ziaur49

ziaur49 জিয়াউর রহমান।

17/02/2024
27/01/2024
29/12/2023

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَيْسَ الْغِنَى عَنْ كَثْرَةِ الْعَرَضِ وَلَكِنَّ الْغِنَى غِنَى النَّفْسِ ‏"‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ধন-সম্পদ ও পার্থিব সাজ-সরঞ্জামের প্রাচুর্য ও আধিক্য প্রকৃত ঐশ্বর্য নয়, বরং মনের ঐশ্বর্যই বড় ঐশ্বর্য। (ই. ফা. ২২৮৮, ই. ফা. ২২৮৯)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৩১০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।

28/12/2023

﴿ خُذِ الۡعَفۡوَ وَاۡمُرۡ بِالۡعُرۡفِ وَاَعۡرِضۡ عَنِ الۡجٰهِلِيۡنَ‏﴾

১৯৯.) হে নবী! কোমলতা ও ক্ষমার পথ অবলম্বন করো। সৎকাজের উপদেশ দিতে থাকো এবং মূর্খদের সাথে বিতর্কে জড়িও না।

08/12/2023

মুয়াত্তা ইমাম মালিক,
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ.

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি আমার উম্মতের উপর কঠিন হওয়ার আশংকা না করিতাম, তবে তাহাদিগকে বাধ্যতামূলকভাবে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (বুখারী ৮৮৭, মুসলিম ২৫২)

মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৪৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।

02/12/2023

📘📘📘হাদীস📖📖📖📖
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত,

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّاشِيَ وَالمُرْتَشِيَ فِي الحُكْمِ

বিচারক্ষেত্রে ঘুষখোর ও ঘুষদাতাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন।

রেফারেন্সঃ
জামে আত-তিরমিযী, হাদীস ১৩৩৬,

29/11/2023

- কোরআন বুঝে পড়লেও সওয়াব।

- কোরআন না বুঝে পড়লেও সওয়াব।

- কোরআন পড়া শুনলেও সওয়াব।

- সুবাহানাল্লাহ

25/11/2023

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি বলতে শুনেছি : বারাকাতময় আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ হে আদম সন্তান! যতক্ষণ আমাকে তুমি ডাকতে থাকবে এবং আমার হতে (ক্ষমা পাওয়ার) আশায় থাকবে, তোমার গুনাহ যত অধিক হোক, তোমাকে আমি ক্ষমা করব, এত কোন পরওয়া করব না। হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ্‌র পরিমাণ যদি আসমানের কিনারা বা মেঘমালা পর্যন্তও পৌছে যায়, তারপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, এতে আমি পরওয়া করব না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি সম্পূর্ণ পৃথিবী পরিসাণ গুনাহ নিয়েও আমার নিকট আস এবং আমার সঙ্গে কাউকে অংশীদার না করে থাক, তাহলে তোমার কাছে আমিও পৃথিবী পূর্ণ ক্ষমা নিয়ে হাযির হব।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ الْجَوْهَرِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ فَائِدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ بَكْرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيَّ، يَقُولُ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ قَالَ اللَّهُ يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ مَا دَعَوْتَنِي وَرَجَوْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ عَلَى مَا كَانَ فِيكَ وَلاَ أُبَالِي يَا ابْنَ آدَمَ لَوْ بَلَغَتْ ذُنُوبُكَ عَنَانَ السَّمَاءِ ثُمَّ اسْتَغْفَرْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ وَلاَ أُبَالِي يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ لَوْ أَتَيْتَنِي بِقُرَابِ الأَرْضِ خَطَايَا ثُمَّ لَقِيتَنِي لاَ تُشْرِكُ بِي شَيْئًا لأَتَيْتُكَ بِقُرَابِهَا مَغْفِرَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏


সহীহ : সহীহাহ্‌ (হা: ১২৭, ১২৮), রাওযুন নাযীর (হা: ৪৩২), মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (হা: ২৩৩৬) তা’লীকুর রাগীব (হাঃ ২/২৬৮)

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫৪০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।

25/11/2023

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ عَيْزَارٍ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَمْرٍو الشَّيْبَانِيَّ، يَقُولُ أَخْبَرَنَا صَاحِبُ، هَذِهِ الدَّارِ ـ وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ إِلَى دَارِ عَبْدِ اللَّهِ ـ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الْعَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ قَالَ ‏"‏ الصَّلاَةُ عَلَى وَقْتِهَا ‏"‏‏.‏ قَالَ ثُمَّ أَىُّ قَالَ ‏"‏ ثُمَّ بِرُّ الْوَالِدَيْنِ ‏"‏‏.‏ قَالَ ثُمَّ أَىّ قَالَ ‏"‏ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏"‏‏.‏ قَالَ حَدَّثَنِي بِهِنَّ وَلَوِ اسْتَزَدْتُهُ لَزَادَنِي‏.‏

আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ্‌র নিকট কোন্‌ কাজ সব থেকে অধিক পছন্দনীয়? তিনি বললেনঃসময় মত সালাত আদায় করা। (‘আবদুল্লাহ) জিজ্ঞেস করলেন: তারপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃপিতা-মাতার সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করা। ‘আবদুল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন: তারপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃআল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদ করা। ‘আবদুল্লাহ বললেনঃনবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এগুলো সম্পর্কে আমাকে বলেছেন। আমি তাঁকে আরও অধিক প্রশ্ন করলে, তিনি আমাকে আরও জানাতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩২)

: আচার-ব্যবহার [১]

[১] এ পর্বে বর্ণিত হাদীসসমূহে মানুষের সৎ স্বভাব সম্পর্কিত যে সব গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলোঃ

১। পিতামাতার সঙ্গে- তারা মুসলিম হোক আর অমুসলিম হোক-দয়া-মায়া ও বিনয় নম্রতায় পূরিপূর্ণ অতি উচ্চ মানের সৌজন্যমূলক আচরণ করা।২। কারো ন্যায্য প্রাপ্য আটকে না রাখা।৩। দরিদ্রতার ভয়ে কন্যা শিশুকে হত্যা না করা।৪। মিথ্যা না বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য না দেয়া।৫। শির্ক না করা।৬। অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা না করা।৭। সলাত আদায় করা।৮। যাকাত দেয়া।৯। পবিত্র থাকা। ১০। রক্তের সম্পর্ক বজায় রাখা।১১। সন্তানদের আদর স্নেহ করা।১২। পিতা-মাতার প্রিয়জন, স্বামী ও স্ত্রীর নিকটত্মায়ীদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করা।১৩। বিধবা, ইয়াতীম, গরীব ও দুঃস্থদের ভরণ পোষণের চেষ্টা করা ও তাদেরকে সাহায্য করা।১৪। জীব জন্তুর প্রতি দয়া প্রদর্শন করা।১৫। বৃক্ষ রোপন করা।১৬। প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথিক ও অধীনস্থ দাস-দাসীর প্রতি উত্তম ব্যবহার করা।১৭। মেহমানকে সম্মান করা।১৮। হাসিমুখে মিষ্ট ভাষায় কথা বলা এবং অশালীনতা বর্জন করা।১৯। সকল কাজে নম্রতা অবলম্বন করা।২০। মু’মিনদেরকে পারস্পরিক সহযোগিতা করা ও সৎ পরামর্শ দেয়া।২১। দানশীল হওয়া, কৃপণতা পরিহার করা।২২। পারিবারিক কাজকর্মে সময় দেয়া।২৩। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কাউকে ভালবাসা।২৪। অন্যকে উপহাস না করা, হেয়জ্ঞান না করা।২৫। কাউকে গালি ও অভিশাপ না দেয়া।২৬। কাউকে খারাপ নামে না ডাকা।২৭। কারো গীবত না করা। ২৮। চোগলখোরী একজনের কাছে গিয়ে অন্যের প্রতি অপবাদ দেয়া বা তার দুর্নাম করা) থেকে বিরত থাকা।২৯। মুনাফিকী বর্জন করা।৩০। কারো অতিরিক্ত প্রশংসা না করা।৩১। আত্মীয় অনাত্মীয় সকল ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার করা।৩২। কারো প্রতি যুলম অত্যাচার না করা।৩৩। কারো প্রতি হিংসা বিদ্বেষ পোষণ না করা।৩৪। যাদু-টোনা ইত্যাদি না করা।৩৫। কারো প্রতি কু ধারণা পোষণ না করা।৩৬। অন্যের দোষ-ত্রুটি খোঁজার জন্য গোয়েন্দাগিরি না করা।৩৭। আন্দাজ অনুমান করা থেকে বিরত থাকা।৩৮। অন্যের দোষ ত্রুটি গোপন করা।৩৯। সম্পূর্ণরূপে অহংকার বর্জন করা।৪০। আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা।৪১। অন্যের সাথে তিন দিনের বেশি কথাবার্তা বন্ধ না রাখা।৪২। আল্লাহর অবাধ্যগণের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা।৪৩। আপন লোকের সঙ্গে যথাসম্ভব বেশি বেশি সাক্ষাত করা।৪৪। নেককার সঙ্গী সাথীর বাড়িতে আহার করা।৪৫। সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় উত্তম পোশাক পরা।৪৬। মুসলমানদের সঙ্গে ভ্রাতৃ বন্ধনে আবদ্ধ থাকা।৪৭। আলা জিহবা বের করে হো হো করে না হাসা।৪৮। সৎকাজ করতে এবং আল্লাহর আদেশ-নিষেধ জেনে নিতে লজ্জাবোধ না করা।৪৯। ধৈর্যশীল হওয়া।৫০। লজ্জাশীল হওয়া।৫১। সরাসরি কাউকে তিরস্কার না করে সাধারণভাবে নাসীহাতের মাধ্যমে ভুল শুধরে দেয়া। ৫২। কাউকে কাফির না বলা। ৫৩। কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে কঠোরতা প্রদর্শন করা। ৫৪। ক্রোধ দমন করা। ৫৫। মানুষকে ক্ষমা করা। ৫৬। কথায় ও কর্মে সহজতা ও সরলতা অবলম্বন করা। ৫৭। আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ক্ষেত্র ছাড়া ব্যক্তিগত কারণে কারো নিকট থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ না করা। ৫৮। মানুষের পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ্য করে নাসীহাত প্রদান করা। ৫৯। স্বীয় পরিবার পরিজনের সঙ্গে হাসি তামাশা করা। ৬০। একই রকমের ভুল কাজ দ্বিতীয়বার না করা। ৬১। সংশ্লিষ্ট সকলের অধিকারের প্রতি মনোযোগী থেকে প্রত্যেকের অধিকার আদায় করা। ৬২। বড়দের সম্মান করা, ছোটদের স্নেহ করা। ৬৩। আগন্তুককে মারহাবা বলে স্বাগত জানানো। ৬৪। সময়কে গালি না দেয়া। ৬৫। ভাল নাম রাখা এবং ভাল নামে ডাকা। ৬৬। আশ্চর্যবোধ করলে আল্লাহু আকবার ও সুবহানাল্লাহ বলা। ৬৭। ঢিল ছুঁড়া হতে বিরত থাকা। ৬৮। হাঁচি দিলে আল হামদুলিল্লাহ বলা এবং হাই উঠলে মুখ ঢাকা। ৬৯। রোগীর সেবা করা। ৭০। জানাযায় অংশ গ্রহণ করা। ৭১। কেউ দাওয়াত দিলে কবূল করা। ৭২। সালামের জওয়াব দেয়া। ৭৩। মযলুমকে সাহায্য করা। ৭৪। শপথ পূর্ণ করা।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৯৭০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

19/11/2023
16/11/2023
14/11/2023
13/11/2023
13/11/2023
12/11/2023
গোপন কথায় কেঁদেছিলেন আবু বকর (রা.)একদিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিবি আয়েশাকে (রা.) ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আয়েশা, আজকে আমি ...
11/11/2023

গোপন কথায় কেঁদেছিলেন আবু বকর (রা.)

একদিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিবি আয়েশাকে (রা.) ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আয়েশা, আজকে আমি অনেক খুশি, তুমি আমার কাছে যা চাইবে তাই দেব। বলো কী চাও?’

চিন্তায় পড়ে গেলেন আয়েশা। হঠাৎ করে তিনি কী এমন চাইবেন, ভুল কিছু চাইলে যদি নবীজি কষ্ট পান? আয়েশা বললেন, ‘আমি কি কারও কাছ থেকে কিছু পরামর্শ নিতে পারি?’ নবীজি বললেন, ‘ঠিক আছে তুমি পরামর্শ নিয়েই আমার কাছে চাও।’

আয়েশা (রা.) হযরত আবু বকর (রা.)-এর কাছে পরামর্শ চাইলেন। আবু বকর (রা.) বললেন, ‘যখন কিছু চাইবেই, তাহলে তুমি মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে মিরাজের রাতে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে হয়েছে এমন কোনো গোপন কথা জানতে চাও। আর কথা দাও, নবীজি যা বলবেন তা সর্বপ্রথম আমাকে জানাবে।’

আয়েশা (রা.) নবীজি (সা.)-এর কাছে গিয়ে মিরাজের রাতের কোনো এক গোপন কথা জানতে চাইলেন, যা এখনো কাউকে বলেননি। মুহাম্মদ (সা.) মুচকি হেসে বললেন, ‘বলে দিলে আর গোপন থাকে কী করে! একমাত্র আবু বকরই পারেন এমন বিচক্ষণ প্রশ্ন করতে।’

মুহাম্মদ (সা.) বলতে লাগলেন, ‘হে আয়েশা, আল্লাহ আমাকে মিরাজের রাতে বলেছেন, হে মুহাম্মদ (সা.) তোমার উম্মতের মধ্যে যদি কেউ, কারও ভেঙে যাওয়া মন জোড়া লাগিয়ে দেয় তাহলে আমি তাকে বিনা হিসাবে জান্নাতে পৌঁছে দেব।’

প্রতিশ্রুতি মত, আয়েশা তার বাবা হযরত আবু বকর (রা.)-এর কাছে এসে নবীজির বলে দেওয়া এই কথাগুলো বললেন।

শুনে আবু বকর (রা.) কাঁদতে লাগলেন। আয়েশা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি তো কত ভেঙে যাওয়া মন জোড়া লাগিয়েছেন, আপনার তো সোজা জান্নাতে যাওয়ার কথা। তবে কাঁদছেন কেন?’

আবু বকর (রা.) বললেন, ‘এই কথাটার উল্টো চিন্তা করে দেখো, কারও ভেঙে যাওয়া মন জোড়া লাগালে যেমন আল্লাহ সোজা জান্নাতে নেবেন, তেমনি কারও মন ভাঙলে যদি সোজা জাহান্নামে দিয়ে দেন! আমি না জানি নিজের অজান্তে কতজনের মন ভেঙেছি।’

11/11/2023
10/11/2023
10/11/2023
কোরআনে মানুষের অন্তর সম্পর্কে কী বলা হয়েছে।কলব মানে অন্তর বা হৃদয় মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। কলব যদি ভালো হয়, তাহলে তা মানুষ...
09/11/2023

কোরআনে মানুষের অন্তর সম্পর্কে কী বলা হয়েছে।

কলব মানে অন্তর বা হৃদয় মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। কলব যদি ভালো হয়, তাহলে তা মানুষকে ভালো পথে পরিচালিত করে, আর যদি মন্দ হয় তাকে খারাপের দিকে টেনে নিয়ে যায়। হাদিসে এসেছে, নোমান ইবনে বশির (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘জেনে রাখো! দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত শরীরই সুস্থ থাকে।

আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো কলব (হৃদয়)।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৯৪৯)
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় কলবের বা অন্তরের কথা বর্ণনা করেছেন। এগুলো দুই ভাগে বিভক্ত।

কিছু আয়াতে ভালো অন্তরের কথা বলা হয়েছে। আর কিছু আয়াতে মন্দ কলবের কথা বলা হয়েছে। নিম্নে আমরা উভয় প্রকার কলব নিয়ে আলোচনা করব। আর আমরা দেখে নেব আমাদের কলব কোন ধরনের বা কাদের অন্তর্ভুক্ত।
বিনম্র অন্তর : যে অন্তর আল্লাহ তাআলার প্রতি পূর্ণরূপে অর্পিত। আল্লাহর বিধি-বিধানে পূর্ণরূপে বিশ্বাসী। আর সে অন্তর শয়তানের কুমন্ত্রণায় কর্ণপাত করে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যাদের জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তারা যেন জেনে নেয় এটাই (অর্থাৎ এ কালামই) সত্য, যা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এসেছে অতঃপর তারা যেন তাতে ঈমান আনে এবং তাদের অন্তর তার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের জন্য সরল পথের হিদায়াতদাতা।

’ ( সুরা : হজ, আয়াত : ৫৪)
সুস্থ হৃদয় : যে অন্তর সব ধরনের খারাপি থেকে সুস্থ। সব ধরনের কুফর-শিরক ও বিদাত থেকে পবিত্র। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তবে যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে সুস্থ মন নিয়ে সে মুক্তি পাবে।’ (সুরা : শুআরা আয়াত : ৮৯)

আল্লাহমুখী হৃদয় : শয়নে-স্বপনে সংগোপনে, সর্বাবস্থায় যে হৃদয় আল্লাহর প্রতি অভিমুখী আল্লাহকে স্মরণ করে। কোনো গুনাহ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাওবা করে ফিরে আসে আনুগত্যের দিকে। আল্লাহ বলেন, ‘যে দয়াময় আল্লাহকে ভয় করে তাঁকে না দেখেই এবং আল্লাহর দিকে বিনীত অন্তর নিয়ে উপস্থিত হয়।’ (সুরা : কাফ, আয়াত : ৩৩)

ভীতসন্ত্রস্ত অন্তর : যে হৃদয় আল্লাহর ভয়ে সর্বদা ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। অল্পস্বল্প যেসব আমল করা হয়, তার ব্যাপারে ভয় থাকে যে আল্লাহ কবুল করবেন কি না। আল্লাহ বলেন, ‘এবং যারা যেকোনো কাজই করে তা করার সময় তাদের অন্তর এই ভয়ে ভীত থাকে যে তাদের নিজ প্রতিপালকের কাছে ফিরে যেতে হবে।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৬০)

মুত্তাকি অন্তর : যে হৃদয় আল্লাহর ভয়ে সর্বদা তাকওয়ার পথে চলে। আল্লাহ বলেন, ‘এসব বিষয় স্মরণ রেখো আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে এটা অন্তরস্থ তাকওয়া থেকেই অর্জিত হয়।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৩২)

প্রশান্ত হৃদয় : যে অন্তর একমাত্র আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে, প্রশান্তি অনুভব করে আর পুলকিত হয়। যখনই আল্লাহর জিকির করে তার হৃদয় শান্তি ও প্রশান্ত হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘এরা সেই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের অন্তর আল্লাহর জিকিরে প্রশান্তি লাভ করে। স্মরণ রেখো! শুধু আল্লাহর জিকিরেই প্রশান্তি লাভ হয়।’ (সুরা : রাদ, আয়াত : ২৮)

হিদায়াতপ্রাপ্ত অন্তর : যে অন্তর আল্লাহর পথে পরিচালিত। নিশ্চিন্ত মনে সব কিছু আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে দেয়। আল্লাহর সব কিছুতে সন্তুষ্ট থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘কোনো মুসিবত আল্লাহর হুকুম ছাড়া আসে না। যে কেউ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আল্লাহ তার অন্তরকে হিদায়াত দান করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞাত।’ (সুরা : তাগাবুন, আয়াত : ১১)

জীবন্ত হৃদয় : সদা সজাগ ও সচল থাকে আল্লাহর নিদর্শনাবলি উপলব্ধি করে। কোরআনে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই এর ভেতর এমন ব্যক্তির জন্য উপদেশ রয়েছে, যার আছে অন্তর কিংবা যে মনোযোগ দিয়ে কর্ণপাত করে।’ (সুরা কাফ, আয়াত : ৩৭)

অসুস্থ হৃদয় : যে হৃদয়ে নানা সন্দেহের দানা বাসা বেঁধে আছে, পাপাচার আর প্রভৃতির অনুসরণে মরিয়া যে অন্তর তা অসুস্থ। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবীপত্নীরা, তোমরা সাধারণ নারীদের মতো নও, যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো। সুতরাং তোমরা কোমল কণ্ঠে কথা বোলো না—পাছে অন্তরে বেঁধে আছে এমন ব্যক্তি লালায়িত হয়ে পড়ে আর তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলো।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩২)

অন্ধ হৃদয় : যে হৃদয় ভালো-মন্দ নিরূপণ করতে পারে না। সব কিছু স্পষ্ট হলেও সে থাকে অন্ধের মতো। আল্লাহ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে চোখ অন্ধ হয় না; বরং অন্ধ হয় সেই হৃদয়, যা বক্ষদেশে বিরাজ করে। (সুরা : হজ, আয়াত : ৪৬)

উদাসীন হৃদয় : আল্লাহ তাআলার বিভিন্ন বিধানের ব্যাপারে উদাসীন। অন্যদিকে দুনিয়ার প্রতি সদা সজাগ। প্রবৃত্তির অনুসরণে মত্ত। কিন্তু সত্য গ্রহণে উদাসীন। আল্লাহ বলেন, ‘এমন কোনো ব্যক্তির কথা মানবে না, যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণ থেকে গাফিল করে রেখেছি, যে নিজ খেয়াল-খুশির পেছনে পড়ে রয়েছে এবং যার কার্যকলাপ সীমা ছাড়িয়ে গেছে।’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ২৮)

অহংকারী অন্তর : যার ভেতর অহংকারে পরিপূর্ণ। অহংকারের কারণে সে ভালো জিনিসের অনুসরণ করতে পারে না। এমনকি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য তার জন্য অহংকার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। নিজেকে প্রবল ক্ষমতাধর মনে করে। আল্লাহ বলেন, ‘এভাবেই আল্লাহ প্রত্যেক অহংকারী স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তির অন্তরে মহর মেরে দেন।’ (সুরা : গাফের, আয়াত : ৩৫)

কঠোর অন্তর : যে অন্তরে কোনো ধরনের দয়ার লেশমাত্র নেই। কারো দুঃখে তার অন্তর ব্যথিত হয় না। আল্লাহ বলেন, ‘আপনি যদি রূঢ় প্রকৃতির ও কঠোর হৃদয়ের হতেন তাহলে তারা আপনার আশপাশ থেকে সরে যেত।’ (সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ১৫৯)

মহরকৃত অন্তর : যে অন্তরে মহর মেরে দেওয়া হয়েছে, সে হিদায়াতের কথা শুনে না। আর শুনলেও তার জীবন পরিবর্তন হয় না। আল্লাহ বলেন, ‘এবং তার কান ও অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন।’ (সুরা : জাসিয়া, আয়াত : ১৩)

বাঁকা অন্তর : যে হৃদয়ে কখনো ভালো জিনিস বা ভালো পথ দেখে না। সত্যটা সামনে এলেও সে বাঁকা পথে চলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আল্লাহ বলেন, ‘যাদের অন্তরে বক্রতা আছে তারা মুতাশাবিহ (ব্যাখ্যাসাপেক্ষ) আয়াতের পেছনে পড়ে থাকে।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৭)

সন্দিহান অন্তর : যে অন্তরে সন্দেহের বাসা বেঁধে আছে। তার অন্তর সব সময় সন্দেহের মাঝে ঘুরপাক খেতে থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার কাছে (জিহাদ না করার) অনুমতি চায় তো তারা, যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না এবং তাদের অন্তর সন্দেহে নিপতিত এবং তারা নিজেদের সন্দেহের ভেতর দোদুল্যমান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪৫

09/11/2023
09/10/2023
06/10/2023

Address

Sunamganj

Telephone

+8801710235049

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ziaur49 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share



You may also like