তিস্তা প্রকাশ

তিস্তা প্রকাশ ভিন্ন ভিন্ন পেশাজীবীদের অবদান বা সত্তা অন্বেষণ করা হয় ফিল্ডওয়ার্কের মধ্য দিয়ে।

তিস্তা উপন্যাস থেকেই যাত্রা শুরু হয় 'তিস্তা প্রকাশ'-এর।
25/05/2024

তিস্তা উপন্যাস থেকেই যাত্রা শুরু হয় 'তিস্তা প্রকাশ'-এর।

আবদেন করুন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
02/05/2024

আবদেন করুন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।

আনন্দের সংবাদ শেয়ার করছি।'তিস্তা প্রকাশ' থেকে প্রকাশিত 'এক পাতার গল্প'গ্রন্থের দ্বিতীয় মুদ্রণের কাজ চলছে।উল্লেখ্য, এ গল্...
15/02/2024

আনন্দের সংবাদ শেয়ার করছি।

'তিস্তা প্রকাশ' থেকে প্রকাশিত 'এক পাতার গল্প'গ্রন্থের দ্বিতীয় মুদ্রণের কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, এ গল্পগ্রন্থটি ২০২৪ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছিল। মুদ্রণ কপি ছিল : ৫০০।

তিস্তা প্রকাশ-এর নতুন প্রোডাকশন। গল্পগ্রন্থ। প্রচ্ছদ : আইয়ুব আল আমিন।মূল্য : ৩০০ টাকা।যোগাযোগ ৬১, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং...
06/02/2024

তিস্তা প্রকাশ-এর নতুন প্রোডাকশন। গল্পগ্রন্থ।

প্রচ্ছদ : আইয়ুব আল আমিন।
মূল্য : ৩০০ টাকা।

যোগাযোগ
৬১, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স
কাঁটাবন, ঢাকা।
০১৩০০৬৭২৬৯৩

27/12/2023

'তিস্তা প্রকাশ' প্রসঙ্গে যা বললেন সম্পাদক হারুন পাশা।

২৭ ডিসেম্বর ‘তিস্তা’ উপন্যাস প্রকাশিত হয়। এ হিসাবে আজ জন্মদিন।২০১৭ থেকে ২০২৩, ৬ বছর পূর্ণ হয়েছে এ উপন্যাসের। ‘তিস্তা’-কে...
27/12/2023

২৭ ডিসেম্বর ‘তিস্তা’ উপন্যাস প্রকাশিত হয়। এ হিসাবে আজ জন্মদিন।

২০১৭ থেকে ২০২৩, ৬ বছর পূর্ণ হয়েছে এ উপন্যাসের। ‘তিস্তা’-কে অভিনন্দিত করা যায়?

I've just reached 300 followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each one of you. 🙏...
17/12/2023

I've just reached 300 followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each one of you. 🙏🤗🎉

'তিস্তা প্রকাশ'-এর বিশেষ সংখ্যার জন্য বিশেষ ইন্টারভিউ সম্পন্ন হলো।জনাব এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান কেবল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ...
16/12/2023

'তিস্তা প্রকাশ'-এর বিশেষ সংখ্যার জন্য বিশেষ ইন্টারভিউ সম্পন্ন হলো।

জনাব এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান কেবল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নন, তিনি কবি ও ভ্রমণকাহিনীকারও।

16/12/2023

এটি তিস্তা প্রকাশের পেজ। এখান থেকে তিস্তা প্রকাশের সমস্ত কার্যক্রম প্রচারিত হবে।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=743793181118998&id=100064649683511&mibextid=Nif5oz
27/11/2023

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=743793181118998&id=100064649683511&mibextid=Nif5oz

বাংলা সাহিত্যে প্রভাব বিস্তারকারী উপন্যাস 'তিস্তা'।

প্রভাব বিস্তারকারী এজন্য যে, এ উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক লেখকই তাঁদের প্রকরণকৌশলে বদল এনেছেন। যেখানে 'তিস্তা' উপন্যাসের প্রভাব সুস্পষ্ট। এরকম প্রভাব বিস্তারকারী টেক্সট কালেভদ্রে লেখা হয়ে থাকে।

হারুন পাশা-র লেখা 'তিস্তা' উপন্যাস প্রসঙ্গে যতীন সরকার লিখেছেন, “ 'তিস্তা’ পাঠ করে আঞ্চলিক ভাষার বহুমাত্রিক প্রকাশ শক্তি সম্পর্কে অনেক নতুন ভাবনায় ভাবিত হলাম। অভিনব রীতিতে রচিত উপন্যাসটির মূল বিষয় তিস্তা-ব্যারেজ-সৃষ্ট সমস্যা ও সংকট।”

হাসান আজিজুল হক, হায়াৎ মামুদ, আহমদ রফিক, হরিশংকর জলদাসও লিখেছেন ‘তিস্তা’ উপন্যাস নিয়ে।

হরিশংকর জলদাসের মতে, “তিস্তা উপন্যাসে নতুন একটা ধরন আছে, বিচিত্র একটা গড়ন আছে।... উপন্যাসটিতে দক্ষ রূপকারের চারিত্র্য ছড়িয়ে আছে। এ যেন তিস্তাপারের কবিতা। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় ‘তিস্তা’র সবচাইতে বড় শক্তিটা কোথায়? আমি বলব-এর ভাষা। এর আঞ্চলিক ভাষাই উপন্যাসটির মূলধন। আর প্রতিটি চরিত্র বিপুল বৈচিত্র্যে মোহনীয়। উপন্যাসটির আরেকটি বড় গুণ এর বাস্তবতা। তিস্তা নদী, এর দুপাশে ছড়িয়ে থাকা মানবজমিন-এই উপন্যাসের প্রধান অনুষঙ্গ। কথাগুলো শুধু লেখার জন্য লিখলাম না। উপন্যাসটির বৃত্তান্তে আমার কথাগুলোর সমর্থন আছে। ‘তিস্তা’ পাঠকনন্দিত হবে, অবশ্যই।”

বাংলাদেশ ভূখণ্ডের পানিহীন তিস্তা নদী ও তিস্তাবাসীর জীবন নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে লেখা প্রথম উপন্যাস 'তিস্তা'। এ উপন্যাস জিতেছে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার’ এবং ‘শওকত ওসমান সাহিত্য পুরস্কার। প্রভাব বিস্তারকারী এ উপন্যাসটি সংগ্রহ করুন আজই।

ক্লিক করুন👉🏻 rokshort.com/WqX0en772

১. বাংলা সাহিত্যে মহামারি নিয়ে লেখা পূর্ণাঙ্গ উপন্যাসের নাম কি?উত্তর : 'বদলে যাওয়া ভূমি'।২. করোনা মহামারি নিয়ে বাংলা সাহ...
29/05/2022

১. বাংলা সাহিত্যে মহামারি নিয়ে লেখা পূর্ণাঙ্গ উপন্যাসের নাম কি?

উত্তর : 'বদলে যাওয়া ভূমি'।

২. করোনা মহামারি নিয়ে বাংলা সাহিত্যে লিখিত প্রথম উপন্যাসের নাম কি?

উত্তর : 'বদলে যাওয়া ভূমি'।

৩. উপন্যাসটি যে সময়কালে লেখা।

উত্তর : ২০২০ সালের মার্চ-আগস্ট মাস এই সময়কালে লিখেছেন লেখক।

৪. 'বদলে যাওয়া ভূমি' উপন্যাসের লেখক কে?

উত্তর : হারুন পাশা।

চাকরির জন্য যাঁরা পড়ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য যাঁরা পড়ছেন তাঁদের জন্য এই ইনফরমেশনটুকু জানা আবশ্যক। তেমনি জানা আবশ্যক করোনা নিয়ে যেসকল সম্পাদক সংকলন প্রকাশ করছেন তাঁদেরও। জানা আবশ্যক প্রত্যেক লেখক এবং পাঠককে।

প্রকাশক : অনিন্দ্য প্রকাশ।  সার্চ : রকমারি.কম
06/03/2022

প্রকাশক : অনিন্দ্য প্রকাশ।
সার্চ : রকমারি.কম

23/12/2021
27/10/2021
21/10/2021

সাহিত্যে প্রথম পুরস্কার পাওয়ার আনন্দ ও স্মৃতি।

২০১৯ এর ২ জানুয়ারি।

29/09/2021

আমিই গল্প
আমিই উপন্যাস

আমিই জীবন
আমিই পর্যবেক্ষণ
আমিই প্রকাশ

28/08/2021

-সুলতান, দোস্ত, চর কোপাও ক্যারে?
-নালা হরাম, পানি আনাম। পানি থাকলে কি আর আজক্কা কিস্তি দিবার পাই না? গরতে আঁড়ি-পাইল্লা লইয়া যায়? কতদিন দইরা পানি পাই না। সব কিদুন মইরা গেছে। খালি বালু আর বালু।....
তিস্তা-A Novel By Harun Pasha. প্রকাশক : অনিন্দ্য প্রকাশ। তাদের প্রকাশনী ছাড়াও তিস্তা আছে পাঠক সমাবেশ কেন্দ্র [শাহবাগ], বাতিঘর [ঢাকা ও চ্ট্টগ্রাম] এবং রকমারি.কমে।

Samir Ahmed Fazle Elahi Maruful Islam Habibullah Sirajee Afzal Hossain Saikat Habib

31/07/2021

মোলাকাত ডটকম-এর পেজ থেকে :

" হারুন পাশা (Harun pasha) কথাসাহিত্যিক ও সম্পাদক। রংপুর জেলার কাউনিয়ায় ১০ নভেম্বর ১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আক্কাছ আলী (পেশায় ছিলেন শিক্ষক) ও মা ফাতেমা ইয়াসমিন। ৮ ভাই বোনের মধ্যে হারুন পাশা ষষ্ঠ।

তিনি লেখাপড়া শুরু করেন গাজীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর কাউনিয়া হাইস্কুল, কাউনিয়া কলেজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (অনার্স-মাস্টার্স), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (এম.ফিল)।

হারুন পাশার পছন্দ গান, কবিতা, মানুষের সঙ্গ, গল্প শোনা ইত্যাদি।

তাঁর প্রকাশিত উপন্যাস : তিস্তা (২০১৭), চাকরিনামা (২০১৮), বদলে যাওয়া ভূমি (২০২১); যা প্রকাশিত হয়েছে অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে।

আরো কিছু বই হলো : হাসান আজিজুল হকের গল্পে নিম্নবর্গের জীবন, আসাদুজ্জামান নূর : জীবনমঞ্চের অধিনায়ক। ইত্যাদি ও অনিন্দ্য প্রকাশের বই এ দুটি।

তিনি মনে করেন সাহিত্যে নতুন স্বর তৈরি করা আবশ্যক। নতুন প্রকরণে লেখাটা জরুরি। কেননা নতুনত্বে একজন লেখক-কবি টিকে থাকেন সাহিত্যে। হারুন পাশাও নতুন স্বর বা প্রকরণে লিখে চলছেন ২০১২ সাল থেকে। তাঁর কথাসাহিত্যে থাকা এই নতুনত্ব জানতে পড়তে হবে তাঁর উপন্যাস।

তিনি কথাসাহিত্যে পেয়েছেন 'কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৮' এবং 'শওকত ওসমান সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯।

লেখকের সাথে যোগাযোগ ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: হারুন পাশা (Harun pasha)।"
/
সূত্র : মোলাকাত ডটকম
বিস্তারিত :
https://molakat.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%be/

28/06/2021

"হারুন পাশা, রংপুরের ছেলে, সম্প্রতি তার 'তিস্তা' আমাকে দিয়ে গেলেন অনিকেত শামীম। বইটি ভালোলাগার অনেকগুলো কারণের একটি নদী তিস্তাকে নিয়ে এই তরুণ যে মর্মস্পর্শী আখ্যান আমাদের সামনে রেখেছেন সেখানে এই সময়ের তিস্তা সন্নিহিত মানুষের যে অস্তিত্বের সংকট তীব্রতর হয়ে উঠেছে তার যথাযথ চিত্রণ, দ্বিতীয়টি, এর ভাষা, স্থানীয় রাজবংশী ভাষায় লেখা অন্যতম প্রধান উপন্যাস এটি, আমার পাঠ অভিজ্ঞতায়। বইটি হাতে নিয়ে আবার সেই দাবীটিতে সোচ্চার হতে চাই, নদীর আন্তর্জাতিক চরিত্র বজায় থাকুক, নদীকে বন্ধনহীন ভাবে বইতে দাও। অভিনন্দন হারুন, তিস্তার অন্য পারের 'অন্য দেশের' একজন পাঠকের সেলাম তোমাকে।"

--গৌতম গুহ রায়, কবি (শিলিগুড়ি, ভারত)

গৌতম গুহ রায় লিখেছিলেন ১ বছর আগে। ফেসবুক সেটা স্মরণ করে দিলো। ভালো কিছু মেমোরি বারবার শেয়ার করা যায়। গৌতম দা আপনিও গ্রহণ করুন একজন লেখকের ভালোবাসা।

বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশ।

নব ভাবনা-- মাসিক পত্রিকার নদী সংখ্যায় যাওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের লেখক পরিচিতি অংশ।
02/06/2021

নব ভাবনা-- মাসিক পত্রিকার নদী সংখ্যায় যাওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের লেখক পরিচিতি অংশ।

31/05/2021

কালি ও কলম পুরস্কার প্রদানের দিন 'তিস্তা' নিয়ে এই শংসাবচন পাঠ হয়েছিল।

31/03/2021

হারুন পাশা তাঁর 'বদলে যাওয়া ভূমি' উপন্যাস নিয়ে কথা বলেছেন "দেশ টিভি"-তে।

অনিন্দ্য প্রকাশ। প্যাভিলিয়ন ৫।

হারুন পাশার তৃতীয় উপন্যাস : 'বদলে যাওয়া ভূমি'। প্রকাশক : অনিন্দ্য প্রকাশ। বইমেলায় ৫ নং প্যাভিলিয়ন।
19/03/2021

হারুন পাশার তৃতীয় উপন্যাস : 'বদলে যাওয়া ভূমি'।

প্রকাশক : অনিন্দ্য প্রকাশ। বইমেলায় ৫ নং প্যাভিলিয়ন।

"আজ ১০ নভেম্বর সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক হারুন পাশার শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।"
10/11/2020

"আজ ১০ নভেম্বর সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক হারুন পাশার শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।"

[...]আরও পড়ুন

‘তিস্তা’ লেখার গল্প‘তিস্তা’ উপন্যাস লেখার গল্প লিখতে বসে অনেক কথাই মনে ভাসছে। বলছি কিছু। জন্মের পর থেকে যে তিস্তার সাথে ...
26/09/2020

‘তিস্তা’ লেখার গল্প

‘তিস্তা’ উপন্যাস লেখার গল্প লিখতে বসে অনেক কথাই মনে ভাসছে। বলছি কিছু। জন্মের পর থেকে যে তিস্তার সাথে আমার পরিচয়, সেই তিস্তা আমার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় না হয়ে ছোট হতে থাকল। হয়ে গেল নালার মতো। বর্ষার দুমাস বাদে বছরের অন্য সময়গুলোয় নদীতে থাকে বালু। যে নদীর গর্জন শুনে ভয় পেতাম, সেই নদীর বুকে হাঁটা যায়। একপাশ থেকে আরেক পাশে যাওয়া সম্ভব। স্কুলের টিফিনে কিংবা স্কুল ছুটি হলে বন্ধুরা মিলে নদী দেখতে যেতাম। দেখেছি ভরা তিস্তায় কেমন করে কচুরিপানা পাঁক খায়। মাছ ধরছে মাঝি। ধানের জমিতে পলি জমা হচ্ছে। বাড়ছে ফলন। নদীতে মাছ আছে, ঘরে ধান আছে, মানে ভাত আছে। ফলে সংসারে হাসি-খুশিও আছে। চরের মানুষেরা ভুট্টা, আখ, মরিচ, তরমুজ, বাদাম আবাদ করছে।

শৈশব-কৈশরের সমৃদ্ধ স্মৃতি নিয়ে বড়বেলায় নদীতে যাই, দেখার চেষ্টা করি নদীকে আশ্রয় করে বেঁচে থাকা মানুষের জীবন। দেখি আর যন্ত্রণায় আচ্ছন্ন হই। মিলাতে পারি না শৈশবের তিস্তার সঙ্গে যৌবনে দেখা তিস্তা। এ তিস্তার বুকে রস নেই। কষ্ট তীব্র হয় নিজের ভেতর। দেখতে পাই নদীতে পানি নেই বলে তিস্তাকে আশ্রয় করে বেঁচে থাকা মানুষ ঠিক মতো আবাদ করতে পারছে না, মাছ ধরতে পারছে না। দেখি তাদের ক্ষয়, হতাশা, না খেয়ে থাকা, পেশা বদলের মিছিল। তিস্তার পাড় দিয়ে হাঁটি, ব্যথা বড় হতে থাকে। তাদের ভাগ্যবদল তো আমি করতে পারবো না, কারণ সেই ক্ষমতা আমার নেই। তাদের বর্তমান জীবন নিয়ে লেখার চেষ্টায় নিজেকে যুক্ত করতে থাকি।

ঢাকা থেকে রাতে গ্রামে ফিরলে পরেরদিন সকালেই চলে যেতাম তিস্তায়। আলাপ করতাম নদীর মানুষদের সঙ্গে। দেখতাম এবং জানতাম তাদের সুখ-দুঃখের গল্প। তারা গলগল করে বলে যেত নিজেদের যন্ত্রণার কথা। অনুধাবন করতে পেতাম তাদের কথাগুলো শত ক্ষতে আক্রান্ত। ক্ষত সংক্রামিত হয় আমার মনেও। পর্যবেক্ষণ শেষে লিখতে বসি ‘তিস্তা’। লিখি তাদের পরিবর্তিত জীবনের আখ্যান। নদী সম্পর্কে ধারণা বদলে গেল। নদী মানে পানিতে কানায় কানায় ভরা থাকবে, মাঝিরা মাছ ধরবে। না, তিস্তায় এসব নেই।মানিকের পদ্মা, অদ্বৈতের তিতাস, সমরেশ বসুর গঙ্গায় পানি থাকলেও ‘তিস্তা’য় পানি নেই। পানিহীন মানুষের আর্তনাদ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। নদী ও মানুষের সমৃদ্ধ অতীত হয় দরিদ্র। দারিদ্র্যের আখ্যানে পূর্ণ হয় জীবন। তিস্তাবাসী দেশের নানাপ্রান্তে, বিশেষত শহরে রিকশা চালাতে যায়, ব্লকের কাজ করতে যায়, ঘর-বাড়ি মেরামত এবং ধান কাটার কাজ করে, বেছে নেয় হকারির জীবন।

পানি না থাকায় মানুষ, প্রকৃতি, পশু-পাখি আক্রান্ত হয় নানা ধরনের অসুখ-বিসুখে। তিস্তা ব্যারেজ হয়েছিল মানুষের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে। কিন্তু পানিহীন ব্যারেজ হয় অশুভের অংশ। তিস্তা ব্যারেজ ও তিস্তা ক্যানেলে থাকে পানির বদলে বালুর আয়োজন। মিছিল-মিটিং, মানববন্ধনে কাজ না হলে তিস্তাবাসী স্ব উদ্যোগে পানির জন্য আন্দোলনে নামে। উন্নয়নের এ যুগে যেখানে সব কিছু সহজলভ্য, সেখানে মানুষ পানির জন্য আন্দোলন করে। ঘটনা কতটাই না বেদনার। তবুও তারা পানি পায় না, অপেক্ষা করে তিস্তাচুক্তির। চুক্তি তো একদিকে হচ্ছেই না, অন্যদিকে চুক্তি হলেও তারা কি নিশ্চিতভাবে পানি পাবে, এ নিয়েও সংশয় কাটে না।

তিস্তা নদী, তিস্তা ব্যারেজ ও সংশ্লিষ্ট মানুষের দুর্বিষহ জীবন আমাকে ভেতর থেকে তাগাদা দেয় তাদের নিয়ে লিখতে। দীর্ঘ স্মৃতি এবং বাস্তবতা আমাকে কঠিন ভাবে আঘাত করতে থাকে বাক্য লিখতে। লিখতে থাকি একের পর এক বাক্য। দুঃখক্রান্ত হই, কিন্তু ক্লান্তি আসে না চিন্তা এবং লেখায়। লিখি তিস্তাবাসীর ব্যবহৃত ভাষায়। ব্যবহার করি রংপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষা। প্রশ্ন আসতে পারে রংপুরের প্রেক্ষাপটে লেখা উপন্যাসে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ভাষা কেন? হ্যাঁ, এর কারণও আছে। চরে যারা বসবাস করে তাদের অধিকাংশই ময়মনসিংহের ভাষায় কথা বলে। ফলে চরিত্রের মুখে সে ভাষাই ব্যবহার করেছি।

আমি পুরো উপন্যাস লেখার পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে ঘুরেছি দিনের পর দিন। লিখতে পারিনি সময়ের অভাব এবং পারিপার্শ্বিক অনেক কারণে। উপন্যাসটি যখন লেখা শেষ করি, তখন চারপাশে ঈদের আমেজ। সেসময় সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা লিখেছি ‘তিস্তা’ উপন্যাস। তারপর দুপুর তিনটা থেকে রেস্টে ছিলাম। এনার্জি যোগ করে পরেরদিন সকাল থেকে আবার পূর্ণ শক্তি নিয়ে লিখতে বসি। ঈদের দিন কোথাও বেরোই না। কেউ কেউ ফোন করে বলে তিস্তা ব্রিজে যেতে। আমি যাই না, বলি শরীরটা ভালো নয়। আজ থাক, কালকে যাব। পরেরদিন এলে বলি পরেরদিন যাব। অসুস্থতা থাকলেও মাথায় কেবল লেখার চিন্তা। লিখলাম ঈদের দিন রাত অবধি। এর মধ্যে দেখতে পাই অনেকেই ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু কারোরি মেসেজের রিপ্লে দেওয়া হয়নি। তারা হয়তো আমাকে আনসোস্যাল ভেবেছেন। কিন্তু আমি যে এ সময় যাপন করছি তারা তো তা জানে না।

‘তিস্তা’ উপন্যাসে নিরীক্ষা করেছি, লেখক হিসেবে উপন্যাসে আমার কোনো উপস্থিতি নেই। এখানে চরিত্ররাই যাপিত জীবনের ব্যাখ্যাকারক। তারাই বলেছে তাদের কথা এবং তাদের কথনেই উপন্যাসটি এগিয়ে গেছে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত।

উপন্যাসটি লিখতে গিয়ে মায়ের কাছে বেশি কৃতজ্ঞ। মা রান্না শেষ হলেই খেতে ডেকেছেন, খেয়েছি। শহরে থাকলে খাওয়ার কষ্টটাই বেশি হয়। বাড়িতে মা এ কষ্ট ফিল করতে দেননি। আর যারা আমার উপন্যাসের পা-ুলিপি পড়ে বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতিই বা কৃতজ্ঞতা না প্রকাশ করি কেমন করে। ধন্যবাদ ময়েন, শারমিন, সমীর ভাই, মাওলা স্যার, হামীম ভাই। পাঠকদের জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

তিস্তা
লেখক : হারুন পাশা
প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ
প্রকাশকাল : ডিসেম্বর ২০১৭
প্রকাশক : অনিন্দ্য প্রকাশ।

হারুন পাশার গল্প। পড়ুন।
24/08/2020

হারুন পাশার গল্প। পড়ুন।

রওনক, দ্যাখ বৃষ্টির পর ফকফকা আসমান। পাই-ধইরা বাতাস আইতাছে। টাটকা অক্সিজেন। শহরে পাইবি এইসব? তা পাওয়া যাইবো না, ঠিক ....

 #সিরিয়াস সাহিত্য পড়ুন, আস্বাদন করুন বিস্তৃত জীবনের স্বাদ।সাহিত্যে দুটি ধারা আছে। একটি সিরিয়াস, অন্যটি নন-সিরিয়াস বা জনপ...
01/07/2020

#সিরিয়াস সাহিত্য পড়ুন, আস্বাদন করুন বিস্তৃত জীবনের স্বাদ।

সাহিত্যে দুটি ধারা আছে। একটি সিরিয়াস, অন্যটি নন-সিরিয়াস বা জনপ্রিয় ধারা। নন-সিরিয়াস ধারায় কারা লেখেন তা পাঠক জানেন, ধারণা করছি। বরং সিরিয়াস সাহিত্যের কথা বলা যাক।

#সিরিয়াস সাহিত্যে থাকে দেশ, সমাজ, মানুষের জীবন আর বোধের চমৎকার বিবরণ। সাহিত্য তো কেবল একতরফা প্রেম আর সেক্সের বর্ণনা নয়। যেখানে যুক্ত থাকবে বৃহৎ একটা জীবন। থাকবে বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম। নন-সিরিয়াস সাহিত্যই বেশি পঠিত হয়। যদিও সিরিয়াস সাহিত্যে পাওয়া যায় প্রকৃত সাহিত্যের স্বাদ, তবুও পাঠক সংখ্যা কম।

বাংলা কথাসাহিত্যে সিরিয়াস ধারার লেখকরা হলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মানিক-তারাশঙ্কর-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, কমলকুমার মজুমদার, অমিয়ভূষণ, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ বসু প্রমুখ। বাংলাদেশের সাহিত্যে শওকত ওসমান, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, শাহেদ আলী, আবু ইসহাক, আলাউদ্দীন আল আজাদ, সৈয়দ শামসুল হক, হাসান আজিজুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মাহমুদুল হক, সেলিনা হোসেন প্রমুখ। ষাটের দশক পর্যন্ত বলা হলো। এরপর এই ধারায় সত্তর-আশি-নব্বই-শূন্য-প্রথম দশকেও অনেকেই লিখছেন।

#হারুন পাশাও লিখছেন কথাসাহিত্য ২০১২ সাল থেকে, সিরিয়াস ধারায়। দশক হিসাবে প্রথম বা দ্বিতীয়।

#তিনি গল্প বা উপন্যাসে গুরুত্ব দেন দেশ, সমাজ ও মানুষের সংকটাপন্ন জীবনকথা। আখ্যান বা কাহিনি বর্ণনায় লেখককে রাখেন অনুপস্থিত। চরিত্ররাই যাপিত জীবনের ব্যাখ্যাকারক, তাদের কথনেই উপন্যাস এগিয়ে যায় শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত। এক চরিত্র গল্প শোনায় আরেক চরিত্রকে। রয়েছে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার।

তাঁর প্রকাশিত দুটি উপন্যাস 'তিস্তা' এবং 'চাকরিনামা'য় এর প্রমাণ রয়েছে। 'তিস্তা' হলো বাংলাদেশ ভূখণ্ডের পানিহীন তিস্তা নদী, তিস্তা ব্যারেজ এবং নদী তীরবর্তী মানুষের সংকটাপন্ন জীবনের আখ্যান। 'চাকরিনামা' হলো চাকরিহীন মানুষের যন্ত্রণাবিদ্ধ জীবনের আখ্যান।

হারুন পাশার উপন্যাস নিয়ে সিনিয়র সাহিত্যিকরা তাদের মূল্যায়ন জানিয়েছেন। #যেমন, হাসান আজিজুল হক, আহমদ রফিক, যতীন সরকার, হায়াৎ মামুদ। আরো জানিয়েছেন হরিশংকর জলদাস, সমীর আহমেদ সহ অনেকেই। #লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ হারুন পাশা পেয়েছেন কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার, শওকত ওসমান সাহিত্য পুরস্কার।

#হরিশংকর জলদাসের মতামত হলো, "হারুন পাশার 'তিস্তা' উপন্যাসে নতুন একটা ধরন আছে। বিচিত্র একটা গড়ন আছে। পাশা নবীন উপন্যাসকার। কিন্তু উপন্যাসটিতে দক্ষ রূপকারের চারিত্র্য ছড়িয়ে আছে। এ যেন তিস্তাপারের কবিতা।"

একেকটা #সিরিয়াস গল্পের বই বা উপন্যাস লেখার পেছনে থাকে দীর্ঘ সময় আর শ্রমের বিনিয়োগ। অথচ এই সাহিত্যগুলো সব সময় কম পঠিত হয়ে আসছে। হে পাঠক, আপনারা কি সিরিয়াস সাহিত্য পাঠে মনোযোগী হতে পারেন না? আপনারা নন-সিরিয়াস সাহিত্যের সাথে সিরিয়াস সাহিত্যও বেশি করে পাঠের অভ্যাস গড়তে পারেন না কী?

#উপন্যাস দুটি প্রকাশ করেছে : অনিন্দ্য প্রকাশ। এছাড়াও আছে রকমারিডটকমে। আছে ঢাকায় পাঠক সমাবেশ কেন্দ্র ও ঢাকা-চট্রগ্রামের বাতিঘরে।

Address

Rangpur City

Telephone

+8801925255796

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when তিস্তা প্রকাশ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to তিস্তা প্রকাশ:

Videos

Share

Category



You may also like