মুসাফির The Traveler

মুসাফির The Traveler ভাল কিছু করার প্রচেষ্টায়,,

কাঠের হিসাবঃ - চেরাই কাঠ ও গোল কাঠ হিসাবের সহজ পদ্ধতিঃ-কাঠের হিসাব:- কাঠের হিসাব করা অনেক সহজ। কাঠ মাপার হিসাবকে অনেকে ক...
21/12/2024

কাঠের হিসাবঃ - চেরাই কাঠ ও গোল কাঠ হিসাবের সহজ পদ্ধতিঃ-

কাঠের হিসাব:-

কাঠের হিসাব করা অনেক সহজ। কাঠ মাপার হিসাবকে অনেকে কঠিন মনে করে। কিন্ত কাঠ মাপার হিসাব একদম সহজ। শুধু কয়েকটি কথা মনে রাখলেই চলবে।

আপনি যদি কাঠের মাপ না জানেন তাহলে কাঠ ব্যবসায়ী আপনাকে ভুলভাল হিসাব দিয়ে আপার থেকে বেশি টাকা নিয়ে নিতে পারে। অনেক কাঠ ব্যবসায়ী এরকমটা করে থাকে। ব্যবসায়ীরা এই চিটিং সহজেই করতে পারে, কারণ বেশিরভাগ মানুষ কাঠের হিসাব করতে পারেনা। তাই কাঠ ব্যবসায়ী যত কিউবিক ফিট (কেবি) বলে, মানুষ বিশ্বাস করে ততকিউবিক ফিট (কেবি) টাকা দিয়ে আসে। ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের এই অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আপনি যদি একটু সচেতন হতেন তাহলে আপনার থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতে পারত না। আজকে আমরা জানবো কিভাবে চেড়াই কাঠ ও গোল কাঠের হিসাব করতে হয়। আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক কাঠের হিসাব কিভাবে করতে হবে।

☀️চেরাই কাঠের মাপ:-

চেরাই কাঠ পরিমাপ করা একদম সহজ। আপনি দুইটি সূত্র মুখস্ত রাখতে পারলেই চেড়াই কাঠ ও গোল কাঠের হিসাব করতে পারবেন। চেড়াই কাঠ পরিমাপের জন্য একটি সূত্র এবং গোল কাঠ পরিমাপ করার জন্য একটি সূত্র।

উপরের ছবিটি লক্ষ্য করুণ এবং বুঝার চেষ্টা করুন। এখানে দৈর্ঘ্য ১০০ ফিট, প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি এবং উচ্চতা বা পুরত্ব ২ ইঞ্চি রয়েছে। এখন সবগুলোকে গুণ করে ১৪৪ দিয়ে ভাগ করলে বের হয়ে যাবে এখানে কত কিউবিক ফুট বা ঘন ফুট কাঠ রয়েছে। এখন আসুন বাস্তবে হিসেব করে দেখি এখানে কতটুকু কাঠ রয়েছে।

(একটি জিনিস সব সময় মনে রাখতে হবে, দৈর্ঘ্য হবে ফুটে এবং প্রস্থ ও উচ্চতা বা পুরত্ব হবে ইঞ্চিতে, নাহয় হিসেব মিলবে না।)

সূত্র: (দৈর্ঘ্য × প্রস্থ × পুরত্ব ) ÷ ১৪৪ = কিউবিক ফিট বা কেবি

(দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট × প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি × পুরত্ব ২ ইঞ্চি ) ÷ ১৪৪

বা (১০০ × ১৪ × ২) ÷ ১৪৪

বা ২৮০০ ÷ ১৪৪

২৮০০ কে ১৪৪ দিয়ে ভাগ করলে হয় ১৯.৪৪ কিউবিক ফিট বা কেবি প্রায়।

অর্থাৎ ১৯.৪৪ কিউবিক ফিট বা কেবি কাঠ রয়েছে এখানে।

☀️গোল কাঠের হিসাব:-

উপরের ছবিটি লক্ষ্য করুণ এবং বুঝার চেষ্টা করুন।

এখানেও একটি জিনিসি মনে রাখতে হবে, দৈর্ঘ্য হবে ফুটে এবং গোলবেড় হবে ইঞ্চিতে।

সূত্র:( দৈর্ঘ্য × গোলবেড়ি × গোলবেড়ি) ÷ ২৩০৪ = কিউবিক ফিট বা কেবি

(দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট × ২০ ইঞ্চি × ২০ ইঞ্চি) ÷ ২৩০৪

বা ( ৪০ × ২০ × ২০ ) ÷ ২৩০৪

বা ১৬,০০০ ÷ ২৩০৪

এবার ১

09/12/2024

মেয়েদের সেক্স উঠলে তারা কি করে?

বিয়ে হয়েছে বেশ অনেকদিন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি কখনোই আমার স্ত্রীর যৌন উত্তেজনা বুঝতে পারি না। মিলনের সময়তেও সে চুপচাপ থাকে। সে যৌন মিলনে আনন্দ পাচ্ছে কিনা এটাও বোঝার উপায় নেই। সে কখনো নিজে থেকে আমার কাছে আসে না, আমি আহবান করলে এক প্রকার অনিচ্ছা নিয়েই যেন আসে। কীভাবে বুঝব স্ত্রী যৌন উত্তেজিত কিনা? কিংবা কীভাবে বুঝব যৌন মিলনে সে আগ্রহী কিনা?

উত্তরঃ- নারীদের যৌন উত্তেজনার বেশ কিছু লক্ষণ আছে। একজন নারী যৌনতার আগ্রহে উত্তেজিত হলে তাঁর যোনি পিচ্ছিল হয়ে উঠবে, এটা মোটামুটি সকলেই জানেন। কিন্তু এর বাইরেও কিছু বাহ্যিক লক্ষণ আছে, যেগুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার স্ত্রী যৌন মিলনে আগ্রহী।

যেমন-
– নারীরা যৌন মিলনে আগ্রহী হলে তাঁদের ঠোঁট রক্তাভ হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি লাল হয়ে যায় ঠোঁট।
– নারীদের গালেও লালিমা দেখা দেয় উত্তেজনায়। অনেকে একটু একটু ঘামেন, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে।

– যৌন উত্তেজিত হলে শরীর খুবই স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। আপনার সামান্য স্পর্শেই শিহরিত হয়ে উঠবেন তিনি।
– যতই লাজুক স্বভাবের নারী হোন না কেন, যৌন মিলনে আগ্রহী হলে তিনি নিজেই আপনার কাছে আসবেন। হয়তো সরাসরি কিছু না বললেও আপনার কাছে এসে বসবেন, আলতো স্পর্শ করবেন, চুমু খাবেন, চোখের ইশারায় কথা বলবেন।

– প্রবল উত্তেজনার সময় যৌন মিলন কালে তিনি আপনাকে আঁচড়ে কামড়ে দেবেন। হাতের নখ আপনার শরীরে গেঁথে বসতে পারে, গলায় কানে ইত্যাদি স্থানে তিনি কামড় দেবেন উত্তেজনায়।

– এছাড়াও মিলনের সময় শীৎকারে বুঝবেন যে তিনি আনন্দ পাচ্ছেন ও প্রবল ভাবে উত্তেজিত। অনেকেই জোরে আওয়াজ করেন না, কিন্তু একটা মৃদু “আহ উহ” আওয়াজ হবেই।

এবার আসি আপনার সমস্যার ব্যাপারে। যদি স্ত্রী আপনার সাথে যৌন মিলনে আগ্রহ না দেখান, তাহলে হতে পারে সেটা তাঁর লজ্জার কারণে।
বিষয়টি লজ্জার কারণে হলেও আপনি সেটা বুঝতে পারবেন। আপনি স্পর্শ করলে তিনি শিহরিত হবে, যোনি পিচ্ছিল হয়ে যৌন মিলনের জন্য প্রস্তুত হবে, তিনি আপনাকে বাঁধা দেবেন না মিলনের জন্য।
কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখবেন, যৌন মিলনে আগ্রহ না দেখানো এবং অনীহা প্রকাশ করা, দুটি কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। তিনি যদি আগ্রহী না হন, তাহলে আপনাকে দূরে ঠেলবেন। তাহলে কখনোই সুখী হবেন না। সঙ্গী কে মিলনের জন্য প্রস্তুত করতে অনেকটা সময় লেগে যাবে। মিলনের পর যত দ্রুত সম্ভব আপনার কাছ থেকে সরে যাবেন তিনি আর এই ব্যাপারে কোন কথাও বলবেন না। এবং নিজ হতে আপনাকে আদরও করবেন না তিনি। স্ত্রী আপনার, নিজেই বুঝে নিন কোনটা হচ্ছে আপনার ক্ষেত্রে।

পুরুষের শারীরিক চাহিদা পূরণ হলেই তার মানসিক শান্তিটা চলে আসে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। একজন নারী মানসিক শান্তি...
08/12/2024

পুরুষের শারীরিক চাহিদা পূরণ হলেই তার মানসিক শান্তিটা চলে আসে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। একজন নারী মানসিক শান্তি পেলে তবেই শারীরিক চাহিদা দেখায়।নারী এবং পুরুষের চাহিদার মধ্যে পার্থক্য আছে।

পুরুষের সমস্ত ডিপ্রেশন এবং ক্লান্তি দূর হয় সঙ্গীর সাথে Physical Attachment এ থাকলে। আপনি যখন আপনার পুরুষ সঙ্গীকে খুশি করতে চাইবেন, তবে অবশ্যই তার সাথে শারীরিক Attachment হতে হবে এমনকি তা পুরোপুরি মন থেকেই।

পুরুষের তুলনায় নারীদের এই একটা কারণেই সবচেয়ে বেশি মুড সুইং হয়। নারী এবং পুরুষ দুই ভিন্ন মেরুর জিনিস। এখানে বুঝতে হবে, আপনার সঙ্গী ঠিক কিসে নিজেকে Satisfy মনে করে। সঙ্গীর চাহিদা অনুযায়ী যদি তা পূরণ করতে পারেন, তবেই আপনি একজন ভালো সঙ্গী। এখানে কেউ কারো চাহিদা এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তবে নারীরা Physical Attachment এর চাইতে Mentally Attachment এ বেশি গুরুত্ব দেয়। আপনার নারী সঙ্গীর যদি মন ভালো থাকে, তবেই কেবল সে শারীরিক Attachment এ আগ্রহ দেখাবে। তবে মানসিক অবস্থা যদি ভালো না থাকে, তবে সে কোনোকিছুর প্রতিই আগ্রহ দেখাবে না।

নারীরা সবসময় তার মনকে গুরুত্ব দেয়।
মন যদি সায় না দেয়, তবে তার ধারেকাছেও যাওয়া যায় না। আপনি যখন আপনার নারী সঙ্গীর মনের প্রতি বেশি খেয়াল রাখবেন, সে তখন আপনাআপনিই আপনার ডাকে সাড়া দিবে।

পুরুষ এবং নারীর চাহিদার এই পার্থক্যের কারণেই দাম্পত্য জীবনে কেউ কাউকে বুঝতে চায় না সহজে। আর পুরুষ সঙ্গীর ক্লান্তি, হতাশা দূর করতে পারলে, সে অবশ্যই আপনার প্রতি দুর্বলতা দেখাবে। পরস্পর যদি পরস্পরের শরীর এবং মনের যত্ন নেয়, তবেই পরস্পরের চাহিদা পূরণ হয়। চাহিদা অপূর্ণ রেখে একে-অপরকে দোষারোপ করে, শুধুমাত্র দায়ে পড়ে সংসার করার কোনো মানে নেই

চাইলেই - একজন নারী একজন পুরুষকে বহু রকম ভাবে তৈরি করতে পারে।

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে সম্মানের দিক থেকে অনেক উঁচুতে উঠাতে পারে। আবার অসম্মানের একদম নিম্ন মানের জায়গাতেও নামিয়ে এনে দাঁড় করাতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে অনেক আর্থিক এবং সম্পদশালী করে গড়ে তুলতে পারে। আবার সেই নারীই একজন পুরুষকে ভিক্ষুক হিসেবে কিংবা সমাজের একদম গরীব পুরুষ হিসেবে পরিণত করতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে মা-বাবা ভাই-বোন ছাড়া করে সে একাই রাজত্ব বহণ করতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষের, মা-বাবা ভাই-বোন এর সাথে মিলেমিশে নিজেকে প্রকৃত সুন্দরী নারী হিসেবে তৈরি করতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে পরিবার ছাড়া, ঘর ছাড়া, সমাজ ছাড়া, দেশ ছাড়া করতে- বাধ্য করতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে একটা সুন্দর ঘর, একটা সুন্দর পরিবার এবং সুন্দর একটা সমাজ তৈরি করে- সুন্দর একটা বন্ধনে আবদ্ধ করে দিতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - শত রকমের খারাপ একজন পুরুষকে ভালো করে গড়ে তুলতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন ভালো পুরুষকে নষ্ট করে সমাজ থেকে উৎখাত করে দিতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে মৃত্যুর রাস্তায় পৌঁছে দিতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে! শুধু কেবল রব এর হুকুমের মৃত্যু ছাড়া।

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে বস্ত্রহীন পাগল - উম্মাদ বানিয়ে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে রাস্তা থেকে তুলে এনে নিজের যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে স্বাভাবিক সেন্সে ফিরিয়ে আনতে পারে এবং মানসিক ভাবেও সুস্থ করে তুলতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে দিয়ে গোটা পৃথিবীটা অন্ধকারে আচ্ছন্ন করাতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী - পুরো পৃথিবীটা আলোয় আলোকিত করে বদলে দিতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে জাহান্নামের বাসিন্দা বানাতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে জান্নাতের পথ খুঁজে দিতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষের সমস্যা কারণ হতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী - একজন পুরুষের সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে।

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষের সুখ হতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষের দুঃখ হয়ে - আজীবন পুরুষের জীবননাশ করতে পারে! ইত্যাদি ইত্যাদি

একজন নারীর -

শিক্ষা, চিন্তা- চেতনা, শক্তি- ক্ষমতা, ভালোবাসার মায়া - মমতা এবং সভ্যতা অনেক প্রখর হয়।

তাই

নারী চাইলেই - অনেক কিছু করতে পারে!

প্রতিটা নারীর প্রেম হোক - তার সংসার।

প্রতিটা নারীর ভালোবাসা হোক- তার আপন প্রিয় স্বামী। প্রতিটা নারীর মায়ার বাঁধন হোক - তার বুকে আগলে রাখা ধন - প্রিয় সন্তান।

যে কথা স্ত্রীকে বলবেন না শেষ পর্যন্ত পড়ুন ভালো লাগবে🤩😘😍সুখী দাম্পত্য জীবনের বৈশিষ্ট হলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বের...
03/12/2024

যে কথা স্ত্রীকে বলবেন না শেষ পর্যন্ত পড়ুন ভালো লাগবে🤩😘😍

সুখী দাম্পত্য জীবনের বৈশিষ্ট হলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখা। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হলেও কিছু বিষয় আছে, যা সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করলে তা সম্পর্কের মধ্যে অস্বস্তি বা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ভিত্তি হলো ভালোবাসা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা। তবে এই সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে কিছু কথা বা আচরণ এড়িয়ে চলা উচিত। এমন কিছু কথা আছে যা স্ত্রীকে বললে সম্পর্কের মধুরতা নষ্ট হতে পারে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু কথা যা কখনোই স্ত্রীকে বলা উচিত নয়।

বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয় আছে যা তার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি সম্পর্কে-

🤱"তুমি এটা পারবে না।"
স্ত্রীর কোনো ক্ষমতা বা দক্ষতাকে অবজ্ঞা করা সম্পর্কের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাকে উৎসাহ দিন এবং তার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করুন। এই ধরনের কথায় তার মনোবল ভেঙে যেতে পারে।
🤱"আমার মা এটা ভালোভাবে করেন।"
স্ত্রীর সঙ্গে নিজের মায়ের তুলনা করা সম্পর্কের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করতে পারে। প্রত্যেকের কাজের ধরন আলাদা এবং সেটাকে সম্মান করা উচিত। তুলনার পরিবর্তে প্রশংসা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
বন্ধু বা সহকর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য: অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় আপনার স্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। এতে স্ত্রীর সঙ্গে আপনারও সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

🤱 অফিসের গোপন তথ্য: আপনার কাজের গোপন কৌশল বা তথ্য শেয়ার করলে তা পেশাগতভাবে সমস্যার কারণ হতে পারে।

🤱অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা: স্ত্রীর পরিবারের, বন্ধুবান্ধবের বা পছন্দের কোনো বিষয়ের অতিরিক্ত সমালোচনা করবেন না। এতে স্ত্রীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।

🤱আর্থিক সমস্যা বা ঋণের অবস্থা: আপনার আর্থিক সমস্যা বা ঋণ সম্পর্কিত জটিলতা তাকে অযথা মানসিক চাপ দিতে পারে। তবে কোনো বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গীকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ।

🤱অন্য নারীর প্রশংসা: কোনো নারী সহকর্মী বা বন্ধুর অতিরিক্ত প্রশংসা করলে তা ঈর্ষা বা অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে।

🤱তার শারীরিক বা মানসিক দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা: তার কোনো শারীরিক বা মানসিক সীমাবদ্ধতার কথা সামনে তুলে আনলে তা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে।

🤱তার পেশাগত দক্ষতার বিষয়: তার ক্যারিয়ার বা পেশাগত দক্ষতা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা সম্পর্কের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

🤱গোপন পরিকল্পনা: আপনার গোপন সঞ্চয় বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, যা তাকে জানানো হলে ভুল–বোঝাবুঝির কারণ হতে পারে। 🤱অতীতের গোপন ক্ষোভ: কোনো পুরনো ক্ষোভ বা কষ্ট স্ত্রীর কাছে বলা সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

🤱তুমি সবসময় ভুল করো।"
এই ধরনের অভিযোগমূলক কথা স্ত্রীকে মানসিকভাবে আঘাত করতে পারে। ভুল হলে তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন এবং সমাধান খুঁজে বের করুন। অভিযোগের পরিবর্তে সমর্থন দেওয়ার মনোভাব রাখুন।
🤱তোমাকে নিয়ে আর মাথা ঘামাতে ইচ্ছে করে না।"
এই ধরনের কথা সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে। যদি কোনো সমস্যা হয়, তা আলোচনা করুন। একে অপরের প্রতি যত্নবান হওয়াই সম্পর্ক মজবুত রাখার মূল চাবিকাঠি।

🤱তোমার কাজের কি আর কোনো মূল্য নেই?"
স্ত্রীর পরিশ্রম ও প্রচেষ্টাকে ছোট করা কখনোই উচিত নয়। তার কাজের মূল্যায়ন করুন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

🤱তোমার সবকিছু আমাকে জানতে হবে।"
স্ত্রীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখা সম্পর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।

🤱"তোমার চেহারা আগের মতো নেই।"
স্ত্রীর সৌন্দর্য নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা তার আত্মবিশ্বাসে আঘাত করতে পারে। তাকে ভালোবাসুন যেমন তিনি আছেন, এবং তার প্রতি প্রশংসাসূচক কথা বলুন।
🤱আত্মীয়দের গোপন সমস্যা: বাড়ির আত্মীয়দের কোনো গোপন সমস্যা, যা তাদের অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা উচিত নয়।
🤱আগের সম্পর্কের কথা: অতীতের প্রেম বা সম্পর্ক নিয়ে অপ্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করলে তা থেকে অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে।

💛✍উপসংহার
একটি সম্পর্ক ভালোভাবে বজায় রাখার জন্য কথাবার্তায় যত্নবান হওয়া জরুরি। স্ত্রীকে সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে বোঝাতে হবে যে তিনি আপনার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কথার মাধ্যমে যে ভালোবাসা ও যত্ন প্রকাশ করা যায়, তা সম্পর্ককে আরও গভীর ও মজবুত করে তোলে।

যারা ৬৪ জেলা অর্থাৎ পুরো বাংলাদেশ ভ্রমন করতে চান 🤗তাদের জন্য সেন্টার পয়েন্ট বের করা টা জরুরি।সেন্টার পয়েন্ট বা সেন্টার ড...
24/11/2024

যারা ৬৪ জেলা অর্থাৎ পুরো বাংলাদেশ ভ্রমন করতে চান 🤗

তাদের জন্য সেন্টার পয়েন্ট বের করা টা জরুরি।
সেন্টার পয়েন্ট বা সেন্টার ডিসট্রিক্ট মূলত ৩-৭ দিনের জার্নিতে রাতে অবস্থান করা ও দ্রুত এক জেলা থেকে আরেক জেলায় অতিক্রমে সহযোগী হবে।

আমাদের দেশে বিভাগ আছে ৮ টি।
৮ কে ৮ দিয়ে গুণ দিলে হয় ৬৪ টি
এই ৬৪ টা ই হচ্ছে জেলা। সবচেয়ে কমন রুলস হচ্ছে ৮ টি বিভাগীয় শহরকে ই সেন্টার ধরতে পারবেন কেননা বিভাগীয় শহর গুলো তে সুযোগ - সুবিধা বেশি থাকে।

যারা ৬৪ জেলা ট্রাভেলে আগ্রহী তাদের সর্ব প্রথম কাজ
৬৪ জেলার মানুষের সাথেই সম্পর্ক রাখা ও কখন কোন জেলায় আছেন বা যাবেন তা পরিবারকে নিশ্চিত করা। সমমনা / সহযাত্রী দের সাথে আলোচনা করা।

মিশন সিক্সটি ফোর / ৬৪ জেলা ভ্রমণে একেক জন ট্রাভেলারের একক রকম সময় লাগতে পারে। আমার ১২ বছরের বেশি লেগেছিলো। ইদানীং অনেকে ২ মাসেও মিশন সিক্সটি ফোর কমপ্লিট করে ফেলতেছে।
সময় - অর্থ- বয়স - আর্থিক অবস্থা সবকিছু মিলিয়েই মিশনটি শেষ করতে হয় 🖐️

১.রাজশাহী বিভাগ ( ৮ জেলা)

সেন্টার পয়েন্ট ধরবেন নাটোর কেননা বাকি ৭ জেলাতে ই খুব সহজে মুভ করতে পারবেন। নাটোর থেকে বগুড়া,নঁওগা, জয়পুরহাট যেতে পারবেন। আবার
সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, চাঁপাই ও যেতে পারবেন ✌️

২.রংপুর বিভাগ ( ৮ জেলা)

সেন্টার ধরবেন দিনাজপুর ও নীলফামারী কে।
এই দুটো জেলার সাথেই রংপুরের যোগাযোগ আছে ও বাকি ৫ টি জেলায় যোগাযোগ করতে পারবেন 🖐️

৩.খুলনা বিভাগ ( ১০ জেলা)

সেন্টার ধরবেন যশোর ও কুষ্টিয়া কে এই ৩ জেলা দিয়ে বাকি ৭ জেলাতেই যেতে পারবেন। নড়াইল,মাগুরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা থেকে মাত্র ১ টি জেলা নিতে পারেন চাপ কিছুটা কমবে তবে কুষ্টিয়া- যশোর- খুলনা দিয়ে ও সম্ভব ৩ টাই উন্নত এলাকা ✌️

৪. সিলেট বিভাগ ( ৪ জেলা)

সুনামগঞ্জ সবচেয়ে দূর্গম এলাকা সিলেট থেকে ও বাকি ৩ টা সম্ভব 🤗

৫.ময়মনসিংহ বিভাগ ( ৪ জেলা)

নেত্রকোনা কে সেন্টার ধরবেন সহজেই ময়মনসিংহ আসা যাবে ময়মনসিংহ থেকে শেরপুর - জামালপুর সহজেই কভার দিতে পারবেন 👍

৬.চট্টগ্রাম বিভাগ ( ১১ জেলা)

চট্টগ্রাম কে সেন্টার ধরে বান্দরবান- রাঙামাটি - খাগড়াছড়ি - কক্সবাজার কভার দিতে পারবেন।

ফেনী ও কুমিল্লা কে সেন্টার ধরে বাকি গুলো ও সম্ভব।
ফেনী - কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের সবখানেই যেতে পারবেন।

কুমিল্লা ও সিরাজগঞ্জ দুটো সেন্টার পয়েন্ট
এই ২ টা কে সেন্টার ডিস্ট্রিক্ট ধরলে দেশের ৫ ভাগের ২ ভাগ কভার করা যায়🤗

৭. বরিশাল বিভাগ ( ৬ জেলা)

বরিশাল কে সেন্টার ধরে ৪ জেলা যেতে পারবেন।
শুধু দ্বীপ জেলা ভোলা টা আলাদা ধরবেন।
ভোলা থেকে আবার লক্ষ্মীপুর - নোয়াখালী তে প্রবেশ করতে পারবেন।

৮. ঢাকা বিভাগ ( ১৩ জেলা)

ঢাকা দেশের রাজধানী এটা কে সেন্টার ধরে ৬৩ জেলা ই কভার করা সম্ভব কারণ এটা দেশে র মাঝখানে অবস্থিত ও সব জেলার মানুষ ই এখানে আছে।

ফরিদপুর কে সেন্টার ধরে গোপালগঞ্জ - মাদারীপুর - শরীয়তপুর- রাজবাড়ি কভার করবেন। টাঙ্গাইল কে সেন্টার ধরে গাজীপুর- মানিকগঞ্জ - কিশোরগঞ্জ যেতে পারেন। ঢাকা থেকেই সরাসরি কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ,মুন্সীগঞ্জ সব জেলাতেই যেতে পারবেন।

যারা ঢাকায় বসবাস করেন তারা ঢাকা বিভাগ কে সবার পরে ধরবেন। দূরের জেলা গুলো কমপ্লিট করতে পারলে কনফিডেন্স বাড়বে যা মিশন সিক্সটি ফোরে খুব দরকার ✌️

আপনি ইতিপূর্বে কোন জেলায় ট্যুর করেছেন তা লিস্ট করুন যেগুলোতে কখন ই যান নাই সেগুলো তে ভাল ভাবে ফোকাস করুন আপনার আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের দেশটা কে ঘুরে দেখুন
ও সবার সাথে অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করুন ✌️

রুমের ভেতর মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা?! গুরুত্বপূর্ণ কলড্রপ হচ্ছে! মোবাইলে সিগন্যাল দুর্বল? আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ক...
24/11/2024

রুমের ভেতর মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা?! গুরুত্বপূর্ণ কলড্রপ হচ্ছে! মোবাইলে সিগন্যাল দুর্বল? আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব কিংবা কাস্টমারদের সাথে মোবাইলে কথা বলতে পারছেন না!

রুমের ভেতর নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে মোবাইল ইন্টারনেট ৪জি ডাটা স্পিড সমস্যায় ভুগছেন! ওয়েব ব্রাউজিং, ইউটিউব ভিডিও স্ট্রিমিং, ফেসবুক মেসেঞ্জার ইমো হোয়াটসঅ্যাপ অডিও ভিডিও কলিং, অনলাইনে সঠিক সময়ে দ্রুত যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে!

এই ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন!!

বাংলাদেশে মোবাইল নেটওয়ার্কের এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহজ এবং দ্রুত উপায় হচ্ছে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক সিগন্যাল বুস্টার ব্যবহার করা। এই ডিভাইসটির কাজ-ই হলো দুর্বল মোবাইল ফোন সিগন্যালকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলে নেটওয়ার্ক কাভারেজ এরিয়া বৃদ্ধি করা।

আমাদের অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কথা বলে আপনার প্রয়োজনীয় স্থানে সেটআপ করে স্থায়ীভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা সমাধান করুন এবং সাথে পাচ্ছেন এক বছরের ওয়ারেন্টি সার্ভিস।

সারাদেশে কুরিয়ারের মাধ্যমে এর প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। অর্ডার করতে whatsapp করুন 01772-277088

উঠতি বয়সে প্রায় সব মেয়েদেরই প্রচন্ড বিয়ের মোহ থাকে। সারাক্ষন দু’চোখ দিয়ে চারপাশে শুধু সুন্দর ছেলে খুঁজে বেড়ায়। এ বয়সে মে...
23/11/2024

উঠতি বয়সে প্রায় সব মেয়েদেরই প্রচন্ড বিয়ের মোহ থাকে। সারাক্ষন দু’চোখ দিয়ে চারপাশে শুধু সুন্দর ছেলে খুঁজে বেড়ায়। এ বয়সে মেয়েরা প্রেমে পড়লেই বিয়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। এমন কি পালিয়ে বিয়ে করতেও এক পায়ে প্রস্তুত থাকে তারা।

কিন্তু যদি না কারো সাথে দীর্ঘ ও গভীর কোন এফেয়ার থাকে, বয়স বাড়লে, শিক্ষিত হলে, বিয়ের প্রতি তাদের অধিকাংশেরই একটা অনীহা জন্ম নেয়। বাবা মা তাদের জন্য বিয়ের সম্বন্ধ আনলে তারা প্রতিবাদে নাকের জল চোখের জল এক করে ছাড়ে। জগতটাকে দেখবার, বয়সটাকে উপভোগ করবার, অভিজ্ঞতাটাকে সমৃদ্ধ করবার, পড়ালেখা করে ক্যারিয়ার গড়বার এক দুরন্ত জেদ চেপে বসে তাদের মনে। সে সময়ে অনেক ছেলেকে ভালো লাগলেও পছন্দ করবার মতো যোগ্য ছেলেটিকে তারা তখন আর খুঁজে পায় না কিংবা খোঁজার গরজও বোধ করে না।

ইউনিভার্সিটি পাশ করতে করতে বয়স পঁচিশ ছাব্বিশ পার হয়। বিসিএস কিংবা অন্য কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পুরুষদের পাশাপাশি যোগ্যতার প্রমান দেয়ার প্রচন্ড নেশা চাপে তাদের। সে পরীক্ষায় অনেকে সাফল্যও পায়। তারপর চলে নিজের পায়ে দাঁড়াবার, স্বাবলম্বী হবার সংগ্রাম, নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার সংগ্রাম।

কিন্তু ততদিনে পদ্মা মেঘনা যমুনার জল গড়িয়ে যায় অনেক। মেঘে মেঘে হয়ে যায় অনেক বেলা। খরচ হয়ে যায় আয়ুর সোনালী অধ্যায়।

বিয়ের বাজারে নিজের চাইতে যোগ্য ছেলে খুঁজে পাওয়া তখন দুস্কর হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য। প্রচন্ড মেধাবী যে মেয়েটি অনার্স মাস্টার্স পাশ করে এমফিলও শেষ করে ফেলে, কিংবা হয়ে যায় বিসিএস ক্যাডার, বিয়ের বাজারে তারচে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন পাত্রের খোঁজ করতে গিয়ে এক বিশাল ধাক্কা খায় সে—তিরিশ প্লাস যোগ্য পাত্রগুলি তার তিরিশ প্লাস বয়সটার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। পাত্রের স্বজনরা তাকে আধুনিক হৈমন্তী’র মর্যাদা দিয়ে বসে।

একুশ বাইশ বয়সের যুবতীর বর্ণিল স্বপ্নগুলি তিরিশ পেরিয়ে বিবর্ণ হয়ে পড়ে। তার একদা উপচে পড়া চকচকে যৌবনের কোথাও কোথাও গোপন মরচে পড়ে। তার বিশাল আর আলো ঝলমলে পৃথিবীতে রাত নামতে থাকে। পুরুষতান্ত্রিক এই পৃথিবীতে একটা নিরাপদ আশ্রয় আর অবলম্বন ছাড়া যে সে ভীষন অসহায় এতদিন পর এই নির্মম সত্য অনুধাবন করে সে কাঁপতে থাকে ভয়ে আর অনিশ্চয়তায়। স্বামী সন্তান নিয়ে একটা ছোট্ট সংসারের জন্য সে সারা জীবনের কষ্টার্জিত সকল ডিগ্রী ও যোগ্যতা বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত হয়ে পড়ে।

পাত্রী খোঁজার সময় আমি নিজে এ ধরনের দুর্ভাগা কিছু নারীর দেখা পেয়েছি। এমনই আরো কিছু দুঃখজনক ঘটনা উঠে এসেছে আমার পরিচিত এক ফেইসবুক ফ্রেন্ডের নীচের স্ট্যাটাস থেকে।
============================
০১- ফ্রেন্ড লিস্টের একজন নারী বিসিএস কর্মকর্তা আছেন যিনি ৩৪ বছর বয়সে এসে 'যোগ্য' পাত্র খোজা বন্ধ করে এখন 'মোটামুটি' মার্কা পাত্র খুঁজছেন।

০২- ফ্রেন্ড লিস্টের একজনের বড় বোন ডাক্তার। ৬ বছর ধরে 'যোগ্য' পাত্র খুজতে খুজতে তিনি নিজেই অযোগ্য হবার যোগাড় হয়েছেন। বয়স ৩৫ চলছে। ওনার পরিবারের প্রথম টার্গেট ছিল ডাক্তার পাত্র ছাড়া বিয়ে করবে না। ২৯ বছর বয়সে যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিল তখন কিছু সিনিয়ার অবিবাহিত ডাক্তার পাত্র পাওয়া যাচ্ছিল কিন্তু সেগুলো তাদের পছন্দ হচ্ছিল না। পাত্র খুজতে খুজতে বয়স এখন ৩৫ এ এসে দাঁড়িয়েছে। এখন আর ডাক্তার পাত্র পাচ্ছে না। মনে হয় আর পাবেনও না। এখন 'অডাক্তার' ছেলে পেলেও চলবে। ইভেন জুনিয়ার কোন ব্যাপার না।

০৩- এই আপু একজন উচ্চ শিক্ষিতা, বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে গিয়ে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। ওনার জীবনের লক্ষ্যই ছিল উচ্চতর ডিগ্রী নেয়া। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কিন্তু ততক্ষনে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। এখন এত এত ডিগ্রী সত্বেও পাত্র পাচ্ছেন না। ওনার বয়স এখন ৩৮/৩৯।

০৪- ফ্রেন্ড লিস্টের এই আপু আমাকে ধরেছেন ওনার ঘটকালী করার জন্য। আমার সাথে মাঝে মাঝেই কথা হয়। বয়স ৩৮ চলছে। পারিবারিক কী এক ঝামেলার কারনে এখনো বিয়ে করতে পারেন নি।

আসলে সময়ের কাজ সময় থাকতেই করতে হয়। লেখাপড়া, ক্যারিয়ার ইত্যাদির জন্য অনেক মেয়ে বিয়ের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। কিন্তু যত বড় ক্যারিয়ার থাকুক না কেন ছেলেরা চাইবে তার চাইতে মিনিমাম ৫/৬ বছর জুনিয়র মেয়েকে বিয়ে করতে। সেই হিসেবে শিক্ষিত সমাজে সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডের মেয়েরা হয় ১৬ থেকে ২২ বছর বয়সী।

অফিসে এক সিনিয়র কলিগ কইলো,
"একটা সময় টাকার অভাবে চুলে শ্যাম্পু দিতে পারতাম না, আর এখন চুলের অভাবে শ্যাম্পু দিতে পারি না।"
সুতরাং বিয়ের ব্যাপারে দেরি করতে নেই।

সংগৃহীত

এরকম শিক্ষনীয় লেখা গুলো পেতে ফলো করে রাখুন পেইজটি

22/11/2024
বর্তমান সময়ে যারা কক্সবাজারে ঘুরতে যাবেন তাদের নিরাপত্তার জন্য এই সতর্কতাগুলো মাথায় রাখবেনঃ ১. বাস থেকে নামার পর নিজেদে...
22/11/2024

বর্তমান সময়ে যারা কক্সবাজারে ঘুরতে যাবেন তাদের নিরাপত্তার জন্য এই সতর্কতাগুলো মাথায় রাখবেনঃ

১. বাস থেকে নামার পর নিজেদের ইচ্ছামত অটোতে উঠবেন, অবশ্যই গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে ভাড়া ঠিক করে উঠবেন। অটো ওয়ালাদের কথামতো অটো নিলে ওরা আপনাকে উনাদের নির্ধারিত হোটেলে নিয়ে যাবে।

২. সম্ভব হলে আগেই হোটেল বুকিং দিয়ে যাবেন। তবে বুকিং দেবার আগে ভাড়া ঠিক করে নেবেন। যারা কক্সবাজার এসে হোটেল ঠিক করতে চান তারা অবশ্যই অটো চালকের কথায় কোন হোটেলে যাবেন না। নিজেরা যাচাই করে, রুম দেখে ভাড়া ঠিক করে হোটেলে উঠবেন।

৩. হোটেলে উঠার সময় অবশ্যই এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড সাথে আনবেন এবং হোটেলে কপি জমা দেবেন।

৪. বিচে নামার সময় মূল্যবান জিনিসপত্র হোটেলে রেখে আসাই উত্তম।

৫. বিচে বসে কোন ম্যাসেজ বয় কে দিয়ে ম্যাসেজ করাবেন না, ম্যাসেজ বয় দেখলে কিটকটের দায়িত্বে থাকা কর্মিকে সরিয়ে দিতে বলবেন অথবা ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানাবেন। ( ম্যাসেজের আড়ালে তারা আপনার মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে যেতে পারে), ট্যুরিস্ট পুলিশ ম্যাসেজ বয়দের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

৬. কোন ভিক্ষুক, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বিরক্ত করলে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবহিত করুন।

৭. বিচ থেকে ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শীঘ্রই ভ্রাম্যমাণ হকার মুক্ত করা হবে। আপনারা ভ্রাম্যমাণ হকার থেকে কেনাকাটা থেকে বিরত থাকুন।

৮. ফটোগ্রাফার থেকে ছবি তোলার ক্ষেত্রে আগে থেকেই দরদাম ঠিক করে নিতে হবে। সম্ভব হলে তার লাইসেন্স আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিবেন এবং মোবাইল নাম্বার ও ফটোগ্রাফারের ছবি তুলে রাখবেন।

৯. বিচবাইক, ওয়াটার বাইকে চড়ার ক্ষেত্রে তাদের রেইট নির্ধারণ করে দেয়া আছে, যাচাই করে, দাম ঠিক করে উঠবেন।

১০. পানিতে নামার ক্ষেত্রে যেখানে লাইফ গার্ড রয়েছে তার আশেপাশে নামার চেষ্টা করবেন।

১১. কোন ধরনের হয়রানি হবার সম্ভাবনা হলে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিবেন।

১২. হোটেলে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে মূল্য তালিকা দেখে নিবেন।

১৩. স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

১৪. কক্সবাজার বীচ এলাকা ও এর আশপাশ নিরাপদ। তবে সন্ধ্যার পর ঝাউবন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকায় না যাওয়ায় উত্তম।

১৫. জোয়ার-ভাটার সময় দেখে নিন। ভাটার সময় পানিতে নামবেন না। লাল পতাকা দেখলে বীচে গোসল পরিহার করুন।

১৬. যে কোন আইনী সহায়তা ও হয়রানি প্রতিরোধে যোগাযোগ করুন ডিউটি অফিসার ০১৩২০১৫৯০৮৭, এএসপি ০১৩২০১৫৯২০৯,-কে।

কালেক্টেড💫

ভারতীয় রেল ভ্রমন কালে যদি দেখেন আপনার সিট দখল করে অন্য যাত্রী বসে আছে TTE এসে ফাঁকা করবে সিট শুধু এই কাজটি করেন । ভারতীয়...
04/11/2024

ভারতীয় রেল ভ্রমন কালে যদি দেখেন আপনার সিট দখল করে অন্য যাত্রী বসে আছে TTE এসে ফাঁকা করবে সিট
শুধু এই কাজটি করেন ।

ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী রিজার্ভ করা সিটে শুধু সেই যাত্রীর ই বসার অধিকার রয়েছে। যদি কেউ অন্যায় ভাবে আপনার সিট দখল করে রাখে, তবে আপনি টি টি ই কে ডেকে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন। তিনি সিট ফাঁকা করে দিবেন।
যদি ভীড় ট্রেনে টি টি ই কে খুঁজে না পান তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই শুধু 139 নাম্বারে একটা ম্যাসেজ করেন
টি টি ই এসে আপনার সিট ফাঁকা করে দেবে।

মেসেজে কি লিখতে হবে ?

139 ভারতীয় রেলের হেল্পলাইন নাম্বার, প্রথমে মেসেজ অপশনে যান, ইংরেজি বড় অক্ষরে SEAT লিখুন স্পেস দিয়ে ট্রেনের PNR নাম্বার, তারপর স্পেস দিয়ে ট্রেনের কোচ নাম্বার, সিট নাম্বার এর পর একটা স্পেস দিয়ে OCCUPIED
BY UNKNOWN PASSENGER লেখেন এবং পাঠিয়ে দেন
139 নাম্বারে এতেই ভারতীয় রেলের কাছে সরাসরি অভিযোগ দায়ের হবে, তখন টি টি ই এসে আপনাকে
খুঁজে বের করে আপনার সিট ফাঁকা করে দিয়ে তার দায়িত্ব
পালন করবে। লেখার নিয়ম টা স্কিন সট দিয়ে সংরক্ষন করে রাখতে পারেন, কাজে লাগতে পারে।।

আমাদের পূর্বপুরুষরা কৃষক ছিলেন, শ্রমিক ছিলেন। থাকতেন মাটির কাঁচা ঘরে। অর্থাভাবে-অন্নাভাবে কখনও-সখনও উপোসও করতেন। পরতেন ম...
23/10/2024

আমাদের পূর্বপুরুষরা কৃষক ছিলেন, শ্রমিক ছিলেন। থাকতেন মাটির কাঁচা ঘরে। অর্থাভাবে-অন্নাভাবে কখনও-সখনও উপোসও করতেন। পরতেন মলিন পোশাকপরিচ্ছদ। আমাদের বাবারা চাইলেন আমরাও যেন পূর্বসূরিদের মতো শ্রমিক না হই, আমাদেরকেও যেন মাটির ঘরে থাকতে না হয়, আমরা যেন পাকা ঘরে থাকি, যেন পেট পুরে তিনবেলা খেতে পাই। বাবারা আমাদেরকে নিয়ে বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে করে গ্রাম ছাড়লেন, মফস্বলে এনে পড়াশোনা করালেন, টিনশেড ঘরে রাখলেন। আমরা পড়াশোনা করলাম, মফস্বল ছাড়লাম, উচ্চশিক্ষার্থে মহানগরে এলাম, স্নাতক হলাম, স্নাতকোত্তর হলাম; পূর্বপুরুষদের বিশাল বাড়ি ছেড়ে অ্যাপার্টমেন্ট নামক কংক্রিটের বস্তিতে উঠলাম, কায়িক পরিশ্রম থেকে মুক্ত হলাম, বুদ্ধিবৃত্তিক কাজকর্ম (আসলে কেরানিগিরি) করে জীবিকা নির্বাহ করা শুরু করলাম, পোশাকে-আশাকে ফিরিঙ্গিদের মতো ফিটফাট হলাম, শরীরে-মনে আভিজাত্য এল। আমাদের পা আক্ষরিক অর্থেই আর মাটিতে পড়ল না, গা আর বৃষ্টিতে ভিজল না। আমরা মাটির ঊর্ধ্বে উঠে গেলাম, বৃষ্টির ঊর্ধ্বে চলে গেলাম। সর্বোচ্চ স্মৃতিশক্তি প্রয়োগ করেও আমরা মনে করতে পারি না— আমরা সর্বশেষ কবে মাটিতে হেঁটেছিলাম, বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম বা ঘাসের ছোঁয়া পেয়েছিলাম। এমনকি, নিজের কেনা অ্যাপার্টমেন্টের ছাদের চাবিও আমাদের কাছে থাকছে না, আমাদের মিলছে না নিজের মালিকানাধীন ভবনেরও ছাদে যাওয়ার অবাধ সুযোগ। মানুষ চাঁদে যাচ্ছে, আমরা পারছি না ছাদেও যেতে।

আমাদের দাদারা ছিলেন সুন্দর খাঁ, সুরুজ আলি কিংবা ময়েজুদ্দিন। আমরা হলাম ফাহাদ ফারাজ অনন্য, ইফতেখার ইশমাম ইশতি কিংবা আহনাফ মুনতাসির উচ্ছ্বাস। আমাদের দাদিরা ছিলেন সূর্য ভানু, করিমন বেওয়া কিংবা জরিতন নেছা। আমরা হয়েছি আনিকা আজিজ অর্নি, মালিহা তাবাসসুম অবন্তী কিংবা সেগুফতা শেহরিন আনিলা। আমাদের কারো-কারো নামের আগে-পিছে-মাঝে যুক্ত হতে লাগল এসএম, কেএম, এবিএম, আ ক ম, আ ন ম, আ আ ম স। আমাদের নাম ক্রমশ শক্ত হতে লাগল, কাটখোট্টা হতে লাগল, দুর্বোধ্য হতে লাগল। অথচ আমাদের পূর্বপুরুষরা সোজাসাপটা নাম ধারণ করেই একটা জীবন কাটিয়ে দিয়ে গেছেন, তাতে তাদের বেঁচে থাকতে সবিশেষ অসুবিধে হয়নি। আমরা আলুভর্তার নাম দিয়েছি ম্যাশড পটেটো উইথ গ্রিন চিলি, পুদিনা পাতা দেওয়া লেবুর শরবতের নাম দিয়েছি মিন্ট লেমনেড, ভাতের মাড়ের নাম দিয়েছি চিকেন থাই সুপ। নতুন নামের খাদ্যের দাম শতগুণ হলেও পুরোনো সেই স্বাদ আমরা আর পাচ্ছি না। আমরা গায়েহলুদকে বানিয়েছি মাহেন্দি নাইট, কনে নাওয়ানোর নাম দিয়েছি ব্রাইডাল শাওয়ার, বউভাতকে বিদায় করে আমদানি করেছি রিসিপশন। আমাদের নামাজ, রোজা, রমজান, সেহরি, জিলাপি হয়ে গেছে যথাক্রমে সালাত, সাওম, রামাদান, সুহুর, জালেবি; কিন্তু হারিয়ে গেছে আমাদের ভাবগাম্ভীর্য, হারিয়েছে আধ্যাত্মিকতা, হারিয়েছে সহজিয়া জীবনবোধ; বিনিময়ে সাপের মতো এঁকেবেঁকে জেঁকে বসেছে উত্তুঙ্গ উগ্রবাদ আর পৌনঃপুনিক প্রদর্শনবাদ।

কায়িক পরিশ্রম না-করতে না-করতে আমাদের দেহে পুরু চর্বি জমল, সার্বক্ষণিক রোগবালাই বাসা বাঁধল, ডায়াবেটিস হানা দিলো। চিকিৎসকরা আমাদের খাবারের পরিমাণ বেঁধে দিলেন— দিনে ছয় কাপ ভাত, চারটা রুটি, এক কাপ শবজি, একটা শশা, দেড়টা গাজর, আড়াইটা আঙুর। চিকিৎসকরা আমাদেরকে প্রতিদিন দৌড়াতে বলে দিলেন। আমরা স্টপওয়াচ চালু করে হাফপ্যান্ট পরে ভুঁড়ি নাচিয়ে রাজপথে দৌড়াতে লাগলাম, জিমনেশিয়ামে গিয়ে বাঁদরের মতো এ-ডাল ও-ডাল ঝুলতে লাগলাম, বুকডনের নামে নাকে খত দিতে লাগলাম; আমরা সেসবের গালভরা নাম দিলাম— 'ওয়ার্ক আউট', 'ক্যালরি বার্ন'। শহরে থাকতে-থাকতে ক্লান্ত হয়ে আমরা দু-তিন মাস পরপর ছুটতে লাগলাম রিসোর্টে। একটু গাছপালা আছে, ডোবার মতো একটা হাজামজা পুকুর বা পচা-গলা সুইমিংপুল আছে, ছাদ বা বেড়া খড়কুটোর, সন্ধ্যার পর গোটা দশেক জোনাকির দেখা পাওয়া যায়, বৃষ্টি হলে চার-পাঁচটা ব্যাঙ ডাকে— বেছে-বেছে আমরা এমন রিসোর্টে যাওয়া শুরু করলাম, ভাড়া গুনতে লাগলাম রাতপ্রতি দশ হাজার। রিসোর্টে লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক দিয়ে ভাত খেয়ে বিল দেওয়া শুরু করলাম বেলাপ্রতি মাথাপিছু একহাজার; বারবিকিউ নামক মাংসপোড়ার পেছনে ঢালতে লাগলাম আরো হাজার-হাজার। বারবিকিউর সাথে আমরা খাই তেল-ছাড়া পরোটা, অথচ আমাদের পূর্বপুরুষদের স্বপ্ন ছিল বড়লোক হয়ে একদিন তারা তরকারিতে ইচ্ছেমতো তেল খাবেন। আমরা— উত্তরসূরিরা তরকারিতে তেল খাওয়ার মতো আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করেছি, কিন্তু আমাদের পাকস্থলী তেল সইছে না। খাওয়ার জন্য আমরা বড়লোক হলাম; বড়লোক হওয়ার পর আমাদের কারো-কারো ক্ষুধাই লাগছে না, ক্ষুধা লাগানোর জন্য চিকিৎসকদের পেছনে আমরা ঢালছি কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা।

যে-পেট পুরে খাওয়ার জন্য আমরা শহরে এসেছিলাম বা বড়লোক হয়েছিলাম; আমাদের সেই পেটে এখন আর খাবারই সয় না, প্রকৃতি আমাদের জিহ্বা কেড়ে নিয়েছে, মুখ থেকে খাবার কেড়ে নিয়েছে, এখন খাবার আমাদের খেতে হয় কাপ মেপে। আমাদের বাবা-মায়েদের পাতে মাংস জুটত না, মাসে একবার বাজার থেকে একজোড়া কবুতর বা এক পোয়া গোমাংস কিনে এনে এক কেজি আলু মিশিয়ে রেঁধে পাঁচ সদস্যের পুরো পরিবার একবেলা মেতে উঠতাম মাংস-উৎসবে। এখন আমরা মাংস খেতে পারি না হার্ট অ্যাটাকের আতঙ্কে। মাংস এখন রেফ্রিজারেটরে পচে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা খেতে পারছি না। মাংস আমাদেরকে ছেড়ে গেছে। আমরা শারীরিক পরিশ্রম থেকে বাঁচার জন্য পড়াশোনা করেছিলাম; কিন্তু প্রকৃতি আমাদেরকে বাধ্য করছে কুকুরের মতো জিভ বের করে নোংরা রাস্তায় দৌড়াতে, জিমনেশিয়ামে ঝুলতে, বাটখারা তুলতে, বস্তা কিলাতে। কুলিরা চাউলের আড়তে যা যা করেন; জিমনেশিয়ামে আমরা তা-ই করছি, করে গর্বের সঙ্গে সেসবের ভিডিও দিয়ে রিল বানাচ্ছি, বানিয়ে দেখাচ্ছি— আমরা কে কত স্বাস্থ্যসচেতন, কে কত অভিজাত, কে কত আলাদা। যার জিমের মাসিক চাঁদা যত বেশি, সে তত বেশি অভিজাত। শ্রমিকদের মতো দৌড়াব না বলে আমরা সুট-বুট পরে দালানে ঢুকেছিলাম, আমরা এখন ট্রেডমিল কিনে সেই একই দালানের ভেতরই দৌড়াচ্ছি। আমরা দৌড় ছাড়তে চেয়েছিলাম, দৌড় আমাদেরকে ছাড়েনি, দৌড় আমাদেরকে দৌড়ানি দিচ্ছে।

কুঁড়েঘরে থাকব না বিধায় আমরা গ্রাম ছেড়েছিলাম, এখন আমরা কিছুদিন পরপরই পর্যটনকেন্দ্রের গলা-কাটা কৃত্রিম কুঁড়েঘরে যাই স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে। কাচঘেরা বায়ুরোধী ভবন বানিয়ে শ্বাসকষ্ট বাঁধিয়ে বুকভরা বাতাস নিতে লাখ টাকা খরচ করে আমরা সমুদ্রসৈকতে ছুটছি। গায়ে মাটি লাগাব না বলে আমরা গ্রাম ছেড়েছিলাম, একটু মাটির স্পর্শের আশায় এখন আমরা পার্কে-পার্কে ছুটছি কিংবা ছাদবাগান করছি। 'চাষাভুষা' শব্দটাকে আমরা গালি বানিয়েছিলাম, এখন ছাদবাগানে এক ডজন টমেটো ফলাতে পারলে গর্বিত 'নগরচাষি' হিশেবে বুক ফুলিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা প্রচার করছি। মাছধরা মানুষদের জাইল্লা বলে তাচ্ছিল্য করা আমরাই লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে বড়শি পেতে বসে থাকছি সরকারি দিঘিতে সেই মাছই ধরার জন্য। শবজি খাব না বলে আমরা বড়লোক হয়েছিলাম; এখন বাজারে শবজির দামই বেশি, রেস্টুরেন্টে শবজিজাত খাবারের দামই বেশি, শবজি এখন বড়লোকদেরই খাবার। পূর্বপুরুষরা যে শবজি খেতেনই না, যে শবজি বেড়ে উঠত বাড়ির পেছনের ঝোপঝাড়ে অনাদরে-অবহেলায়; শহরে আমরা এখন সেই অনাহুত শবজিই কিনে খাচ্ছি কেজিপ্রতি শত-শত টাকা খরচ করে।

আমাদের পূর্বপুরুষরা ছেঁড়া কাপড় পরতেন অর্থাভাবে, এখন আমরা চড়া দামে ছেঁড়া-খোঁড়া জিন্স কিনে পরি। তারা পান্তাভাত খেতেন তিনবেলা রান্নার মতো জ্বালানি ছিল না বলে; আমরা পহেলা বৈশাখে ঐ পান্তাভাতই খাই গরম ভাতে জোরপূর্বক পানি দিয়ে, হাজার-হাজার টাকার শ্রাদ্ধ করে; খেয়ে ডায়রিয়া বাধাই, বাধিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। মহানগরের সেসব রেস্টুরেন্টের খাবারের দামই এখন সবচেয়ে বেশি; যেসব রেস্টুরেন্টের সাজগোজ গ্রামের মতো, যেসব রেস্টুরেন্টে মেঝেতে বিছানো জাজিমে বসে খেতে হয়, যেসব রেস্টুরেন্টের আবহসংগীত হিশেবে বাজে গাঁও-গেরামের গান। আমরা বাসায় রাঁধি না সময় বাঁচানোর জন্য, অনলাইনে অর্ডার করে রেস্টুরেন্টের খাবার বাসায় আনিয়ে খেয়ে দিনাতিপাত করি, সেই বেঁচে যাওয়া সময়ে আমরা পয়সা উপার্জন করি; এর পর আমরা লিভার সিরোরিস বাঁধাই, শেষে সেই পয়সা খরচ করি লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায়। আমরা পরিবারের সবাই মিলে চাকরি নিয়েছিলাম স্বাবলম্বী হব বলে; স্বাবলম্বী আমরা হয়েছি, স্বাবলম্বী হতে-হতে কেউ বা ধনকুবেরও হয়েছি, কিন্তু আমাদের সন্তানরা বড় হচ্ছে গৃহকর্মীদের হাতে। আমরা এতটাই স্বাবলম্বী হয়েছি যে, আমাদের সন্তানরা জাগ্রত অবস্থায় দেখছে আমরা ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছি, ঘুম থেকে জেগে দেখছে আমরা অফিসে চলে গেছি। স্বাবলম্বনের দাপটে আমাদের মা-বাবারা বার্ধক্য কাটাচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রমে, সন্তানরা শৈশব কাটাচ্ছে চাইল্ড কেয়ারে, আমরা যৌবন কাটাচ্ছি ডেস্কটপে। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বিয়ে করব না ভেবে আমরা কেউ-কেউ ত্রিশেও বিয়ে করছি না, পঁয়ত্রিশেও বিয়ে করছি না; করছি চল্লিশের পরে অথবা করছিই না। অথচ পূর্বপুরুষরা চল্লিশে দিব্বি নাতি-নাতনির মুখ দেখতেন। কিসের জন্য যেন অপেক্ষা করতে-করতে আমরা যৌবনেই বুড়িয়ে যাচ্ছি, বুড়ো বয়সে যুবকের ভূমিকায় অভিনয় করছি, শুগার ড্যাডি বা শুগার মম হচ্ছি; কোনোকিছুই শুরু বা শেষ করছি না যথাসময়ে।

সূর্যের আলো গায়ে লাগিয়ে ক্ষেতখামারে কাজ করব না বলে আমরা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রাজপ্রাসাদে ঢুকেছিলাম। ঢুকে দেখলাম— শরীরে সূর্যের আলোর অভাবে আমাদের ঘুম আসে না। রাতের ঘুম ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ওষুধ খাওয়া শুরু করলাম, তাতেও কাজ না হওয়ায় সূর্যের আলো গায়ে লাগানোর জন্য আমরা 'মর্নিং ওয়াক' শুরু করলাম। শীতাতপনিয়ন্ত্রক যন্ত্র ওদিকে আমাদের শরীরে ডেকে আনল নিউমোনিয়া-অ্যাজমা-হুপিংকাশি। প্রযুক্তি আমাদের চোখ খেল, কান খেল, নাক খেল; আমাদের চোখে ধরিয়ে দিল চশমা, কানে বসিয়ে দিল হিয়ারিং এইড, নাকে নেবুলাইজার। পূর্বপুরুষদের যা যা আমরা করতে চাইনি, আমরা— উত্তরপুরুষরা এর সবকিছু করতে বাধ্য হচ্ছি। বড়লোক হতে-হতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। টাকা খেয়ে আমরা কুলাতে পারছি না। টাকা রাখারও জায়গা হচ্ছে না আমাদের। টাকা ব্যাংকে রাখলে ক'দিন পরে ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে শেয়ারবাজার লুট হয়ে যায়। এখন আমাদের গরিব হতে ইচ্ছে করে। কিন্তু পারি না। গরিবরা বড়লোক হতে পারে, কিন্তু বড়লোকরা একবার বড়লোক হয়ে যাওয়ার পর আর গরিব হতে পারে না।

আমরা পাঠ্যবহির্ভূত বই পড়তাম। খবরের কাগজ পড়তাম। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্র দেখতাম। শুক্রবার বিকেল তিনটা কুড়ি মিনিটে দেখতাম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি। এর মধ্যে খবরের কাগজ বাদে বাকি সবগুলোকেই আমাদের পূর্বসূরিরা অন্যায় বলে মনে করতেন। পাঠ্যবইয়ের ভাঁজে কমিকের বই পেলে প্রহার করতেন, প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার খবর পেলে প্রহার করতেন, প্রহার করতেন এমনকি প্রতিবেশীদের বাড়িতে শুক্রবারের ছায়াছবিটিও দেখতে গেলে। আমরা ভাবতাম বড় হয়ে বড়লোক হলে আমাদেরকে কেউ ঠেকাতে পারবে না— আমরা ইচ্ছেমতো বই পড়ব, চলচ্চিত্র দেখব, গান শুনব। আমরা বড় হলাম, বড়লোকও হলাম। ততদিনে দেশ থেকে প্রেক্ষাগৃহ উধাও হয়ে গেছে, চলচ্চিত্রজগৎই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে, চলে গেছে আমাদের পাঠাভ্যাস। আমাদের ফোনে এখন হাজার-হাজার বইয়ের পিডিএফ, ওটিটি-ইউটিউবে অগণিত চলচ্চিত্র। বই পড়ার জন্য এখন গ্রন্থাগারে যেতে হয় না, চলচ্চিত্র দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে যেতে হয় না, গান শোনার জন্য কিনতে বা ভাড়া করতে হয় না ক্যাসেট-সিডি-ডিভিডি। কিন্তু আমাদের এখন কিছুই দেখা হয় না, কিছুই শোনা হয় না, কিছুই পড়া হয় না। আমাদের সবকিছু জমা হয়ে আছে, আমাদের সবকিছু জমে গেছে— উত্তর মেরুর বরফের মতো। সবকিছু হাতের মুঠোয় চলে আসায় আমরা এখন আর কিছুই দেখি না, শুনি না, পড়ি না। আমাদের ভেতরকার পাঠকের মৃত্যু হয়েছে, শ্রোতার মৃত্যু হয়েছে, দর্শকের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের পূর্বসূরিরা ভ্রমণকাহিনী পড়তেন, পড়ে কল্পনায় ওসব জায়গা দেখে নিতেন, পরে পয়সা জমলে সেসব জায়গায় ভ্রমণে যেতেন। এখন আমরা ভিডিওতেই সব দেখে ফেলছি, আমাদের আর কল্পনা করতে হচ্ছে না, ফলে আমাদের কল্পনাশক্তিও নেই হয়ে গেছে। আমরা এখন আর কল্পনা করি না। কোথাও বেড়াতে গেলে সেই জায়গাটা দেখি না, শুধু ভিডিও করি, জায়গাটাকে ব্যাকগ্রাউন্ড বানিয়ে সহস্র ছবি তুলি; পরবর্তীকালে সেসব ছবি আমরা আর একবারও খুলে দেখি না। ফলে মরে গেছে আমাদের দর্শনেন্দ্রিয়ও। আমাদের সর্বাঙ্গে মরিচা ধরেছে, সব ইন্দ্রিয়ে জং ধরেছে। যখন সবকিছু দুর্লভ ছিল, তখন ঠিকই আমরা মূল্যবান বস্তুর মূল্য দিতাম।

সময় বাঁচানোর জন্য আমরা ফোন কিনেছিলাম। পরে, দেখলাম— ফোনই আমাদের জীবনের সিংহভাগ সময় খেয়ে ফেলেছে। যখন দু-টাকার খামে করে চিঠি লিখে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হতো এক মাস, তখনও আমরা নিঃসঙ্গ ছিলাম না। কিন্তু এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের অযুত-নিযুত অনুসারী, মেসেঞ্জারে কড়া নাড়লে এখন উত্তর পাওয়া যায় সেকেন্ডের মধ্যে, কথা বলার জন্য এখন সবুজ বাতি জ্বালিয়ে রাখে শত-সহস্র অনুরাগী; কিন্তু মন খুলে কথা বলার মতো এখন আমরা কাউকেই খুঁজে পাই না, মানুষ খুঁজে পেলেও কথা খুঁজে পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাত্যহিক গল্প এত বেশি বলে ফেলি এবং দৈনন্দিন জীবনের ছবি-ভিডিও এত বেশি দেখিয়ে ফেলি যে, এখন আমরা সবার সবকিছু জানি, মুখোমুখি সাক্ষাতে বলার মতো কোনো গল্পই এখন আর আমাদের অবশিষ্ট থাকে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলতে-বলতে আমরা আমাদের সব গল্প শেষ করে ফেলেছি, দেখিয়ে শেষ করে ফেলেছি সমস্ত ছবি। দু-টাকার হলুদ খামের যুগেও আমরা নিঃসঙ্গ ছিলাম না, কিন্তু দু-সেকেন্ডের সবুজ মেসেঞ্জারের যুগে আমরা নিঃসঙ্গ। এখন আমরা নিঃস্ব, নিঃসঙ্গ এবং গল্পশূন্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত গল্পগুলো আমরা এমন ব্যক্তিদেরকে বলে ফেলেছি, ব্যক্তিগত ছবিগুলো এমন ব্যক্তিদেরকে দেখিয়ে ফেলেছি; যারা আমাদের ব্যক্তিজীবনের অংশই না, যাদের সাথে কখনোই দেখা বা কথা হবে না। ভূগর্ভস্থ পানি বেশি তুলে ফেললে নলকূপ আর পানি দেয় না, জীবনের গল্প বেশি বলে ফেললে জীবনও নলকূপের মতো আচরণ করে। আমরা এখন একেকজন পরিত্যক্ত নলকূপ।

আমাদের পূর্বপুরুষদের বাড়িতে ছিল বিশাল পুকুর, সারি-সারি ফলগাছ, শবজির ক্ষেত, গোয়ালঘর। বড়লোক হয়ে আমরা পুকুরের পরিবর্তে দেড় হাত চওড়া বাথটাব বানিয়েছি, ছাদে গাছ নাম নামক কিছু প্রহসন লাগিয়েছি, খাঁচায় পালছি কুকুর-বেড়াল-খরগোশ। গাঁয়ের বিঘা-বিঘা জমি বেচে শহরে এসে আমরা ফ্ল্যাট নামক সাড়ে সাতশো বর্গফুটের খোপ কিনছি। খোপের ড্রয়িংরুমে সাজিয়ে রাখছি বনসাই। একেকটা বনসাইয়ের দাম মূল গাছের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। আমরা স্বপ্ন দেখি— শহরে কামানো টাকা দিয়ে শেষ বয়সে গ্রামে গিয়ে বাগানবাড়ি করব। অথচ আমাদের পূর্বপুরুষরা বাগানবাড়িতেই জন্মেছেন, বাগানবাড়িতেই দিনাতিপাত করেছেন, বাগানবাড়িতেই মরেছেন। অর্থাৎ শেষ বয়সে যে জীবন যাপন করব বলে শহরে বসে আমরা খেটে মরছি বা স্বপ্ন দেখছি, প্রাচীন আমলের অশিক্ষিত লোকজন বিনা পড়াশোনায়ই সেই জীবন আজীবন যাপন করে গিয়েছেন। শিক্ষিত বড়লোক হয়ে শহরে বসে আমরা যা যা করছি বা করার চেষ্টা করছি, আমাদের অশিক্ষিত গরিব পূর্বপুরুষরা ওগুলোই করতেন। কিন্তু রাত আটটার মধ্যে তারা ঘুমিয়ে পড়তে পারতেন, তাদের চোখে ঘুম ছিল। আর এদিকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে সকাল আটটায়ও আমাদের ঘুম আসে না। পূর্বপুরুষদের যা যা আমরা এড়াতে চেয়েছিলাম, এর সবকিছু আমরা উচ্চমূল্যে করতে বাধ্য হচ্ছি। বরং তাদের বাড়ি ছিল আমাদের ফ্ল্যাটের চেয়ে বহুগুণ বড়, তাদের খাবার ছিল বিশুদ্ধ, তাদের শরীর ছিল সুঠাম। অথচ আমরা ভেবে বসে আছি শিক্ষিত ও বড়লোক হয়ে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের চেয়ে ভালো আছি।

তা হলে? আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের চেয়ে কতটুকু এগোলাম? তাদের চেয়ে আমরা কতটা ভালো আছি? প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে শেষ পর্যন্ত আমরা কি বিজয়ী হয়েছি? নাকি গো-হারা হেরে বসে আছি? আমরা কি আমাদের পরাজয় টের পাচ্ছি?

✍️আখতারুজ্জামান আজাদ

Address

Sylhet

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মুসাফির The Traveler posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category