AMIN

AMIN ��� FEEL THE TRUTH ���
(7)

11/12/2023

প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে যদি একে অপরকে সাক্ষী রেখে কবুল করে নেয় তাহলে কি বিয়ে হয়ে যাবে?

#কোরআন
#হাদিস
#আমল
#দোয়া
#ইবাদত
#আমিন

04/12/2023

মসজিদ কি আল্লাহর ঘর?

#কাউকে_শায়খ_বলা_যাবে_কি_না।

30/11/2023

কোন পরিবারের কর্তা যদি হারাম উপার্জন করে তাহলে ঐ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের ইবাদত কবুল হবে কিনা?

#হারাম
#হালাল
#ইবাদত
#উপার্জন
#পরিবার

29/11/2023

দু'আঃ #ক্ষমা_একনিষ্ঠতা_এবং_বিজয়_প্রার্থনা
[ সূরা আল-ইমরান, ৩ : ১৪৭ ]
আরাবী উচ্চারণঃ
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَاِسْرَافَنَا فِىْۤ اَمْرِنَا وَثَبِّتْ اَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكٰفِرِيْنَ ۞
বাংলা উচ্চারণঃ
রব্বানা-গফিরলানা- যুনু-বানা- ওয়া ইসর-ফানা-ফী~ আমরী না- ওয়া ছাব্বাত আক্বদা-মানা-ওয়াংছুরনা- আ'লাল ক্বওমীল কা-ফিরীন۞

বাংলা অর্থঃ
হে আমাদের রব, আমাদের পাপ ও আমাদের কর্মে আমাদের সীমালঙঘন ক্ষমা করুন এবং আমাদের দৃঢ়পদ রাখুন, আর কাফির কওমের উপর আমাদেরকে সাহায্য করুন।

28/11/2023

ফ্রিলান্সিং হালাল না হারাম?

#ফ্রিলান্সিং
#হালাল
#হারাম?

27/11/2023

নামায কে নিয়মিত করার করণীয় কি?

#আমি_নামাযের_ব্যাপারে_প্রচুর_অনিয়মিত_এখন_নামাযকে_নিয়মিত_করার_জন্য_কি_কাজ_করতে_পারি।

26/11/2023

#ক্ষমা_এবং_জাহান্নাম_হতে_মুক্তি_চাওয়ার_দোয়া
[ সূরা আল-ইমরান, ৩ : ১৬ ]

رَبَّنَاۤ اِنَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغْفِرْلَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ۞
আরাবী উচ্চারণঃ রব্বানা~ইন্নানা~আ-মান্না-ফা-গফিরলানা-যুনু-বানা-ওয়া-ফা-গফিরলানা-যুনু-বানা-ওয়া কিনা- আ'যা-বান্না~র۞

বাংলা অর্থঃ হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমরা ঈমান আনলাম। অতএব, আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।

25/11/2023

আদম (আঃ) এর সাথে মুসা (আঃ) এর বিতর্ক,,,


#মুসা_আঃ

24/11/2023

জান্নাতের ১০ টি জিকির
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

#জিকির -১
প্রতিদিন ১০০ বার সুবহান আল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়। [সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩]

#জিকির -২
‘আলহামদুলিল্লাহ’ মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোআ’। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]

#জিকির -৩
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সর্বোত্তম যিকর। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]

#জিকির -৪
‘সুবহান আল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর’ এই কালিমাগুলি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী (সঃ) বলেনঃ পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়। [ সহীহ মুসলিম -৩/১৬৮৫, ৪/২০৭২]

#জিকির -৫
যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমান (সগীরা) গুনাহ থাকলে ও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। [সহীহ আল-বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭১]

#জিকির -৬
নবী (সঃ) বলেনঃ ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহী সুবহানাল্লিল আযীম’ এই কালীমাগুলি জিহ্বায় উচ্চারনে সহজ , মীযানের পাল্লায় ভারী ,দয়াময় আল্লাহর নিকট প্রিয় । [সহিহ আল- বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭২]

#জিকির -৭
যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আযীমি ওয়াবি হামদিহী’ পাঠ করবে প্রতিবারে তার জন্য জান্নাতে একটি করে (জান্নাতী) খেজুর গাছ রোপন করা হবে । [আত-তিরমিযী-৫/৫১১,আল-হাকীম-১/৫০১, সহীহ আল-জামে’-৫/৫৩১, সহীহ আত-তিরমিজী-৩/১৬০]

#জিকির -৮
নবী (সঃ) বলেনঃ ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্যে একটি গুপ্তধন। [ সহীহ আল-বুখারী -১১/২১৩, সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৬]

#জিকির -৯
নবী (সঃ) বলেনঃ ‘সুবহান আল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ এই কালীমাগুলি হচ্ছে “অবশিষ্ট নেকআ’মল সমুহ” । [ আহমাদ (সহীহ)-৫১৩, মাজমাউজ জাওয়াঈদ-১/২৯৭ ]

#জিকির -১০
নবী (সঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআ’লা তার প্রতি দশ বার রহমত বর্ষন করবেন- “আল্লাহুম্মা সাল্লি ’আলা মুহাম্মাদিঁওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা সাল্লায়তা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা ’আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ আল্লাহুম্মা বারিক ’আলা মুহাম্মাদিঁওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা বারাকতা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা ’আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ এবং তিনি (সঃ) আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দুরুদ পাঠ করবে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত পাবে ।” [তাবারানী, মাজময়াউজ জাওয়াঈদ-১০/১২০, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব-১/২৭৩]

23/11/2023

🚫বয়কট ইজরাইলি পণ্য....❌❌❌







21/11/2023

মূর্খতা বেড়ে যাবে, বিদ্যা উঠে যাবে,,,

#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

20/11/2023

নবীজি (সঃ) বলেছেন সকল রোগের মহাঔষধ ৫টি খাবার,,,

#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

19/11/2023

জায়নামাজে কাবা শরীফের ছবি থাকলে সেই জায়নামাজে নামায পড়া যাবে কি না?

#রাতে_দুধ_প্রাণ_করা_যাবে_কিনা
#বাচ্চা_ছেলে_মেয়ের_প্রস্রাব_গায়ে_লাগলে_নামায_পড়া__যাবে_কিনা
#বেতেরের_নামাযের_পর_কি_কাযা_ফরয_নামায_পড়া___যাবে
#চুল_না_ভিজিয়ে_গোসল_করলে_কি_ওযু_ও_গোসল_শুদ্ধহবে_______

15/11/2023

#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

দু'আ: ক্ষমা প্রার্থনা [ সূরা বাকারা, ২ : ২৮৫ ]

غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَيْكَ الْمَصِيْرُ ۞

হে আমাদের রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল।

15/11/2023

আত্মা কে পরিশুদ্ধ করার উপায় কি?

#আত্মা #পরিশুদ্ধ #উপায়

#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

 #কালিমা_তাইয়্যিবাহ  #কালিমা_শাহাদাৎ  #কালিমা_তাওহীদ   #কালিমা_তামজীদ  #কালিমা_রদ্দিকুফর #কোরআন  #হাদিস  #আমল  #দোয়া  #ই...
14/11/2023

#কালিমা_তাইয়্যিবাহ #কালিমা_শাহাদাৎ #কালিমা_তাওহীদ #কালিমা_তামজীদ #কালিমা_রদ্দিকুফর

#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

08/11/2023

দাজ্জালের সাথে কথোপকথন,,,
#দাজ্জাল #কথোপকথন
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

07/11/2023

চিন্তামুক্ত থাকার উপায়!!!

#কিভাবে_টেনশন_ফ্রি_লাইফলীড_করব
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

06/11/2023

পাপ কাজ জাহেলী যুগের স্বভাব!
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন
‘আবদুর রহমান ইবনুল মুবারক (রহঃ) ... আহনাফ ইবনু কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (সিফফীনের যুদ্ধে) এ ব্যক্তিকে [আলী (রাঃ)-কে] সাহায্য করতে যাচ্ছিলাম। আবূ বাক্‌রা (রাঃ)-এর সাথে আমার সাক্ষাত হলে তিনি বললেনঃ ‘তুমি কোথায় যাচ্ছে?’ আমি বললাম, ‘আমি এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে যাচ্ছি। তিনি বললেনঃ ‘ফিরে যাও। কারন আমি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, দু’জন মুসলমান তাদের তরবারি নিয়ে মুখোমুখি হলে হত্যাকারী এবং নিহত ব্যক্তি উভয়ে জাহান্নামে যাবে। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! এ হত্যাকারী (তো অপরাধী), কিন্তু নিহত ব্যক্তির কি অপরাধ? তিনি বললেন, (নিশ্চয়ই) সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার জন্য উদগ্রীব ছিল।

আর শির্‌ক ব্যতীত অন্য কোন গুনাহ্‌তে লিপ্ত হওয়াতে ঐ পাপীকে কাফির বলা যাবে না। যেহেতু নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [আবূ যার (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে] বলেছেনঃ তুমি এমন ব্যক্তি, তোমার মধ্যে জাহিলী যুগের অভ্যাস রয়েছে। আর আল্লাহর বাণীঃ

আল্লাহ্ তাঁর সাথে অংশীদার স্থাপন করার গুনাহ ক্ষমা করেন না। এছাড়া অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। (সূরা আন-নিসাঃ ৪৮)

05/11/2023

জীবন সঙ্গিনী নির্বাচনে সালাউদ্দিন আইয়ুবীর বাবার আদর্শ,,,
#জীবন #নির্বাচন #সালাউদ্দিন_আইয়ুবী #আদর্শ
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

04/11/2023

বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর যে ৩ টি কাজ করতে হবে!!!
#বাচ্চা #জন্ম #কাজ
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

03/11/2023

জন্ম,,, মৃত্যু,,, বিয়ে,,,
#জন্ম #মৃত্যু #বিয়ে
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

02/11/2023

ইসলাম গ্রহন যদি খাঁটি না হয় বরং বাহ্যিক আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য বা হত্যার ভয়ে হয়,,,
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন
আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল লোককে কিছু দান করলেন। সা’দ (রাঃ) সেখানে বসা ছিলেন। সা’দ (রাঃ) বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের এক ব্যাক্তিকে কিছু দিলেন না। সে ব্যাক্তি আমার কাছে তাদের চেয়ে অধিক পছন্দনীয় ছিল। তাই আমি বললাম, ইয়া রাসূলল্লাহ্‌! অমুক ব্যাক্তিকে আপনি বাদ দিলেন কেন? আল্লাহ্‌র কসম! আমিতো তাকে মু’মিন বলেই জানি। তিনি বললেনঃ (মু’মিন) না মুসলিম? তখন আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। তারপর আমি তার সম্পর্কে যা জানি, তা প্রবল হয়ে উঠল। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম, আপনি অমুককে দানের ব্যপারে বিরত রইলেন?

আল্লাহ্‌র কসম! আমিতো তাকে মু’মিন বলেই জানি। তিনি বললেনঃ ‘না মুসলিম?’ তখন আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। তারপর তার সম্পর্কে যা জানি তা প্রবল হয়ে উঠল। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবারও সেই জবাব দিলেন। তারপর বললেনঃ ‘সা’দ! আমি কখনো ব্যাক্তি বিশেষকে দান করি, অথচ অন্য লোক আমার কাছে তার চাইতে বেশি প্রিয়। তা এ আশঙ্কায় যে (সে ঈমান থেকে ফিরে যেতে পারে পরিণামে), আল্লাহ্ তা’আলা তাকে অধোমুখে জাহান্নামে ফেলে দেবেন।
এ হাদীস ইউনুস, সালিহ, মা’মার এবং যুহরী (রহঃ)-এর ভাতিজা যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।

তবে তাঁর ইসলাম গ্রহণ মহান আল্লাহর এ বাণী অনুযায়ী হবেঃ

‘‘আরব মরুবাসীরা বলে, আমরা ঈমান আনলাম; আপনি বলে দিন, তোমরা ঈমান আন নি; বরং তোমরা বল, ‘আমরা বাহ্যত মুসলিম হয়েছি। (সূরা হুজরাতঃ ১৪)

আর ইসলাম গ্রহণ খাঁটি হলে তা হবে আল্লাহ্ তা‘আলার এ বাণী অনুযায়ীঃ ‘‘নিশ্চয়ই ইসলাম আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন’’- (সূরাহ্ আলে ‘ইমরানঃ ১৯)।

02/11/2023

বিয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখা জরুরী,,,
#বিয়ে #খেয়াল #জরুরী
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

01/11/2023

ঈমান আমলেরই নাম,,,
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন
আহমদ ইবনু ইউনুস ও মূসা ইবনু ইসমা’ঈল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘কোন্ আমলটি উত্তম?’ তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের ওপর ঈমান আনা। প্রশ্ন করা হল, তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদ করা। প্রশ্ন করা হল, তারপর কোনটি। তিনি বললেনঃ মকবূল হাজ্জ (হজ্জ)।

আল্লাহ্ তা‘আলার এ বাণীর পরিপ্রেক্ষিতেঃ

এটাই জান্নাত, তোমাদেরকে যার অধিকারী করা হয়েছে তোমাদের কর্মের ফলস্বরূপ। (সূরা যুখরুফঃ ৭২)

সুতরাং কসম আপনার রবের। আমি তাদের সবাইকে প্রশ্ন করবই সে বিষয়ে, যা তারা করে- (সূরাহ্ হিজরঃ ৯০)। আল্লাহ তা'আলার এ বাণী সম্পর্কে আলিমদের এক দল বলেন, এর স্বীকারোক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।

আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ

এরূপ সাফল্যের জন্য ‘আমলকারীদের উচিত ‘আমাল করা। (সূরাহ্ সাফফাতঃ ৬১)

29/10/2023

কি কি কারণে বা কি কি কথা বললে স্ত্রী তালাক হয়!!!
#স্ত্রী #তালাক
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

27/10/2023

ইসলামে কোন কাজটি উত্তম?
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন
সা’ঈদ ইবনু ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ আল উমাবী আল কুরাশী (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইসলামে কোন্ কাজটি উত্তম? তিনি বললেনঃ যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে।

26/10/2023

সবচেয়ে দামী সম্পদ কি?
#সম্পদ
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

25/10/2023

কতদিনে গর্ভপাত বা বাচ্চা নষ্ট করা জায়েজ আছে?
#গর্ভপাত #বাচ্চা #নষ্ট #জায়েজ
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

24/10/2023

৪০ দিনের বেশি নাভির নিচের লোম পরিস্কার না করলে নামায হবে কি?

21/10/2023

ফিলিস্থিন প্রসঙ্গ!!!

#ফিলিস্থিন

17/10/2023

বাথরুমে উলঙ্গ হয়ে গোসল বা ওযু করা যাবে কি?
#বাথরুম #গোসল #ওযু #কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

15/10/2023

প্রকৃত মুসলিম সে-ই, যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে....
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন
আদম ইবনু ইয়াস (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, প্রকৃত মুসলিম সে-ই, যার জিহ্বা ও হাত থেকে সকল মুসলিম নিরাপদ থাকে এবং প্রকৃত মুহাজির সে-ই, যে আল্লাহ্ তা’আলার নিষিদ্ধ কাজ ত্যাগ করে।

আবূ আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আবূ মু’আবিয়া (রহঃ) বলেছেন, আমার কাছে দাউদ ইবনু আবূ হিন্দ (রহঃ) আমির (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন যে, আমি আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি এবং আবদুল আ’লা (রহঃ) দাউদ (রহঃ) থেকে, দাউদ (রহঃ) আমির (রহঃ) থেকে, আমির (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

14/10/2023

ঈমানের বিষয়সমূহঃ

আবদুল্লাহ ইবনু জু’ফী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ঈমানের শাখা রয়েছে ষাটের কিছু বেশি। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।

আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফেরানোতে কোন কল্যাণ নেই; কিন্তু কল্যাণ আছে কেউ ঈমান আনলে আল্লাহ তা'আলার উপর, আখিরাত, ফেরেশতাগণ, কিতাবসমূহ ও নবীগণের উপর ঈমান আনলে এবং আল্লাহ্‌র মুহাব্বতে আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম, অভাভগ্রস্থ, মুসাফির, সাহায্য-প্রার্থীদের এবং দাসত্ব মোচনের জন্য সম্পদ দান করলে, সালাত কায়িম করলে ও যাকাত দিলে এবং ওয়াদা দিয়ে তা পূরণ করলে, অর্থসংকটে, দুঃখ-কষ্টে ও যুদ্ধকালে ধৈর্য ধারণ করলে। তারাই সত্যপরায়ণ, ও তারা মুত্তাকী’’- (২ঃ ১৭৭)। (... ‘‘অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মু'মিনগণ, যারা বিনয়-নম্র নিজেদের সালাতে ... (২৩ঃ ১–২)

12/10/2023

রাসুলল্লাহ (সাঃ) এর বানীঃ ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি

৭। উবায়দুল্লাহ্ ইবনু মূসা (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি।

১। আল্লাহ্ ছাড়া ইলাহ্ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মদ আল্লাহ্‌র রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য দান।
২। সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করা
৩। যাকাত দেওয়া
৪। হাজ্জ (হজ্জ) করা এবং
৫। রামাদান এর সিয়াম পালন করা।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণীঃ ইসলামের ভিত্তি পাঁচটিঃ মৌখিক স্বীকৃতি (ইয়াকীনসহ) এবং কর্মই ঈমান এবং তা বাড়ে ও কমে। আল্লাহ্‌ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ যাতে তারা তাদের ঈমানের সাথে ঈমান দৃঢ় করে নেয় (৪৮ : ৪)। আমরা তাদের সৎ পথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। (১৮ঃ ১৩)। এবং যারা সৎপথে চলে আল্লাহ্‌ তাদের অধিক হেদায়াত দান করেন (১৯ঃ ৭৬)। এবং যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ্‌ তাদের অধিক হেদায়াত বাড়িয়ে দেন এবং তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দেন (৪৭ঃ ১৭), যাতে মু'মিনদের ঈমান বেড়ে যায় (৭৪ঃ ৩১)। আল্লাহ্‌ তা'আলা আরো ইরশাদ করেন, এটা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান বাড়িয়ে দিল? যারা মু'মিন এ তো তাদের ঈমান বাড়িয়ে দেয়। (৯ঃ ১২৪) এবং তাঁর বাণীঃ সুতরাং তোমরা তাদের ভয় কর; আর এটা তাদের ঈমান বাড়িয়ে দিয়েছিল" (৩ঃ ২৭৩)। আর এতে তাদের ঈমান ও আনুগত্য বাড়লো।" (৩৩ঃ ২২)। আর আল্লাহ্‌র জন্য ভালবাসা ও আল্লাহ্‌র জন্য ঘৃণা করা ঈমানের অংশ।

উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) আদী ইবনু আদী (রহঃ) এর কাছে এক পত্রে লিখেছিলেন, ‘ঈমানের কতকগুলো ফরয, কতকগুলো হুকুম-আহকাম, বিধি-নিষেধ এবং সুন্নাত রয়েছে। যে এগুলো পরিপূর্ণরূপে আদায় করে তার ঈমান পূর্ণ হয়। আর যে এগুলো পূর্ণভাবে আদায় করে না, তার ঈমান পূর্ণ হয় না। আমি যদি বেঁচে থাকি তবে অচিরেই এগুলো তোমাদের নিকট বর্ণনা করব, যাতে তোমরা তার উপর ‘আমল করতে পার। আর যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে জেনে রাখ, তোমাদের সাহচর্যে থাকার জন্য আমি লালায়িত নই।

ইবরাহীম (‘আ.) বলেন, ‘তবে এ তো কেবল চিত্ত প্রশান্তির জন্য’- (২ঃ ২৬০)। মু‘আয (রাঃ) বলেন, ‘এসো আমাদের সঙ্গে বস, কিছুক্ষণ ঈমানের আলোচনা করি।’ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, ‘ইয়াকীন হল পূর্ণ ঈমান।’ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, ‘বান্দা প্রকৃত তাকওয়ায় পৌঁছতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে, মনে যে বিষয় সন্দেহের সৃষ্টি করে, তা পরিত্যাগ না করে।’ মুজাহিদ (রহঃ) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, অর্থাৎ হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি আপনাকে এবং নূহকে একই ধর্মের আদেশ করেছি। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, অর্থাৎ পথ ও পন্থা—এবং তোমাদের দু'আ অর্থাৎ তোমাদের ঈমান।

10/10/2023

রসুলুল্লাহ(সাঃ) এর প্রতি কিভাবে ওহী শুরু হয়েছিল...
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন
হাদিস নং-৬
৬। আবূল ইয়ামান হাকাম ইবনু নাফি (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবূ সুফিয়ান ইবনু হরব তাকে বলেছেন, বাদশাহ হিরাকল একবার তাঁর কাছে লোক পাঠালেন। তিনি কুরাইশদের কাফেলায় তখন ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। সে সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ সুফিয়ান ও কুরাইশদের সাথে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সন্ধিবদ্ধ ছিলেন। আবূ সুফিয়ান তার সঙ্গীদের সহ হিরাকলের কাছে এলেন এবং তখন হিরাকল জেরুযালেমে অবস্থান করছিলেন। হিরাকল তাদেরকে তাঁর নিকটে ডাকলেন। তার পাশে তখন রোমের নেত্রীস্থানীয় ব্যাক্তিগন উপস্থিত ছিল। এরপর তাদের কাছে ডেকে নিলেন এবং দোভাষীকে ডাকলেন।

তারপর জিজ্ঞাসা করলেন, এই যে ব্যাক্তি নিজেকে নাবী বলে দাবী করে — তোমাদের মধ্যে বংশের দিক দিয়ে তাঁর সবচেয়ে নিকটাত্মীয় কে? আবূ সুফিয়ান বললেন, আমি বললাম, বংশের দিক দিয়ে আমিই তাঁর নিকটাত্মীয়। তিনি বললেন, তাঁকে আমার খুব কাছে নিয়ে এস এবং তাঁর সঙ্গীদেরও কাছে এনে পেছনে বসিয়ে দাও। এরপর তাঁর দোভাষীকে বললেন, তাদের বলে দাও, আমি এর কাছে সে ব্যাক্তি সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করবো, সে যদি আমার কাছে মিথ্যা বলে, তবে সাথে সাথে তোমরা তাকে মিথ্যাবাদী বলে প্রকাশ করবে। আবূ সুফিয়ান বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে প্রচার করবে-এ লজ্জা যদি আমার না থাকত, তবে অবশ্যই আমি তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা বলতাম।

এরপর তিনি তাঁর সম্পর্কে আমাকে প্রথম প্রশ্ন যে করেন তা হচ্ছে, তোমাদের মধ্যে তাঁর বংশমর্যাদা কেমন?’ আমি বললাম, তিনি আমাদের মধ্যে অতি সম্ভ্রান্ত বংশের। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে এর আগে আর কখনো কি কেউ একথা বলেছে? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাঁর বাপ-দাদাদের মধ্যে কি কেউ বাদশাহ ছিলেন? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তারা কি সংখ্যায় বাড়ছে, না কমছে? আমি বললাম, তারা বেড়েই চলেছে। তিনি বললেন, তাঁর দ্বীন গ্রহণ করার পর কেউ কি নারায হয়ে তা পরিত্যাগ করে? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, নবূয়তের দাবীর আগে তোমরা কি কখনো তাঁকে মিথ্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছ? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তিনি কি চুক্তি ভঙ্গ করেন?’ আমি বললাম, না। তবে আমরা তাঁর সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সময়ের চুক্তিতে আবদ্ধ আছি। জানিনা, এর মধ্যে তিনি কি করবেন।

আবূ সুফিয়ান বলেন, এ কথাটুকু ছাড়া নিজের পক্ষ থেকে আর কোন কথা সংযোজনের সুযোগই আমি পাইনি। তিনি বললেন, তোমরা কি তাঁর সাথে কখনো যুদ্ধ করেছ?’ আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, তাঁর সঙ্গে তোমাদের যুদ্ধ কেমন হয়েছে?’ আমি বললাম, তাঁর ও আমাদের মধ্যে যুদ্ধের ফলাফল কুয়ার বালতির ন্যায়। কখনো তাঁর পক্ষে যায়, আবার কখনো আমাদের পক্ষে আসে। ’ তিনি বললেন, তিনি তোমাদের কিসের আদেশ দেন?’ আমি বললাম, তিনি বলেনঃ তোমরা এক আল্লাহ্‌র ইবাদত কর এবং তাঁর সঙ্গে কোন কিছুর শরীক করো না এবং তোমাদের বাপ-দাদার ভ্রান্ত মতবাদ ত্যাগ কর। আর তিনি আমাদের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করার, সত্য কথা বলার, নিষ্কলুষ থাকার এবং আত্মীয়দের সাথে সদ্ব্যবহার করার আদেশ দেন।

তারপর তিনি দোভাষীকে বললেন, তুমি তাকে বল, আমি তোমার কাছে তাঁর বংশ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তুমি তার জওয়াবে উল্লেখ করেছ যে, তিনি তোমাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত বংশের। প্রকৃতপক্ষে রাসূল গণকে তাঁদের কওমের উচ্চ বংশেই প্রেরণ করা হয়ে থাকে। তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি, এ কথা তোমাদের মধ্যে ইতিপূর্বে আর কেউ বলেছে কিনা? তুমি বলেছ, না। তাই আমি বলছি যে, আগে যদি কেউ এ কথা বলে থাকত, তবে অবশ্যই আমি বলতে পারতাম, এ এমন ব্যাক্তি, যে তাঁর পূর্বসূরীর কথারই অনুসরণ করছে। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি, তাঁর পূর্বপুরুষের মধ্যে কোন বাদশাহ ছিলেন কি না? তুমি তার জবাবে বলেছ, না। তাই আমি বলছি যে, তাঁর পূর্বপুরুষের মধ্যে যদি কোন বাদশাহ থাকতেন, তবে আমি বলতাম, ইনি এমন এক ব্যাক্তি যিনি তাঁর বাপ-দাদার বাদশাহী ফিরে পেতে চান।

আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি- এর আগে কখনো তোমরা তাঁকে মিথ্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছ কি না? তুমি বলেছ, না। এতে আমি বুঝলাম, এমনটি হতে পারে না যে, কেউ মানুষের ব্যাপারে মিথ্যা ত্যাগ করবে অথচ আল্লাহ্‌র ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলবে। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি, শরীফ লোক তাঁর অনুসরন করে, না সাধারণ লোক? তুমি বলেছ, সাধারণ লোকই তাঁর অনুসরণ করে। আর বাস্তবেও এরাই হন রাসূল গণের অনুসারী। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি, তারা সংখ্যায় বাড়ছে না কমছে? তুমি বলেছ বাড়ছে। প্রকৃতপক্ষে ঈমানে পূর্ণতা লাভ করা পর্যন্ত এ রকমই হয়ে থাকে। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি, তাঁরা দ্বীনে দাখিল হওয়ার পর নারায হয়ে কেউ কি তা ত্যাগ করে? তুমি বলেছ, না। ঈমানের স্নিগ্ধতা অন্তরের সাথে মিশে গেলে ঈমান এরূপই হয়। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি তিনি চুক্তি ভঙ্গ করেন কি না? তুমি বলেছ, না। প্রকৃতপক্ষে রাসূলগণ এরূপই, চুক্তি ভঙ্গ করেন না।

আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি তিনি তোমাদের কিসের নির্দেশ দেন। তুমি বলেছ, তিনি তোমাদের এক আল্লাহ্‌র ইবাদত করা ও তাঁর সাথে অন্য কিছুকে শরীক না করার নির্দেশ দেন। তিনি তোমাদের নিষেধ করেন মূর্তিপূজা করতে আর তোমাদের আদেশ করেন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে, সত্য কথা বলতে ও কলুষমুক্ত থাকতে। তুমি যা বলেছ তা যদি সত্য হয়, তবে শীঘ্রই তিনি আমার এ দু’পায়ের নীচের জায়গার মালিক হবেন। আমি নিশ্চিত জানতাম, তাঁর আবির্ভাব হবে; কিন্তু তিনি যে তোমাদের মধ্যে থেকে হবেন, এ কথা ভাবিনি। যদি জানতাম, আমি তাঁর কাছে পৌঁছাতে পারব, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য আমি যে কোন কষ্ট স্বীকার করতাম। আর আমি যদি তাঁর কাছে থাকতাম তবে অবশ্যই তাঁর দু’খানা পা ধুয়ে দিতাম। এরপর তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই পত্রখানি আনতে বললেন, যা তিনি দিহয়াতুল কালবীর মাধ্যমে বসরার শাসকের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তিনি তা পাঠ করলেন। তাতে লেখা ছিলঃ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে)। আল্লাহ্‌র বান্দা ও তাঁর রাসুল মুহাম্মদএর পক্ষ থেকে রোম সম্রাট হিরাকল এর প্রতি। --শান্তি (বর্ষিত হোক) তার প্রতি, যে হিদায়াতের অনুসরণ করে। তারপর আমি আপনাকে ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি। ইসলাম গ্রহণ করুন, নিরাপদে থাকবেন। আল্লাহ্ আপনাকে দ্বিগুণ পুরষ্কার দান করবেন। আর যদি মুখ ফিরিয়ে নেন, তবে সব প্রজার পাপই আপনার উপর বর্তাবে। হে আহলে কিতাব! এস সে কথার দিকে, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই; যেন আমরা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কারো ইবাদত না করি, কোন কিছুকেই তাঁর শরীক না করি এবং আমাদের কেউ কাউকে আল্লাহ্ ব্যতীত রব রূপে গ্রহণ না করি। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলো, তোমরা সাক্ষী থাক, আমরা মুসলিম’ (৩:৬৪)।

আবূ সুফিয়ান বলেন, হিরাকল যখন তাঁর বক্তব্য শেষ করলেন এবং পত্র পাঠও শেষ করলেন, তখন সেখানে শোরগোল পড়ে গেল, চীৎকার ও হৈ-হল্লা তুঙ্গে উঠল এবং আমাদের বের করে দেওয়া হল। আমাদের বের করে দিলে আমি আমার সঙ্গীদের বললাম, আবূ কাবশার ছেলের বিষয়তো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, বনূ আসফার (রোম)-এর বাদশাহও তাকে ভয় পাচ্ছে। তখন থেকে আমি বিশ্বাস করতে লাগলাম, তিনি শীঘ্রই জয়ী হবেন। অবশেষে আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে ইসলাম গ্রহণের তওফীক দান করলেন।

ইবনু নাতূর ছিলেন জেরুযালেমের শাসনকর্তা এবং হিরাকলের বন্ধু ও সিরিয়ার খৃষ্টানদের পাদ্রী। তিনি বলেন, হিরাকল যখন জেরুযালেম আসেন, তখন একদিন তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। তাঁর একজন বিশিষ্ট সহচর বলল, আমরা আপনার চেহারা আজ বিবর্ণ দেখতে পাচ্ছি, ইবনু নাতূর বলেন, হিরাকল ছিলেন জ্যোতিষী, জ্যোতির্বিদ্যায় তাঁর দক্ষতা ছিল। তারা জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাদের বললেন, আজ রাতে আমি তারকারাজির দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম, খতনাকারীদের বাদশাহ আবির্ভূত হয়েছেন। বর্তমান যুগে কোন্ জাতি খতনা করে?’ তারা বলল, ইয়াহূদী ছাড়া কেউ খতনা করে না। কিন্তু তাদের ব্যাপার যেন আপনাকে মোটেই চিন্তিত না করে। আপনার রাজ্যের শহরগুলোতে লিখে পাঠান, তারা যেন সেখানকার সকল ইয়াহূদীকে হত্যা করে ফেলে। তারা যখন এ ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত ছিল, তখন হিরাকলের কাছে এক ব্যাক্তিকে উপস্থিত করা হল, যাকে গাসসানের শাসনকর্তা পাঠিয়েছিল। সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্পর্কে খবর দিচ্ছিল। হিরাকল তার কাছ থেকে খবর জেনে নিয়ে বললেন, তোমরা একে নিয়ে গিয়ে দেখ, তার খতনা হয়েছে কি-না। তারা তাকে নিয়ে দেখে এসে সংবাদ দিল, তার খতনা হয়েছে।

হিরাকল তাকে আরবদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। সে জওয়াব দিল, তারা খতনা করে। তারপর হিরাকল তাদের বললেন, ইনি [রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এ উম্মতের বাদশাহ। তিনি আবির্ভূত হয়েছেন। এরপর হিরাকল রোমে তাঁর বন্ধুর কাছে লিখলেন। তিনি জ্ঞানে তাঁর সমকক্ষ ছিলেন। পরে হিরাকল হিমস চলে গেলেন। হিমসে থাকতেই তাঁর কাছে তাঁর বন্ধুর চিঠি এলো, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাব এবং তিনই যে প্রকৃত নাবী, এ ব্যাপারে হিরাকলের মতকে সমর্থন করছিল। তারপর হিরাকল তাঁর হিমসের প্রাসা’দ রোমের নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিদের ডাকলেন এবং প্রাসা’দর সব দরজা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। দরজা বন্ধ করা হল। তারপর তিনি সামনে এসে বললেন, হে রোমবাসী! তোমরা কি কল্যাণ, হিদায়ত এবং তোমাদের রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব চাও? তাহলে এই নাবী'র রায়’আত গ্রহণ কর।

এ কথা শুনে তারা জংলী গাধার মত ঊর্ধ্বশ্বাসে দরজার দিকে ছুটল, কিন্তু তারা তা বন্ধ অবস্থায় পেল। হিরাকল যখন তাদের অনীহা লক্ষ্য করলেন এবং তাদের ঈমান থেকে নিরাশ হয়ে গেলেন, তখন বললেন, ওদের আমার কাছে ফিরিয়ে আন। তিনি বললেন, আমি একটু আগে যে কথা বলেছি, তা দিয়ে তোমরা তোমাদের দ্বীনের উপর কতটুকু অটল, কেবল তার পরীক্ষা করেছিলাম। এখন আমি তা দেখে নিলাম। একথা শুনে তারা তাঁকে সিজদা করল এবং তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হল। এই ছিল হিরাকল এর শেষ অবস্থা।

আবূ আবদুল্লাহ [বুখারী (রহঃ)] বলেন, সালেহ ইবনু কায়সান (রহঃ), ইউনুস (রহঃ) ও মা’মার (রহঃ) এ হাদীস যুহরী (রহঃ) থেকে রিওয়ায়েত করেছেন।

08/10/2023

রসুলুল্লাহ(সাঃ) এর প্রতি কিভাবে ওহী শুরু হয়েছিল...
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন
হাদিস নং-৫
৫। আবদান (রহঃ) ও বিশর ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। রমযানে তিনি আরো বেশী দানশীল হতেন, যখন জিবরীল (আঃ) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন। আর রমযানের প্রতি রাতেই জিবরীল (আঃ) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁরা পরস্পর কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রহমতের বাতাস থেকেও অধিক দানশীল ছিলেন।

07/10/2023

রসুলুল্লাহ(সাঃ) এর প্রতি কিভাবে ওহী শুরু হয়েছিল...
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন
হাদিস নং-৪
৪। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, মহান আল্লাহর বাণীঃ তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করার জন্য আপনার জিহ্বা তার সাথে নাড়বেন না’ (৭৫:১৬) এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওহী নাযিলের সময় তা আয়ত্ত করতে বেশ কষ্ট স্বীকার করতেন এবং প্রায়ই তিনি তাঁর উভয় ঠোঁট নাড়াতেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি তোমাকে দেখানোর জন্য ঠোঁট দুটি নাড়ছি যেভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাড়াতেন। ’

সা’ঈদ (রহঃ) (তাঁর শাগরিদদের) বললেন, আমি ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-কে যেভাবে তাঁর ঠোঁট দুটি নাড়াতে দেখেছি, সেভাবেই আমার ঠোঁট দুটি নাড়াচ্ছি। ’ এই বলে তিনি তাঁর ঠোঁট দুটি নাড়ালেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেনঃ “তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করার জন্য আপনি আপনার জিহবা তার সাথে নাড়াবেন না। এর সংরক্ষণ ও পাঠ করানোর দায়িত্ব আমারই। ” (৭৫:১৬-১৮)

ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন এর অর্থ হলঃ আপনার অন্তরে তা সংরক্ষণ করা এবং আপনার দ্বারা তা পাঠ করানো। সুতরাং যখন আমি তা পাঠ করি আপনি সে পাঠের অনুসরণ করুন (৭৫:১৯) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন অর্থাৎ মনোযোগ সহকারে শুনুন এবং চুপ থাকুন। এরপর এর বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই (৭৫:১৯)। ’ অর্থাৎ আপনি তা পাঠ করবেন এটাও আমার দায়িত্ব। তারপর যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসতেন, তখন তিনি মনোযোগ সহকারে কেবল শুনতেন। জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম চলে গেলে তিনি যেমন পড়েছিলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ঠিক তেমনি পড়তেন।

06/10/2023

রসুলুল্লাহ(সাঃ) এর প্রতি কিভাবে ওহী শুরু হয়েছিল...
#কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন
হাদিস নং-৩
৩। ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সর্বপ্রথম যে ওহী আসে, তা ছিল ঘুমের মধ্যে সত্য স্বপ্নরূপে। যে স্বপ্নই তিনি দেখতেন তা একেবারে ভোরের আলোর ন্যায় প্রকাশ পেত। তারপর তাঁর কাছে নির্জনতা প্রিয় হয়ে পড়ে এবং তিনি হেরা'র গুহায় নির্জনে থাকতেন। আপন পরিবারের কাছে ফিরে আসা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী সঙ্গে নিয়ে যাওয়া এইভাবে সেখানে তিনি একাধারে বেশ কয়েক রাত ইবাদতে নিমগ্ন থাকতেন।

তারপর খাদীজা (রাঃ)-এর কাছে ফিরে এসে আবার অনুরূপ সময়ের জন্য কিছু খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যেতেন। এমনিভাবে হেরা’ গুহায় অবস্থানকালে একদিন তাঁর কাছে ওহী এলো। তাঁর কাছে ফিরিশতা এসে বললেন, পড়ুন’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “আমি বললাম, আমি পড়িনা’। তিনি বলেনঃ তারপর তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে চাপ দিলেন যে, আমার অত্যন্ত কষ্ট হল। তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, পড়ুন’। আমি বললামঃ আমি তো পড়ি না। তিনি দ্বিতীয়বার আমাকে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে চাপ দিলেন যে, আমার অত্যন্ত কষ্ট হল। এরপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ পড়ুন’। আমি জবাব দিলাম, আমিতো পড়িনা’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারপর তৃতীয়বার তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন। এরপর ছেড়ে দিয়ে বললেন, “পড়ুন আপনার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে আলাক থেকে। পড়ুন আর আপনার রব্ মহামহিমান্বিত।” (৯৬: ১-৩)

তারপর এ আয়াত নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে এলেন। তাঁর অন্তর তখন কাঁপছিল। তিনি খাদীজা বিন্‌ত খুওয়ালিদের কাছে এসে বললেন, আমাকে চাঁদর দিয়ে ঢেকে দাও, আমাকে চাঁদর দিয়ে ঢেকে দাও। ’ তাঁরা তাঁকে চাঁদর দিয়ে ঢেকে দিলেন। অবশেষে তাঁর ভয় দূর হল। তখন তিনি খাদীজা (রাঃ) এর কাছে সকল ঘটনা জানিয়ে তাঁকে বললেন, আমি নিজের উপর আশংকা বোধ করছি। খাদীজা (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌র কসম, কক্ষনো না। আল্লাহ্ আপনাকে কক্ষনো অপমানিত করবেন না। আপনিতো আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করেন, অসহায় দুর্বলের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সাহায্য করেন, মেহমানের মেহমানদারী করেন এবং দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন।

এরপর তাঁকে নিয়ে খাদীজা (রাঃ) তাঁর চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবনু নাওফিল ইবনু আবদুল আসা’দ ইবনু আবদুল উযযার কাছে গেলেন, যিনি জাহিলী যুগে ঈসায়ী ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইবরানী ভাষা লিখতে জানতেন এবং আল্লাহ্‌র তওফীক অনুযায়ী ইবরানী ভাষায় ইনজীল থেকে অনুবাদ করতেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বয়োবৃদ্ধ এবং অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। খাদীজা (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে চাচাতো ভাই! আপনার ভাতিজার কথা শুনুন। ওয়ারাকা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ভাতিজা! তুমি কী দেখ?’ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা দেখেছিলেন, সবই খুলে বললেন।

তখন ওয়ারাকা তাঁকে বললেন, ইনি সে দূত যাঁকে আল্লাহ্ মূসা আলাইহিস সালাম এর কাছে পাঠিয়েছিলেন। আফসোস! আমি যদি সেদিন যুবক থাকতাম। আফসোস! আমি যদি সেদিন জীবিত থাকতাম, যেদিন তোমার কাওম তোমাকে বের করে দেবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাঁরা কি আমাকে বের করে দিবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, অতীতে যিনই তোমার মত কিছু নিয়ে এসেছেন তাঁর সঙ্গেই শত্রুতা করা হয়েছে। সেদিন যদি আমি থাকি, তবে তোমাকে প্রবলভাবে সাহায্য করব। এর কিছুদিন পর ওয়ারাকা (রাঃ) ইন্তেকাল করেন। আর ওহী স্থগিত থাকে।

ইবনু শিহাব (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) ওহী স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ একদা আমি হেঁটে চলেছি, হঠাৎ আকাশ থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেয়ে চোখ তুলে তাকালাম। দেখলাম, সেই ফিরিশতা, যিনি হেরায় আমার কাছে এসেছিলেন, আসমান ও যমিনের মাঝখানে একটি কুরসীতে বসে আছেন। এতে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। তৎক্ষণাৎ আমি ফিরে এসে বললাম, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর। তারপর আল্লাহ তা'আলা নাযিল করলেন, হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! উঠুন, সতর্কবানী প্রচার করুন এবং আপনার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন। আপনার পোশাক পবিত্র রাখুন। অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকুন (৭৪: ১-৪)। এরপর ব্যাপকভাবে পর পর ওহী নাযিল হতে লাগল।

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ও আবূ সালেহ (রহঃ) অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। হেলাল ইবনু রাদদাদ (রহঃ) যুহরী (রহঃ) থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। ইউনুস ও মা'মার এর স্থলেশব্দ উল্লেখ করেছেন।

তাখরীজ: ( বুখারীঃ তা.পা ৩, ৩৩৯২, ৪৯৫৩, ৪৯৫৫, ৪৯৫৬, ৪৯৫৭, ৬৯৮২; মুসলিম ১/৭৩ হাঃ ১৬০, আহমদ ২৬০১৮ ( আ.প্রঃ ৩, ইঃফাঃ ৩)।

05/10/2023

স্বামী স্ত্রী একে অপরকে তুই বলতে পারবে কি না!!!
#স্বামী #স্ত্রী #কোরআন #হাদিস #আমল #দোয়া #ইবাদত #আমিন

Address

Kalihati
Tangail

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when AMIN posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to AMIN:

Videos

Share

Category