07/06/2024
বাজেট পরবর্তী বাজারের উত্তাপ জাস্ট নেওয়া যাচ্ছে না। সূর্যের উত্তাপে যেমন আমরা সাধারণ মানুষ - আমাদের কিছুই করার নেই তেমনি বাজারের উত্তাপেও আমাদের মত সাধারণের কিছুই করার নেই। দিন দিন নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে এই ছাপোষা কেরানীগিরি করে যে কয় পয়সা বেতন পাওয়া যায় তাতে মাসের পনের দিন পরই পকেট ব্যবিলনের শূন্য উদ্যাণ হয়ে যায়। সরকারী কেরানীগিরি বাইরে থেকে যতটা লোভনীয় ও আকর্ষণীয় মনে হয়ে আসলে সবার জন্য ততটা আকর্ষণীয় ও লোভনীয় নয়। বর্তমান যে দ্রব্য মূল্য আর মান্ধাতার আমলের যে পে স্কেল - এই দুইয়ের যাতাকলে পিষ্ট আমার মত হাজারো প্রথম শ্রেণীর সরকারী কেরানীরা।
একটা মাঝারি সাইজের লাউ কিনলাম ৬০ টাকায়, ধুন্দল ৬০ টাকা কেজি, কাকরোল ৬০ টাকা, পিয়াজ ৮০ টাকা কেজি। ৬০-৮০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। যে পেঁপে ১৫-২০ টাকা কেজি গড়াগড়ি খেত সেই পেঁপে ৬০ টাকা কেজি। বাসায় ঘামি ভ্যাপসা গরমে আর বাজারে গেলে ঘামি জিনিসপত্রের দাম শোনে। আমার ভায়রা একটা কথা বলে মজা করে যে - আমরা খাইই পাঙ্গাস আর পোল্ট্রি তাও যদি এগুলোর দাম হয় ২৫০-৩০০ টাকা কেজি তাহলে কি খেয়ে বাঁচবো! কথা কিন্তু সত্য।
এখন মাঝে মাঝে ভাবি - যদি অন্য কিছু করার সুযোগ থাকতো। কি হতো বা কি করতে পারতাম আসলে জানি না। তবে একথাও সত্য যে বাংলাদেশের ছোট ব্যবসায়ীরাও ভালো নেই। ব্যবসাও ঠিক মত করা যাচ্ছে না।
তাহলে একটা প্রশ্ন অবধারিত ভাবেই এসে যায় যে, তাহলে ভালো আছে কারা???
যারা বিবেক বিসর্জন দিতে পারে বা পেরেছে তারাই এই বাজারে ভালো আছে। কিন্তু সবাই বিবেক বিসর্জন দিতে পারে না। সবাই বিক্রি হয়ে যায় না।
শ্রীজাতের কবিতার মত - তুমিও মানুষ, আমিও মানুষ, তফাত শুধু শিরদাড়ায়।
এই শিরদাড়াই মানুষে মানুষে পার্থক্য গড়ে দেয়।
যার বিবেক বেঁচে থাকে, তার সুখ মরে যায়। সুখী হবার সহজ উপায় বিবেকহীন হওয়া। বিবেক বিবশ হলেই
বাঁচি - বুদ্ধদেব গুহের এই লেখাটা বর্তমানে বেশ প্রাসঙ্গিক - অন্তত আমার লাইফে।