18/10/2024
🇧🇩🇬🇧🇨🇦🇺🇸🇮🇪HSC তে যদি পাশ করো, লেখাপড়াটা এখানেই শেষ করো। এখন বিদেশ চলে যাও। যদি এটা করতে পারো ১০/১২ বছর পর তুমি সুপ্রতিষ্ঠিত। গাড়ী বাড়ি সব ই থাকবে। আর তোমার পড়ুয়া বন্ধু দেখবা তখন লেখাপড়া শেষ করে ১৮ হাজার টাকা বেতনের চাকুরী করছে। দু চারজন হয়তো বিসিএস ক্যাডার হয়েছে আর বাকিসব বেকার ঘুরছে।
প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া, বিশেষ করে আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য একটা অভিশাপের মতো। সময় মতো কিছু শেষ করতে পারবা না। শেষ করলেও চাকুরী পাবা না। চাকুরী পেলেও পেটে তিন বেলা ভাত দেয়া ছাড়া এটা দিয়ে আর কিছু করতে পারবা না। ১৮-৩০ একটা মানুষের জীবনে সবচেয়ে স্বনার্লী সময়। আর সেই মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়টাই আমাদের দেশে ছেলেমেয়েরা একদম অযথা শুয়ে বসে আড্ডা মেরে শেষ করে। এটা তাদের দোষ না। আমাদের সিস্টেমের দোষ। সিস্টেম এই দেশে কখনো বদলাবে না। সমাজও ভালো হবে না। সমাজ কখনো ভালোর দিকে যায় না। বরং উল্টো দিন দিন খারাপের দিকে যায়। শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়ে লাখ লাখ ছেলেমেয়ের জীবন এই দেশে নীরবে নষ্ট হচ্ছে। কেউ তা টেরও পাচ্ছে না।
বিদেশে গিয়ে ১০/১২ বছর কামলা দাও আর যাই ই দাও। নিজের শ্রম দিয়ে উপার্জন করে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হবার পর জীবনে তাকিয়ে দেখবে লেখাপড়া আসলে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও জীবনে তেমন কিছু আসে যায় না। যারা বিজ্ঞানী হবে, ডাক্তার হবে যাদের কোন স্পেশাল কোয়ালিটি থাকে তারা লেখাপড়া করুক। তোমার বিজ্ঞানী হবার দরকার নেই ডাক্তার হবার দরকার নেই, তোমার স্পেশাল কোন গুনও নেই। তোমার শিক্ষার একমাত্র লক্ষ্য একটা চাকুরী। নিন্ম মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা প্রতিটি জীবনের লেখাপড়ার উদ্দেশ্য ই হচ্ছে, একটা চাকুরী।
জীবনে টাকা পয়সা হবার পর নিজের বাড়ীতে একটা সুবিশাল লাইব্রেরী দিও। সেখানে রাজ্যের জ্ঞানের বই রাখো। শিক্ষা যদি জ্ঞান অর্জনের জন্যই হয় তাহলে একাডেমিক লেখাপড়া না থাকলেও চলে। সেই লাইব্রেরীতে বসে বসে জ্ঞান অর্জন করিও। তবে অবশ্যই সেটা টাকা অর্জনের পর। জ্ঞান অর্জনের চেয়ে টাকা অর্জন জীবনে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এটা তখন ই বুঝবা যখন বয়স ৩০ পার হবে। কিন্তু তখন আর কিছু করার থাকে না। এর চেয়ে আগেভাগেই বুঝো। অল্প হলেও বুঝো।
Copied
#বিদেশেউচ্চশিক্ষা