18/11/2022
পৃথিবীতে মানুষ ব্যতিত সকল প্রাণী প্রিলোডেড ব্রেইন নিয়ে জন্মগ্রহন করে। তাই তারা জন্মের কিছু সময় পরেই নিজের ভাল-মন্দ বুঝতে শেখে।নিজের খাবার নিজেই যোগাড় করে, নিজেকে বিপদ থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করে। এসব প্রানি চলে প্রিলোডেড ব্রেইন আর নফসের তাড়নায়। তারা শুধু বেচে থাকা আর বংশবৃদ্ধির জন্য পরিশ্রম করে। কিন্তু একটি মানব শিশু পৃথিবীতে আসে শূন্য ব্রেইন নিয়ে। জন্মের পর থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত তার ব্রেইন পরিপক্ক হতে থাকে। প্রথমত তার চারপাশের লোকজনের আচার আচরণ তার ব্রেইন এ ইনস্টল হয়,এরপর তার আশেপাশের পরিবেশ, তারপর তার স্কুল, এভাবে সারাজীবন তার ব্রেইন কোটি কোটি ঘটনা ইনস্টল করে। আবার অনেক কিছু ডিলিটও করে দেয়। কিন্তু জীবনের প্রথম পাচ বছরের ডেটাগুলো তার আচরনে প্রকটভাবে দেখা যায়। কাজেই একটা শিশু যদি কোন খারাপ পরিবারে জন্ম নেয়,তাহলে তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অনেক বেশি থাকলেও নৈতিক শিক্ষার অভাব তার থাকবেই। সে বড় পদের অধিকারী হয়েও,মূর্খের মত আচরণ করবে। মানুষের শৈশবের পারিবারিক শিক্ষাই তার আচরণ হিসেবে প্রকাশ পায়। পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী নৈতিক শিক্ষা একমাত্র ধর্মের মাঝে বিদ্যমান। সকল ধর্মে মিথ্যা বলা,চুরি করা,অন্যের হক নষ্ট করা,খুন করা,ধর্ষণ করা মহাপাপ। কাজেই আপনি কোন ধর্মের সেটা বিবেচ্য নয়, আপনার পরিবার যদি আদর্শ পরিবার হয় তাহলে আপনার খারাপ কাজ করতে লজ্জা লাগবে।
যে খারাপ কাজ করে সেও কিন্তু জানে কাজটা খারাপ। কিন্তু কেন করে কারন তার ব্রেইন সেভাবেই ডেভোলোপ হয়েছে। তার ব্রেইন বলছে তোমার সম্পদ দরকার লোকে কি বলবে সেটা তুমি পাত্তা দিওনা।তোমার কারনে কে দুঃখ পেল সেটা তুমি দেখতে যেওনা। আপনি দেখেন সবচেয়ে বড় বড় দুর্নীতি করে বড় বড় শিক্ষিত ব্যক্তিরাই।খোঁজ নিয়ে দেখেন তাদের পারিবারিক শিক্ষা কোন স্তরের ছিল। হয়ত দেখবেন চোর,ঘুষখোর, দূর্নিতীবাজদের সন্তান তারা। ক্ষমতা এবং অর্থের দাপটে তারা নিজেকে বড় বড় পদে বসিয়েছে। পরিশেষে বলব কবর আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, আপনার অর্থ, ক্ষমতা, অহংকার কোন কিছু কবর গ্রহণ করবে না। এসব পৃথিবীতেই থেকে যাবে, পৃথিবীর মানুষ আপনাকে একেবারেই ভুলে যাবে।