Jalal parvez

Jalal parvez গবাদীপ্রাণীর রোগ এবং রোগের কারণ ও প্র?

14/09/2024

ছাগলের খুরে মাটি বা নোংরা ময়লা প্রবেশ করলে এরকম প্রচণ্ড ব্যাথা হয়।

গরুর লাম্পি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই দেশে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ বা এলএসডি না...
05/07/2024

গরুর লাম্পি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই দেশে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ বা এলএসডি নামে আরেক ভাইরাসের দেখা মিলেছে। এ ভাইরাস গবাদি পশুকে আক্রমণ করে থাকে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ভাইরাসে শত শত গরু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর কোনো প্রতিষেধক না থাকায় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে খামারিরা। এলএসডি গরুর জন্য একটি ভয়ঙ্কর ভাইরাসজনিত চর্মরোগ, যা খামারের ক্ষতির কারণ।

জানা যায়, ১৯২৯ সালে সর্বপ্রথম আফ্রিকা মহাদেশের জাম্বিয়াতে এ রোগ দেখা দেয়। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে মহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। মশা-মাছি বাহিত রোগটি মূলত মশার মধ্যমেই বেশি ছড়ায়। আক্রান্ত গরু সুস্থ হতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। দিন দিন গরু-বাছুর দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে মারাও যায়। একটি খামারকে অর্থনৈতিকভাবে ধসিয়ে দিতে খুরা রোগের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর রোগ এটি।

বাংলাদেশে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রথম দেখা দেয় ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে। এরপরই মাঠে নামে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তদন্ত টিম। তখন দেশের ১২ জেলায় ৪৮ হাজার গরুর মধ্যে এ রোগের লক্ষণ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। এ বছর আবার এ রোগটি দেশের বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি আফ্রিকা মহাদেশে ৪০ শতাংশ গরু এ রোগে মারা গেছে বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।

Advertisement

রোগের কারণ: মূলত এটি একটি পক্স ভাইরাস বা লাম্পিং স্কিন ডিজিজ ভাইরাসজনিত রোগ। ভাইরাসটি Poxviridae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত Capripox virus গণের ভাইরাস। ছাগল ও ভেড়ার পক্স ভাইরাসের সাথে এ ভাইরাসের খুবই সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এ ভাইরাস গরু ছাড়া মহিষেও ছড়াতে পারে। এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। ছাগল ও ভেড়ায় প্রতিলিপি তৈরি করলেও এরা সাধারণত লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয় না। এ ছাড়াও এ ভাইরাস মানুষকে আক্রমণ করে না।

আক্রান্তের সময়: রোগটি প্রধানত বর্ষার শেষে, শরতের শুরুতে বা বসন্তের শুরুতে মশা-মাছির বেশি বিস্তারের সময় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

রোগের লক্ষণ: এলএসডি আক্রান্ত গরু প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাবার রুচি কমে যায়। জ্বরের সাথে সাথে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়, দুই পায়ের মাঝে পানি জমে যায়। পশুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামড়া পিন্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়। আর এ ক্ষত শরীরের অন্যান্য জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। শরীরের কোথাও কোথাও ফুলে যায়। যা ফেটে টুকরা মাংসের মত বের হয়ে ক্ষত হয় এবং পুঁজ কষাণি বের হয়। পাকস্থলী বা মুখের ভেতরে সৃষ্ট ক্ষতের কারণে গরুর পানি পানে অনীহা তৈরি হয় এবং খাদ্য গ্রহণ কমে যায়।

যেভাবে ছড়ায়: এ রোগে আক্রান্ত গরু থেকে বিভিন্ন উপায়ে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হলো মশা ও মাছির আক্রমণ। মশা ও মাছিকে এ ভাইরাসের প্রধান বাহক হিসেবে দায়ী করা হয়। অন্যান্য কীট-পতঙ্গের মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। আক্রান্ত গরুর লালা গরুর খাবারের মাধ্যমে এবং খামার পরিচর্যাকারী ব্যক্তির কাপড়ের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত গাভির দুধেও এ ভাইরাস বিদ্যমান। তাই আক্রান্ত গাভির দুধ খেয়ে বাছুর আক্রান্ত হতে পারে। গ্রাম-গঞ্জের প্রাণি চিকিৎসকগণ এক সিরিঞ্জ ব্যবহার করে বিভিন্ন গরু-ছাগলকে টিকা দেয়। এতেও সিরিঞ্জের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসে আক্রান্ত ষাঁড়ের সিমেন প্রজননে ব্যবহার করলেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। শুধু গরু, মহিষ ও ছাগল এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
প্রতিকার: যেকোনো রোগের চিকিৎসা সহজ হলেও এ রোগের চিকিৎসা সহজ নয়। এর আগেও রোগটির আক্রমণ হলেও এ রোগের ভ্যাকসিন সহজলভ্য নয়। তবে খামারের ভেতরের এবং আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে মশা-মাছির উপদ্রব কমিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আক্রান্ত গরুর খামারের শেড থেকে আলাদা করে অন্য স্থানে মশারি দিয়ে ঢেকে রাখলে অন্য গরুতে সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আক্রান্ত গাভির দুধ বাছুরকে খেতে না দিয়ে মাটি চাপা দেওয়া উচিত। আক্রান্ত গরুর ব্যবহার্য কোনো জিনিস সুস্থ গরুর কাছে না আনা বা খাবার অন্য গরুকে খেতে না দেওয়া। ক্ষতস্থান টিংচার আয়োডিন মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার রাখা।

প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞদের মত: এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। শুধু সচেতনতার মাধ্যমেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হয়। প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিপাইরেটিক ও অ্যান্টিহিস্টামিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। নডিউল বা গুটি ফেটে গেলে বা সেকেন্ডারি ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন দমন করার জন্য সিস্টেমিক অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়াও ফেটে যাওয়া গুটিতে যেন মশা-মাছি বসতে না পারে, সে জন্য ফ্লাই রিপিলেন্ট ব্যবহার করা যায়। তবে ২১ দিন পর সাধারণত এমনিতেই রোগটি সেরে যায়। তাই লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলেই দ্রুত উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে যোগাযোগ করুন।

নিম্নে গরুর ঘা শুকানোর ঔষধ এর নাম উল্লেখ করা হলো:নিগোটক্স (Nigotox Tablet),নেবানোল পাউডার (Nebanol Powder),সালফাভেট ট্যা...
27/06/2024

নিম্নে গরুর ঘা শুকানোর ঔষধ এর নাম উল্লেখ করা হলো:

নিগোটক্স (Nigotox Tablet),
নেবানোল পাউডার (Nebanol Powder),
সালফাভেট ট্যাবলেট (Sulphavet Tablet),
সুমিড-ভেট (Sumid-Vet),
বেটামেসন-সি.এল (Betameson-CL)।
এগুলো হলো গরুর ঘা শুকানোর পাঁচটি বিশেষ ঔষধের নাম এবং এই ঔষধ গুলোর মধ্যে একটি পাউডার রয়েছে। অর্থাৎ আপনি যদি গরুর ঘা শুকাতে চান তাহলে উপরোক্ত ঔষধ গুলো সরবরাহ করুন এবং পাউডার লাগিয়ে দিন।

গরুর ঘা হলে করণীয় কি?
প্রায় বিভিন্ন কারণে আমাদের গরুর শরীরে ক্ষত বা ঘা সৃষ্টি হতে পারে এবং অসুখ থেকেও এটি হতে পারে। তবে আপনার গরুকে উন্নত করতে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে অবশ্যই আপনাকে সঠিক করণীয় অবলম্বন করে গরুর ঘা ঠিক করতে হবে।

তাই নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু গরুর ঘা হলে করণীয় কি সেগুলো উল্লেখ করা হলো:

প্রথমে যেকোনো অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করে গরুর ক্ষত স্থান পরিষ্কার করতে হবে।
গরুর ক্ষত স্থান পরিষ্কার করা হলে, আপনাকে উক্ত স্থানে নেবানল পাউডার দিতে হবে।
এরপর আপনাকে আপনার গরুর জন্য খাবার প্রস্তুত করতে হবে এবং সঠিক খাবার প্রদান করতে হবে।
গরুর খাবার খাওয়া শেষ হলে, উপরোক্ত যে কোন একটি ঔষধ আপনি আপনার গরুকে প্রদান করবেন।
আর অবশ্যই আপনাকে আপনার গরুর জন্য বিশ্রামের সুব্যবস্থা করতে হবে।
আর সর্বশেষ করণীয় হচ্ছে আপনাকে ইনফেকশনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং অন্য গরু থেকে পৃথক করতে হবে।
এগুলো ছিল কিছু করণীয় এবং এই করণীয় গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আমরা খুবই সহজে গরুর ঘা চিকিৎসা দিতে পারব। আর এইভাবে কাজ করার ফলে আমাদের গরুর ঘা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে বা ঘা দ্রুত শুকিয়ে যাবে।

শেষ কথা:
গরুর ঘা শুকানোর ঔষধের নাম এবং ঘা হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আজকের পোস্টটিতে আপনারা পাবেন। তাই আপনি যদি গরু পালন করে থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার গরুর চিকিৎসার জন্য কার্যকর।

তবে আমি যে ঔষধগুলো প্রদান করেছি, তার মধ্যে যেকোনো একটি আপনি ব্যবহার করবেন গরুর ঘা শুকাতে।

আর গরুকে ঔষধ দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে উপরে দেওয়া করণীয়গুলো সঠিক মত পালন করতে হবে।

আমরা যখন সঠিক নিয়মে আমাদের গরুকে চিকিৎসা প্রদান করে, তখন চিকিৎসা অনেক বেশি কার্যকর হয়। তাই আপনি যদি আপনার গরুর চিকিৎসা কার্যকর করতে চান তাহলে, আমাদের দেওয়া করণীয়গুলো অবলম্বন করুন।

আর আপনার গরুর যদি ঘা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আমি বলব অবহেলা করা উচিত হবে না।

কেননা ক্ষত বা ঘা থেকে পরবর্তীতে আপনার গরুর ইনফেকশন শুরু হতে পারে এবং এর জন্য আপনাকে চিকিৎসা নিতে হবে।

গবাদি প্রাণীর সদ্যজাত বাছুরের যত্ন ও পরিচর্যা:স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর জন্ম প্রক্রিয়া একই হলেও কিছু প্রাণীর ক্ষেত্রে...
07/11/2023

গবাদি প্রাণীর সদ্যজাত বাছুরের যত্ন ও পরিচর্যা:

স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর জন্ম প্রক্রিয়া একই হলেও কিছু প্রাণীর ক্ষেত্রে জন্মপরবর্তী নিবিড় যত্ন দরকার হয়। আমাদের দেশে ঘাস আর খড়ের উপর নির্ভর করে পালন করা দেশি গরুর বাছুরের জন্ম পরবর্তী জটিলতা হতো না বললেই চলে কারণ একদিকে গর্ভাবস্থায় গরু যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর ঘাস পেতো আবার অন্যদিকে গরু ছিল সব জাতের। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় বিদেশি ক্রস জাতের গাভী এবং বাছুরের জন্য জন্মপরবর্তী নিবিড় পরিচর্যা জরুরি। যে কোন প্রাণী ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে খুব অসহায় অবস্থায় থাকে এবং পরিচর্যার মাধ্যমে তাকে সুস্থ সবল করে তুলতে হয়। জন্মপরবর্তী পরিচর্যার উপরেই একটা বাছুরের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভরশীল। একটা বাছুরের যত্ন প্রধান করণীয় পর্যায়ক্রমিক কিছু কাজ রয়েছে। সেগুলো নিম্নরূপে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
প্রাথমিক পরিচর্যা ও যত্ন
বাছুরের জন্মের পরপরই পরিষ্কার বেড দিয়ে নাভি কেটে শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে। কাটার পর স্থানটিতে টিংচার আয়োডিন বা টিংচার বেনজিন জাতীয় জীবাণুনাশক ওষুধ লাগাতে হবে। এর ফলে রোগজীবাণু প্রবেশ করতে পারবে না। বাচ্চা প্রসবের পরপরই বাচ্চার নাক ও মুখের লালা ও ঝিল্লিই পরিষ্কার করে দিতে হবে নতুবা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যেতে পারে। যদি বাছুর প্রসব হওয়ার পর শ্বাস-প্রশ্বাস না নেয় তাহলে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে। বাছুরের বুকের পাঁজরের হাড়ে আস্তে আস্তে কয়েকবার চাপ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করা যায় এছাড়া বাছুরের নাকে-মুখে ফুঁ দিয়েও শ্বাস-প্রশ্বাস চালু করা যায়। বাছুরের নাক মুখ পরিষ্কারের পর গাভীর সামনে শুকনো খড় বিছিয়ে রাখলে গাভী চেটে বাচ্চার গা পরিষ্কার করে দেয়। এরপর শুকনো নরম খড়, কাপড় অথবা চট দিয়ে বাছুরের গা ভালো করে পরিষ্কার করে দিতে হবে। শীত বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় শুকনো কাপড় বা চট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। অথবা আগুন জ্বালিয়ে বাছুরের শরীর গরম রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সুস্থ-সবল বাছুর জন্মের ১৫ মিনিট পর থেকেই উঠার চেষ্টা করে এবং দুধ খেতে সক্ষম হয়। অনেক সময় নিজের চেষ্টায় দাঁড়াতে ও দুধ খেতে পারে না। এ অবস্থায় বাছুরকে দাঁড়াতে ও দুধ খাওয়াতে সাহায্য করতে হবে। প্রসবের ১-২ ঘণ্টার মধ্যে তার মায়ের শালদুধ খাওয়াতে হবে। যদি বাছুর দুর্বলতার কারণে দাঁড়াতে বা দুধ খেতে না পারে তবে বোতলে নিপল লাগিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে।
সদ্যজাত বাছুরের বাসস্থান ব্যবস্থাপনা
বাছুরের জন্য উপযুক্ত বাসস্থান প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান বাছুরকে রোগমুক্ত রাখার প্রধান সহায়ক। রোগমুক্ত রাখার জন্য তাদেরকে পৃথক করে রাখতে হবে এবং এর ফলে প্রতিটি বাছুরের রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর হয়। অনেক বাছুর একসাথে থাকলে দুর্বল বাছুরগুলো সবল বাছুরদের সাথে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে প্রয়োজনমাফিক খাবার খেতে পারে না এবং আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। বাছুরের ঘর ঢালু এবং শুকনো ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া ভালো। বাসস্থানে আলো-বাতাস সরাসরি প্রবেশের ব্যবস্থা থাকা উচিত। গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম এবং শীতকালে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার দ্বারা বাছুরগুলো যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরের মেঝেতে শুকনো খড় বা ছালার চট বিছিয়ে রাখা যেতে পারে। প্রতিটি বাছুরের জন্য ৪ ফুট দ্ধ ২ ফুট মাপের ঘরের প্রয়োজন। গ্রামীণ পর্যায়ে বাঁশ ও কাঠের সাহায্যে অতি সহজে ঘর নির্মাণ করা সম্ভব। ঘরে খাদ্য ও পরিষ্কার পানি সরবরাহ করার জন্য পাত্র রাখতে হবে।
খাদ্য ব্যবস্থাপনা
জন্মের পরপরই মায়ের শালদুধ খাওয়াতে হবে। অনেক বাছুরকেই জন্মের পরে পর্যাপ্ত শালদুধ খাওয়ানো হয় না ফলে বছরের মধ্যে সঠিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায় না। দুধ খাওয়ানোর নিয়ম হলো দৈনিক প্রতি ১০০ কেজি ওজনের জন্য ১০ কেজি অর্থাৎ ২০ থেকে ২৫ কেজি ওজনের জন্য দৈনিক ১.২ থেকে ১.৫ কেজি দুধ খাওয়াতে হবে। অবশ্যই আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে খাওয়ানো শুরু করা উচিত। এই দুধ খাওয়ালে বাছুরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বাছুরকে নিয়মিত গাভীর দুধ খাওয়াতে হবে অন্যথায় মিল্ক রিপ্লেসার এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টিরমান নিশ্চিত করতে হবে।
অন্যান্য সতর্কতা
সদ্যজাত বাছুরকে পানি দিয়ে ধৌত করা সমীচীন হবে না কারণ পানির সংস্পর্শে আসলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে এবং নানা ধরনের রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সংকর জাতের বাছুরের প্রায় ৪০ ভাগই যথাযথ যত্নের অভাবে মারা যায় ফলে খামারি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এজন্যই খামারিকে সদ্যজাত বাছুরের যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও পরিচর্যার প্রতি বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত

গাভী হিটে আসার লক্ষণমূলত প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে একটি পূর্ণ বয়স্ক গাভী গর্ভধারণের জন্য হিটে আসে। প্রতিটি গাভী স্বাভাবিক...
03/11/2023

গাভী হিটে আসার লক্ষণ

মূলত প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে একটি পূর্ণ বয়স্ক গাভী গর্ভধারণের জন্য হিটে আসে। প্রতিটি গাভী স্বাভাবিক নিয়মে ১৮ থেকে ২৪ দিন বিরতিতে ঋতুচক্রে ফিরে আসে। সাধারণত বেশিরভাগ গাভী রাতে হিটে আসতে দেখা যায়, ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডাকে আসার লক্ষণ বোঝা যায় না।

গাভীর ডাকে থাকা অবস্থা প্রায় ৬ থেকে ১৮ ঘন্টা স্থায়ী হয়। এ সময়ে প্রথম ৮ থেকে ১০ ঘন্টা গাভী অস্থির থাকে, তার যৌনদ্বার দিয়ে স্বচ্ছ সুতোর মত আঠাযুক্ত পানি বের হয় এবং অন্য গাভীর উপর লাফিয়ে উঠতে চেষ্টা করে। গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো হিটে আসা গাভীর উপর অন্য গরু উঠলে সে নীরব থাকে। সাধারণত ডাকের লক্ষণ শুরু হওয়ার ১২ থেকে ১৮ ঘন্টা পর চূড়ান্ত ডাক আসে।

গাভী হিটে আসার সময় ছটপট করবে। স্থির থাকতে পারবেনা। কম খাবে। গাভীর মাজা মুড়াবে। আবার অনেক গরু আছে তারা হামলায় আবার অনেক গরু হামলায় না। লেজের গোড়া বা তার আশপাশের জায়গায় শুকনা আঁঠালো পদার্থ লেগে থাকে। উত্তেজনা পর্ব ১ দিন বা ২৪ ঘন্টা স্থায়ী থাকে। অন্য গাভীর যৌনাঙ্গ শুকতে থাকবে।এছাড়া দুধ উৎপাদন কমে যাবে।

সতর্কতা ও করণীয়
উত্তেজনা ২৪ ঘন্টা স্থায়ী থাকে। আর আমাদের খামারি ভাইয়েরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রথম দিকে সিমেন দিয়ে থাকেন। কিন্তু এভাবে বিজ দিলে কন্সেপ্ট না করার হার ৯৯%। সুতারাং এই ধাপে কখনোই গাভীকে বীজ বা সিমেন দেওয়া যাবে না।
অপুষ্টি, আবহাওয়া, জলবায়ু, জাতের প্রভাব এবং বিশেষ করে প্রসবের পর ২/৩ ঋতুচক্রের সময় অনেক গাভীর ডাকে আসার লক্ষণ খুবই মৃদুভাবে প্রকাশ পায়। এসব ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ডাকের লক্ষণগুলি কমপক্ষে ২ ঘন্টা পর পর কাছ থেকে নজর রাখতে হয়। লেজের গোড়া বা তার আশপাশের জায়গায় শুকনা আঁঠালো পদার্থ লেগে আছে কিনা তা দেখতে হবে। এছাড়া আগের মাসের ডাকে আসার সঠিক দিনক্ষণ মনে রাখতে হবে।

প্রিয় খামারি মনে রাখতে হবে, গাভী বা গরুর যে কোন সমস্যা হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিসে। অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আপনাকে সেবা দিতে হবে।

ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ এর কবল থেকে আপনার প্রিয় গবাদী পশুকে বাঁচাতে মশা মাছির থেকে রক্ষা করুন এবং নিয়মিত ভ্যাকসিন করান।
24/10/2023

ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ এর কবল থেকে আপনার প্রিয় গবাদী পশুকে বাঁচাতে মশা মাছির থেকে রক্ষা করুন এবং নিয়মিত ভ্যাকসিন করান।

04/09/2023

আল্লাহ আমাদের গবাদী প্রাণীগুলোর প্রতি যেন সহায় হয়।আমিন।

Address

Badarganj Road
Rangpur
5430

Telephone

+8801710144444

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jalal parvez posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jalal parvez:

Videos

Share