Raihan hafiz Khan

  • Home
  • Raihan hafiz Khan

Raihan hafiz Khan আল্লাহ পাক আমাকে যেন দিনের দায়ি হিসাবে কবুল করেন আমিন

এই বই মেলায় কেউ কি কোন বই গিফট করবে।
12/02/2025

এই বই মেলায় কেউ কি
কোন বই গিফট করবে।

08/02/2025
02/01/2025

اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ
হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে রজব ও সাবান মাসে বরকত দান করুন এবং রমজান পর্যন্ত আমাদেরকে পৌঁছে দিন।

কবি বলেন,‘❝গাফেল তুঝে ঘড়িয়াঁ দেতা হ্যায় মুনাদী, গরদুঁ নে ঘড়ী উমর কী এক আওর ঘটা দী।’❞ওহে উদাসীন! ঘড়ির ঘণ্টা তোমাকে দ...
01/01/2025

কবি বলেন,
‘❝গাফেল তুঝে ঘড়িয়াঁ দেতা হ্যায় মুনাদী, গরদুঁ নে ঘড়ী উমর কী এক আওর ঘটা দী।’❞

ওহে উদাসীন! ঘড়ির ঘণ্টা তোমাকে দিচ্ছে এই বার্তা যে, সময়ের ঘূর্ণন তোমার জীবন থেকে আরো এক ঘণ্টা বিয়োগ করল।

বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেছেন, ‘যখন সকাল হয়, সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। (সন্ধ্যার আগেই পাকসাফ হয়ে যাও, প্রস্তুত হয়ে যাও।) আর যখন সন্ধ্যা হয় সকালের অপেক্ষা করো না। (সকাল হওয়ার আগেই পাকসাফ হও, প্রস্তুত হও।) তুমি তো জান না, আগামীকাল তোমার নাম কী হবে? (তোমার নাম কি জীবিতদের তালিকায় থাকবে, না মৃতদের তালিকায়?)’সুতরাং সময় থাকতেই প্রস্তুত হও। আল্লাহর নিকট সমর্পিত হও। ভেবো না, এখনও যৌবন! এখনও তারুণ্য!

থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে জেনে নিই।
31/12/2024

থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে জেনে নিই।

29/12/2024

إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ

প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে দুনিয়া লাভের অথবা নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে- সেই উদ্দেশ্যেই হবে তার হিজরতের প্রাপ্য।

28/12/2024

عن ابن عباس رضي الله عنهما قال:قال رسول الله صلى الله عليه وسلام لرجل وهو يعظه اغتنم خمسا قبل خمس:شبابك قبل هرمك وصحتك قبل سقمك وغناءك قبل فقرك وفراغك قبل شغلك وحياتك قبل موتك.

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী সাঃ এক ব্যক্তিকে উপদেশ দিয়ে বলেন' পাচটি বস্তুকে পাচটির পূর্বে গণীমত জেনে মুল্যায়ন করো;

১.বার্ধক্যের পূর্বে তোমার যৌবনকে'
২.অসুস্হতার পূর্বে তোমার সুস্হতাকে'
৩.দারিদ্র্যের পূর্বে তোমার সচ্ছলতাকে
৪.ব্যস্ততার পূর্বে তোমার অবসরকে
৫.মরণের পূর্বে তোমার জিবনকে
"মুসতাদরাকে হাকিম"

28/12/2024

প্রতি দিন একটি করে হাদিস শিখলে কেমন হয়।

26/12/2024

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী রা.-কে বলেন-
يَا عَلِيّ! ثَلاَثٌ لاَ تُؤَخِّرْهَا: الصّلاَةُ إِذَا أَتَتْ، وَالجَنَازَةُ إِذَا حَضَرَتْ، وَالأَيِّمُ إِذَا وَجَدْتَ لَهَا كُفْئًا.
আলী! তিনটি জিনিস বিলম্বিত করো না-নামায, যখন এর সময় হয়ে যায়; জানাযার নামায এবং উপযুক্ত পাত্র পাওয়া গেলে মেয়েদের বিয়ে দেয়া।
(-জামে তিরমিযী, হাদীস ১০৭৫)

আপনাদের দাওয়াত।★আসবেন কিন্তু★
26/12/2024

আপনাদের দাওয়াত।

★আসবেন কিন্তু★

25/12/2024

আলকুরআনের দৃষ্টিতে তাওবা ও ইস্তিগফারের গুরুত্ব ও ফযীলত।

(মাসিক আল-কাউসার পএিকা থেকে লিখা)
(সময় হলে পড়ে যাবেন)

তাওবা ও ইস্তিগফার মুমিন ও মুত্তাকী বান্দাদের এক বিশেষ গুণ। মানুষকে আল্লাহ তাআলা তাঁর ইবাদত-বন্দেগী ও তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলার জন্য সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু মানুষ যেহেতু শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার আদেশ-নিষেধ লঙ্ঘন করে বসে, আল্লাহ তাআলার মরজি মোতাবেক চলার ক্ষেত্রে ভুল করে থাকে, তাই আল্লাহ তাআলা তার সে ভুল বা গুনাহ থেকে মুক্তিদানের জন্য তাওবা ও ইস্তিগফারের ব্যবস্থা রেখেছেন। এই তাওবা ও ইস্তিগফার একজন মুমিনকে দান করে নিষ্পাপ ও নিষ্কলুষ জীবন। মুমিনকে সর্বদা গুনাহমুক্ত জীবনের প্রতি করে অনুপ্রাণিত। মুমিনকে নিয়ে যায় ঈমান ও আমলের ক্ষেত্রে উন্নতি ও মর্যাদার সুউচ্চ শিখরে।

তাই তাওবা ও ইস্তিগফার মুমিনের জীবনের এক অপরিহার্য বিষয়। তাকওয়াপূর্ণ ও গুনাহমুক্ত জীবন লাভ করতে যা একান্ত জরুরি। আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে মুত্তাকীদের গুণাবলির বর্ণনা দিয়ে বলেন—

وَ الَّذِیْنَ اِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً اَوْ ظَلَمُوْۤا اَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوْبِهِمْ وَ مَنْ یَّغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اللهُ وَ لَمْ یُصِرُّوْا عَلٰی مَا فَعَلُوْا وَ هُمْ یَعْلَمُوْنَ.

এবং তারা সেই সকল লোক, যারা কখনও কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা (অন্য কোনোভাবে) নিজেদের প্রতি যুলুম করলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার ফলে নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে— আর আল্লাহ ছাড়া কেইবা আছে, যে গুনাহ ক্ষমা করতে পারে। আর তারা জেনেশুনে তাদের কৃতকর্মে অবিচল থাকে না। —সূরা আলে ইমরান (০৩) : ১৩৫

তাওবা ও ইস্তিগফার নবীদের সুন্নত

নবী-রাসূলগণ নিজেরা যেমন আপন রবের কাছে তাওবা ও ইস্তিগফার করেছেন, উম্মতকেও তাওবা ও ইস্তিগফার করতে আদেশ করেছেন। তাওবা-ইস্তিগফার শিক্ষা দিয়েছেন। যদিও নবী-রাসূলগণের তাওবা-ইস্তিগফার ও উম্মতের তাওবা ইস্তিগফারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। কারণ নবী-রাসূলগণ মা‘সূম ও নিষ্পাপ। তাঁদেরকে আল্লাহ গুনাহ থেকে রক্ষা করেন। কিন্তু তাঁদের উম্মত তো মা‘সূম ও নিষ্পাপ নয়। তাই নবীগণের তাওবা ও ইস্তিগফার হয়ে থাকে কেবলমাত্র নিজেদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য। আর উম্মতের তাওবা ও ইস্তিগফার তো কখনো নিজেদের গুনাহের ক্ষমার জন্য, আবার কখনো নিজেদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য হয়ে থাকে।

নবীগণের তাওবা ও ইস্তিগফার

নবীগণও আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে তাওবা ও ইস্তিগফার করেছেন। তাদের তাওবা ও ইস্তিগফারের ঘটনা ও ভাষা কুরআন মাজীদে বিবৃত হয়েছে। এখানে কুরআন থেকে কয়েকজন নবীর তাওবা ও ইস্তিগফারের বর্ণনা তুলে ধরছি।

হযরত আদম আ.-এর বক্তব্যে তাওবা ও ইস্তিগফার

رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا وَ اِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَ تَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

হে আমাদের রব! আমরা আমাদের নিজেদের প্রতি যুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তভুর্ক্ত হয়ে যাব। Ñসূরা আ‘রাফ (০৭) : ২১

হযরত নূহ আ.-এর বক্তব্যে তাওবা ও ইস্তিগফার

رَبِّ اغْفِرْ لِیْ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِمَنْ دَخَلَ بَیْتِیَ مُؤْمِنًا وَّ لِلْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ ؕ وَ لَا تَزِدِ الظّٰلِمِیْنَ اِلَّا تَبَارًا.

হে আমার রব! আপনি আমাকে আমার পিতা-মাতাকে এবং আমার ঘরে যারা ঈমানের সঙ্গে প্রবেশ করেছে এবং মুমিন নর-নারীদেরকে ক্ষমা করুন। আপনি যালেমদেরকে ধ্বংসই বৃদ্ধি করুন। —সূরা নূহ (৭১) : ২২

হযরত মূসা আ.-এর বক্তব্যে তাওবা ও ইস্তিগফার

رَبِّ اِنِّیْ ظَلَمْتُ نَفْسِیْ فَاغْفِرْ لِیْ فَغَفَرَ لَهٗ اِنَّهٗ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِیْمُ.

হে আমার রব! নিশ্চয়ই আমি আমার প্রতি যুলুম করেছি। তাই আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। তাই তিনি তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয়ই তিনি বড় ক্ষমাশীল ও অতি দয়ালু। —সূরা কাসাস (২৮) : ২৪

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্যে তাওবা ও ইস্তিগফার

عن الأغر بن يسار المزني رضي الله عنه قال: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إِلَى اللهِ، فَإِنِّي أَتُوبُ فِي الْيَوْمِ إِلَيْهِ مِائَةَ مَرَّةٍ.

হযরত আগার ইবনে ইয়াসার আলমুযানী রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে লোকসকল! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর। কেননা আমি দিনে একশত বার তাওবা করি। —সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭০২

এখানে এ কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, নবী ও রাসূলগণ আল্লাহ তাআলার নির্বাচিত বান্দা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাঁদের গোটা জীবন আল্লাহ তাআলার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। তাই তারা যাবতীয় গুনাহ থেকে দূরে থেকে জীবন যাপন করেন। তাদের থেকে কখনও সগীরা বা কবীরা গুনাহ সংঘটিত হয়নি। এজন্যই আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের সর্ববাদী আকীদা হল, নবী ও রাসূলগণ মা‘সূম ও নিষ্পাপ। তাই আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালামের মুখে তাওবা ও ইস্তিগফার উচ্চারিত হওয়ার অর্থ কখনোই এ নয় যে, তারা তাদের গুনাহের জন্য বা নবুওতের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য তারা তাওবা ও ইস্তিগফার করে থাকেন; বরং তারা তো তাওবা ও ইস্তিগফার করেন আল্লাহ তাআলার কাছে তাঁদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য বা তাঁদের থেকে অধিক উত্তম কাজের তুলনায় কম উত্তম কাজ সংঘটিত হওয়ার কারণে এবং সঙ্গে সঙ্গে উম্মতকে তাওবা ও ইস্তিগফার শিক্ষা দেয়েছেন।

সকল নবী উম্মতকে আল্লাহর দরবারে নিজেদের ভুলত্রুটি ও গুনাহের জন্য তাওবা ও ইস্তিগফার করার আদেশ করেছেন এবং নিজেদের জীবনকে শিরকের গুনাহ থেকে শুরু করে সকল গুনাহ থেকে পবিত্র করার জন্য তাওবা ও ইস্তিগফার শিক্ষা দিয়েছেন। তাই দ্বীন ও শরীয়তে তাওবা ও ইস্তিগফারের গুরুত্ব অপরিসীম।

তাওবা ও ইস্তিগফার মুমিনকে আল্লাহ তাআলার ক্ষমা ও দয়া লাভে সাহায্য করে

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন—

وَ اسْتَغْفِرُوا اللهَ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ.

আর তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ বড় ক্ষমাশীল ও অতি দয়ালু। —সূরা বাকারা (০২) : ১৯৯

তিনি আরও বলেন—

وَ اسْتَغْفِرُوْا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوْبُوْۤا اِلَیْهِ اِنَّ رَبِّیْ رَحِیْمٌ وَّدُوْدٌ.

তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। অতঃপর তাঁর কাছে ফিরে আস। নিশ্চয়ই আমার রব অতি দয়ালু ও অধিক মমতাময়।—সূরা হুদ (১১) : ৯০

তাওবা ও ইস্তিগফারকারীদের প্রতি আল্লাহ শাস্তি প্রেরণ করেন না

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন—

وَ مَا كَانَ اللهُ لِیُعَذِّبَهُمْ وَ اَنْتَ فِیْهِمْ وَ مَا كَانَ اللهُ مُعَذِّبَهُمْ وَ هُمْ یَسْتَغْفِرُوْنَ

আপনি তাদের মাঝে থাকা অবস্থায় কিছুতেই আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দেবেন না। আর তারা ক্ষমা প্রার্থনা করা অবস্থায়ও তাদেরকে শাস্তি দেবেন না। —সূরা আনফাল (০৮) : ৩৩

তাওবা ও ইস্তিগফার মুমিনের পার্থিব নিআমত, শক্তি সামর্থ্য ও যাবতীয় সমৃদ্ধি লাভে সাহায্য করে

কুরআনে ইরশাদ হয়েছে—

فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوْا رَبَّكُمْ اِنَّهٗ كَانَ غَفَّارًا، یُّرْسِلِ السَّمَآءَ عَلَیْكُمْ مِّدْرَارًا، وَّ یُمْدِدْكُمْ بِاَمْوَالٍ وَّ بَنِیْنَ وَ یَجْعَلْ لَّكُمْ جَنّٰتٍ وَّ یَجْعَلْ لَّكُم اَنْهٰرًا.

আমি বললাম, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল। তাহলে তিনি তোমাদের প্রতি মুষলধারে বৃষ্টি প্রেরণ করবেন। আর তিনি তোমাদেরকে সম্পদ ও সন্তানাদি বৃদ্ধি করে দেবেন। তিনি তোমাদের জন্য বিভিন্ন উদ্যান ও নদ-নদী সৃষ্টি করে দেবেন। —সূরা নূহ (৭১) : ১০-১২

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে—

وَ یٰقَوْمِ اسْتَغْفِرُوْا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوْبُوْۤا اِلَیْهِ یُرْسِلِ السَّمَآءَ عَلَیْكُمْ مِّدْرَارًا وَّ یَزِدْكُمْ قُوَّةً اِلٰی قُوَّتِكُمْ وَ لَا تَتَوَلَّوْا مُجْرِمِیْنَ.

হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। অতঃপর তাঁর কাছে তাওবা কর। তিনি তোমাদের প্রতি মুষলধারে বৃষ্টি প্রেরণ করবেন। তোমাদের শক্তিকে আরও বাড়িয়ে দেবেন। আর তোমরা অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিও না। —সূরা হুদ (১১) : ৫২

এভাবে কুরআন মাজীদ তাওবা ও ইস্তিগফারের অনেক ফায়দা ও উপকারের কথা তুলে ধরেছে। তাই আল্লাহ তাআলার ক্ষমা, দয়া এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সব দিক থেকে তাঁর সাহায্য লাভ করার জন্য তাওবা ও ইস্তিগফারের বিকল্প নেই।

তাওবা ও ইস্তিগফারের উপকারিতায় রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন—

عن ابن عباس، رضي الله عنهما قال: قال رسولُ الله صلَّى الله عليه وسلم: مَنْ لَزِمَ الاستغفارَ جَعَلَ الله له من كل ضيق مَخرَجاً، ومن كل هم فرَجاً، ورزقَه من حيث لا يحتسب.

যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার করবে আল্লাহ তাআলা তার সকল সংকট থেকে উত্তরণের ব্যবস্থা করে দেন, তার সকল পেরেশানী দূর করে দেন এবং তাকে এমন জায়গা থেকে রিযিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। —সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৫১৮

মোটকথা, তাওবা ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে একজন মুমিনের দুনিয়া ও আখেরাতের জীবন সর্বাঙ্গীন সুন্দর ও সফল হয়। এর মাধ্যমে একজন মুমিন লাভ করে উভয় জাহানের সমৃদ্ধি। সর্বোপরি তাওবা ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে মুমিন আল্লাহ তাআলার নিকটতম বান্দায় পরিণত হয়।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলের সগীরা-কবীরা গুনাহসহ সব ধরনের অন্যায়-অপরাধ ক্ষমা করেন। এবং আমাদেরকে সব ধরনের গুনাহ থেকে তাওবা করার তাওফীক দান করেন— আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন।

اللَّهُمَّ وَفِّقْنِي لِمَا تُحِبُّ وَتَرْضَى مِنَ الْقَوْلِ وَالْفِعْلِ وَالْعَمَلِ وَالنِّيَّةِ وَالْهُدَى. إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.

24/12/2024

আলহামদুলিল্লাহ
আজকে আমাদের (জামিয়া কাসিমুল উলুম মেওয়া) মাদরাসায় ডঃ শায়েখ ইয়াকুব আদ-দেহভী আল মাদানি তাশরিফ এনেছিলেন।তিনি নসিহতের পাশাপাশি দাওরায়ে হাদিসের ছাত্রদেরকে ছবক দিয়েছেন।
তাই ছবক এর কিছু চিত্র আপনাদের জন্য ধারন করলাম।

আলহামদুলিল্লাহ, আগামীকাল মাদরে ইলমী জামেয়া মেওয়া'র ঐতিহ্যবাহী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।বিদেশী মেহমানদের...
23/12/2024

আলহামদুলিল্লাহ, আগামীকাল মাদরে ইলমী জামেয়া মেওয়া'র ঐতিহ্যবাহী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।বিদেশী মেহমানদের পদচারণায় জামেয়া প্রাঙ্গণ থাকবে মুখোরিত। আপনারা স্ব-বান্ধবে আমন্ত্রিত আমাদের ক্যাম্পাসে।
মাহফিলের এক বিশেষ মুহূর্তে (বাদ এশা) সম্মানিত বিদেশী মেহমানদের বরকতময় হাতে উন্মোচিত হবে আমাদের গর্বের প্রকাশনা—"আল-ক্বুদস"।

চমৎকার এ ম্যাগাজিনটিতে যুগোপযোগী প্রবন্ধ, হৃদয়স্পর্শী ছড়া-কবিতা, কোরআন-হাদিস ভিত্তিক আলোচনা,বাতিল ফেরকার খন্ডন এবং আমাদের প্রিয় জামেয়ার গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে মনোমুগ্ধকর রচনা স্থান পেয়েছে।

আমরা আপনাকে উক্ত মাহফিলে উপস্থিত থেকে উন্মোচনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে স্মরণীয় করে তোলার আমন্ত্রণ জানাই। আপনার আগমন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পরকালীন সওয়াবের উসিলা।

23/12/2024

মুরাকাবা কী এবং কিভাবে করতে হয় সেই বিষয়ে আজকে আমরা জানবো ইনশাআল্লাহ।

মুসলিম সমাজের সুফি ও আধ্যাত্মিক ধারায় ‘মুরাকাবা’ একটি বহুল প্রচলিত শব্দ। আল্লাহর নৈকট্য লাভে সুফি সাধক আলেমরা মুরাকাবাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কোরআনের একাধিক আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদিসে মুরাকাবার মূল ধারণার সমর্থন পাওয়া যায়। গবেষক আলেমরা মুরাকাবাকে ঈমানের উচ্চতর প্রতিফলন আখ্যা দিয়েছেন।

মুরাকাবার পরিচয় : মুরাকাবার শাব্দিক অর্থ সঙ্গী হওয়া। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) লেখেন, ‘মুরাকাবা হলো এই বিষয়ে বান্দার সার্বক্ষণিক জ্ঞান ও বিশ্বাস যে, তিনি তার ভেতর ও বাহির সম্পর্কে অবগত। বান্দার এই জ্ঞান ও বিশ্বাস তার অপর একটি জ্ঞানের প্রতিফল। তা হলো—আল্লাহ তার সঙ্গী, তিনি তাকে দেখেন, তার কথা শোনেন, তার প্রতি মুহূর্তের কাজ সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন।

মুরাকাবা কিভাবে করবেন?
প্রথমে চুখ বন্ধ করবে তারপর ভাববেন আমি যেখানেই থাকিনা কেন আল্লাহ আমার সাথে আছেন
আমি যা করতেছি তা তিনি দেখতেছেন।

সুফি গণের মতে পাচ ওয়াক্ত নামাযের পর এভাবে চিন্তা করলে গুনাহ থেকে বাচা সহজ হয়।

আজকে এই বইটি পড়া সম্পুর্ণ  করলাম।এই বইটিতে গুনাহ থেকে বাঁচার দশটি কৌশল খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন।আপনি চাইলে ট্রাই কর...
22/12/2024

আজকে এই বইটি পড়া সম্পুর্ণ করলাম।এই বইটিতে গুনাহ থেকে বাঁচার দশটি কৌশল খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন।
আপনি চাইলে ট্রাই করতে পরেন।

১. নিয়ত করুন গুনাহের সুযোগ পেলেও গুনাহ করবো না।

২. সর্বদা অযু অবস্হায় থাকার চেষ্টা করুন।

৩. অধিক হারে ইস্তেগফার করুন।

৪. পরিবেশ পাল্টান।

৫. যে কোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলার অভ্যাস করুন।

৬. মনে মনে জিকির করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৭. সময়ের মুল্য দিন

৮. পাচ ওয়াক্ত নামাযের গুরুত্ব দিন।

৯. মুরাকাবা করুন।

১০. আল্লাহ ওয়ালাদের সুহবত গ্রহন করুন।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raihan hafiz Khan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share