Farhana'r দ্বীন প্রচার

Farhana'r দ্বীন প্রচার আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বার-কাতুহ্।

"প্রচার করো,যদি একটিমাত্র আয়াতও হয়।"

#বুখারী-
(5)

ঘুমানোর আগে কোনো গুনাহ করবেন না এবং গুনাহ করতে করতে ঘুমাবেন না।কারণ ঘুম হলো মৃত্যুর মতো।হাদিসে এসেছে,,"কিয়ামতের দিন বান্...
05/01/2024

ঘুমানোর আগে কোনো গুনাহ করবেন না এবং গুনাহ করতে করতে ঘুমাবেন না।কারণ ঘুম হলো মৃত্যুর মতো।
হাদিসে এসেছে,,
"কিয়ামতের দিন বান্দা সেই অবস্থায় পুনরুত্থিত হবে,যে অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেছে।"
(ইমাম মুসলিম,আস-সহিহ-৭১২৪)।

আমাদের মৃত্যু যদি হয় গান শুনতে শুনতে কিংবা মুভি দেখতে দেখতে, তাহলে সেভাবেই আমাদেরকে মৃত্যুর পর পুনরুত্থিত করা হবে।একবার একজন সাহাবি হজ করছিলেন। আরাফার মাঠে হঠাৎ উটের পীঠ থেকে পড়ে মারা যান।
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ব্যাপারে বলেন,,
"আল্লাহ তাকে তালবিয়া (হজের বিশেষ যিকর) পাঠরত অবস্থায় ওঠাবেন।"
(ইমাম বুখারি,আস-সহিহ-১২৬৬)।

এজন্য আমাদের উচিত হলো,ঘুমানোর আগে যেন আমরা নেক আমল করে ঘুমাই।ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা অগণিত।আমাদের কার মৃত্যু কীভাবে লিখা আছে,তা কেউ জানি না।তাই,আমাদের জীবনের সমাপ্তিটা যেন নেক আমলের মাধ্যমে হয়।রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হলো,,
"কোন আমলটি সর্বোত্তম..??
তিনি বলেন,,
"সর্বোত্তম আমল হলো,তুমি যখন মৃত্যুবরণ করবে,তখনও তোমার জিহ্বা আল্লাহর যিকরে আর্দ্র/সিক্ত থাকবে।"
(ইমাম ইবনু হিব্বান,আস-সহিহ-৮১৮,
শায়খ আলবানি,সহিহুল জামি-১৬৫,
হাদিসটি হাসান)।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন,,
"আল্লাহই জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যাদের মৃত্যু আসেনি,তাদের প্রাণও নিদ্রার সময় হরণ করেন।তারপর তিনি যার জন্য মৃত্যুর সিদ্ধান্ত করেন তার প্রাণ রেখে দেন (অর্থাৎ,তাকে উঠিয়ে নেন) আর অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন,এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে এমন সম্প্রদায়ের জন্য,যারা চিন্তা-গবেষণা করে।"
(সুরাঃযুমার,আয়াত-৪২)।

05/01/2024

জীবনে ছোট-বড় অনেককিছু নিয়ে আমরা কাছের এবং প্রিয় মানুষদের সাথে দ্বন্ধে জড়াই।
'বিনা যুদ্ধে নাহি দেবো ছাড় সুচাগ্র মেদিনী'-এই মন্ত্রে উদ্দীপ্ত হয়ে কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নিতে চাই স্বার্থের সবটুকু জিনিস।এতে করে আমরা হয়তো স্বার্থ-কেন্দ্রিক লাভবান হই কিন্তু সম্পর্ক-কেন্দ্রিকতার দিক থেকে আমরা জীবন থেকে হারিয়ে ফেলি গুরুত্বপূর্ণ কিছু মানুষকে।জীবন একসময় আমাদেরকে এমন একটা পর্যায় আর অবস্থার মাঝে এনে দাঁড় করাবে যে, আমাদের মনে হবে-'আহা, সেদিন স্বার্থের জন্য এতোখানা মরিয়া না হলেও পারতাম!'

জীবনের একটা পর্যায়ে আপনার কাছে টাকা,সম্পদ আর বিত্তের চাইতেও হাজারগুণ দামি মনে হবে কিছু সম্পর্ককে,যে সম্পর্কগুলোকে স্বার্থ হাসিলের জন্য আপনি জীবন থেকে মুছে দিয়েছিলেন একদিন।

আরিফ আজাদ।

05/01/2024

পৃথিবীতে আপন বলতে কিছুই নেই,সব মরিচিকা।বাবা-মা আমাদের কতো সাধনা,দোয়া,চাওয়ার পর পেয়েছে।যে মা এতো কষ্ট করে সন্তান জন্য দেয়,সেই মা ও নিজ হাতে সন্তান হত্যা করে।বাবা সারাজীবন পরিশ্রম আর নিঃস্বার্থ ভাবে সন্তানের জন্য সব ব্যায় করে,সেই বাবাও সন্তানদের মাঝে বৈষম্য করে,ঠকাই।এতো আদরের সন্তানও একসময় বাবামাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখে,
রাস্তায় ফেলে যায়।বাবামাকে খুন করে।আদরের ছেলেও একদিন পর হয়,
বাবামায়ের রাজকন্যাও একদিন অতিথি হয়ে যাই।

আদরের ভাই-বোনও একদিন পর হয়।ভাই হয় ভাগীদার আর বোন হয় স্বার্থলোভী।

প্রিয় বন্ধু অচেনা হয়,কাছের মানুষ দুরের হয়।যাকে ছাড়া নিঃশ্বাস বন্ধ হয়,সেও নতুন করে ঘরবাধে অন্যকে নিয়ে।
এটাই দুনিয়ার নিয়ম,এভাবেই চলছে চলবে।এগুলোকে সিরিয়াস ভেবে কষ্ট পাওয়া কনো মানে নেই।আপনি যার জন্য কাঁদবেন,সে অপনার গল্প অন্যকে বলে হাসবে।এটাই বাস্তবতা।

জীবন বড়ই অদ্ভুত।
পৃথিবীতে সব মিথ্যা,মরিচিকা।সত্য শুধুই মৃত্যু আর আপনার র'বের মহিমা।

পৃথিবীতে আপনি দু'দিনের অতিথি মাত্র।চলে যেতে হবে,তাই সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে নিন।ধারাবাহিক নিয়মগুলো আমরা না চাইলেও আসবে,তাই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে শিখুন।আপনার সময় নির্ধারিত।
এই সীমিত সময় আপনি কিভাবে কাটাবেন,সেটা আপনার উপর নির্ভরশীল।

নিয়মের ধারাবাহিকতা চলবে,নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকেও চলে যেতে হবে।
ফলাফল জান্নাত অথবা জাহান্নাম..!!
তাই সিদ্ধান্ত এখনি নিতে হবে..!!
আপনি কি করবেন..??

আপনি দুনিয়ার হিসাব,মায়া,বন্ধন,আপনজন,এসব ভেবে সময় কাটালে ফলাফল হবে শূন্য।সময় বয়ে যাবে,নিয়ম চলবে,আপনি হারিয়ে যাবেন।কারো কিচ্ছু আসবে যাবেনা।আপনি হবেন জাহান্নামী।

আর দুনিয়ার নিয়ম চলুক,কে কি করেছে,সে হিসাব বাদ।চোখের জ্বল মুছুন,সবাইকে ক্ষমা করুন।তাওবা করুন,ফিরে আসুন আপনার র'বের দিকে।সব ভুলে যান।দুনিয়ার নিয়ম,ধারাবাহিকতা চলবেই।আপনি চাইলেও কিছুই পরিবতন হবেনা।তাই সব বাদ দিয়ে নিজের কথা ভাবুন।আখেরাতের কথা ভাবুন,সে মোতাবেক কাজ করুন।অন্ধকার কবর,কবরের আযাব,কেয়ামতের ভয়াবহতা,পুলসিরাত।
কি হবে আপনার..??

জান্নাতে বিচ্ছেদ নেই,কষ্ট নেই,স্বার্থপরতা নেই,ঠকে যাওয়ার ভয় নেই।বাবা-মা সন্তানকে ঠকাবেনা,সন্তান বাবামাকে কষ্ট দেবেনা।ভাইবোন ভাগীদার ও স্বার্থপর হবেনা।বন্ধু আপনজন পর হবেনা।তাই সবকিছু ভুলে জান্নাতে যাওয়ার কাজ করুন।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন-আমিন।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

05/01/2024

বেচে থাকতে সবাই কাদায়,
আর মরে গেলে সবাই কাদে....!!!!

কি অদ্ভুত দুনিয়ার নীতি।

ভালোবাসুন আপনার রব'কে।যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার ইবাদতের জন্য।
আর দুনিয়াতে এসে আমরা সেই মহান রব'কে ভুলে যাই।

একটা ভুল হলে,বাবামা ও পর করে দেয়।আর সারাজীবন আল্লাহর অবাধ্যতা করে,একবার চোখের জ্বল ফেলে তাওবা করলে,আল্লাহ্ মাফ করে দেয়।
সেই মহান দয়ালুকে কিভাবে ভুলে দুনিয়ায় মোহে ডুবে থাকি..??
হায় আপসোস..!!

এসেছেন একা,যাবেন একা।
মাঝখানে মিথ্যা মোহে ডুবে নিজের আখেরাতের হারাবেন না।আপনার পাশের মানুষগুলো কেউ আপন নয়,কবরে একাই থাকতে হয়।বেচে থাকতে আপনাকে কাঁদাবে,আপনি মরে গেলে তারা কাঁদবে।তাদের দায়িত্ব শেষ।

কবরে আপনার সাথে কেউ যাবেনা..!!
আপনার নামে কেউ এতোটুকু সাওয়াব পাঠাবেনা।কবরে আপনি কি পরিস্থিতিতে থাকবেন,কেউ জানবেনা।
তাই সব বাদ দিয়ে,নিজের আমালনামা ঠিক করুন।আল্লাহর সামনে দাড়িয়ে আপনাকেই,জবাবদিহিতা করতে হবে।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন,সহীবুঝ দান করুন-আমিন।

আল্লাহুম্মাগফির-লীল-মুমিনীন।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

আদরের বোনটা....!!!!সমস্যাটা খুবই ভয়াবহ মাত্রার।এদেশের ৯০℅ বা আরো বেশি পরিবার হয়তো এই নীরব সমস্যায় জর্জরিত।সমস্যা না বলে ...
05/01/2024

আদরের বোনটা....!!!!

সমস্যাটা খুবই ভয়াবহ মাত্রার।এদেশের ৯০℅ বা আরো বেশি পরিবার হয়তো এই নীরব সমস্যায় জর্জরিত।সমস্যা না বলে বরং বলি যুলুম।বলছিলাম বোনদেরকে তাদের পিতার সম্পত্তির ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার মারাত্নক এক যুলুমের কথা।

খুবই দুঃখ লাগে,যখন দেখি,মুসলিম দাবিদার কত নামাজি বাপ-ভাই তাদের মেয়ে ও বোনদের সাথেও এই প্রকট জুলুমটা করে থাকেন।মায়েরাও অনেক সময় এই জুলুমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।বাপ-মা হয়তো অজুহাত দেন নিজেদেরকেই বা হয়তো আদরের মেয়েটাকে এই বলে,আমরা আর ক'দিন বাঁচবো..??
পরে তোর এই ভাইয়েরাই তো তোকে দেখবে।তোর সম্পত্তির অংশ ভাইদের ছেড়ে দে,সেই ভাল।
সুবহান আল্লাহ..!!

নিজের ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গেলে একজন বোনকে তাহলে নিজের সম্পত্তি জমা রেখে তবেই আসতে হবে..??
নিখাদ রক্তের সম্পর্কটাকে এভাবেই অর্থের জোরে ধরে রাখতে হবে নিরীহ বোনটাকে..??
ভাইটা যখন বোনের বাসায় আসে, বোনটা কি জান-প্রাণ দিয়ে ভাইটাকে আদর যত্ন করে না,খাতির করে না..??
সেই ভাইজান কি তার সম্পত্তি বোনের কাছে জমা রেখে তারপরে আসে নাকি বেড়াতে..??

বাস্তবতা এমনই,
ছেলে সন্তানেরা নানা কায়দায় বোনদের ভাগের অংশ মা-বাবার থেকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করে।আর যে বাবা হঠাৎ মারা যান,সে সম্পদও দ্রুত ইসলামিক বিধানে বন্টন করা হয় না অজ্ঞতাবশত, যেমনটা করার কথা ছিল।

সুতরাং দেখা যায়,ভাইয়েরাই মৃত বাবার যাবতীয় জমিজমা ও সম্পত্তির দেখভাল আর ভোগ করতে থাকে। এভাবেই ধীরে ধীরে সেই সম্পদের মোহে আর ফিতনায় পড়ে যায় তারা।পরে বউ বাচ্চা নিয়ে পরিবার আরো বড় হলে চাহিদাও যায় অনেক বেড়ে।তখন বাবার সে সম্পদ নিজের বোনদেরকে পাইপাই করে প্রাপ্যটুকু বুঝিয়ে দেওয়ার যে ন্যূনতম মানসিকতা,সেটাও আর অবশিষ্ট থাকে না।

সুবহান আল্লাহ..!!
কতই না সত্য বলেছেন প্রিয় নবীজী, রাসুলুল্লাহ ﷺ,,
"প্রত্যেক উম্মতের জন্য (একটি বিশেষ) ফিতনা (বা পরীক্ষা) রয়েছে।আর আমার উম্মতের জন্য সেই ফিতনা হলো ধন সম্পদ।"
(তিরমিযী-২৩৩৬)।

এভাবে মেয়েদের বা বোনদের হক নষ্ট করার শেষ পরিণতি কত ভয়াবহ, আমরা কি জানি..??
তওবা করলে আল্লাহ তাঁর বান্দার পাহাড়সম গুনাহও মাফ করে দিতে পারেন,আমরা জানি।এমনকি কারো পাপ জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও।কিন্তু হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার কোনো হক নষ্ট করার গোনাহ..??
এগুলো সেই গোনাহ যা আমলনামায় থেকে থাকলে সেটা সেই মাযলুম বান্দা স্বয়ং মাফ না করলে আল্লাহ তা'আলাও ক্ষমা করবেন না।

"সে দিন কামনা করবে,সে সমস্ত লোক,যারা কাফের হয়েছিলো এবং রাসুলের নাফারমানী করেছিল,যেনো জমিনের সাথে মিশে যায় কিন্তুগোপন করত...
05/01/2024

"সে দিন কামনা করবে,সে সমস্ত লোক,যারা কাফের হয়েছিলো এবং রাসুলের নাফারমানী করেছিল,
যেনো জমিনের সাথে মিশে যায় কিন্তু
গোপন করতে পারবেনা আল্লাহর নিকট কনো বিষয়।"

(সুরাঃনিসা-৪২)।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,,"যার জীবনের চিন্তা (লক্ষ্য) হবে আখিরাত,আল্লাহ্ তার অন্তরে সচ্ছলতা দেব...
05/01/2024

রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,,
"যার জীবনের চিন্তা (লক্ষ্য) হবে আখিরাত,
আল্লাহ্ তার অন্তরে সচ্ছলতা দেবেন, তার কর্মকাণ্ড গুছিয়ে দেবেন এবং
দুনিয়া (নিয়ামতরাজি) অনুগত ও বাধ্য হয়ে তার নিকট আসবে।
আর যার চিন্তা (লক্ষ্য) হবে দুনিয়া,
আল্লাহ্ তার দু’চোখের মাঝে দারিদ্র রেখে দেবেন,
তার কর্মকাণ্ড বিক্ষিপ্ত করে দেবেন,
ফলে সে অস্থিরতায় কাতরাবে এবং দুনিয়া থেকে সে ততটুকুই অর্জন করতে পারবে,
যা তার জন্য পূর্বনির্ধারিত।"

(তিরমিযি,আস-সুনান-২৪৬৫,
আলবানি,সিলসিলা সহিহাহ-৯৪৯-৯৫০,হাদিসটি সহিহ)।

"যে ব্যক্তি তার সময়গুলোকে আল্লাহর যিকির,ক্বুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কাজে লাগাবে,নেককার লোকদের সাহচর্য গ্রহণ করবে এবংজাহিল...
04/01/2024

"যে ব্যক্তি তার সময়গুলোকে আল্লাহর যিকির,
ক্বুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কাজে লাগাবে,
নেককার লোকদের সাহচর্য গ্রহণ করবে এবং
জাহিল (মূর্খ) ও বদকার (খারাপ) লোকদেরকে বর্জন করবে,
তাহলে তার আত্মা পবিত্র ও কোমল হবে।"

ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)।
(মাজমু'ঊ ফাতাওয়া ইবনু বায-৫/২৪৪)।

04/01/2024

*কবরের আজাব থেকে নিরাপদে থাকবেন কারা....????

নবী করিম সাঃ বলেছেন,,
"মৃত ব্যক্তিকে কবরে দাফন করার পর,লোকেরা যখন কবরস্থান হতে চলে আসে,তখন সে তাদের পথ চলার জুতার শব্দ শুনতে পায়।সে মু'মিন হলে তার নামাজ এসে তখন শিয়রে দাড়ায়।তার রোজা এসে ডানদিকে দাড়ায় এবং যাকাত এসে দাড়ায় তার বামদিকে।আর সে যতো নফল কাজ করেছে,যেমনঃনফল নামাজ,দান-সাদকা,ও সৌজন্যমূলক আচারন ইত্যাদি কাজগুলো তার পদযুগলের কাছে এসে দাড়ায়।তার শিয়রের দিক দিয়ে আজাবের আগমন ঘটলে তার নামাজ বলে ওঠে,"আমার দিক দিয়ে তোমার যাবার কনো পথ নেই।"
অতঃপর আযাব মৃত ব্যক্তির ডান দিক থেকে আসার চেষ্টা করলে,তার রোজা বলে ওঠে,"আমার দিক দিয়ে তোমার কনো পথ নেই।"
অতঃপর বামদিক দিয়ে আসার চেষ্টা করলে,তার দেওয়া যাকাত দণ্ডায়মান হয়ে বলে,,"আমার দিক দিয়ে তোমার যাবার কনো পথ নেই।"
অবশেষে পদযুগলের দিক দিয়ে আযাব আসতে শুরু করলে,তার নফল এবাদতসমূহ বলে,"আমার দিক দিয়ে তোমার কনো পথ নেই।"

(তারগীব তারহীব,তাবারানী,ইবনে হেব্বান)।

তাহলে জীবিত থাকতে আমাদের নিয়মিত নামাজ,রোজা,যাকাত ও নফল ইবাদত যত্নসহকারে করতে হবে,তাহলে আল্লাহ্ আমাদের কবরের আযাব থেকে মুক্ত রাখবেন,ইন-শা-আল্লাহ্।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হেদায়েতপ্রাপ্ত করুন,সকল পাপ ক্ষমা করে,বেশীবেশী ইবাদত করার তৌফিক দান করুক-আমিন।

আল্লাহুম্মাগফির-লীল-মু'মিনীন।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

04/01/2024

*শুক্রবার জুম্মারদিন প্রিয় নবী হয়রত মুহাম্মাদ সাঃ এর উপর বেশিবেশি দুরুদ পেশ করুন।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,,
"নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর ওপর দরুদ ও সালাম পেশ করে। হে মুমিনগণ..!!
তোমরাও নবীর ওপর দরুদ পড়ো (অনুগ্রহ প্রার্থনা করো) এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।"
(সূরাঃআল-আহজাব,আয়াত-৫৬)।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন,,
"তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো,কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়।"
(আবু দাউদ,হাদিস নম্বর-১০৪৭)।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,,
"যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে।আল্লাহ তার প্রতি দশবার রহমত নাযিল করেন,এবং তার দশটি গোনাহ (ছগিরা) মাফ করা হয়,ও তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।"

প্রিয় নবী হয়রত মুহাম্মাদ সাঃ এর উপর বেশিবেশি সালাম ও দুরুদ পেশ করুন।কাল কেয়ামতের মাঠে আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের নবীর সাফায়াত ও হাউজে কাউসারের পানি পান করার তৌফিক দিবেন-আমিন।

(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচেয়ে ছোট দুরুদ।আর সবচেয়ে উত্তম হলো দুরুদে ইব্রাহীম।

জাযাকুমুল্লাহ্ খইরন সবাইকে।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

বোখারী ও মুসলিম শরীফে বর্নিত আছে,হয়রত মুহাম্মাদ সাঃ বলেছেন,,"দুনিয়ায় তোমরা যে অগ্নি ব্যবহার করতেছো,উহা দোযখের আগুনের সত্...
04/01/2024

বোখারী ও মুসলিম শরীফে বর্নিত আছে,
হয়রত মুহাম্মাদ সাঃ বলেছেন,,
"দুনিয়ায় তোমরা যে অগ্নি ব্যবহার করতেছো,উহা দোযখের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ তেজবিশিষ্ট মাত্র।ইহা শ্রবন করতঃসাহাবাগন আরজ কররেন,,
"ইয়া রাসুলুল্লাহ..!!
জ্বালাবার জন্য তো এই অগ্নিই যথেষ্ট।
সাহাবাদের প্রশ্নের জবাবে নবী করিম সাঃ বলেন,,
"হ্যাঁ,উহাতো বটেই কিন্তু
তবুও দোযখের অগ্নি দুনিয়ার অগ্নি হতে উনসত্তর গুন বেশি তেজবিশিষ্ট করে সৃষ্টি করা হয়েছে।"

যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনেনি,সৎ কাজ করেনি,রাসুলের আদেশ মতো জীবন-যাপন করেনি,আল্লাহর পথে জান ও মাল দিয়ে জিহাদ করেনি,যারা
পরহেজগারি জীবন-যাপন করেনি,যারা তাকওয়া অবলম্বন করেনি,যাদের অন্তরে ছিলোনা আল্লাহ্ ভীতি,যারা লোকদেরকে আল্লাহর পথে চলতে বাধা সৃষ্টি করেছে,যারা অন্যায় ও অসৎ পথকে বেছে নিয়েছে,যারা দুনিয়ার জীবনকেই চুড়ান্ত বলে মনে করেছে,যারা পরকালের প্রতি বিশ্বাস করেনি,সর্বোপরি যারা ইসলামকে সেকেলে ও গোড়ামি মনে করে এ নিয়ে নানা ধরনের হাসি-ঠাট্টায় মশগুল ছিলো তারাই হবে জাহান্নামী বা দোযখবাসী।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে,হেদায়েত দান করুন-আমিন।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

হয়রত আয়েশা রাঃ এর কাছে এক ইহুদী মহিলা আসলো এবং কবর আযাব সম্পর্কে আলোচনা করে হয়রত আয়েশা রাঃ এর জন্য দোয়া করলো-"আল্লাহ্পাক...
04/01/2024

হয়রত আয়েশা রাঃ এর কাছে এক ইহুদী মহিলা আসলো এবং কবর আযাব সম্পর্কে আলোচনা করে হয়রত আয়েশা রাঃ এর জন্য দোয়া করলো-"আল্লাহ্পাক তোমাকে কবর আযাব থেকে রক্ষা করুন।"

নবীজী সাঃ বললেন,,
"হ্যাঁ,কবর আযাব সত্য।"

হয়রত আয়েশা রাঃ বলেন,,
"অতঃপর নবী করিম সাঃ যখনই নামাজ আদায় করতেন,তখনই তিনি কবর আযাব হতে আল্লাহপাকের নিকট পানাহ চাইতেন।"

আল্লাহ্ আমাদের কবরের আযাব থেকে হেফাজত করুন,বেশিবেশি ইবাদত করার তৌফিক দান করুন-আমিন।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব,মর্যাদা ও লাভ(আল-কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে)।*তাহাজ্জুদ আদায়কারীর মর্যাদা তার চেয়ে বেশি,যে তাহ...
04/01/2024

তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব,মর্যাদা ও লাভ
(আল-কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে)।

*তাহাজ্জুদ আদায়কারীর মর্যাদা তার চেয়ে বেশি,যে তাহাজ্জুদ আদায় করে না।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,,
"যে ব্যক্তি রাতের বিভিন্ন প্রহরে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে,আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রবের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান,যে তা করে না..??"
(সুরাঃযুমার,আয়াত-৯)।

*তাহাজ্জুদ নামাজ নফসের প্ররোচনায় গুনাহ সংঘটিত হওয়া থেকে বাধা দানকারী।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন,,
"নিশ্চয়ই রাত্রিজাগরণ প্রবৃত্তি দমনে অত্যন্ত কার্যকর।"
(সুরাঃমুযযাম্মিল,আয়াত-৬)।

*জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম উপায়ঃ
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,,
"হে লোকসকল..!!
তোমরা সালামের প্রচলন করো, (মানুষকে) খাদ্য খাওয়াও,আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করো এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে,তখন নামাজ আদায় করো,তাহলে তোমরা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
(ইমাম তিরমিযি,আস-সুনান-২৪৮৫,
ইমাম ইবনু মাজাহ,আস-সুনান-৩২৫১,হাদিসটি সহিহ)।

*আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য লাভের সুযোগঃ
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,,
"আল্লাহ তা‘আলা রাতের শেষভাগে বান্দার সবচেয়ে কাছে চলে আসেন। কাজেই যদি পারো,তবে তুমি ঐ সময়ে আল্লাহর স্মরণকারীদের মধ্যে শামিল হয়ে যেও।কেননা ঐ সময়ের নামাজে ফেরেশতাগণ সূর্যোদয় পর্যন্ত উপস্থিত থাকেন।"
(ইমাম তিরমিযি,আস-সুনান-৩৫৭৯,হাদিসটি সহিহ)।

*গুনাহের কাফফারা ও শারীরিক বিভিন্ন রোগমুক্তির উপায় হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,,
"তোমাদের নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া উচিত।এটি তোমাদের পূর্ববর্তী সৎকর্মশীলদের অভ্যাস।এটি তোমাদেরকে তোমাদের রবের নিকট পৌঁছে দেবে,গুনাহখাতার মার্জনা এবং গুনাহের প্রতিবন্ধক।"
(ইমাম তিরমিযি,আস-সুনান-৩৫৪৯,
এটি মুয়াবিয়া ইবনু সলিহের বর্ণনা,তাই হাদিসটি সহিহ।এর পূর্বেই গত হয়েছে মুহাম্মাদ আল কুরাশির বর্ণনা,
সেই হাদিসটি দুর্বল।সেটি আমরা উল্লেখ করিনি)।

*ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ এটি।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,,
"ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো,গভীর রাতের নামাজ।"
(ইমাম মুসলিম,আস-সহিহ-২৬৪৬)।

অন্যের ব্যাপারে চট করে মন্দ ধারণা করার ব্যাপারে আমি যতটা নৈপুণ্য অর্জন করেছি,সুধারণা করার ব্যাপারে যদি তার ছিঁটেফোঁটাও প...
04/01/2024

অন্যের ব্যাপারে চট করে মন্দ ধারণা করার ব্যাপারে আমি যতটা নৈপুণ্য অর্জন করেছি,
সুধারণা করার ব্যাপারে যদি তার ছিঁটেফোঁটাও পারতাম..!!

শায়খ আতিক উল্লাহ হাফিঃ।

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,,"ওহে,যারা ঈমান এনেছো..!!তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো।"(সুরাঃআল ...
03/01/2024

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,,
"ওহে,যারা ঈমান এনেছো..!!
তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো।"

(সুরাঃআল বাকারাহ,আয়াত-১৫৩)।

03/01/2024

আল্লাহর নবী হয়রত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,,
"আমার জীবনে দেখিনী এমন দৃশ্য,
যেটা এত ভয়ানক হতে পারে।
আমি মোহাম্মাদ ﷺ (সাঃ) পৃথিবীতে যত দৃশ্য দেখেছি,
তার সবচেয়ে ব্যতীক্রম,ভয়ানক,আশ্চর্য দৃশ্য হচ্ছে কবর।"

রাসুলে আকরাম সাঃ বলেন,,
"মানুষ মরার পরে কবর হচ্ছে প্রথম বিপদ।
মানুষ যদি কবরে বেচে যায়,তাহলে
এর পরে যত গুলো স্তর আছে,
সব আরো সহজ হয়ে যাবে।
মানুষ যদি কবরে বাচতে না পারে,তাহলে
এর পরে যত স্তর আছে আরো জটিল,কঠিন হয়ে যাবে।
কবর বলে,,
"আমি হচ্ছি পোকার ঘর।
কবর বলে,,
"আমি হচ্ছি এককের ঘর,(১০০ জনকে এক কবরে দিলে একজন আরেক জনকে জানতে পারবে না)।
কবর বলে,,
"আমি হচ্ছি অপরিচিত ঘর।
কবর বলে,,
"আমি হচ্ছি অন্ধকার ঘর।"

কি দিয়ে বুঝাই আপনাকে কবরের আজাব কত কঠিন..!!
কবর যত কঠিন,
কিয়ামত তার চেয়ে অনেক কঠিন।
কিয়ামত যত কঠিন,
জাহান্নাম তার চেয়ে অনেক অনেক অনেক বেশি কঠিন..!!

হে দয়াময় আরশের মালিক..!!
আমাদের কবরের কঠিন আযাব হতে হেফাযত করুন-আমিন।

রাব্বীগফিরলী রাব্বীগফিরলী ইয়া রব।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

*মৃত্যুর পর মানুষ ৯টি বিষয়ে আপসোস করবেঃ১."হায়..!!আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।"(সূরাঃনাবা,আয়াত-৪০)।২."হায়..!!যদি পরকালের জন্য ...
03/01/2024

*মৃত্যুর পর মানুষ ৯টি বিষয়ে আপসোস করবেঃ

১."হায়..!!
আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।"
(সূরাঃনাবা,আয়াত-৪০)।

২."হায়..!!
যদি পরকালের জন্য কিছু করতাম।"
(সূরাঃফজর,আয়াত-২৪)।

৩."হায়..!!
আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেওয়া হতো।"
(সূরাঃআল-হাক্কা,আয়াত-২৫)।

৪."হায়..!!
আমি যদি ওকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।"
(সূরাঃফুরকান,আয়াত-২৮)।

৫."হায়..!!
আমরা যদি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল ﷺ এর আনুগত্য করতাম।"
(সূরাঃআহযাব,আয়াত-৬৬)।

৬."হায়..!!
আমি যদি রাসূল ﷺ এর পথ অবলম্বন করতাম।"
(সূরাঃফুরকান,আয়াত-২৭)।

৭."হায়..!!
আমিও যদি তাদের সঙ্গে থাকতাম,
তাহলে বিরাট সফলতা লাভ করতে পারতাম।"
(সূরাঃআন-নিসা,আয়াত-৭৩)।

৮."হায়..!!
আমি যদি আমার রবের সঙ্গে কাউকে শরীক না করতাম।"
(সূরাঃকাহফ,আয়াত-৪২)।

৯."হায়..!!
এমন যদি কোনো সুরত হতো,
আমাদেরকে আবার দুনিয়াতে পাঠানো হতো,
আমরা আমাদের প্রভুকে মিথ্যা প্রতিপন্ন না করতাম,আর
আমরা হতাম ঈমানদারদের শামিল।"
(সূরাঃআনআম,আয়াত-২৭)।

মৃত্যুর পর আপসোস করে কনো ফল পাওয়া যাবেনা,তাই আমরা জীবিত যারা এই লেখা পড়ছি,তারা যেনো এখন থেকেই আল্লাহর আদেশ ও নবীর সুন্নাহ্ মেনে জীবনযাপন করি ও পরকালের জন্য বেশিবেশি আমল করি।যাতে আমাদের পরকালটা সুন্দর হয়।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুক,বেশিবেশি ইবাদত করার তৌফিক দিক এবং আখেরাতের ভয়াবহতা থেকে নাজাত দান করুক-আমিন।

জাযাকুমুল্লাহ্ খইরন সবাইকে।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

বিশ্বনবী হয়রত মুহাম্মাদ সাঃ কনো এক সময় আমর ইবনে হযম রাঃ-কে একটি কবরের সাথে হেলান দিয়ে বসা অবস্থায়  দেখে বললেন,,"এ কবরে স...
03/01/2024

বিশ্বনবী হয়রত মুহাম্মাদ সাঃ কনো এক সময় আমর ইবনে হযম রাঃ-কে একটি কবরের সাথে হেলান দিয়ে বসা অবস্থায় দেখে বললেন,,
"এ কবরে সমাহিত ব্যক্তিকে কষ্ট দিও না।"
(মেশকাত শরীফ)।

মৃত্যুর পর মানুষ এ পাথিব জগৎ হতে পরজগতে চলে যায়।তাকে কবরে সমাহিত করা না হলে,বা চিতার আগুনে জ্বালানো না হলেও তার স্হান হয় পরলোকে।সেখানে অবস্হানকালে তার চেতনা উপলব্ধি ও থাকে বিদ্যমান।

ইন্তেকালের পর মানুষকে গোসল এবং দাফন পড়িয়ে কবরস্থ করার জন্য ইসলামি শরীয়ত নির্দেশ প্রদান করেছে কিন্তু যদি কেউ পানিতে ডুবে,আগুনে পুড়ে মারা যায়,অথবা কারো লাশ হিংস্র জন্তু খেয়ে ফেলে,যার ফলে তাকে কবরস্থ করার সুযোগ না থাকে,তবুও তার পুনরুস্থান না হওয়া পর্যন্ত সময়টা সম্পূর্ণ-ই কবরের বসতির মধ্যে সামিল করা হয়।

এজন্য মহান আল্লাহ্ সকলকেই কবরস্থ করে থাকেন বলে কোরআনুল কারীমে ঘোষণা করেন-
"মানুষ ধ্বংস হোক,
সে কতো অকৃতজ্ঞ।
তিনি তাকে কি বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন..??
শুক্র থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন।এরপর তাকে সুপরিমিত করেছেন,অতঃপর তার পথ সহজ করেছেন।এরপর মৃত্যু ঘটনা কবরস্থ করেন।তৎপর যখনই ইচ্ছা করবে,তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।"

(সুরাঃআবাসা,আয়াত-১৭-২২)।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে তা কি চালু করা যায়..??মারা গেলে জীবিত করা যায়..??নাহ..!!কোনোভাবেই সম্ভব না।চোখের সামনে হৃদযন্ত্র...
03/01/2024

হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে তা কি চালু করা যায়..??
মারা গেলে জীবিত করা যায়..??
নাহ..!!
কোনোভাবেই সম্ভব না।

চোখের সামনে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা যেতে দেখেছেন..??
হাতে হাত রাখা অবস্থায় কাউকে মৃত্যুবরণ করতে দেখেছেন..??
আপনি অনুভব করছেন শীতল হাত, চোখের সামনে মারা যাচ্ছে আপনারই অতি ভালাবাসার অতি পছন্দের কেউ, কি করতে পেরেছেন ওই মুহুর্তে..??

হায় মৃত্যু..!!
চাইলেও আসবে,না চাইলেও আসবে। আটকানো যায় না,যাবে না।

আল্লাহর রাসূল ﷺ মৃত্যুর পূর্বে বলেছিলেন,,
"আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই,
সত্যিই মৃত্যু-যন্ত্রণা কঠিন।"
(বুখারী-৪৪৪৯)।

রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন মৃত্যু যন্ত্রণা তীব্রভাবে অনুভব করেন,তখন ফাতিমা (রাঃ) বলেন,,
হায় আমার আব্বার কত কষ্ট..!!
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছিলেন,,
"আজকের দিনের পরে তোমার আব্বার আর কোন কষ্ট থাকবে না।
তোমার আব্বার নিকট এমন জিনিস উপস্থিত হয়েছে,
যা কিয়ামাত পর্যন্ত কাউকে ছাড়বে না।"
(সুনানে ইবনে মাজাহ-১৬২৯)।

আর আমরা তো আল্লাহর রাসূল ﷺ এর তুলনায় অতি নগন্য..!!

সব সময় ৩টি সময়ের কথা স্মরণ করা উচিতঃ

১.জান কবজের সময়কার কথা।

২.কবরের প্রশ্ন এবং কবরের জীবনের কথা।

৩.হাশরের মাঠের কথা।

আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তা'য়ালা আমাদের বেশি বেশি নেক আমল করার সক্ষমতা দান করুন।

কিছু উত্তম আমল হচ্ছেঃ

আউয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা,
ফরজ সালাতের প্রতি যত্নবান হওয়া,
কোন অন্যায় হয়ে গেলে অযূ করে ২রাকা'আত সালাত আদায় করা,
পুনরায় একই গুনাহ না করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বিশুদ্ধ অন্তরে তাওবাহ করা।
দান-সাদকা করা।
যিকর করা।
তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করা।
কুরাআন তেলাওয়াত করা।
বেশি বেশি আল্লাহর কাছে চাওয়া,
বেশি বেশি দু'আ করা।

মাহমুদ হাসান।

হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলেন,,"হে আদম সন্তান..!!আমার ইবাদতের জন্য তুমি (অন্যান্য কাজ হ...
03/01/2024

হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলেন,,
"হে আদম সন্তান..!!
আমার ইবাদতের জন্য তুমি (অন্যান্য কাজ হতে) অবসর হও এবং
ইবাদতে মন দাও,তাহলে
আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেবো এবং
তোমার দারিদ্র ঘুচিয়ে দেবো।
আর যদি তা না কর,তবে
তোমার হাতকে ব্যস্ততায় ভরে দেবো এবং
তোমার অভাব কখনোই দূর করবো না।"

(তিরমিযি,আস-সুনান-২৬৫৪,
ইবনু মাজাহ,আস-সুনান-৪১০৭,
হাদিসটি সহিহ)।

03/01/2024

মহান আল্লাহর নবী হয়রত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,,
"কবর বেহেশতের উদ্যান সমূহের একটি,অথবা
দোযখের গর্ত সমূহের একটি গর্ত বিশেষ।"

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর হাদিস দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয় যে,
যদিও আমরা মৃত্যুর পর মানুষকে পচনশীল লাশ মনে করি,আসলে তারা লাশ নয় বরং জীবিতই থাকে।তবে তাদের জীবন আমাদের এ পার্থিব জীবনের মতো নয়,এর সম্পূর্ণ বিপরীত।

মহানবী হয়রত মুহাম্মাদ সাঃ বলেছেন,,
"মৃতের হাড় ভাঙ্গা,
জীবিতদের হাড় ভাঙ্গার মতো-ই।"

(মেশকাত,আবু দাউদ,ইবনে মাজাহ ও মালেক)।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

03/01/2024

*আমরা বেশির ভাগ বংশ মর্যাদা নিয়ে অহংকার করি,
অথচ এই বংশ মর্যাদা আল্লাহর দয়া।

আমরা রুপ সৌন্দর্য নিয়ে অহংকার করি,
অথচ কালো ফর্সা আমরা সৃষ্টি করিনি,
এই রুপ সৌন্দর্য আল্লাহর দয়া।

আমরা ধনী গরীবের ভেদাভেদ করি,
ধনসম্পদ নিয়ে অহংকার করি,
অথচ ধনসম্পদ আল্লাহর দান।

আমরা দুনিয়াতে অহংকার করে চলি,
অথচ আমরা দুনিয়াতে দু'দিনের মেহমান মাত্র।

জন্ম থেকে মৃত্যু সবই আল্লাহর দয়া,
তাহলে কিসের এতো অহংকার....????

আমরা কি বংশ মর্যাদা পরিবতন করতে পারবো..??

আমরা কি নিজের চেহারা পরিবর্তন করতে পারবো..??

আমরা কি ধনসম্পদ কবরে নিয়ে যেতে পারবো..??

আমরা কি দুনিয়াতে অনন্তকাল বাচতে পাড়বো..??

আমরা কিছুই পরিবর্তন করতে পারবোনা।
তাহলে অহংকার করি কেনো..??

অহংকার শুধু আল্লাহ্ কে মানাই কারন আল্লাহ্ সব পারে।আল্লাহ্ হও বলার আগে সব হয়ে যায়।

আমারা হাজার অহংকার করলেও কিছুই পরিবর্তন করতে পারবোনা।আমাদের সব কিছুই আল্লাহর দয়া।তাহলে আজ থেকে অহংকার করাও ছেড়ে দিন।শুধুশুধু মিথ্যে অহংকার করে পাপে বোঝা বৃদ্ধি করছি।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন,
সহীবুঝ দান করুন,
হেদায়েতপ্রাপ্ত করুন-আমিন।

আস্তাগফিরুল্লাহ্ ওয়া আতুবু ইলাহি।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

শেষ জানামায় মানুষ যখন দেনমোহর আর যৌতুক নিয়ে কাড়াকাড়ি,বিয়েকে করেছে কঠিন।চারিদিকে এতো ডিভোর্স।সেই মুহূর্তে আমার বিয়ে হয় মা...
02/01/2024

শেষ জানামায় মানুষ যখন দেনমোহর আর যৌতুক নিয়ে কাড়াকাড়ি,বিয়েকে করেছে কঠিন।চারিদিকে এতো ডিভোর্স।সেই মুহূর্তে আমার বিয়ে হয় মাত্র এক হাজার এক (১,০০১) টাকা দেনমোহরে।আর যৌতুক তো দুরের কথা,বিয়ের সকল খরচ আমার হাজবেন্ড নিজে বহন করেছে,
আলহামদুলিল্লাহ।

"যে বিয়েতে খরচ কম,
সে বিয়েতে বরকত বেশী।"

প্রতিটি মুসলিম ভাই-বোন,যিনা ব্যভিচার না করে,বিয়েকে সহজ করুন।দেনমোহর আর যৌতুক যেনো আপনার অর্ধেক দ্বীনের পথে বাধা না হয়।

আল্লাহ্ সবাইকে সহীবুঝ দান করুন-আমিন।

#কলমেঃMariyam Noor

Farhana'r দ্বীন প্রচার।

উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর ছেলেকে বিয়ে দেবেন।পুত্রবধুর মোহরানা নিজেই পরিশোধ করতে চাইলেন।৪০০ দিরহাম মোহরানা...
02/01/2024

উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর ছেলেকে বিয়ে দেবেন।পুত্রবধুর মোহরানা নিজেই পরিশোধ করতে চাইলেন।

৪০০ দিরহাম মোহরানা পাঠান সাফিয়া বিনতে আবি উবাইদ রাহিমাহাল্লাহর কাছে।

৪০০ দিরহাম ছিলো রাসুলুল্লাহর ﷺ সকল স্ত্রীর মোহরানা (একজন ছাড়া)।

কিন্তু,সাফিয়া বিনতে আবি উবাইদ রাহিমাহাল্লাহ খলিফার মোহরানা গ্রহণ করেননি।তিনি হবু শ্বশুরের কাছে চিঠি লিখেন,
"এতো কম মোহরানা আমার জন্য যথেষ্ট না..!!"

হবু স্ত্রীর আবদার আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর কানে যায়।তিনি ৪০০ দিরহামের সাথে আরো ২০০ দিরহাম যোগ করেন।স্ত্রীকে মোট ৬০০ দিরহাম মোহরানা দেন।

এই ব্যাপারটা গোপনে করেন।আব্দুল্লাহ ইবনে উমর হয়তো বাবাকে জানাননি।

সাহাবী যুগের শেষদিকে বিয়েতে মোহরানার পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। উমর ইবনুল খাত্তাব রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি করে মোহরানার পরিমাণ নির্ধারণ করতে চাইলে,একজন নারীর দলিল ভিত্তিক আপত্তির কারণে তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেন।এমনকি উম্মে কুলসুম বিনতে আলী রাহিমাহাল্লাহকে বিয়ের সময় তিনি নিজে মোহরানা দেন ৩০,০০০ দিরহাম।

আরিফুল ইসলাম।

আমাদের প্রিয় নবী হয়রত মুহাম্মাদ সাঃকিছু মূল্যবান শিক্ষনীয় বাণীঃ"রাগ মানুষের ঈমানকে নষ্ট করে,হিংসা মানুষের নেক আমল কে ধ্...
02/01/2024

আমাদের প্রিয় নবী হয়রত মুহাম্মাদ সাঃ
কিছু মূল্যবান শিক্ষনীয় বাণীঃ

"রাগ মানুষের ঈমানকে নষ্ট করে,
হিংসা মানুষের নেক আমল কে ধ্বংস করে,আর
মিথ্যা মানুষের হায়াত কমিয়ে দেয়।"

(বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।

"মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অক্ষম ঐ ব্যক্তি,
যে ব্যক্তি দোয়া করিতে অক্ষম অর্থাৎ দোয়া করে না ।"
(হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।

"মানুষ যদি মৃত ব্যাক্তির আর্তনাদ দেখতে এবং শুনতে পেত,
তাহলে মানুষ মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না না করে,
নিজের জন্য কান্না করত ।"
(হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।

"তুমি জান্নাত চেয়েও না বরং
তুমি দুনিয়াতে এমন কাজ করো যেন জান্নাত তোমাকে চায়।"
(হযরত আলী (রাঃ)।

"পৃথিবীতে সবচাইতে কঠিন কাজ হলো নিজে সংশোধন হওয়া,আর
সবচাইতে সহজ কাজ হল,
অন্যের সমালোচনা করা ।"
(হযরত আলী (রাঃ)।

"মানুষের মনে এমন ভাবে নিজের জন্য জায়গা করে নাও,
যেন তুমি মরে গেলে তোমার জন্য তারা দোয়া করে,আর
বেঁচে থাকতে তোমাকে ভালোবাসে।"

হযরত আলী (রাঃ)।

আপনি যখন দেখবেন,মানুষ আপনাকে যা মনে করেছে,আপনি আসলে তা নন,তখন নিজের ভেতর মারাত্মক অশান্তি আর বিশৃঙ্খলা বোধ করবেন।অনেকটা ...
02/01/2024

আপনি যখন দেখবেন,
মানুষ আপনাকে যা মনে করেছে,আপনি আসলে তা নন,
তখন নিজের ভেতর মারাত্মক অশান্তি আর বিশৃঙ্খলা বোধ করবেন।অনেকটা নিজের সাথে নিজে যুদ্ধ করার মতো।

বিশ্বের নামকরা সেলিব্রিটিদের মধ্যে হতাশা,মাদকাসক্তি এবং আত্মহত্যার আধিক্যের দিকে খেয়াল করুন।তারা যখন আবিষ্কার করে বাইরের জগতের সামনে তার যে মহান রূপ উপস্থাপন করা হয়,সেটার সাথে তার একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের বিস্তর ফারাক আছে,তখনই একরাশ বিষণ্ণতা তাদের উপর জেঁকে বসে।তারা যে মেকি জীবনযাপনের ভান করছে,সেটি কেবলই একটি মিথ্যে ছলনা,একটি অলীক অভিনয়।এই তেতো অনুভূতি তাদেরকে কুরে কুরে খায়।

নিজেরা বাস্তবে যা নয়,তারচেয়েও বড় করে যারা নিজেকে মানুষের সামনে হাজির করতে চায়,তাদের সবার জীবনেই এই ব্যাপারটি আরেকটু ছোট পরিসরে ঘটে থাকে।

তারিক মেহান্না হাফিজাহুল্লাহ।

02/01/2024

জীবনে মাঝে মাঝে এমনকিছু মুহূর্ত এসে উপস্থিত হবে,যখন আপনাকে অনেকবেশি 'ছাড়' দিতে হয়।ভালোবাসা, বন্ধুত্ব এবং সম্পর্কের কথা চিন্তা করে।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়,এই ছাড়গুলোর কারণে হয়তো আমরা অনেক তলানিতে পড়ে যাবো।হয়তো আমাদের পায়ের তলার মাটিই সরে যাবে।কিন্তু বিশ্বাস করুন,আপনার সাথে কেবল সেটাই ঘটবে,যেটা আপনার তাকদিরে লেখা আছে।

আপনি চাইলেও আপনার তলানিতে পড়ে যাওয়া আটকাতে পারবেন না,কিংবা কেউ থামাতে পারবে না আপনার মহাকাশে উঠে যাওয়ার (উন্নতির ক্ষেত্রে) ঘটনাও।তাই,জীবনে অনেক বেশি ছাড় দিতে শেখা জরুরি।
অন্তত নিজের অন্তরে প্রশান্তি লাভের জন্য হলেও।ছাড় দিলে কিন্তু হেরে যাওয়া হয় না।

আরিফ আজাদ

02/01/2024

*ভাবি কি মা'য়ের মতো....????

আমাদের সমাজে অনেকের ধারণা,
ভাবি হলো মায়ের মতো।ভাবি তাই দেবরের সামনে পর্দার কোন প্রয়োজনীয়তা মনেই করে না।ঘরের মধ্যে ভাবি দেবরের সাথে কতো কিছু যে শেয়ার করে।একটা নোংরা প্রবাদ আছে,
"স্বামী আমার যেমন তেমন,দেবর আমার মনের মতোন।"
এসব নোংরা কথা প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায়।আর ভাবিকে এখানে-সেখানে নেওয়ার কাজটা দেবরই ভালো করে করতে পারে।এমন কি শ্বশুর-শাশুড়িও মনে করে যে,বড় বউ একটু বাইরে যাবে তো এক্ষেত্রে আমার ছোট ছেলেই নিয়ে যাক কিন্তু আসল ঘটনা কি..??

আমরা মাঝে মাঝে শুনতে পাই কিংবা পত্রিকায় দেখি যে,দেবর তার ভাবিকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।এটা কেমন কথা হল..??
ভাবি কি মায়ের মতো..!!
ছেলে তো মাকে নিয়ে ভেগে যাওয়ার কথা না।এটা কেমন মা,যে দেবর নামক ছেলেটি ভাবি নামক মাকে নিয়ে ভেগে গেল..??
সত্যিই উদ্ভট..!!
ভাবী কি করে মায়ের মত হয়..??
ভাবী তো মাহরাম নয়।ভাই মারা গেলে ভাবীকে বিয়া করা যায়।

দেবরের সামনে ভাবিকে পর্দা করতে হবে।আর ঘরের ইঁদুর বেড়া কাটলে সে ঘর টিকে থাকে না।তেমনি ভাবির জন্য দেবর হল সবচেয়ে বিপজ্জনক।আল্লাহ্ যেখানে এটা হারাম করেছেন,সেখানে লোকেরা কিভাবে এটাকে হালাল করতে পারে..??
সমাজের এসব অশ্লীল প্রচলন থেকে বের হয়ে আসতে হবে আমাদের এবং কোরআন ও সহীহ হাদীসের জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

রাসুল (সা.) বলেন,,
"তোমরা নারীদের নিকট প্রবেশ করা থেকে সাবধান থেকো।"
একথা শুনে আনসার গোত্রের একব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল,,
"কিন্তু দেবর সম্পর্কে আপনার মত কি..??
রাসুল (সা.) বললেন,,
"দেবর তো মৃত্যু সমতুল্য।"
(বুখারী-৫২৩২,মুসলিম-২১৭২)।

চিন্তা করুন,
ইসলাম যেখানে দেবরকে মৃত্যু সমতুল্য বলে ঘোষণা দিলো,সেখানে ভাবি মায়ের মত কি করে হতে পারে..??

আল্লাহ্ আমাদের এই ধরণের সীমালঙ্ঘন থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন-আমিন।

"যে ব্যাক্তি তাঁর রাগ প্রয়োগের ক্ষমতা থাকা সত্বেও সংযত থাকে,কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সকল সৃষ্টিকুলের মধ্য হতে ডেকে নিবেন...
02/01/2024

"যে ব্যাক্তি তাঁর রাগ প্রয়োগের ক্ষমতা থাকা সত্বেও সংযত থাকে,
কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সকল সৃষ্টিকুলের মধ্য হতে ডেকে নিবেন এবং তাকে হুরদের মধ্য হতে তাঁর পছন্দমত যে কোন একজনকে বেছে নেয়ার স্বাধীনতা দিবেন।"

(আবু দাউদ-৪৭৭৭)।

"একমাত্র তারাই আল্লাহর মাসজিদসমূহ আবাদ করবে,যারা আল্লাহর প্রতি ও আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে।"(সূরাঃআত-তাওবা-১৮)।রাসূলুল্লাহ...
01/01/2024

"একমাত্র তারাই আল্লাহর মাসজিদসমূহ আবাদ করবে,যারা আল্লাহর প্রতি ও আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে।"
(সূরাঃআত-তাওবা-১৮)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,,
"আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম জায়গা মাসজিদ,
আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট জায়গা বাজার।"
(সহিহ মুসলিম-১৫৬০)।

*দেহের মৃত্যুর চাইতে অন্তরের মৃত্যু অনেক বেশি যন্ত্রণার।দেহের মৃত্যু জাস্ট আমাদের আত্মাকে আমাদের থেকে সাময়িক সময়ের জন্...
01/01/2024

*দেহের মৃত্যুর চাইতে অন্তরের মৃত্যু অনেক বেশি যন্ত্রণার।দেহের মৃত্যু জাস্ট আমাদের আত্মাকে আমাদের থেকে সাময়িক সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন রাখে। কিন্তু অন্তরের মৃত্যু দুনিয়া আখিরাতে যন্ত্রণার কারণ হয়।আর এটাই আসল মৃত্যু।দেহের মৃত্যুর চাইতে অন্তরের মৃত্যুতে বেশি কষ্ট পাওয়া উচিত।

আমাদের দেহের যেমন খাবার,পরিচ্ছন্নতা,নিরাপত্তা প্রয়োজন। তেমনি আমাদের অন্তরের খাবার,পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তার প্রয়োজন।

খাবারঃঅন্তরের খাবার হল আল্লাহর যিকির।দুনিয়ার অঢেল সম্পদের মালিক হলেও অন্তরে আল্লাহর স্মরণ না থাকার কারণে ক্ষুধার্থ অন্তর তাকে প্রশান্তি থেকে বিরত রাখবে।ইবাদতের প্রতিটি সুন্নাহসম্মত পদ্ধতিই হল যিকির। নামাজ,কোরআন,তাসবিহ,তাহলিল, তাহমিদ ইত্যাদি সকল ইবাদতের ফর্মই যিকির।

পরিচ্ছন্নতাঃঅন্তরের পরিচ্ছন্নতা হল তাওবা ও ইস্তিগফার।প্রতিটি গুনাহের কারণে অন্তরে একটি কালো স্পট পড়ে।গুনাহ বাড়তে থাকলে ক্রমশই অন্তর কালো হতে থাকে।গুনাহের অত্যধিক মাত্রা এক সময় অন্তরকে সম্পূর্ণ কালো করে দেয়।এই অন্তরে তখন ভাল কথা ঢুকে না।অন্তরের অবস্থা থাকে মৃত।আমরা যদি ইস্তেগফার ও তাওবা করি তাহলে অন্তরের দাগ আস্তে আস্তে মুছতে থাকে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে ১০০ বারের চাইতেও বেশি ইস্তিগফার করতেন।
আমাদের তাহলে কতবার করা উচিত..??
নিয়মিত তাওবা ইস্তেগফার করে অন্তরকে দাগমুক্ত রাখতে হবে।

এবার অন্তরকে খাবার দিচ্ছেন, পরিচ্ছন্ন রাখছেন কিন্তু অন্তরে ময়লা প্রবেশ করার দরজা বন্ধ করছেন না। যতই পরিষ্কার করছেন,আবার ময়লা হচ্ছে।চোখ,কান,মুখ এই তিনটি অর্গান গুনাহ করিয়ে অন্তরে ময়লা প্রবেশের দরজা খুলে দেয়।কাজেই অন্তর পরিষ্কার করে অন্তর ময়লা হওয়ার দরজাও বন্ধ করতে হবে।

নিরাপত্তাঃস্পিরিচুয়ালিটির উপর অভিজ্ঞ আলেমগণ বলেন,অন্তরের বিষ হচ্ছে খারাপ বন্ধুবান্ধব।খারাপ বলতে এমন না যে আপনার বন্ধু মদখোর, জুয়াখোর।ঐ প্রতিটি বন্ধুবান্ধব যারা আপনাকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল রাখে তারাই আপনার অন্তরের জন্য বিষ।কাজেই আল্লাহকে স্মরণ করায় এমন বন্ধুবান্ধবদের সাথে চলাফেরা করে অন্তরকে নিরাপদ রাখতে হবে।

জেনে রেখো..!!
শরীরের মধ্যে এমন এক টুকরা গোশত রয়েছে,
যা সুস্থ থাকলে সারা শরীরই সুস্থ থাকে,
আর এটা অসুস্থ হয়ে গেলে সারা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়।
জেনে রেখো,আর এটাই হ’ল ক্বলব।"
(বুখারি)।

"সেই ব্যক্তিই বিজ্ঞ,যে নিজেকে ভালোভাবে চিনতে পারে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য সাধনা করে।আর সেই ব্যক্তি উদাসীন ও অক্ষম...
01/01/2024

"সেই ব্যক্তিই বিজ্ঞ,
যে নিজেকে ভালোভাবে চিনতে পারে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য সাধনা করে।
আর সেই ব্যক্তি উদাসীন ও অক্ষম,
যে নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে,
আবার আল্লাহর দয়ার আশায় বসে থাকে।"

(জামিউত তিরমিযি-২৪৫৯)।

"মৃত্যু আসল বিচ্ছেদ নয়।কেননা,আমরা সুনিশ্চিতভাবে আখিরাতে মিলিত হবো।শেষ বিচারে যদি আমাদের কেউ জান্নাতে আর অপরজন জাহান্নামে...
01/01/2024

"মৃত্যু আসল বিচ্ছেদ নয়।কেননা,
আমরা সুনিশ্চিতভাবে আখিরাতে মিলিত হবো।
শেষ বিচারে যদি আমাদের কেউ জান্নাতে আর অপরজন জাহান্নামে,
তবে সেটাই হবে চূড়ান্ত বিচ্ছেদ ও প্রকৃত বিদায়।"

ড.আয়েজ আল-ক্বারনী।

01/01/2024

আল্লাহ বলেন,,
"আমিতো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মাটির উপাদান হতে।
অতঃপর আমি ওকে শু'ক্রবিন্দু রূপে স্থাপন করি এক নিরাপদ আধারে।
পরে আমি শু'ক্রবিন্দুকে পরিণত করি র'ক্তপি'ন্ডে,
অতঃপর রক্তপিন্ডকে পরিণত করি মাং'সপিন্ডে এবং
মাং'সপি'ন্ডকে পরিণত করি অ'স্থিপ'ঞ্জরে,
অতঃপর অ'স্থিপ'ঞ্জরকে ঢেকে দিই মাং'স দ্বারা,
অবশেষে ওকে গড়ে তুলি অন্য এক সৃষ্টি রূপে,
অতএব নিপুণতম স্রষ্টা আল্লাহ কত কল্যাণময়..!!
এরপর অবশ্যই তোমরা মৃ:ত্যু বরণ করবে।
অতঃপর কি'য়া'মাত দিবসে তোমাদের পুন'রুত্থিত করা হবে।"

(সূরাঃআল-হাজ্ব,আয়াত-১২-১৬)।

01/01/2024

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,,
"ধৈর্য্য অসম্ভব বা অসাধ্য কিছু নয়,
যে ধৈর্য্যধারণ করে আল্লাহ (সুবাহানাহু ওয়া তা’আলা) তাকে ধৈর্য্যধারণের ক্ষমতা দান করেন।"
(সহিহ বুখারী,হাদিস নং-১৩৭৬)।

ধৈর্য লাভ এবং মুসলমান হিসেবে মৃত্যু চাওয়া।
আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন,,

رَبِّنَا لَمَّا جَاءتْنَا رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ

"হে আমাদের রব,
আমাদেরকে পরিপূর্ণ ধৈর্য দান করুন এবং মুসলিম হিসাবে আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন।"
(সূরাঃআরাফ,আয়াত-১২৬)।

"যে হেদায়েতের দিকে আহবান করে,
এ হেদায়েতের যত অনুসরণকারী হবে, তাদের প্রতিদানের সমতুল্য প্রতিদান সে পাবে।"

(মুসলিম,মিশকাত হা-১৫৮)।

*আমাদের আশেপাশে বদমেজাজী অনেক মানুষই আজকাল দেখা যায়৷ অনেক সময় বদমেজাজকে একজন মানুষের স্বাভাবিক আচরণও বলা হয়ে থাকে৷কিন্তু...
31/12/2023

*আমাদের আশেপাশে বদমেজাজী অনেক মানুষই আজকাল দেখা যায়৷
অনেক সময় বদমেজাজকে একজন মানুষের স্বাভাবিক আচরণও বলা হয়ে থাকে৷কিন্তু সত্যতা আসলে ভিন্ন।
কারণ মেজাজ বা রাগ হারাম এবং বদমেজাজী আচরণ আসলে জাহান্নামীদের বৈশিষ্ট্য।

কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা'আলা তার প্রিয় হাবীব রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উদ্দেশ্য করে বলেন,,
"যদি তুমি রূঢ় বদমেজাজী হতে,
তাহলে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত।"
(সুরাঃআলে ইমরান,আয়াত-১৫৯)।

বদমেজাজ অহংকার থেকে উদ্ভূত।এই ধরনের মানুষ আল্লাহর কাছে ঘৃণিত, মানুষের কাছেও ঘৃণিত।

আল্লাহ তাআলা বলেন,,
"নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।"
(সুরাঃলোকমান,আয়াত-১৮)।

জান্নাত নম্র ও বিনয়ী মানুষদের জন্য। কোনো বদমেজাজি লোক জান্নাতে যাবে না,কারণ বদমেজাজ জাহান্নামীদের বৈশিষ্ট্য।

হাদিসে এসেছে,,
হারিস ইবনে ওয়াহাব রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,,
"বদমেজাজী ও রুক্ষ স্বভাবের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।"
(আবু দাউদ,হাদিস-৪৮০১)।

পক্ষান্তরে,সরলতা ও ভদ্রতা মুমিনের বৈশিষ্ট্য।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,,
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,,
"ঈমানদার মানুষ সরল ও ভদ্র হয়।
পক্ষান্তরে পাপী মানুষ ধূর্ত ও হীন চরিত্রের হয়।"
(তিরমিজি,হাদিস-১৯৬৪)।

তবে,
"আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব ও আল্লাহর জন্য শত্রুতা"
এই নীতির আলোকে মেজাজ প্রয়োগ করা যাবে।
যেমন কেউ আল্লাহ ও তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিষয়ে বা ইসলামের অকাট্য বিষয় নিয়ে বেয়াদবি বা কটাক্ষ করলে,
সে ক্ষেত্রে রাগ প্রযোজ্য।
কোনো জালিমকে দুর্বলের ওপর জুলুম করতে দেখলে,
সে ক্ষেত্রে মেজাজ প্রয়োগ করা স্বাভাবিক।

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,,
"মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল।
তার সহচররা কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল।"
(সুরাঃফাতহ,আয়াত-২৯)।

আল্লাহ তা'আলা আমাদের এই আচরণ থেকে হিফাজত করুন।জান্নাতীদের আচরণ নিজেদের ভেতর তৈরী করার তাওফিক দান করুন-আমিন।

.

Address

Savar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Farhana'r দ্বীন প্রচার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Farhana'r দ্বীন প্রচার:

Share