Chittagong Hill Tracts- Jummaland

Chittagong Hill Tracts- Jummaland Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Chittagong Hill Tracts- Jummaland, Media Agency, Rangamati.

মহালছড়িতে বাঙালি সেটেলারদের হামলায় ৩৭ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট, ২ জুম্ম আহত!হিল ভয়েস, ৫ জুলাই ২০২২, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি...
05/07/2022

মহালছড়িতে বাঙালি সেটেলারদের হামলায় ৩৭ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট, ২ জুম্ম আহত!

হিল ভয়েস, ৫ জুলাই ২০২২, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাধীন মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নের জয়সেন পাড়া এলাকায় মুসলিম বাঙালি সেটেলারদের কর্তৃক হামলায় ৩৭টি আদিবাসী জুম্মর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে অন্তত দুই জুম্ম আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জুম্মদের ভূমিগুলো বেদখলের উদ্দেশ্যে কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়াই বাঙালি সেটেলাররা জুম্মদের উপর এই হামলা চালায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ (৫ জুলাই ২০২২) সকালের দিকে মহালছড়ির মাইসছড়ি ইউনিয়নের জয়সেন পাড়া এলাকায় পুনর্বাসিত মুসলিম বাঙালি সেটেলারদের প্রায় ২০০ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে পাশ্ববর্তী জুম্মদের বাড়িঘরে এই হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ৩৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয়। হামলাকারীরা অগ্নিসংযোগের পূর্বে জুম্মদের বাড়ির হাড়ি-পাতিল, কাপড়চোপরসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করে।

জুম্ম গ্রামবাসীরা হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে চাইলে জুম্ম ও হামলাকারীদের মধ্যে কয়েক ঘন্টাব্যাপী প্রায় দুপুর পর্যন্ত ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে প্রাথমিকভাবে দুই জুম্ম আহত হয় বলে জানা যায়। দুপুরে এক পর্যায়ে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, এই সেটেলারদের এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় মো. আজিজ মেম্বার, মো: জয়দার, মো: শহীদুল, মো: জাহাঙ্গীর, মো: ইউনুস, মো: লিটন, মো: জাহেদুল প্রমুখ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসীর অভিযোগ, ঘটনার সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলের পাশে উপস্থিত থাকলেও হামলাকারী সেটলারদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

স্থানীয় জুম্মদের অভিযোগ, জুম্মদের উক্ত ভূমি বেদখলের জন্য বাঙালি সেটেলাররা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। উক্ত এলাকায় জুম্মদের জুমভূমি ও বাগান-বাগিচা রয়েছে বলে জানা গেছে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহালছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গেছেন বলে জানা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত বিস্তারিত জানা যায়নি।

https://hillvoice.net/bn/%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%9b%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6-2/

3 innocent Tripura villagers killed, 5 injured including children by army-backed Bawm Party terrorists in Bilaichari . H...
22/06/2022

3 innocent Tripura villagers killed, 5 injured including children by army-backed Bawm Party terrorists in Bilaichari .


Hill Voice, 22 June 2022, Rangamati: It has been alleged that armed terrorists of the Bangladesh Army-backed Kuki-Chin National Front (KNF), known as Bawm Party, randomly shot dead three innocent Tripura villagers and injured at least five others, including children, at Saijam Para village in Barathali union of Belaichhari upazila of Rangamati. Saijam Para village is located in Bilaichhari upazila of Rangamati district and in a very remote area bordering Rowangchari and Ruma upazila of Bandarban district.

According to reliable sources, the brutal murder took place at around 10:30 pm yesterday (June 21).

According to local sources, while yesterday, the indigenous Tripura villagers of Saijam Para village were staying in their houses, at that time an armed group of Bawm Party terrorists came there and fired indiscriminately at the villagers. There were only three houses and families of the Tripura community alongside. Three people were killed on the spot in the random firing of the terrorists. Besides, at least 5 people including children and women were injured. A few more escaped and were able to report to the surrounding area.


The full identities of those killed and injured were not known at the time of writing.

Meanwhile, a local village leader of the surrounding area, who did not want to be named, said that without any provocation, the terrorists of the Bawm party carried out the cowardly killing of the villagers like crazy.

It is learnt that a number of Bawm, Khumi and Tripura families lived together in the village of Saijam Para some time ago. Later Bawm, Khumi families moved to elsewhere. At last only three Tripura families were staying there.

It is learnt that at present, there is both panic and anger among the villagers in and around the village.

কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচারের দাবীতে চট্টগ্রামে পিসিপি'র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশআজ ১২ জুন ২০২২ ইং রোজ রবিবার, পাহাড়ী ছাত...
12/06/2022

কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচারের দাবীতে চট্টগ্রামে পিসিপি'র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

আজ ১২ জুন ২০২২ ইং রোজ রবিবার, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, চট্টগ্রাম মহানগর শাখা ও পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে পাহাড়ের নারী নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরণ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার নিশ্চিতসহ অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক নরেশ চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে মহানগর শাখার সংগ্রামী সভাপতি সুপ্রিয় তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শরিফ চৌহান। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, চটগ্রাম দক্ষিণ জেলার সংগ্রামী সভাপতি তাপস হোড় মহোদয়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি এনি সেন, পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জগত জ্যোতি চাকমা,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ চাকমা ও পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সুখীকুমার তঞ্চঙ্গ্যা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিসিপি, চবি শাখার সদস্য আলফ্রেড চাকমা।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে শরিফ চৌহান বলেন,"২৬ বছর আগে যে নারীকে আমরা হারিয়েছি সেই কল্পনা চাকমার সন্ধানে, অপহরণের দাবী জানিয়ে আজকের এই সমাবেশ। আজকে শুধু কল্পনা চাকমার অপহরণ নয় পার্বত্য চট্টগ্রামে যে নারীরা আছেন তারাও নির্যাতন—নিপীড়নের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন এবং তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা দেখেছি, সন্তু লারমার হাত ধরে পার্বত্য অঞ্চলে যে শান্তির জন্য চুক্তি করা হয়েছে, যে শান্তির জন্য পাহাড়ীরা বিশ্বাসের সঙ্গে অস্ত্র জমা দিয়েছে সে শান্তি কোনভাবেই বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।উলটো যারা পার্বত্য চুক্তির পক্ষে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার এটাকে স্বাধীন বাংলাদেশ মনে হয়না।"

তিনি আরো বলেন,"অন্যদিকে যে সরকারের হাত ধরে চুক্তি করা হয়েছিল সেই সরকার দীর্ঘ বছর যাবৎ শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। তারপরেও আমরা স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার কোন উদ্যোগ দেখিনা। উন্নয়নের নামে, শিল্পায়নের নামে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে, জমি কেড়ে নেয়া হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ এখনো নিরাপত্তা হীনতায় ভোগে যেখানে রাষ্ট্রীয় মদদে চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসী গ্রুপ সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং আন্তঃদ্বন্দ্ব, খুন,হয়রানির ব্যবস্থাও রাষ্ট্র প্রতিনিয়ত করছে।

তাপস হোড় মহোদয় তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন,"১৯৯৬ সালে কল্পনা চাকমার অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে তোলপাড় হয়। আমরা এই ২৪ বছরে কল্পনা চাকমার অপহরণ ও তার ভাইদের হত্যাকারীদের বিচার এখনো পেলাম না। যারা কল্পনা চাকমাকে এখনো বুঝতে পারেনি তারা মূর্খ। আজও পাহাড়ে কল্পনা চাকমার আদর্শ টিকে আছে।"

তিনি কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচারের দাবী ও পার্বত্য চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবী জানান।

ছাত্রনেতা এনি সেন বলেন," এই সুদীর্ঘ বছরে ক্ষমতা পালাবদল হয়েছে। আওয়ামিলীগ, বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার দেখিনা। আশির দশক থেকে পাহাড়কে অশান্তি করার লক্ষ্যে সেটেলার পুনর্বাসন, সেনাক্যাম্প স্থাপনসহ অনেক রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র চলছে। যেই শান্তিকামী, মুক্তিকামী জনগণ রাষ্ট্রীয় এই শোষণ—অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে, শাসকগোষ্ঠী তাদেরকে নির্যাতন করেছে। কল্পনা চাকমাও পাহাড়ের মানুষের জন্য রাস্তায় নেমেছে। সেনাবাহিনী তার বিপ্লবী কন্ঠ রোধ করার দেওয়ার জন্য অপহরণ করেছে। তাই ভাইদেরও হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। চুক্তির ২৪ বছর পেরিয়ে গেলেও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নের কোন সুষ্ঠু উদ্যোগ নেই। উলটো পাহাড়ের রাজনীতিকে ভাতৃঘাটি রাজনীতিতে পরিণত করেছে এবং অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।"

পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের জগত জ্যোতি চাকমা বলেন," জনসংহতি সমিতি '৯৭ সালে যে চুক্তি সম্পাদন করেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে সে চুক্তির বাস্তবায়নের কোন আন্তরিকতা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আজকের আমরা যার জন্য এখানে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করেছি সেই রাস্তা কাঁপানো, সংগ্রামী শক্ত কন্ঠস্বর কল্পনা চাকমার অপহরণের ২৬ টি বছর। যার হদিস, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার রাষ্ট্র এখনো আমাদের দিতে পারেনি।"

পিসিপি'র চবি শাখার সদস্য সুখী কুমার তঞ্চঙ্গ্যা বলেন,"অপহরণ, হত্যা, গুম এখন এদেশের রাজনীতির সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের অত্যাচার—অবিচার ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি দিনদিন বেড়েই চলছে। কল্পনা চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তার অপহরণের বিচার আমরা ২৬ বছরে পাইনি।"

স্বাগত বক্তব্যে আলফ্রেড চাকমা বলেন,"কল্পনা চাকমাদের মতো তেজী শক্তি, বলিষ্ঠ কন্ঠ আজও আমাদের সাহস জোগায়। শাসকগোষ্ঠীর এখন জুম্ম জনগণের কন্ঠ রুদ্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগায়। কল্পনা চাকমার মৃত্যু হতে পারে তবে পাহাড়ের হাজারো কল্পনা এখনো আছে।"

সভাপতির বক্তব্যে সুপ্রিয় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন,"২৬ টি বছর পূর্ণ হওয়ার পরও এই রাষ্ট্র, এই প্রশাসন কেন এখনো অপহরণকারীদের শাস্তির জন্য বিচারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পারেনি।" এছাড়াও তিনি আদিবাসী নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করাসহ পার্বত্য চুক্তিকে নস্যাৎ করার সরকারের যে ষড়যন্ত্র ও চুক্তি বিরোধী প্রোপাগান্ডা তা বন্ধ করার আহবান জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে সমাবেশটি চেরাগী মোড় হতে জামালখান পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে এবং মিছিল শেষে সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের সমাপ্তি ঘটে।

March-May 2022: Report on the Human Rights Situation in CHTInstead of resolving the Chittagong Hill Tracts (CHT) problem...
11/06/2022

March-May 2022: Report on the Human Rights Situation in CHT

Instead of resolving the Chittagong Hill Tracts (CHT) problem through political and peaceful means through the implementation of the CHT Accord, the present government has intensified the activities of resolving the problem by military means like the previous dictators. Initiatives have recently been taken to set up 30 ABPN camps as part of the government’s mean object. That’s why a law-and-order meeting was organized at the end of May, at which the ministers, MPs and military bureaucrats threatened to wipe out the Jumma people including the Parbatya Chattagram Jana Samhati Samiti (PCJSS) charging them with terrorism, extortion and violence.

On 13 April 2022, a directive was issued by the Armed Police Battalion Headquarters stating that “police would be deployed in 240 camps withdrawn by the army in phases” by arguing for the implementation of the decisions of the proposals placed in the 5th meeting of the CHT Accord Implementation and Monitoring Committee. The directive said that “Initially, police will be deployed in 30 camps.”

Clause 17(a) of the Part D of the CHT Accord stipulates to withdraw all camps of army, Ansar and VDP from CHT after the signing the Accord and after return of PCJSS members to normal life, while Clause 17(b) provides to transfer lands abandoned by the camps of the military and para-military forces to their real owners or to the Hill District Councils. Therefore, according to these provisions, setting up of APBN camps instead of handing over the abandoned land of the withdrawn camp to the real owners or the Hill District Councils is completely contradictory and ultra-virus to the Accord.

After the appointment of Abul Hasnat Abdullah MP as the Convener of the CHT Accord Implementation and Monitoring Committee in January 2018, five meetings of the Committee were held so far, and in the first four meetings, it was discussed and decided to hand over the subject of ‘Police (Local)’ and ‘Preservation and Development of Law and Order’ to three Hill District Councils through executive order, to withdraw all the temporary camps, and to form the Hill District Police Force in accordance with the Hill District Council Acts. But the government has not taken any initiative to implement those decisions. It is to be noted that no decision has been taken in the CHT Accord Implementation and Monitoring Committee to set up police camps on the site of the withdrawn temporary camp.

Nevertheless, a high-level law and order meeting has been organized in Rangamati on 25 May 2022 and the regional office of APBN has been inaugurated on 26 May 2022 for the purpose of unilaterally setting up APBN camp in the lands of the withdrawn army camp by trampling on the CHT Accord. In order to cover up the failure of the government in the implementation of the CHT Accord and to divert the situation in the CHT, only the issues of terrorism, extortion and violence in the Chittagong Hill Tracts have been addressed in these meetings.

GOC Major General Saiful Abedin in his speech said that out of 72 articles of the CHT Accord, only two clauses were applicable to PCJSS. However, the GOC alleged that the then members of PCJSS had not deposited all their arms and ammunition as per sections 13 and 14 of Part D of the CHT Accord and its all the armed members had not surrendered. In fact, the GOC’s allegation is completely baseless, fabricated and politically motivated and even contradicts the government’s report on the progress of implementation of the Accord.

This is because PCJSS had submitted the list of its members, details of arms and ammunitions to the government within the stipulated time as per section 12 of the Accord, and determining the day, date and place of submission of arms in accordance with section 13, all the members of PCJSS and their families had returned to normal life. The progress report on the implementation of the CHT Accord, made by the Ministry of CHT Affairs, clearly states that these clauses have been ‘implemented’ fully.

The GOC in his speech not only made fabricated and baseless allegations against PCJSS, he also made anti-Accord, communally provocative and threatening speech calling on PCJSS for war on allegations of extortion and armed activities and threatening to wipe them out within 30 minutes; instigating communal sentiment through terming the relocation of Bengali settlers outside the CHT as a pipe-dream; proposal of renaming ‘Tribal Quota’ as ‘Hill Quota’ for inclusion of the Bengali settlers in that quota; allegations of misuse of tribal quota against the Chakma community etc. As a result, there has been strong dissatisfaction and anger among the Jumma people of the CHT.

Under such circumstances, human rights violations upon the Jumma people of the CHT have become a matter of daily routine. In the three months from March to May 2022, a total of 24 incidents of human rights violations were committed by the security forces in the CHT, in which 49 Jumma people were victims. Earlier, there were 28 human rights violations in January and February 2022, in which 69 Jumma were victims of human rights violations. Hence, in the last five months of 2022, a total of 52 human rights violations were committed by the security and law enforcement agencies, in which 127 Jumma people have been subjected to human rights violations.

In 24 incidents committed by security forces in March-May, extrajudicial killings of one person, arbitrary arrests of 21 people, torture of 26 people including 7 people beaten in camps, beating, search of 6 houses and ransacking of property etc. have taken place.

In addition, sexual assault on 4 Jumma women including murder of a woman after r**e by a Muslim settler, setting 9 houses of Jumma people on fire, setting on fire of 350 acres on fire of Jum farming land, plantation and village common forests in three villages of Lama with an aim to occupy the land and resulting livelihood, food and drinking water crisis of 200 men and women from 39 families have been committed by the Muslim settlers in the CHT in March-May.

In addition, 11 people have been killed and 4 others have been abducted including one beaten by the army-backed Reformist JSS, UDPF (Democratic), the Mog Party and the KNF, widely known as the Bawm Party. Recently the Kuki-Chin National Front (KNF) is added latest in the conspiring activities of the army and the ruling Awami League to engage armed terrorist groups in terrorist activities by providing shelter and deploying them in various places with the aim to push conflict among the Jumma peoples based on divide and rule policy, to thwart the process of implementation of the CHT Accord, above all to cover up the failure of the government to implement the Accord and to divert the CHT situation into other direction.

The propaganda that has been carried out by the army and the ruling Awami League against the PCJSS, which has signed the CHT Accord, is now being carried out by the KNF. Not only that, KNF has given shelter to Jamaat-e-Arakan, an armed Islamic militant group, in their hideout in Remakri Pransa area of ​​Ruma upazila. In return, Jamaat-e-Arakan provided monthly financial assistance including money for arms purchases to KNF.

https://www.pcjss.org/march-may-2022-report-on-the-human-rights-situation-in-cht/

মার্চ-মে মাসে সেনাবাহিনীর ২৪টি ঘটনায় ৪৯জন জুম্ম মানবাধিকার লংঘনের শিকার: জেএসএস১১ জুন ২০২২, বিশেষ প্রতিবেদক: পার্বত্য চট...
11/06/2022

মার্চ-মে মাসে সেনাবাহিনীর ২৪টি ঘটনায় ৪৯জন জুম্ম মানবাধিকার লংঘনের শিকার: জেএসএস

১১ জুন ২০২২, বিশেষ প্রতিবেদক: পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএ) তার সর্বশেষ পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর এক প্রতিবেদনে বিগত তিন মাসে (মার্চ-মে ২০২২) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত ২৪টি ঘটনায় ৪৯ জন জুম্ম মানবাধিকার লংঘনের শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে। এ নিয়ে ২০২২ সালের বিগত পাঁচ মাসে (জানুয়ারি-মে) নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মোট ৫২টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সংঘটিত হলো এবং ১২৮ জন জুম্ম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হলো বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ পিসিজেএস’এর সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা স্বাক্ষরিত ‘মার্চ-মে ২০২২: পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর প্রতিবেদন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এইসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের পরিবর্তে বর্তমান সরকার পূর্ববর্তী স্বৈরশাসকদের মতো সামরিক উপায়ে পার্বত্য সমস্যা সমাধানের কার্যক্রম জোরদার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেদনে সরকার কর্তৃক চুক্তি লংঘন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে এপিবিএন মোতায়েন, বাঙালি সেটেলারদের কর্তৃক জুম্ম নারীর উপর সহিংসতা, জুম্মর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভূমি বেদখলের অপচেষ্টা, সেনামদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের কর্তৃক হত্যা ও অপহরণের ঘটনার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

পিসিজেএসএস’এর সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি নিম্নরূপঃ

“মার্চ-মে ২০২২: পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর প্রতিবেদন

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের পরিবর্তে বর্তমান সরকার পূর্ববর্তী স্বৈরশাসকদের মতো সামরিক উপায়ে পার্বত্য সমস্যা সমাধানের কার্যক্রম জোরদার করেছে। সরকারের সেই হীনতৎপরতারই অংশ হিসেবেই সম্প্রতি ৩০টি এবিপিএন ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তজ্জন্য গত মে মাসের শেষান্তে আইন-শৃঙ্খলা সভার আয়োজন করা হয়েছে এবং সেই সভায় মন্ত্রী-সাংসদ-সামরিক আমলা কর্তৃক চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টা ধামাচাপা দিয়ে জনসংহতি সমিতিসহ চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনরত জুম্মদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও হানাহানির অভিযোগ এনে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে।

১৩ এপ্রিল ২০২২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্স থেকে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির ৫ম বৈঠকে উপস্থাপিত প্রস্তাবাবলীরসিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের’ দোহাই দিয়ে “সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারকৃত ২৪০টি ক্যাম্পে পর্যায়ক্রমে পুলিশ মোতায়েন করা হবে” মর্মে এক নির্দেশনা জারি করা হয়। “প্রাথমিকভাবে ৩০টি ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েন করা হবে”বলে ঐ নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

পার্বত্য চুক্তির ‘ঘ’ খন্ডের ১৭(ক) ধারায় পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর এবং জনসংহতি সমিতির সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার সাথে সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ব্যতীত সেনা, আনসার ও ভিডিপির সকল ক্যাম্প প্রত্যাহার করা এবং ১৭(খ) ধারায় সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর ক্যাম্প ও সেনানিবাস কর্তৃক পরিত্যক্ত জায়গা-জমি প্রকৃত মালিকের নিকট অথবা পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করার বিধান করা হয়। কাজেই পার্বত্য চুক্তির এসব ধারা অনুযায়ী প্রত্যাহৃত ক্যাম্পের পরিত্যক্ত জায়গা-জমি প্রকৃত মালিক কিংবা পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তরের পরিবর্তে এপিবিএন ক্যাম্প স্থাপন করা চুক্তির সাথে সম্পূর্ণভাবে বিরোধাত্মক ও সাংঘর্ষিক।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে সাংসদ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়োগ দেয়ার পর এযাবত অনুষ্ঠিত পাচঁটি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রথম চারটি সভায় পার্বত্য চুক্তির উক্ত বিধানাবলী অনুসারে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে ‘পুলিশ (স্থানীয়)’ ও ‘আইন-শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ বিষয় হস্তান্তর করা ও অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার করা, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন মোতাবেক পার্বত্য জেলা পুলিশ বাহিনী গঠন করার জন্য আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু সরকার সেসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। উল্লেখ্য প্রত্যাহারকৃত অস্থায়ী ক্যাম্পের স্থলে পুলিশ ক্যাম্প বসানোর কোন সিদ্ধান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটিতে গ্রহণ করা হয়নি।

তা সত্ত্বেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে পদদলিত করে প্রত্যাহৃত সেনাক্যাম্পের জায়গায় একতরফাভাবে এপিবিএন ক্যাম্প স্থাপনের উদ্দেশ্যে ২৫ মে ২০২২ রাঙ্গামাটিতে উচ্চ পর্যায়ের আইন-শৃঙ্খলা সভা এবং ২৬ মে ২০২২ এপিবিএনের আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। উল্লেখিত অনুষ্ঠানে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে কেবলমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হানাহানির বিষয়টি ইস্যু করে বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে।

জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন তার বক্তব্যে বলেছেন যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে মাত্র ২টি ধারা ছিল জনসংহতি সমিতির পালনযোগ্য। কিন্তু পার্বত্য চুক্তির ‘ঘ’ খন্ডের ১৩নং ও ১৪নং ধারা অনুসারে জনসংহতি সমিতির তৎকালীন সদস্যরা সকল অস্ত্র ও গোলাবারূদ জমা দেননি এবং সকল সশস্ত্র সদস্য সারেন্ডার করেননি বলে জিওসি অভিযোগ করেন। বস্তুত জিওসি’র উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মনগড়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত এবং এমনকি চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত সরকারের প্রতিবেদনের সাথেও বিরোধাত্মক।

কেননা চুক্তির ১২নং ধারা মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে জনসংহতি সমিতি তার সদস্যদের তালিকা, অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিবরণী সরকারের নিকট জমা দিয়েছিল এবং ১৩নং ধারা মোতাবেক অস্ত্র জমাদানের দিন, তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করে অস্ত্র ও গোলাবারূদের জমাদান এবং জনসংহতি সমিতির সকল সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তনের কাজ সম্পন্ন করে, যা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদনেও সম্পূর্ণরূপে ‘বাস্তবায়িত হয়েছে’ বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

জিওসি তার বক্তব্যে কেবল জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে মনগড়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ধরেননি, তিনি চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র তৎপরতার অভিযোগ এনে আন্দোলনরত জনসংহতি সমিতিকে সম্মুখ যুদ্ধের আহ্বান জানান এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি প্রদান; সেটেলার বাঙালিদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে পুনর্বাসনের বিষয়টি আকাশ কুসুম কল্পনা হিসেবে আখ্যায়িত করে সাম্প্রদায়িক উস্কানী প্রদান; চুক্তিতে উল্লেখিত উপজাতীয় কোটা বাতিল করে তা ‘পার্বত্য কোটা’ নামকরণ করে সেটেলার বাঙালিদেরও সেই কোটায় অন্তর্ভুক্ত করা; চাকমাদের বিরুদ্ধে উপজাতীয় কোটা অপব্যবহারের অভিযোগ ইত্যাদি চুক্তি বিরোধী, সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক ও হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এমনিতর পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তিন মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা বাহিনী মোট ২৪টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং তাতে ৪৯ জন জুম্ম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন। এর আগে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮টি মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল এবং তাতে ৭৯ জন জুম্ম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছিলেন। এ নিয়ে ২০২২ সালের বিগত পাঁচ মাসে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মোট ৫২টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সংঘটিত হলো এবং ১২৮ জন জুম্ম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হলো।

নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক মার্চ-মে মাসে সংঘটিত ২৪টি ঘটনায় একজনকে বিচার-বহির্ভুত হত্যা, ২১ জনকে অবৈধ গ্রেফতার, ৭ জনকে ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতনসহ ২৮ জনকে মারধর ও নির্যাতন, ৬টি বাড়ি তল্লাসী ও জিনিসপত্র তছনছ, এবং ৫টি জায়গায় ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ ও এজন্য ভূমি বেদখলের ষড়যন্ত্র ইত্যাদি ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

এছাড়া মার্চ-মে মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে মুসলিম সেটেলার কর্তৃক একজন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যাসহ ৪ জন জুম্ম নারীর উপর যৌন সহিংসতা, জুম্মদের ৯টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভূমি বেদখলের উদ্দেশ্যে লামার তিন গ্রামে জুম্মদের ৩৫০ একরের জুমভূমি, ফলজ বাগান ও গ্রামীণ বনে অগ্নিসংযোগ এবং এতে ৩৯ পরিবারের ২০০ জন নারী-পুরুষ জীবন-জীবিকা, খাদ্য ও পানীয় জলের সংকটের মুখে পড়া ইত্যাদি ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে।

অধিকন্তু সেনা-মদদপুষ্ট সংস্কারপন্থী জেএসএস, ইউডিপিএফ (গণতান্ত্রিক), মগপার্টি, বমপার্টি নামে খ্যাত কেএনএফ কর্তৃক ১১ জনকে হত্যা এবং একজনকে মারধরসহ ৪ জনকে অপহরণের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ভাগ করো শাসন করো নীতির ভিত্তিতে জুম্মদের মধ্যে সংঘাত চাপিয়ে দেয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করা, সর্বোপরি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের ব্যর্থতা ধামাচাপা দিয়ে পার্বত্য পরিস্থিতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীনউদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ কর্তৃক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করে সন্ত্রাসী কাজে লেলিয়ে দেয়ার কার্যক্রমে সর্বশেষ সাম্প্রতিক সময়ে যোগ হয়েছে বমপার্টি নামে খ্যাত কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে যেসব অপপ্রচার চালানো হয়ে থাকে, সাম্প্রতিক সময়ে আবির্ভাব হতে না হতেই এখন কেএনএফ সেই অপপ্রচার জোরেসোরে চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কেএনএফ জামায়াতে আরাকান নামে একটি সশস্ত্র ইসলামী জঙ্গী সংগঠনকে রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা এলাকায় তাদের গোপন আস্তানায় আশ্রয় দিয়েছে। বিনিময়ে জামায়াতে আরাকানের পক্ষ থেকে কেএনএফকে অস্ত্র ক্রয়সহ মাসিক অর্থ সাহায্য প্রদান করা হয় বলে জানা গেছে।”

বান্দরবানে সেনামদদপুষ্ট মগ পার্টি সন্ত্রাসীদের কর্তৃক দুই নিরীহ জুম্ম অপহৃত১০ জুন ২০২২, বান্দরবান: সেনাবাহিনী ও স্থানীয় ...
10/06/2022

বান্দরবানে সেনামদদপুষ্ট মগ পার্টি সন্ত্রাসীদের কর্তৃক দুই নিরীহ জুম্ম অপহৃত

১০ জুন ২০২২, বান্দরবান: সেনাবাহিনী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ মদদপুষ্ট মগ পার্টি সন্ত্রাসীদের কর্তৃক বান্দরবান পার্বত্য জেলাধীন বান্দরবান সদর উপজেলার রাজভিলা ইউনিয়ন এলাকা থেকে দুই নিরীহ জুম্ম গ্রামবাসীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ ১০ জুন ২০২২ বিকাল আনুমানিক ৪:০০ টার দিকে এই অপহরণের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

অপহরণের শিকার দুই জুম্ম গ্রামবাসী হলেন- (১) খোকন তঞ্চঙ্গ্যা (৪৩), পিতা-মৃত বিরণ তঞ্চঙ্গ্যা, গ্রাম- তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া, রাজভিলা ইউনিয়ন ও (২) জীবন চাকমা (৪৫), পিতা-অজ্ঞাত, গ্রাম-ঐ। উল্লেখ্য, জীবন চাকমার আসল বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। তবে তিনি রাজভিলার তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন এবং সেখানে তার একটি চায়ের দোকানও রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ আনুমানিক ৪:০০ টার দিকে উচিংমং রাখাইন ওরফে মুদি’র নেতৃত্বে মগ পার্টি সন্ত্রাসীদের ৬ জনের একটি সশস্ত্র দল রাজভিলার তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া এলাকায় হঠাৎ এসে খোকন তঞ্চঙ্গ্যা ও জীবন চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা খোকন তঞ্চঙ্গ্যাকে তার নিজ বাড়ি থেকে এবং জীবন চাকমাকে তার দোকান থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, অপহরণকারীরা রাজভিলার পার্শ্ববর্তী রাঙ্গামাটি জেলাধীন রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের হেডম্যান বিহার পাড়া এলাকা থেকে সেখানে গিয়েছিল বলে এলাকাবাসীর সূত্রে খবর পাওয়া যায়।

জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা খোকন তঞ্চঙ্গ্যা ও জীবন চাকমাকে অপহরণের পর বাঙ্গালহালিয়ার দিকে নিয়ে গেছে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃত গ্রামবাসীদের শেষ খবর জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ৭ মে ২০২২ চাইউগ্য মারমা (৪৬), পীং-মৃত আবু মং মারমা নামে বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত এক জুম্ম ওয়ার্ড সদস্য বাঙ্গালহালিয়া গেলে সেখান থেকে এই মগ পার্টি সন্ত্রাসীদের কর্তৃক অপহরণের শিকার হন।

লংগদু সাম্প্রদায়িক হামলার ৫ বছর: বিচারকাজে অগ্রগতি নেই, অপরাধীরা শাস্তিহীন...২ জুন ২০২২: আজ ভয়াবহ লংগদু সাম্প্রদায়িক হাম...
02/06/2022

লংগদু সাম্প্রদায়িক হামলার ৫ বছর: বিচারকাজে অগ্রগতি নেই, অপরাধীরা শাস্তিহীন...

২ জুন ২০২২: আজ ভয়াবহ লংগদু সাম্প্রদায়িক হামলার ৫ বছর পূর্ণ হলো। এটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর পরবর্তী প্রায় ২০টির অধিক বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলার অন্যতম একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ২০১৭ সালের এই দিনে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন লংগদু উপজেলা সদরের তিনটিলা ও এর আশেপাশের একাধিক গ্রামে আদিবাসী জুম্মদের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশের ছত্রছায়ায় ক্ষমতাসীন স্থানীয় আওয়ামীলীগ-যুবলীগের নেতৃত্বে সেটেলার বাঙালিরা এই হামলা চালায়। হামলায় লংগদু সদরের তিনটিলা, পার্শ্ববর্তী মানিকজোড় ছড়া ও বাত্যাপাড়া এলাকায় জুম্মদের অন্তত ২১৮টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত এবং ৮৮টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও লুটপাটের শিকার হয়। সরকার পক্ষ কর্তৃক শেষ পর্যন্ত ভস্মীভূত বাড়ির সংখ্যা ২১২টি বলে স্বীকার করা হয়। তিনটিলা এলাকায় গুণমালা চাকমা নামে ৭৫ বছরের এক অশীতিপর বৃদ্ধ নারী পালিয়ে যেতে না পারার কারণে ঘরের মধ্যে আগুনে পুড়ে মারা যান। এছাড়া স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ২৫৬ জন ছাত্র-ছাত্রীর পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষা সামগ্রী, পোষাক পরিচ্ছদ অগ্নিসংযোগে পুড়ে যায়। জুম্মদের তালিকা অনুযায়ী বসত-বাড়ি ও সহায়-সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৪ কোটি টাকা।

হামলাকারী সেটেলার বাঙালিরা জুম্মদের ঘরবাড়ি ও দোকানের মূল্যবান জিনিসপত্র ও মালামাল, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী লুট করে নিয়ে যায় এবং শুকরগুলো মেরে ফেলে দিয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া তিনটিলা, মানিকজোড়ছড়া ও বাত্যা পাড়ার ২১২ পরিবারের কেউই কোনো সহায়-সম্পত্তি রক্ষা করতে পারেনি এবং এক কাপড়ে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে গিয়ে কোন রকমে জীবন রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, এই হামলায় লংগদু উপজেলার আনুমানিক তিনটিলার ১৫০ পরিবার, মানিকজোড়ছড়ার ১৫০ পরিবার, বাত্যা পাড়ার ১২০ পরিবার, বড়াদমের ২০০ পরিবার, সোনাইয়ের ১০০ পরিবার, আটারকছড়ার ১০০ পরিবার, যাত্রামুড়ার ৫০ পরিবার ও মাজনপাড়ার ৫০ পরিবারসহ আনুমানিক প্রায় এক হাজার পরিবারের ৬,০০০ জুম্ম গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী রণছড়া, বামে লংগদু, রাঙ্গাপানিছড়া, ভূইয়াছড়া, মানিক্যা কার্বারী পাড়া, দজর পাড়া, মধ্যছড়া, গধাবান্যাছড়া ইত্যাদি গ্রামে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

ঘটনার সূত্রপাতঃ

১ জুন ২০১৭ দুপুর ১২:০০টায় খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের চার মাইল নামক স্থানে নুরুল ইসলাম নয়ন নামে ভাড়ায় চালিত একজন মোটর সাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ২ জুন সকালে পৌঁনে ৭:০০টার দিকে খাগড়াছড়ি থেকে লংগদু উপজেলাধীন বটতলী নামক গ্রামে তার লাশ নিয়ে আসা হলে দুইজন পাহাড়ি ভাড়া নিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে মর্মে অভিযোগ এনে সেটেলার বাঙালিরা সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়াতে থাকে। ভোর থেকে মাইক যোগে জুম্মদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে নয়নকে হত্যার প্রতিবাদে আহুত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে যোগ দিতে সেটেলার বাঙালিদেরকে আহ্বান জানানো হয়। ফলে সদরের আশেপাশের এলাকাসহ গাদোছড়া, মাইনী, বগাচদর ইত্যাদি এলাকা থেকে গাড়ি ও বোট যোগে শত শত সেটেলার বাঙালি বাত্যা পাড়ায় সমবেত হয়।

এরপর সকাল ৯:৩০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ছত্রছায়ায় লংগদু উপজেলার বাত্যা পাড়া থেকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে সেটেলার বাঙালিদের এক জঙ্গী সাম্প্রদায়িক মিছিল বের করা হয়। এই জঙ্গী সাম্প্রদায়িক মিছিলটি জুম্ম অধ্যুষিত এলাকার মধ্য দিয়ে আনুমানিক ১০:০০টার দিকে লংগদু সদরের তিনটিলা এলাকার কাছাকাছি পৌঁছলে সেটেলার বাঙালিরা কোন উস্কানি ছাড়াই জুম্মদের ঘরবাড়ি ও দোকান লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে এবং জুম্মদেরকে ধাওয়া করতে থাকে। এই হামলা চলে বেলা ২:০০ টা পর্যন্ত।

হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগঃ

সেটেলার বাঙালিদের মিছিলটি সকাল আনুমানিক ১০:০০টার দিকে লংগদু সদরের তিনটিলা এলাকায় পৌঁছলে সেটেলার বাঙালিরা কোন উস্কানি ছাড়াই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও হেডম্যান এসোসিয়েশনের মাল্টিপারপাস কমিউনিটি সেন্টারের অফিসসহ জুম্মদের ঘরবাড়ি ও দোকানগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং জুম্মদের উপর হামলা করতে শুরু করে। এতে জুম্ম গ্রামবাসীরা প্রাণের ভয়ে মানিকজোড়ছড়া এলাকার দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এ হামলায় তিনটিলা এলাকায় ১০টি দোকানসহ জুম্মদের কমপক্ষে ৯৪টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়। সেটেলাররা প্রথমে জুম্মদের ঘরবাড়ি ও দোকানগুলো লুটপাট করে। তারপর পেট্রোল ও কেরোসিন ঢেলে দিয়ে একের পর এক অগ্নিসংযোগ করে থাকে। এমনকি এক ধরনের গ্যাসের বোতল থেকে স্প্রে করে ঘরবাড়ির চালে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। ফলে পাকা বা আধা পাকা ঘরবাড়িগুলোও দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে দ্রুত পুড়ে যায়।

তিনটিলা এলাকায় অগ্নিসংযোগের সময় লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও লংগদু মৌজার হেডম্যান কুলিনমিত্র চাকমা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া গুণমালা চাকমা নামে ৭৫ বছরের একজন বৃদ্ধ নারী আগুনে পুড়ে মারা যায়। সেটেলার বাঙালিরা উক্ত বাড়িতে আগুন দিলে বার্ধক্যের কারণে গুণমালা চাকমা পালিয়ে যেতে পারেননি। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার আগে সেটেলাররা এই বৃদ্ধ মহিলাকেও নৃশংসভাবে মারধর করে আহত করে বলে জানা গেছে।

মিছিল শেষে লংগদু সদরের উপজেলা মাঠে সেটেলার বাঙালিদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় একদিকে জুম্ম বিরোধী সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ চলতে থাকে, অন্যদিকে তিনটিলার জুম্ম ঘরবাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হতে থাকে। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম ও সেটেলার বাঙালি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, লংগদু সেনা জোনের জোন কম্যান্ডার ও লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বক্তব্য প্রদান করেন।
এরপর সেটেলার বাঙালিরা পার্শ্ববর্তী মানিকজোড়ছড়া নামক জুম্ম গ্রামে হামলা করতে যায়। সেটেলার বাঙালিরা জুম্ম ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে গেলে প্রথমে জুম্ম গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। ফলে সেটেলার বাঙালিরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিছু সময়ের জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। তখনো পর্যন্ত সেটেলার বাঙালিরা জুম্মদের ঘরবাড়িতে আগুন ধরাতে সক্ষম হয়নি। এমতাবস্থায় একদল সেনা সদস্য জুম্মদেরকে অস্ত্র তাক করে এগিয়ে আসে এবং জুম্মদেরকে গুলি করার হুমকি দিতে থাকে। ফলে জুম্মরা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তখন সেটেলার বাঙালিরা নির্বিঘ্নে জুম্মদের ঘরবাড়ি লুটপাট করে এবং পেট্রোল ও কেরোসিন ঢেলে অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এতে মানিকজোড়ছড়ায় ৫টি দোকানসহ কমপক্ষে ৮৮টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যায়।

বেলা ১২:০০টার দিকে জেলা প্রশাসন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে ১২:০০টার পরেও ২:০০টা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রহরায় সেটেলার বাঙালিরা বাত্যা পাড়ায় অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এতে ৪টি দোকানসহ বাত্যা পাড়ায় ৪২টি ঘর পুড়ে যায় বলে জানা যায়। একপর্যায়ে বাত্যা পাড়া থেকে সেটেলাররা ফিরে এলে পার্শ্ববর্তী বড়াদম গ্রামের ঘরবাড়ি অগ্নিসংযোগ থেকে রক্ষা পেয়ে থাকে।

সেনা ও পুলিশের ভূমিকাঃ

লাশ নিয়ে সেটেলারদের জঙ্গী মিছিল বের করার খবর জানাজানি হলে জনসংহতি সমিতির লংগদু থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মণি শংকর চাকমাসহ স্থানীয় জুম্ম জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ সাম্প্রদায়িক হামলার একদিন আগে ১ জুন সন্ধ্যায় ২ ইবিআরের লংগদু সেনা জোন ও লংগদু থানা কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কার কথা জানান এবং সেটেলার বাঙালিদেরকে লাশ নিয়ে মিছিল করার অনুমতি না দিতে অনুরোধ করেন। তারই প্রেক্ষিতে সেদিন রাত ৯:০০টার দিকে সেনা জোনের পক্ষ থেকে টুআইসি মেজর রফিক ও সুবেদার মেজর মো: রফিক নিজে এসে জুম্মদেরকে এই মর্মে আশ্বাস দেন যে, ‘মিছিল করা সেটেলারদের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলটি করবে। মিছিলের সাথে সার্র্বক্ষণিকভাবে সেনা-পুলিশ থাকবে। কোন অঘটন ঘটতে দেয়া হবে না।’ তাই নিরাপত্তা নিয়ে জুম্মদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে জুম্মদেরকে তিনি আশ্বস্ত করেন। তারও আগে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলামও একই সুরে জুম্মদেরকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকি ২ জুন সকালে এসে সুবেদার মেজর মো: রফিক আবারও নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে যান।


কিন্তু লংগদু সেনা জোনের জোন কম্যান্ডার লে: কর্ণেল আবদুল আলিম চৌধুরী পিএসসি, টুআইসি মেজর রফিক ও লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনা-পুলিশের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও লাশ নিয়ে সেটেলার বাঙালিদের মিছিল উপজেলা সদরের তিনটিলা এলাকার কাট্টলতলায় পৌঁছার সাথে সাথে সেটেলাররা জুম্মদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট লুট করতে শুরু করে এবং পেট্রোল ও কেরোসিন ঢেলে অগ্নিসংযোগ করতে থাকে। কর্তব্যরত সেনা ও পুলিশ সদস্যদের লুটপাট ও অগ্নিসংযোগকারী সেটেলার বাঙালিদেরকে বাধা প্রদান করতে দেখা যায়নি। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা এ সময় হামলাকারী কাউকে আটক করেনি।

অন্যদিকে জোন কম্যান্ডার লে: কর্ণেল আবদুল আলিম চৌধুরীর নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা মানিকজোড়ছড়ায় না গেলে সেটেলার বাঙালিরা জুম্মদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে সক্ষম হতো না। সেনা সদস্যরা না পৌঁছা পর্যন্ত জুম্ম গ্রামবাসীরা সেটেলার বাঙালিদের প্রতিরোধ করেছিল। সেনা সদস্যরা পৌঁছার পর জুম্মদের গুলি করার হুমকি দিলে জুম্মরা মানিকজোড়ছড়া গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় এবং সেনা-পুলিশের প্রহরায় সেটেলাররা অবাধে জুম্মদের ঘরাবাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর সেনা-পুলিশ প্রহরায় সেটেলার বাঙালিরা বাত্যা পাড়া ও বড়াদমে হামলা করতে যায়। এমনকি দুপুর ১২টায় ১৪৪ ধারা জারি করার পরও সেনা-পুলিশকে কোন ফাঁকা গুলি বা কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। সেটেলার বাঙালিদের নিবৃত্ত না করে বরঞ্চ তাদেরকে জুম্মদের হুমকি ও ধাওয়া করতে দেখা গেছে। এ থেকে বুঝা যায় যে, সেনা ও পুলিশ সদস্যরাও হামলাকারীদের পক্ষাবলম্বন করে।

হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মূল হোতাঃ

সেই সময় হামলার ঘটনার জন্য মূল উস্কানিদাতা হিসেবে অভিযোগ ওঠে অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ করে লংগদু সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর রফিক ও ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ রফিকের বিরুদ্ধে। এছাড়া জনগণের পক্ষ থেকে ঘটনায় অংশগ্রহণকারী ও মূল হোতা হিসেবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তারা হলেন- (১) মো: সাইফুল ইসলাম (৫৫), তিনটিলা বাজার, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী; (২) খলিলুর রহমান খান (৪০), তিনটিল বাজার, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী এবং সমঅধিকার আন্দোলনের লংগদু সভাপতি; (৩) মো: জুয়েল (৩৭), পীং-আবদুল হামিদ, বাত্যা পাড়া, যুবলীগ; (৪) আবদুল হালিম (৪০), তিনটিলা, বিএনপি; (৫) মোহাম্মদ এরশাদ (৩৫), পীং-আবদুল বারেক সরকার, গাদোছড়া, মাইনী, আওয়ামী লীগ; (৬) মো: শাহ আলম মুরাদ (৪২), তিনটিলা, বিএনপি; (৭) আবদুল সাত্তার (৩০), কাট্টলতলী, তিনটিলা, বিএনপি; (৮) মো: আবু (৩০), পীং-মোহাম্মদ আলী, বাত্যা পাড়া, আওয়ামীলীগ; (৯) মো: মোস্তফা, পীং-মোহাম্মদ আলী, বাত্যা পাড়া, আওয়ামীলীগ; (১০) ছোটন দাশ, মাইনী, আওয়ামীলীগ; (১১) শামীম, পীং-তাজুল ইসলাম, বাত্যাপাড়া, আওয়ামীলীগ; (১২) মো: নজরুল ইসলাম, পীং-মাহবুব মেম্বার, বাত্যা পাড়া, আওয়ামীলীগ; (১৩) আলমগীর হোসেন মোনা, মোটর সাইকেল চালক সমিতির সভাপতি, ৯নং ওয়ার্ড, বগাচদর ইউনিয়ন, লংগদু; (১৪) মো: দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, বাঙালি ছাত্র পরিষদ, জাল্যাপাড়া, বগাচদর ইউনিয়ন, লংগদু; (১৫) মেজর রফিক, টুআইসি, লংগদু সেনা জোন, ২ ইবিআর; (১৬) সুবেদার মেজর মো: রফিক, লংগদু সেনা জোন, ২ ইবিআর; (১৭) তোফাজ্জল হোসেন, লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি লংগদু শাখার সভাপতি; (১৮) এ্যাডভোকেট আবছার আলী, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের নেতা; (১৯) নাসির উদ্দীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামীর লংগদু শাখার আমীর; (২০) শফিকুল ইসলাম, লংগদু যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক; (২১) সারোয়ার হোসেন মোল্লা, তথ্য প্রচার সম্পাদক, লংগদু আওয়ালীলীগ; (২২) ফারুক মেম্বার, আওয়ামী লীগ; (২৩) মো: কাইয়ুম, মেম্বার, মাইনীমুখ ইউপি, আওয়ামী লীগ; (২৪) মো: রাসেল, আওয়ামী লীগ; (২৫) মোছাম্মৎ আফরোজা তানিয়া ওরফে হাওয়া, সভাপতি, মহিলা লীগ, লংগদু প্রমুখ।

মামলা ও বিচার প্রক্রিয়াঃ

জুম্ম গ্রামে হামলা ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত জুম্মদের পক্ষ থেকে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে লংগদু থানায় ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু এগুলির মধ্যে ৩টি মামলা কেবল জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তবে ৯ জুন ২০১৭ তিনটিলা গ্রামের কিশোর চাকমা কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাটিই কেবল মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এতে ৯৮ জন হামলাকারীর নাম উল্লেখ পূর্বক ৩০০/৪০০ জন সেটেলার বাঙালির বিরুদ্ধে পাহাড়িদের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া ২ জুন ২০১৭ বিকালে লংগদু থানার এসআই দুলাল হোসেন কর্তৃক ১৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে লংগদু থানায় একটি পুলিশী মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে উক্ত উভয় মামলায় সর্বমোট ৩৪ জন সেটেলার বাঙালিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের কয়েক মাসের মধ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, এক পর্যায়ে পাহাড়ি-বাঙালি উভয়ের সম্মতিতে সর্বশেষ সংশ্লিষ্ট মামলার চট্টগ্রাম সিআইডি কর্মকর্তা, লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান, লংগদু সেনা জোন কম্যান্ডার, লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহের সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে ৩০ জন আসামীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু উক্ত সিদ্ধান্তও কার্যকর করা হয়নি। মামলায় উল্লিখিত আসামীর নাম বাদ দিয়ে মামলার তালিকা বহির্ভূত কিছু ব্যক্তির নাম আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত চূড়ান্ত চার্জশিট প্রদান করা হয়। তবে উক্ত চার্জশিটের বিপরীতে আদালতে বাদীপক্ষ হতে নারাজি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে মামলাটির কোনো অগ্রগতি নেই বলে খবর পাওয়া গেছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণঃ

ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের হিসাব অনুযায়ী সম্পূর্ণ ভস্মীভুত বাড়ির তালিকা ২১৮টি হলেও ঘটনার পর সরকারের রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃক ২১২টি পরিবারকে রেশন প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রতি পরিবারকে নগদ ৬ হাজার টাকা, ২ বান্ডিল ঢেউ টিন, ৩০ কেজি চাল ও ২টি করে কম্বল প্রদান করা হয়। সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ মাত্র ঐ একবারই ক্ষতিগ্রস্তদেরকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। তবে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ ৫০০০ টাকা, ১টি লুঙ্গি, ১টি গামছা, তাতের পিনন-খাদি সেট, মশারী ১টি ও শিশুদের জন্য কিছু পোশাক-পরিচ্ছদ দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে পরিবার প্রতি ২৫,০০০ টাকা, ইউএনডিপি থেকে প্রতি পরিবারকে ২৫০ ইউএস ডলার এবং রেডত্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে পরিবার প্রতি ১২,০০০ টাকা করে অর্থ সাহায্য দেয়া হয় বলে জানা যায়।

সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় সরকার কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৭৬ বাড়ি নির্মাণ করা হয়, এর মধ্যে একজন বাঙালির ঘরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জানা গেছে, অনেক জুম্ম পরিবারের একাধিক ঘর পুড়ে গেলেও তাদেরকে একটি করে ঘর ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। অনেক পরিবারের ক্ষতির তুলনায় সরকার প্রদত্ত ক্ষতিপূরণ অনেক কম হয়েছে বলে জানা যায়।

উপসংহারঃ

এই হামলার ঘটনাটি পার্বত্য চুক্তি পরবর্তী পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্মদের উপর সংঘটিত অন্যতম জঘন্য সাম্প্রদায়িক হামলা এবং ভয়াবহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা। নিঃসন্দেহে এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও চরম মানবাধিকার লংঘন বৈ কিছু নয়। বিশেষ করে, পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের লক্ষে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তির পর প্রকাশ্য দিবালোকে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে এবং খোদ চুক্তি স্বাক্ষরকারী সরকারের আমলে এই ধরনের হিংসাত্মক হামলার ঘটনা কোনোভাবেই আশা করা যায় না। এটি সম্পূর্ণরূপে সরকার, প্রশাসন ও সেটেলার বাঙালিদের জুম্মবিদ্বেষী, হিংসাত্মক, সাম্প্রদায়িক ও আগ্রাসী মানসিকতা ও ধারাবাহিক কর্মকান্ডের ফসল। এই ঘটনার দায় সরকারের উপরই বর্তায়। চুক্তি স্বাক্ষরের কিছুদিন পরেই চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের গড়িমসি এবং খোদ সরকারি মহল কর্তৃক চুক্তিবিরোধী ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিক এক ফল হল এই হামলা। ঘটনার পরপরই সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে কিছু ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হলেও এতবড় মানবাধিকার বিরোধী সাম্প্রদায়িক হামলার যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা হয়নি। উপরন্তু যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদেরকেও জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত অনেক আসামী লংগদু ও এমনকি রাঙ্গামাটিতে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রেফতারের কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানা গেছে। যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক এবং হতাশাব্যঞ্জক। এটি কোনোভাবেই সুশাসন ও সুবিচারের লক্ষণ বলা যায় না। এই ধরনের বাস্তবতা সাম্প্রদায়িকতা, বৈষম্য, ভেদাভেদ, বিদ্বেষ, অপরাধকেই উৎসাহিত করবে। যার কুফল একদিন সরকার, সমাজ ও রাষ্ট্রকেই ভোগ করতে হবে। তাই সামগ্রিক স্বার্থে লংগদু সাম্প্রদায়িক হামলায় দোষীদের অচিরেই গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা জরুরি।

Address

Rangamati

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Chittagong Hill Tracts- Jummaland posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Chittagong Hill Tracts- Jummaland:

Videos

Share

Category