Historical Sarail

Historical Sarail সরাইলের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে সকলের নিকট তুলে ধরার প্রয়াস।

19/05/2024
সরাইল সরকারি কলেজ। কালিকচ্ছ, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
13/05/2024

সরাইল সরকারি কলেজ।
কালিকচ্ছ, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

প্রবোধচন্দ্র সেনছন্দবিশারদ ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ।******************************জন্ম:******কুমিল্লার মনিয়ন্দ গ্রামে ২৭ এপ্...
12/07/2023

প্রবোধচন্দ্র সেন
ছন্দবিশারদ ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ।
******************************

জন্ম:
******
কুমিল্লার মনিয়ন্দ গ্রামে ২৭ এপ্রিল ১৮৯৭ সালে নানা বাড়িতে। আদি নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা গ্রামে। পিতা ছিলেন হরদাস সেন ও মাতা স্বর্ণময়ী সেন।

পড়াশোনা:
**********
প্রবোধচন্দ্র সেন গিরিধারী পাঠশালা ও ইউসুফ হাই ইংলিশ স্কুলে প্রাথমিক লেখাপড়া করেন। তিনি কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ১৯১৫ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে ১৯২৪ সালে ইতিহাসে অনার্সসহ বিএ এবং প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৭ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

কারাবাস:
*********
ছাত্রাবস্থায় প্রবোধচন্দ্র সেন বিপ্লব-প্রয়াসী অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন। রাজদ্রোহী সন্দেহে তিনি ১৯১৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য তরুণ কারাবন্দীর সঙ্গে তিনি ১৯১৮ সালে মুক্তি পান। এ সময় কুমিল্লায় ‘ন্যাশনাল স্কুল’ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তিনি বিনা বেতনে এ প্রতিষ্ঠানে ছাত্র স্বেচ্ছাসেবক রূপে চার বছর কাজ করেন।

কর্ম জীবন:
***********
প্রকৃত পক্ষে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় খুলনার দৌলতপুর হিন্দু একাডেমীতে (বর্তমান দৌলতপুর কলেজে) ইতিহাস ও বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক পদে নিযুক্তি (১৯৩২-৪২) লাভের মধ্য দিয়ে।
১৯৪২ সালে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আহবানে তিনি বিশ্বভারতী বিদ্যাভবনে
রবীন্দ্র-অধ্যাপক পদে যোগদান করেন।
১৯৫১ সালে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হলে প্রবোধচন্দ্র সেন বাংলা বিভাগের প্রধান হন (১৯৫২-৬২) এবং রবীন্দ্র জন্মশত বার্ষিক উৎসব কালে পুনর্গঠিত রবীন্দ্র ভবনের প্রথম রবীন্দ্র-অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ (১৯৬২-৬৫) পদ লাভ করেন।
১৯৬৫ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করলে তাঁকে বিশ্বভারতীর প্রফেসর ইমেরিটাস করা হয়।

লেখালেখি:
**********
প্রবোধচন্দ্র সেনের ছন্দ নিয়ে উৎসাহ ও ঔৎসুক্য ছিল। ১৯২২ সালে কলেজে পড়ার সময়ে তিনি ‘বাংলাছন্দ’ শীর্ষক একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখেন। যা সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-এর প্রশংসা ও সম্মতি লাভ করে ধারাবাহিক ভাবে প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রবোধচন্দ্র সেনের ছন্দবিষয়ক এ প্রবন্ধ পড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ‘ছান্দসিক’ বলে অভিহিত করেন। পরে এ বিষয়ে প্রবোধচন্দ্র চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহিতলাল মজুমদার, কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায়, যতীন্দ্রপ্রসাদ ভট্টাচার্য, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখের স্বীকৃতি লাভ করেন।

গ্রন্থ সমূহ:
*********
বাংলা ছন্দ বিষয়ক তাঁর গ্রন্থগুলির মধ্যে বাংলা ছন্দে রবীন্দ্রনাথের দান (১৯৩১), ছন্দোগুরু রবীন্দ্রনাথ (১৯৪৫),
ছন্দ পরিক্রমা (১৯৬৫), ছন্দ-জিজ্ঞাসা (১৯৭৩), বাংলা ছন্দচিন্তার ক্রমবিকাশ (১৯৭৮), ছন্দ সোপান (১৯৮০), আধুনিক বাংলা ছন্দ-সাহিত্য (১৯৮০), বাংলা ছন্দে রূপকার রবীন্দ্রনাথ (১৯৮১), নুতন ছন্দ পরিক্রমা (১৯৮৫) প্রধান।

দীর্ঘ চৌষট্টি বছর প্রবোধচন্দ্র সেন ছন্দ-চর্চায় নিবিষ্ট ছিলেন এবং বাংলা ছন্দের আদ্যন্ত ইতিহাস বিজ্ঞান সম্মত রূপে রচনা করেন। বার বার তাঁকে বাংলা ছন্দের পরিভাষা পরিবর্তন করতে দেখা যায়। এর কারণ, তিনি বাংলা ছন্দের তিনটি রীতির অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যকে চূড়ান্তভাবে ধরে দিতে চেয়েছেন।

জীবনের একটা বৃহৎ সময় তিনি ছন্দ-বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিতর্ক-আলোচনা শেষে বাংলা ছন্দের তিন রীতির নামকরণ করেন মিশ্রবৃত্ত, কলাবৃত্ত ও দলবৃত্ত।

বাংলা সাহিত্যে ছন্দ বিশেষজ্ঞ রূপে পরিচিত প্রবোধচন্দ্র সেন প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির ছাত্র ছিলেন। এমএ পাশ করার পর তিনি প্রাচীন বাংলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা আরম্ভ করেন প্রথমে ঐতিহাসিক রামকৃষ্ণ গোপাল ভান্ডারকর এবং পরে হেমচন্দ্র রায়চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে।

বাংলা তথা ভারত বর্ষের ইতিহাস নিয়ে তাঁর আগ্রহের মূলে ছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় প্রচারিত স্বদেশপ্রীতি এবং বঙ্গভঙ্গ বিরোধী ‘স্বদেশী আন্দোলন’।
তাঁর ইতিহাস প্রীতির মূলে ছিল স্বদেশ প্রীতি।

এ সূত্রে তিনি আকর্ষণবোধ করেন বাংলার ভৌগোলিক ইতিহাসের প্রতি। তাঁর ‘বাংলার জনপদ পরিচয়’ পর্যায়ের বেশ কিছু প্রবন্ধ এ আকর্ষণের ফল। বাংলার ইতিহাস সাধনা (১৯৯২) গ্রন্থটি তাঁর ইতিহাস রচনার ইতিহাস (হিস্টরিয়োগ্রাফি) হিসেবে বিশেষ মূল্যবান বিবেচিত হয়েছে।

তাঁর অপর গ্রন্থ তিনটি- বাংলায় হিন্দু রাজত্বের শেষ যুগ (১৯৩০), ধর্মবিজয়ী অশোক (১৯৪৭), ধম্মপদ-পরিচয় (১৯৫৩) এ বিষয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান।

তাঁর গভীর আকর্ষণ ছিল সম্রাট অশোক ও বৌদ্ধধর্মের প্রতি। শেষোক্ত গ্রন্থ দুটি এর প্রমাণ। প্রথম জীবনে তাঁকে বৈদিক ধর্মের প্রতি আগ্রহী দেখা গেলেও পরে তিনি বৌদ্ধধর্মে আস্থাশীল হয়ে ওঠেন।

প্রাচীন ভারতের সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে রচিত দুটি গ্রন্থ রামায়ণ ও ভারত সংস্কৃতি (১৯৬২), ভারতাত্মা কবি কালিদাস (১৯৭৩) বাংলা সাহিত্যের মূল্যবান সম্পদ বলে বিবেচিত হতে পারে। ছন্দচর্চা ও ইতিহাসচর্চার সঙ্গে রবীন্দ্রচর্চা প্রবোধচন্দ্র সেনের আরেক সাধনা। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তিনি বহু প্রবন্ধ ও গ্রন্থ রচনা করেন। তার মধ্যে রবীন্দ্র দৃষ্টিতে অশোক (১৯৫১), রবীন্দ্র দৃষ্টিতে কালিদাস (১৯৬১) এবং ভারতপথিক রবীন্দ্রনাথ (১৯৬২) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

এ ছাড়া রয়েছে তাঁর রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাচিন্তা (১৯৬১), ইচ্ছামন্ত্রের দীক্ষাগুরু রবীন্দ্রনাথ (১৯৭৮) এবং সম্পাদিত গ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ (১৯৬২)। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাচিন্তা গ্রন্থটি প্রবোধচন্দ্র সেনের রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাবিষয়ক আলোচনায় একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য অবদান।

প্রবোধচন্দ্র সেনের ঐতিহাসিক তথ্যানুসন্ধানের ফলেই ভারতবর্ষের জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন’ গানটি সম্বন্ধে প্রচলিত ভ্রান্তির নিরসন হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভারতবর্ষের জাতীয় সঙ্গীত (১৯৪৯) ও Indian’s National Anthem (১৯৪৯) গ্রন্থ দুটির কথা উল্লেখ করা যায়।

উনিশ শতকের যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ এবং বাংলার সাংস্কৃতিক চেতনার ধারক প্রবোধচন্দ্র সেন মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে একটি ‘ইচ্ছাপত্র’ লেখেন, যাতে তাঁর বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত হয়েছে। তিনি কেবল প্রচলিত ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন তাই নয়, প্রচলিত সামাজিক আচারের প্রতিও তিনি তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

তিনি তাঁর মৃত্যুতে শ্রাদ্ধ, উপাসনা, প্রার্থনা, স্মরণসভা এবং তাঁর জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন না করতে নির্দেশ দেন। তবে উল্লিখিত পত্রে তিনি তাঁর শ্মশানযাত্রায় ধর্মীয় গানের পরিবর্তে ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার ’পরে ঠেকাই মাথা’র মতো দেশাত্মবোধক গান গাওয়া এবং ললাটে চন্দনের পরিবর্তে দেশের মাটি লেপে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি তাঁর বৃহৎ গ্রন্থাগার এবং স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব সন্তানদের ওপর দিয়ে তাঁর আবাসভূমি বিশ্বভারতীকে দান করেন।

পুরস্কার:
********
সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রবোধচন্দ্র সেন বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলি পুরস্কার লাভ করেন। তার মধ্যে প্রফুল্ল স্মৃতি পুরস্কার (১৯৬৯), বঙ্কিমস্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৫), কেশবচন্দ্র গুপ্ত স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৮), ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি (১৯৮০), কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ডি.লিট (১৯৮৩), উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ডি.লিট (১৯৮৩) এবং এশিয়াটিক সোসাইটির পক্ষ থেকে মরণোত্তর রবীন্দ্রশত বার্ষিকী স্মারক পদক (১৯৮৭) উল্লেখযোগ্য।

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ:
*****************
সরাইলের এই কৃতী সন্তান কলকাতার শান্তি নিকেতনে ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৬ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আরিফাইল শাহী জামে মসজিদ, মোঘল স্থাপনা ও সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। *************************************অবস্থানঃ************ব্...
12/07/2023

আরিফাইল শাহী জামে মসজিদ,
মোঘল স্থাপনা ও সংরক্ষিত পুরাকীর্তি।
*************************************

অবস্থানঃ
************
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার ঐতিহাসিক আরিফাইল জামে মসজিদটি সরাইল সদর ইউনিয়নের আরিফাইল গ্রামে অবস্থিত।

কাঠামো ও বৈশিষ্ট্যঃ
**********************
সাগরদিঘির পাড়ে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি ভূমিনকশায় আয়তাকৃতির দৈর্ঘ্যে ৩১.৩৪ মিটার ও প্রস্থে ৬.১ মিটার এবং প্রাচীরের প্রশস্ততা ১.৬৮ মিটার। মসজিদের পূর্ব দিকে তিনটি খিলানে সৃষ্ট তিনটি প্রবেশ পথ ও উত্তর ও দক্ষিণে দুটি প্রবেশ পথ রয়েছে। সম্মুখের তিনটির মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথটি পাশের দুটি থেকে বড়। প্রবেশ পথগুলো পর পর দুটি খিলান পথে নির্মিত এবং আয়তকার ফ্রেমের মধ্যে সংস্থাপিত। অর্ধ অষ্টাভুজাকৃতির মাধ্যমে নির্মিত কেন্দ্রীয় মিহরাব পশ্চিম দেয়ালের অন্তপ্রবিষ্ট এবং বাইরের দিকে সম্প্রসারিত। কেন্দ্রীয় মিহরাবের দু পাশে আরো দুটি মিহরাব রয়েছে। দু পাশে থেকে দুটি আড়াআড়ি খিলান উঠে গিয়ে মসজিদটিকে তিনটি বর্গে বিভক্ত করেছে যার উপরে স্থাপিত হয়েছে তিনটি গম্বুজ। অর্ধগম্বজের আকারে খিলান পদ্ধতিতে বর্গাকার কক্ষের উপরে বৃত্ত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অবস্থান্তর পর্যায় গঠিত হয়েছে। গম্বুজগুলি অষ্টভুজাকার ড্রামের উপরে স্থাপিত এবং শীর্ষে শোভা বর্ধন করেছে প্রস্ফুটিত পদ্মের নকশা ও কলস চূড়া। পাশে বুরুজগুলো ব্যান্ড নকশায় বিভক্ত। মসজিদের কার্নিশে এবং গম্বুজের নিচে চারদিকে ঘিরে রয়েছে পদ্ম পাপড়ির মারলন নকশা। মাঝের মিহরাব ও প্রবেশ পথ এবং উত্তর, দক্ষিণের প্রবেশ পথের শিরভাগ অর্ধগম্বুজে গঠিত, এবং মাঝে প্রবেশ পথের উপরে পলেস্তরায় মৌচাক নকশায় অলংকৃত।

নির্মাণ কাল ও নির্মাতাঃ
***************************
এ মসজিদের কোন শিলালিপি না থাকায় মসজিদের নির্মাতা ও নির্মাণকাল সঠিক জানা যায় নি। তবে স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য হাজি খাজা শাহবাজের মসজিদের সাথে মিল থাকায় আরিফাইল মসজিদটি সতের শতকের শেষার্ধে ও অন্য তথ্য মতে মোঘল আমলের শেষার্ধে নির্মিত হয় বলে ধারণা করা হয়।

সংরক্ষণঃ
*************
মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত। যার (বিজ্ঞপ্তি নং শাঃ ০১/১এ-৩৩/৮৪/১১ তাং ০১/০১/১৯৮৬)।

আসুন আমরা আমাদের এই গর্বিত নির্দশনটির যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করি।

হাচলি/হাঁসলি/আসলি/আসিল মোরগঐতিহ্যবাহি প্রাণী।***************************************ইতিহাস:***********সরাইল মোরগ লড়াইয়...
12/07/2023

হাচলি/হাঁসলি/আসলি/আসিল মোরগ
ঐতিহ্যবাহি প্রাণী।
***************************************

ইতিহাস:
***********
সরাইল মোরগ লড়াইয়ের জন্য বিখ্যাত।
এই মোরগ লড়াইয়ে ব্যবহার করা হয় 'হাচলি মোরগ' যা শক্তিশালী দৈহিক গঠনের জন্য বিখ্যাত। এটি 'আসলি' বা আসিল নামেও উচ্চারণ করা হয়।

ঐতিহাসিকগণের অনুসারে সরাইলের দেওয়ানরা ৪০০ বছর আগে ইরান থেকে এই জাতের মোরগ এনেছিল। আবার অনেকের মতে মুঘল আমলে ভারতের রায় বেরেলি থেকে এ জাতের মোরগ আনা হয়।

উৎপত্তি:
**********
উর্দু বা হিন্দি "আসিল" এবং আরবি "আসলি" শব্দের অর্থ হলো আসল বা খাঁটি। আসিল মোরগ লড়াই' এর অর্থ 'আসল মোরগ লড়াই'। আসল' থেকে আসলি' তারপর আরো বিবর্তনের পর হাঁসলি কথাটি এসেছে বলে অনেক ঐতিহাসিক মত প্রকাশ করেন।

প্রাপ্তিস্থান:
*************
এটি বাংলাদেশের একটি বিশুদ্ধ জাতের মুরগি। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় এ জাতের মুরগি পাওয়া যায়।

বৈশিষ্ট্য:
**********
১। এদের দেহের গঠন বলিষ্ঠ ও দৃঢ়।
২। গলা ও পা দুটো লম্বা।
৩। এদের মাথা বেশ চওড়া ও মাথায় মটর ঝুঁটি থাকে।
৪। দেহে পালক খুব কম থাকে ও পালকের রঙ লাল হয়।

উপযোগিতা:
***************
এরা বেশ বড় হয়। এ জাতের মোরগ ভালো লড়াই করতে পারে। তাই অনেকে শখ করে এদের পালন করে থাকে। এদের মাংস খুব সুস্বাদু। প্রাপ্ত মোরগ ও মুরগীর ওজন যথাক্রমে ৪.০-৪.৫ এবং ৩.০-৩.৫ কেজি।

চাহিদা:
**********
সরাইল হাঁসলি জাতের মোরগ-মুরগীর ১ মাসের বাচ্চা বিক্রি হয় ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। বড় আসলি মোরগ মুরগী ১০,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে কখনো একটি ভালো লড়াকু মোরগের দামই পড়ে ৪০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা। হার-জিতের মধ্য দিয়ে মোরগের দাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

প্রজনন:
***********
হাঁসলি মুরগী বছরে তিন থেকে চার বার ডিম পাড়ে। প্রতিবারে ১০-১২টি ডিম দেয় এ মুরগী। সাদা ও লাল মোরগের দাম এবং চাহিদা সবচেয়ে বেশি। লাল আসলি মোরগগুলো লাক্ষা নামে পরিচিত। সাদা-কালো মিশ্রিত মোরগগুলোকে বলে ঝাওয়া। এর বাইরে সুরমা, মেহেন্দি, ধলা (সাদা) নামেও পরিচিত পায় মোরগগুলো।

সংগঠন প্রতিষ্ঠা:
*****************
সরাইলে এটি খুবই আকর্ষণীয় এবং ঐতিহ্যবাহী খেলা হিসেবে বিবেচিত
‘সরাইল মিতালী শৌখিন আসিল মোরগ সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন সরাইলে মোরগ লড়াইয়ের আয়োজন করে থাকে।

পরিশেষেঃ
*************
আজ সময়ের বিবর্তণে তা আমরা হারাতে বসেছি। তাই আমাদের সকলেরই উচিত এই ঐতিহ্যকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টিকিয়ে রাখা এবং এই বিলুপ্ত প্রায় লড়াকু হাঁসলি মোরগের জাতের যথাযথ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।

হাতিরপুলমোঘল স্থাপনা, সংরক্ষিত পুরাকীর্তি।************************অবস্থান:------------বাড়িউরা প্রাচীন পুল বা হাতিরপুল ব...
07/07/2023

হাতিরপুল
মোঘল স্থাপনা,
সংরক্ষিত পুরাকীর্তি।
************************
অবস্থান:
------------
বাড়িউরা প্রাচীন পুল বা হাতিরপুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর হতে ১৫ কি.মি. উত্তরে সরাইল উপজেলায় অবস্থিত। এটি মোঘল আমলে বাড়িউরা নামক স্থানে বর্তমান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই নির্মিত হয়।

নির্মাণকাল:
----------------
সরাইল উপজেলা সদরের সাথে শাহবাজপুর ইউনিয়নকে যুক্ত করার জন্য ইট ও চুন-সুর্কি ব্যবহার করে ১৬শ শতাব্দীতে প্রাচীন এ পুলটি নির্মাণ করা হয়।

ইতিহাস:
------------
জমিদার ঈসা খাঁ সরাইলে অস্থায়ী রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। এ অঞ্চলটি সমতট জনপদের অংশ। দেওয়ান শাহবাজ খান ১৬৫০ সালে তার দেওয়ানি কালে এই পুলটি নির্মাণ করেছেন বলে ঐতিহাসিকগণ মনে করেন। বিশেষতঃ হাতি চলাচলের জন্য খালের উপর পুলটি নির্মিত হয়। তাই লোকমুখে এটি হাতির পুল নামে পরিচিতি লাভ করে।
তৎকালীন সময়ে দেওয়ানগণ চলাচলের সুবিধার জন্য হাতি ব্যবহার করতেন যা এ পথ ধরে চলত এবং তারা পুলটির কাছেই বিশ্রাম নিতেন।

সংরক্ষণ:
-----------
বাড়িউড়া প্রাচীন পুলটি বহুদিন যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় এবং ঝুপে বেষ্টিত ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বি.আর.টি.সি.) কর্তৃক দক্ষিণ পাশে একটি আধুনিক পুল নির্মাণ করেছেন। যাতে প্রাচীন নিদর্শনটিকে রক্ষা করা যায়।

এছাড়াও বাড়িউড়া প্রাচীন পুলটি বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর দ্বারা সংরক্ষিত।
তথ্য সূত্র : সংগ্রহকৃত।

পটভূমি: ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংগালী নির্যাতনের জন্য সৃষ্ট টর্চার সেল। সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা...
07/07/2023

পটভূমি: ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংগালী নির্যাতনের জন্য সৃষ্ট টর্চার সেল। সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণকে ধরে এনে নির্যাতন ও হত্যা করা হতো।

অবস্থান: সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর ব্রীজের পশ্চিম পাশে তিতাস নদীর তীরে।

বর্তমান অবস্থান: বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিডিপি) শাহবাজপুর উপকেন্দ্রের অধীনে।

সংরক্ষণ: সৃষ্ট টর্চার সেলের স্থান ও দালানটিকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংরক্ষণ করার দরকার।

নীল সাদা আকাশ ও তিতাস নদী,শাহবাজপুর, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।ছবি: Sheikh Tipu.
30/06/2023

নীল সাদা আকাশ ও তিতাস নদী,
শাহবাজপুর, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ছবি: Sheikh Tipu.

27/06/2023

জুম্মা মোবারক 🕌
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন আরিফিল মসজিদের ছবিটি পাঠানোর জন্য আজিজুল সঞ্চয়কে অনেক ধন্যবাদ। আপনি জানেন কি, মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন এই মসজিদটি ১৬শ শতকে নির্মিত হয়েছিল?

🕌
Many thanks to Azizul Shonchay for sharing this beautiful Arifil Mosque, located in Sarail, Brahmanbaria. , this mosque is an example of Mughal architecture and was built in the 16th century?

মহাগ্রন্থ আল কুরআন ভার্স্কয,হাসপাতাল মোড়, উচালিয়াপাড়া, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
19/03/2023

মহাগ্রন্থ আল কুরআন ভার্স্কয,
হাসপাতাল মোড়, উচালিয়াপাড়া,
সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

আকাশি বিলের মধ্যে দিয়ে চলমান সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক, ধরন্তি, কালিকচ্ছ, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
12/03/2023

আকাশি বিলের মধ্যে দিয়ে চলমান সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক, ধরন্তি, কালিকচ্ছ, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

শাহ আফতাব উদ্দিনসাহিত্যিক ও সমাজ সেবক।********************************জন্মঃ ১৯১৪ সালের ২০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল...
08/11/2022

শাহ আফতাব উদ্দিন
সাহিত্যিক ও সমাজ সেবক।
********************************

জন্মঃ ১৯১৪ সালের ২০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে। পিতা বহুভাষী বদর উদ্দিন আহমেদ ও মাতা আজিমা খানম।

শিক্ষাজীবনঃ ১৯৩৫ সালে তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ হাইস্কুল বর্তমান নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় হতে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক ১৯৩৭ সালে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। বি,এ পরীক্ষা চলাকালীন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ায় একাডেমিক শিক্ষা আর এগোয়নি।

কর্মজীবনঃ ১৯৩৯ সালে আড়াই সিধা জুনিয়র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবনে প্রবেশ করেন।

পরবর্তীতে ১৯৪১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজ গ্রামের শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। টানা ৩০ বছর ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি। তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যিক, সংগঠক,সমাজসেবক।

সাহিত্য চর্চাঃ ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে অধ্যয়নকালে সাহিত্য চর্চার সাথে জড়িত হন। প্রকাশ করতেন সবুজ পত্র নামক সাহিত্য পত্র। গ্রামে গঠন করেছিলেন সমাজ কল্যাণ সমিতি ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে দলিত সম্প্রদায়ের শিক্ষার আলো ছড়াতে গড়ে ছিলেন গণ শিক্ষা কেন্দ্র। ঘনিষ্ঠ জনদের মতে বই পড়া ও পাঠাগার স্থাপন ছিলো তাঁর শখের কাজ।

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় সমর্থক। ছিলেন একজন প্রকৃত ধার্মিক। স্রষ্টা ও সৃষ্টিকে ভালোবাসার মাঝে খোঁজে পেতেন পরম শান্তি।

জীবন ব্যাপী ছড়িয়েছেন শিক্ষার আলোর সাথে মানবতা। মানবের অকল্যাণ নয়; কল্যাণ করাই ছিলো তাঁর জীবনের মিশন।

মৃত্যুঃ ২০০৯ সালের ৩০ মে মেঘনা-তিতাসের বাঁকে জ্ঞানের দীপ্তি ছড়িয়ে অগণিত আলোকিত মানুষ গড়ে মানুষের ভালোবাসা সাথে নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন কালের খেয়া।

সরাইল বাজার হাট খোলা শাহী মসজিদ বা বর্তমান বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদ  এর ফলক।
28/09/2022

সরাইল বাজার হাট খোলা শাহী মসজিদ বা বর্তমান বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদ এর ফলক।

শ্রী শ্রী কালাচাঁদ বাবাজীর মন্দির।বিটঘর, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
06/09/2022

শ্রী শ্রী কালাচাঁদ বাবাজীর মন্দির।
বিটঘর, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

সর্ব ধর্ম সমন্বয়ক স্বামীআনন্দ চন্দ্র নন্দী মহারাজের সমাধি।আনন্দ ধাম, নন্দীপাড়া, কালিকচ্ছ, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
25/08/2022

সর্ব ধর্ম সমন্বয়ক স্বামী
আনন্দ চন্দ্র নন্দী মহারাজের সমাধি।
আনন্দ ধাম, নন্দীপাড়া, কালিকচ্ছ,
সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

ইসমোনাকলেখক ও টটোগ্রাম সাহিত্যের জনক। *********************************জন্ম:বাংলা সাহিত্যের এক ব্যতিক্রমধর্মী লেখক ইসমোন...
07/08/2022

ইসমোনাক
লেখক ও টটোগ্রাম সাহিত্যের জনক।
*********************************

জন্ম:
বাংলা সাহিত্যের এক ব্যতিক্রমধর্মী লেখক ইসমোনাক বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও গানের রাজধানী খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের সর্দার বাড়িতে ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ ইং সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

বাবার নাম মোহাম্মদ হেফজু মিয়া।
মাতা মোসাম্মৎ হালিমা খাতুন। সংসারে ছয় ভাই-বোনের পরিবারে ইসমোনাক ৫ম। বাবার দেয়া নাম ইকবাল সর্দার মোঃ নাজমুল কবির কিন্তু লেখালেখি করেন ইসমোনাক ছদ্মনামে।

শিক্ষাজীবন:
নোয়াগাঁও গ্রামের মক্তবে শিক্ষা জীবন শুরু হলেও পরবর্তীতে নোয়াগাঁও পূর্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৮৮ সালে সরাইল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৭তম বিসিএস (সাধারণ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।

কর্মজীবন:
শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করা ঢাকার মিরপুরস্থ মোস্তফা আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেনের মাধ্যমে। পরবর্তীতে গাজিপুরের শফিপুরে এনিতা মডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

টটোগ্রাম সাহিত্য সৃষ্টি:
কবি ইসমোনাক তার সৃষ্টির ব্যতিক্রম দিকটি হচ্ছে তিনি প্রায় তিন বছর চিন্তা করে রচনা করেছেন টটগ্রাম সাহিত্য এবং তার পছন্দের বর্ণ ছিল "ক" আর প্রায় দুই যুগ অর্থাৎ ২৪ বছর তিনি "ক"বর্ণের ২ লক্ষ শব্দ সংগ্রহ করেন। “ক” বর্ণ দিয়ে শব্দের মালা গেঁথে এই পর্যন্ত। তিনি তিনটি গল্প গ্রন্থ রচনা করেছেন। যার শব্দ সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার। প্রতিটি বাক্যের প্রতিটি শব্দের প্রথম বর্ণ "ক"। এই জন্য এই লেখককে টটোগ্রাম সাহিত্যের জনক বলা হয়।

গ্রন্থ সমূহ:
(১) কেষ্ট কবি,
(২) কেষ্ট কবির কনফারেন্স ও
(৩) কেষ্ট কবির কষ্টগুলো।

পরিশেষে: আমরা মনে করি কবি ইসমোনাক তাঁর সাহিত্য চর্চার যোগ্য সম্মান তিনি পাননি।তাই তাঁর সাহিত্য চর্চার যোগ্য সম্মান ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় আমরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরূপ "একুশে পদকে " ভূষিত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আনন্দ চন্দ্র নন্দী মহারাজসর্ব ধর্ম সমন্বয়ক।*************************ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামে ব...
03/08/2022

আনন্দ চন্দ্র নন্দী মহারাজ
সর্ব ধর্ম সমন্বয়ক।
*************************

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামে বিখ্যাত নন্দীবংশে বাংলা ১২৩৯ সালের ১১ বৈশাখ রবিবারে জন্মগ্রহণ করেন শ্রী শ্রী মৎ আচার্য্য আনন্দ চন্দ্র নন্দী মহারাজ।
তাঁহার পিতা ছিলেন জমিদার দেওয়ান রামদুলাল নন্দী। যিনি ছিলেন জগত মাতা কালীর উপাসক ও শ্যামাসঙ্গীত রচয়িতা। দেওয়ান মহাশয় সংযমী মহাপুরুষ ছিলেন।

প্রথম জীবনে রাজা রামমোহন রায় প্রবর্তিত ‘ব্রাহ্ম’ সমাজের একজন সমর্থক ও সেবক ছিলেন। হিন্দু ধর্মের গোঁড়ামি ও কুসংস্কার দূর করতে রাজা রামমোহন রায় ‘বহুশ্বেরবাদী’ ধারণার পরিবর্তে ‘একেশ্বরবাদী’ ধারণাকে আশ্রয় করলেন। সামাজিক সংস্কার সাধনই ছিল রামমোহনের মূল প্রেরণা।

কিন্তু আনন্দ স্বামী ‘ব্রাহ্ম ধর্মে’ দীক্ষিত হয়ে নিজ গ্রামে এসে যেভাবে ধর্ম সাধনায় নিয়োজিত হলেন-তার আন্তরপ্রেরণার উৎসও মানবপ্রেম ও আধ্যাত্মপ্রেম।

ধর্মে ধর্মে হানাহানি, ভেদাভেদ, বর্ণপ্রথা প্রভৃতিকে অগ্রাহ্য করে এমন এক ধর্মমতের তত্ত্ব উপস্থাপন করলেন, যা সকল ব্যবধান ঘুচিয়ে সকল ধর্মকে এবং সকল মানুষকে এক উদার, মানবতাবাদী মানব বিশ্বে প্রতিস্থাপন করে। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ী ভাবনা আনন্দস্বামীর মূল প্রেরণা। পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তা ‘দয়াময়’ নামের উপাসক তিনি।

বিষ্ণুদেবের মূর্তি, কষ্টিপাথরে মধ্যযুগীয় নিদর্শন। বয়স ২৫০-৩০০ বছর (আনুমানিক)।নন্দীপাড়া, কালিকচ্ছ,সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
31/07/2022

বিষ্ণুদেবের মূর্তি,
কষ্টিপাথরে মধ্যযুগীয় নিদর্শন।
বয়স ২৫০-৩০০ বছর (আনুমানিক)।
নন্দীপাড়া, কালিকচ্ছ,
সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

সতীদাহ মন্দির,বয়স ২৫০ বছর (আনুমানিক)।মনিরবাগ, কালিকচ্ছ, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
28/07/2022

সতীদাহ মন্দির,
বয়স ২৫০ বছর (আনুমানিক)।
মনিরবাগ, কালিকচ্ছ,
সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামী বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের বাড়ির ভিতরের ছাদের ফলক, ইট সুরকির দেয়াল ও বাহিরের দরজার উপর নির্মিত কারু...
27/07/2022

ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামী বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের বাড়ির ভিতরের ছাদের ফলক, ইট সুরকির দেয়াল ও বাহিরের দরজার উপর নির্মিত কারুকাজ।
কিন্তু তা বিলুপ্তির পথে যদি সরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে তা সংরক্ষণ করা না হয়।

আল্লামা মোহাম্মদ আলী (র.)শতবর্ষী আলেম ও সমাজ সেবক।******************************জন্ম:*****১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের (১৩৩৫ হিজরী...
14/07/2022

আল্লামা মোহাম্মদ আলী (র.)
শতবর্ষী আলেম ও সমাজ সেবক।
******************************
জন্ম:
*****
১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের (১৩৩৫ হিজরী) ফেব্রুয়ারী মাসে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।
তাঁর দাদা নাম মো.বশির উদ্দিন খান, পিতার নাম ক্বারী মোঃ আবদুল হেকিম খান ও মাতা খাইরুন্নাহার বেগম (গুলনাহার)।
চার ভাই চার বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। শৈশব কাল থেকেই আল্লামা মোহাম্মদ আলী ছিলেন খুবই বিনয়ী ও শান্ত স্বভাবের।

শিক্ষালাভঃ
***********
গ্রামের মক্তবে তিনি ক্বারী আনসারিয়ার কাছে থেকে আরবি ফার্সি ও উর্দু ভাষায় ইসলামি শিক্ষার তালিম নেন। কিছুদিন সরাইল ফার্সি মাদরাসায় (দেওয়ান বাড়িতে অবস্থিত ছিল পরে বিলুপ্ত) অধ্যয়ন করেন। পরে মালিহাতা গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আবদুল আলী (রহঃ) প্রতিষ্ঠিত জামিয়া ইসলামিয়া তাজুল উলুম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। মালিহাতা মাদ্রাসায় পাঠ গ্রহণ শেষে ভর্তি হন আল্লামা তাজুল ইসলাম (ফখরে বাঙ্গাল) পরিচালিত ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসায়। জামিয়ায় অধ্যয়ন শেষে ১৯৪৪ খ্রি.চলে যান বিশ্বের অন্যতম প্রধান ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষালয় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায়। অল্প দিনের মধ্যে তিনি তৎকালীন বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন কুতুবে আলম আল্লামা হুসাইন আহম্মদ মাদানীর প্রিয়ভাজন হয়ে ওঠেন। সেখানে তিনি বৃত্তিলাভ করে বিনা খরচে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করেন। সেখানে সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদীস লাভ করে ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর তিনি দেশে ফিরেন।

কর্মজীবন:
**********
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর তিনি দেশে ফিরে ওস্তাদ ফখরে বাঙ্গাল (র.) এর নির্দেশে মালীহাতা মাদরাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি ওই মাদরাসায় প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ হিসেবে সাত দশক ধরে অত্যন্ত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অধ্যক্ষ পদে ছিলেন। একই সময় থেকে তিনি আনসারিয়া মো‏হাম্মদীয়া ঈদগা মাঠে (কুট্টাপাড়া,খাঁটিহাতা ও বেতবাড়িয়া গ্রামের যৌথ ঈদগা মাঠ) ও খাঁটিহাতা জামে মসজিদে খতিবের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। একই সাথে ওই ঈদগা মাঠের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার জীবনের অধিকাংশ সময়ই ইসলামী কাজে ব্যয় করেছেন। অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসও সুদীর্ঘ।

জীবন কাল:
***********
সুদীর্ঘ বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী আল্লামা মোহাম্মদ আলী অনেক বন্ধুর পথ অতিক্রম করেছেন। তিনি ১৯৮০ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত বিশ্বের বড় বড় ওলামাদের সম্মেলনে যোগ দান করেন। ওই বছর তিনি খেলাফত লাভ করেন। দীর্ঘ তিন যুগ পরও তিনি নিজেকে এভাবে উপস্থাপন করেননি। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা ও অর্ধলক্ষাধিক আলেম। হাজার হাজার ওয়াজ ও তফছির মাহফিলে সভাপত্বি করেছেন। অনৈসলামিক কাজের বিরোধীতা করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন একাধিকবার। বৃদ্ধ বয়সে কারা বরণও করেছেন। ’৭০ দশকে কুট্টাপাড়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে (কুট্টাপাড়া খেলার মাঠ সংলগ্ন) কালাশাহ’র কাল্পনিক আসন দরগা তৈরি করে শিরক ও বেদাআদ করতে থাকে নিজ গ্রোত্রের লোকজন। মাজার সমর্থকরা ওরসের নামে কুট্টাপাড়া খেলার মাঠে চালু করেছিল। দীর্ঘ আন্দোলনের পর ’৮৪ সালে কাল্পনিক মাজার উচ্ছেদ করতে সক্ষম হন। ওই বছর থেকেই কুট্টাপাড়া মাঠে হেফাজতে ইসলাম নামের এক সংগঠনের মাধ্যমে ওয়াজ ও তফসির মাহফিলেন অয়োজন করেন।
একই দশকে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চালু করা হয় মেলার নামে জুয়া ও অনৈসলামিক কাজ। এর প্রতিবাদে সহপাঠি উপজেলা সদরের আলীনগর গ্রামের বাসিন্দা আল্লামা সিদ্দিকুল্লাহ কাসেমীকে (রহঃ) নিয়ে ’৭৫ সাল থেকে ওই মাঠে চালু করেন ওয়াজ ও তফসির মাহফিল। আল্লামা সিরাজুল ইসলাম (বড় হুজুর রহঃ) এখানে পবিত্র কোরআন তফসির করতেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি সরাইল উপজেলার সবচেয়ে বড় তফসির মাহফিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (৪৫ বছর) ওই তফসির মাহফিলের সভাপতি ছিলেন। বৃদ্ধ বয়েসেও তিনি কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সময় কাটাতেন। কোরআনই ছিল তাঁর আসল বন্ধু।

হজ্ব পালন:
***********
১৯৯৭ সালে তিনি পবিত্র হজ্ব ও ২০১৪ সালে ওমরা পালন করেন। তিনি ছিলেন শিরক-কুফর-ফেতনা ও বাতেল বিরোধী আন্দোলনের জীবন্ত ইতিহাস। সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শতবর্ষী এ আলেমে দ্বীন গোটা উপজেলায় সরাইলের বড় হুজুর হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

সামাজিক কাজ:
****************
এলাকায় কোনো দাঙ্গা ফ্যাসাদ হলে তিনি ছুটে যেতেন শান্তির দূত হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হতেন। আর এইভাবেই তিনি সামাজিক কাজ গুলো করে মানুষের কাছে স্মরণীয় বরণীয় হয়ে আছেন অনন্তকাল।

মৃত্যু:
*****
সরাইলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই আলেম বার্ধক্যজনিত কারণে ৮ই ডিসেম্বর ২০১৯ সালে ১০৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর ইচ্ছায় জামিয়া ইসলামিয়া তাজুল উলুম মালীহাতা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শায়িত করা হয়েছে।

পরিশেষে:
**********
তিনি কোরআন ও সুন্নাহভিত্তিক জীবন যাপন করেছেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুন্নত কায়েম করার চেষ্টা করেছেন। হে রব প্রিয় এই আলেমকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।

ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামী বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের বাড়ির ইট।
11/07/2022

ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামী বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের বাড়ির ইট।

এ্যাডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল ইসলামমুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সংবিধান প্রণেতা।**************************************জন্ম:সাবেক সরাই...
04/07/2022

এ্যাডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সংবিধান প্রণেতা।
**************************************
জন্ম:
সাবেক সরাইল পরগনা বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার প্রসিদ্ধ গ্রাম কুট্টাপাড়ায় সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম ৯ জুন ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে জম্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম সৈয়দ বদিউর রহমান। মাতার নাম মরহুমা মোছাম্মৎ মুর্শেদা খাতুন এবং স্ত্রীর নাম মরহুমা মেহের আফজান চৌধুরী।

শিক্ষা অর্জন:
তিনি সরাইল অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৫২ সনে এসএসসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ হতে ১৯৫৪ সনে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এল.এল.বি ডিগ্রী লাভ করে।

কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন:
১৯৬৪ সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বারে আইন পেশায় যোগদান করেন। পরবর্তীকালে হাইকোর্টের সনদ প্রাপ্ত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে সেই সময়ের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন। পেশাগত জীবনের শুরুতেই আওয়ামীলীগে যোগদান করে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০ ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে তৎকালীন কুমিল্লা-২ (বর্তমানে ব্রাহ্মনবাড়িয়া-২) অঞ্চলের পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এম-পিএ) নির্বাচন হন। প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসাবে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে গণপরিষদ সদস্য হিসাবে পূর্বাঞ্চলীয় “লিবারেশন কাউন্সিলের” অন্যতম সদস্য নিযুক্ত হন।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ:
মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন বলিষ্ঠ সংগঠক হিসাবে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করতে আত্মনিয়োগ করেন। তাছাড়া তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা লাভের পর তিনি সরাইল থানা প্রশাসক হিসাবে বাংলাদেশ সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন।

সংবিধান প্রনয়ন ও রাজনৈতিক নেতা:
১৯৭২-এ গণপরিষদের সদস্য হিসাবে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ (ব্রাহ্মনবাড়িয়া মহকুমা হতে জেলা আওয়ামীলীগ) এর সাংগঠনিক একাদিক পদে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ১৯৯৬ খ্রিঃ হতে ২০০৪খ্রিঃ পর্যন্ত অত্যন্ত যোগ্যতা এবং সফলতার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সকল প্রকার কলাকানুন বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে হুলিয়ার সম্মুখীন হন।

আওয়ামীলীগ অফিস নির্মাণ:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালে ২৭ জুলাই সিলেট যাওয়ার পথে ব্রাহ্মনবাড়িয়া ও সরাইল এলাকায় তাঁকে বিপুলভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঐ সময় বঙ্গবন্ধু স্বয়ং সরাইল প্রাতঃ বাজারে আওয়ামীলীগের অফিস উদ্বোধন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৭০ সালের ৫ই এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ব্রাহ্মনবাড়িয়া শহরে আগমন করেন এবং বিশাল জনসভায় ভাষণ প্রদান করেন। উক্ত সভায় এ্যাডভোকেট জনাব সিরাজুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কারাবাস:
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট মার্কিন দালাল বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোস্তাক আহমদের নেতৃত্বে স্বাধীনতা-বিরোধী চক্র স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে। মোস্তাক চক্রের নির্দেশে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের লোকদের গ্রেফতার ও নির্যাতন। ঐ সময় এ্যাডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল ইসলামকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখা হয়। তখন কুমিল্লা কারাগারে আটক ছিলেন।মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জিল্লুর রহমান (পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি) এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর অন্যতম সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেক প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী।

মৃত্যু:
২০০৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আজীবন আওয়ামীলীগের সংগ্রামী কর্মী এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ অনুসারি এ্যাডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর প্রতি ব্রাহ্মনবাড়িয়া তথা সরাইল বাসীর বিনম্র শ্রদ্ধা।

পায়েল ঠাকুর ইতালীয় অভিনেতা।**********************জন্মঃবাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা...
19/06/2022

পায়েল ঠাকুর
ইতালীয় অভিনেতা।
**********************
জন্মঃ
বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম সোলেমান ঠাকুর। পুরো নাম আল এমরান। পারিবারিক পদবি ঠাকুর। ডাকনাম পায়েলের সঙ্গে পারিবারিক পদবি মিলিয়ে নাম নিলেন পায়েল ঠাকুর। এই নামেই এখন তাঁর পরিচিতি।

শিক্ষা গ্রহণঃ
সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুলজীবন শেষ করে এসে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা আইডিয়াল কলেজে। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে প্রথমবার পাড়ি জমিয়েছিলেন ইতালিতে। পরে ফিরে এসে ভর্তি হন তেজগাঁও কলেজে। সেখানে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবার ইতালি যান।

কর্মজীবনঃ
১৯৯৯ সালে কর্মসংস্থানের জন্য প্রথমবার ইতালি গিয়ে ব্যর্থ মনোরথে ফিরে এসেছিলেন পায়েল। মাত্র তিন মাস ছিলেন সেবার। বিদেশ-বিভুঁইয়ে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার মতো কর্মসংস্থান করে উঠতে পারেননি তিনি।
মূল সমস্যা ভাষা। ইতালীয় ভাষাটা কিছুতেই রপ্ত হচ্ছিল না। সেই ব্যর্থতা ছাইচাপা আগুনের মতো বুকের ভেতর ছিলই।

দ্বিতীয়বার ইতালি গিয়ে প্রথমেই একটি ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হন। মোটামুটি কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো ভাষা শিখে চাকরি নেন একটি বারে। এর ঠিক উল্টো দিকেই ছিল একটি থিয়েটার স্কুল। এই স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকেরা মহড়া শেষে আড্ডা দিতে আসতেন বারে। অধিকাংশই তরুণ। পায়েলের সঙ্গে তাঁদের ভাব জমে উঠল অল্প দিনেই। ওদের সঙ্গেই কখনো-সখনো মঞ্চনাটক দেখতে যেতেন। নাটক দেখে ফিরে আসার পরও সেই ঘোর থেকে মুক্তি মিলত না। সারা দিনের খাটাখাটুনির পর রাতে বিছানায় গেলে কখনো স্বপ্নের ভেতর নিজেকেও যেন সেই মঞ্চে দেখতে পেতেন। কিন্তু দিনের বেলা প্রচণ্ড কাজের মধ্যে চাপা পড়ে যেত সেই স্বপ্ন।

এ রকম টানাপোড়েনের দিনগুলোতে বন্ধুরা তাঁকে উদ্বুদ্ধ করল তাঁদের সঙ্গে থিয়েটার স্কুলে ভর্তি হতে। সাতপাঁচ না ভেবে ভর্তি হয়ে গেলেন পায়েল। বছর খানেক চলল থিয়েটার স্কুলে পাঠ নেওয়া ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ। পিয়ের পাওলো সেপে, হোসাইন তাহেরির মতো নাট্যকার-নির্দেশকদের কাছে হাতে-কলমে পাঠ নেওয়ার অভিজ্ঞতা অনেক দূর এগিয়ে দিল তাঁকে।

অভিনয় শিল্পীঃ
২০০২ সালে প্রথম সুযোগ পেলেন ফ্রান্সেসকা গার্সেয়া নির্দেশিত একটি নাটকে যার নাম বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায় "আমরা কেউ কাউকে চিনি না"।

প্রথম নাটকের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে পায়েল বললেন, ‘দিনের বেলা বারের কাজ শেষ করে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর আট ঘণ্টা মহড়া চলত। অমানুষিক কষ্ট। কিন্তু সেই কষ্টের কথা ভুলে গেছি প্রথম মঞ্চায়নের দিন দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে। সেই দিনটি আমি জীবনে ভুলব না।’ এরপর একে একে বেশ কিছু মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিরর অব বাটারফ্লাই, রোমানি প্রভৃতি।

মঞ্চে কিছুটা খ্যাতি পাওয়ার পর ডাক এল টেলিভিশন নাটকে। পায়েলের অভিনীত টিভি নাটকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দ্য টিম, এ ডক্টর ইন এ ফ্যামিলি, দ্য ক্যারাবিনিয়েরি, অল ক্রেজি ফর লাভ, পুলিশ স্টেশন প্রভৃতি। এর মধ্যে ক্যারাবিনিয়েরি নাটকে পায়েল সহ-অভিনেতা হিসেবে পেয়েছিলেন উপমহাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রাভিনেতা কবির বেদীকে।

টিভি থেকে চলচ্চিত্রে পা রাখতে সময় লাগেনি বেশি। কারণ ইতিমধ্যেই পায়েলের অভিনয়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হচ্ছে রিটুরনেল্লা, আকুয়াডোট্রো সিলভিও, দ্য ইমিগ্র্যান্ট প্রভৃতি।

বহুল প্রশংসিত ছবি লেটারা ডা মাদ্রাজ-এ পায়েলের অভিনয়ের খ্যাতি তাঁর পেশাকে দাঁড় করিয়েছে শক্ত মাটির ওপর। দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসাও পেয়েছেন। ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে কান চলচ্চিত্র উৎসব, রোম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও ইরাকের কুহক চলচ্চিত্র উৎসবের মতো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের বড় আসরগুলোতে।

পরিশেষেঃ
সরাইলের এই সন্তান আজ ইতালির মঞ্চ ও টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্র অঙ্গনে পরিচিত মুখ। যা বাংলাদেশের গর্ব, সরাইলের গর্ব।

গিরীন চক্রবর্তীগায়ক ও সুরকার।***********************জন্ম গ্রহনঃ৫ ই মে ১৯১৮ সালে গিরীন চক্রবর্তী বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়ি...
18/06/2022

গিরীন চক্রবর্তী
গায়ক ও সুরকার।
***********************
জন্ম গ্রহনঃ
৫ ই মে ১৯১৮ সালে গিরীন চক্রবর্তী বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

সঙ্গীতের শিক্ষাঃ
সঙ্গীতের ক্ষেত্রে এই উপমহাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার অবদান উল্লেখযোগ্য। এই জেলার সঙ্গীতসাধকদের অন্যতম হলেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ আয়েত আলি খাঁ, ওস্তাদ আলি আকবর খাঁ, মহর্ষি মনমোহন দত্ত, ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খাঁ প্রমুখ। এই সুরসাধকদের সমৃদ্ধ মাটি ও তিতাসের জল হাওয়ায় বেড়ে উঠেছেন গিরীন চক্রবর্তী। সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও ওস্তাদ আফতাবউদ্দিন খাঁ সাহেবের কাছে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি লোকসঙ্গীতের প্রতি ছিল তার প্রবল টান।

সঙ্গীত জীবনঃ
বাংলা গানের অনন্য এক শিল্পী গিরীন চক্রবর্তী। সঙ্গীতের কাছে সমর্পিত এই সাধক শিল্পী অজস্র গানের তিনি লিখেছেন, সুর দিয়েছেন ও গেয়েছেন। এর মধ্যে লোকগীতি, শ্যামাসঙ্গীত, দেশাত্মবোধক গান, আধুনিক গান সহ বহু চলচ্চিত্রের গান রয়েছে।

গান রচনা করে গেয়েছেন কখনও স্বনামে আবার কখনও ছদ্মনামে। সুজন মাঝি, রতন মাঝি, দ্বিজ মহেন্দ্র হলো তাঁর ছদ্ম নাম।
আবার ইসলামি গানের ক্ষেত্রে ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন সোনা মিঞা।
দুঃখের বিষয় হলো তাঁর এই অসংখ্য গানের কোনও সংকলন নেই।

কর্মজীবনঃ
গিরীন চক্রবর্তী কর্মজীবনে ঢাকা বেতারে কাজ করেন কিছুদিন। এর পরে কলকাতায় চলে আসেন এবং আকাশবাণী কলকাতায় যুক্ত থাকাকালীন চালু করেন পল্লীগীতির আসর। কবি জসীমউদ্দিন যেমন ছিলেন পল্লীকবি তেমনি গিরীন চক্রবর্তী ছিলেন পল্লীগীতির গুরু।

এইচ এম ভি- তে ট্রেনার হিসাবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। এই সময়েই তিনি খ্যাতির শিখরে পৌঁছান। এই সময়ে তাঁর কাছে তালিম নিয়ে যে সকল শিল্পীরা খ্যাতি অর্জন করেছেন তাঁরা হলেন আব্বাসউদ্দীন, চিত্ত রায়, ভবানীচরণ দাস, চিন্ময় লাহিড়ী, আঙুরবালা দেবী, ইন্দুমতী দেবী, কমলা ঝরিয়া, শৈল দেবী, হরিমতি দেবী, রাধারাণী দেবী, যূথিকা রায়, শচীন দেববর্মন, তালাত মামুদ, অসিতবরণ, সত্য চৌধুরী, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, বাঁশরী লাহিড়ী, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। বলা যায় তালাত মামুদকে আবিষ্কার করেন গিরীন চক্রবর্তী।

এছাড়াও তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। সংগীত নাটক একাডেমির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তিনি সদস্য ছিলেন। সৃষ্টিশীল জীবনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হলেছিলেন তিনি।

গান রচনাঃ
গিরীন চক্রবর্তী রচিত লোকগীতি গেয়েছেন আব্বাসউদ্দীন, অমর পাল, বিষ্ণুপদ দাস প্রমুখ। এ কথা সকলেরই জানা যে ‘আল্লা ম্যাঘ দে পানি দে’ গানটির প্রথম চারটি লাইন সংগৃহীত হলেও পরের লাইনগুলি লেখেন তিনি। লিখেছেন ‘নাও ছাড়াইয়া দে পাল উড়াইয়া দে’-র মতো কালজয়ী গান।
দুটি গানই আব্বাসউদ্দীনের গলায় অসম্ভব জনপ্রিয়।
দেশভাগের যন্ত্রণা থেকে তাঁর রচিত- ‘কিশোরগঞ্জে মাসির বাড়ি/ মামার বাড়ি চাতলপাড়/ বাপের বাড়ি বামনবাইড়া/ নিজের বাড়ি নাই আমার।’ এবং ‘শিয়ালদহ গোয়ালন্দ আজও আছে ভাই/ আমি যাব আমার বাড়ি সোজা রাস্তা নাই। গান দুটির আবেদন সে সময়ে মানুষকে চমকে দিয়েছিল।

কাজী নজরুল ইসলামের সাথে সখ্যতাঃ গিরীন চক্রবর্তী ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম সাহেবের বন্ধু ও সহকারী। একেবারে ছোট ভাইয়ের মতো। গিরীন চক্রবর্তীর ঢাকার পৈতৃক বাড়িতে কাজী সাহেব অনেকবার গেছেন। কাজী সাহেবের পরিবারের সদস্যরাও গিরীনবাবুকে নিজেদের পরিবারের একজন বলে মনে করতেন। কাজী সাহেবের লেখা অন্তত ২৪ টি গানে সুরারোপ করেছেন গিরীন চক্রবর্তী।

"এই শিকল পরা ছল" গানটিতে গিরীনবাবুর সুর স্বয়ং নজরুলকেও বিস্মিত করে। "কারার ওই লৌহ কপাট" গানটির প্রথম গ্রামাফোন রেকর্ড হয় গিরীনবাবুর গলায়। "বিদ্রোহী" ও "নারী" কবিতা দুটির অংশবিশেষ সুর করে নিজের গলায় রেকর্ড করেন গিরীনবাবু।
কাজী নজরুল ইসলাম, গিরীন চক্রবর্তী ও আব্বাসউদ্দীন, এই ত্রয়ীর এক অদ্ভুত সম্পর্ক ছিল।

জীবনাবসানঃ
১৯৬৫ সালের ২২ ডিসেম্বর মাত্র ঊনষাট বছর বয়সে এই অসম্ভব গুণী মানুষটি বড় অকালে প্রয়াত হন।

পরিশেষেঃ
সঙ্গীতের ধারায় বহুবিস্তৃত পথে হেঁটেছেন গিরীন চক্রবর্তী। তাঁর সেই বহুবিধ যাত্রার উপযুক্ত গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।

Address

Sarail
3430

Telephone

+8801324215212

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Historical Sarail posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Historical Sarail:

Videos

Share

Category



You may also like