14/01/2025
ছোট বেলায় আব্বা মা'র হাত ধরে পুর্নিমা বা ভরা চাঁদ রাতে হেটেছেন??
আমি হেটেছি অসংখ্য রাত, আলহামদুলিল্লাহ।
সেই পূর্নিমা রাতগুলোর একটা গল্প বলি,,, যা এখন মুক্তা হয়ে ঝিনুকের আড়ালে লুকিয়ে গেছে।
আমার নানু বাড়ি খুব কাছে হেটে গেলে ১০/ ১৫ মিনিট না লাগতে পারে কখনো ঘড়ি দেখিনি। তবে কোনো যানবাহনের সাহায্য লাগেনা,আদম যানেই যাওয়া যায়। মা সংসারের কাজ আমাদের ৩ ভাই বোনকে সামলে দিনের বেলা তেমন যেতে পারতেন না কখনোই। এই ভরা চাঁদ বা পূর্নিমার সময় মাগরিবের নামাজ শেষ করে আমি আর মা বের হতাম আব্বা বাড়ির সামনে মসজিদের মাঠে অপেক্ষা করতেন। তারপর আমরা তিনজন যেতাম।
নানুবাড়ি যাওয়ার ২ টা রাস্তা ছিলো মাটি আর পিচঢালা,,,, আমরা মাটির রাস্তা দিয়ে যেতাম এটা তাড়াতাড়ি যাওয়া যেতো আর রাস্তায় মানুষ জনের সামনেও পড়া লাগতো না তাই। আব্বা সামনে হাটতো আমি মা'র হাত ধরে পিছনে হাটতাম,,, বা আব্বার হাত ধরে আমি হাটতাম মা পিছনে।
আমার আবার ভয় বেশি ছিলো অনেক, কিছু ফালানো দেখলে আর ১ পা আগাইতাম না আব্বা যতখন লাইট না মারতো। আমার জন্য আব্বার সেই পূর্নিমার রাতেও লাইট নিয়া বের হওয়া লাগতো। সেই যে তিন ব্যাটারি লাইট গুলা ছিলো,, রুপালি লাইট।
আমারা যেয়ে ঘন্টা খানি থাকতাম,,,তারপর আবার গল্প করতে করতে চলে আসতাম।
সেই মাটির রাস্তা, ফক ফকে চাঁদের আলো,,, আড়ালে আবডালে জোনাকি পোকা থাকতো, পাশে একটা খাল ছিলো আর ২ পাশে ছিলো ভাট গাছ,,,, গরমের দিনেই সমস্ত গাছ গুলায় ভাট ফুল ফুটে থাকতো।
"আমি আব্বা - মা'রে বার বার ডেকে ডেকে বলতাম দেখো আমরা যেদিক যাই চাঁদ সেদিক যায়,,, নানু বাড়ি যাওয়ার সময় আমাগো সাথে গেছে,,,, আবার এখন বাড়ি যাইতাছে " এই চাঁদের সাথে সাথে যাওয়ার মানেটা কিছুতেই বুঝতাম না ,,,,,
কতই না সুন্দর ছিলো সেই দিন গুলা,,,,
তখন কেবল বড় হতে চাইতাম,,,,,এতোটা বড় হয়ে গেছি যে,,,,,,,,,,,,,,,,,