31/12/2024
■ থার্টি ফার্স্ট নাইট কি ইসলাম সমর্থিত?
১. অ-শ্লী-লতা ও বে-হা-য়াপনা:
এ রাত্রিকে কেন্দ্র করে চলে অশালীন ও বে-হা-য়াপনার মহোৎসব। যুবতীরা আঁটসাঁট, অশালীন ও অর্ধ ন-গ্ন পোশাক পরিধান করে অবাধে চলাফেরা করে। অথচ এ প্রসঙ্গে নবী (সা:) বলেন,
“ঐসব নারী যারা হবে পোষাক পরিহিতা কিন্তু প্রায় নগ্ন। যারা পরপুরুষকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথা বক্র উঁচু কাঁধ বিশিষ্ট উটের ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না।”
(সহীহ মুসলিম: ২১২৮)
২. শিরক যুক্ত শ্লোগান:
মুসলিমদের অনেকেই বর্ষবরণ করতে দিয়ে শিরকের মধ্যে লিপ্ত হয়ে ইমান হারা হচ্ছে। আর তাদের শ্লোগান হচ্ছে-
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নি স্নানে সূচি হোক ধরা।”
উক্ত শ্লোগানে অ-গ্নি-পূজ-কদের আ-গু-ন দ্বারা পবিত্র হওয়ার ভ্রান্ত বিশ্বাস সু-স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে। অথচ অ-গ্নি-কে সম্মান করা, আ-গু-নে-র কাছে সাহায্য চাওয়া এবং আ-গু-ন দ্বারা পবিত্র হওয়ার ধারণা করা শিরক। আর আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,
“নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা তার সাথে শিরুক কারীকে ক্ষমা করবেন না।”
(সূরা নিসাঃ ১১৬)
৩. বিজাতীয় সাদৃশ্য:
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন সম্পূর্ণরূপে বিজাতীয় সংস্কৃতি। এ রাত্রিতে বলে ও ম্যাসেজের মাধ্যমে অভিবাদন জানানো, আতশবাজি, পটকাবাজি, ফ্যাশন শো, ফায়ার প্লে, ট্যাটাে বা উল্কি অংকন, ডিজে পার্টি ও কনসার্ট, নেশা সেবনসহ বিজাতীয় সংস্কৃতির সাথে সাদৃশ্য রাখে। ইসলাম এটি কঠোরভাবে নিষেধ করেছে।
রাসূল (স.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি কোনাে সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করলো সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।”
(আহমদ, আবু দাউদ, মিশকাতঃ ৪৩৪৭)
■ যুব সমাজকে ধ্বংস ও নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট করার নীল নকশা:
যুব সমাজকে ধ্বংস ও নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট করার জন্যই থাটি ফার্স্ট নাইট বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে। ২০০০ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ১২টা ২৫ মিনিটে গুলশানে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকারী এক তরুণীকে কিছু মা-তা-ল যুবক শ্লী-ল-তা হানি করে ও তার শরীরের বেশীর ভাগ কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। (সূত্র- দৈনিক মানবজমিন, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ইং)
আর ২০০১ সালের শাওন আখতার বাধনের ক্ষত-বি-ক্ষ-ত দেহ কে না দেখেছেন? আরও কত বাধন। এ থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় থার্টি ফার্স্ট নাইট একটি যৌ-ন উৎসব। যা তাদের জন্য অসম্মান জনক। অথচ, আল্লাহ তা’য়ালা বলেন:
“আর তোমরা যেনার নিকটবর্তী হয়ো না।”
(সূরা বনী-ইসরাইল: ৩২)
“মহান আল্লাহ যাবতীয় অ-শ্লী-ল অন্যায় কাজ হারাম করেছেন।”
(সূরা আল আ’রাফ: ৩২)
৪. গান বাজনা:
থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে আয়োজিত বিভিন্ন কনসার্টে নারী পুরুষের একসঙ্গে গান বাজনা, ন-গ্ন নৃত্য যেন আবশ্যকীয় বিষয় হয়ে দাড়িঁয়েছে। অথচ ইহা আল্লাহ তায়ালা ও রাসূল (সা) সম্পূর্ণ হারাম ও অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। (সূরা লুকমান-৬, সহীহ বুখারী-৫৫৯০, ৬৮৯১)
৫.আতশবাজী ও পটকাবাজী:
এ রাতে আনন্দ উল্লাস উপভোগ করার জন্য মধ্যরাত থেকে শুরু হয় আ-ত*শ-বা-জীও পট-কা-বাজী। যা জনমনে ব্যাপক আ-ত-ঙ্ক ও ভী-তি সৃষ্টি করে এবং জনসাধারণের জন্য কষ্টদায়ক হয়। অথচ আল্লাহ বলেন: যা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্টদেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। (সূরা আহযাব-৫৮, সহীহ বুখারী-২৯০৫)
৬. অর্থ অপচয়:
এ রাতকে কেন্দ্র করে অনেক অর্থ অনৈসলামিক ও হারাম কাজে ব্যায় করা হয়। যা অপচয় ও অপব্যায়ের শামিল। আর ইসলাম অপব্যাকারীকে শয়তানের ভাই হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। (সূরা বানী ইসরাঈল ২৬-২৭)
৭. যুবক-যুবতীর অবাধ মেলামেশা:
এ রাত্রিতে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, কমিউনিট সেন্টার, সমুদ্র সৈকত, নাইট ক্লাব গুলোতে যুবক-যুবতীরা অবাধে মেলামেশা ও অ-প-ক-র্মে লিপ্ত হয়। অথচ ইসলাম ইহাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসূল (সা) বলেছেন: অবশ্যই কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে নির্জনে একত্রিত হলে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান। (তিরমিযি, মিশকাত-১৩১৮, সহীহ)