Buffoon Media Communications

Buffoon Media Communications This is an advertisement media house where we make TV Ad, Newspaper Ad, Billboard, Festoon, Drama, Documentary etc. A creative house

সৌদিতে মূল হজ্ব চলছে। অনেকেই হয়তো ওমরা করেন সহজেই; কিন্তু মূল হজ্ব করাতেই হচ্ছে আসল অনুভবের ব্যাপার। লাখো মানুষ, নারী-পু...
15/06/2024

সৌদিতে মূল হজ্ব চলছে। অনেকেই হয়তো ওমরা করেন সহজেই; কিন্তু মূল হজ্ব করাতেই হচ্ছে আসল অনুভবের ব্যাপার। লাখো মানুষ, নারী-পুরুষ সকলেই এক মহান আল্লাহ্’র প্রেমে পাগল হয়ে পবিত্র কাবা ও মদীনায় গমন করেন। তাওয়াফ, সাঈ, মাথা-মুণ্ডন, মীনা, মুজদালিফা, আরাফাহ্, কোরবানী -এইসকল আনুষ্ঠানিকতা করার মধ্যদিয়েই একান্তভাবে অনুভব করা যায় হজ্বের আসল তাৎপর্য।

জাবালে রহমত, জাবালে নূর, ওহুদ প্রান্তর, আয়েশা রা. এর রওজা, হযরতের পুত্রের রওজা, জান্নাতুল বা’কী, জান্নাতুল গারকাদ -আরও কত কত ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বরকতময় স্থানগুলো পরিদর্শন করলে বুকের ভেতরটায় আল্লাহ্’র প্রেম উথলে ওঠে। মনে চায় আর যেন ফিরে না যাই এইসব ইসলামী স্মৃতিজড়িত স্থানগুলো থেকে। যেখানে নবী সা. ঘুরে বেড়িয়েছেন, দাওয়াত দিয়েছেন, সংগ্রাম-আন্দোলন করেছেন।

এ পৃথিবী কিছু না। আজকে মারা গেলে, যেন কাল-পরশুতেই গত হয়ে যায় কতদিন! কয়েকদিন কান্নাকাটি, তারপর আগের মতোই সব। কে আর কাকে কতটুকু মনে রাখতে পারে? বা মনে রাখলেও সেই আবেগ আর কতটুকুই-বা থাকে। যার যার আমল নিয়ে তাকেই মুখোমুখি হতে হয় মুনকার-নেকিরের। যেখানে আল্লাহ্ ছাড়া আর কোনো গতি নেই।

হাজীগণ সেইস্মৃতি বুকে নিয়ে পশু কোরবানী করেন, আর আল্লাহ্’র কাছে মোনাজত করেন, বলেন- আল্লাহ্ আমরা হাজির, তোমার ক্ষমা পাওয়ার জন্য। তুমি ক্ষমা না করলে কোনো উপায় যে নেই। আমাদের এবাদত, ভাল কাজ দিয়ে বেহেশতে যাবার কোনো উপায় নেই। যদি তুমি রহমত না করো।

হযরত ইব্রাহীম আ. এর প্রিয় পুত্র, অনুগত পুত্র হযরত ঈসমাইল আ. অবলীলায় গলা পেতে দিয়েছিল পিতার ছুরির নিচে। আল্লাহ্’র আদেশ মানতে যেয়ে পরম অনুগতশীল আচরণ করায় আল্লাহ্’পাক খুশি হয়ে দুম্বা কোরবানী করিয়ে দেন। ইতিহাস হয়ে থাকে সেই ভালবাসাময়, প্রেমময় ঘটনা।

এই ঘটনা নিয়েই আদ্যোপান্ত আলোচনা, দেখুন কমেন্টে দেয়া লিংকে। এস জে রতনের চমৎকার ধারা-বর্ণনায় দারুণ একটি পর্ব। দেখুন এবং ইসলামের এই সকল ঐতিহাসিক ঘটনাবলী প্রচারের স্বার্থে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে।

আজকের পর্বটি দেখতে ভুলবেন না যেন....লিংক কমেন্টে....
14/06/2024

আজকের পর্বটি দেখতে ভুলবেন না যেন....
লিংক কমেন্টে....

এদেশে একজন শিল্পীই ছিল, যে কি-না রেকর্ডে’র থেকেও লাইভেই সবচেয়ে উৎকৃষ্ট গাইতো, তিনি সুবীর নন্দী! ৭ মে ২০১৯ তারিখে ৬৬ বছর ...
13/06/2024

এদেশে একজন শিল্পীই ছিল, যে কি-না রেকর্ডে’র থেকেও লাইভেই সবচেয়ে উৎকৃষ্ট গাইতো, তিনি সুবীর নন্দী! ৭ মে ২০১৯ তারিখে ৬৬ বছর বয়সে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার বেশ কয়েকটি লাইভ কনসার্ট দেখার সুযোগ হয়েছে, এবং একটিতে আমি আয়োজকদের গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিলাম।

প্রধানত, ক্যাসেটে রেকর্ডিংয়ের সময় বার বার ভয়েস দিয়ে চূড়ান্ত করা হয়, ফলে ঐ মাধ্যমে গানের সর্বোচ্চ মানটাই পরিবেশিত হয়। প্লেব্যাক সিংগিংয়েও একই কথা। বরং সেখানে আরো নিখুঁতভাবে গানের মেজাজ, আবহ, পরিবেশ, সিকোয়েন্স, থিম, গানের সুর, কথা, উচ্চারণ ও আবেগের মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তোলা হয়। আর তাই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের লিপসিংয়ে এতো জীবন্ত হয়ে উঠে গানগুলো।

সাধারণতঃ শিল্পীরা রেকর্ড করা গানে বা প্লেব্যাকে যেভাবে নিখুঁত করে গেয়ে থাকেন, সেইভাবে জীবনেও কোনো লাইভে তা পারেন না। হয়তো কিছু সারগাম, হামিং, ক্ল্যাসিক বা মিউজিক-জ্যাম করার চেষ্টা করেন, কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে কোনভাবেই নিজের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যেতে পারেন না। এখানেই গানের শিল্পীদের পঙ্গুত্ব বা প্রতিবন্ধীতা।

অনেক বড় বড় সফল শিল্পীদের তালিকাও এ মূল্যায়নে দীর্ঘ হবে। কিন্তু একজনকে দেখেছি- যিনি সেই ধারণা ভেঙ্গে জীবনের শেষ পর্যন্ত ফ্যাঁসফ্যাঁসে গলায় রেকর্ডিংয়ের চেয়েও উৎকৃষ্ট করে লাইভ পারফর্মেন্সে গান উপহার দিয়েছেন। এটা ছিল নিঃসন্দেহে তার দারুণ এক শক্তি।

একসময় তার গান বিভিন্ন স্টেজ-শো’তে গেয়েছি। আমাকে তখন সবাই জুনিয়র সুবীর নন্দী বলে ডাকতো। গানের মীড়গুলো উনার মতো করেই ক্ল্যাসিক আবহে ঢেলে দিতাম বলে অমনটা বলতো।

হঠাৎ তার গানগুলো শুনতে যেয়ে নষ্টালজিক হয়ে পড়লাম....!

13/06/2024

কিছু স্ত্রী স্বামীদের সাথে এমন আচরণ করে- তারা এবাদত করতে করতে স্বর্গে যেয়ে সুপারিশ করলেও, স্বামীরা নরকেই থেকে যেতে চাইবে!

13/06/2024

সংগীত হলো আমাদের সসীম জীবনে এক টুকরো অসীমের ছোঁয়া! ওয়াও! এটা আমার কথা না! আসছে শিঘ্রী, স্টে-টিউন.......

জীবনের কোন না কোন সময় বাংলার তরুণেরা কবি নজরুল হয়ে উঠতে চায়। আমিও ব্যতিক্রম নই। বিশেষকরে যারা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্প...
12/06/2024

জীবনের কোন না কোন সময় বাংলার তরুণেরা কবি নজরুল হয়ে উঠতে চায়। আমিও ব্যতিক্রম নই। বিশেষকরে যারা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে তাদের যৌবনটা অন্যরকম উদ্দামতার হয়। আমার ক্ষেত্রে সুবিধা ছিল- পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে সবসময় সমর্থন করতো লম্বা এলোমেলো চুল রাখতে। বাবাও লম্বা চুল রাখতেন। দাদা-নানারাও লম্বা লম্বা বাউলা টাইপের চুল রেখেছিলেন। তখন কোনো অসঙ্গতি দেখলে সাথে সাথে প্রতিবাদ করতাম। অস্থিরতাও ছিল।

আমাদের সেই তরুণ বয়স কবেই শেষ হয়েছে। যৌবনও গেছে। প্রৌঢ়ে এখন নতুন এক যুবক আমরা। ছোট করে চুল কেটে রাখি, চেহারা পরিণত। পরিমিতি বোধ বেড়েছে, বাস্তববাদিতা জেগেছে, আবেগ কমেছে, ব্যক্তিত্ব বেড়েছে। মনে হয় এটাই বুঝি সঠিক বুঝদার সময়। এটাই আমি, আমরা।

চলছে হজ্বের মৌসুম। সবার মনেই কতো বাসনা লুকিয়ে থাকে ঐ পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করার। মদীনা শরিফ দেখার ক্ষুধাও থাকে প্রচণ্ড। ম...
11/06/2024

চলছে হজ্বের মৌসুম। সবার মনেই কতো বাসনা লুকিয়ে থাকে ঐ পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করার। মদীনা শরিফ দেখার ক্ষুধাও থাকে প্রচণ্ড। মহানবী সা. তাঁর জীবদ্দশায় কীভাবে হজ্ব পালন করেছেন, তা আমাদের জন্য এক পরম-শিক্ষার বিষয়। চমৎকার এই সময়োপযোগী ভিডিওটিতে তারই বর্ণনা রয়েছে সুনিপুণভাবে। এস জে রতনের ধারা বর্ণনায় দেখুন খুব দামী এই পর্বটি। যা দেখলে, শুনে অনুভব করলে শুধু সোয়াব আর সোয়াব।

এই আয়োজনের সাথে যারা শ্রম, ঘাম ও অর্থ দিয়ে দ্বীনের খেদমতে এর প্রচার করছেন- তাঁদেরকে আল্লাহ্’পাক উত্তম প্রতিদান দিন। এই উত্তম-কর্মকে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে কবুল করুন। কমেন্টে লিংক দেয়া হলো।

কোকাকোলা’র অবস্থা খুবই খারাপ। ব্যবসা লাটে উঠে গেছে। তবে তারা সুকৌশলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মাস কয়েক আগে তার...
11/06/2024

কোকাকোলা’র অবস্থা খুবই খারাপ। ব্যবসা লাটে উঠে গেছে। তবে তারা সুকৌশলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মাস কয়েক আগে তারা একটি বিজ্ঞাপনে বলেছিল- এদেশের (বাংলাদেশের) মানুষের রুটি-রুজি নির্ভর করছে তাদের কোকাকোলা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে। সেইসকল মানুষের আবেগ ও ভালবাসা নাকি জড়িয়ে আছে এই পানীয় শিল্পের সাথে, -এই রকম একটা সেন্টিমেন্ট ধরার চেষ্টা করে তারা ঐ প্রচারণা চালিয়েছিল। তবে, বাংলার মানুষ তো সবই বোঝে। তাই, তারপরও তারা কোক ব/য়/ক/ট করে যাচ্ছিল।

সুবিধা করতে না পেরে এবার নতুন আরেক ফন্দি করার চেষ্টা করছে। পবিত্র ঈদুল আজহা’কে সামনে রেখে তারা নতুন এক ভিজ্যুয়াল বিজ্ঞাপনে জানাচ্ছে- খোদ ফিলিস্তিনেও কোকাকোলার ফ্যাক্টরি আছে, তারাও কোকাকোলা পছন্দ করে, পান করে.. ইত্যাদি। কিন্তু এটা তারা বলতে পারেনি- এই পণ্যের বাপ-গোষ্ঠী কারা? একটু স্পষ্ট করে গর্বের (!?) সাথে লিখে দিতে পারতো- ই/স/রা/য়ে/ল; এবং তারা গা/জা/য় কী করছে? সারাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা এই কোক-উৎপাদন প্রতিষ্ঠান থেকে যে উপার্জন হচ্ছে তা দিয়ে গা/জা/র ঐসকল নিরপরাধ নারী ও শিশুদেরকে কী নি/র্ম/ম ভাবে হ/ত্যা করা হচ্ছে। সেনাদের খাওয়া, অস্ত্র, ইউনিফর্ম-বস্ত্র, সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে।

গরুর মাংস খাওয়ার পর সফ্ট-ড্রিংকস্ পান করতে হয় -এমনটা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এটা যদিও পান করতে অর্থাৎ যেকোন সফ্ট-ড্রিংকস্ পান করতে ডাক্তারগণ সবসময়ই বারণ করেন। ওতে ক্ষতিকারক অনেককিছুই আছে। ক্যান্সারও হতে পারে। কিন্তু কে শোনে কার কথা? আমাদের ঐ বেনিয়া, ব/র্ব/র আমেরিকা ও ই/স/রা/য়ে/লি দোসরা যা শিখিয়ে দেয় বা অভ্যস্ত করিয়ে দেয় তাতেই আমারা নেশাগ্রন্ত হয়ে পড়ি, এবং এতে আজীবনের জন্য অভ্যস্ত হতে পছন্দ করি।

কোকোর এই বয়/ক/টের সুযোগে আরেক এদেশীয় বেনিয়া আকিজ গ্রুপ (যারা হারাম বিড়ির ব্যবসা দিয়ে বেনিয়াবৃত্তি করছে)- মোজো’র বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় তারাও এর দাম বাড়িয়ে দিয়ে সাধারণ ক্রেতাদেরকে ভালবাসার (!?) প্রতিদান দিচ্ছে। যদিও অনেক সমালোচনার পর তারা দেখিয়ে যে, তারা কতো টাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য পাঠালো। কিন্তু দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বেমালুম এড়িয়ে গেছে। কোথায় দাম কমিয়ে সবাইকে পান করার সুযোগ দেবে, তা না করে দাম বাড়িয়ে লাভ বাগিয়ে নিচ্ছে।

তাই কোক’কে তো ব/য়/ক/ট করবেনই, সাথে সাথে সকল সফ্ট-ড্রিংকস্’ কে না বলুন। গরুর মাংস খাবার পর ফ্রেশ পানি পান করুন। পাশাপাশি, খাবারে শাক-সব্জি রাখুন। ভাল থাকুন।

মাতাল না হোন, ভদ্র ও বিনয়ী হোন, নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করুন।

ফেসবুকের প্রোফাইলে নীল টিক মার্ক ও আমাদের অহংকারে ভরা ভেরিফায়েড চরিত্র!………এস জে রতন‘কই একদম অর্ডিনারি। উনার তো পেইজ/প্রো...
08/06/2024

ফেসবুকের প্রোফাইলে নীল টিক মার্ক ও আমাদের অহংকারে ভরা ভেরিফায়েড চরিত্র!
………এস জে রতন

‘কই একদম অর্ডিনারি। উনার তো পেইজ/প্রোফাইল ভেরিফায়েডই না। উনারে দিয়া কাজ করুম ক্যামনে?’ হাতে থাকা সিগারেটের সামনের জ্বলে যাওয়া অংশটা লম্বা হয়ে এই মাত্র খসে পড়লো জমিনে। আহা ধন্য হলো জমিন, এই মাটি, সবুজ ছোট ছোট গুল্ম-ঘাস। ঐ সিগারেটখোরের প্রোফাইলে যেয়ে দেখা গেলো ৭,৩৫,২৩৯ জন ফলোয়ার! হায়রে শালার ব্যাটা কতো বড় সেলিব্রেটি। ইস/রা/য়ে/লি এই প্ল্যাটফর্মটি শেখাতে পেরেছে- নীল মার্ক করা থাকলে ঐ লোক সবচেয়ে বড় মাপের একজন মানুষ। শুদ্ধ, অর্গানিক ও বিশ্বস্ত। ডাকসাইটে প্রচার মাধ্যমে বা কাজে নানাভাবে সম্পৃক্ততা থাকলে কিছু ডকুমেন্টস্ দাখিল করা সাপেক্ষে নানা শর্ত মেনে তারা/ফেসবুক কর্তৃপক্ষ একসময় নীল টিক মার্ক দিতো। এটা পাওয়া যেন ছিল বেহেশতের এক টিকেট পাওয়া। বেহেশতের না হলেও পৃথিবীতে তাদের মতো নীল টিক-মার্ক পাওয়া ব্যক্তিরাই সফল, নামকরা এবং যথাযথ/প্রকৃত/জাতে-ওঠা ব্যক্তি, তারা ছাড়া বাকিরা ব্লাডি-সিভিলিয়ান!?

এক উঠতি সেলিব্রেটি (নিজেকে ভাবেন, এবং সেভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন), তিনি সবসময় তার যাবতীয় কাজ সম্পর্কে (সাংস্কৃতিক, চাকরি সম্পর্কিত, নামকরা সেলিব্রেটিদের সাথে মেশা) ফেসবুকে কিছুক্ষণ পরপরই আপডেট দেন। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সেলিব্রেটির সাথে তাকে দেখা যায়। বড় অর্জন তো আছেই, ছোট ছোট অর্জনগুলো নিয়েও তিনি দারুণভাবে পোস্ট দেন। তারও লাখ লাখ ফলোয়ার। একদিন হঠাৎ তার এফবি’তে নামের পাশে নীল রঙের টিক মার্ক দেখা গেলো। আশ্চর্য হয়ে গেলাম, এমন একটি অর্জন নিয়ে তিনি একটি কথাও বললেন না? পরে শুনলাম, এক্সপার্ট দিয়ে টেকনিক্যাল নানা কসরত করে অনেকঘাট ঘেঁটে তিনি ঐ ভেরিফায়েড মার্ক বাগিয়ে নিয়েছেন। যেহেতু বিষয়টা তার সাথে ঘনিষ্ট ব্যক্তিরা জানেন, তাই তিনি ‘ভেরিফায়েড হয়েছেন নিয়ে’, ‘এটা তার গুণের ক্রেডিট বলে’ কোনো পোস্ট দিতে পারেননি।

কিছু মানুষকে তার একেবারেই সামান্য/নগণ্য গুণ নিয়ে এতো অনিন্দ্য-পোস্ট দিতে দেখি, যা দেখলে স্তব্ধ হয়ে যাই! কিছু মানুষ আছে যারা নীল-মার্ক-ওয়ালা ফেসবুক বা ইউটিউব ছাড়া কথাই বলতে চান না। এখন তো ওটা কিনতে পাওয়া যায়। মাসে মাসে বা বছরে সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে সহজেই নিজের নামের পাশে নীল মার্ক করা ভেরিফায়েড টিক কিনে নিতে পারবেন। তাহলে আম-জনতাকে বোঝাতে পারবেন আপনি সঠিক মানুষ, দামি মানুষ, সেলিব্রেটি এবং বিশ্বস্ত। অথচ কী তাই? এদের সাথে মিশেছেন? এদের কাজ-কর্ম দেখেছেন? এদের আচার-আচরণ প্রত্যক্ষ করেছেন? এক অহংকারী ও বেইজ্জত টাইপের প্রজন্ম/কাল-মেট আমরা রেখে যাচ্ছি এ বিশ্বে। বলতে পারবেন, আপনার পোস্টে কতজন নীল-টিক-ওয়ালা মানুষ আপনাকে লাইক দেয়, কমেন্ট করে, মন্তব্য করে? গুনলে দেখবেন পরিচিত এক/দু’জন ছাড়া আর কেউ না।

ওরা নিজেদেরকে পৃথিবীতে নিজেকে ইস/রা/য়ে/ল বা পশ্চিমা পাপিষ্ঠ-নরাধমদের কর্তৃক শুদ্ধ ও পবিত্র ভাবে। অথচ আমার ফেসবুকে লাখ লাখ বা মিলিয়ন ফলোয়ার নেই। হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র বন্ধু আছে, তাদের সাথে মিশেছি- কী দারুণ তাদের মূল্যবোধ, বিরাট একটা মন, গুণী ও উন্নত মানুষ তারা। আর নীলদের বেশিরভাগই নিজেকে জাহির করা, বড় মনে করা, অহংকারী, ঔদ্ধত্য আচরণের মানুষ। খুব সামান্যই পেয়েছি- সত্যিকার অর্থেই যাদেরকে মানুষ পছন্দ করে এবং ভালবেসে তাদের জন্য লাখ লাখ ফলোয়ার হয়েছে, বা ঐ ব্যক্তির কোনো বিপদে দৌড়ে পাশে দাঁড়াবে।

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসর, উনি তখন ঢাবি’র আইবিএ’র চেয়ারম্যান। খুব নামকরা ব্যক্তি। তার বই দেশসেরা, এবং অনার্স-মাস্টার্সের পাঠ্যপুস্তক। একসময় তাঁর প্রাইভেট-কারে করে ক্লাস শেষে তাঁর সাথে ফিরতাম। পথেই আমার মেস পড়তো, তিনি নামিয়ে যেতেন। খুব পছন্দ করতেন আমাকে। খুব লজ্জাই লাগতো যখন এমবিএ’র ক্লাসে তা-ও পরীক্ষার হলে আমার কাঁধে আদর-মাখা হাত রেখে সবাইকে বলতো- অ্যাই দেখো রতন, ওর মতো হও। কত চুপচাপ পরীক্ষা দিচ্ছে, আর রেজাল্টের সময় ছক্কা মারছে। যেন নীরবেই এক কঠিন সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছে, বুঝতেই পারছে না কেউ। অথচ ফলাফলের সময় সবাই তার সফলতা দেখতে পাচ্ছে।

আমাদের ঠিক অমন মানুষ হতে হবে, যার সাথে মিশলে বোঝা যাবে তিনি সবচেয়ে বিনয়ী, ভদ্রজন, গুণী, পরিমিতি-বোধ সম্পন্ন এবং মেধাবী। তার নীল মার্ক দিয়ে তো ধুয়ে পানি খেয়ে লাভ নেই। আমাদের সেই প্রিয় অধ্যাপক স্যারের এফবি প্রোফাইলে ঢুকলে দেখা যায় মাত্র কয়েক হাজার ফ্রেন্ড। অথচ তিনি যে-মাত্রায় জ্ঞানী- অবলীলায় তাঁর অ্যাকাউন্টে বিলিয়ন ফলোয়ার থাকলেও আশ্চর্য হবার কিছু ছিল না।

আমরা প্রায় সবাই নিজেকে জাহির করতেই ওস্তাদ। একটা সূত্র শিখিয়ে দিয়েছে বেনিয়াদের মার্কেটিং সিস্টেম, তা হচ্ছে ‘প্রচারেই প্রসার’। ‘যার যা কিছু আছে তা নিয়েই নেমে পড়া’র অভিপ্রায়ে তাই সবাই প্রচার করতেই ব্যস্ত। আসলে আমার মধ্যে কতটুকু আছে, তা দিয়ে আমার প্রচারটা বাড়িয়ে দিতে যেয়ে আসল জিনিসটা না পেয়ে মানুষ ঠকছে না তো? বঞ্চিত হচ্ছে না তো? তা কখনো ভাবি না। এভাবেই চলছে। তাই তো অখাদ্য, কুখাদ্যও আমাদের হজম করতে হচ্ছে। এই স্রোতেই তাই ভেসে বেড়াচ্ছে হিরো আলম, ড. মাহফুজুর রহমান, জায়েদ খানসহ আরো অনেকে। যারা আজ সেলিব্রেটি এবং পৃথিবীর সবচেয়ে শুদ্ধতম ভেরিফায়েড মানুষ। এ পৃথিবী তাদেরকে পেয়ে ধন্য।

আমি যেখানেই গেছি। গান গেয়ে পারফর্ম করেছি। মুগ্ধ হয়েছে সবাই। বড় সেলিব্রেটিদের মাঝেও প্রশংসায় ভেসেছি। কিন্তু আমার না ফলোয়ার বাড়ে! অথচ যাদের আজ মিলিয়ন ফলোয়ার তাদের বহু আগেই অর্থাৎ এধরনের টেকনোলজির একেবারে প্রথমদিনগুলো থেকেই আমি যুক্ত। শুধু তাই নয়, যারা আমাকে চেনেন, আমার সাথে প্রফেশনালি কাজ করেছেন, তারা জানেন আমি টেকনিক্যালি কতোটা সাউন্ড। সোশ্যাল মিডিয়া তো কিছু না। এমন কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার নাম ও কাজ বলতে পারবো- যা ঐ সকল নীল-টিক-ওয়ালা সোশ্যাল-অহংকারীরা কোনদিন শোনেওনি। যেখানেই কাজ করি নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে কাজ করি। সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করি। তারপরও দেখবেন মুহূর্তেই সেলিব্রেটি হয়ে উঠছি না। মিজানুর রহমান আজহারী একবার ইউটিউব চ্যানেল খুললেন। একদিনেই তার ৯লাখ সাবস্ক্রিপশন পেরিয়ে গেলো। অথচ আমিও ওয়াজ শুনি, ভাল লাগে। আজহারীকেও। আমি কিন্তু সাবস্ক্রিপশন করিনি। এর অর্থ এই নয়, হিংসা করে করিনি এমনটা নয়। আজহারীর উদাহরণ টেনে আনাতে কেউ কেউ মনঃক্ষুণ্ন হতে পারেন।

কেউ কেউ বলেন, ভাই আপনার তো ফলোয়ার কম, তাই আপনি রাগে-ক্ষোভে এমন পোস্ট লিখছেন। আমি বলবো- না, তা নয়। কিছু মানুষের ফলোয়ার কখনো বাড়ে না, বাড়তে নেই। বন্ধু খুব বেশি দরকার নেই। প্রয়োজনের বন্ধু ১/২ জন থাকলেই চলে। সেই অনেক বছর আগে, একবার এক নজরুল সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে গান করে মাত্রই স্টেজ থেকে নেমেছি। আমি তখন সাহেবী ক্যাপ ব্যবহার করতাম। চেহারা কিছুটা দেখা যেতো আবার যেতো না। কিন্তু গান শুনে মুগ্ধ হয়ে এক নজরুল সঙ্গীতের প্রবীণ নারী শিল্পী আয়োজকদের বলতে লাগলো- ক্যাপ পরা শিল্পীটা কোথায় গেলেন? উনারা বললেন- কেন? নারীটি বললেন- আর বলবেন না, এতো চমৎকার করে নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করা যায়! আমি মুগ্ধ। তখন ঐ অনুষ্ঠানে হিরো আলমের মতো জনপ্রিয় মানে (ফলোয়ার) বন্ধু বেশি থাকা শিল্পীও ছিলেন, কিন্তু আমার এই একটি নারীর প্রশংসায় আয়োজকরা এতো খুশি হয়েছিলেন যে, পরবর্তীতে উনারা যত অনুষ্ঠান করেছেন আমাকে নিয়ে গেছেন; এবং তারা বলেছেন- আমার জন্য নাকি তাদের আয়োজনের মান এতো উপরে উঠেছে। পরে এক অনুষ্ঠানে তারা আমার নাম ঘোষণা করে সেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।

আমি বিমোহিত হয়ে গিয়েছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম- বন্ধু বলুন আর প্রশংসাকারী বলুন, জাত-মতো একটা হলেই যথেষ্ট।

এক নীল-ওয়ালার এফবি’তে ঢুকলাম। অন্যের পোস্ট-ই তিনি বেশি শেয়ার করে রেখেছেন। দু’কলম লেখা কথা বা নিজের কোনো পারফর্মেন্স নেই, বা তার নিজের ক্রিয়েটিভ কিছু দেখলাম না। অথচ কেন যেন ১,৪৭,০০০ ফলোয়ার। অনেকেই এখন এগুলো ক্রয়-বিক্রয় করেন। হা হা। মানুষের মধ্যে এক ভয়ানক রোগ বিস্তার করে আছে এসব।

নীল লাগবে, সেই নীল, ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর নীল, বেনিয়া-বসতির নীল, গা/জা/য় নির্বিচার হ/ত্যা/কা/রী ইস/রা/য়ে/লি বা/হি/নী/র নীল!!
(সংক্ষেপিত)

যখন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী...
07/06/2024

যখন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী...

ই-টিকেটিং ওয়েবে এই ছবিটা দেখলে হতাশা এসে ভর করে; ট্রেন নাই, টিকেট নাই, মানুষ নাই, সুনসান সব। বিশ্বাস করেন, এই সুনসান স্ট...
07/06/2024

ই-টিকেটিং ওয়েবে এই ছবিটা দেখলে হতাশা এসে ভর করে; ট্রেন নাই, টিকেট নাই, মানুষ নাই, সুনসান সব। বিশ্বাস করেন, এই সুনসান স্টেশন আমি কত স্বপ্ন দেখি। এক প্রহরেই হাজার কবিতা হয়ে যেতো। বিরহের। তারপর একের পর এক আবৃত্তি করতাম। নেপথ্যে থাকতো পাখির কলরব, বাতাসের শো শো আওয়াজ।

কবে যে এই রকম সুন্দর পরিচ্ছন্ন একটি স্টেশন দেখবো আমার প্রিয় জন্মভূমিতে, আল্লাহ্ ভাল জানেন। এখন পূর্বাঞ্চলীয় লাইনের জন্য ২টা থেকে টিকেট কাটতে হয় অনলাইনে। ২০মিনিট আগে থেকেই সবকিছু রেডি করে রাখবেন। বার বার ফ্রেশ দিয়ে নেট কানেকশন, ওয়েব এলাইভ রাখবেন। ২টা বাজার কয়েক সেকেন্ড আগে থেকেই সিটপ্ল্যানে ক্লিক করতে থাকবেন, যেন ২টা ০সেকেন্ডে আপনার ক্লিকটাই প্রথমে পড়ে; কিন্তু হায় ১/২ সেকেন্ডেই সব শেষ।

কারা যে এসে ছোঁ মেরে সব সিট নিয়ে নেয়, তা-ও এক রহস্য। যদিও এটাই হবার কথা। সবাই যেহেতু ট্রাই করে, এর বেশি কিছু তো আর আশা করা যায় না। ঈদ সময় ছাড়া অন্যান্য সময় টিকেট কোনরকমে অনলাইনে কাটতে পারলেও, ঈদের জন্য টিকেট কাটতে কোনদিনও পারলাম না।

১-৫ মিনিটের মধ্যে অনলাইনে ক্লিকিংয়ের পারাপারি মারামারি করে সব সিট শেষ হয়ে যাওয়া বিধ্বস্ত প্ল্যাটফর্মটি থেকে আধাঘন্টা পরেও টিকেটে পেয়েছি -এমনটাও হয়েছে। কিন্তু সেই সূত্র ঈদের ছুটির টিকেট কাটার বেলায় খাটে না। নিজে না হয় ভাঙা-জোড়া গাড়িতে করে শেষবেলাতে ঝুলে, ঠেলে বাড়িতে গেলাম; কিন্তু বউ-বাচ্চা? তাদের কী হবে? তাদেরকে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া তো নৈতিক দায়িত্ব।

মাঝে মাঝে তাই ভাবতে বসি- আহ্ ঈদ দুইটার মাঝের ফারাক যদি ছয়মাস করে হতো। অথবা ঈদ বলতে কোনকিছু থাকতোই না।

বিশ্বাস করুন- ঈদ তো নয়, যেন আযাব.......! তা-ও দুইমাস পরেই উপর্যুপরি আযাব।

মিউজিক হালাল না হারাম -এ নিয়ে বহু বিতর্ক আছে। ৪/৫ বছর আগের কথা; এক চাকরির ইন্টারভিউয়ে শায়খ জিজ্ঞেস করলেন- শুনেছি আপনি তো...
06/06/2024

মিউজিক হালাল না হারাম -এ নিয়ে বহু বিতর্ক আছে। ৪/৫ বছর আগের কথা; এক চাকরির ইন্টারভিউয়ে শায়খ জিজ্ঞেস করলেন- শুনেছি আপনি তো গান করেন। বাদ্যযন্ত্র বাজান। ইসলামী একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে এসে কীভাবে নিজেকে অ্যাডজাস্ট করবেন? তাছাড়া আমাদেরও তো আপত্তি থাকতে পারে। বললাম- আমার ২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা শুধু অ্যাকাডেমিক পড়ালেখার ওপর, তা হচ্ছে ‘প্রশিক্ষণ ও মানবসম্পদ’ নিয়ে। ঐ বিষয়ে প্রধান হিসেবেই কাজ করছি। আমার গান, কবিতা, লেখালেখি, নাটক, মিউজিক বাজানো -এ সবই আমার এক্সট্রা-অর্ডিনারী। তবে এসবেরও অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট আছে। ঈর্ষণীয় সব, ১ম শ্রেণীতে ১ম।

স্পষ্ট করে বললাম- এক্সট্রা-অর্ডিনারীগুলো দেখিয়ে আমি আপনার অফার নিচ্ছি না। আমি লেখাপড়া সম্পর্কিত এবং চাকরির কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত বিষয়েই আপনাদের দেয়া অফারটা নিতে চাই। অন্য কিছুতে নয়। ওরা বলল- তা হয়তো ঠিক, কিন্তু আপনি হারাম কাজ করেন, হারাম বাদ্য বাজান -এ ধরনের লোককে আমরা চাকরি দেবো কেন? বললাম- অসুবিধা নেই, আমি তো চাকরি করছিই। বড় পজিশনেই। আপনারাই তো অফার দিলেন আরো বেশি সুবিধাদির লোভ দেখিয়ে। তাছাড়া আমি তো সেই ক্লাস সেভেন থেকে নামাজ পড়ি, নিয়মিত। কোরআন পড়ি, তাও নিয়মিত। কথার নড়চড় করি না, কাজ ফেলে রাখি না, উপরন্তু উপরি দায়িত্বও পালন করি, টাকার লেনদেনেও সমস্যা নেই, নারী নিয়ে সমস্যা নেই; জবে সাকসেস রেট ১০০%।

গান ও মিউজিক আমাকে বিপথগামী করেনি। ঔদ্ধত্যও শেখায়নি। যত প্রতিষ্ঠানেই কাজ করেছি, এখনো করছি; সবাই একবাক্যে আমার আড়ালেই বলেছে- এমন বিনয়ী লোক হয় না। আর সরাসরি প্রশংসা করে বলে- আপনার গুণ গেয়ে কী আর প্রোমোশন হবে? তা-ও আপনার এই প্রশংসা করছি -এভাবেও করেছে। এছাড়া কাজে সবচেয়ে ভাল করারও সার্টিফিকেট আছে। তাহলে ব্যক্তিগত বিষয়- গান ও মিউজিকে আপনাদের এলার্জি কোথায়?

বললাম- আপনাদের ওয়েবসাইটে ঢুকেছিলাম। ওয়েবসাইটের এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মোশন-কভারেই মিউজিক যুক্ত করা আছে। কণ্ঠের হামিংয়ের সাথে কীবোর্ডের সুর-লহরী, সেটা হালাল করলেন কীভাবে? খালি গলায় ‍সুর না হয় মানলাম, কীবোর্ড যে যুক্ত করলেন? সেটার ব্যাখ্যা কী?

আরে, আপনাদের যেকোন ইউটিউব ভিডিওতেও তো মিউজিক সংযোজন করেছেন। ওয়াজের বা আলোচনার নেপথ্যে- কীবোর্ড, বাঁশি, প্যাড ও ধাতব-অনুরণন যন্ত্র ব্যবহার করেছেন, সেগুলো হালাল হলো কী করে?

কোনো উত্তর ছিল না তাদের। বরং প্রশ্ন করলো- মাদ্রাসায় পড়েছেন? বললাম- না। তবে ক্লাস সিক্সে থাকতে খালাতভাই রিপন সহ আলী হুজুরের কাছে ১০০টাকায় ১মাসে কোরআন ধরেছিলাম। তারপর চর্চা, প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া, প্রথম হওয়া, বড়বেলাতেও প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া, এখনো শিখছি। চলছে। বলল- বাবা, মা মাদ্রাসায় পড়েছে? বললাম- না তো। তারা আমাকে নামাজ-কালামে এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড় করেছেন। ব্যাপারটা এমন- নামাজ-কালামও পড়তে হবে, গান-আবৃত্তি-বিতর্ক-উপস্থাপনা-অভিনয়ও শিখতে হবে। খেলাধুলাতেও পারঙ্গম হতে হবে। মোটকথা পারফেক্ট হয়ে বড় হতে হবে। সেভাবেই এগিয়ে নিয়েছেন। তারাও ঠিক এমনটাই ছিলেন। মাদ্রাসায় পড়েননি।

বুঝলাম তাদের কথায়, মাদ্রাসায় পড়লে হয়তো চাকরিটা হতো। যাইহোক, আমার মিউজিক তো আর মনির খানের মতো নাম করেনি, বা প্রচার পায়নি; ব্যক্তিগতভাবেই তা চর্চায় রাখছি। যারা এ অঙ্গনে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন, তাদের অবস্থা তাহলে কী?

06/06/2024

মানুষ চেনা কত সহজ! কথা আর টাকা’র লেনদেন করুন, পানির মতো পরিষ্কার বোঝা যাবে...

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুইজ্জু’র চূড়ান্ত খেলা! মাঠ ছাড়লেন নেতানিয়াহু…কমেন্ট খেয়াল করুন..........
05/06/2024

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুইজ্জু’র চূড়ান্ত খেলা! মাঠ ছাড়লেন নেতানিয়াহু…

কমেন্ট খেয়াল করুন..........

সেই বকুল তলা’র বকুল ফুল। মা পাঠিয়েছেন। মালা গাঁথলাম। সেই মালা টেবিলের সামনে ঝুলিয়ে রাখলাম। সেখান থেকে কী দারুণ সুবাস ভেস...
05/06/2024

সেই বকুল তলা’র বকুল ফুল। মা পাঠিয়েছেন। মালা গাঁথলাম। সেই মালা টেবিলের সামনে ঝুলিয়ে রাখলাম। সেখান থেকে কী দারুণ সুবাস ভেসে আসছে। বকুল ফুলে সহসাই তার পাঁপড়িগুলোতে সোনালী আভা এসে ভর করে। সেই সোনালী রঙ দেখে কবি লিখে ফেলে গান- বকুল ফুল বকুল ফুল, সোনা দিয়া- হাত, কানও বান্ধাইলি।

সত্যি তাই, বকুল ফুল নিজেই যেন নিজের হাতে সোনার বালা আর কানে সোনার দুল পরে থাকে। রাতের আকাশে ছোট ছোট চকচকে তারার মতো রূপে তার যেনো সোনার গয়না পরা হয়। রূপে, সুবাসে সে হয় অনন্যা।

এরপর শুকিয়ে গেলেও সেই শুকনো ফুল মালায় জড়িয়ে থাকে। সুবাসে পরিবর্তন আসে, কিন্তু ফেলে না দেয়া পর্যন্ত সেই সুবাস থাকেই। ক্ষণিকের এই জীবনে আমরাও একেকটা বকুল ফুল। কিন্তু মরেও যেন সুবাস ছড়াতে পারি, সেই চেষ্টাই সবার করা উচিৎ। তবেই জীবন সার্থক।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মা’কে.....!!

এস জে রতনের লেখা। জুম করে পড়তে হবে। ছোট ছোট বাস্তব ঘটনা নিয়ে সাজানো লেখাটি দারুণ ভাল লাগবে। সময় থাকলে পড়তে পারেন।
05/06/2024

এস জে রতনের লেখা। জুম করে পড়তে হবে। ছোট ছোট বাস্তব ঘটনা নিয়ে সাজানো লেখাটি দারুণ ভাল লাগবে। সময় থাকলে পড়তে পারেন।

একদা বউ কোথাও বেড়াতে গেছে। কোনমতে ডিম ভেজে, আলু ভর্তা করে খেয়ে জীবন কাটছে। সেসময় প্রায় প্রতিদিনই অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে র...
04/06/2024

একদা বউ কোথাও বেড়াতে গেছে। কোনমতে ডিম ভেজে, আলু ভর্তা করে খেয়ে জীবন কাটছে। সেসময় প্রায় প্রতিদিনই অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে রাত ১০টা বাজতো। বেশিরভাগ সময়ই কিছু না খেয়েই শুয়ে পড়তাম। ভোরে ফজরের নামাজ সেরে আর ঘুমানো হতো না। কারণ অফিসে যেতে হয়, অনেক দূরের পথ। মনে মনে ভাবতাম পাশের ফ্ল্যাটেই পরিচিতা এবং আত্মীয়ও, একটু খোঁজও নেয় না। যদিও এই চাওয়াটা আমার একদমই ঠিক না। এটা তার ব্যক্তিগত ইচ্ছে-অনিচ্ছের ব্যাপার। তারপরও মনের কোণে ঐ রকম একটা ভাবনা এলো। তবে, সেটা আমার দৈন্যতা নিঃসন্দেহে।

হঠাৎ একদিন রাতের বেলায় ঐ নারী পিঁয়াজ দিয়ে খাসা করে ভূনা করা দু’টো পাবদা মাছ একটি ছোট্ট বাটিতে করে দিয়ে গেলো। বলল- একটু ভাত রান্না করে মাখিয়ে খেয়ে ফেলেন। ভাত রান্না করা আমার কাছে ব্যাপার না। ১০মিনিটেই ভাত হয়ে গেলো। গরম ভাত দিয়ে সেই ভূনা পাবদা কি যে মজা লাগলো, বোঝাতে পারবো না। এমনিতেই পাবদা মাছ আমার খুবই প্রিয়, একটা হলেই চলতো, তার ওপর দু’টো বড় বড় পাবদা। পেট পুরে যেন অনেকদিন পর অন্যের হাতের ভূনা তরকারী দিয়ে খাবার খেলাম। ঐ পরিচিতাকে সেসময় তো ধনবাদ দিয়েছিই। পরের দিন সিঁড়িতে দেখা হলে আবারও ধন্যবাদ দিলাম, অনেক প্রশংসা করলাম। সে-ও গদগদ হয়ে বলল- আপনার কথা মনে করে এবং আপনি পাবদা পছন্দ করেন –এটা ভেবেই আপনার জন্য দিয়েছিলাম।

বউয়ের কাছে বেশ প্রশংসা করলাম ঐ নারীকে নিয়ে। বউ-ও বেশ কৃতজ্ঞতা দেখালো ঐ নারীর সাথে। এরপর অনেক দিন কেটে গেলো। আমার বউ ও ঐ নারী প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে, আড্ডা দেয়। আমি অফিসে থাকি। কাজ ছাড়া আর কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। একদিন বাসায় ফেরার পর, পারিবারিক আলাপের এক পর্যায়ে ঐ নারীর রান্নার প্রশংসা করতে গেলে বউ বলল- জানো, ঐ পরিচিতা আমাকে কথায় কথায় বলে ফেলেছে- জানেন আপা, আমি না পাবদা মাছ খুব পছন্দ করি। আপনার ভাই অনেক দেখে শুনে বড় বড় পাবদা কিনে এনেছিল। তিনটা পাবদা রান্না করেছিলাম শুধু আমার জন্য, কিন্তু কি থেকে কি হলো, খেতেই পারলাম না। গলা দিয়ে নামলোই না। বিশ্রি লাগলো খেতে। বমি আসছিল।

তরকারী ফেলে দিতে চাইলাম। (কৌতুকপূর্ণ হাসি দিয়ে খিল খিল করে বলল) পরে হঠাৎ মনে পড়লো- আপনার স্বামী তো পাবদা পছন্দ করে। ফেলে দেয়ার চেয়ে বরং উনি একা আছেন, কি খাচ্ছেন না খাচ্ছেন; দিয়ে আসি। আর ঐটা খেয়ে ভাইয়ের কী প্রশংসা!

আমার বউ কথাটা তখন স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিল, গোপনও রেখেছিল কিন্তু আমাকে বলার জন্য জমা রেখেছিল। প্রসঙ্গটা উঠতেই সে ছক্কাটা মেরে দিলো। আমারও খুব খারাপ লাগলো। রান্না দারুণ ছিল, কিন্তু ঐ নারীর অপছন্দ হওয়া তরকারী ফেলে দেয়ার পরিবর্তে আমাকে দিলো –এটা ভেবে খুব বাজে লাগলো।

কাউকে কোনকিছু দিতে চাইলে মন থেকে দেবেন। এঁটো, ফেলা দেবার মতো, নষ্ট হবে, অপছন্দনীয় কোনকিছু কাউকে দিয়ে সোয়াব বা প্রশংসা পবার চেষ্টা করবেন না। এটা ঐ মানুষটি হয়তো জানতে পারবে না; কিন্তু আল্লাহ্ অন্তর্যামী। আপনার নিয়তের উপর ভিত্তি করেই তিনি প্রতিদান দেবেন।

ছোটবেলায় রেডিওতে ‘উত্তরণ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান’ শুনতাম। সেই থেকে ইসমাত তোহা’কে চিনি। মিষ্টি কণ্ঠ। কোনো মানুষকে টিভিতে না দে...
02/06/2024

ছোটবেলায় রেডিওতে ‘উত্তরণ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান’ শুনতাম। সেই থেকে ইসমাত তোহা’কে চিনি। মিষ্টি কণ্ঠ। কোনো মানুষকে টিভিতে না দেখেও, বা দেখার মাধ্যমে এক্সপ্রেশন বুঝে না নিয়েও -শুধু কণ্ঠের মাধুর্যে সেই অনুভূতি প্রকাশ করিয়ে শ্রোতাকে মুগ্ধ রাখা এ কঠিন কাজ। সেই কাজটিই তিনি করেছেনে সেসময়। ৫৩ বছর ধরে করছেন, এখনো।

আমাদের শৈশব, কৈশর, যৌবন পেরিয়ে এখনকার প্রৌঢ়-ও, সবই কাটছে তার কণ্ঠ শুনে শুনে। তবে সংবাদে সবসময় আমাকে মুগ্ধ করতো- জায়েদ ইকবাল, শাহজাহান খন্দকার, রামেন্দু মজুমদারের কণ্ঠ; বিজ্ঞাপনে আসাদুজ্জামান নূর এবং আবৃত্তিতে শিমূল মোস্তাফা’র কণ্ঠ। আর সিনেমার প্রচারণাতে নিঃসন্দেহে মাজহারুল ইসলাম আর নাজমুল হোসাইন।

কাজের সুবাদে পরম শ্রদ্ধেয় তোহা ভাইয়ের সাথে ইদানীং দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। কয়েকটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, তিনি বললেন- (ক) আল্লাহ্ যে হালেই রাখুন না কেন, তাঁর শুকরিয়া আদায় করি। বলি- আলহামদুলিল্লাহ্ ভাল আছি। (খ) আমার নিজের কাজ নিয়ে একটা অতৃপ্তি থাকেই, তা হলো- সর্বোত্তম ভয়েসটি এখনো দিতে পারিনি। আরো ভাল করা যায়, যেতো।

কথাদু’টি এতো ভাল লাগলো যে, মনটা ভরে গেলো। মানুষের মূল্য তার গুণ ও বিনয়ে, এ যেন তিনি প্রকাশ করে দিলেন।

ইদানীং সময়ের প্রজন্ম খুব বেয়াদব এবং আনকোরা; সবকিছুতেই ড্যামকেয়ার ভাব। তারা মুক্তা চেনা না। চিনতেও চায় না। চলে যাওয়ার সময় এই মানুষটি দাঁড়িয়ে বিদায় জানালেও, ঐ অর্থব প্রজন্ম কোনদিন তা কল্পনাতেও চিন্তা করতে পারে না।

তবে রতনে রতন চেনে.....................!!

চুলখোলা রমণীরা এক রমণে ব্যস্তএস জে রতন একা এখন, ভয়ে সন্ত্রস্ত!
02/06/2024

চুলখোলা রমণীরা এক রমণে ব্যস্ত
এস জে রতন একা এখন, ভয়ে সন্ত্রস্ত!

জীবনটা অনেক সুন্দর, যদি একটু সহজ আর সুন্দর করে ভাবা যায়। ঐ যে ডানপাশের দূরের চালাওয়ালা ঘরটা দেখছেন। ওটা একটা দোকান। ছোটব...
01/06/2024

জীবনটা অনেক সুন্দর, যদি একটু সহজ আর সুন্দর করে ভাবা যায়। ঐ যে ডানপাশের দূরের চালাওয়ালা ঘরটা দেখছেন। ওটা একটা দোকান। ছোটবেলায় ওখানে দোকান ছিল না, তবে অনেক বড় বড় গাছ-গাছালী ছিল। ছায়ময় ছিল তিনরাস্তার মোড়টা। এই মেঠো পথ ধরেই গোবিন্দপুর নাংলা প্রাইমারী স্কুলে গেছি আসছি। ঐ মোড়ে কত আড্ডা আর গান হতো। আমার মা-মামী, মামাত ভাইবোনেরা মিলে চাঁদের রাতে বসে মজার মজার সব গল্প আর গানে মেতেছি।

ছবির মতো এক গ্রাম। পুরোটা এলাকা জুড়েই সহপাঠীতে ঠাসা ছিল। তাই তো হবারও কথা। গ্রামে গেলে এখনো তারা কাছে আসে। সবারই সংসার ও সন্তান আছে, কারো আবার নাতি-পুতিও হয়েছে। ব্যস্ততাও আছে। আগের মতো এখন আর কেউ আড্ডা-টাড্ডা দেয় না। স্মার্টফোন নিয়ে সবাই খুব ব্যস্ত। কী যে করে আল্লাহই জানে। তবে ইউটিউব দেখে।

আমাকে বলে- ভাই, কাকা, বন্ধু তোমরা তো অনেক বড় মানুষ। টিভিতে দেখা যায়। একজন বলল- ভাই আমি কি টিভিতে যেতে পারবো? বললাম- একমিনিট, তাকে একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে দিয়ে বললাম- এই নাও তোমার টিভি। এখন আর কোনো বাপের পুতের উপর নির্ভর করতে হয় না। কাউকে ধরতেও হয় না। এখানে তোমার যা ইচ্ছে বলো, ভিডিও করো। তবে অবশ্যই সমাজ যেন উপকৃত হয় -এমন কিছু করবে।

এই যে ছোট্ট বাঁশের সাঁকো আর গর্ত দেখতে পাচ্ছেন, বর্ষার মৌসুম এলে এখানে নদীর মতো হয়ে যায়। বন্ধুদের নিয়ে ইচ্ছেমতো সাঁতার কাটতাম। আমার মামাত ভাই পলাশ- সাঁতার দিয়ে হাত-পা নাড়ানো ছাড়াই ভেসে থাকতে পারতো। তাকে কতো বলতাম- এই স্টাইলটা শিখিয়ে দাও। আমি শুধু নরমাল সাঁতার পারতাম, ওর ভেসে থাকাটা আশ্চর্যের মনে হতো। কীভাবে পারে এটা?

সময় গড়ায়, সংসার আর পেশার চাপে মানুষ রঙ হারায়। কিন্তু আমি সেই বোহেমিয়ান- ঝাকড়া চুল বাতাসে উড়ে, আর মনে করিয়ে দেয়- সেই আছি, সেই আমি .... আগেরই মতো।

আমার কালো ঠোঁট দেখে এক নৃত্যশিল্পী বলে উঠলো- স্যার আপনি তো সিগারেট খান, তাই না? হঠাৎ এমন প্রশ্নে আকাশ থেকে পড়লাম। আমতা আ...
31/05/2024

আমার কালো ঠোঁট দেখে এক নৃত্যশিল্পী বলে উঠলো- স্যার আপনি তো সিগারেট খান, তাই না? হঠাৎ এমন প্রশ্নে আকাশ থেকে পড়লাম। আমতা আমতা করে বললাম- কেন, কেন? এই পোস্ট যারা মাত্রই পড়তে শুরু করেছেন তাদের অবগতির জন্য বলি- ঐ নারীকে আমি বলেছিলাম- দশদিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সিগারেট নিয়ে আমার পর্বটি পড়ে দেখতে পারেন। অনেক কিছু পাবেন। এই কথা বলার সাথে সাথে মেয়েটি দশদিকের পাতা উল্টিয়ে আমার লেখাটি বের করেই ঐ মন্তব্য করে বসলো।

অথচ আমি কী-না সিগারেটের অপকারিতা এবং সিগারেট নিয়ে বিড়ম্বনার/বিরক্তির নানা ঘটনা তুলে ধরেছি। জানিয়েছি- যারা সিগারেট পান করেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও। কিন্তু উনার এক মন্তব্যেই আমি চিৎপটাং।

এবার আসি মূল গল্পে। নারীদের চোখে অন্যরকম কিছু থাকে। পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা তাদের প্রখর হয়। এক ঝলকেই একটি ছেলের অনেককিছুই বুঝে নেয়, দেখে নেয়। আমার অফিসটাকে ঠিকমতো দেখলো কি না জানি না। মন্তব্য করে বসলো- বাহ্ স্যার আপনি তো সবকিছু বেশ গুছিয়ে রাখেন। যত্ন করেন অনেক, একেবারে নিজের জিনিসের মতো করে।

সারা দেশেই আমাদের অফিস। আনাচে কানাচে। জোনাল, শাখা, উপ-শাখা নানা স্তরের অফিস। যেখানেই যাই একটা বিষয় চোখে পড়ে, তা হচ্ছে- অফিসের সবকিছুকে অবহেলায় দেখা। সে হতে পারে অফিসের- টেবিল, চেয়ার, ল্যাপটপ, সেলফোন, পর্দা, মেঝে, মগ, প্লেট, পাটি, শো-পিস, ওয়ালম্যাট, স্যান্ডেল, মডেম, কলম, অফিসের স্থান-আঙ্গিনা, বারান্দা, ফুলগাছ, টব, ক্লক, ব্যাগ, টিভি, রিমোট কন্ট্রোল -সব সবকিছুতেই বড় অযত্ন, এবং এগুলো যে নিজের না -তার একটা প্রকাশ।

অথচ কতো দাম দিয়ে, চেক করে, প্রসেস করে, অনুমোদন নিয়ে এগুলো কিনে দেয়া হয়। ঐ জিনিসগুলো যদি নিজের হতো তাহলে কতো যত্ন করে রাখতো। যেহেতু অফিসের তাই ওগুলোর কোনো যত্ন নিতেই দেখি না কর্মকর্তাদের। বিভিন্ন মিটিংয়ে এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হলেও কেউ কানেই নেয় না।

দেখা যায়- এসি চলছে, অযথাই। কক্ষে কেউ নেই। ফ্যান, লাইট চলছে, দেখার কেউ নেই। বন্ধও কেউ করছে না। এ যেন ‘সরকারি মাল, দরিয়া মে ঢাল’ অবস্থা। অফিসের গাড়ি, বাইক, এসবও অযত্নে থাকছে। এগুলোর যত্ন নেবার জন্য লোকও আছে, তাদেরকেও কাজে লাগানো হচ্ছে না। এ কী আশ্চর্য অবস্থা? অবাক হয়ে যাই- এগুলো কী নীল চাষে বাধ্য করা ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর লাট সাহেবদের দেয়া?

যারা যেখানেই কাজ করুন না কেন, চাকরি হোক, ব্যবসা কেন্দ্র, বিপণী বিতান -যেখানেই হোক মালিক পক্ষ বা অফিস পরিচালনাকারীগণ আপনাকে বিশ্বাস করে জিনিসগুলো দিয়ে থাকেন, আপনাদের ব্যবহারের জন্যই, কাজের সুবিধার জন্য। ওগুলো নষ্ট হতে দেবেন না। নিজের মতো করে যত্ন নিয়ে ব্যবহার করুন। নিজের ভাল পরিচয়টা -এর মাধ্যমেও প্রমাণ করুন।

না হলে কোনদিন আপনিও প্রতিষ্ঠানের মালিক বা পরিচালক বা হর্তাকর্তা হয়ে যখন দেখবেন আপনার কর্মকর্তাগণ অফিসের জিনিস-পত্রের প্রতি অবহেলা দেখাচ্ছে তখন আপনারও কলজে পুড়বে, দেখাতে পারবেন না কাউকে....

শুধু বলবেন মনে মনে- টিট ফর ট্যাট......!!
.................... এস জে রতন

পৃথিবীতে প্রত্যেক মুসলমানের স্বপ্নের স্থান হচ্ছে দু’টি- পবিত্র কাবা শরীফ এবং মসজিদে নববী। কার না মন চায় সেখানে যেতে? পরহ...
31/05/2024

পৃথিবীতে প্রত্যেক মুসলমানের স্বপ্নের স্থান হচ্ছে দু’টি- পবিত্র কাবা শরীফ এবং মসজিদে নববী। কার না মন চায় সেখানে যেতে? পরহেজগার এমন বান্দাও আছেন যারা প্রতিদিন নামাজের পরে হাত তুলে মোনাজাতে বলেন- হে আল্লাহ্ পবিত্র সেই দু’টি মসজিদে আমাকে নিয়ে যেও। কাবার চারপাশে তাওয়াফ করার সুযোগ দিও। চোখের অশ্রু ঝরান আর কাঁদতে থাকেন।

নিজের হালাল ইনকাম থেকে তিল তিল করে জমাতে থাকেন টাকা, যদি রহমত নেমে আসে.......!!

দেখুন এস জে রতনের ধারা বর্ণনায় সেই আকাঙ্ক্ষা ঘেরা শব্দ-বোনায় দারুণ একটি পর্ব।

লি/ঙ্ক ক/মে/ন্টে দেয়া হলো।

এস জে রতনের উপস্থাপনায় আজকের সংবাদ পরিবেশনা দেখুন চেঞ্জ টিভিতে। লি/ঙ্ক ক/মে/ন্টে...।
31/05/2024

এস জে রতনের উপস্থাপনায় আজকের সংবাদ পরিবেশনা দেখুন চেঞ্জ টিভিতে। লি/ঙ্ক ক/মে/ন্টে...।

২০০০-২০০১ সালের কথা। তখন আমি ময়মনসিংহ শিল্পকলা একাডেমি’তে গান (উচ্চাঙ্গ ও সাধারণ), আবৃত্তি’তে ১ম শ্রেণীতে ১ম হওয়ায় শিল্প...
30/05/2024

২০০০-২০০১ সালের কথা। তখন আমি ময়মনসিংহ শিল্পকলা একাডেমি’তে গান (উচ্চাঙ্গ ও সাধারণ), আবৃত্তি’তে ১ম শ্রেণীতে ১ম হওয়ায় শিল্পী হিসেবে নানা অঙ্গনে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। স্টেজ প্রোগ্রামও করছি। রেডক্রস ব্যান্ডের ভোকাল হিসেবেও মঞ্চ কাঁপাচ্ছি। বাবু ছিলো ড্রামার আর নজরুল ছিল কী-বোর্ডিস্ট। ছবিতে যেমন দেখা যাচ্ছে চুলগুলো অমন করেই রাখতাম সবসময়। একটা রক-নগর বাউলা টাইপের।

সেসময় বাচ্চু ও জেমস্ মাত্রই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের গানগুলোই করা হতো। হাতে সবসময় ব্রেসলেট পরতাম। নানা রকমের ব্রেসলেট। কখনো এটা, কখনো ওটা। যেখানেই যেতাম অর্নামেন্টেস্-এর দোকান থেকে নানা স্টাইলের ছেলেদের ব্রেসলেট কিনতাম।

হঠাৎ ময়মনসিংহের গাঙ্গিনার পাড়ের এক ফটো-স্টুডিওতে আড্ডার সময় বন্ধুরা বলল- চল্ তোর একটা ছবি তুলে দেই। বলল- গানের সেই নায়িকাকে খুঁজতে হবে না? শুধু গান গাইলেই চলবে? বললাম- দ্যাখ, রকিং টাইপের কিছু করিস না। জিন্স থাকুক, ব্রেসলেটও, শার্ট পরে একটা ছবি তুলে দে। পাশের দর্জির দোকান থেকে বানানো এই ফরমাল শার্টটা সেদিন হাতে পেয়েছিলাম। ওটা পরেই শাটারে ক্লিক।

তখন ভিউ-কার্ডের যুগ ছিল। এটা তেমন ফ্রেমের ছবিই ছিল। থ্রি আর, ফাইভ আর। কয়েকটা তুলে নিলাম। মা এই ছবি দেখে খুব পছন্দ করলো। বলল- একটা আমাকে দিয়ে রাখ। আরো কয়েকটা স্টাইল করে তুলেছিলাম। সেগুলোও হয়তো আছে বা নষ্ট হযে গেছে কি না জানিনা। এটা হঠাৎ পুরোনো ট্রাঙ্ক থেকে পেলাম। রঙ গলে লেপ্টে ছিল ডায়েরির সাথে। এডিট করে কিছুটা উদ্ধার করলাম।

এরপর বছর ৫/৬ পরে মা এক নায়িকাকে এই ছবি দেখালো। নায়িকার মাকেও দেখালো। বলেছিল- হ্যাহ্ আমার ছেলে, সোনার টুকরা ছেলে। কোথাও পাবে না।একটাই। ঐ নায়িকা লজ্জামাখা চোখে কিছুটা দেখে অল্প একটু পছন্দ করলো। নায়িকার মা বলল- খারাপ না, বোঁচাবাচি লম্বা ছেলে। গায়ের রঙ ফর্সা। তুই পছন্দ করতে পারিস।

একথাগুলো আমি জানতাম না। একেবারেই না। মা সবসময় তাঁর ভ্যানিটি ব্যাগে এই ছবিটা রাখতো। কথাচ্ছলে নানা জনকে দেখাতো। আমার নানা প্রশংসা শোনাতো।

নায়িকা আমাকে সরাসরি কখনো দেখেনি। এই ছবিই তার মনে এঁকে রেখেছিল। যেদিন বাস্তবে দেখলো, সেদিন তো চোখ চড়ক-গাছ তার। কালো, খাটো -এই ছেলেকে আবার পছন্দ করতে হবে?

ফটোগ্রাফার কতো বলেছি ন্যাচারাল তুলতে। না উনি তো আমার বন্ধু ছিল। তাই রঙ-ঢঙ মেখে কাজ করে তারপর ফটো প্রিন্ট দিয়েছিল। দোষ কি আমার?

যাক, সে অনেক কথা, সেই নায়িকা আমার রূপের জালে বন্দী না হলেও, কণ্ঠের জালে বন্দী হয়ে- এখন আমার গৃহবন্দী সে নিজেই...............!!

হজ্বের মৌসুম চলছে। ২০১৫ সালের এমন সময়ে পবিত্র মক্কা-মদীনায় যাবার সৌভাগ্য হয়। নানা জটিলতা পেরিয়ে সেবার অবশেষে যেতে পেরেছি...
30/05/2024

হজ্বের মৌসুম চলছে। ২০১৫ সালের এমন সময়ে পবিত্র মক্কা-মদীনায় যাবার সৌভাগ্য হয়। নানা জটিলতা পেরিয়ে সেবার অবশেষে যেতে পেরেছিলাম। সাথে ছিলেন সবচেয়ে প্রিয় দুই মানুষ, দুনিয়ার বেহেশত- বাবা ও মা। চট্টগ্রাম থেকে বিমানে উঠতে হয়েছিল। সে এক ঝক্কি। থাকি ঢাকায় যেতে হলো বাসে করে চট্টগ্রাম। বিমানবন্দরের চেকিং পয়েন্টে ধরা পড়লো বাবা’র ছবির সাথে পাসপোর্ট ও ওদের বানানো হজ্ব-আইডি কার্ডের সাথে মিল নেই। অন্য একজনের ছবি জুড়ে দেয়া হয়েছে। মায়ের ছবি ঠিক আছে তো নাম ঠিক নেই। হজ্ব এজেন্সি থেকে তখনই সব দিলো। ফলে সংশোধন করার আর উপায় পাচ্ছিলাম না। বহু কথা কাটাকাটি হলো মোয়াল্লিম ও হজ্ব এজেন্সির মালিকের সাথে।

বিমান প্রায় ছেড়ে দেয় ছেড়ে দেয় অবস্থা। শুধু আমি যেতে পারবো, বাবা-মা’কে এ যাত্রায় থেকে যেতে হবে -এমন পরিস্থিতি তৈরী হলো। অথচ বলা যায় বাবা-মা’র গাইড বা সাথী বা সহকারী বা সেবক হিসেবে আমার যাওয়া এটাও একটা বড় উদ্দেশ্য ছিল। অথচ তাঁদেরই যাওয়া হবে না, এটা কেমন কথা। যাই হোক, ওরা আর পারছিল না। পরে আমি বিমানবন্দরের পরিচালকের সাথে সরাসরি কথা বলি। শরীরে তখন ইহরামের সাদা কাপড় জড়ানো। সেই অবস্থাতেই নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন, নানা স্থানে, অফিসে কথা বলে ঐ ত্রুটি অবস্থাতেই অনুমতি পাওয়া গেলো। বিমান প্রায় ছেড়েই দিচ্ছিল। বিমানের গেইটও বন্ধ করলো আমরা ঢোকার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই।

বিমান তো নয়, যেন এক হরাইজন্টাল ডাবলডেকের পাবলিক বাস। তারপরও ভাল লাগলো যে হজ্বের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারলাম। সাদা কাপড় পরিধান করা মানুষগুলোকে দেখে মনটা বেহেশতি আবেশে ভরে উঠলো। তবে, কিছু মানুষকে দেখলাম- বিমানের সিটের সামনে লাগানো মনিটরে কেউ কেউ আবার নাটক, থ্রিলার ইত্যাদি ব্রাউজ করে করে দেখছে।

বিমান থেকে প্রথমে জেদ্দায় নেমে তারপর আবার নানা কাহিনী। সবাই চলে গেলো, আমরাই পেছনে পড়ে রইলাম। প্রথম দর্শনে কাবা ঘরকে দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারছিলাম না। এই সেই কাবা, কত ছবিতে ও ভিডিওতে দেখেছি। আজ প্রথম চোখের সামনে পবিত্র কাবা ঘর। যার সোজা উপরেই আরশে আজিম। যেখানে আল্লাহ্ পাক অবস্থান করছেন। যে অনুভূতি লেখায় প্রকাশ করা যাবে না।

মদীনায় যখন গেলাম। নজরুলের সেই বিখ্যাত নাতে রাসুল মনে পড়ে গেলো- আমি যদি আরব হতাম, মদীনারই পথ; এই পথে মোর চলে যেগেন নূর নবী হযরত...। এই গানটি আমি বহুবার গেয়েছি। কী অনু্ষ্ঠানে, ছোটবেলায় কী প্রতিযোগিতায়, কী পারিবারিক আসরে, তাই আমার আবেগ যেন আরো বেশি উথলে উঠলো। নীল সেই গম্বুজ আমাকে বিমোহিত করলো। মনে পড়লো, আহা কাকে অনুসরণ করা উচিৎ, আর আমরা দুনিয়াতে কী হতে চাই!? মোহাম্মদের জন্য বুকটা ফেটে দু’চোখে কান্নার জোয়ার উঠলো।

ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন- মসজিদে নববী’র দৃষ্টিনন্দন অভ্যন্তরভাগ। অপরূপ কারুকার্যময় এই মসজিদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান ‘রিয়াজুল জান্নাত’ বা জান্নাতের বাগান। ছবি’র এই মিম্বর থেকে বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ আহাম্মদ (সাঃ) এর রওজা মোবারক পর্যন্ত এই স্থানটুকুতে দু’রাকাত নামাজ পড়া ও আল্লাহ্’র কাছে প্রার্থনা করার মধ্যে রয়েছে অনেক বরকত। দোয়া কবুলের উপযোগী পবিত্র্র এই অংশে নামাজ পড়ার জন্য মুসল্লীদের সে কী প্রতিযোগিতা! সবুজ গম্বুজের নিচে শায়িত আছেন প্রিয় নবী, বিশ্ব মানবতার প্রবাদ পুরুষ, মহান আল্লাহ্’র বিখ্যাত সৃষ্টি রাসুলে করিম (সাঃ)। পাশেই আছেন হযরত আবু বকর সিদ্দিকী (রাঃ) ও আমিরুল মোমেনীন হযরত ওমর (রাঃ)।

আল্লাহ্’পাক পরোয়ার যেন বার বার হজ্বে যাওয়ার তৌফিক দান করেন, সেই আশায় এখনো দিন গুনি...।

যেদিন কাবা ও মদীনা ছেড়ে জেদ্দা বিমানবন্দরে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমানের সিটে চড়ে বসলাম- তখন সারাটা জার্নিতে ফেলে আসা স্মৃতিগুলো মনে করে শুধুই কেঁদেছি আর কেঁদেছি।

আড়ালে মুছতে থাকা জল সেদিন কেউ হয়তো দেখেনি, দেখেছে শুধু অন্তরযামী....!!!

Address

166-167, Sayed Nazrul Islam Avenue, Purana Palton, Al-Razi Complex
Ramna
1230

Telephone

+8801920102130

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Buffoon Media Communications posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Buffoon Media Communications:

Videos

Share


Other Media/News Companies in Ramna

Show All