16/09/2024
এই কষ্ট যখন চেপে বসে ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ আপনাকে তো দেখার সৌভাগ্য হয় নি। আপনার আশেপাশে আপনার সাথী হিসাবে ছিলাম না, না শুনেছি আপনার সুমিষ্ট কন্ঠস্বর যা মানুষকে মোহাচ্ছন্ন করে রাখতো।
আমার অপূর্ণতা কীভাবে বুঝাই ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ! যখন মুশরিকদের চাপিয়ে দেয়া শত অপমান অপদস্থতায় দিন কাটাচ্ছিলেন আপনার সাহাবীগণ আমি তো তখনো আমি ছিলাম না। কেমন ছিল সেই দিনগুলা যখন আপনি নামাজে থাকতেন আর মুশরিকরা আপনার ঘাড়ে উটের ভুড়ি চাপিয়ে দিত! ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ না গারে সওর এ আপনার সাথী ছিলাম, না সফরের দীর্ঘ কণ্টকাকীর্ণ পথ পারি দিতে পারার সৌভাগ্য হয়েছিল।
না সারিয়া ও গাযওয়াতে আপনার সাথে ছিলাম, না ওহুদের ময়দানে আপনাকে প্রতিরক্ষায় ছিলাম । আহ কত সৌভাগ্যবান ছিলেন ওহুদের দিনের সা'দ।
যারা আপনার সাথে মসজিদে নববীতে বসতেন তারাও কতই না সৌভাগ্যবান ছিলেন। আমি তো রওজার জিয়ারতেও যাই নি।
না উসমানের মত ধন সম্পদ ব্যয় করেছি, না আবু দুজানার মত শত্রুর মনে কাপন ধরিয়েছি। না জায়েদের মত তায়েফে ছিলাম, না আবু যর গিফরীর এর মত একটা গোত্রকেই বদলে দিয়েছি, নাইবা হতে পেরেছি আবু উবায়দার মত উম্মতের আমিন ।
এই অপূর্ণতা লিখে শেষ করা যাবে না ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ। আমি হাউজে কাউসারের পানি পানে তৃপ্ত হতে চাই, জান্নাতে আপনার দিদার পেতে চাই। কোন যোগ্যতায়ই বলুন এমন আশা করবো ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ। ১৫০০ বছর! চিন্তা করা যায়!! আপনার আর আমার মাঝে ১৫০০ বছরের ব্যবধান। তবু আপনাকে ভালোবাসে এই নগন্য উম্মত। আজ যখন উম্মতের এই অবস্থা শুধু মনে হয় আপনি কেমন বোধ করতেন আমাদের দেখে? তবু মনের কোণে আশা জাগে আপনি তো আমাদের ভাই বলে সম্বোধন করেছেন। আদৌ আপনার ভাই হবার যোগ্যতা আমাদের আছে কি না জানি না। তবু এই আশা ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই।
আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েন সেই ভয়াবহ ময়দানে আল্লাহর কাছে, ❝ইয়া রাব্বি এই আমার উম্মত আপনার রহম চাদরে ঢেকে দিন। আপনার প্রতিশ্রুত জান্নাতের নিয়ামত দিন। ❞
আমিন।