথম শো এর শিরোনাম ছিল "আমি কত বোকা ছিলাম"। মেয়েটার পুরো বক্তব্যের সারমর্ম ছিল সে অনেক বোকা, এবং এতটাই বোকা যে ভাজা মাছটা পর্যন্ত উল্টে খেতে জানেন না। আর তার প্রাক্তন স্বামী রুহুল আমিন এতটাই চালাক, যে তাকে শুধু ঠকায়, উচ্চকাবিন দেয় না, ২০১৩ সালে মাত্র একলাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করে। আর এতটাই অত্যাচারী যে তাকে প্রচুর নির্যাতন করে, যৌতুক চায়, রবীন্দ্র সরোবরে নাকি একদিন লাথি মারে, অনেক মানুষ দেখে কিন্তু কিছুই বলে না, স্বামীর যৌতুকের দাবি পূরণ করতে গিয়ে নিজের একটা কিডনি পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে চায়, পরে কি যেন ভেবে আর কিডনি বিক্রি করে না। ডিভোর্স হয়। নতুন একটা ছেলেকে বিয়ে করে। এবং বিয়ের আগে নিজের অতীত অর্থাৎ আগের সংসারের কথা জানায়। জেনেও ছেলে রাজি হয়। এখন সেখানে সুখের সংসার করছে ইত্যাদি ইত্যাদি। স্বীকার করতে দ্বিধা নাই যে ফুডাপ্পি ক্যামেরার সামনে অনেক ভালো পারফর্ম করেছে। এতটাই ভালো পারফর্ম যা দেখে পুরো দেশবাসী কেঁদেছে। আমি নিজেও আমার চোঁখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই।

এখানে বলে রাখা উচিত যে, ফুডাপ্পি মণিষা সত্যি বলছে নাকি বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা গল্প বলছে সেটা যাচাই না করেই প্রচার করা হয়, এমনকি মণিষার বক্তব্য ক্রসচেকের জন্য তার প্রাক্তন স্বামীকে ফোনে যুক্ত করারও প্রয়োজন মনে করেন নাই আরজে কিবরিয়া ভাই। নারীদের কথায় অধিকাংশ মানুষই সহজে দ্রবীভূত হয়ে যায়, এবং বিশ্বাস করে। ওদের এক ফোঁটা চোঁখের জল দেখা মাত্রই পৃথিবীর কোন মানুষেরই আর বিবেক কাজ করে না, শুধু আবেগ কাজ করে। উপস্থাপক আরজে কিবরিয়া ভাইয়ের ক্ষেত্রেও হয়তো সেটাই হয়েছে। শুধু আবেগ কাজ করছে, বিবেক কাজ করে নাই।

কিন্তু সমস্যা হল, যার নামে এত নিন্দা আর বিদ্বেষ ছড়ানো হলো তিনি অর্থাৎ ফুডাপ্পি মণিষার প্রথম স্বামী রুহুল আমিন ভাই তার নামে এই "মিথ্যাচার" মেনে নিতে পারেন না। তিনি আরজে কিবরিয়া ভাইকে ফোন করে বলেন, "ভাই, আপনার প্লাটফর্মকে ব্যাবহার করে আমার প্রাক্তন স্ত্রী মণিষা আমার নামে মিথ্যাচার করছে, যা আমার এবং আমার ৭ বছরের সন্তানের উপরে প্রভাব ফেলছে। আমি এর জবাব দিতে চাই। ডিভোর্সের ৭ বছর হয়েছে, কিন্তু শুধুমাত্র আমার সন্তানের মঙ্গলের কথা ভেবে আমি এখন পর্যন্ত বিয়ে করিনাই। আপনার শো-এর মাধ্যমে আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যেটা আমি সহ্য করতে পারছি না। সত্যিটা তুলে ধরার জন্য আমাকে আপনার শো-তে এসে কথা বলার একটা সুযোগ দেওয়া হোক। কিবরিয়া ভাই তাকে সুযোগ দেন ঠিকই, কিন্তু যেহেতু রুহুল আমিন নারী নন, তিনি একজন পুরুষ, তাই এবার আর কিবরিয়া ভাইয়ের আবেগ কাজ করে না, শুধু বিবেক কাজ করে। তিনি বলেন, "আপনাকে কথা বলতে দেওয়া হবে, তবে আপনি মিথ্যা বলছেন কিনা সেটা যাচাই করার জন্য আপনার প্রাক্তন স্ত্রী মণিষাও সাথে থাকবে"। কারণ এবার তো পুরুষ মানুষ, যদি মিথ্যা কথা বলে, এরা নারীদের মত "সত্যবাদী" তো আর না। রুহুল আমিন ভাই বললেন আমার তাতে কোন আপত্তি নাই।

ফুডাপ্পি মণিষা এবং রুহুল আমিন ভাই দুইজনকে যখন একই শো-তে আনা হলো তখন দেখা গেল আগের শো-তে ফুডাপ্পি মণিষা যেসব গল্প বলেছিল তার অধিকাংশই বানানো। এবং এর প্রতিটা ডকুমেন্টস রুহুল আমিন ভাই সাথে করে নিয়ে এসেছেন।

১. যৌতুক আসলে রুহুল আমিন ভাই চাননি, বরং উল্টো মণিষার পরিবারই রুহুল আমিনের কাছে যৌতুক চেয়েছে। বলেছে, মণিষাদের তিনতলা বাড়ির উপরে চতুর্থ তালাটা কমপ্লিট করে দিতে হবে রুহুল আমিনকে। রুহুল আমিনের তখন মাসিক বেতন মাত্র ২০ হাজার টাকা। তার বাবাও রিটায়ার্ড করেছেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। তার বাবার শেষ সম্বল পেনশনের টাকা দিয়ে মণিষাদের তিনতলা বাড়ির চতুর্থ তলাটা কমপ্লিট করে দেওয়া হয়। রুহুল আমিনের বাবা বিজিবিতে চাকুরী করতেন। রিটায়ার্ডের পর তিনি তার শেষ সম্বলটুকু এখানে খরচ করতে রাজি ছিলেন না। রুহুল আমিন সহ সবাই মিলে বহু কষ্টে তাকে রাজি করান।
তবে শর্ত ছিল শুধুমাত্র চতুর্থ তলার ভাড়ার টাকাটা রুহুল আমিনের পরিবার ভোগ করবে। কিন্তু কাজ কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পর মণিষারা আর ভাড়ার টাকা দেয় না, ভাড়া তুলে তুলে নিজেরা ভোগ করে। তখন প্রস্তাব দেওয়া হয়, চতুর্থ তলাটা কমপ্লিট করতে খরচ হওয়া ১১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে, সেটাও ওরা দেয় না। তখন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র চতুর্থ ফ্লোরটা রুহুল আমিন এবং মণিষা উভয়ের নামে যৌথভাবে দলিল করে দেওয়ার। সেই প্রস্তাবেও রাজি হয়নি মণিষার পরিবার।
অথচ মণিষারা ছিল মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবার। মণিষার বাবা ব্যাবসায়ী, এবং ঢাকা শহরের একজন বাড়িওয়ালা। মণিষার বড় ভাই জাপানে থাকে।

২. ফুডাপ্পি মণিষা তার স্বামী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতন এবং যৌতুকের মামলা দেয়, যার ফলে রুহুল আমিনকে জেল খাটতে হয়। অস্থায়ীভাবে জামিনে একবার বের হয়ে আসার পর, তাকে আবারও জেলে ঢুকানোর জন্য মিথ্যা নারী নির্যাতনের অভিযোগে থানায় জিডি করে ফুডাপ্পি মণিষা। কিন্তু প্রথম শো-তে মণিষা বলেছে সে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি। দিয়েছে মণিষার বাবা-মা। মামলার ব্যাপারে সে কিছুই জানত না। অথচ রুহুল আমিন যখন দ্বিতীয় শো-তে মামলা এবং জিডির সবগুলো কপি দেখায়, যেখানে প্রত্যেকটাতেই ফুডাপ্পি মণিষার সাইন আছে, তখন মণিষা এটা স্বীকার করে।

৩. ফুডাপ্পি মণিষা এবং তার ছেলেবন্ধু আকিলের গোপন চ্যাটিং একবার তার স্বামী রুহুল আমিন দেখে ফেলে। যেখানে রুহুল আমিনকে কিভাবে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানো হবে তার পুরো পরিকল্পনা নিয়ে মণিষা তার ছেলেবন্ধু আকিলের সাথে পরামর্শ করে। তখন রুহুল আমিন এই বিপদ থেকে বাঁচার জন্য আইনজীবির সাথে পরামর্শ করেন। ওই এলাকার কাউন্সিলরের সাথেও পরামর্শ করেন। এবং ডিভোর্সর কথা ভাবতে শুরু করেন। কারণ ডিভোর্সের পরে মিথ্যা মামলা দিলে, কিছুদিনের জন্য হাজতে আটকানো গেলেও শেষ পর্যন্ত সেটা টেকার সম্ভাবনা কম। জামিন নেওয়া সম্ভব। কিন্তু ডিভোর্সের আগে মামলা দিয়ে ফেললে, সহজে জামিন হয় না, জেল প্রায় নিশ্চিত।
যাই হোক, ডিভোর্স হয়, এবং মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলাও হয়। স্বামী রুহুল আমিন গ্রেফতার হন, এবং জেলও খাটেন, তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর জামিন হয়।
প্রয়োজন হলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার অধিকার ইসলাম দেয়, এবং দেশের আইনও দেয়। কিন্তু শো-তে কিবরিয়া ভাই বারবার বলতেছিল ডিভোর্স দেওয়াটা নাকি তার উচিত হয় নাই। যখন একজন স্বামী জেনে যায় যে তাকে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনা হচ্ছে, তখন বাঁচার জন্য একজন পুরুষের ডিভোর্স ছাড়া আর কী অপশন খোলা থাকে? ডিভোর্স দিয়ে সে শুধু তাঁর স্ত্রীকে হারাইলো, কিন্তু ডিভোর্স না দিলে সে আজকে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলায় জেলে থাকত, তখন সে বউ, বাচ্চা, বাবা, মা, ভাই, বোন, চাকরি-বাকরি সবই হারাইতো। আর যেই স্ত্রী সংসারে থেকে শ্বশুর শাশুড়ীর সাথে বেয়াদবি করছে, শুধু তাই না, গোপনে গোপনে তার ছেলেবন্ধুর সাথে পরামর্শ করছে যে স্বামীকে কিভাবে জেলের ভাত খাওয়ানো যায়, সেই স্ত্রীকে সংসারে রাখলেই বা এমন কী লাভ হত?

৪. ফুডাপ্পি মণিষা তার দ্বিতীয় স্বামীর সাথেও প্রতারণা করে। মণিষা ডিভোর্সী হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে পুনরায় বিয়ে করে। আমার মতে এটা অত্যন্ত অনৈতিক একটা কাজ। আর বাংলাদেশের দন্ডবিধি ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী এটা অপরাধ, যার শাস্তি ১০ বছরের জেল। তবে মণিষার দ্বিতীয় স্বামী অনেক দয়ালু মানুষ, তাই স্ত্রীর প্রতারণার ভিক্টিম হয়েও আইনের আশ্রয় নেন নাই।
রুহুল আমিন শো-তে সেই কাবিননামার কপিও দেখান। সুতরাং ফুডাপ্পির প্রথম শো-এর বক্তব্য মিথ্যা। ফুডাপ্পি বলেছিল সে নাকি তার দ্বিতীয় স্বামীকে তার সকল অতীত জানিয়েই তাকে বিয়ে করেছে।

৫. ফুডাপ্পি মণিষা প্রথম শো-তে বলেছিল যে রবীন্দ্র সরোবরে নাকি অনেক মানুষের সামনে তার স্বামী তাকে লাথি মেরেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় শো-তে যখন কিবরিয়া ভাই দুজনকেই জিজ্ঞেস করে যে আপনাদের দু'জনের মধ্যে কখনো মারামারি বা হাতাহাতি হয়েছে কিনা, মণিষা বলেছে যে হয় নাই।
এখন কোনটা সত্যি? আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে পাবলিক প্লেসে কেউ যদি কোন মহিলাকে লাথি মারে, পাবলিক কি তাকে ছেড়ে দেবে? রুহুল আমিনের দাবি এরকম কোন ঘটনা ঘটে নাই। কেউই প্রমাণ দিতে পারে নাই। তবে ফুডাপ্পি মণিষার অভিযোগ যথেষ্ট দুর্বল।

৬. ফুডাপ্পি মণিষা প্রথমদিন বলেছিল যে তার বাবা নাকি মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিল। কিন্তু রুহুল আমিন বলেন যে এটা সে মিথ্যা বলেছে। এবং মণিষা নিজেও দ্বিতীয় শো-তে এসে স্বীকার করে যে প্রথম শো-তে সে মিথ্যা বলেছিল। ফুডাপ্পি মণিষা এরকম আরও অসংখ্য মিথ্যা কথা তার প্রথম শো-তে বলেছিল, যেগুলো লিখতে গেলে লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে।

৭. রুহুল আমিন সন্তানের কথা ভেবে এখনো বিয়ে করেননি। কিন্তু মণিষা ডিভোর্সের পর দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেলে দ্বিতীয় স্বামীর বাচ্চাও গর্ভে ধারণ করে। এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে বাচ্চার কাস্টডি আদালত বাচ্চার বাবাকেই দেয়।

বাচ্চার মা কোন খরচ বহন করে না। সম্পূর্ণ ভরণপোষণের দায়িত্ব এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র বাচ্চার বাবাই বহন করে। তবুও বাচ্চার বাবা বাচ্চাকে নিয়মিত তার মায়ের সাথে দেখা করতে দেয়, কোন আপত্তি করে না। একদিন বাচ্চা তার মায়ের সাথে দেখা করে ফিরে এসে তাঁর বাবাকে বলছে "বাবা, মায়ের বাসায় আরেকটা বাবা আছে, মা বলেছে উনিই নাকি এখন থেকে আমার বাবা। ওই বাবাটা মাকে কোলে নিয়েছে। মণিষা তার বাচ্চাকে অন্য আরেকজন মানুষকে বাবা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, এবং এখন থেকে নিজের জন্ম দেওয়া সন্তান অন্য আরেকজনকে বাবা ডাকবে এটা রুহুল আমিন কোনভাবেই মেনে নিতে পারেন না। মণিষার আসল মতলবটা তাহলে কী সেটা নিয়ে সন্দেহও তৈরী হয়।

এরই মধ্যে একবার বাচ্চাকে অপহরণের চেষ্টাও করা হয়, পরিকল্পনা হচ্ছে ফুডাপ্পি মণিষা তার জাপানে থাকা ভাইয়ের সহায়তায় বাচ্চাকে নিয়ে জাপানে চলে যাবে। বাচ্চাকে আর কখনো ফেরত দেবে না, বাচ্চাকে তার বাবার সাথে দেখাও করতে দেবে না। এলাকার গুন্ডাপান্ডা দিয়ে বাচ্চাকে তার দাদীর কোল থেকে কেড়ে নিয়ে অপহরণ করে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক ঝামেলার পর বাচ্চাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু প্রাক্তন স্ত্রী মণিষার এই বিশ্বাসঘাতকতা এবং অপহরণের ঘটনার পর থেকে বাচ্চার বাবা রুহুল আমিন আর মণিষাকে আগের মত বিশ্বাস করতে পারে না। তাই মণিষাকে বলে এখন থেকে বাচ্চার সাথে দেখা করতে চাইলে আমাদের বাড়িতে এসে দেখা করতে হবে। কিন্তু কয়েকবার বাড়িতে দেখা করার পর, বাচ্চাকে আবারও বাহিরে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বাচ্চার বাবা থানায় ইনফর্ম করার শর্তে বাচ্চাকে বাহিরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। কিন্তু ফুডাপ্পি মণিষা এই শর্ত মানতে রাজি না। এখন সে দুই বছর ধরে বাচ্চার সাথে দেখাও করে না, ফোন করেও বাচ্চার কোন খোঁজখবর নেয় না।

প্রথম শো-তে ফুডাপ্পি মণিষা বলেছিল বাচ্চাকে দেখতে দেওয়া হয় না। অথচ দ্বিতীয় শো-তে বাচ্চার সাথে মণিষা বসে গল্প করছে এরকম অনেকগুলো ছবি রুহুল আমিন সাথে করে নিয়ে এসেছেন। পরে মণিষাও স্বীকার করে যে দেখা করতে দেওয়া হয়, কিন্তু পাহাড়া দিয়ে, যাতে আগেরবারের মত বাচ্চাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে, বাচ্চাকে তাঁর বাবার কাছ থেকে আলাদা করতে না পারে। তাহলে প্রথমদিন মণিষা ওই মিথ্যা কথাটা কেন বলল?

এইবার দেখা যাক কার কতটা লাভ এবং কার কতটা ক্ষতি হল।

ফুডাপ্পি মণিষা এবং তার পরিবার মিলে রুহুল আমিনের বাবার পেনশনের ১১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করল। এই এগারো লক্ষ টাকায় মণিষাদের বাড়ির চতুর্থ তলাটা ফ্রীতেই কমপ্লিট হয়ে গেল। এখন সেখান থেকে মাসে মাসে ভাড়া পাচ্ছে মণিষারা। বিনা ইনভেস্টমেন্টে বিজনেস। মণিষা নতুন একটা স্বামী পেল, নতুন সংসার হল, বাচ্চাকাচ্চা হল। বিয়ের সময় আলোচনা সাপেক্ষে কাবিন নির্ধারিত হয়েছিল ১ লক্ষ টাকা। যেখানে ছেলের মাসিক বেতন মাত্র ২০ হাজার টাকা। যা কাবিননামা সুস্পষ্টভাবে লেখা ছিল। কিন্তু তবুও পরবর্তীতে কনেপক্ষ থেকে (মূলত মণীষার মায়ের পরামর্শে) কাবিনের নামে ৫ লক্ষ টাকা আদায়ের একটা চেষ্টা করা হয়। স্বামীকে মিথ্যা যৌতুক এবং নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়ে জেলের ভাত খাওয়ানোর যে খায়েশ ছিল সেই খায়েশও পূরণ হয় মণিষার। আবার এইসব নিয়ে কিছুটা সত্য কিছুটা মিথ্যা মিশিয়ে গল্প বানিয়ে ক্যামেরার সামনে এসে কান্নাকাটি করে সেগুলো প্রচার করে মানুষের সহানুভূতিও আদায় করে। এগুলো বিক্রি প্রচুর ভিউজ হয়, প্রচুর ফ্যান ফলোয়ারও হয়। ফুডাপ্পির একটা খায়েশ শুধু পূরণ হয় নাই, সেটা হচ্ছে বাচ্চাটাকে কোনভাবে তার বাবার কাছে থেকে সরিয়ে একবার জাপান নিয়ে যাওয়া। যাতে বাচ্চাটাকে তাঁর বাবার কাছ থেকে চিরতরে আলাদা করে ফেলা যায়।

অন্যদিকে বাচ্চাটা আর তার বাবা রুহুল আমিনের কী কী ক্ষতি হল দেখেন। রুহুল আমিনের বাবার সারাজীবনের চাকরি করে জমানো শেষ সম্বল পেনশনের ১১ লক্ষ টাকা হারাতে হল। রুহুল আমিনের নিজেকে জেল খাটতে হল তার স্ত্রীর কারণে। ডিভোর্স হল। রুহুল আমিন তার স্ত্রীকে হারালো, তাঁর সন্তান হারালো মাকে। ৭ বছর ধরে রুহুল আমিনকে সিঙ্গেল অবস্থায় জীবনযাপন করতে হচ্ছে শুধুমাত্র তাঁর সন্তানের মঙ্গলের কথা ভেবে।

খালিদ এম তন্ময়
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

এই লেখাটির তথ্যসূত্র হচ্ছে ফুডাপ্পি নামে পরিচিত ফাবিহা হাসান মণিষা এবং তার প্রথম স্বামী রুহুল আমিনকে নিয়ে করা আরজে কিবরিয়ার দুইটি শো। শো দুইটি আরজে কিবরিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা আছে, যার লিঙ্ক কমেন্টে দেওয়া হয়েছে। পুরো ভিডিওটি দেখে আমার লেখাটির সত্যতা যাচাই করে নিন। কোথাও কোন অসঙ্গতি চোঁখে পড়লে দয়া করে ধরিয়ে দিন।"

=========================================================