Jara's Lifestyle

Jara's Lifestyle জারা'স লাইফস্টাইলে সবাই কে স্বাগতম।নতুন পেজ,সবাই ভালবেসে পাশে থাকবেন
(24)

''যে আগে চলে যাবে সেই বেঁচে গেলেন,,শফিক সাহেবের মৃত্যুর দুদিন পরে পারিবারিক মিটিং বসলো। তার স্ত্রী সাজেদা বেগম এখন কোথায়...
09/04/2024

''যে আগে চলে যাবে সেই বেঁচে গেলেন,,

শফিক সাহেবের মৃত্যুর দুদিন পরে পারিবারিক মিটিং বসলো। তার স্ত্রী সাজেদা বেগম এখন কোথায় থাকবেন, মিটিং এর প্রধান আলোচ্যসূচী।
বড় মেয়ে লন্ডন থাকে, মেজ ছেলে কানাডায়। একমেয়ে থাকে কাজীপাড়ায়, ছোটমেয়ে রাজশাহীতে থাকে, আর ছোট ছেলে সরকারি চাকুরে, সারা দেশে ঘুরতে হয়।

মোহাম্মদপুরের এই দোতলা বাড়িতে নিচতলায় একটা ফ্যামিলি ভাড়া থাকে। দোতলায় এতদিন শফিক সাহেব আর সাজেদা বেগম থাকতেন।
শফিক সাহেব যখন এই জায়গা কিনেছিলেন, তখন বাড়ির সামনে কিছুটা জায়গা রেখেছিলেন, একটা শিরীষ গাছ আছে সেখানে, মনে মনে ইচ্ছে ছিল, এত কষ্টে জমানো টাকায় বাড়ি করা, মৃত্যুর পরে শেষ আশ্রয় এই শিরীষ গাছের নিচে হোক।

সময়ের ব্যবধানে এই জায়গা এখন হীরের চেয়েও দামী, তাই ছেলেমেয়েরা শফিক সাহেবকে এখানে শায়িত করে জায়গাটা নষ্ট করেনি! সলিমুল্লাহ রোডের পাশে কবরস্থানে তাকে রেখে এসেছে।

সাজেদা বেগম মৃদূ স্বরে প্রতিবাদ করেছিলেন কিন্তু সবাই হা হা করে উঠলো!তিনি চুপ করে গেলেন।
এখন ওরা এই জায়গা ডেভেলপারকে দিয়ে দেবে বলে আলোচনা করছে। নিচতলায় দোতলা পর্যন্ত মার্কেট হবে, আর সবাই দুটো করে ফ্ল্যাট পাবে, এতেই খুশি, সমস্যা হলো মা কার কাছে থাকবেন!

বিদেশে থাকা ছেলে আর মেয়ে তো বাদ, তারা খরচ দেবে কিন্তু মা কে নিয়ে যাওয়া এখন সম্ভব নয়, আর সাজেদা বেগম যেতেও চান না। রাজশাহীর মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকে, ছোট ছেলে তো নিজেই ব্যচেলর। কাজীপাড়ায় যে মেয়ে থাকে, তার দুইটা বাচ্চা, নিজের শ্বাশুড়ি থাকে সাথে, সাজেদা বেগম কোথায় থাকবেন!

সাজেদা বেগমের সাথে থাকে দুলির মা, কাজ টাজ করতো, কিন্তু কাজের লোকের চাইতে আপন।
পাশের রুমে বসে এসব আলোচনা শুনছিলো সাজেদা বেগম আর দুলির মা।

---কি লাগাইছে পোলাপানডি, এহনও তিন দিন হয় নাই বাপে মরছে, এহনি এইসব আলাপ আলোচনা।
মিলাদটা তো হবে নাকি!

সাজেদা বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। শফিক সাহেব মজা করে বলতেন, আমরা যে আগে যাবো, সে বেঁচে যাবে। যে থাকবে, সে বুঝবে একাকীত্ব কি জিনিস, পৃথিবীটা কত অচেনা।

মনে পড়ে, সেদিনটার কথা, অফিস থেকে এসে শফিক সাহেব বলেছিলেন, সাজু একটা জায়গা পাইছি, হাজার পয়ত্রিশ টাকা হলে রাখা যায়, একটু পিছনের দিকে, তাও ভালো, টিনের ঘর করলেও তুমি বাগান করতে পারবা।
তখন তারা জুরাইন থাকতেন।

টাকা ম্যানেজ করা কত কষ্ট, ধার করলেন কিছু টাকা, তাও শেষে রেজিষ্ট্রি করার টাকা কম পড়লো, সাজেদা বেগম গলার চেইনটা বন্ধক রাখলেন।

জায়গা কেনা হলো, আশে পাশে তেমন কিচ্ছু নাই।
বাড়ি ঘর, দোকান পাট। মাটির রাস্তা।
প্রতি শুক্রবার সকালে তারা চলে আসতেন, এসে গাছ পালা লাগাতেন। আস্তে আস্তে বাড়ির কাজ শুরু হলো, একটা রুম, একতলা, দোতলা। ছেলে মেয়েরা বড় হলো, যে যার মতো ব্যস্ত হয়ে গেলো, বিয়ে শাদি হলো!
ছিলেন তারা দুজন, গত পরশু থেকে সাজেদা বেগম একা!
মেজ মেয়ে প্রস্তাব দিলো, আগারগাঁও এ বৃদ্ধাশ্রম আছে, ওখানে মা যত্নেই থাকবে!

সবাই একে একে সায় দিতে লাগলো! সাজেদা বেগম এবার উঠলেন, ছেলেমেয়েদের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললেন, কিভাবে যেন আজকের দিনটা তোমাদের বাবা আগেই দেখেছিলেন, তাই বাড়ির কাগজপত্র তার অবর্তমানে আমাকে দিয়ে গেছেন।তোমরা ব্যস্ত, নিজেদের নিয়ে। এমনি হয়, তাই এত চিন্তা আপাতত করতে হবে না।
আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করো, যতদিন আমি তোমাদের বাবার কাছে যেতে না পারি। আমি যাওয়ার পরে এই জায়গা মার্কেট হবে নাকি এপার্টমেন্ট হবে, সেটা সিদ্ধান্ত নিও।
আপাতত আমি এ বাড়ি ভাঙছি না।

ছেলেমেয়েরা একে অন্যের মুখের দিকে তাকালো।
সাজেদা বেগম ছাদে উঠে গেলেন। অনেক বছর আগে ছাদে দাঁড়িয়েছিলেন প্রথমবার, শফিক সাহেবের হাত ধরে।
আজ এসেছেন একা। গেটে লাগানো বাগান বিলাসটা তখন ছোট, আজ সে ডালপালা মেলে ছাদে উঠে ঝাপড়া হয়েছে। আজ তারও অনেক ডালপালা, কিন্তু বাগান বিলাসের মতো কেউ তাকে জড়িয়ে নেই।

ছাদে লাগালো গাছগুলোতে চড়ুই কিচির মিচির করছে
সাজেদা বেগম আকাশের দিকে তাকালেন, আজ হয়ত বৃষ্টি হতে পারে, একটা প্লেন উড়ে গেল, সাদা বকের মতো।

তিনি শূন্যে তাকিয়ে থাকেন অন্তিম অপেক্ষায়।

কিংবা অপেক্ষা
সংগৃহিত

05/04/2024

পৃথিবীতে কোন কিছুই success নয়

এক মৃত ব্যক্তির পকেট থেকে পাওয়া চিঠি :

যখন জন্মালাম বাবা মা ভাবল এটা তাদের success,
যখন হাটতে শিখলাম মনে হল এটাই success,
যখন কথা বলতে শিখলাম মনে হল এটাই success,

ভুল ভাঙল,

এরপর স্কুলে গেলাম, শিখলাম first হওয়াটা success,
এরপর বুঝলাম না আসলে মাধ্যমিকে স্টার পাওয়াটা success,
ভুল ভাঙল, বুঝলাম উচ্চমাধ্যমিকে এই রেসাল্টটা ধরে রাখাই success,

এখানেই শেষ নয়,

এরপর বুঝলাম ভালো সাবজেক্ট নিয়ে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়াটাই success,

পরে বুঝলাম না বিশ্ববিদ্যালয় শেষে চাকরী পাওয়াটা success,
এরপর বুঝলাম না, নিজের টাকায় একটা ফ্ল্যাট কেনাটা success,
সেটাও নয়, নিজের টাকায় এরপর গাড়ি কেনাটাই আসল success,

আবার ভুল ভাঙল,

এরপর দেখলাম বিয়ে করে সংসার করাটাই success,

বছর ঘুরলো, দেখলাম আসলে বিয়ে করে বংশধর এনে তাকে বড় করাটাই success,
ছেলে হলে সে প্রতিষ্ঠিত হওয়াটাই success, মেয়ে হলে ভালো বাড়িতে বিয়ে দেওয়াটাই success,

এরপর এলো রিটায়ারমেন্ট, সারা জীবনের জমানো টাকার সঠিক utilization ই success...

এরপর যখন সবাই মিলে কবরে শুইয়ে দিল, তখন বুঝলাম পৃথিবীতে কোন কিছুই success নয় ,

পুরো টাই competition, যার মুলে আকাশ ছোঁয়া আকাঙ্ক্ষা, যা কখনো পূর্ণ হয়না।

05/04/2024

চার তলা ভবনের তিন তলা ভাড়া হবে দেখে মালিকের সাথে কথা বলতে গেলাম। জরুরী ভিত্তিতে আমার এক পরিচিত ব্যক্তির জন্য বাসা প্রয়োজন ছিলো।

কাঁচা পাকা চুল দাঁড়ির লোকটিকে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনি বাড়ির মালিক?"

উনি বললেন, "না।"

জিজ্ঞেস করলাম, "তাহলে মালিক কে?"

- মালিক আল্লাহ তায়ালা।

আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে বললাম, "না মানে, সব কিছুর মালিকই তো আল্লাহ। তবু এটা তো তিনি আপনাকে করার তাওফিক দিয়েছেন। এর ভাড়া তো আপনি পাবেন?"

- না বাবা, ভাড়াও আমি পাবো না। আল্লাহ তায়ালাই পাবেন।

আমি এবার একটু চমকালাম। ভালো করে ভদ্রলোকের দিকে তাকালাম। মনে মনে ভাবলাম, "মনে হয় মাথায় গন্ডগোল আছে।"

তিনি আমাকে বাসার ভেতরে নিয়ে গেলেন। ড্রইংরুমে বসে চা খেতে খেতে বললাম, "আল্লাহ ভাড়া পাবেন বিষয়টা ঠিক বুঝলাম না আঙ্কেল।"

- আচ্ছা বুঝিয়ে দিচ্ছি। আমার ছয় ছেলেমেয়ে। চার তলা বিল্ডিয়ে ফ্ল্যাট আছে আটটা। ছয় ছেলেমেয়ের জন্য ছয়টা। আমরা বুড়াবুড়ি থাকি একটায়। বাকি ফ্ল্যাটটি আল্লাহ তায়ালার নামে ওয়াকফ করা। সেটি থেকে যা আয় হবে তা আল্লাহ তায়ালার পথে খরচ হবে। সেভাবেই ডিড করে দিয়েছি।

-বাহ্ বেশ ভালো তো বিষয়টা। তা তিন তলা আল্লাহ তায়ালা পেলেন কেন? অন্য কোন ফ্ল্যাট নয় কেন?

- সব ছেলেমেয়েদের নিয়ে বসে লটারী করেছি। যার ভাগ্যে যে ফ্ল্যাট পড়েছে, সেটা তার।

আমি একটু নড়েচড়ে বসলাম। বললাম, "এটা কেন করলেন?"

চাচা বললেন, "বাবা, মনে করো, আল্লাহ তায়ালা এসে বললেন, আমি তোর পরিবারের সাথে থাকতে চাই তাহলে আমি কী করতাম! আমি কী পাগল হয়ে যেতাম না আল্লাহ তায়ালাকে রাখার জন্যে?"

- নিশ্চয়।
- সেটাই হয়েছে। আমি বাসা করার সময় আটজনকে পরিবারের সদস্য মনে করেছি। একজন সদস্য মহান আল্লাহ। সেজন্য সবকিছুতেই তার জন্য একটা ভাগ থাকে।

- সবকিছু বলতে?

-সবকিছু বলতে মনে করো, যখন চাকুরী করতাম তখন বেতনকে পরিবারের সদস্য দিয়ে ভাগ করতাম। যখন আমাদের প্রথম সন্তান হলো তখন আমরা তিনজন সদস্য হলাম। তিন জনের জন্য যা খরচ হতো, সে অনুপাতে আরেকজনের খরচ বের করে নিতাম। সেটা আল্লাহ তায়ালার পথে ব্যয় করতাম। এরপর যখন সদস্য বেড়েছে, তখন সে অনুপাতে আল্লাহ তায়ালাও ভাগ পেয়েছেন।

আবার আমার আম বাগানের ক্ষেত্রেও তাই। আট ভাগে ভাগ করে কিছু আম গাছ আল্লাহ তায়ালার ভাগে পড়েছে। সেগুলোর আম বিক্রি করা টাকা আল্লাহ তায়ালার পথে খরচ হয়।

আমি চাচার কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমার মনের মধ্যে তোলপাড় হতে লাগলো। একটু আগে যাকে দেখে মানসিক সমস্যার কথা মনে হয়েছিলো, এখন তার প্রতি শ্রদ্ধায় আমার চোখ দিয়ে পানি গড়াতে লাগলো।

ভাবলাম, এই লোকগুলোর আমল কোন পর্যায়ের। মহান রব ইনাদের ভেতরে কী অসীম জায়গা করে নিয়েছন।

সংগৃহীত

05/03/2024

আজকে আমার স্টুডেন্ট, ১২ আর ৭ যোগ অংক করার সময়,দেখি পায়ের আংগুল সহ গুনতেছে।তারপর আমি বলি আংগুল গুনো কেন?দাগ দিয়ে করো।স্টুডেন্ট বলে এইটা আমার সহজ লাগে।তারপর আমি চালাকি করে,২৫ আর ২৭ যোগ করতে দিলাম।ওমা দেখি,টেবিলের নিচে গিয়ে,আমার পায়ের আংগুল সহ গোনা ধরছে🤭🤭🤭
(Collected)

খুব সুন্দর ফুলগুলো 🥰🥰🥰
13/02/2024

খুব সুন্দর ফুলগুলো 🥰🥰🥰

29/01/2024

ট্রেনের ভিতরে কি চলছে দেখুন🤔🤔🤔

24/01/2024

Rain Rain Go Away
মাশাল্লাহ বলতে ভুলবেন না প্লিজ

15/01/2024

ইতল বিতল গাছের পাতা
মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ

রঙ্গন ফুল
12/01/2024

রঙ্গন ফুল

Address

Sirajganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jara's Lifestyle posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share