07/03/2024
পবিত্র সিয়ামের বিশাল সওয়াব বা ফজিলত রয়েছে, মুসলিমদের অনেকেই তা ভালোই জানে। আজকে সিয়ামের সওয়াব নিয়ে আলোচনা না করে চিকিৎসকদের দৃষ্টিতে সিয়াম বা রোজাটা কেমন তা নিয়ে আলোচনা করা যাক, কেমন?!!!
পৃথিবীতে প্রায় প্রতিটি জিনসেরই ক্ষয় আছে। আমাদের মানব দেহেরও ক্ষয় আছে। কিন্তু আমরা আমাদের দেহের ক্ষয় পুরণ করছি না।ন্যাচারালি যদি আমরা আমাদের দেহের ক্ষয় পূরণ করতে চাই তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মতে, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার চর্চা করা এবং সব সময় কম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
দীর্ঘক্ষণ (প্রায় ১৫-১৮ ঘন্টা) না খেয়ে থাকলে শরীরে সারা বছর যে ক্ষয় হয় সেই ক্ষয় ধীরে ধীরে পূরণ হতে থাকে।
ডাক্তারদের ভাষায় যাকে আমরা অটোফেজি হিসেবে চিনি।
এই অটোফেজির মাধ্যমে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, এন্টি এজিং (Anti aging) হিসেবে কাজ করে, ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়িয়ে এবং Inflammation কমিয়ে মেটাবলিজমকে উন্নত করতে পারে।
কিন্তু আমরা ইফতারিতে নানা রকমের ভাজা-পোড়া খেয়ে এই সম্পূর্ণ সিস্টেমকেই ক্ষতিগ্রস্থ করছি অর্থাৎ রোজা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যতটুকু বাড়ানোর কথা ছিল তা আর হচ্ছে না।
এই সকলকে বলবো আসুন রমযানে সহজলভ্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাই এবং ভাজা-পোড়া খাওয়া বর্জন করি।
সিয়াম সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য:
বিভিন্ন গবেষকদের মন্তব্য
১। ডা. জুয়েলস এমডি বলেছেন, ‘‘যখনই একবেলা খাওয়া বন্ধ থাকে, তখনই দেহ সেই মুহূর্তটিকে রোগমুক্তির সাধনায় নিয়োজিত করে।“
২। ডক্টর ডিউই বলেছেন, ‘‘রোগজীর্ণ এবং রোগক্লিষ্ট মানুষটির পাকস্থলী হতে খাদ্যদ্রব্য সরিয়ে ফেল, দেখবে রুগ্ণ মানুষটি উপবাস থাকছে না, সত্যিকাররূপে উপবাস থাকছে রোগটি।“
তাই একাদশ শতাব্দীর বিখ্যাত মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইবনে সিনা তার রোগীদের তিন সপ্তাহের জন্য উপবাস পালনের বিধান দিতেন।
৩। ১৯৫৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ডাঃ গোলাম মুয়াযযম কর্তৃক ‘‘মানব শরীরের উপর রোজার প্রভাব” সম্পর্কে যে গবেষণা চালানো হয়, তাতে প্রমাণিত হয় যে, রোজার দ্বারা মানব শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। কেবল ওজন সামান্য কমে। তাও উল্লেখযোগ্য কিছুই নয়; বরং শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে এরূপ রোজা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অপেক্ষা বহুদিক দিয়েই শ্রেষ্ঠ।
১৯৬০ সালে তার গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, যারা মনে করে রোজা দ্বারা পেটের শূলবেদনা বেড়ে যায়, তাদের এ ধারণা নিতান্ত অবৈজ্ঞানিক।
৪। ডাঃ আর, ক্যাম ফোর্ডের মতে, ‘‘রোজা হচ্ছে পরিপাক শক্তির শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী।“
৫। ডাঃ বেন কিম বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে উপবাসকে চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ (হাঁপানি), দীর্ঘদিনের মাথাব্যথা, অন্ত্রনালীর প্রদাহ, ক্ষতিকর নয় এমন টিউমার ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে তিনি বলেন, উপবাসকালে শরীরের যেসব অংশে প্রদাহ জনিত ঘা হয়েছে তা পূরণ এবং সুগঠিত হতে পর্যাপ্ত সময় পেয়ে থাকে। বিশেষত খাদ্যনালী পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাওয়াতে তার গায়ে ক্ষয়ে যাওয়া টিস্যু পুনরায় তৈরি হতে পারে
তথ্য সুত্র: [ডট এর পরে স্পেস বাদ দিতে হবে]
chandpurprotidin. com/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA/ #:~:text=%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE%20%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%87%20%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A7%87%20%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A7%87%20%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97,%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A7%87%20%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97%20%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%20%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%20%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A5%A4