Voice of village

Voice of village নীরবতা হল‌_বোকা প্রশ্নের সুন্দর একটি জবাব।
(22)

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস : প্রচলিত মিথ ও ইতিহাসের বাস্তবতা : নালন্দা মহাবিহার বা বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে প্রাচীনকাল থেকে...
12/12/2023

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস : প্রচলিত মিথ ও ইতিহাসের বাস্তবতা :

নালন্দা মহাবিহার বা বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে প্রাচীনকাল থেকেই জ্ঞানচর্চা হতো। যার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হয় না, বরং ধ্বংসের ইতিহাসচর্চা হয় ব্যাপকভাবে। অদ্ভুত হলেও সত্য যে, এই বিহারটির প্রতিষ্ঠাতার অনুসন্ধান করেন না ঐতিহাসিকগণ। বরং গবেষণা করেন ধ্বংসকারীর পরিচয় সনাক্তকরণে!

ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বখতিয়ার খলজির বিরুদ্ধে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগটি বহুল চর্চিত ও প্রচলিত। ২০১৪ সালে ভারতের রাজ্যসভায় কংগ্রেস-সদস্য করণ সিং ও সিপিএম-সদস্য সীতারাম ইয়েচুরির মধ্যে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের বিষয়ে বিতর্ক হয়। করণ সিং অত্যন্ত জোর গলায় এবং শক্ত ভাষায় দাবি করেন— বখতিয়ার খলজির হাতে বিহারটি ধ্বংস হয়েছে। আমরা এই লেখায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস পর্যালোচনা করার প্র‍য়াস চালাব।

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ‍‍‌‌
===============➤

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা থেকে ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং আধুনিক রাজগিরের ১১ কিলোমিটার উত্তরে বড়গাও নামক গ্রামের কাছে পাওয়া যায়। ভৌগোলিকভাবে প্রাচীন বাংলার সীমানার বাইরে হলেও এই অঞ্চলের সাথে তার যোগাযোগ ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাই বাংলার ইতিহাসচর্চার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাসও খুব চর্চিত হয়।

ধারণা করা হয় গুপ্ত সম্রাটগণই সর্বপ্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নির্দিষ্ট করে কোনো সম্রাটের কথা উচ্চারণ করতে চাইলে রাজা কুমারগুপ্তের নামটি সামনে আসে। সাধারণভাবে প্রচলিত ইতিহাসের বিবরণী এর প্রতিষ্ঠাকাল বুদ্ধের সময়কাল পর্যন্ত নিয়ে যায়। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনন থেকে গুপ্ত যুগের আগের কোনো নিদর্শন পাওয়া যায় না।[১] গবেষক মুসা আল হাফিজ মনে করেন, নালন্দা মহাবিহার নির্মাণ করেছেন বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ। তিনি নির্মাণের সময়কাল উল্লেখ করেছেন ৪২৭ খ্রিস্টাব্দ। [২] শুভজ্যোতি ঘোষ বলছেন ৪১৩ খ্রিস্টাব্দের কথা।[৩] শেষোক্ত মতটিই সর্বাধিক প্রসিদ্ধ।

এই মহাবিহারের নাম নালন্দা হওয়ার কারণ হিসেবে গবেষকগণ উল্লেখ করেছেন, গ্রামটির নাম ছিল নালন্দা। মহাবিহারটি নালন্দা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়
এর নামকরণ করা হয়—নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বা মহাবিহার। ‘নালন্দা’ শব্দের অর্থ ‘দানে অকৃপণ’। জ্ঞান বিলাবার ক্ষেত্রে সত্যিই অকৃপণ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি।[৪]

ইতালির বোলোনিয়াতে যখন ইউরোপের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হচ্ছে তখন নালন্দার বয়স ছাড়িয়ে গিয়েছে ছয়শ বছর। পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় এই নালন্দা।[৫] পুরো কমপ্লেক্সটি ছিল লাল ইটের চওড়া ও উঁচু দেয়াল দ্বারা সুরক্ষিত। পনেরো বর্গকিলোমিটার জুড়ে ছিল এর বিস্তৃতি। তার মধ্যে কেবল দশ শতাংশ খনন করা হয়েছে, বাকি অংশ এখনও মাটির নিচেই রয়ে গেছে। যে সময়ে পৃথিবীতে পারিবারিক বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষার বাইরে অন্য কোনো পঠনপাঠন পদ্ধতি চালু হয়নি, সেই সময়ে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ছিল প্রায় দশ হাজার এবং শিক্ষকের সংখ্যা দুহাজার! তৎকালে সবচেয়ে চিত্তাকর্ষণ ভবনটি ব্যবহৃত হতো গ্রন্থাগার হিসেবে। শত-সহস্র বইপুস্তক ছিল পাঠাগারটিতে। একটি গ্রন্থাগার-ভবন ছিল নয় তলা উঁচু। চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙের বিবরণ থেকে জানা যায়, নালন্দার শিক্ষাদীক্ষা ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। থাকা,খাওয়া, চিকিৎসা, সব কিছুই ছিল বিনিময়হীন। মূল ব্যয় বহন করা হতো রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। জনসাধারণও স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে সন্ন্যাসী ও ছাত্রদের জন্য খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র ইত্যাদি দান করত। এখানে মূলত স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করা হতো। দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার ছাত্র ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করত৷ ফলে ভর্তি প্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। [৬]

পাল বংশীয় রাজাদের শাসনামলে (আট থেকে বারো শতক) এটি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এই সময়ে এর শিক্ষাদীক্ষার মান সমৃদ্ধি লাভ করেছিল। কারণ পাল রাজাদের অকুন্ঠ ও উদারহস্থ পৃষ্ঠপোষকতা এবং দান-দক্ষিণা এমন ছিল, যা গুপ্তদের কৃতিত্ব ছাড়িয়ে গিয়েছিল। [৭]

তথ্যসূত্র
===============
১. আকসাদুল আলম: বাংলাপিডিয়া, ২ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, http:/ /bitly.ws/CFPs
২. মুসা আল হাফিজ: বাংলাদেশ ও ইসলাম; আত্নপরিচয়ের ডিসকোর্স, শোভাপ্রকাশ,ঢাকা,আগস্ট, ২০২২,পৃ: ১১৭।
৩.শুভজ্যোতি ঘোষ: বিবিসি নিউজ বাংলা, ১লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪,. http:/ /bitly.ws/CFUo
৪.পারভেজ সেলিম : আলোর দেশে, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, অনলাইন, http:/ /bitly.ws/D৩ch
৫. শুভজ্যোতি ঘোষ: বিবিসি নিউজ বাংলা, ১লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪,. http:/ /bitly.ws/CFUo
৬. সুদেব কুমার বিশ্বাস : http:/ /bitly.ws/CFWp
৭.আজসাদুল আলম : বাংলাপিডিয়া, ২ ফেব্রুয়ারি,২০১৫, http:/ /bitly.ws/CFPs

বঙ্গবিজেতা বখতিয়ার ৬৯-৭০

12/12/2023

প্রশান্তি তো সলাতের মধ্যেই,,শিক্ষামূলক গল্প।
"
"
#ভাইরাল #রিল #লোভ

রাজ্যহীন সুলতান থেকে দিল্লির বাদশাহভারতবর্ষে মুঘলদের কথা বললেই চলে আসে শক্তি , ক্ষমতা , যুদ্ধ , বিলাসিতা, ধার্মিকতা ও অধ...
12/12/2023

রাজ্যহীন সুলতান থেকে দিল্লির বাদশাহ
ভারতবর্ষে মুঘলদের কথা বললেই চলে আসে শক্তি , ক্ষমতা , যুদ্ধ , বিলাসিতা, ধার্মিকতা ও অধার্মিকতা। মুঘলদের ভারতে আসার পিছনে যে এক লম্বা সফলতা ও ব্যর্থতার গল্প রয়েছ তা তাদের বিলাসিতার ইতিহাসের আড়ালে প্রায় হারিয়ে গিয়েছে। প্রথম মুঘল বাদশাহ বাবুর একদিনে দিল্লি দখল করেন নি। দিল্লি দখলের পিছনে ছিল বিরাট এক ঘটনা।
জহিরুদ্দিন মুহাম্মাদ বাবুরের পিতা ছিলেন ফরগনা রাজ্যের শাসক। খুব অল্প বয়সে তিনি মাত্র পিতাকে হারান। তার যখন ১১ বছর বয়স , তখন তার পিতা এক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় মারা যান। উত্তরাধিকার সুত্রে তিনি সিংহাসনের কাছে যান। তার প্রতিবেশি রাজ্যের শাসকরা ছিল স্ব আত্মীয়রাই। কিন্তু যেখানে যেখানে সিংহাসন সেখানে আত্মীয়তা ভয়ের কারণ।
বাবুর পিতৃ সুত্রে তইমুরি রক্তের অধিকারী ছিলেন। তার তইমুরি বংশে একটা কথা প্রচলিত ছিল,” হয় সিংহাসন নয় মৃত্যু” । বাবুর এই কথা সেই ছোটকাল থেকেই খুব ভালোভাবে বুঝেছিলেন। তার দু চাচা ছিলেন পার্শ্ববর্তী দুই রাজ্যের শাসক। তারা বাবুরকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। তারা চেয়েছিলেন বাবুরের ভাই জাহাঙ্গিরকে ক্ষমতায় বসাতে। কিন্তু সেসব বানচাল করে দিলেন বাবুর। এবার তিনি নজর দিলেন সমরখন্দের দিকে। সমরখন্দ ছিল তার পূর্বপুরুষ তইমুর লংয়ের রাজধানী । তিনি তার প্রিয় রাজধানীকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। তাকে নিয়ে বাবুরের গর্বের শেষ ছিল না। বাবুরেরও ইচ্ছা ছিল সমরখন্দ দখল করে বিরাট নব্য তইমুরি সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে।
১৪৯৭ সালে তিনি সমরখন্দ অভিযানে বের হন। প্রায় ৭ মাস অবরোধ করে রাখেন তিনি। অবশেষে সমরখন্দ দখল করতে তিনি সমর্থ হন। তবে তিনি বেশি দিন সমরখন্দ দখলে রাখতে পারেন নি। অনেক বার তিনি এটাকে হাত ছাড়া করে ফেলেছিলেন। প্রথমবার মাত্র ১০০ দিন সমরখন্দ দখল রেখে খবর পান তার স্বীয় ফরগনা রাজ্য হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। এবার তিনি ফরগনা রাজ্য উদ্ধার করতে গিয়ে সমরখন্দকে হারিয়ে ফেলেন। ১৫০১ সালে বাবুর আবার সমরখন্দ অবরোধ করেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে পালটে গিয়েছে অনেক কিছু। পালটে গিয়েছে সেখানকার শাসক। সেই সমরখন্দকে দখল করে নিয়েছিল যুদ্ধবাজ উজবেক নেতা শায়বানি খান। অবরোধ করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল তিনি পেলেন না। পুনরায় তিনি নিজ ফরগনা মুক্ত করার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন, কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাশ। সেটাও তার কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে গেলো। তিনি হয়ে গেলেন রাজ্যহীন এক সুলতানে।
তারপর,তিনি সামান্য কিছু অনুচর নিয়ে তাসখন্ডে মামার কাছে আশ্রয় নেন। তার পরিকল্পনা একটি বিশাল সেনা বাহিনি গঠন করা। তাই তিনি বিভিন্ন যুদ্ধবাজ জাতিকে দলে ভেড়াতে চেষ্টা করেন , এমনকি নিজের সাবেক শত্রু বাদখশানি জাতের সেনারাও তার দলে যোগ দেয়।
১৫০২ সালে তিনি বুঝতে পারেন পিতৃ ভুমি ফরগনা ও স্বপ্নের সমরখন্দ তার ভাগযে আল্লাহ লিখে রাখেন নি। তাই তিনি ফরগনা ও সমরখন্দ উদ্ধার করার চেষ্টা বাদ দিলেন। নিজের সেনা শক্তি বাড়ানোর জন্য তিনি নানীর পরামর্শে এক মঙ্গোলীয় গোত্রপতির মেয়েকে বিয়ে করেন। তবে তাদের মাঝে সম্পর্ক ভালো ছিল না।
বাবুরের সমস্ত জীবন ছিল যুদ্ধে ভরা মহাকাব্য । ১৫০৪ সালে তিনি তার নতুন স্বপ্ন নিয়ে হিন্দুকুশ পেরিয়ে আফগানের কাবুলে আসেন। তখন সেখানের শাসক ছিলেন উলুঘ বেগ নামের এক ব্যক্তি। তিনি এক শিশু উত্তরাধিকারী রেখে মারা যান। এই সুবর্ণ সুযোগ বাবুর হাত ছাড়া করলেন না। তিনি দখল করে নিলেন কাবুলকে। ১৫২৫ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানকার শাসক ছিলেন।
১৫০৫ সালে রাজস্ব কম আসায় তার নজর যায় সমৃদ্ধ ভারতবর্ষের দিকে। একই বছর হিরাত রাজ্যের শাসক মির্যা হুসাইন বাইকারার সাথে তার মিত্রতা হয় এবং তারা সমরখন্দ দঝল করে শায়বানিকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু বাইকারা পরবর্তী বছর অভিজানের পুর্বেই মারা যান। তাই এই অভিযান আর সম্ভব হলো না।
শায়বানি খানের কাছে বাবুরের বোন বন্দি ছিল। পারস্য সম্রাট শাহ ইসমাইলের হাতে শায়বানি নিহত হলে বাবুর তার বোন খানজাদা বেগমকে ফিরে পান। সাথে ফিরে পান সমরখন্দকেও । বোনকে ফিরে পাওয়ার উপহার হিসেবে তিনি পারসিক শিয়াদের একটু বেশি সুবিধা দিয়ে ফেলেছিলেন। যার জন্য তাকে চরম মূল্য দিতে হয়। পারসিকদের কারণে সেখানে তখন শিয়াদের প্রভাব বাড়ছে । তাই রাজ্যের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। যার ফলাফল স্বরূপ আবার তিনি সমরখন্দকে হাতছাড়া করে ফেলেন।
কাবুলে বসে তার নজর পরেছিল ভারতের দিকে । সমরখন্দ হারিয়ে তিনি এবার ভারত দখলের চিন্তা করলেন। তিনি তার সামরিক শক্তি বাড়াতে থাকেন। সেই সাথে এক দলত্যাগি অটোম্যান সেনা তাকে পরিচিত করিয়ে দেন মাচলক বন্দুক ও কামানের সাথে। তখনো ভারতে এই অস্রের ব্যবহার শুরু হয়নি। বাবুর এগিয়ে আসতে থাকে ভারতের দিকে। একদিকে এক পাহাড়ি নেতা অপরদিকে দিল্লির বাদশাহ ইব্রাহিম লোদি।
১৫২৬ সালে পানিপাতে মুখোমুখি হয় ইব্রাহিম লোদি ও জহিরুদ্দিন মুহাম্মাদ বাবুরের বাহিনি।
অসংখ্য সফলতা ও বিফলতার পর তিনি মুখ দেখেন শান্তির। দখল করে নেন দিল্লি। কিন্তু তার ভাগ্যে ভার শাসন বেশিদিন থাকেনা। মাত্র ৩ বছর শাসন করে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তথ্যসূত্রঃ মুঘলনামা।

আল্লাহ সত্য বলেছেন, বুরকিবা মিথ্যা বলেছে! ১৯৬১ সাল। তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট হাবিব বুরকিবা ঘোষণা দিলেন, কর্মক্ষম কোনো ব্যক...
11/12/2023

আল্লাহ সত্য বলেছেন, বুরকিবা মিথ্যা বলেছে!

১৯৬১ সাল। তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট হাবিব বুরকিবা ঘোষণা দিলেন, কর্মক্ষম কোনো ব্যক্তি রমযান মাসে রোযা রাখতে পারবে না। রোযা রাখার কারণে মানুষের শক্তি কমে যায়, ফলে দেশের উৎপাদনশীলতাও কমে যায়; দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়, জাতি পিছিয়ে পড়ে। জাতিকে এগিয়ে নেওয়া যেহেতু জাতীয় দায়িত্ব আর রোযা রাখা ব্যক্তিগত দায়িত্ব, তাই রমযানে কোনো কর্মক্ষম ব্যক্তি রোযা রাখতে পারবে না। অবসর গ্রহণের পর বা ছুটির সময় রমযানের রোযা কাযা করে নেবে।
এতটুকুতেই ক্ষান্ত না থেকে সে-বছরের রমযান মাসেই দিনের বেলা সে নিজে জনসম্মুখে জুস খেয়ে রোযা ভেঙে ফেলে এবং মানুষকে রোযা ভাঙতে আদেশ করে।
তখন তিউনিসিয়ার গ্র্যান্ড মুফতী ছিলেন শায়খ মুহাম্মাদ তাহের ইবনে আশুর রহ.। প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে শায়খকে জাতীয় রেডিওতে রোযা ভাঙার ব্যাপারে ফতওয়া দিতে আদেশ করা হয়। কথামতো শায়খ ইবনে আশুর রহ. রেডিওতে ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।
ভাষণের শুরুতেই তিনি সূরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করেন।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
'হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমনভাবে ফরয করা হয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।' [সূরা বাকারা, ২:১৮৩]

সবাইকে চমকে দিয়ে শায়খ ঐতিহাসিক এক বক্তব্য দেন। আয়াত তিলাওয়াত করে শায়খ তিন বার তার ঐতিহাসিক কথাটি বলেন,
صدق الله وكذب بورقيبة
আল্লাহ সত্য বলেছেন, বুরকিবা মিথ্যা বলেছে।

এ ঘটনার পর শায়খকে গ্র্যান্ড মুফতির পদ থেকে অপসারণ করা হয় এবং যাইতুনিয়্যাহ ইউনিভার্সিটির শরীয়া অনুষদের ডিনের পদ থেকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

ছবি: বাওয়াবাতু তুনুস

কলমেঃ Umair Sadi

বলাকি শাহের মাটির কেল্লাবাঁশের কেল্লার কথা আমরা সবাই জানি, তিতুমির যেখান থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করে ব্রিটিশ রাজত্বের ভীত নড়...
11/12/2023

বলাকি শাহের মাটির কেল্লা
বাঁশের কেল্লার কথা আমরা সবাই জানি, তিতুমির যেখান থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করে ব্রিটিশ রাজত্বের ভীত নড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে বাঁশের কেল্লার ঘটনার আগে মাটির কেল্লার ঘটনা রয়েছে। এই ঘটনার নায়কছিলে হযরত বলাকি শাহ।
বলাকা শাহের আরেক নাম ছিল বলাকি খান।তাঁর বাসস্থান ছিল বাকেরগঞ্জজেলার সলিমাবাদ পরগনার অন্তর্গত ঘাগরি গ্রামে । ১৭৮৭ সালের দিকের কথা। তখন বাংলায় ব্রিটিশ শোষণে নিষ্পেষিত বাংলার জনগণ । এরই প্রেক্ষাপটে ১৭৮৭ সালে বাকেরগঞ্জ জেলায় এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে এক হাজার লোক মৃত্যুবরণ করে । কিন্তু অত্যাচারী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজস্ব আদায়ের জন্য সেখানকার জমিদারগণ সাধারণ প্রজাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতো । প্রজাদের এই দুর্দিনে পাশে এসে দাঁড়ান হযরত বলাকি শাহ । তিনি সাধারণ প্রজা , বিশেষ করে কৃষক সম্প্রদায় এবং তাঁর শিষ্যদের একত্রিত করে জালিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রস্তুতি নেন।
তিনি সুবন্দিয়ার গ্রামে একটি মাটির দুর্গ তৈরি করেন এবং শাহ সুজার সুজাবাদ দুর্গ সংস্কার করে ব্যবহারোপযোগী করে তোলেন। মোগল আমলের সুজাবাদ দুর্গের বহু অকেজো কামান সংগ্রহ করে তিনি তাঁর নবনির্মিত শাহবন্দর দুর্গ অস্রসস্রে সজ্জিত করেন। দুর্গাভ্যন্তরে ছিল নিজস্ব অস্ত্র তৈরি কারখানা। তার কামারশালায় তৈরি হতো তলোয়ার, বল্লম, গোলাবারুদ। তিনি বিদ্রোহের জন্য সব রকম প্রস্তুতি শেষ করলেন।
অবশেষে আসল সেই সময় , ১৭৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন। সম্ভবত নিজ গুরু জনৈক জিওনকে সুলতান হিসেবে ক্ষমতায় বসান।তিনি ঘোষণা করেন কেউ যদি ফিরিঙ্গিদের কর প্রদান করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন যে কোন জমিদার তালুকদার প্রজাদের কাছে জমির খাজনা কানা প্রতি দু টাকার বেশি দাবী করতে পারবে না । বলাকি শাহের বিদ্রোহের খবর ঢাকায় পৌঁছালে ব্রিটিশ হর্তাকর্তারা নড়েচড়ে বসেন।
জেলা কালেক্টর উইলিয়াম ডগলাস বলাকি শাহকে শায়েস্তা করার জন্য একজন জমাদার, একজন হাবিলদার ও একজন নায়কের নেতৃত্বে ৪৮ জন সেনার এক বাহিনীকে পাঠান । বলাকি শাহের মুজাহিদ বাহিনী এই ব্রিটিশ বরকন্দাজদের সহজে হটিয়ে দেন।
কোম্পানি পরে ইউরোপীয় কর্মকর্তার অধীনে শক্তিশালী সিপাহী বাহিনী পাঠায়।১৭৯২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বলাকি শাহ পরাজিত ও বন্দি হন। ব্রিটিশ রা তাঁর মাটির দুর্গ ধ্বংস করে দেয়। ঢাকার নিজামত আদালত বিদ্রোহ করা এবং রক্তপাত ঘটানোর জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং সাত বছরের কারাদন্ড দেয়।
তথ্যসুত্রঃ১।বাংলাদেশের ইতিহাস ( প্রাচিন যুগ-মধ্যযুগ-আধুনিক যুগ), আব্দুস সালাম
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6
৩।https://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%95
ছবিঃ প্রতীকী

১৬-১৭ শতকের দিককার টেরাকোটার এসব পাত্র আসলে সেই আমলের গ্রেনেড,যা ব্যবহার করত উসমানী সেনারা।ছবিটি ইস্তাম্বুলে অবস্থিত নেভ...
10/12/2023

১৬-১৭ শতকের দিককার টেরাকোটার এসব পাত্র আসলে সেই আমলের গ্রেনেড,
যা ব্যবহার করত উসমানী সেনারা।
ছবিটি ইস্তাম্বুলে অবস্থিত নেভাল মিউজিয়াম থেকে তোলা।

10/12/2023

জুতো কেনার টাকা নেই,তবুও সে একটি দেশের প্রেসিডেন্ট।
#ভাইরাল #রিল #লোভ

ফাদার অফ রোবোটিক্স: ইসমাইল আল-জাজারি (১১৩৬-১২০৬)ইসমাইল আল-জাজারি একজন পলিম্যাথ ছিলেন: মেসোপটেমিয়ার জাজিরার আর্তুকিদ রাজ...
10/12/2023

ফাদার অফ রোবোটিক্স: ইসমাইল আল-জাজারি (১১৩৬-১২০৬)

ইসমাইল আল-জাজারি একজন পলিম্যাথ ছিলেন: মেসোপটেমিয়ার জাজিরার আর্তুকিদ রাজবংশের একজন পণ্ডিত, উদ্ভাবক, যান্ত্রিক প্রকৌশলী, কারিগর, শিল্পী এবং গণিতবিদ। 'দ্য বুক অফ নলেজ অফ ইনজেনিয়াস মেকানিক্যাল ডিভাইস' হল দ্বাদশ শতাব্দীতে ইসমাইল আল-জাজারির লেখা একটি মধ্যযুগীয় আরবি বই। এ বইটিতে ঘড়ি, জল তোলার মেশিন, মিউজিক্যাল স্বয়ংক্রিয়তা এবং হিউম্যানয়েড রোবট সহ পঞ্চাশটিরও বেশি যান্ত্রিক ডিভাইস বর্ণনা আছে । এটিতে আল-জাজারি প্রতিটি ডিভাইস নির্মাণের জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করেন l বইটি ইউরোপীয় ঘড়ি নির্মাণে এবং স্বয়ংক্রিয়তার বিকাশে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল, তিনি মধ্যযুগীয় সময়কালে ইসলামিক বিশ্বের দৈনন্দিন জীবন এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। সবচাইতে বড় কথা তার এই কাজ আধুনিক দিনের রোবোটিক্সের মূল ধারণাগুলিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল l

মুসলিম ও ব্রিটিশ আমলে নারী শিক্ষা : মিথ্যাচার ও বাস্তবতাছোটবেলা থেকে আমাদের মাথায় গেঁথে দেওয়া হয় যে, মধ্যযুগ তথা মুসলিম ...
09/12/2023

মুসলিম ও ব্রিটিশ আমলে নারী শিক্ষা : মিথ্যাচার ও বাস্তবতা
ছোটবেলা থেকে আমাদের মাথায় গেঁথে দেওয়া হয় যে, মধ্যযুগ তথা মুসলিম ও ব্রিটিশ আমলে ভারতবর্ষের মুসলিম নারীরা নাকি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল। তারা নাকি ছিল অশিক্ষিত মূর্খ। পরে ব্রিটিশদের পৃষ্ঠপোষকতায় নাকি নারীরা শিক্ষালাভের সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু ইতিহাস তা বলে না। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ এম এ রহিম তার গ্রন্থ বাঙালির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে মুসলিম আমলে নারীশিক্ষার বিষয়টি ভালোভাবে আলোকপাত করেছেন।
মুসলিম আমলে ভারতে মুসলিমরা ছেলেদের পাশাপাশি নারীদের শিক্ষা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন। তৎকালীন সমাজে শিক্ষা গ্রহণ মুসলিমদের মূল নীতির মধ্যে অন্যতম ছিল। কন্যাকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা তখনকার সময়ে পিতা-মাতারা ধর্মীয় কর্তব্য মনে করতেন। সে সময় নারীদের কমপক্ষে প্রাথমিক শিক্ষাটা গ্রহণ করা এক প্রকার বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছিল সামাজিকভাবে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ধনী ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত সাধারণত। কারণ প্রাথমিক শিক্ষার পর খরচ অনেক বেড়ে যেত, যার কারণে দরিদ্র নারীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসমর্থ হতো।
আপনি কি জানেন মুসলিম আমলে নারীরা অনেক বেশি শিক্ষিতা ও সংস্কৃতিবান ছিলেন? সতিউন্নেসা নামের এক উচ্চ শিক্ষিতা নারী মুঘল আমলে অনেক বিখ্যাত ছিলেন। তার কাছে অনেক মুঘল রমণী শিক্ষা গ্রহণ করত। হাফিজা নামের আরেক প্রতিভাসম্পন্ন নারীর খোঁজ পাওয়া যায়। তিনিও মুঘল আমলে একজন বিখ্যাত নারী প-িত ছিলেন।
গদাই মল্লিকের পুঁথি মল্লিকার হাজার সওয়াল নামক কাব্য অনুযায়ী বাংলায় মল্লিকা নাম্নী নামের এক মুসলিম নারী ছিলেন, যিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন জায়গায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, যে পুরুষ তাকে ইতিহাস বিতর্কে হারাতে পারবে, তাকেই তিনি বিয়ে করবেন। অনেকেই তার কাছে হেরে যান বিতর্কে। শেষে হাকিম গদাই নামের একজন সুফি প-িত তাকে বিতর্কে হারান এবং মল্লিকাকে বিয়ে করেন(১)।এছাড়াও ইবনে বতুতা বাংলায় যখন ভ্রমণ করেছিলেন তখন তিনি প্রায় ১৩ টির মতো মহিলা মাদ্রাসা দেখেছিলেন।(২)
ব্রিটিশরা একের পর এক মুসলিম রাজ্য ধ্বংস করে অনেক ইতিহাস নষ্ট করে দিয়েছে, অনেক গ্রন্থ কিতাবাদি লুট করেছিল। যার কারণে অনেক ইতিহাস এখনও ধামাচাপা পড়ে আছে। ব্রিটিশদের হাতে সর্বপ্রথম পতন ঘটে বাংলার মুর্শিদাবাদের। মুর্শিদাবাদ তখন হয়ে উঠেছিল জ্ঞানীদের আনাগোনার জায়গা। ইংরেজ শ্বেতাঙ্গরা ধ্বংস করে একের পর এক গ্রন্থাগার। লুট করে নেয় অনেক বই। অনতিকাল পরই অসংখ্য মুসলিম রাজ্য দখল করে তারা সেখানে লুটপাট ও ধ্বংস চালায়(৩)। মুসলিমদের উন্নত শিক্ষা গ্রহণের জন্য একমাত্র অবশিষ্ট থাকে মাইশুর রাজ্য। ১৭৯৯ সালে সেখানেও মুসলিমদের পতন ঘটে। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, রকেট প্রযুক্তি লুট করে নেয় ব্রিটিশরা।(৪)
মুসলিমরা তখন শিক্ষা গ্রহণ করত আরবি, ফারসি ভাষায়। কিন্তু ব্রিটিশরা সেসব লুট করে নিলে মুসলিমরা ধর্মীয় শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যেতে থাকে।
ব্রিটিশদের ভারতে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা ছিল মুসলিমরা। কারণ তারা ভালোভাবেই জানত মুসলিমরা তাদের শাসন কোনোদিনও মেনে নেবে না। তাই তারা একটা জাতিকেই পঙ্গু করে দিল। অন্যদিকে তারা বিভিন্ন মিশনারি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করলেও মুসলিমরা সেখানে শিক্ষা গ্রহণ করেনি। কারণ মুসলিমদের ভয় ছিল, তারা যেন ফেতনায় জড়িয়ে না পড়ে। অন্যদিকে হিন্দুরা ব্রিটিশদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করতে শুরু করে। ব্রিটিশরা মুসলিমদের শিক্ষা গ্রহণের প্রতিটি দরজা বন্ধ রেখে একমাত্র তাদের নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা খোলা রাখে।(৫)
উপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশ শাসকরা মাদ্রাসার নামে বরাদ্দকৃত জমি বাজেয়াপ্ত করতে শুরু করে(৬) ।যেখানে ধর্ম, কৃষিবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা শিক্ষা দেওয়া হতো(৭) । ব্রিটেনিকা মুঘল আমলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্কুল কলেজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে (৮) । অর্থাৎ তারা তাদের ভাষায় স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বলতে যা বুঝাত এই অঞ্চলের মানুষ সেগুলোকে মক্তব , আলিম ও ফাজিল বলত

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এসে বেগম ফয়জুন্নেসার মতো মনীষী মুসলিম নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করে এবং মুসলিম নারীরা সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু তা জনসংখ্যার তুলনায় অনেক কম ছিল
( ৯) ।
কিন্তু আমাদের ছোটবেলা থেকেই মগজে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মধ্যযুগ তথা মুসলিম এবং ব্রিটিশ আমলে মুসলিম নারীরা ছিল অশিক্ষিত মূর্খ। আর এর জন্য তারা পর্দা বিধানকে দায়ী করে। পর্দার মতো অকাট্য ফরজ বিধানকে প্রথা বলে কটাক্ষ করে। কিন্তু মুসলিম আমলে পর্দার বিধান আরও বেশি মানা হতো। তখন তো মুসলিম নারীরা শিক্ষিত ছিল। ব্রিটিশ আমলে এমন কী হলো যে, পর্দার কারণে মুসলিম নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না?
আমাদের এই বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হওয়া বেশ জরুরি।
তথ্যসুত্রঃ(১) বাঙালির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস , এম এ রহিম
(২)পূর্ব বাংলায় নারী জাগরণ ও আন্দোলন ( ১৯০১-১৯৭১), রুপালি খাতুন ( নারীবাদী লেখিকা
(৩) সুলতানি মুঘল আমলের গ্রন্থাগার, বিমল দত্ত
(৪)https://roar.media/bangla/main/history/tipu-sultans-rocket
(৫)https://www.pubakash.com/archives/1241
(৬)https://www.daily-sun.com/post/536744
(৭)বাঙালির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস , এম এ রহিম
(৮)https://www.britannica.com/topic/education/The-Mughal-period
(৯)https://www.bbc.com/bengali/news-59298002

09/12/2023

না বুঝলে কোটি টাকার সম্পদও অর্থহীন।
#রিল #লোভ #ভাইরাল

ব্যাক্তি হিসেবে সাকিব আল হাসান।তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সে নিজেও আমেরিকার গ্রিন কার্ড ধারী, এবং তার সন্তানদে...
09/12/2023

ব্যাক্তি হিসেবে সাকিব আল হাসান।
তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সে নিজেও আমেরিকার গ্রিন কার্ড ধারী, এবং তার সন্তানদের জন্মসূত্রে বাংলাদেশী না বানানোর জন্য আমেরিকাতেই জন্ম দিয়েছেন,

এটাতেই স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে,নিজ দেশের প্রতি তার আস্থা কতটুক!

এখন তিনি চাচ্ছেন এই দেশের রাজনৈতিক নেতা হতে, তিনি কি আসলেই নেতা হতে চান ,নাহ! কক্ষনও চান না! তিনি উপার্জনের একটা লাইসেন্স ধারী ফ্যাক্টরি খুলতে চান,
নিজের দেশটাকে শুধু ব্যবসায়ীক কারখানাই পরিণত করবে এটা জাতির কাছে স্পষ্ট,

এই ধরনের দেশপ্রেমিকের হাতে বার বার দেশটাকে তুলে দেওয়া খুবই দুঃখজনক,
এসব ভন্ড দেশ প্রেমিককে দিয়ে কোন মঙ্গল হতে পারেনা!অসম্ভব!

মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং সাকিব আল হাসান দুইটা ভিন্ন জিনিস,ব্যক্তিত্বের দিক থেকে আকাশ আর পাতাল ব্যবধান..

ব্যক্তি সাকিবকে আমার কোনদিনও ভালো লাগেনি!
(এটা ব্যাক্তিগত মতামত)

একজন ফুড ব্লগারের মাসিক ইনকাম ১০ লাখ টাকা! হিরো আলমের বাৎসরিক ইনকাম ২ কোটি টাকা! জীবনে স্কুলে না যাওয়া অপু ভাই নামের এক...
08/12/2023

একজন ফুড ব্লগারের মাসিক ইনকাম ১০ লাখ টাকা! হিরো আলমের বাৎসরিক ইনকাম ২ কোটি টাকা! জীবনে স্কুলে না যাওয়া অপু ভাই নামের এক টিকটকারকে বাংলাদেশ থেকে দুবাই নিয়ে যায়, কোটি টাকার গাড়ি দিয়ে বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে শোরুম উদ্ভোধন করার জন্য!

একজন ডিসেন্ট গুগল, মাইক্রোসফটের ইঞ্জিনিয়ারও মাসে ১০ লাখ টাকা পায় না!

ঢাকা মেডিকেলে পড়া ডাক্তাররা মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে রাস্তায় পুলিশের মাইর খায়! বুয়েট থেকে পাশ করা ছেলেটাও শুরুতে ৫০ হাজার টাকা বেতনের একটা জব পায় না!

বর্তমান সমাজ ও বিশ্ব-ব্যবস্থায় পড়ালেখা, জ্ঞান অর্জন খুব রিস্কি ইনভেস্টমেন্ট মনে হচ্ছে!

আমার বিশ্বাস আগামীর দিনগুলোতে আমাদের ছেলে মেয়েরা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী হওয়ার পরিবর্তে ফুড অ্যাপ্পি, Rafsan The Chotobhai, Hero Alom, Salman Muqtadir, Tawhid Afridi বা কাপল ব্লগার হওয়ার স্বপ্ন দেখবে!

08/12/2023

জীবন আমরা যে জিনিসটাকে বড় করে দেখি,সেটাই আমাদের জীবনে বাড়তে থাকে।
"
"
#ভাইরাল #লোভ #রিল

08/12/2023

Then,শেখ হাসিনার 50gb mb কে কে পাইছেন😑

আয়া সোফিয়া(Hagia Sophia Mosque) বাইজেন্টাইন সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের আদেশে ৫৩২-৫৩৭ সালের সময়কালে মধ্যযুগের রোম সাম্রাজ...
08/12/2023

আয়া সোফিয়া(Hagia Sophia Mosque)
বাইজেন্টাইন সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের আদেশে ৫৩২-৫৩৭ সালের সময়কালে মধ্যযুগের রোম সাম্রাজ্যের সাবেক রাজধানী কনস্ট্যান্টিনোপলে (বর্তমানে ইস্তানবুল) মূলত অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে নির্মিত হয় আয়া সোফিয়া। ১২০৪ সালে একে ক্যাথলিক গির্জায় রূপান্তর করা হয়, যা ১২৬১ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়। এরপর এটি পুনরায় অর্থোডক্স গির্জায় রূপান্তর করা হয়। ২৯ মে ১৪৫৩ অটোমান সম্রাট সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ (তিনি 'ফাতিহ' বা নগরদোর উন্মোচনকারী) কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করেন।
[ উল্লেখ্য কুরআন ও হাদিসে ইস্তাম্বুল (তৎকালীন কনস্টান্টিনোপল) শহরকে ‘কুস্তুস্তুনিয়া’ নামে উল্লেখ করা হয়েছে।নবীজি (স) বলেছেন, 'অবশ্যই কুস্তুস্তুনিয়া বিজিত হবে; কতই না উত্তম ঐ বিজয়ের আমির! আর কতই না উত্তম সেই বাহিনী!' (মুসনাদে আহমদ)। আল্লাহ তায়ালা সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদকে বিজয়ের সেই নিয়ামত দিয়েছেন।]
অতঃপর সুলতান খ্রিস্টানদের কাছ থেকে আয়া সোফিয়া কিনে নিয়ে তা মসজিদে রূপান্তর করেন। ১ জুন ১৪৫৩ আয়া সোফিয়ায় প্রথমবারের মতো জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়, যাতে ইমামতি করেন ফাতিহ'র শিক্ষক শায়খ আক শামসুদ্দিন। এ সময় এ স্থাপনাটিকে রাজকীয় মসজিদ (Imperial Mosque) নামে ঘোষণা দিয়ে প্রধান মসজিদের মর্যাদা দেয়া হয়। ৪৮২ বছর মসজিদ থাকার পর ১৯৩৪ সালে তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক এ স্থাপনাটিকে জাদুঘরে পরিণত করেন। তার এ উদভ্রান্ত নীতির জন্য অনেক চিন্তক তাকে নাস্তিবাদী (Nihilist) বলে চিহ্নিত করেন।
১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ঐতিহাসিক আয় সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদের রূপান্তর করার বিষয়ে ২০১৯ সাল হতে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সচেষ্ট উদ্যোগী হন। ২০২০ সালের ১০ই জুলাই সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালতের ঘোষণা অনুযায়ী ৮৬ বছর পর আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তর করা হয়।
Courtesy: Text on History
https://m.facebook.com/groups/275913028744346/?ref=share&mibextid=NSMWBT

কফি পানের ইতিকথাবর্তমান আধুনিক বিশ্বসভ্যতায় সর্বাধিক জনপ্রিয় কোনো পানীয়ের প্রসঙ্গ উঠলে তা নিঃসন্দেহে হবে  'কফি'।রেনেসাঁ...
07/12/2023

কফি পানের ইতিকথা

বর্তমান আধুনিক বিশ্বসভ্যতায় সর্বাধিক জনপ্রিয় কোনো পানীয়ের প্রসঙ্গ উঠলে তা নিঃসন্দেহে হবে 'কফি'।রেনেসাঁ পরবর্তী শিল্পায়ন কিংবা জাতীয়তাবাদী চেতনার যুগের ইউরোপীয়দের কল্যাণে বর্তমান বিশ্বে হরেক রকমের জনপ্রিয় স্বাদের কফির প্রচলন ঘটলেও কফি কিন্তু মোটেও বিগত শতকগুলোর পানীয় নয়।
৮ম-৯ম শতাব্দীর দিকে ইথিওপিয়ায় 'খালিদ' নামক এক রাখাল তার ছাগলপাল চড়ানোর সময় লক্ষ্য করে তার ছাগলগুলো এক ধরণের লালচে বীজ খেয়ে খুব প্রাণবন্ত ও উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় লোকেরা তাদের দৈনন্দিন কাজের সতেজতার জন্য এই বিচি গুলো সেদ্ধ করে খেতে শুরু করে। পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে আবিসিনিয়ার (বর্তমান ইথিওপিয়া) প্রতিবেশী ইয়েমেনের সুফীগণও তাদের রাত জেগে ইবাদত ও যিকিরে মনোনিবেশ করতে এই লাল বরইজাত বিচিগুলো পানীয় আকারে পান করতেন, যা তাদের নিকট আল-কাহওয়া নামে সুপরিচিত ছিল। যা হজ্জ্বযাত্রী, সুফি-দরবেশ ও আরব বণিকদের বদৌলতে ১৫শ শতাব্দীতে মক্কা ও তুরস্ক এবং ১৬শ শতাব্দিতে কায়নো সহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

তারও প্রায় এক শতাব্দী পর মিশরীয়দের সাথে বাণিজ্যের সূত্র ধরে ১৬৩৭ সালে ইউরোপ সর্বপ্রথম 'কাহওয়া' নামক এই পানীয়ের সাথে পরিচিত হয়। এবং ১৬৪৫ সালে ভেনিসে সর্বপ্রথম কফি হাউজ দৃশ্যমান হয়। আরও কিছু বছর পর পাসকুয়া রোসি নামক এক তুর্কি বণিক ১৬৫০ সালে ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম কফিহাউজের গোড়াপত্তন করেন। তখন এই পানীয়ের নাম সেখানে 'কাহ্ফি নামে কিছুটা বিকৃত হয়ে প্রচলিত ছিল। আরও কয়েক দশক পর ১৮শ শতাব্দীর "লিবারেল যুগে" ইউরোপের সবচেয়ে বিখ্যাত Edward Lloyd's Coffee House লন্ডনে তাদের সর্বপ্রথম কফিহাউজ স্থাপন করে।

তাছাড়া ১৬৮৩ সালে তুর্কি-ভিয়ছনা যুদ্ধে বিজয়ের ফলে কাপুচিন সন্ন্যাসীরা যুদ্ধলব্ধ তুর্কি কফির বস্তা হতে নতুন একধরণের কফির প্রচলন ঘটান যার নাম দেয়া হয় কাপুচিনো কফি, আর এই কাপুচিনো কফি বিগত শতকের সর্বাধিক জনপ্রিয় কফি হিসেবে পরিচিত।
১৫৮৮ সালে কফি নিয়ে লেখা এক পান্ডুলিপিতে মুসলিম সমাজে কফির মর্যাদা সম্পর্কে এরূপ উদ্ধৃতি করা হয়-

"কফি হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বর্ণ, ঠিক স্বর্ণের মতো করেই এটি প্রত্যেকের জন্য বিলাস ও আভিজাত্যের অনুভূতি নিয়ে আসে।"
- আব্দুল কাদির ইবনু শাইখ ইবনুল আইদারুস।

Courtesy: Text on History
https://www.facebook.com/groups/275913028744346/?ref=share&mibextid=NSMWBT

তথ্যসূত্রঃ
১/ Hattox, R.S., Coffee and Coffeehouses: The Origins of a Social Beverage Near East. (University of Washington Press, Seattle, London, 1988)
২/ 1001 Inventions: The Enduring Legacy ot Muslim Civilization By Salim T.S. Hassani
৩/ Ellis, John, A Historical Account of Coffee with an Engraving and Botanical Description of the Tree. (Edward Dilly and Charles Dilly. London, 1774)
৪/ Abd-Al-Kadir Ibn Shaykh Ibn Al-'Aydarus, Safwat al-Safwa fi-bayan hukm al-qahwa. (Ahlwardt, Verzeichnis, Bibliothek Berlin, MS 5479, 23 volumes, Berlin, Germany, 1853-1914)

07/12/2023

চারটি মোমবাতির গল্প,যা আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে।
"
"
#রিল #লোভ #ভাইরাল #ভিডিও

বাবরি মসজিদ দাঙ্গা-১৯৯২১৯৯২ সালের এইদিনে (৬ ডিসেম্বর) উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছিল। তাৎক্ষণিক সৃষ্ট...
07/12/2023

বাবরি মসজিদ দাঙ্গা-১৯৯২
১৯৯২ সালের এইদিনে (৬ ডিসেম্বর) উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছিল। তাৎক্ষণিক সৃষ্ট দাঙ্গায় কমপক্ষে ২ হাজার লোক নিহত হন এবং প্রায় ৯,০০০ কোটি ভারতীয় রুপির (৩৬০ কোটি মার্কিন ডলার) সম্পদ বিনষ্ট হয়। কিন্তু ২০২০ সালে প্রদত্ত ঐ মামলার রায়ে কেউই দোষী সাব্যস্ত হয়নি।
অযোধ্যা ১৫২৮ সালে মুঘল শাসনের আওতাভুক্ত হয়। অধিকারের পর সেনাপতি মীর বাকি সম্রাট বাবরের নামে “বাবরি মসজিদ” নির্মাণ করেন। প্রায় চার শতাব্দী ধরে মসজিদটিতে মুসলিমরা সালাত আদায় করেছে। পার্শ্ববর্তী জমিতে হিন্দুরা প্রার্থনা করেছে। কখনও কোনো বিবাদ-বিসম্বাদ হয়নি।
কিন্তু ১৮২২ সালে প্রথমবারের মতো ফৈজাবাদ আদালতের এক চাকরিজীবী দাবি করেন যে, মসজিদটি মন্দিরের জমির উপরে অবস্থিত। নির্মোহী আখড়া সংগঠন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ঐ জমির উপরে তাদের দাবি জানায়। ১৮৫৫ সালে ঐ ভূখণ্ডের দখল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।
১৮৫৯ সালে সংঘর্ষ এড়াতে ব্রিটিশ সরকার দেয়াল দিয়ে হিন্দু ও মুসলিমদের প্রার্থনার স্থান পৃথক করে দেয়। ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। ১৯৪৯ সালে হিন্দু মহাসভার সদস্যরা মসজিদের অভ্যন্তরে রাম মূর্তি স্থাপন করতে গেলে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং তারা আইনের আশ্রয় নেয়।
তখন সরকার মসজিদটিকে বিতর্কের বিষয় বলে অভিহিত করে এবং মসজিদের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। আশির দশকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) তাদের রাজনৈতিক সহযোগী ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) সাথে নিয়ে ঐ স্থানে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য ইন্ডিয়াব্যাপী প্রচারাভিযান চালায়।
১৯৮৬ সালে ডিসট্রিক্ট কোর্ট মসজিদের তালা খোলা এবং সেখানে হিন্দুদের প্রার্থনা করার পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায়কে সাধুবাদ জানান কংগ্রেস নেতা ও তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। তিনি শাহ বানো বিতর্কে গোঁড়া হিন্দুদের সমর্থন হারানোর পর পুনরায় তাদের সমর্থন লাভে উদ্যত হয়েছিলেন।
১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরে বিজেপি নেতা এল.কে আদভানি রাম রথযাত্রা নামে একটি রাজনৈতিক শোভাযাত্রা আয়োজন করেন। যাত্রাটি গোটা উত্তর ভারত ঘুরে অযোধ্যাতে এসেছিল। এই শোভাযাত্রা প্রস্তাবিত মন্দিরের জন্য সমর্থন আদায় এবং মুসলিমবিরোধী মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে হিন্দুদের অর্জনে কাজ করেছিল।
শোভাযাত্রা অযোধ্যায় পৌঁছানোর পূর্বে বিহার সরকার আদভানিকে গ্রেফতার করে। তত্থাপি ‘করসেবক’রা অযোধ্যায় পৌঁছে যায় এবং মসজিদে হামলা করে। এখানে আধাসামরিক বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ হলে কিছু করসেবক নিহত হন। এতে তাদের জনসমর্থন ব্যাপক বৃদ্ধি পায় এবং পরবর্তী নির্বাচনে তারা সরকার গঠন করে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) ও সহযোগী সংগঠনগুলো ঐ স্থানে আবার এক শোভাযাত্রা আয়োজন করে। শোভাযাত্রায় শামিল হয়েছিল হিন্দু পরিষদ ও বিজেপির দেড় লাখ “কর সেবক”। অনুষ্ঠানে আদভানি, মুরলি মনোহর জোশি ও উমা ভারতীর মতো বিজেপি নেতা ভাষণ দিয়েছিলেন।
স্থানটির চতুর্দিকে পুলিশি বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু দুপুর নাগাদ উন্মত্ত জনতা সেই বেষ্টনী অতিক্রম করে, মসজিদের উপরে উঠে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে এবং কুঠার, হাতুড়ি ও গাঁইতি দিয়ে ইমারতটি ভাঙা শুরু করে। কোনো বাধা ছাড়া একটানা কয়েক ঘণ্টার হামলায় মসজিদটি মাটির সাথে মিশে যায়।
ঘটনার পর ফৈজাবাদ জেলা পুলিশ ২টি এফআইআর দায়ের করে। এতে অজ্ঞাতনামা লাখো করসেবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। লখনউ ও রায়বরেলি আদালতে ২টি এফআইআরের বিচার শুরু হয়। ৪৮জন নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও মসজিদ ধ্বংসে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে।
১৯৯৩ এর অক্টোবরে যৌথ চার্জশিট দেয় সিবিআই। এতে দোষী নেতাদের মধ্যে নাম ছিল লালকৃষ্ণ আদভানী, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিং, বিনয় কাটিয়ার, সাক্ষী মহারাজ, সাধ্বী ঋতম্ভরা , নৃত্য গোপাল দাস, চম্পত রাই, অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ কিশোর, বিষ্ণুহরি ডালমিয়া, শিবসেনা সুপ্রিমো, বাল ঠাকরে।
২০০৫ সালে সাবেক গোয়েন্দা প্রধান মলয় কৃষ্ণ ধর দাবি করেন যে, আরএসএস, বিজেপি ও ভিএইচপি নেতারা ইমারতটি ভাঙার জন্য দশ মাস পূর্বেই পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি নিজেই বিজেপি ও সংঘ পরিবারের ব্যক্তিদের একটি বৈঠকে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন যেখানে মসজিদ ভাঙ্গার নীল নকশা করা হয়েছিল।
মলয় দাবি করেন- তিনি সেই বৈঠকের কথাবার্তা রেকর্ড করে উপরের কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেছিলেন, যা প্রধানমন্ত্রী (নরসীমা রাও) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (শঙ্কর রাও চবন)কে অবহিত করা হয়েছে। “অযোধ্যার ঘটনা হিন্দুত্ববাদকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনন্য সুযোগ হিসেবে কাজ করেছে”।
২০০৯ সালে লিবারহান কমিশনের প্রতিবেদনে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে ৬৮ জনকে দায়ী করা হয়, যাদের অধিকাংশ ছিলেন বিজেপি নেতা। দোষী ব্যক্তিদের নামের তালিকায় বাজপেয়ী, আদভানি, জোশি ও বিজয় রাজ স্কিন্দিয়ার নাম ছিল। সেখানে উত্তর প্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের সমালোচনা করা হয়।
প্রতিবেদনে ইমারত ভাঙার সময় অযোধ্যার পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে হয়। আদভানি ও জোশির বক্তব্য জনতাকে আরো উন্মত্ত করে তোলে বলে উল্লেখ করা হয়। নেতাদের ভূমিকা তাদের মনের গহীনে বিতর্কিত ইমারতটি ভাঙার সুপ্ত ইচ্ছাকেই ফুটিয়ে তোলে- বলে উল্লেখ করা হয়।
২০১৪ সালের এপ্রিলে কোবরাপোস্ট এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, ধ্বংসযজ্ঞ শুধু উন্মত্ত জনতার কাজ ছিল না, এটা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং এর ভিত রচিত প্রচণ্ড গোপনীয়তার মাঝে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও শিব সেনা সদস্যরা ইমারতটি ধ্বংসের কয়েক মাস পূর্বেই ইমারতটি ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছিল।
২৮ বছর পর, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত রায় দিয়েছে। আধভানী, মনোহর জোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিং, সাধ্বী ঋতম্ভরা, সাক্ষী মহারাজ-সহ ৩২ জন অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। বিচারক এস.কে যাদব রায়ে বলেন, আধভানী, জোশীরা বরং বাবরি মসজিদ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন।
অথচ সেই শোভাযাত্রায় উত্তেজক ভাষণের হাজারো ভিডিও ও সংবাদপত্রের রিপোর্ট রয়েছে; নেতা-নেত্রীদের সোচ্চার কণ্ঠে- “এক ধাক্কা আওর দো”র প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু বিচারক জানিয়েছেন, “আদালতের কাছে জমা দেয়া অডিও ও ভিডিও পরিষ্কার নয়। বরং কিছু অসামাজিক লোক মসজিদের পিছন থেকে এসে মসজিদ ভেঙেছে।

পূর্ব তুর্কিস্তান (জিংজিয়াং চিনের দখলকৃত নাম)
06/12/2023

পূর্ব তুর্কিস্তান (জিংজিয়াং চিনের দখলকৃত নাম)

06/12/2023
ছবি...ঢাকা,বাংলাদেশ (১৯৬৮) ফটোগ্রাফার-হিরোজি কুবোতা আমাদের দাদী-নানীদের এই পোশাকেই দেখেছি।এটাই আমাদের বাংলাদেশ।এটাই আমাদ...
06/12/2023

ছবি...
ঢাকা,বাংলাদেশ (১৯৬৮)
ফটোগ্রাফার-হিরোজি কুবোতা

আমাদের দাদী-নানীদের এই পোশাকেই দেখেছি।এটাই আমাদের বাংলাদেশ।এটাই আমাদের সংস্কৃতি।

মুহিব খানের ভাষায়,

"এদেশের শিকড় তো নয় দিল্লীতে বা ওয়াশিংটনে
এদেশের শিকড় জানি ছড়িয়ে আছে দূর আরবে।
এদেশে আল্লাহু আকবারের সুরে সূর্য উঠে
এদেশে আল্লাহু আকবারের সুরে সূর্য ডোবে।"

**ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশঃ (যা এখন বিলুপ্ত)১. জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়...
05/12/2023

**ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশঃ (যা এখন বিলুপ্ত)
১. জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিও না, বরং জুতাটা খুলে নিজে একবার মুছে দিও।

২. কখনও কাউকে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া বলে ডেকো না। মনে রেখো তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদেরকে সম্মান দিয়ে ডেকো।

৩. বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কখনও কাউকে ছোট করে দেখ না। নইলে তুমি ছোট হয়ে যাবে।

৪. পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করো, কিন্তু কারো ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।

৫. কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে তাকাইও না, সে লজ্জা পেতে পারে।

৬. সব সময় পাওয়ার চেয়ে দেয়ার চেষ্টা করো বেশি । মনে রেখ, প্রদানকারির হাত সর্বদা উপরেই থাকে।

৭. এমন কিছু কর না যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল ওঠে।

৮. মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছো, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেও না।

৯. তোমার কি আছে তোমার গায়ে লেখা নেই। কিন্তু তোমার 'ব্যবহার' বলে দিবে তোমার পরিবারের অবস্থান কোথায় ?

১০. কখনও মার কথা শুনে বউকে এবং বউয়ের কথা শুনে মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। কাউকে ফেলতে পারবে না।

১১. কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলে বাসায় দু-মুঠো ভাত খেয়ে যেও। অন্যের পাতিলের ভাতের আশায় থেক না।

১২. কারো বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করো না। কেউ খাবার ইচ্ছে করে স্বাদহীন করার চেষ্টা করে না।

১৩. বড় হবার জন্য নয়, মানুষ হওয়ার জন্য চেষ্টা কর।

১৪. শ্বশুর কিংবা শাশুড়িকে এতটা সম্মান দিও, যতটুকু সম্মান তোমার বাবা-মাকে দাও। এবং তাদের প্রতি এমন আচরন কর, যাতে করে তাদের মেয়েকে তোমার বাড়ি পাঠানোর জন্য উতলা থাকে।

১৫. সব সময় ভদ্র ও নম্রভাবে চল এবং সেভাবে কথা বল। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আপোষ কর না।

Address

Rangpur

Telephone

+8801911978915

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Voice of village posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Voice of village:

Videos

Share

Category