Mawa's Rokomari-মাওয়া'স রকমারি

Mawa's Rokomari-মাওয়া'স রকমারি I am a Seller.I would like to sell different types of food, cloth and cosmetics items

13/10/2024

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

23/08/2024

দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের ব্যবসায়ী ভাইয়েরা ১০ টাকার মোম বাতি বিক্রি করছে ১০০ টাকা করে।

সোনাইমুড়ী থেকে আমাদের গ্রামে যেতে ভাড়া লাগত জনপ্রতি ২৫ টাকা। সেইখানে এখন জনপ্রতি ভাড়া নিচ্ছে ১০০ টাকা।
এমন না যে রাস্তায় পানি জমে আছে,গাছ পড়ে আছে
এই রকম কিছু নেই।
এরা কোন লেভেলের নরপিশাচ আল্লাহ ভাল জানে।
বন্যার উচিলায় দ্রব্যে মূল্য রাতারাতি দ্বিগুণ।
অথচ বন্যার ২ দিন ও হয় নাই।

আমার ছেলের জন্য আকিকা দিব,,তাই বরকে বল্লাম যে, এখন তো বন্যা মানুষ কম দামে ছাগল বিক্রি করবে,যদি টাকা থাকত, তাহলে বাবুর আকিকা দিতে পারতাম। সে আমাকে বল্ল যে তুমি একটা মানুষের বিপদের সময় তাকে ঠকাবে?

সত্যি তো আমি একটা মানুষের দূর্বলতার সুযোগ নিতে চেয়েছিলাম।
ভুল ভাঙল।
আমার বর
এই মানুষ টাকে যত দেখছি,যত জানছি তার প্রতি সম্মান আর ভালবাসা দুটোই বেড়ে যাচ্ছে।।
একটা মানুষ মনের দিক থেকে কত টা উচ্চতায় থাকতে পারে, তাকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।।
নিজের সর্বোচ্চটা স্ত্রী সন্তানকে ভাল রাখার চেস্টা করছে।
আল্লাহ তাকে নেক হায়াত ও সফলতা দান করুন।আমিন।

22/08/2024

আমরা যারা চাকরি জীবী তারা যদি নিজেদের ১ দিনের বেতন বন্যাত্বদের দান করি,আমাদের হয়ত তেমন কোন কিছু ক্ষতি হবে না।কিন্তু অনেক গুলো মানুষ উপকৃত হবে।। সরকারী - বেসরকারী সকল চাকরি জীবি।।আবার যারা মাসের পর মাস বেতন পান না, তারা বাদে।
# #বি. দ্র :আমার প্রিয় অর্ধেকদ্বীন # #

18/07/2024

যদি মূর্খ থাকলে আমার কলিজার টুকরো সন্তান নিরাপদ থাকে
তবে মূর্খ ই থাক।
যে দেশ আমার সন্তানের নিরাপত্তা দিতে পারে না
সেই দেশে থাকতে চাই না

14/02/2024

৬ মাস পর থেকে....‼️

বাচ্চাদের ৬ মাস শেষ হলে মায়েরা বাচ্চার সলিড খাবার নিয়ে অনেক চিন্তা করে থাকেন। কি খাবার দিবেন,কিভাবে দিবেন,কয় বেলা দিবেন।

✅ বাচ্চাদের সলিড শুরুতে সুজি টা কম দিবেন, না দিলে আরও ভালো । দিলেও লাল বিন্নি চালের সুজি দিতে পারেন মাঝে মাঝে। সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে ও সেইম চিন্তা,এই সময় বাচ্চাদের শুধু খাবার পরিচয় করাবেন।বুকের দুধ/ফর্মুলা দুধ এর পাশাপাশি অল্প অল্প সলিড খাবার দিতে পারেন।

✅ প্রথমে ফল পিউরি দিতে পারেন ( কলা, আপেল,পাকা পেপে,আম,ড্রাগন, )
ভেজিটেবল পিউরি(মিষ্টি কুমড়া,ব্রকলি,ফুলকপি, মিষ্টি আলু,গাজর,আলু,বরবটি,টমেটো) । খুম সামান্য দিয়ে দেখতে পারেন।শুরুর দিকে ভাতের মাড় দিয়ে দিতে পারেন। ভাতের মাড় হতে পারে খুব উপকারী ও সুন্দর একটা খাবার।
পরপর ২/৩ দিন দিয়ে দেখবেন কোন প্রবলেম না হলে দিতে পারেন। ভাত চটকে দিতে পারেন, আপেল এর সাথে ভাতের মাড়, আলুর সাথে ভাতের মাড় দিয়ে দিতে পারেন।ডিমের কুসুম দিতে পারেন।

✅ অনেকে প্রশ্ন করেছেন পিউরি কি? কিভাবে করবো?
পিউরি হচ্ছে এই সবজি/ ফল এগুলো সিদ্ধ করে নরম করে চটকে ভাতের মাড়, দুধ দিয়ে তরল করে নেয়াকে বোঝায়।আর যে ফল সিদ্ধ করতে হবে না তা চটকে নরম করে দিবেন।
সাবু দিতে পারেন খেজুর দিয়ে। চিড়া দিতে পারেন খেজুর, ফল দিয়ে।বাচ্চার খাবার মিষ্টি করতে খেজুর, কিসমিস, ফল দিতে পারেন। তাল মিস্রি দিতে চাই অনেকেই। আমার মতে এক বছরের আগে না দেয়া ই ভালো তবে ৯/১০ মাসে দিতে পারেন।

✅ প্রথমে এক বেলা খাবার দিবেন।খাবে হয়তো ২/৩ চামচ বা তার একটু বেশি।যেহেতু বাচ্চা এতদিন দুধ খেয়েছে,সলিড শুরু টা আস্তে আস্তে পাকস্থলীতে অভ্যাস করতে হবে। এরপর ২ বেলা কিছুদিন দিয়ে ৩ বেলা করে দিবেন।শুরু টা শুধুই খাবার চিনবে,খেতে শিখবে। পটি খেয়াল করবেন।

✅ ৭ মাসে শিং মাছ পাতলা করে রান্না করে দিতে পারেন। খিচুড়ি তে মাছ দিতে পারেন। এই সময় শিং,পাবদা,রুই,মাগুর,শোল,টেংরা দিতে পারেন। মাছের পেটির অংশ দেয়ার ট্রাই করবেন এতে মাছের তেল থাকে।
চেষ্টা করবেন প্রতিদিনকার রান্নাতে এক চামচ মত যেন তেল থাকে।সামান্য হলুদ দিতে পারেন।সামান্য পেয়াজ দিতে পারেন।

✅ ইন্ডিভিজুয়াল খাবার চেনাতে পারলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে খাবার শিখাতে পারবেন।
সব মিশিয়ে খাবার খাওয়ালে প্রথম দিকে আপনার জন্য খুব সহজ হলেও পরবর্তীতে আপনার জার্নি খুব কঠিন হবে।
বাচ্চাকে শুয়ে খাবার খাওয়াবেন না।

✅ ইলিশ মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে ইলিশ মাছ দিতে পারবেন ৮ মাসের পর থেকে। তবে এলার্জি থাকলে দিবেন না আর অনেক কাটা থাকায় খুব সাবধানে দিবেন।
নদীর ভেটকি বা কোরাল দিতে পারবেন।
বড় সামুদ্রিক মাছ গুলো এক বছর পর থেকে দিতে পারবেন।

✅ আপনার বাচ্চার যেসব খাবারে এলার্জি আছে কিনা আপ্নি নিজেই ভালো বুঝবেন।
কবুতরের কলিজা কোয়েল পাখির কলিজা দেশি মুরগির কলিজা হতে পারে খুব ভাল অপশন।
কবুতরের মাংস ১ বিছরের আগে না দেয়া ই ভালো।
গরুর বা খাসির কলিজাও আপনি দিতে পারবেন ৮ মাসের পর থেকে।

✅ যেসব বাচ্চাদের মুখের রুচি একেবারে চলে যায় তাদেরকে একটু আমলকি থেঁতো করে রস খাওয়ালে আপনি ভালো উপকার পাবেন।

✅ এক বছর থেকে ১৬ মাস পর্যন্ত বাচ্চাদের কৃমির উপদ্রব দেখা গেলে আপনি লেবুর বিচি ৩/৪ টা একদম পাটায় পিষে একটা মধু দিয়ে খাইয়ে দেবেন। মাসে একবার এটা আপনি খাওয়াতে পারবেন বা বাচ্চা রুচি একদমই চলে যায় বাচ্চা পায়ুপথে বারবার হাত দেয় তাহলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।

✅ ৬+ মাস থেকে বাচ্চাকে টক দই খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।
যদি একেবারে টক দই খেতে না পারে তাহলে ফল,ভাত,চিড়া এর সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন।
ঘরে পাতা টক দই এ আপনি প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক এজেন্ট পাবেন যেটা হজমের জন্য অনেক বেশি সহায়ক।
এক বছর পর থেকে আপনি মধু শুরু করতে পারেন অল্প।আর গরুর দুধ দুই বছরের আগে না দেয়া ই ভালো। এক বছরের পর দুধ এর তৈরি খাবার পুডিং, পায়েস দিতে পারেন।

🛑 মনে রাখবেন সব বাবু এক না আর বাবুদের হজম শক্তি ও এক না।


My 1st try🥰
03/02/2024

My 1st try🥰

আমরা মায়েরা সব সময় চাই যে বাচ্ছারা পুষ্টিকর খাবার খাক।কিন্তু বাচ্চারা এক টু বাহিরের  রিচ ফুড বেশি পছন্দ করে। বাহিরের খাব...
29/01/2024

আমরা মায়েরা সব সময় চাই যে বাচ্ছারা পুষ্টিকর খাবার খাক।কিন্তু বাচ্চারা এক টু বাহিরের রিচ ফুড বেশি পছন্দ করে। বাহিরের খাবার খেলে হতে পারে ফুড পয়েজেনিং সহ আরও নানাবিধ সমস্যা।তাই বাচ্ছাদের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে, আমরা কিন্তু ঘরে বসেই তৈরী করে ফেলতে পারি, পুডিং, কেক ও আরও নানান ধরনের রকমারি পিঠা।

তাই খুব সিগ্রই আপনাদের আমি দেখাব কিভাবে কোন ঝামেলা ছাড়াই আমরা ঘরে বসে মজাদার পুডিং তৈরী করতে পারি।
ভিডিও লিংক পেতে চোখ রাখুন

https://www.facebook.com/NurjahanRimas?mibextid=ZbWKwL

01/01/2024

ঘটনা কি সত্যি! 🙄

21/09/2023

সবাই সুখী হতে চায়,কিন্তু সুখ কয়জন পায়??
নিজের সুখের জন্য কখনও কাউকে দায়ী করা উচিত না।কারণ সুখ ভাগ্যে না থাকলে,কেউ সুখ এনে
দিতে পারবে না।তাই দোষ টা নিজের ঘাড়েই নেওয়া উচিত যে আমার ভাগ্যে সুখ নাই।

 #রান্নাঘরের প্রয়োজনিয় কিছু টিপস্ -------🍀পেঁয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পত্রিকা দিয়ে মুড়ে রাখু...
09/07/2023

#রান্নাঘরের প্রয়োজনিয় কিছু টিপস্ -------

🍀পেঁয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পত্রিকা দিয়ে মুড়ে রাখুন।ভালো থাকবে।

🍀সেমাই রান্নার আগে তেল অথবা ঘি তে ভেজে নিন। তাহলে রান্নার সময় সহজেগলে যাবে না।

🍀কাঁচা লঙ্কার বোটা ফেলে জল শুকিয়ে কাপড়ে বা কাগজের প্যাকেটে সংরক্ষণ করলে বেশিদিন ভালো থাকবে।

🍀কাচের গ্লাসে গরম কিছু নিতে গেলে অনেক সময় ফেটে যায়। তাই গরম কিছু ঢালবার আগে গ্লাসে একটি চামুচ রেখে ঢাললে গ্লাস ফাটবে বা।

🍀পাকা টমেটো ঘরে রাখলে নরম হয়ে যায়। নরম টমেটো গুলো শক্ত করতে চাইলে কিছু সময় লবন জলে ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন টমেটো শক্ত হয়ে উঠেছে।

🍀নুডুলস সেদ্ধ করার সময় জলে সামান্য রান্নার তেল দিন।এতে নুডুলস ঝরঝরা হবে।

🍀ডালের কৌটায় কয়েকটি শুকনো নিমপাতা বা শুকনো লঙ্কা রাখলে সহজে পোকা ধরবে না।

🍀আচারের বয়ামে আচার ভরার আগে বয়ামের একদম নিচে এবং আচার ভরার পর আচারের উপরে এক চিমটি করে লবন দিয়ে রাখলে আচারে ফাংগাস পড়বে না।

🍀সবুজ সবজি রান্নার সময় সবুজ রং ঠিক রাখতে এক চিমটি চিনি দিন।

🍀ঢেড়স রান্নার সময় এতে এক চামুচ দই দিন।আঠালো ভাব কমে আসবে।

🍀মাছ ভাজার সময় তেল ছিটকে গায়ে পড়ে। এ সময় একটু লবন ছড়িয়ে দিন।তাহলে তেল আর ছিটকাবে না।

🍀কড়াই ফ্রাইপ্যানে খাবার পুড়িয়ে ফেললে দাগ পড়ে যায়। সেই দাগ দূর করতে কুচানো কিছু পেঁয়াজ দিয়ে গরম জল ঢেলে দিন।পোড়া দাগ চলে যাবে।

🍀কেক পুডিং সমানভাবে কাটতে চাইলে চাকুটি গরম জলে ধুয়ে নিন।

🍀চিনির পাত্রে দু চারটা লবঙ্গ দিয়ে রাখলে পিপড়া ঢুকবে না।

🍀দেশলাই বক্সে কয়েকটি শুকনো চাল রেখে দিলে বষাকালে ও দেশলাই কাঠির বারুদ ভালো থাকবে।

🍀কিসমিশে অনেক সময় ময়লা ছাতা ধরে যায়। ময়দা মাখিয়ে রাখলে তা ধরবে না। অনেক দিন ভালো থাকবে।

🍀মাছ নরম হলে ভাজার সময় একটু ময়দা বা চালের গুড়া মাখিয়ে ভাজুন।মাছ সহজে ভেঙে যাবে না।ও মুচমুচে হবে।

🍀ভাত রান্নার সময় জলে কয়েক ফোটা লেবুর রস অথবা এক চামুচ রান্নার তেল দিয়ে দিন।তাহলে ভাত সুন্দর ঝরঝরা হবে।

🍀মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে খোসা সহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে তরকারিতে দিন।

🍀ভাত, পোলাও,বিরিয়ানি,বা চাল জাতীয় কোন খাবার পুড়ে গেলে এর পোড়া গন্ধ দূর করতে প্রথমেই যে হাঁড়িতে পোড়া লেগেছে সেখানে থেকে খাবার সরিয়ে অন্য একটি পাত্রে রাখুন। এবং তার উপর এক টুকরো পাউরুটি রাখুন।পোড়া গন্ধ শুষে নিবে পাউরুটি।

🍀ফ্লাক্সের ভিতর অংশ ভালো ভাবে ধুতে হলে ফ্লাক্সে গরম জল ভর্তি করুন। তাতে কয়েক টুকরো কাগজ ফেলে দিন।ঘন্টা খানেক পর ভালো ভাবে ঝাকিয়ে জল ফেলে দিন। ভেতরের যাবতিয় নোংরা পরিস্কার হয়ে যাবে।

🍀ডিম সেদ্ধ করার সময় সামান্য পরিমাণ লবন দিন।এতে খোসা ছাড়ানো সহজ হবে। এবং তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে।

🍀বিস্কুটের পটে সামান্য চিনি দিয়ে রাখলে বিস্কুট মুচমুচে থাকবে। বিস্কুটের পট ফ্রিজে রাখলে ও বিস্কুট মুচমুচে থাকবে।

🍀ভাজার জন্য কেটে রাখা বেগুন বেশ কিছুক্ষণ আগে লবন হলুদ মাখিয়ে রাখলে তেল কম লাগে।

🍀চাল ধোয়া জলে স্টিল ও কাঁচের প্লেট গ্লাস কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিলে প্লেট গ্লাস ঝকঝকে হবে।

🍀বেগুনি বানানোর সময় বেগুন কেটে ধুবেন না।ধুয়ে কাটবেন।তাহলে বেগুনের গায়ে ভালো ভাবে বেসন লেগে যাবে।

🍀লেবু কাটার আগে কুসুম গরম জলে ঘন্টা খানেক ডুবিয়ে রাখলে লেবুর রস বেশি হয়।

🍀কাঁঠালের বিচির লাল পাতলা খোসা পরিস্কার করতে চাইলে মিনিট দশেক কুসুম গরম জলে ভিজিয়ে রেখে পাটায় ঘষে নিন।খুব সহজেই পরিস্কার হয়ে যাবে।

🍀ডিম সেদ্ধ করার পর গরম পানি থেকে উঠিয়ে ফ্রিজের ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রেখে ঠান্ডা করে নিলে খোসা ছাড়াতে সুবিধা হয়।

ধন্যবাদ।
সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন🍀🥀💐

05/07/2023

♥♥♥প্রতিদিনের লোভনিয় আমল♥♥♥

★ সুবহানআল্লাহ্ : প্রতিদিন ১০০ বার সুবহানআল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ্ মাফ করা হয়!!.....[সহীহ্ মুসলিম - ৪/২০৭৩]

★আলহামদুলিল্লাহ্ : মীযানের পাল্লাকে ভাড়ী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোয়া!!.....[তীরমিযী-৫/৪৬২, ইবনে মাযাহ- ২/১২৪৯, হাকিম- ১/৫০৩, সহীহ আল জামে- ১/৩৬২]

★লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ : সর্বোত্তম যিকর!!....[তীরমিযী- ৫/৪৬২, ইবনে মাযাহ- ২/১২৪৯, হাকিম- ১/৫০৩, সহীহ আল জামে- ১/৩৬২]

★সুবহানআল্লাহ্ ওয়াল হামদুলিল্লাহ্ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর : এই কারিমা গুলা আল্লাহ্'র নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী (সাঃ) বলেন- পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চেয়ে আমার নিকট অধিক প্রিয়!!.... [সহীহ্ মুসলিম- ৩/১৬৮৫, ৪/২০৭২]

★সুবহানাল্লাহী ওয়া বিহামদিহী : যে ব্যাক্তি প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমান ( সগীরা) গুনাহ্ থাকলে ও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে!!.... [ সহীহ্ আল-বুখারী- ৭/১৬৮, সহীহ্ মুসলিম- ৪/২০৭১]

★সুবহানাল্লাহী ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহীল আযীম : নবী (সাঃ) বলেন- এই কালিমা গুলো জিহ্বায় উচ্চারন করা সহজ,মীযানের পাল্লাকে ভাড়ি করে এবং দয়াময় আল্লাহ্'র নিকট প্রিয়!!....[সহীহ্ আল-বুখারী- ৭/১৬৮, সহীহ্ মুসলিম- ৪/২০৭২]

★সুবহানাল্লাহীল আযীমি ওয়া বিহামদিহী : কোন ব্যাক্তি যতবার পাঠ করবে প্রতীবারে তার জন্য জান্নাতে ১টি করে (জান্নাতী) খেজুর গাছ রোপন করা হবে!!....[আত-তীরমিযী- ৫/৫১১, আল হাকিম- ১/৫০১, সহীহ্ আল-জামে'- ৫/৫৩১, সহীহ্ আত-তীরমিযী- ৩/১৬০ ]

★লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ্ : নবী (সাঃ) বলেন জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্যে ১টি গুপ্তধন!!.... [সহীহ্ আল-বুখারী- ১১/২১৩, সহীহ্ মুসলিম- ৪/২০৭৬ ]

★ সুবহান আল্লাহ্ ওয়াল হামদুলিল্লাহ্ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ্' : এই কালিমাগুলি হচ্ছে অবশিষ্ট নেক আমল সমুহ!!.... [আহমাদ (সহীহ্)- ৫১৩, মাজমাউজ জাওয়াঈদ- ১/২৯৭]

★দুরুদ শরীফ : নবী (সাঃ) বলেন - যে ব্যাক্তি আমার প্রতি ১ বার দুরুদ পাঠ করবে , আল্লাহ্ তাআ'লা তার প্রতি ১০ বার রহমত বর্ষন করবেন। যে ব্যাক্তি আমার প্রতি সকালে ১০ বার এবং বিকালে ১০ বার দুরুদ পাঠ করবে সে ব্যাক্তি কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত পাবে!!.... [তাবারানী, মাজময়াউজ জাওয়াঈদ- ১০/১২০, সহীহ্ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব- ১/২৭৩ ]

30/06/2023

রেফারেন্স সহ দোয়া কবুলের ২৮ টি স্থান বা ক্ষেত্র বা পাত্র, বিভিন্ন হাদিস দ্বারা জানা যায় সেইগুলি হলোঃ--
=====================
১) অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য দুয়া (কোন মুসলিমের পিছনে বা অগোচরে অন্য মুসলিমের দুয়া)।(মুসলিম ৬৮২২)
২) জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুম ব্যক্তির দুয়া।(জামে আত তিরমীযি ৩৪৪৮)
৩) বাবা তার সন্তানের জন্য দুয়া (নেক দুয়া বা বদ দুয়া)
((তিরমীযি ৩৪৪৮))
৪) নেককার সন্তানের দুয়া (তার বাবা মায়ের জন্য তাদের মৃত্যুর পর)( আবু দাউদ ২৮৮০)
৬) আরাফাতের ময়দানে দুয়া।(তিরমীযি ৩৫৮৫)
৬) বিপদগ্রস্ত অসহায় ব্যক্তির দুআ (সূরা নামাল ৬২,৫৭ ও সূরা ইসরার ৬৭ নাম্বারর আয়াত)
৭) সেজদায় দুয়া।(নাসায়ী ১০৪৫)
৮) হজ্জের স্থানসমূহে দুয়া (যেমন: আরাফা, মুজদালিফা, মিনা...)(ইবনে মাজাহ২৮৯২)
০৯) হাজ্জীর দুয়া (হজ্জ করা অবস্থায়)।(ইবনে মাজাহ২৮৯৩)
১০) উমরাহকারীর দুয়া (উমরাহ করার সময়)।(নাসায়ী ২৬২৫
১১) আযানের পর দুয়া।(তিরমীযি ২১০)
১২) যুদ্ধ চলাকালীন সময় দুয়া।(আবু দাউদ২৫৪০)
১৩) বৃষ্টি বর্ষণকালে দুয়া।(আবু দাউদ ২৫৪০)
১৪) শেষ রাতের দুয়া,তাহাজ্জুদ(বুখারী ১১৪৫)
১৫) জুম্মার দিনে দুয়া,,আছরের শেষ দিকে তালাশ করার জন্য নির্দেশ আছে।(নাসায়ী১৩৮৯)
১৬) লাইলাতুল কদর এর দুয়া।(বুখারী ও মুসলিম)
১৭) আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময় দুয়া।(আহমাদ ১৪৬৮৯)মুসলিম ৬৬৮
১৮)ফরয স্বলাতের শেষ অংশে দুয়া( সালাম ফিরানোর আগে)।(রিয়াদুস স্বালেহিন ১৫০৮,তিরমিযি ৩৪৯৯)
১৯) মুসাফির ব্যক্তির দুয়া (সফর অবস্থায়)।(তিরমী
যি ৩৪৪৮)
২০) রোজাদার ব্যক্তির দুয়া (রোজা অবস্থায়)।(ইবনে মাজাহ ১৭৫২)
২১) ন্যায়পরায়ণ শাসকের দুয়া।(তিরমীযি ২৫২৬)
২৩) দুয়া ইউনুস পাঠ করে দুয়া করলে কবুল হয়।(তিরমিযি৩৫০৫)
২৪) ইসমে আযম পড়ে দুয়া করলে কবুল হয়।(ইবনে মাজাহ ৩৮৫৬)
২৫) বিপদে পতিত হলে যে দুয়া পড়া হয়(ইন্না লিল্লহাই......রাজিউন)
এবং
(আল্লা-হুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া ওয়াখলিফলী খয়রাম মিনহা...) তখন দুয়া কবুল হয়।(মিশকাতুল মাসীবাহ ১৬১৮,মুসলিম ৯১৮)
২৬) জমজমের পানি পান করার পর দুয়া।(ইবনে মাজাহ ৩০৬২,আহমদ ৩/৩৫৭)
২৭, নির্যাতিতের দুয়া (তিরমিযি৩৪৪৮)
২৮,দু হাত তুলে দোয়া করা,আল্লাহ বান্দার খালি হাত ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন(আবু দাউদ ১৪৮৮)
_________
(বিস্তারিত জানতে উপরের রেফারেন্স এর হাদিস গুলো পাঠ করূন)

17/06/2023

বীন বাজালে সিনেমায় সাপ নাচে। বাস্তবে নাচে না। সাপের কান নাই। শোনার জন্য ঘনঘন জিহ্বা বের করতে হয়।

সাপ আপনাকে আক্রমণ করবে না। আপনি যদি শব্দ করে হাঁটেন, সে বুঝতে পারে। সাপের বুকের তলায় খোলসের রঙ আলাদা। সেখানে বিশেষ স্নায়ুতন্তু থাকে। মাটির কম্পন বুঝতে পারে। আপনি কতদূরে আছেন, আপনি সাইজে কতবড়, সে বুঝতে পারে। পালিয়ে যায়।

বেলি, হাস্নাহেনার গন্ধে কখনো সাপ আসে না। কেউকেউ জীবদ্দশায় বেলি, হাস্নাহেনা গন্ধরাজের তলায় সাপ দেখেছেন হয়তো। মনে রাখবেন, সাপের ঘ্রাণশক্তি খুবই দূর্বল। সে গন্ধ পায় না। সুগন্ধি ফুলে পোকামাকড় আকৃষ্ট হয় বেশি। পোকা খেতে ব্যাঙ আসে। ব্যাঙ খেতে মাঝেমাঝে সাপ আসতে পারে। খাবার পর মানুষের মত সাপও ক্লান্ত হয়। মানুষ খাবারের পর যেমন আয়েশ করে ঘুমায় তেমনই সাপও বেলি-হাস্নাহেনার তলায় ঘুমুতে পারে। তবে এসব গাছ যদি বাড়ির ভেতর থাকে তবে সাপ কম আসে। কারণ মানুষের উপস্থিতি তারা ভয় পায়। তবে বাড়ির সাইডে, ঝোপঝাড়ে এমন গাছ থাকলে সাপ আসা স্বাভাবিক।

একটা সাপকে মারলে তার জোড়া সঙ্গী কখনোই আপনাকে খুঁজে দংশন করতে আসবে না। সাপের স্মৃতিশক্তি খুবই দূর্বল। সাপ বাংলা সিনেমার স্বর্পরাজ শাকিব খান কিংবা নাগিন মুনমুন নয় যে সঙ্গীহারার প্রতিশোধ নিতে ছুটে আসবে। সাপ নিম্নজাতের প্রাণি। এদের মধ্যে রিভেঞ্জ বলে কিছু নাই। কিন্তু একটা সাপ মারার পর আরেকটা সাপ প্রায়ই একই স্থানে দেখা যায়, কারণ কী?
সিম্পল। মেটিং এর সময় তাদের পার্টনার আশেপাশে থাকতেই পারে কিংবা আশেপাশে গর্ত থাকলে তার বাচ্চাকাচ্চা কিংবা আরো সাপ উঠে আসতেই পারে। সে প্রতিশোধ নিতে আসেনি বরং ভুল করে গর্ত থেকে চলে এসেছে।

ছোট সাপের বিষ নাই কথাটা ভুল। সাপের বাচ্চাও সাপ। কেঁচোর সমান একটা কেউটের কামড়ে আমার চোখের সামনে এক রোগীকে টানা ২৪ ঘণ্টা জীবনের সাথে ফাইট করতে হয়েছে। আইসিইউতে আমরা তিন ডাক্তার তার পাশে ২৪ ঘন্টা লড়েছিলাম। আর্টিফিশিয়াল ভেন্টিলেশন থেকে শুরু করে একাধিকবার অ্যান্টি-ভেনম দিয়েছি। সে সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেছে। যাবার আগে আমাদের গালিগালাজ করে গেছে। আমরা নাকি তাকে অনেক দামী ঔষুধ দিয়েছি। সে জানে না, একডোজ অ্যান্টিভেনমের দাম ১০ হাজার টাকা। লজিক্যালি লোকটার দোষ নেই। সে ছিল জেলে। দিনে হয়তো এক দেড়শ টাকা তার ইনকাম। রাতে যারা বাজার থেকে অন্ধকারে ঘরে ফেরে তাদের এবং জেলেদের সাপ বেশি কাটে। জেলেরা বর্ষায় রাতে আইল বরশি ফেলে, জাল ফেলে মাছ ধরে। নদী বা নালায় মাঝ ধরে। সাপ শুকনো ভেবে সেখানে থাকে। কামড় দেয়।

সিনেমা বলে, সাপ দুধ খায়। গরুর দুধ খেতে গোলাঘরে হানা দেয়। ভুল কথা। এসব সাপ ক্ষেতের ব্যাঙ-পোকামাকড় খায়। কালো রঙ্গের দাড়াশ সাপ দেখি, এরা আমাদের উপকার করে। ফসল বাঁচায়। এদের না মারা উত্তম।

সাপে কাটলে ব্লেড দিয়ে কেটে দিলে বিষ বের হয়ে যায় কথাটা ভুল। ভুলেও এই কাজ করবেন না। ব্লেড দিয়ে কাটলেন তো বিষকে রক্তের সাথে নিজহাতে মিশিয়ে দিলেন।

দংশন করা সাপকে উল্টোকামড় দিলে বিষ ফেরত চলে যায় সাপের ভেতরে কথাটা ভুল। পায়ে কাটলে বিষ সেখানে। আপনার মুখের দাঁতে তো বিষ নাই। কীভাবে ফেরত দিবেন? সাপের বিষ তার দাঁতে থাকে না। সে যখন কামড় দেয় তার মুখের পেশিগুলো টানটান হয়ে যায়। দাঁতের কাছেই থাকে বিষধর। সেখান থেকে বিষ দাঁত বেয়ে আপনার শরীরে প্রবেশ করে।

শক্ত করে বাঁধলে বিষ ছড়াতে পারে না এমন ধারনা ভুলে যান। আপনি নিজেও নিশ্চিত না সাপটা বিষধর ছিল কি না, তাহলে শক্ত করে বাঁধবেন কেন? অনেক ডাক্তার সাপে কাটার পর বাঁধতে নিষেধও করেন। কারণ এতে হিতে বিপরীত হয়।

ফুটবলের অ্যাংলেট পায়ে দিলে যেমন আটসাট হয়ে থাকে এমন ভাবে গামছা বা শার্ট বা শাড়ি দিয়ে দংশনের কিছু উপরে পেঁচিয়ে নিতে পারেন। বাঁধন অবশ্যই ঢিলা রাখবেন। দুট আঙ্গুল ঢোকে এমনভাবে ঢিলা করবেন। আবার খুব ঢিলাও না। ২০ মিনিট পরপর খুলে আবার লাগাতে পারেন। ভুলেও লোহার তার, সুতলি, কারেন্টের তার বা অন্য সরু জিনিস দিয়ে বাঁধবেন না। বাঁধলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে হাতে-পায়ে পঁচন শুরু হবে। চিরতরে হাত বা পা খোয়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। হয়তো আপনাকে বিষধর সাপ কাটেই নি অথচ আপনি ভয়ে গিট্টু দিয়ে হাত পা পঁচিয়ে পঙ্গু হয়ে গেলেন। কেমন হবে?

সাপ কাটলে কিন্তু আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট খুলে ফেলবেন। কিছু সাপের বিষে আপনার আঙ্গুল, হাত বা পা ফুলে যেতে পারে। আংটি বা চুড়ি থাকলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে পঁচন ঘটতে পারে।

সাপ কখন দংশন করে?

১। যদি ভুলে আপনার মুখোমুখি হয় সে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু সে নিজে ভয় পেলে হিংস্র হয়। সব প্রাণিই এমন। মুরগীও মাঝেমাঝে মানুষকে ঠোকর দেয়। সামনে সাপ পড়লে তাকে চলে যেতে দিন।

২। বর্ষাকাল মানেই হাসপাতালে সাপে কাটা রোগী। বর্ষায় গর্তে পানি উঠে যায়। ফলে সাপ ডাঙ্গায়, শুকনো জায়গায় উঠে আসে। সেটা ক্ষেতের আইল, রাস্তা কিংবা আপনার ঘরের তোশকের তলা, বালিশের তলা, আলনার ভেতর, কাঠের স্তুপ যেকোন জায়গাতেই আসতে পারে।

৩। অন্ধকারে সাপের শরীরে পা পড়লে। জঙ্গলায় ভুলে তার শরীরে পা পড়লে কামড় দেয়।

৪। ইদুরের গর্তে সাপ থাকলে সেখানে পা রাখলে বা বসে থাকলে কামড় দিতে পারে। বাচ্চা ছেলেরা মাঝেমাঝে বসে গর্তের মুখে প্রস্রাব করে। সন্তানকে শিক্ষা দিন। এই কাজ যেন না করে।

সব সাপ বিষাক্ত? বাংলাদেশে ৮০ ধরণের সাপ আছে। মাত্র ২৭ টা বিষাক্ত। অধিকাংশই সামুদ্রিক। মাত্র ৫/৬ প্রজাতি স্থলে আছে যারা বিষধর। আপনার চোখের সামনে নিয়মিত যাদের ঘোরাফেরা দেখেন, তারা বিষাক্ত নয়। পানির সাপ অধিকাংশই বিষাক্ত নয়। তবে সামুদ্রিক সাপ সবাই বিষাক্ত। যদি চেনেন তবে বলি গোখরা, কালকেউটে, শঙ্খচূড়, চন্দ্রবোড়া বিষাক্ত।

সাপে কাটলে বুঝবেন কীভাবে? দংশন করেছে এমন মনে হবার পর যদি সরাসরি সাপ দেখেন, তাহলে ভাবতে পারেন সে আপনাকে দংশন করেছে।

একবার এক ছেলে হাসপাতালে আসল। মাটির ঘরে অন্ধকারে হেলান দিয়ে ছিল। পীঠে সাপ কেটেছে। সারাদিন হাসপাতালে আমাদের অবজারভেশনে ছিল। রাতে রিলিজের আগে খবর আসল, যেখানে হেলান দিয়ে ছিল, সেখানে কে যেন তারকাটা পুতে রেখেছিল। পীঠে লেগে তারকাটা দেয়ালে ঢুকে যায়। খোচা লাগাকে সাপে কাটা ভেবে সে হাসপাতালে আসে। ২৪ ঘণ্টা ভয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘরে ফেরে সুস্থ অবস্থায়।

বিষাক্ত সাপে কাটলে বোঝা বেশ সহজ।

১। শিকারি পশুর মত সাপের দুটো দাঁত বড় থাকে। বাঁকানো। দংশন করলে গভীর ক্ষত হয়। দুঁটো দাঁতের অস্তিত্ব থাকলে ধরে নিতে পারেন, আপনাকে বিষাক্ত সাপ দংশন করেছে।

২। যদি অনেকগুলো দাঁত থাকে, সেখানে মাংস তুলে নিলেও ভেবে নিতে পারেন এটা ছাগলের মত। অনেক দাঁত কিন্তু বিষদাঁত নাই। আপনার কিছু হবে না।

৩। সাপের বিষ কয়েক ধরণের। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে নিউরোটক্সিন রিলিজ করা সাপের কামড়ে। এক্ষেত্রে ঝিমঝিম লাগবে। চোখে ঝাঁপসা দেখবে। চোখের উপরের পাতা নেমে চোখ অংশিক বন্ধ হয়ে যাবে। মাথা ঝুলে যাবে। জিহ্বা ও শ্বাসনালী ফুলে যাবে। শ্বাস নিতে পারবে না। মুখে লালা ঝরবে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। বমি করতে পারে।

আরো নানাবিধ লক্ষণ আছে।

চন্দ্রবোড়া কামড় দিলে লোহিত রক্তকনিকা ভেঙ্গে যায়। ফলে রক্তবমি, রক্তপায়খানা হতে পারে। কামরের জায়গায় রক্ত ঝরতে পারে। ফুলে যেতে পারে, লাল হতে পারে। ফোস্কা পড়তে পারে। কালোও হতে পারে। কিছু সাপের কামড়ে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারাও যেতে পারে।

মাঝেমাঝে নির্বিষ সাপ কামড়েও মানুষ মারা যায়।কেন জানেন?
ভয় পেয়ে হার্ট অ্যাটাক করে।

সাপের কামড়ে সিনেমায় গড়াগড়ি দেখেন, বিষের কারণে চেঁচামেচি দেখেন। এগুলো অভিনয়। সাপের বিষ নিয়ে একটা প্রবাদ আছে, কেমন ব্যাথা বুঝিবে সে কীসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে... এইসব ভুলে যান। সাপে কাটা মানুষ খুব স্বাভাবিক থাকে শুরুতে। কোন ব্যাথা নাও থাকতে পারে। এমনকী মৃত্যু ঘটার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কোন ব্যাথা নাও বুঝতে পারে।

চিকিৎসা?

একদম ঘাবড়াবেন না। বেশি ঘাবড়ালেই বিষ বেশি ছড়াবে।
সাপেকাটা জায়গা ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে। কাটবেন না ব্লেডে।
চুষে রক্ত বের করবেন, এমন চিন্তা ভুলে যান। যেখানে কামড়াবে সেখানকার নাড়াচাড়া বন্ধ। হাতে কামড়ালে হাত নাড়ালে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে যায়। হাত একদম নাড়াবেন না। পায়ে কামড়ালে হাঁটবেন না। সাপেকাটা স্থানে ভুলেও অ্যাসিড ঢালবেন না। মরিচের গুড়ো দিবেন না। কার্বলিক অ্যাসিডে ঝলসাবেন না। কোন ফলের বীজ, সর্পরাজ তেল, গুটি, আটি, বড়ি, তাবিজ কিছুই লাগাবেন না।

সাপটাকে পারলে চিনে রাখুন। ডাক্তারকে বললে চিকিৎসা পেতে সুবিধা হবে। তবে ধররতে যাবেন না। মেরেও ফেলার দরকার নাই।
মৃত সাপকে ধরতে যাওয়াও নিরাপদ নয়। এরা মৃত্যুর ভান করে শুয়ে থাকতে পারে।

জীবিত ধরে ওঝার কাছে যাবেন, এমন চিন্তা থাকলেও ঝেড়ে ফেলুন। ওঝা সাপের বিষ নামাতে পারে না। ওঝারা অনেক রোগী ভালো করে। যেগুলো আসলেই বিষাক্ত সাপের কামড় ছিল না। বিষাক্ত হলে একটা সময় বুঝতে পারে তখন নানা অজুহাত নাগ-নাগিনির কথা বলে এরা হাসপাতালে রোগী রেফার করে। আমরা হাসপাতালে অনেক পাই যারা একেবারে শেষ মুহুর্তে আসে। ওঝার কাছে গিয়ে জীবন খুইয়ে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি করে আসে।

বিষাক্ত সাপে কাটলে আপনি বাঁচতে পারেন একটামাত্র পথ অনুসরণ করলে। সেটা হল - দুনিয়ার কারো মতামত নিবেন না। সরাসরি হাসপাতাল যাবেন।

সাপে কাটলে এক সেকেন্ড সময় নষ্ট না করে সরকারি বড় হাসপাতালে যান। রাসেল ভাইপার বাদে সব সাপেরই বিষের অ্যান্টিভেনম আছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চিকিৎসা শেষে ফিরে আসবেন। [রাসেল ভাইপার বাংলাদেশে বিলুপ্ত সাপ। তবে রাজশাহীতে কয়েকবার নতুন করে পাওয়া গেছে। ফরিদপুরে পাওয়া গেছে কিছুদিন আগে। বন্যার জল-স্রোতে এরা আবার ছড়িয়ে পড়তে পারে দেশময়]

যদি বুঝে ফেলেন, সাপটা বিষধর নয়, তাহলে কী করবেন?

তবুও হাসপাতালে যাবেন। ভর্তি হয়ে প্রয়োজনে বিছানায় ২৪ ঘন্টা বসে থাকবেন। তবুও হাসপাতালে যাবেন।

[নোটঃ অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। সাপ মারবেন না। সাপ বাস্তুতন্ত্রের অংশ। ঘরে সাপ পাওয়া গেলে স্নেক রেস্কিউয়ারকে জানাতে পারেন। ওঝাদের জানিয়ে পরিবেশ থেকে এসব সাপ বিলুপ্ত করবেন না। ওঝারা সাপ মেরে পুড়িয়ে তেল বানায়। সেই তেল বাত-ব্যাথা-সাপের বিষ নামানো-হারানো যৌবন পুনরুত্থান নামক নানাকিসিমের মিথ্যা চিকিৎসায় ব্যবহার করে। তাদের এই কাজ করতে দিবেন না। কারণ দিনশেষে সেই সাপের তেল হয়তো আপনার আত্মীয়ই কিনে নিয়ে ব্যবহার করছে]

কার্বলিক অ্যাসিডে সাপ পালায়? সাপের ঘ্রাণ শক্তিই এত দূর্বল যে ফুলের গন্ধেও আসে না, তাহলে কার্বলিকে সাপ পালাবে কে বলল আপনাকে? এসব সেইফটি এককালে প্রচলিত ছিল। এখন ব্যর্থ টোটকা।

বাড়িতে খড়ের গাদা, লাকড়ির স্তুপ থাকলে আপনার মা বা স্ত্রীকে সতর্ক করে দিন। খড় বা লাকড়ি নেবার আগে সেখানে লাঠি দিয়ে কিছুক্ষণ শব্দ করুন। সাপ থাকলে চলে যাবে। রাতে বিছানা এমনকী বালিশের তলাও চেক করবেন। আলনার ভেতরে থাকতে পারে। শব্দ করে কাপড় নিতে যাবেন। বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় থাকলে কেটে ফেলুন। ঈদুরের গর্ত থাকলে ভরাট করে ফেলুন।

বর্ষাকাল এসেছে। এখন সাপ আপনার বাড়িতে-ঘরে আশ্রয় নিতে আসতেই পারে। সাবধান থাকুন। অন্যদের সতর্ক করে রাখুন। গ্রামের আপন মানুষদের (বাবা-মা, বউ-বাচ্চা-বন্ধু) সাপের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে রাখুন। সতর্ক থাকবেন-ভয় পাবেন না-অবহেলা করবেন না।

© ডা. রাজীব হোসাইন সরকার।

15/06/2023

পিছনে কি হয়েছিল সেটা নিয়ে আফসোস করতে করতে জীবন পার হয়ে যাচ্ছে। আর মৃত্যুর পরে দুনিয়ার সময়কে অবহেলায় নষ্ট করার কারণে আফসোস করতে করতে দিন পার করতে হবে।

তাহলে কি আফসোস করে জীবন শেষ করার জন্যই এই দুনিয়াতে আসা???

জীবন থেকে যা হারিয়ে গেছে সেটার জন্য আফসোস না করে আখেরাতের পথে অগ্রসর হন।
সুন্দর জীবন আপনার কাছে আসবেই ইনশাআল্লাহ-
অন্ততপক্ষে আখেরাতে আপনাকে আফসোস করতে হবে না।

12/06/2023

যেকোনো মনের আশা পূরণ ও মুসিবত দূর করতে এই আমলটি করে দেখতে পারেন।

প্রত্যেক নামাজের পর–
ইস্তেগফার ১০০ বার
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকীল ওয়া নি''মাল মাওলা ফানি'মান নাসীর—১০০ বার
ইয়া মুগনী দোয়াটি ১০০ বার
যেকোনো দুরুদ শরীফ ১০০ বার
ইয়া ফাত্তাহু ১০০ বার

আমল চলাকালীন কোন নামাজ যেন না ছুটে।
ইনশাআল্লাহ ৪০ দিনের মধ্যেই আপনার মনের আশা পূরণ হবেই হবে।

10/06/2023

ভাগে কুরবানী🍂🌻🍁🔅💥🌺🍁🍂🍂

আপনি কেনো ভাগে কুরবানী দিতে চাই ছেন? কুরবানী একটি এবাদত, এবাদত হবে আল্লা কে খুশি করার জন্য, আর আপনি ভাগে কুরবানী দিচ্ছেন গরুর মাংস খাবার জন্য, আপনার নিয়েত যদি ঠিক থাকে ঐ ভাগের টাকাই একটি ছাগল দিন, পরিবারের সবার সমান নেকি হবে, আপনার পরিবারে যদি ১ কোটি মানুষ ও থাকে,ইনশাআল্লাহ।
নবীর আর্থিক অবস্থা আপনার থেকে অনেক অনেক অনেক খারাপ ছিলো কিন্তু উনি ভাগে কুরবানী দেননি, আর আপনি ভাগে কুরবানী দিবেন?
ভাগে কুরবানী দেওয়ার থেকে ঐ টাকাই একটি ছাগল কুরবানী দিলে আপনার নেকি হবে অনেক বেশি।
আর সব থেকে বড়ো কথা,ভাগে কুরবানী দেওয়ার আগে নিজের নিয়েত টি ভালো করে বিবেচনা করুন।
***প্রতেক টি কাজই নিয়েত এর সাথে জড়িত
সহীহ বুখারী হাদিস নম্বর ১।***
আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো ইবাদাত করা শিরক।
__(সুরা আনাম:১৬২, বাইয়িনাহঃ ৫, কাহফ:১১০,)
উপর এর আয়াত থেকে বুঝা যায় এবাদত এক মাত্র আল্লাহ কে সন্তুষ্ট করার জন্য হবে, ওতে অন্য কুনো উদ্দেশ্য থাকলে সেটা শিরক বলে বিবেচিত হবে।
আপনি ভাগে কুরবানী দিচ্ছেন গরুর মাংস খাবার উদ্দেশ্যে, আপনার নেকি তো দুরের কথা, উল্টে শিরক এর গুনাহ হবে।

৫১৫৫ আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি মেষ দ্বারা কুরবানী আদায় করতেন। আমিও কুরবানী আদায় করতাম দুটি মেষ দিয়ে।

৫১৫৬ কুতায়বা (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুঁটি সাদা কলো রংবিশিষ্ট শিংওয়ালা ভেড়ার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং নিজ হাতে সে দুটিকে যবাহ করলেন। ইসমাঈল ও হাতিম ইবনু ওয়ারদান এ হাদীসটি আইউব, ইবনু সীরীন! আনাস (রাঃ) সুত্রে বর্ণনা করেছেন। আইউব থেকেও অনুরুপ বর্ননা করেছেন।

৫১৫৭ আমর ইবনু খালিদ (রহঃ) উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্নিত যে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর পশু হিসাবে সাহাবীদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়ার জন্য তাকে এক পালবকরী দান করেন। সেখান থেকে একটি বকরীর বাচ্চা অবশ্যই রয়ে গেলে তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে তা উল্লেখ করেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি নিজে তা কুরবানী করে নাও।
হাদিস গুলি সহীহ বুখারীর। ৫১৫৫ ৫১৫৬ ৫১৫৭.

""হাজার শিশুর জীবন বাচাই, এসএমসি ওরস্যালাইন। কিন্তু শরীর দুর্বল বা ঘামলেই ওরস্যালাইন নয়।"""আজকে একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞানভিত্...
11/05/2023

""হাজার শিশুর জীবন বাচাই, এসএমসি ওরস্যালাইন।

কিন্তু শরীর দুর্বল বা ঘামলেই ওরস্যালাইন নয়।"""

আজকে একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞানভিত্তিক গ্রুপে একটি ভয়াবহ ব্যাপার চোখে পড়লো। এক ব্যক্তি গরমের কারনে দুই দিনে ১০ প্যাকেট খাবার স্যালাইন (সঠিক নিয়মেই অর্থাৎ ১ প্যাকেট আধা লিটার পানিতে) খেয়েছে। এখন সে শারিরীক অস্বস্তি বোধ করছে। ব্যাপারটি কেন ভয়াবহ বলছি। প্রথমত খাবার স্যালাইন কোন কোমল পানীয় না যে ভালো লাগলে বা না লাগলেই খেয়ে ফেলবেন। পানিশূন্যতা বিশেষ করে ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতায় দেহ থেকে বেরিয়ে যাওয়া লবন ও পানির অভাব দ্রুত পূরণ করতে চিকিৎসা হিসেবে এই ওরস্যালাইন এর জন্ম যা বাচিয়েছে লক্ষ কোটি মানুষের প্রাণ। কিন্তু এই প্রাণ রক্ষাকারী স্যালাইন যদি আপনি কারনে অকারনে অপরিমিতভাবে খান তাহলে তা শরীরের উপকার না করে মারাত্নক ক্ষতি করতে পারে। কিভাবে করে বলছি।

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য দৈনিক খাবার লবন গ্রহনের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যকর মাত্রা হলো ৬গ্রাম (২.৪ গ্রাম সোডিয়াম), চামুচের হিসাবে আধা চামুচের কম। এক প্যাকেট ওরস্যালাইনে থাকে ১.৩ গ্রাম সোডিয়াম। কেউ দুই দিনে ১০ প্যাকেট অর্থাৎ দিনে ৬.৫ গ্রাম সোডিয়াম খেলে দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রার প্রায় ৩গুন বেশি হবে। এর বাইরে আমরা যে নিয়মিত খাবার খাই, তাতে প্রচুর পরিমানে লবন থাকে এমনকি নলকূপ বা ডিপ টিউবয়েল থেকে ওঠানো পানিতেও কিছু মাত্রায় লবন থাকে বিশেষ করে উপকুল এলাকায়। ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশের একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ গড়ে দৈনিক ১৭ গ্রাম পর্যন্ত লবন গ্রহন করে যা স্বাস্থ্যকর সর্বোচ্চ মাত্রার তিন গুণ (https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC5678496/ #:~:text=We%20corroborated%20these%20findings%20with,findings%20derived%20from%20spot%20urine. )
এর বাইরেও স্যালাইন, ডাবের পানি, এনার্জি ড্রিংক, সফট ড্রিংক, লবন মাখা আমড়া, আরও নানাবিধ উপায়ে কত পরিমান লবন আমরা খাচ্ছি সেটা নিজেই চিন্তা করুন। দীর্ঘমেয়াদে এই পরিমান লবন কি ক্ষতি করে সেটা পরে বলছি। আগে দেখি কারনে অকারনে স্যালাইন বা অন্য উপায়ে হঠাৎ অতিরিক্ত লবন খেলে কি হতে পারে।

লবনের সাথে অতিরিক্ত সোডিয়াম আমাদের শরীরে ঢুকে রক্তে ও কোষের বাইরে থাকা তরলের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেবে। যার কারনে কোষ থেকে পানি বেরিয়ে আসবে, এতে একদিকে কোষের কর্মক্ষমতা কমে যাবে অন্যদিকে কোষ থেকে পানি রক্তে চলে আসায় রক্তচাপ বাড়বে, এমনকি মস্তিষ্কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে খিচুনি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। এটি একটি ভয়াবহ বিপদজনক অবস্থা। এতো বললাম শুধু সোডিয়ামের কথা। এরচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করতে পারে পটাশিয়াম। মানবদেহে দৈনিক পটাশিয়াম গ্রহনের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যকর মাত্রা ৩.৫ গ্রাম। এক প্যাকেট খাবার স্যালাইনে থাকে ০.৭৫ গ্রাম। অর্থাৎ ৪-৫ প্যাকেট স্যালাইন খেলেই সর্বোচ্চ মাত্রা অতিক্রম করবে। ডাবের পানিতে এর চেয়ে বেশি পটাশিয়াম থাকে। আধা লিটার ডাবের পানিতে প্রায় ০.৯ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে। কেউ প্রয়োজনের বেশি পটাশিয়াম গ্রহন করলে হাইপারক্যালেমিয়া তৈরি হতে পারে যার ফলাফল কিডনি ফেইলিওর, হার্ট এট্যাক ও মৃত্যু।

সুতরাং গরমে ঘেমে গেলেই বা দুএকবার পাতলা পায়খানা বা বমি হলেই খাবার স্যালাইন বা ডাবের পানি ঘন ঘন খাবেন না। শুধুমাত্র পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিলে খেতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ মত। পানিশূন্যতার লক্ষণ হলো প্রচন্ড পিপাসা পাওয়া, জিহ্বা আংগুল দিয়ে স্পর্শ করলে ভেজা অনুভূতি না পাওয়া, প্রস্রাব ঘন হলুদ বর্ণের এবং অল্প পরিমানে হওয়া, মুখ, ঠোট, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরানো, প্রচন্ড শারিরীক দুর্বলতা ইত্যাদি। শুধুমাত্র ঘাম হবার কারনে এ ধরনের লক্ষন ছাড়াই খাবার স্যালাইন খাওয়া উপকারী নয় বরং ক্ষতিকর হতে পারে।

এতক্ষণ তাতক্ষনিক ক্ষতির কথা বললাম। আর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির প্রথমেই থাকবে উচ্চরক্ত চাপ, সেখান থেকে উচ্চ রক্তচাপ জনিত অন্যান্য শারীরিক জটিলতা যেমন কিডনি ফেইলিও, হার্ট ফেইলিওর, হাইপারটেন্সিভ রেটিনোপ্যাথি (দৃষ্টিশক্তির সমস্যা) এবং স্ট্রোক হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৬৮% ই এ ধরনের অসংক্রামক রোগ জনিত কারনে হয় যার মাঝে ২০%ই আবার উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারন। সুতরাং আপনার দৈনিক খাদ্যতালিকায় লবনের পরিমান যাচাই করুন। কোন কোন উপায়ে প্রতিদিন মাত্রাতিরিক্ত লবন গ্রহন করছেন তালিকা করুন। ভাত তরকারির সাথে থাকা লবন হঠাৎ করে কমিয়ে ফেলা অনেকের ক্ষেত্রেই সম্ভব নয় কিন্তু অন্যান্য উৎস যেমন বিভিন্ন কোমল পানীয়, নাস্তা, চিপস, লবন মাখানো ফল, সস, ভাজা পোড়া, খাবার স্যালাইন ইত্যাদি উৎস নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।

গরমে ঘেমে যাওয়া স্বাভাবিক। ঘামলেই স্যালাইন বা হালের জনপ্রিয় ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক খাওয়ার প্রয়োজন নেই বরং সাধারন খাবার পানি পান করুন। এতেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে শরীর থেকে বেরিয় যাওয়া পানির অভাব পূরন হবে।

লেখক ঃ Marufur Rahman Opu ভাইয়া

 #প্রয়োজনিয় কিছু টিপসজেনে রাখা ভালো 🍀পেঁয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পত্রিকা দিয়ে মুড়ে রাখুন।ভাল...
09/05/2023

#প্রয়োজনিয় কিছু টিপস
জেনে রাখা ভালো
🍀পেঁয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পত্রিকা দিয়ে মুড়ে রাখুন।ভালো থাকবে।
🍀সেমাই রান্নার আগে তেল অথবা ঘি তে ভেজে নিন। তাহলে রান্নার সময় সহজেগলে যাবে না।
🍀কাঁচা মরিচের বোটা ফেলে পানি শুকিয়ে কাপড়ে বা কাগজের প্যাকেটে সংরক্ষণ করলে বেশিদিন ভালো থাকবে।
🍀কাচের গ্লাসে গরম কিছু নিতে গেলে অনেক সময় ফেটে যায়। তাই গরম কিছু ঢালবার আগে গ্লাসে একটি চামুচ রেখে ঢাললে গ্লাস ফাটবে বা।
🍀পাকা টমেটো ঘরে রাখলে নরম হয়ে যায়। নরম টমেটো গুলো শক্ত করতে চাইলে কিছু সময় লবন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন টমেটো শক্ত হয়ে উঠেছে।
🍀নুডুলস সেদ্ধ করার সময় পানিতে সামান্য রান্নার তেল দিন।এতে নুডুলস ঝরঝরা হবে।
🍀ডালের কৌটায় কয়েকটি শুকনো নিমপাতা বা শুকনো মরিচ রাখলে সহজে পোকা ধরবে না।
🍀আচারের বয়ামে আচার ভরার আগে বয়ামের একদম নিচে এবং আচার ভরার পর আচারের উপরে এক চিমটি করে লবন দিয়ে রাখলে আচারে ফাংগাস পড়বে না।
🍀সবুজ সবজি রান্নার সময় সবুজ রং ঠিক রাখতে এক চিমটি চিনি দিন।
🍀ঢেড়স রান্নার সময় এতে এক চামুচ দই দিন।আঠালো ভাব কমে আসবে।
🍀মাছ ভাজার সময় তেল ছিটকে গায়ে পড়ে। এ সময় একটু লবন ছড়িয়ে দিন।তাহলে তেল আর ছিটকাবে না।
🍀কড়াই ফ্রাইপ্যানে খাবার পুড়িয়ে ফেললে দাগ পড়ে যায়। সেই দাগ দূর করতে কুচানো কিছু পেঁয়াজ দিয়ে গরম পানি ঢেলে দিন।পোড়া দাগ চলে যাবে।
🍀কেক পুডিং সমানভাবে কাটতে চাইলে চাকুটি গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
🍀চিনির পাত্রে দু চারটা লবংগ দিয়ে রাখলে পিপড়া ঢুকবে না।
🍀দেশলাই বক্সে কয়েকটি শুকনো চাল রেখে দিলে বষাকালে ও দেশলাই কাঠির বারুদ ভালো থাকবে।
🍀কিসমিশে অনেক সময় ময়লা ছাতা ধরে যায়। ময়দা মাখিয়ে রাখলে তা ধরবে না। অনেক দিন ভালো থাকবে।
🍀মাছ নরম হলে ভাজার সময় একটু ময়দা বা চালের গুড়া মাখিয়ে ভাজুন।মাছ সহজে ভেঙে যাবে না।ও মুচমুচে হবে।
🍀দুধ দিয়ে সেদ্ধ না করে পানি দিয়ে সেদ্ধ করলে গাজরের হালুয়ার রং অনেক সুন্দর হয়।
🍀ভাত রান্নার সময় পানিতে কয়েক ফোটা লেবুর রস অথবা এক চামুচ রান্নার তেল দিয়ে দিন।তাহলে ভাত সুন্দর ঝরঝরা হবে।
🍀মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে খোসা সহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে তরকারিতে দিন।
🍀ভাত, পোলাও,বিরিয়ানি,বা চাল জাতীয় কোন খাবার পুড়ে গেলে এর পোড়া গন্ধ দূর করতে প্রথমেই যে হাঁড়িতে পোড়া লেগেছে সেখানে থেকে খাবার সরিয়ে অন্য একটি পাত্রে রাখুন। এবং তার উপর এক টুকরো পাউরুটি রাখুন।পোড়া গন্ধ শুষে নিবে পাউরুটি।
🍀ফ্লাক্সের ভিতর অংশ ভালো ভাবে ধুতে হলে ফ্লাক্সে গরম পানি ভর্তি করুন। তাতে কয়েক টুকরো কাগজ ফেলে দিন।ঘন্টা খানেক পর ভালো ভাবে ঝাকিয়ে পানি ফেলে দিন। ভেতরের যাবতিয় নোংরা পরিস্কার হয়ে যাবে।
🍀ডিম সেদ্ধ করার সময় সামান্য পরিমাণ লবন দিন।এতে খোসা ছাড়ানো সহজ হবে। এবং তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে।
🍀বিস্কুটের পটে সামান্য চিনি দিয়ে রাখলে বিস্কুট মুচমুচে থাকবে। বিস্কুটের পট ফ্রিজে রাখলে ও বিস্কুট মুচমুচে থাকবে।
🍀ভাজার জন্য কেটে রাখা বেগুন বেশ কিছুক্ষণ আগে লবন হলুদ মাখিয়ে রাখলে তেল কম লাগে।
🍀চাল ধোয়া পানিতে স্টিল ও কাঁচের প্লেট গ্লাস কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিলে প্লেট গ্লাস ঝকঝকে হবে।
🍀বেগুনি বানানোর সময় বেগুন কেটে ধুবেন না।ধুয়ে কাটবেন।তাহলে বেগুনের গায়ে ভালো ভাবে বেসন লেগে যাবে।
🍀লেবু কাটার আগে কুসুম গরম পানিতে ঘন্টা খানেক ডুবিয়ে রাখলে লেবুর রস বেশি হয়।
🍀কাঁঠালের বিচির লাল পাতলা খোসা পরিস্কার করতে চাইলে মিনিট দশেক কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পাটায় ঘষে নিন।খুব সহজেই পরিস্কার হয়ে যাবে।
🍀ডিম সেদ্ধ করার পর গরম পানি থেকে উঠিয়ে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রেখে ঠান্ডা করে নিলে খোসা ছাড়াতে সুবিধা হয়।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন। ধন্যবাদ। "ঝুমুর'স কিচেন"
#টিপস_টিপস

Address

Sonaimuri
3841

Telephone

+8801959083906

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mawa's Rokomari-মাওয়া'স রকমারি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mawa's Rokomari-মাওয়া'স রকমারি:

Videos

Share

Nearby media companies