08/01/2025
**সাংবাদিক সমিতি/ক্লাব/সংঘের কার্যক্রম: বিভ্রান্তি ও বাস্তবতা**_______( মিলাদ মুদ্দাচ্ছির )......….........................
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, মহানগর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত, অসংখ্য সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক সংগঠন, ক্লাব ও সমিতি গড়ে উঠেছে।
অনুরুপভাবে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ব্যক্তিদেরও রয়েছে নানাবিধ সমিতি ও ক্লাব, যা একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ও স্বতন্ত্র। কিন্তু বিভিন্ন সময় সমিতি / ক্লাব বা সংঘ নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক আমাদের সামনে আসে, যা প্রতারণা ও দুরভিসন্ধিমূলক। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টি পরিষ্কার করা জরুরি বলে মনে করছি।
বিষয়টি হলো:
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিভিন্ন ধরনের সংগঠন বিদ্যমান। যেমন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (BFUJ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (DUJ), বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (CRAB), ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (EMJA), এবং বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটি (BRU), জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেমন খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুরেও আলাদা প্রেস ক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব ও অন্যান্য ক্লাব রয়েছে। এ সংগঠনগুলো স্বাধীনভাবে সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন, ও অধিকার রক্ষা এবং সেবার লক্ষ্যে কাজ করে।
একইভাবে, সন্দ্বীপেও রয়েছে সন্দ্বীপ রিপোর্টার্স ক্লাব, সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাব, অনলাইন প্রেস ক্লাব, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি সমিতি /ক্লাব।
🔽
যে বিষয়টি বারবার বোঝা প্রয়োজন, তা হলো—প্রতিটি ক্লাব ও সমিতি সম্পূর্ণ স্বাধীন। একটি সংগঠনের সঙ্গে অন্যটির কোনো সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। যেমন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সঙ্গে ঢাকা প্রেস ক্লাব বা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের কোনো আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। একইভাবে, ঢাকা রিপোর্টার্স ক্লাবের সঙ্গে খুলনা, বরিশাল বা সিলেট রিপোর্টার্স ক্লাবের কোনো সম্পর্ক নেই, প্রতিটি সমিতি ও ক্লাব আলাদা।
⏫
⏬
একইভাবে, সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবের সাথে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, ঢাকা প্রেস ক্লাব, বা জাতীয় প্রেস ক্লাবেরও কোন সম্পর্ক নেই। এবং অন্যান্য ক্লাব গুলোও আলাদা আলাদা সমিতি মাত্র।
🔼
সাংবাদিক ক্লাব বা সমিতি গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো সাংবাদিকদের পেশাগত সহায়তা প্রদান, তাদের অধিকার রক্ষা করা এবং সমাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা।
📍সন্দ্বীপের মতো জায়গায় বিভিন্ন সাংবাদিক ক্লাবের কার্যক্রমও এ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হওয়ার কথা। তবে, কিছু ব্যক্তি বা সংগঠনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে পুরো সাংবাদিকতা পেশার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দায়িত্ব হলো জনস্বার্থ এবং পেশাগত নীতিমালা অনুসরণ করা। যদি কোনো সংগঠন বা সদস্য এ থেকে বিচ্যুত হয়, তবে সেটি সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। জনস্বার্থে কাজ করা সংগঠনগুলোর দায়িত্ব এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করা এবং নিজেদের পেশাগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
সর্বোপরি, সাংবাদিক ক্লাব বা সমিতিগুলো যেন তাদের মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হয়, তা নিশ্চিত করাই সবার দায়িত্ব। প্রতারণামুলক প্রচারণা ও অপব্যাখ্যার মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা উচিত। স্বচ্ছ, সুনির্দিষ্ট ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাই একটি সমাজকে এগিয়ে নিতে পারে।
পরিশেষে বলতে চাই, প্রত্যেকটি সংগঠন আলাদা, স্বতন্ত্র, ও স্বাধীন। কেউ কারো শাখা বা উপশাখা নয়, এবং তাদের কার্যক্রমের জন্য তারা নিজেরাই দায়বদ্ধ। সাংবাদিক সংগঠনগুলোর স্বচ্ছতা ও জনকল্যাণে অবদান নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। বিভ্রান্তি দূর করে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরাই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত