সোনাগাজীর আলো

সোনাগাজীর আলো সত্য প্রকাশে আমাদের সাহসিকতা সবার ঊর্ধ্বে
(1)

নাটোরে মহাশ্মশানে ডাকাতি, মন্দিরে লুটপাট, সেবায়েতকে হত্যাবাপ্পী লাহিড়ী, নাটোরনাটোর সদর উপজেলার বড়হরিশপুরে কাশিমপুর কেন্দ...
21/12/2024

নাটোরে মহাশ্মশানে ডাকাতি, মন্দিরে লুটপাট, সেবায়েতকে হত্যা

বাপ্পী লাহিড়ী, নাটোর
নাটোর সদর উপজেলার বড়হরিশপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার সেবায়েত তরুণ চন্দ্র দাসকেও হত্যা করা হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে মন্দিরে।গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহত তরুণ চন্দ্র দাস (৫৫) নাটোর শহরের আলাইপুর ধোপাপাড়া মহল্লার মৃত কালিপদ দাসের ছেলে। তিনি প্রায় দুই যুগ ধরে মহাশ্মশান মন্দিরেই থাকতেন।

মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সত্য নারায়ণ রায় টিপু সেবায়েত হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার সকালে মহাশ্মশান মন্দিরেরর সদস্যরা ভোগ ঘরে গেলে সেবায়েত তরুণের হাত-পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পান। তরুণ ২৩ বছর ধরে মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্বে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

সত্য নারায়ণ রায় টিপু বলেন, ‘মন্দিরের দান বাক্সের ও ভান্ডার ঘরের তালা ভাঙ্গা এবং গ্রিল কাটা ছিল। সম্ভবত তরুণকে হত্যা করে ডাকাতরা মন্দিরের টাকা এবং কাঁসা পিতলের বাসনপত্র নিয়ে গেছে।’

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মহাশ্মশান থেকে একজনের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মহাশ্মশানের ভান্ডার ঘরের মালামাল লুটের কিছু আলামত পাওয়া গেছে। সম্ভবত চুরি বা ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।’

#সোনাগাজী #সবাই #ঢাকা #নাটোর

21/12/2024

বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে বদলে যাওয়া রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা

#সোনাগাজী #সবাই #ঢাকা

19/12/2024

তদন্ত ছাড়াই কেন এবং কি কারনে, কাদের ইন্ধনে গ্রেপ্তার হলাম??
শিশু সন্তানের সামনে আমাকে হাতকড়া পরানোর বিষাদময় ঘটনাটি কখনো ভুলবোনা!!

#সোনাগাজী #সবাই

Zahir Uddin Mahmood Lipton আবু রায়হান ফেনী সোনাগাজী Younus Muhammed Rasel Abul Hossain Ripon Abdur Rahim Helal Sonagazi M A H Sumon Alhaz Shafiqur Rahman Shafique MD Mamun Khan Mijanur Rahoman Selim ওমৱ ফারুক ইমরান হোসেন Iqbal Chowdhury Juwel Billal Hossain মোহাম্মদ ফারুক মোহাম্মদ খালেক Mosharaf Hossain Khokan Samsuddin Ruma Akter হাসান শাহাদাত তৌহিদ

সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কমিটি অনুমোদন ।সালাহ উদ্দিন কে সভাপতি ও তানজিয়া মাহমুদ অয়ন ক...
18/12/2024

সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কমিটি অনুমোদন ।

সালাহ উদ্দিন কে সভাপতি ও তানজিয়া মাহমুদ অয়ন কে সাধারণ সম্পাদক, আমির খানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন।

মোদির মিথ্যাচার নাকি আমাদের মুর্খতা?হাসান শাহাদাত তৌহিদ >>নরেন্দ্র মোদি ইস্যুতে সরব বাংলাদেশের অবুঝ ফেসবুক বাসিন্দারা। খ...
17/12/2024

মোদির মিথ্যাচার নাকি আমাদের মুর্খতা?

হাসান শাহাদাত তৌহিদ >>
নরেন্দ্র মোদি ইস্যুতে সরব বাংলাদেশের অবুঝ ফেসবুক বাসিন্দারা। খোদ অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টাও মোদিকে নিন্দার সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলছেন। কারণ তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরকে ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলেছেন। আসলে তিনি যে ঠিক বলেছেন এবং আমাদের বিজয়কে ভারতের বিজয় বলেননি বরং বাংলাদেশের মহান বিজয় গৌরবময় মনে করেন—এটা বুঝতে হলে ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে হবে।

একাত্তর সালের ১৬ ডিসেম্বর পড়ন্ত বিকেল, সময় ৪.৩১ মিনিট। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অধিনায়ক জেনারেল নিয়াজীর নেতৃত্বে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পন অনুষ্ঠান। জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পনের তিনটি দলিলে সাক্ষর করেন। নিয়াজীর সামনে দুইটা পেপার। ভারতীয় পুর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল অরোরার সামনে একটি পেপার। আত্মসমর্পনের তিনটা দলিল হলো: এক. বাংলাদেশের কাছে। দুই. যৌথ বাহিনীর কাছে। তিন. ভারতের কাছে। নাম দেখেই বুঝতে পারছেন কোনটা কি।

যৌথ বাহিনীর ব্যাপারটা ক্লিয়ার হোক। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রি থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আবশ্যক হয়ে পড়ায় পুর্ব বাংলার জনগণ যুদ্ধ শুরু করেন। সেই যুদ্ধ আমরা একা করি। ভারত আমাদের নানাভাবে সহযোগিতা করে। ভারতে গিয়ে আমরা প্রশিক্ষণ নিই। তারা আমাদেরকে আশ্রয় দেয় ইত্যাদি।

তারপর ২১ নভেম্বর ১৯৭১, বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও মিত্র ভারতীয় বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী গঠিত হয়। এদিন থেকে আর মুক্তিবাহিনীর একক গেরিলা যুদ্ধ নয়, চুড়ান্ত জয়ের লক্ষ্যে যৌথ বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ। বাংলাদেশ বাহিনীর প্রধান ও ভারতীয় বাহিনীর প্রধান দু’জনেই মর্যাদায় সমান তবু বাস্তবতার প্রেক্ষিতে সম্মুখ যুদ্ধের অপারেশনাল কমান্ডার নিযুক্ত হন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মানেকশ। তাঁর অধীনে পুর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল অরোরা অধিকৃত বাংলাদেশে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ নেতৃত্বে।

এই গেল যৌথ বাহিনীর কথা।

এবার আসুন একাত্তরের কীভাবে ভারত-পাকিস্তান কীভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল। ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতে বিমান আক্রমণ করলে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথেও ভারতের যুদ্ধ বাজে। সেটা এককভাবে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। কিন্তু তাই বলে কি বাংলাদেশ-পাকিস্তানের যুদ্ধকে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ বলা হবে? মোটেই না। ভারতও কি কোনকালে তেমন কিছু বুঝিয়েছে? একেবারেই না। বরং সবার আগে ভারতই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। যাই হোক, তিনটা দলিলের ইতিবৃত্ত আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।

তাহলে মোদি যে ১৬ ডিসেম্বরকে ভারতের ঐতিহাসিক জয় বলেছেন, ভুল কোথায় বলেছেন? পাক-ভারত সামরিক যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী জয়লাভ করেছে, ঠিক আছে, করেছে তো।

মোদি কি আমাদের বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে ভারতের বিজয় বলেছেন? মোটেই না। যখন ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতের আক্রমণ করলো, তখন সেখানে পাক-ভারত যুদ্ধ আবশ্যক হয়ে গেল, সেটাকেই তিনি বলেছেন ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়। বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে ভারতের বিজয় বলেননি। শুধু মোদি নয়, ভারতীয় সরকার ৫৩ বছর ধরে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করে।

অথচ আমার না বুঝেই তাকে নিন্দা ঝড় শুরু করলাম। কারণ, আমরা যে জাহেল। না বুঝেই চিল্লাচিল্লি করা আমাদের ঐতিহাসিক স্বভাব।

লেখক ও সাংবাদিক

#সোনাগাজী #চট্টগ্রাম #সবাই #ফেনী #ঢাকা
Zahir Uddin Mahmood Lipton Alhaz Shafiqur Rahman Shafique Younus Muhammed Rasel আবু রায়হান ফেনী সোনাগাজী M A H Sumon Mijanur Rahoman Selim Iqbal Chowdhury Juwel MD Mamun Khan ওমৱ ফারুক Billal Hossain মোহাম্মদ খালেক Khokan Samsuddin Mosharaf Hossain Helal Sonagazi
মোহাম্মদ ফারুক ইমরান হোসেন Abul Hossain Ripon

গ্রেপ্তারের পর পুলিশ পাহারায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোনাগাজী পৌর যুবলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন অপু। ...
16/12/2024

গ্রেপ্তারের পর পুলিশ পাহারায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোনাগাজী পৌর যুবলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন অপু।

#সোনাগাজী #সবাই #চট্টগ্রাম

⁨১৯৭১ সালে পাক হানাদারতের আত্মসমর্পণের আগের সেই মুহূর্তগুলো১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। সময় আনুমানিক সকাল ৯টা। ঢাকায় অবস্থানর...
16/12/2024

⁨১৯৭১ সালে পাক হানাদারতের আত্মসমর্পণের আগের সেই মুহূর্তগুলো

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। সময় আনুমানিক সকাল ৯টা। ঢাকায় অবস্থানরত পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা তাদের দপ্তরে বসে বৈঠক করছিলেন একসঙ্গে। একটি চিরকুট এলো সেই সময়, চমকে দিল সবাইকে।

বৈঠকে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে নিয়াজি, মেজর জেনারেল জামশেদ, মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী, রিয়ার অ্যাডমিরাল শরিফ, ব্রিগেডিয়ার বকর সিদ্দিকী, সিদ্দিক সালিক ও আরও কয়েকজন।

সেই চিরকুটে লেখা ছিল- প্রিয় আবদুল্লাহ, আমি এখন মিরপুর ব্রিজে। আপনার প্রতিনিধি পাঠান।

এখানে 'আবদুল্লাহ' বলতে জেনারেল নিয়াজিকে বোঝানো হয়েছিল।

নিয়াজির পুরো নাম আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি, এ কে নিয়াজি হিসেবে পরিচিত ছিলেন যিনি। এ চিঠি পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল গন্দর্ভ সিং নাগরা।

সকাল ৮টা নাগাদ ঢাকার মিরপুর ব্রিজের কাছে মেজর জেনারেল নাগরাকে বহনকারী একটি সামরিক জিপ এসে থামে। তিনি কীভাবে ঢাকার প্রবেশমুখে এসে পৌঁছলেন সেটিও অবাক করেছিল সবাইকে। মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খান ভেবেছিলেন- যুদ্ধবিরতির জন্য বার্তা পাঠিয়েছেন মেজর জেনারেল নাগরা।

জেনারেল নিয়াজিকে তিনি প্রশ্ন করেন, 'জেনারেল নাগরা কি আলোচনার জন্য এসেছেন?'

নিয়াজি কোনো উত্তর দিলেন না সেই প্রশ্নের। কারণ এর আগে পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারতের কাছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।

সেনানিবাসে তখন এসব ঘটনা খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা সিদ্দিক সালিক। তার লেখা 'উইটনেস টু সারেন্ডার' বইয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন তখনকার ঘটনা। এ ছাড়া সেই সময়ের ঘটনাবলি নিয়ে বই লিখেছেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খানও। তার লেখা বই 'হাউ পাকিস্তান গট ডিভাইডেড' বইয়েও উঠে এসেছে বিষয়গুলো। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন রাও ফরমান আলী খান। সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বেসামরিক প্রশাসন দেখাশোনা করতেন তিনি। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হয় তাকে। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান গভর্নরের উপদেষ্টা।

রাও ফরমান আলী খান তার বইয়ে লিখেছেন- আমি নিয়াজিকে প্রশ্ন করলাম, আপনার প্রতিরক্ষা শক্তি কতটুকু আছে? কিন্তু মি. নিয়াজি সে প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে নীরব থাকলেন।

এ প্রসঙ্গে অ্যাডমিরাল শরিফ পাঞ্জাবি ভাষায় জেনারেল নিয়াজিকে প্রশ্ন করলেন- আপনার কি কিছু রয়েছে?

নিয়াজি এরপর মেজর জেনারেল জামশেদের দিকে তাকালেন, মাথা ঘুরিয়ে 'না' সূচক জবাব দিলেন। জেনারেল জামশেদের দায়িত্ব ছিল ঢাকা রক্ষা করা।

'উইটনেস টু সারেন্ডার' বইয়ে সিদ্দিক সালিক লিখেছেন- তখন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী এবং রিয়ার অ্যাডমিরাল শরিফ একসঙ্গে বললেন, 'সেটাই যদি হয় তাহলে সে (জেনারেল নাগরা) যা বলছে সেটাই করুন।'

এরপর জেনারেল নাগরাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য মেজর জেনারেল জামশেদকে পাঠানো হলো। একই সঙ্গে মিরপুর ব্রিজের কাছে অবস্থানরত পাকিস্তানি সৈন্যদের বলা হলো- তারা যেন যুদ্ধবিরতি মেনে চলে এবং জেনারেল নাগরাকে নিরাপদে শহরে ঢুকতে দেয়।

সে মুহূর্তটিকে সিদ্দিক সালিক বর্ণনা করেছে এভাবে- ভারতীয় জেনারেল হাতেগোনা সৈন্য ও অনেক গর্ব নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করলেন। তখনই কার্যত ঢাকার পতন হয়ে গেল।

জেনারেল নাগরা যখন ঢাকায় প্রবেশ করলেন তখন পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সিদ্দিক সালিকের বইয়ে সে বিষয়গুলোও উঠে এসেছে। ঢাকার পতনকে তিনি বর্ণনা করেছেন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত একজন মানুষের সঙ্গে। শরীরের কোথাও আঘাত না থাকলেও অচল হয়ে গেছে পুরো শরীর।

এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড অফিস থেকে যুদ্ধের রণকৌশল চিহ্নিত করার জন্য মানচিত্রগুলো সরিয়ে ফেলা হচ্ছিল। ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের আগমন উপলক্ষে বাড়তি খাবারের আয়োজন চলছিল। জেনারেল নাগরা কমান্ড অফিসে পৌঁছানোর পর তার সঙ্গে কৌতুকে মেতে ওঠেন জেনারেল নিয়াজি।

সিদ্দিক সালিক লিখেছেন- সেসব কৌতুক এতটাই নোংরা ছিল যে, সেগুলো বইয়ে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খানও সে মুহূর্তের বর্ণনা তুলে ধরেছেন তার লেখায়- জেনারেল নিয়াজি তার চেয়ারে বসে আছেন, তার সামনে জেনারেল নাগরা রয়েছেন এবং একজন জেনারেলের পোশাকে রয়েছেন মুক্তিবাহিনীর টাইগার সিদ্দিকীও (কাদের সিদ্দিকী)। শুনলাম নিয়াজি নাগরাকে জিজ্ঞেস করছেন, তিনি উর্দু কবিতা বোঝেন কি-না। জবাবে নাগরা জানালেন, তিনি লাহোর সরকারি কলেজ থেকে ফার্সিতে এমএ পাস করেছেন। নাগরা যেহেতু নিয়াজির চেয়ে বেশি শিক্ষিত ছিলেন, নিয়াজি তাই পাঞ্জাবিতে রসিকতা শুরু করলেন। নিয়াজি তার আগের চরিত্রে ফিরে গেলেন।

জেনারেল নিয়াজির অফিসের ভেতরকার অবস্থা 'ভীতিবিহ্বল' করেছিল তাকে।

এরই মধ্যে ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল জে আর জ্যাকব ঢাকায় অবতরণ করেছেন। তিনি সঙ্গে এনেছেন আত্মসমর্পণের দলিল। কিন্তু জেনারেল নিয়াজি এটিকে বর্ণনা করছিলেন 'যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব' হিসেবে।

জেনারেল জ্যাকব যখন আত্মসমর্পণের শর্তযুক্ত কাগজ হস্তান্তর করলেন, তখন জেনারেল রাও ফরমান আলী একটি ধারা নিয়ে আপত্তি তুললেন। তিনি আত্মসমর্পণের দলিলটি পড়ে বললেন, 'এটা তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।' তিনি ভেবেছিলেন, এখানে হয়তো আত্মসমর্পণের কথা বলা হবে না। দলিলে বলা ছিল- ভারতীয় যৌথ কমান্ড এবং বাংলাদেশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করছে পাকিস্তান বাহিনী।

বাংলাদেশ শব্দটি রাখতে চায়নি পাকিস্তানি বাহিনী। কিন্তু জেনারেল জ্যাকব বললেন, 'দিল্লি থেকে বিষয়টি এভাবেই এসেছে।'

জ্যাকবের পাশে তখন দাঁড়ানো ছিলেন ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্নেল খেরা। রাও ফরমান আলীর আপত্তির জবাবে তিনি বললেন, 'এটা বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনারা শুধু ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করছেন।'

জেনারেল নিয়াজি আত্মসমর্পণের শর্তযুক্ত কাগজটি একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন; কিন্তু কোনো কথা বললেন না।

দুপুরের পর জেনারেল নিয়াজি ঢাকা বিমানবন্দরে গেলেন ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার জগজিৎ সিং অরোরাকে অভ্যর্থনা জানাতে। মি. অরোরা তখন তার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন। ততক্ষণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল।

সিদ্দিক সালিক বর্ণনা করেন- জনসম্মুখে পাকিস্তানি জেনারেলের অপমান দেখার জন্য আবেগতাড়িত বাঙালিরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিল।

মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খান ও অ্যাডমিরাল শরিফ নিয়াজিকে অনুরোধ করলেন তিনি যাতে আত্মসমর্পণের কোনো অনুষ্ঠানে যোগ না দেন; কিন্তু তিনি সেটি মানলেন না।

রাও ফরমান আলী খান তার বইয়ে লিখেছেন- আমরা বললাম, আপনার এতে যোগ দেওয়া উচিত হবে না, আত্মসমর্পণ করা হয়ে গেছে। ...তাদের যা ইচ্ছা করুক। দয়া করে কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। কিন্তু তিনি যোগ দিয়েছেন এবং আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেছেন।

তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে, যেটি বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জেনারেল অরোরা ও জেনারেল নিয়াজি আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন। এরপর জেনারেল নিয়াজি তার রিভলবারটি জেনারেল অরোরার হাতে তুলে দেন।

সিদ্দিক সালিক লিখেছেন- সেই রিভলবার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকেও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হলো!-

এ ছবি দেখেই কি আত্মসমর্পণ করেছিলেন নিয়াজি?

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে মিলে মুক্তিবাহিনী যখন প্রবল আক্রমণ শুরু করে তখন থেকে ঢাকার পতন ছিল শুধুই সময় ব্যাপার। সিদ্দিক সালিক ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর বই থেকে বোঝা যায়, পাকিস্তানি বাহিনীর মনোবল একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। কীভাবে যুদ্ধ থামানো যায় সে চেষ্টা করছিল ঢাকায় অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তারা। জেনারেল নিয়াজি ভাবছিলেন, তাদের জন্য বিদেশি সহায়তা আসবে। বিদেশি সহায়তা বলতে চীন কিংবা আমেরিকার সাহায্য। ডিসেম্বরের ৫ তারিখে কুমিল্লার দক্ষিণ অঞ্চলে একটি পাকিস্তানি ব্যাটালিয়নের আত্মসমর্পণের পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বুঝতে পারলেন যে, তাদের সৈন্যদের মনোবল ভেঙে গেছে।

রাও ফরমান আলীর বর্ণনা অনুযায়ী, জেনারেল নিয়াজি সন্দেহাতীতভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। অনেকে জেনারেল নিয়াজিকে তার অফিসে কাঁদতেও দেখেছে বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু বাইরে থেকে জেনারেল নিয়াজি নিজেকে শক্ত হিসেবে উপস্থাপন করছিলেন।

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর। জেনারেল এ কে নিয়াজি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। একই সঙ্গে ঢাকা বিমানবন্দরে বিমানবিধ্বংসী যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছিল সেটিও পরিদর্শন করেন তিনি। সেই সময় জেনারেল নিয়াজির সঙ্গে ছিলেন সিদ্দিক সালিক।

মি. নিয়াজি যখন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলেন তখন ছয়-সাতজন নার্স এসে জেনারেল নিয়াজিকে তাদের নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরেন।

ডিসেম্বর মাসের তিন তারিখ থেকেই ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে জোরালো আক্রমণ শুরু হয়। নার্সরা জেনারেল নিয়াজিকে বললেন যে, তারা মুক্তিবাহিনীর ভয়ে ভীত। তিনি নার্সদের আশ্বস্ত করলেন, বড় ধরনের বিদেশি সাহায্য আসছে এবং চিন্তার কোনো কারণ নেই।

জেনারেল নিয়াজি নার্সদের বললেন, তাদের কোনোভাবেই মুক্তিবাহিনীর হাতে পড়তে দেওয়া হবে না। যদি সাহায্য নাও আসে, তাহলে তোমরা মুক্তিবাহিনীর হাতে পড়ার আগে আমরাই তোমাদের হত্যা করব।

এ কথা বলে সেখান থেকে বিদায় নিলেন মি. নিয়াজি। সেই ঘটনা সিদ্দিক সালিক তার বইয়ে বর্ণনা করেছেন।

সেখান থেকে ফিরে আসার সময় তেজগাঁও বিমানবন্দরের সামনে থামেন জেনারেল নিয়াজি। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক তাকে কিছু প্রশ্ন করলেন। এর মধ্যে একটি ছিল- ভারতীয় বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য আপনার কি যথেষ্ট শক্তি আছে? জবাবে মি. নিয়াজি বলেন, আমার মৃতদেহের ওপর দিয়ে ঢাকার পতন হবে। আমার বুকের ওপর দিয়ে তাদের ট্যাঙ্ক চালাতে হবে।

যুদ্ধের সময় ঢাকায় অবস্থানরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লেখা থেকে বোঝা যায় যে, ১২ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তারা যুদ্ধের বিষয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। ঢাকায় অবস্থানরত পাকিস্তানি জেনারেলরা যুদ্ধবিরতির উপায় খুঁজছিলেন।

রাও ফরমান আলী লিখেছেন, ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রথমবারের মতো মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় বাহিনীর কামানের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ১৩ ডিসেম্বর ভারতীয় বিমান বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান গভর্নর হাউসে আক্রমণ চালিয়েছিল। সেই হামলার পর গভর্নর পদত্যাগ করলেন।

যুদ্ধবিরতির আশা নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে জেনারেল নিয়াজি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেলের কাছে যান। সঙ্গে ছিলেন রাও ফরমান আলী।

তখন জেনালের নিয়াজির সঙ্গে মার্কিন কনসাল জেনারেলের যে কথাবার্তা হয়েছিল সেটি রাও ফরমান আলী তার বইয়ে তুলে ধরে লিখেছেন- নিয়াজি একজন বন্ধু হিসেবে তার সাহায্য চাইলেন। জবাবে কনসাল জেনারেল বললেন, আপনারা কেন যুদ্ধ শুরু করেছিলেন? ইউএস আপনাদের সাহায্য করতে পারবে না। আমি বড়জোর যা করতে পারি তা হলো, আপনার বার্তাটি ভারতীয়দের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। আমি বার্তা প্রেরকের কাজ করব, যোগাযোগকারী নয়। আমাদের বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে এবং যেখানে যার কাছে বার্তা পাঠাতে চান আপনি পাঠাতে পারেন।

৩ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তান নিয়ে তার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। সিদ্দিক সালিক জানতে পেরেছেন যে, ৩ ডিসেম্বরের পর থেকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আর অফিসে আসেননি। এ পর্যায়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আমি কী করতে পারি?

যুদ্ধবিরতির জন্য ভারতীয়দের কাছে যে বার্তা পাঠানো হয়েছিল সেটির জবাব এসেছিল ১৫ ডিসেম্বর। ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ সেটির উত্তর দিয়েছিলেন- যুদ্ধবিরতি তখনই কার্যকর হবে যখন পাকিস্তানি বাহিনী অগ্রবর্তী ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে।

মানেকশর এ বার্তা রাওয়ালপিণ্ডিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান রাওয়ালপিণ্ডি থেকে পূর্ব পাকিস্তানে জানিয়ে দেন যে জেনারেল মানেকশর প্রস্তাব মেনে নিতে।

পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে এর পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ নিয়ে গিয়েছিল বিজয়ের সেই মুহূর্তের দিকে।

সৌজন্যেঃ দৈনিক সমকাল

⁩ #সোনাগাজী #সবাই

সোনাগাজী মডেল থানার পক্ষ থেকে মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা।   #সোনাগাজী    #সবাই  #ফেনী
16/12/2024

সোনাগাজী মডেল থানার পক্ষ থেকে মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা।

#সোনাগাজী #সবাই #ফেনী

16/12/2024

“ দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা।কারও দানে পাওয়া নয়...”
এই আমার বাংলাদেশ। আমার মাতৃভূমি।
সদা বিজয়ী থেকো।

#সোনাগাজী #সবাই #ফেনী

Alhaz Shafiqur Rahman Shafique আবু রায়হান ফেনী সোনাগাজী Zahir Uddin Mahmood Lipton M A H Sumon মোহাম্মদ ফারুক Ruma Akter

স্বাধীন দেশের স্বপ্নে জীবন দেওয়া প্রতিটি মুক্তিকামী প্রাণের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং গভীর শ্রদ্ধা।🇧🇩   #সোনাগাজী  #সবাই
15/12/2024

স্বাধীন দেশের স্বপ্নে জীবন দেওয়া প্রতিটি মুক্তিকামী প্রাণের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং গভীর শ্রদ্ধা।
🇧🇩

#সোনাগাজী #সবাই

15/12/2024

সোনাগাজীর "গ্রামের পথে পথে ছড়িয়ে আছে সুখের খোঁজ।"

#সোনাগাজী #সবাই #ফেনী

Zahir Uddin Mahmood Lipton Alhaz Shafiqur Rahman Shafique আবু রায়হান ফেনী সোনাগাজী Helal Sonagazi Younus Muhammed Rasel Abdur Rahim MD Mamun Khan Mijanur Rahoman Selim Iqbal Chowdhury Juwel ওমৱ ফারুক M A H Sumon ইমরান হোসেন মোহাম্মদ ফারুক মোহাম্মদ খালেক Billal Hossain Mosharaf Hossain Ruma Akter
Abul Hossain Ripon

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সোনাগাজীর সাবেক পৌর কাউন্সিলর গ্রেপ্তারনিজস্ব প্রতিনিধিঃফেনীর সোনাগাজীতে উপজেলা আওয়...
15/12/2024

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সোনাগাজীর সাবেক পৌর কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ফেনীর সোনাগাজীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর নুর নবী লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে পৌর শহরের ৫নং ওয়াড' তুলাতুলি গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নুর আলম প্রকাশ আবুল কালামের ছেলে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি বায়েজিদ আকন্দ জানান গত ৪ আগষ্ট ফেনীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলার তদন্তে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত লিটনের পরিবার ও স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থাকার সময়ে দলটির স্থানীয় নেতৃত্বের দুর্ণীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ছিলেন। যার কারনে দলীয় রোষানলে পড়ে গত পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচন করতে পারেননি। পরে তিনি দলীয় কার্যক্রম থেকে নিস্ক্রীয় হয়ে ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও তিনি এলাকায় অবস্থান করছিলেন এবং ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যাহতের ঘটনায় দায়ের হওয়ার ১৮টি মামলার কোনটিতে তাকে আসামী করা হয়নি। তাদের দাবী শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ করার অপরাধে হয়রানী করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

#সোনাগাজী #সবাই #ফেনী

বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার সোনাগাজীর যুবলীগ নেতা অপুনিজস্ব প্রতিনিধিঃসোনাগাজী পৌর যুবলীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন অপুকে আজ সন্ধ...
14/12/2024

বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার সোনাগাজীর যুবলীগ নেতা অপু

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সোনাগাজী পৌর যুবলীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন অপুকে আজ সন্ধ্যায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করেছে।
তিনি সৌদিআরব থেকে দেশে ফিরছিলেন।গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি সৌদিআরবে চলে যান।
জানা গেছে ৪ই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফেনীতে ছাত্র হত্যাকান্ডের ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা রয়েছে।
তাকে বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করবে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশের একটি সূত্র।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি বায়েজিদ আখন্দ জানান,যুবলীগ নেতা অপুর বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় একটি চাঁদাবাজীর মামাল রয়েছে তাকে সেই মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

#সোনাগাজী #সবাই #ফেনী

সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জলিল গ্রেপ্তারনিজস্ব প্রতিনিধিঃসোনাগাজী  উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আব...
14/12/2024

সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জলিল গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল জলিল গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধায় তাকে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চাঁন মিয়ার দোকান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়,জলিল দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থেকে ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন।সে জমাদারবাজারের ইসলামী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং এর সাথে জড়িত।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও সে এলাকায় অবস্থান করে ব্যাবসা পরিচালনা করছিল।এছাড়াও সে মতিগঞ্জ ভুমি রেজিষ্ট্রেশন অফিসের রেজিস্ট্রেশন ভুক্ত দলিল লেখক ।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি জানান,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোল চলাকালে ফেনীর মহিপালে আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে।তাকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।

#সোনাগাজী #সবাই

বুদ্ধিজীবী দিবস - বিনম্র শ্রদ্ধা ১৯৭১ সালের ১৩-১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর তত্বাবধানে ...
14/12/2024

বুদ্ধিজীবী দিবস - বিনম্র শ্রদ্ধা

১৯৭১ সালের ১৩-১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর তত্বাবধানে আল বদর ও আল শামস তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী ডাক্তারসহ বুদ্ধিজীবিদের বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। এটার প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান সরকার কতৃক গঠিত হামুদুর রহমান কমিশন বুদ্ধিজীবী নিধনের ব্যাপারটা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছিল। রাও ফরমান সেই অফিসার যাকে পাকিস্তান ফেরার পর কোর্ট মার্শাল করা হয়। তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে বিনে পয়সায় বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। বেশ কিছুদিন পলাতকও ছিল এই ঠান্ডা মাথার খুনি। He is widely considered a key architect of the 1971 Bangladesh genocide.

বিনম্র শ্রদ্ধা সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীর প্রতি। সমবেদনা সকল শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের প্রতি।

#সোনাগাজী #সবাই

জল্লাদের ডায়েরী – বুদ্ধিজীবী হ ত্যার মূল্যবান দলিল ।সুত্র : দৈনিক পূর্বদেশ, ১২ জানুয়ারী, ১৯৭২ সাল ।সৌজন্যে : বাংলাদেশের ...
14/12/2024

জল্লাদের ডায়েরী –
বুদ্ধিজীবী হ ত্যার মূল্যবান দলিল ।

সুত্র : দৈনিক পূর্বদেশ, ১২ জানুয়ারী, ১৯৭২ সাল ।

সৌজন্যে : বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র (জালাল)

#সোনাগাজী #সবাই

ধীরেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী দরজা খুলে হাসিমুখে বললেন- কেমন আছ বাবা ?(তিনি ধরেই নিলেন সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকটি তাঁর ছাত্র)কল...
13/12/2024

ধীরেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী দরজা খুলে হাসিমুখে বললেন- কেমন আছ বাবা ?
(তিনি ধরেই নিলেন সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকটি তাঁর ছাত্র)
কলিমউল্লাহ বলল- স্যার ভালো আছি । আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন স্যার ?
(তিনি তাকে চিনতে পারেন নি । চিনতে পারার কথাও না)
তারপরও হাসিমুখে বললেন- চিনতে পারবনা কেন ? অবশ্যই চিনেছি।
(মিথ্যা বলার কারণ হলো তিনি অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছেন, যতবার কোনো ছাত্রকে দেখে তিনি না চেনার কথা বলেছেন, ততবারই তারা ভয়ঙ্কর মনে কষ্ট পেয়েছে । এক ছাত্র তো কেঁদেই ফেলেছিল)
ধীরেন্দ্রনাথ রায় বললেন- বাবা, তোমার নামটা যেন কী ?
- কলিমউল্লাহ।
- হ্যাঁ, তাই তো। কলিমউল্লাহ। এখন পরিষ্কার মনে পড়েছে। তুমি কি খাওয়াদাওয়া করেছ ?
- জি না স্যার ।
- এসো আমার সঙ্গে চারটা ভাত খাও । আয়োজন খুব সামান্য । ভাত, ডিম ভর্তা । ঘরে আরো ডিম আছে । তোমাকে ডিম ভেজে দেব। ঘরে এক কৌটা ভালো গাওয়া ঘি ছিল, কৌটাটা খুঁজে পাচ্ছি না।
কলিমউল্লাহ বলল- এখন খেতে পারব না । আপনার কাছে আমি একটা অতি জরুরী কাজে এসেছি ।
- জরুরী কাজটা কী ?
- মিলিটারির এক কর্নেল আপনার সাথে কথা বলতে চান ।
ধীরেন্দ্রনাথ রায় বিস্মিত হয়ে বললেন- আমার সাথে মিলিটারির কী কথা ?
- আমি জানি না । তবে স্যার আপনার ভয়ের কিছু নেই । আমি সঙ্গে আছি ।
ধীরেন্দ্রনাথ রায় বললেন- তুমি আমার কোন ব্যাচের ছাত্র বলো তো ?
- কথা বলে সময় নষ্ট করতে পারব না । মিটিংটা শেষ করে আসি, তারপর গল্প করব ।
- দুইটা মিনিট অপেক্ষা করো, ভাতটা খেয়ে নিই । আমি খুব ক্ষুধার্ত । সকালে নাশতা করিনি।
- ভাত খাবার জন্যে অপেক্ষা করার সময় নাই স্যার।
- তাহলে দাঁড়াও, পাঞ্জাবিটা গায়ে দিয়ে আসি । আমার সঙ্গে কি কথা বুঝলাম না । সে আমার ছাত্র না তো? করাচি ইউনাভার্সিটিতে আমি দু'বছর মাষ্টারি করেছি । প্রফেসর সালাম সাহেব সেখানে আমার কলিগ ছিলেন ।
কলিমউল্লাহ বলল- আপনার ছাত্র হবার সম্ভাবনা আছে । কর্নেল সাহেব যেভাবে বললেন "স্যারকে একটু নিয়ে আসো"... তাতে মনে হচ্ছে উনি আপনার ছাত্র ।
ধীরেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী গাড়িতে উঠে দেখলেন.. গাড়ি ভর্তি মানুষ । তারা সবাই চিন্তায় অস্থির । ধীরেন্দ্রনাথ রায় তাদের দিকে তাকিয়ে আন্তরিক ভঙ্গিতে হাসলেন । ভুলে তিনি চশমা ফেলে এসেছেন বলে তাদের কাউকে চিনতে পারলেন না । চোখে চশমা থাকলে এদের অনেককেই তিনি চিনতেন । বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা সেই গাড়িতে বসেছিলেন । তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে বধ্যভূমিতে....
(জোছনা ও জননীর গল্প : হুমায়ূন আহমেদ)

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। স্বাধীন হতে যাওয়া বাঙালিকে মেধাশুন্য করতে  বিজয়ের প্রাক্কালে একাত্তরের এই দিনে সারা দেশে বুদ্ধি...
13/12/2024

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। স্বাধীন হতে যাওয়া বাঙালিকে মেধাশুন্য করতে বিজয়ের প্রাক্কালে একাত্তরের এই দিনে সারা দেশে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞের চূড়ান্ত রুপ দেয় পাকিস্তানি সেনা ও তার এদেশীয় দোসর রাজাকার-আল বদর বাহিনী । মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৩০ লাখ মুক্তিকামী বাঙালির সঙ্গে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদেরও।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।

Address

Sonagazi
3930

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সোনাগাজীর আলো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share