Aity's World

Aity's World Adventure, Travelling, Food .....

ফিরে দেখা।। ১৯৭১মাত্র ৯ বছর বয়সে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া পণ্ডিত বারীণ মজুমদার ও ইলা মজুমদার দম্পতির শিশুকন্য...
05/09/2023

ফিরে দেখা।। ১৯৭১

মাত্র ৯ বছর বয়সে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া
পণ্ডিত বারীণ মজুমদার ও ইলা মজুমদার দম্পতির শিশুকন্যা মধুমিতা মজুমদার ৷

বাংলাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম পুরোধা এবং উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত বারীণ মজুমদার এবং তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতজ্ঞ-শিক্ষক ইলা মজুমদার দম্পতির প্রথম সন্তান মধুমিতা মজুমদার ৷ মধুমিতা মজুমদারের জন্ম হয়েছিল ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের ৩রা সেপ্টেম্বর । ৯ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধকালে ৭১’র ২রা এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে বাঁচতে শরণার্থী হয়ে দেশ ত্যাগের সময় গানবোটের মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণের মধ্যে বিক্রমপুর এলাকায় হারিয়ে যায় মধুমিতা মজুমদার । যাকে আর কখনই ফিরে পাওয়া যায়নি ।

দেশ স্বাধীন হবার পর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিখোঁজ হবার সংবাদ প্রকাশ করে এবং পুরস্কার ঘোষণা করেও পণ্ডিত বারীণ মজুমদার এবং ইলা মজুমদার দম্পতি ফিরে পাননি তাদের সন্তান মধুমিতা মজুমদারকে ৷ আজ হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট মধুমিতা মজুমদার’র শুভ জন্মদিবস ৷ হারিয়ে না গেলে ৬০ বছর বয়সে পদার্পণ করতেন আজ ৷ তাদের পরিবার আজও সেই সন্তানের ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গোনে ৷

উল্লেখ্য যে, তাদের দম্পতির তিন সন্তান ৷ প্রথম সন্তান একাত্তরে হারিয়ে যাওয়া মধুমিতা মজুমদার, তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান সঙ্গীত পরিচালক পার্থ মজুমদার এবং কনিষ্ঠ সন্তান খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার । এছাড়াও লব্ধপ্রতিষ্ঠ স্বনামধন্য মূকাভিনয় শিল্পী পার্থ প্রতিম মজুমদার তাঁদের পালকপুত্র ৷

একাত্তরে হারিয়ে যাওয়া মধুমিতা মজুমদারের আজ জন্মদিবসে জানাই অশেষ শ্রদ্ধা ৷ ফিরে আসুক হারানো সন্তান পরিবারের কোলে, এই কামনা রইল ৷

02/08/2023

পৃথিবীর দুই ভয়ঙ্কর নদী
*************************************
মানব সভ্যতার ধারক ও বাহক নদী। পর্বতের বরফ গলা জলে পুষ্ট প্রকৃতির এক অমূল্য অবদান। প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে রেখেছে সমগ্র বিশ্বজুড়ে। মানব সভ্যতার সঙ্গে নদীর নিবিড় সম্পর্ক। সর্পিল গতিতে নিরন্তর প্রবাহমান এই জলধারা দেখলেই মন ভরে যায়। অথচ এই নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের মধ্যেও কত বিভীষিকা লুকিয়ে আছে, তা আমাদের অজানা! আসলে প্রকৃতির থেকে রহস্যময় আর কী-ই বা হতে পারে! আপন বেগে পাগল পারা নদীও কখনও কখনও মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে অপেক্ষা করে! আজ তেমনই দু’টি নদীর কথা জানব, যে নদী দুটি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নদীর তকমা পেয়েছে।

(১) ব্রিটেনের ওয়ার্ফে নদী:
ব্রিটেনের ইয়র্কশায়ারের সবুজ প্রান্তরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এই নদীটি। কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের ‘দ্য ফোর্স অব প্রেয়ার’ কবিতায় এই নদীটির কথা পাওয়া যায়। এ এমনই এক নদী, যা শুধু মানুষের প্রাণই নিতে জানে। প্রাকৃতিক মরণফাঁদ ওয়ার্ফে দেখতে যতটাই সুন্দর, ঠিক ততটাই বিপজ্জনক। এর বিভ্রান্তিকর গভীরতা, শক্তিশালী চোরাস্রোত সাঁতারুদের কাছেও বিপজ্জনক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৬৫ মাইল দীর্ঘ এই নদীর বিশেষ একটি অঞ্চলে পড়ে গেলে মৃত্যু অবধারিত। এই ঘাতক অঞ্চলটি ‘বলটন স্ট্রিড’ নামে পরিচিত। স্ট্রিডের শুরুর ঠিক উত্তরে, দীর্ঘ পথের প্রস্থ সঙ্কুচিত ও বিপজ্জনক। এখানে ২৭ মিটার চওড়া নদীটির প্রস্থ হয়ে যায় ৬ ফুট। সংকীর্ণতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গভীরতা ও স্রোতের ধারা। এই অঞ্চলে জলধারার গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। জল এতটাই ঠান্ডা যে গ্রীষ্মকালেও তাপমাত্রা শীতের তুলনায় খুব সামান্যই বাড়ে। ফলে এই শীতল জলে সাঁতার কেটে নদীর তীরে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়ে, যার পরিণতি মৃত্যু। কারও কারও মতে এই নদীগর্ভে রয়েছে অসংখ্য সুড়ঙ্গ। স্নান করতে জলে নামলে এই সুড়ঙ্গে তলিয়ে যায় মানুষ। আছে আরও কত অজানা রহস্য যার উদঘাটন আজও পুরোপুরি সম্ভব হয়নি।
(২) পেরুর শানায়-টিমপিশকা নদী:
পৃথিবীর একমাত্র ফুটন্ত নদী হিসেবে পরিচিত এই নদীটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ছয় কিলোমিটার। প্রস্থে প্রায় ৮২ ফুট, গভীরতা ২০ ফুট। নদীর জল এতটাই গরম যে, এই জলে পড়ে গেলে কোনও মানুষ বা প্রাণীর পক্ষে বেঁচে ফেরা সম্ভব নয়। এখানকার জলের উষ্ণতা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোথাও কোথাও আবার সেই উষ্ণতা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিও পৌঁছে যায়। অত্যধিক উষ্ণতার কারণে নদীর জল ফুটতে শুরু করে। পেরু অঞ্চলে আমাজনের রেনফরেস্টে বহমান নদীটির ধারে ঘন সবুজ অরণ্যরাজি প্রায় ৬০ ফুট উঁচু প্রাচীরের মতন দণ্ডায়মান। স্থানীয় মানুষ এই নদীটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করেন। তাঁরা এও মনে করেন যে, এই নদীর জলের এমন অলৌকিক ক্ষমতা আছে, যা অনেক রোগব্যাধি হরণ করে। নদীটি ‘লা বাম্বা’ নামেও পরিচিত। ঠাকুরদার কাছে গল্প শুনেছিলেন এমন এক নদীর, যার জল ফুটন্ত। প্রথমে বিশ্বাস করেননি। নিছক মজাচ্ছলেই বেরিয়ে পড়েছিলেন সেই নদীর সন্ধানে এন্ড্রিজ রুজো। ২০১১ সালে নদীটির সন্ধান পান। তাঁর বই ‘দ্য বয়েলিং রিভার: অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড ডিসকভারি ইন দ্য আমাজন’-এ লিখেছেন, ‘এই নদীর জল একটি উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে আসে। নদী থেকে জল তুলে সরাসরি বানিয়ে নিতে পারেন চা।’
তথ্যসূত্রঃ- বর্তমান পত্রিকা
#ভূগোলিকা_Bhugolika

17/07/2023
17/07/2023

Haor Bilas....

02/07/2023

Send a message to learn more

02/07/2023

Now, I just fell in love
And I just quit my job
I'm gonna find new drive
Damn, they work me so damn hard
Work by nine, then off past five
And they work my nerves
That's why I cannot sleep at night
… I'm lookin' for motivation
I'm lookin' for a new foundation, yeah
And I'm on that new vibration
I'm buildin' my own foundation, yeah
Hold up, oh, baby, baby
… You won't break my soul (na, na)
You won't break my soul (no-no, na, na

Send a message to learn more

30/06/2023

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটস।
এই বিল গেটসকে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "পৃথিবীতে আপনার চেয়ে ধনী আর কি কেউ আছে?

বিল গেটস বলেছিলেন "হ্যাঁ এমন একজন আছেন যিনি আমার চেয়েও ধনী।"

এরপরে তিনি একটি গল্পের কথা বর্ণনা করলেন।

“এটা এমন এক সময় ছিল যখন আমি ধনী কিংবা বিখ্যাত ছিলাম না।
একদিন আমি নিউইয়র্কের বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম। তখন আমি একজন সংবাদপত্র বিক্রেতাকে দেখেছিলাম। আমি তার থেকে একটি সংবাদপত্র কিনতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার কাছে ভাংতি পয়সা অথবা খুচরা পয়সা ছিল না। তাই আমি কেনার ধারণাটি ছেড়ে সেটা বিক্রেতার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাকে আমার কাছে যথেষ্ট অর্থ না থাকার কথা বলেছিলাম। সে বিক্রেতা আমাকে বলেছিলেন "এটা আমি আপনাকে ফ্রী তে দিচ্ছি।" তার অনুরোধে আমি পত্রিকাটি নিয়েছিলাম।

“কাকতালীয়ভাবে, দুই থেকে তিন মাস পরে আমি একই বিমানবন্দরে আবার অবতরণ করেছিলাম এবং সেদিনও পত্রিকা কেনার জন্য আমার কাছে ভাংতি ছিল না। বিক্রেতা আবার পত্রিকাটি আমাকে ফ্রী তে অফার করেছিলেন। আমি সেটা প্রত্যাখ্যান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আমি এটি নিতে পারবো না। কারণ আজও আমার কাছে যথেষ্ট অর্থ নেই। তিনি বলেছিলেন "আপনি পত্রিকাটি নিতে পারেন, আমি এটা আমার লাভ থেকে ভাগ করে দিচ্ছি। এতে আমার কোন ক্ষতি হবে না"। আমি পত্রিকাটি নিয়েছিলাম।

১৯ বছর পরে আমি বিখ্যাত এবং মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠি। হঠাৎ করে মনে পরলো সেই বিক্রেতার কথা। আমি তার সন্ধান শুরু করি এবং প্রায় দেড় মাস অনুসন্ধানের পরে আমি তাকে খুঁজে পেয়েছিলাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম "আপনি কি আমাকে চেনেন? তিনি বলেছিলেন "হ্যাঁ আপনি বিল গেটস"। আমি তাকে আবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম "আপনার মনে আছে আপনি আমাকে বিনা মূল্যে একটি পত্রিকা দিয়েছিলেন? বিক্রেতা বললেন "হ্যাঁ মনে আছে"। "আপনাকে দুই বার আমি পত্রিকা দিয়েছিলাম।"

আমি বলেছিলাম "সে সময় আপনি আমাকে যে সাহায্যটা করেছিলেন তা আমি আজ ফিরিয়ে দিতে চাই। আপনি আপনার জীবনে কি চান বলুন, আমি সেটা পূরণ করবো ’'

বিক্রেতা বললেন "স্যার, আপনি কি করে মনে করেন যে এটা করে আপনি আমার সাহায্যের সাথে মেলাতে পারবেন?"

আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন?

তিনি বলেছিলেন" আমি যখন দরিদ্র সংবাদপত্রের বিক্রেতা ছিলাম, তখন আপনাকে সাহায্য করেছিলাম আর আপনি আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন তখনই যখন আপনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠলেন। তাহলে কীভাবে আপনার সাহায্য আমার সাহায্যের সাথে মিলে?"

বিল গেটস বলেছিলেন "আমি সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম যে সংবাদপত্রের বিক্রেতা আমার চেয়ে বেশি ধনী ছিলেন। কারণ তিনি কাউকে সাহায্য করার জন্য ধনী হওয়ার অপেক্ষা করেন নি।"

আমাদের বুঝতে হবে, সত্যিকারের ধনী ব্যক্তি হলো তারা যাদের প্রচুর অর্থের চেয়েও ধনী একটি মন আছে।

দামী একটি মন থাকা, প্রচুর অর্থের চেয়েও প্রয়োজনীয়।

(সংগৃহীত পোষ্ট)

30/06/2023

ডা: সারা মুরমু মিতু'র পোস্ট থেকে সংগৃহীত :-

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী ক্যান্সারের রোগী কোন জেলার? উত্তর- চট্টগ্রামের। এর অন্যতম প্রধান কারণ, নিয়মিত বিষাক্ত শুটকি মাছ খাওয়া। এই তথ্যটি জানিয়েছে বিখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা সাময়িকী 'ল্যানসেট'।
শুটকি ছাড়া ভাত খায়, এমন পরিবার চট্টগ্রামে খুব কম আছে। এই শুটকিতে বেশী মুনাফার আশায় চট্টগ্রামের শুটকি ব্যবসায়ীরা প্রাকৃতিক ভাবে শুটকি না শুকিয়ে তাতে নিয়মিত DDT POWDER প্রয়োগ করে যাচ্ছে।
DDT পৃথিবীর সবচেয়ে সবচেয়ে ক্ষতিকারক বিষ।
ক্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বনঃ DDT, other examples of this series are BHC, lindane, Chlorobenzilate, methoxychlor, and the cyclodienes (which include aldrin, dieldrin, chlordane, heptachlor, and endrin).
এখন চিন্তা করেন শুটকি খাবেন নাকি ছাড়বেন বা ওই সব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লড়বেন।
আর যদি মনে করেন, যা হবার তাই হবে, এই এতকালের অভ্যাস ছাড়া যাবে না, তাহলে মাথার উপর পা তুলে শুটকি খেতে থাকুন আর ক্যান্সারকে স্বাগতম জানান। পরবর্তী প্রজন্মকেও শুটকি খেতে উৎসাহ দিতে ভুলবেন না।

একটু ভাবুন, আপনার অসচেতনতাতেই ধীরে ধীরে আপনার বংশ ক্যান্সারে নির্বংশ হবে। - ডা: সারা মুরমু মিতু

26/06/2023

টেলিফোন তুলে সবাই হ্যালো বলে "hello" কিন্তু কেন!!!
কেউ কি জানেন এই হ্যালো বলার প্রকৃত মানে কি?কোথা থেকে এই " hello" বলা শুরু !!!
"Hello" একটা মেয়ের নাম ৷ পুরো নাম মার্গারেট হ্যালো (Margaret Hello) তিনি আর কেউ নন- তিনি বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল এর গার্লফ্রেন্ড৷ গ্রাহাম বেল হলেন টেলিফোন আবিষ্কারক৷ আবিষ্কারের পর তিনি প্রথম যে কথাটি বলেন তা হলো

"হ্যালো"

সেই থেকেই "হ্যালো" বলে ফোন কলের প্রচলন শুরু ৷ মানুষ গ্রাহাম বেলকে ভুলে যেতে পারে , কিন্তু তার ভালোবাসার মানুষটিকে নয় ৷ আজও মানুষ ফোনে প্রথম কথায় আবিষ্কারকের প্রথম কথাটি বলে নিজের অজান্তেই তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আসছেন।

Hahah
24/06/2023

Hahah

 #প্লট ভালোবাসার অপরাধে একটানা ২৫ বছর গৃহবন্দি করে রাখেন নিজের মেয়েকে...এক ধনী ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক ...
23/06/2023

#প্লট ভালোবাসার অপরাধে একটানা ২৫ বছর গৃহবন্দি করে রাখেন নিজের মেয়েকে...

এক ধনী ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক মেয়ে। পরিবারের পদবী অনুসারে মেয়ের নাম রাখা হয় ব্ল্যাঞ্চ মনিয়ের। ১৮৪৯ সালের ১লা মার্চ। ফরাসী ম্যাডাম মনিয়েরের দানশীলতার জন্য এলাকায় বেশ নাম-ডাক ছিল মনিয়ের পরিবারের। এমনকি তার উদারতার জন্য সে একটি কম্যিউনিটি অ্যাওয়ার্ড পর্যন্ত পেয়েছিল স্বীকৃতিস্বরুপ। মেয়ে ব্ল্যাঞ্চ মনিয়ের ছাড়াও এক ছেলে ছিল তার। নাম- মারসেল মনিয়ের, পেশায় একজন স্বনামধন্য উকিল। এক ছেলে-এক মেয়ে নিয়ে সুখের পরিবার মনিয়েরদের।

ছোটবেলায় যত না সুন্দর ছিল ব্ল্যাঞ্চ, বড় হবার সঙ্গে রুপ যেন সমানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে তার। মেয়ের রুপ নিয়ে অহংকারের শেষ নেই মায়ের। মেয়ে তখন পূর্ণ যুবতী। ২৫ বছর বয়স। মা তার পছন্দ করা অভিজাত পরিবারের এক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করলো ব্ল্যাঞ্চের। কিন্তু ততদিনে ব্ল্যাঞ্চ মন দিয়ে বসে আছে অন্য একজনকে। পেশায় সে সাধারণ একজন উকিল। পরিবারও সাদামাটা একদম।

ব্ল্যাঞ্চ তার পছন্দের মানুষটিকে মায়ের সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু পারিবারিকভাবে অভিজাত ও স্বনামধন্য না হওয়ায় তার সঙ্গে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায় মা। তার পছন্দ করা পাত্রকেই বিয়ে কর‍তে হবে ব্ল্যাঞ্চকে- এ কথা জানিয়ে দেয় সে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি না হলে ব্ল্যাঞ্চকে একটি ছোট রুমে আটকে রাখে তার মা। কড়াভাবে তাকে জানিয়ে দেয়া হয়- সেদিনই এ ঘর থেকে মুক্তি পাবে ব্ল্যাঞ্চ, যেদিন তার মায়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিবে সে। কিন্তু মায়ের মতো মেয়েও তার সিদ্ধান্তে অটল। বিয়ে যদি করতেই হয়, ভালোবাসার মানুষটিকেই করবে সে, অন্য কাউকে নয়।

বছরের পর বছর চলে যায়, ব্ল্যাঞ্চ তার সিদ্ধান্তে থাকে অনড়। মায়ের অহংকারী-জেদী মনও গলে না। ফলে মুক্তিও আর মেলে না। ১৮৮৫ সালে, ব্ল্যাঞ্চের ভালোবাসার মানুষটি মারা যাওয়ার পরও তাকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়! এদিকে ব্ল্যাঞ্চের মা আর ভাই সমাজে এমন ভান করে থাকে যে ব্ল্যাঞ্চকে হারিয়ে তারা শোকে কাতর! বাড়ির কাজের লোকেরা এই ব্যাপারে জানলেও কাউকে জানাতে ভয় পেত মনিয়েরদের সামাজিক প্রভাবের কারণে। এইভাবে কেটে যায় পঁচিশটি বছর!

অতঃপর, ২৫ বছর পর, ১৯০১ সালে, প্যারিসের এটর্নি জেনারেলের কাছে বেনামে একটি চিঠি পৌছে। কে বা কারা চিঠিটি পাঠিয়েছে, কখনোই তা জানা যায়নি। সেখানে লেখা থাকে- মনিয়ের পরিবার বহু বছর ধরে তাদের বাড়িতে আটকে রেখেছে এক ব্যক্তিকে। মনিয়ের পরিবারের সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে প্রথমে না চাইলেও পরে তদন্ত চালাতে নির্দেশ দেন জেনারেল। বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে কিছুই খুঁজে না পেয়ে যখন ফিরে যাবে সৈন্যরা, তখনই একজন সেনার নাকে আসে বোটকা এক পঁচা গন্ধ।

সেই গন্ধ অনুসরণ করে চিলেকোঠায় পৌঁছালে সেখানে একটি অন্ধকার তালাবদ্ধ রুম দেখতে পায় তারা। রুমটিতে কেবলমাত্র একটি বন্ধ ছোট জানালা ছিল, তাও মোটা পর্দা দেয়া। কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না বাইরে থেকে। সন্দেহ হওয়ায় জানালার কাচ ভেঙে ফেলে এক সেনা। ভাঙা কাচের ভেতর দিয়ে তারা দেখতে পায় রুমের এক কোনায় শেকলাবদ্ধ এক নারী! তাকে দেখে সেনারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে দেখতে পায় বিভৎস এক দৃশ্য।

ছোট একটি বিছানায় পঁচা খাবার আর কোটি কোটি কীটের মধ্যে শুয়ে আছে মনিয়ের ব্ল্যাঞ্চ। এই ২৫ বছরে বাইরের আলো-বাতাস থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল সে। চেহারাও বিদঘুটে হয়ে গেছে। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সে সময় তার ওজন ছিল মাত্র ২২ কেজি! কিন্তু বিগত ২৫বছরের ভয়াবহ স্মৃতি মাথা থেকে কিছুতেই মুছে ফেলতে পারেনি মনিয়ের ব্ল্যাঞ্চ। ফলে, গুরুতর মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তার। তাকে ভর্তি করা হয় ফ্রান্সের এক সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে। ১৯১৩ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, জীবনের বাকিটা সময় এখানেই কাটায় সে। ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে চাওয়ার ‘অপরাধে’ এই শাস্তি পেতে হলো তাকে।

আর ব্ল্যাঞ্চের মা আর তার ভাই-এর পরিণাম? ব্ল্যাঞ্চকে উদ্ধারের পর এরেস্ট করা হয় তার মা ও ভাইকে। মা অসুস্থ হয়ে গেলে জামিন পেয়ে বাসায় যায়। কিন্তু ততদিনে সবাই কাহিনী জেনে গেছে। ব্ল্যাঞ্চ উদ্ধার হওয়ার ১৫দিনের মাথায় বিক্ষুব্ধ জনতা ভিড় করে তাদের বাসার সামনে। আতঙ্কিত হয়ে হার্ট এটাক করে সেদিনই মারা যায় মিসেস মনিয়ের। অতিরিক্ত অহংকার আর ইগো এভাবেই শেষ করে দেয় একটি সাজানো গোছানো সংসারকে।

17/06/2023

Hlo Good morning!

It's true for all...
15/06/2023

It's true for all...

Believe in yourself,  stay calm and envision a bright future. Plan ahead and create a roadmap to follow. Be flexible and...
14/06/2023

Believe in yourself, stay calm and envision a bright future. Plan ahead and create a roadmap to follow. Be flexible and stay cool, calm and collected in the face of crisis. Don't panic and learn to control your emotions in stress.
Good morning! Have an incredible day......

12/06/2023

Morning inspiration :

1. Expand your positive thinking and look ahead with hope.
2. Explore new and creative ideas and let them flow freely.
3. Spin your wheel with courage and determination so you can take action.
4. Don't let overwhelming force and uncertainty stop you from growing.
5. Steer your ship in the right direction and keep your energy up.

GOOD MORNING ALL, GOOD LUCK & BLESSED DAY.....!

Memories of abroad.....Scotland of the East ......Shillong tour.....
11/06/2023

Memories of abroad.....Scotland of the East ......Shillong tour.....

11/06/2023
11/06/2023

GOOD MORNING! ...

Natural beauty..........Plz like share and comments........

10/06/2023

Ai foller mousume..prochur porimane fol khaben...Amm, jam, kathal, lichu etc....

09/06/2023

Happy morning! Have a good day all....

06/06/2023

Good morning! Sobai kmn achen ajke ????

Ai situation e kj bola jai ????jevabe current jaitese.....like beder meye jusna....asi asi bole asena
05/06/2023

Ai situation e kj bola jai ????jevabe current jaitese.....like beder meye jusna....asi asi bole asena

04/06/2023

Welcome to my new page ..!!! From today I will try to continue with new adventure, videos, stories, reels ... etc...So I need all of your support by like ,share, comment. FINALLY Starting this page with lots of love. 😍😍😍😍😍😍😍😍

Address

Tekerghat-3030
Sunamganj
3000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Aity's World posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share