আমল করি Amol kori

আমল করি Amol kori আমল করি Amol kori

আমল করি Amol kori

আমল করি Amol kori

29/01/2022

আর রাহমান
অর্থঃ পরম দয়ালু, পরম করুণাময়, সবচেয়ে দয়ালু, কল্যাণময়

28/01/2022

কাবীরা গোনাহসমূহ হতে সাবধান থাকুন

১। শির্ক (অতি মহাপাপ)

২। দুনিয়া কামানোর উদ্দেশ্যে ইল্ম শিখা

৩। শরয়ী ইল্ম গোপন করা

৪। বিশ্বাসঘাতকতা করা

৫। গণকের কথা বিশ্বাস করা

৬। গায়রুল্লাহর নামে যবেহ করা

৭। গায়রুল্লাহর নামে নযর মানা

৮। গায়রুল্লাহর নামে কসম করা

৯। যাদু করা

১০। আল্লাহর প্রতি কুধারণা রাখা

১১। মুসলিমের প্রতি কুধারণা রাখা

১২। মুসলিমকে বিনা দলীলে কাফের বলা

১৩। কাফেরকে কাফের না জানা

১৪। আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি মিথ্যা আরোপ করা

১৫। আল্লাহর আযাব থেকে নিজেকে নিরাপদ ভাবা

১৬। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া

১৭। তকদীর অস্বীকার করা

১৮। তাবীয বাঁধা

১৯। প্রাণ হত্যা করা

২০। আত্নহত্যা করা

২১। যুলম করা

২২। অপমান ও অপদস্থ করা

২৩। মিথ্যা বলা

২৪। পরচর্চা বা গীবত করা

২৫। চুগলখোরী করা

২৬। গালি দেওয়া

২৭। মাদকদ্রব্য সেবন করা

২৮। মৃত বা হারাম পশুর মাংস খাওয়া

২৯। বাজে তর্ক করা

৩০। সত্য প্রত্যাখান করা

৩১। ঠাট্টা বা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা

৩২। গালি দেওয়া

৩৩। অহংকার করা

৩৪। নিজের প্রশংসা নিজেই করা

৩৫। অপরের দোষ খোঁজা

৩৬। মূর্তি বা ছবি তৈরী করা

৩৭। এতীমের মাল ভক্ষণ করা

৩৮। জুয়া (ফ্লাশ) খেলা

৩৯। লটারী খেলা

৪০। চুরি করা

৪১। আমানতে খেয়ানত করা

৪২। পরের সম্পদ আত্মসাৎ করা

৪৩। জমি-জায়গা দাবিয়ে নেওয়া

৪৪। ঘুস খাওয়া

৪৫। সূদ খাওয়া

৪৬। ওজনে নেওয়ার সময় বেশী এবং দেওয়ার সময় কম দেওয়া

৪৭। মিথ্যা কসম খাওয়া

৪৮। ধোকা দেওয়া

৪৯। কসম করে মাল বিক্রি করা

৫০। প্রতিশ্রুতি পালন না করা

৫১। চুক্তি ভঙ্গ করা

৫২। মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া

৫৩। সাক্ষ্য গোপন করা

৫৪। মালে ভেজাল দেওয়া

৫৫। প্রয়োজনের সময় মাল গুদামজাত করে রাখা

৫৬। অসিয়ত পালন না করা

৫৭। আল্লাহর ভাগ করা ভাগ্যে সন্তুষ্ট না হওয়া

৫৮। পুরুষের সোনা ও রেশম ব্যবহার

৫৯। পুরুষের গোড়ালীর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরা

৬০। দান করে গেয়ে বেড়ানো

৬১। গান-বাজনা শোনা

৬২। ফরয নামায ত্যাগ করা

৬৩। সময় পার করে নামায পড়া

৬৪। লোক দেখিয়ে ইবাদত করা

৬৫। যাকাত না দেওয়া

৬৬। রোযা না রাখা

৬৭। হজ্জ না করা

৬৮। জিহাদ না করা

৬৯। জিহাদের ময়দানে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করা

৭০। জুমআহ ত্যাগ করা

৭১। জামাআত ত্যাগ করা

৭২। সামর্থ্য থাকতে সৎকাজের আদেশ এবং মন্দকাজে বাধা না দেওয়া

৭৩। পেশাবের ছিটা থেকে না বাঁচা

৭৪। ইলম অনুযায়ী আমল না করা

৭৫। ব্যভিচার করা

৭৬। মাসিক অবস্থায় সহবাস করা

৭৭। পায়খানাদ্বারে সঙ্গম করা

৭৮। অবৈধ প্রেম করা

৭৯। সমকাম করা

৮০। হস্তমৈথুন করা

৮১। মিথ্যা অপবাদ দেওয়া

৮২। মহিলার বেপর্দা হওয়া

৮৩। পুরুষের নারীর মত এবং নারীর পুরুষের মত বেশ ধারণ করা

৮৪। দাড়ি চাঁছা

৮৫। মা-বাপের অবাধ্য হওয়া

৮৬। আত্মীয়তার বন্ধন ছেদন করা

৮৭। স্বামীর কথা না মানা

৮৮। পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া তালাক দেওয়া

৮৯। পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া তালাক নেওয়া

৯০। তালাক দেওয়ার পর স্ত্রীকে ফেরৎ নিতে হালালা বিবাহ দেওয়া ও করা

৯১। এগানা পুরুষ ছাড়া মহিলার একা সফর করা

৯২। পরের বাপকে বাপ বলা

৯৩। বাড়ির মহিলার ব্যাপারে ঈর্ষাহীন (ভেঁড়া) হওয়া

৯৪। প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া

৯৫। মহিলার ভ্রূ, মুখের লোম চাঁছা

৯৬। মহিলার পরচুলা ব্যবহার

৯৭। দেহ দেগে নক্সা করা

৯৮। দাঁত ঘষে ফাঁক ফাঁক করা

৯৯। কানাচি পেতে পরের গোপন কথা শোনা

১০০। শোকে মাতম করা

পরিশেষে স্মরণ করিয়ে দিই যে, ‘‘সর্বশ্রেষ্ঠ দ্বীন হল পরহেযগারী।’’[1] ‘‘সর্বশ্রেষ্ঠ দ্বীন হল, যা (পালন করা) সহজ।’’[2] ‘‘সেই (ধরনের) আমল আল্লাহর অধিক পছন্দনীয়, যে আমল নিরবচ্ছিন্নভাবে করে যাওয়া হয়; যদিও তা পরিমাণে কম হয়।’’[3]

আল্লাহর বান্দাদের নিকট পরীক্ষা নিয়ে দেখবেন যে, তাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ভালো আমল করেছে। সুতরাং আমল যত বেশীই হোক, ভালো না হলে মূল্যহীন।

রাসুল (ﷺ) বলেন, ‘‘তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। যেহেতু আল্লাহ (সওয়াব দানে) বিরক্তিবোধ করবেন না, যতক্ষণ না তোমরা (আমলে) বিরক্তিবোধ ক’রে বসবে।’’[4]

‘‘তোমরা (আমলে) অতিরঞ্জন ও অবজ্ঞা প্রদর্শন করো না। তোমরা সুসংবাদ নাও ও জেনে রাখ যে, তোমাদের মধ্যে কেউই আর না আমি (আল্লাহর রহমত ছাড়া) নিজ আমলের বলে পরিত্রাণ পেতে পারব। যদি না আল্লাহ আমাকে তাঁর করুণা ও অনুগ্রহ দ্বারা আচ্ছাদিত করেন।’’[5]

‘‘যদি কোন ব্যক্তিকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে তার জন্মদিন থেকে নিয়ে বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যুদিন পর্যন্ত মাটির উপর উবুড় ক’রে টেনে নিয়ে বেড়ানো হয়, তবুও কিয়ামতের দিন সে তা তুচ্ছ মনে করবে

26/01/2022

প্রকাশ থাকে যে, সকালে ৭০ হাজার ফিরিশ্তার দু‘আ এবং ঐ দিনে মরলে শহীদের দর্জা পাওয়ার জন্য সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করার হাদীস সহীহ নয়। (যয়ীফ তারগীব হা/৩৭৯, যয়ীফুল জামে’ হা/৫৭৩২)

ফজরের ফরয নামাযের পর সূর্য ওঠা পর্যন্ত (ফজরের ছুটে যাওয়া সুন্নাত বা কারণ-ঘটিত কোন নামায ছাড়া) সাধারণ কোন নফল নামায পড়া যাবে না। যেমন সূর্য ওঠা, ডোবা ও ঠিক মাথার উপর থাকার সময় নফল নামায নিষিদ্ধ।

প্রয়োজনে ফজরের পর ঘুমাতে পারেন। তবে উদাসীন ও অলসদের মত খামাখা বিলাস-নিদ্রায় পড়ে থাকা উচিত নয়। বরং কাজ থাকলে সকাল-সকালই সেরে ফেলা কর্তব্য। অবশ্য ‘‘সকালের ঘুম রুযী থেকে বঞ্চিত করে।’’ এ হাদীস সহীহ নয়। (যয়ীফুল জামে’হা/৩৫৩১) যেমন ‘‘সুবহে সাদেকের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ে মানুষের রুযী বন্টন করা হয়’’ এ মর্মে নবী-দুলালী ফাতিমার হাদীসটি মউযূ’ বা জাল। (যয়ীফ তারগীব হা/১০৪৭)

সূর্য ওঠার পর ইশরাক্বের নামায পড়ুন। আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে পড়ে, অতঃপর সূর্যোদয় অবধি বসে আল্লাহর জিকির করে তারপর দুই রাকআত নামায পড়ে, সেই ব্যক্তির একটি হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ হয়।’’ বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রসূল (ﷺ) বললেন, ‘‘পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ।’’ অর্থাৎ কোন অসম্পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব নয় বরং পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব।[1]

তিনি আরো বলেছেন, ‘‘ইসমাঈলের বংশধরের চারটি মানুষকে দাসত্বমুক্ত করা অপেক্ষা ফজরের নামাযের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত জিকিরকারী দলের সাথে বসাটা আমার নিকট অধিক প্রিয়। অনুরূপ চারটি জীবন দাসত্বমুক্ত করার চেয়ে আসরের নামাযের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জিকিরকারী সম্প্রদায়ের সাথে বসাটা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়।’’[2]

নাশ্তার সময় খাওয়ার আদব মনে রাখুন।

পোশাক পরার সময় তার পরিচ্ছদ ও সাজসজ্জার আদব মনে রাখুন।

ঘর থেকে বের হওয়ার আদব এবং সফর, সাক্ষাৎ, যিয়ারত ও যিয়াফতের আদব খেয়াল রাখুন।

যে কাজেই যান ইসলামের বিধান ভুলে যাবেন না।

ঘরে থাকলে চাশ্তের সময় চাশ্তের নামায পড়ুন।

যাওয়ালের পূর্বে যাওয়ালের নামায পড়ুন। যাওয়ালের পরেও ৪ রাকআত পড়ুন।

যোহরের সময় যোহরের নামায মসজিদে গিয়ে আদায় করুন।

দুপুরের খাবারের সময় খাবারের আদব খেয়াল করুন।

খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিন। যেহেতু রসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘‘তোমরা দুপুরের সময় বিশ্রাম নাও। শয়তানরা এ সময় বিশ্রাম নেয় না।’’[3]

এই বিশ্রাম ও বিরতির ফলে দেহ-মন তরতাজা হয়ে উঠবে। নতুনভাবে কাজ ও ইবাদতে মন বসবে। রাত্রিতে তাহাজ্জুদের জন্য উঠতে সহজ হবে। বিজ্ঞানীরা বলেন, সামান্য দিবানিদ্রা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে।

আসরের সময় আসরের নামায মসজিদে গিয়ে পড়ুন।

আসরের আগে ৪ রাকআত সুন্নাত পড়ুন, আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করবেন।

আসরের ফরয নামাযের পর (কারণ-ঘটিত কোন নামায ছাড়া) আর কোন নফল নামায নেই।

আসরের নামাযের পর বসে তিলাওয়াত ও জিকির করুন। ইল্মী মজলিসে বসুন।

25/01/2022

প্রকাশ থাকে যে, সকালে ৭০ হাজার ফিরিশ্তার দু‘আ এবং ঐ দিনে মরলে শহীদের দর্জা পাওয়ার জন্য সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করার হাদীস সহীহ নয়। (যয়ীফ তারগীব হা/৩৭৯, যয়ীফুল জামে’ হা/৫৭৩২)

ফজরের ফরয নামাযের পর সূর্য ওঠা পর্যন্ত (ফজরের ছুটে যাওয়া সুন্নাত বা কারণ-ঘটিত কোন নামায ছাড়া) সাধারণ কোন নফল নামায পড়া যাবে না। যেমন সূর্য ওঠা, ডোবা ও ঠিক মাথার উপর থাকার সময় নফল নামায নিষিদ্ধ।

প্রয়োজনে ফজরের পর ঘুমাতে পারেন। তবে উদাসীন ও অলসদের মত খামাখা বিলাস-নিদ্রায় পড়ে থাকা উচিত নয়। বরং কাজ থাকলে সকাল-সকালই সেরে ফেলা কর্তব্য। অবশ্য ‘‘সকালের ঘুম রুযী থেকে বঞ্চিত করে।’’ এ হাদীস সহীহ নয়। (যয়ীফুল জামে’হা/৩৫৩১) যেমন ‘‘সুবহে সাদেকের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ে মানুষের রুযী বন্টন করা হয়’’ এ মর্মে নবী-দুলালী ফাতিমার হাদীসটি মউযূ’ বা জাল। (যয়ীফ তারগীব হা/১০৪৭)

সূর্য ওঠার পর ইশরাক্বের নামায পড়ুন। আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে পড়ে, অতঃপর সূর্যোদয় অবধি বসে আল্লাহর জিকির করে তারপর দুই রাকআত নামায পড়ে, সেই ব্যক্তির একটি হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ হয়।’’ বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রসূল (ﷺ) বললেন, ‘‘পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ।’’ অর্থাৎ কোন অসম্পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব নয় বরং পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব।[1]

তিনি আরো বলেছেন, ‘‘ইসমাঈলের বংশধরের চারটি মানুষকে দাসত্বমুক্ত করা অপেক্ষা ফজরের নামাযের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত জিকিরকারী দলের সাথে বসাটা আমার নিকট অধিক প্রিয়। অনুরূপ চারটি জীবন দাসত্বমুক্ত করার চেয়ে আসরের নামাযের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জিকিরকারী সম্প্রদায়ের সাথে বসাটা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়।’’[2]

24/01/2022

প্রতিদিনের আমল

রাতের শেষ তৃতীয়াংশে ঘুম থেকে জেগে উঠে দু‘আ পড়ুন।

পেশাব-পায়খানার দরকার হলে সারুন।

দাঁতন করুন।

গোসলের দরকার হলে গোসল নতুবা ওযূ করুন।

তাহিয়্যাতুল ওযূ নামায পড়ুন।

তাহাজ্জুদ পড়ুন।

আযান শুনে আযানের জবাব দিন।

আযানের পর ফজরের সুন্নাত পড়ুন।

ফজরের পর ডানকাতে শুয়ে একটু বিশ্রাম নিন। তবে অবশ্যই ঘুমিয়ে যাবেন না।

আযান হলে জামাআতে নামায পড়তে মসজিদে যান।

মসজিদে যাওয়া ও সেখানে অবস্থান করার নানান আদব খেয়াল রাখুন।

ফরয নামাযের ইকামত হলে সুন্নাত ত্যাগ করে ফরয নামায পড়ুন।

নামাযের পর যথানিয়মে জিকির পড়ুন।

ফজরের নামায পড়ে সূর্য ওঠা পর্যন্ত মুসাল্লায় বসে তিলাওয়াত ও জিকির করুন। তার সওয়াব অনেক। ইল্মী মজলিস থাকলে সেখানে বসুন।

সকালের জিকির-আযকার পড়ুন।

22/01/2022

গাফলতি এমন এক মারাত্মক রোগ, এ রোগে যখন কেউ আক্রান্ত হয়, তার দুনিয়া-আখেরাত উভয়ই বরবাদ হয়ে যায়। যেমন, আল্লাহ – পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন-

তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা আল্লাহকে ভুলে গেছে; ফলে আল্লাহও তাদেরকে আত্মবিস্মৃত [গাফেল] করে দিয়েছেন। তারাই তো ফাসেক-পাপাচারী। [সূরা হাশর : ১৯]

21/01/2022

রাতের শেষ তৃতীয়াংশে ঘুম থেকে জেগে উঠে দু‘আ পড়ুন।

পেশাব-পায়খানার দরকার হলে সারুন।

দাঁতন করুন।

গোসলের দরকার হলে গোসল নতুবা ওযূ করুন।

তাহিয়্যাতুল ওযূ নামায পড়ুন।

তাহাজ্জুদ পড়ুন।

আযান শুনে আযানের জবাব দিন।

আযানের পর ফজরের সুন্নাত পড়ুন।

ফজরের পর ডানকাতে শুয়ে একটু বিশ্রাম নিন। তবে অবশ্যই ঘুমিয়ে যাবেন না।

আযান হলে জামাআতে নামায পড়তে মসজিদে যান।

মসজিদে যাওয়া ও সেখানে অবস্থান করার নানান আদব খেয়াল রাখুন।

ফরয নামাযের ইকামত হলে সুন্নাত ত্যাগ করে ফরয নামায পড়ুন।

নামাযের পর যথানিয়মে জিকির পড়ুন।

ফজরের নামায পড়ে সূর্য ওঠা পর্যন্ত মুসাল্লায় বসে তিলাওয়াত ও জিকির করুন। তার সওয়াব অনেক। ইল্মী মজলিস থাকলে সেখানে বসুন।

সকালের জিকির-আযকার পড়ুন।

14/01/2022

মা-বাবার সঙ্গে উত্তম আচরণ করলে মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের দুনিয়া এবং আখেরাতের কল্যাণ দান করবেন। কোরআন ও হাদিসের আলোকে মা-বাবার প্রতি সন্তানের অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো হল- ১. পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা এবং তাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করা। ২. সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় কথা বলা। ৩. তাদের সুখ-শান্তির জন্য আমাদের ধনসম্পদ ব্যয় করা। ৪. তাদের সঙ্গে বিনম্রভাবে চলাফেরা করা। ৬. যে কোনো বিষয়ে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করা। ৭. তাদের সঙ্গে কর্কশ ও বিশ্রী বাক্যে কথা না বলা। ৮. পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তাদের জন্য আল্লাহতায়ার কাছে মাগফিরাতের দোয়া করা। তাদের ঋণ পরিশোধ করা। তাদের ওসিয়তগুলো পূর্ণ করা।

সর্বোপরি বলতে পারি, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে পূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হওয়া পর্যন্ত মা-বাবা সন্তানের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকেন। সন্তানের জন্য এত ভালোবাসার আর কেউ নেই। কিন্তু অতি দুঃখের সঙ্গে আজকাল দেখা যায়, পিতা-মাতা বার্ধক্যে উপনীত হলে অনেকে তাদের বৃদ্ধাশ্রম নামক কারাগারে পাঠিয়ে দেন। যা একজন সন্তানের কাছ থেকে কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে। জমিন অভিশাপ করে। তাই আসুন! মা-বাবা দু’জন বা কোনো একজন বেঁচে থাকলেও তাদের সেবা-যত্ন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত অর্জন করি।

13/01/2022
13/01/2022
13/01/2022

তিন বন্ধু মিলে সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গেলেন। তারা সেখানে একটি হোটেলে উঠলো এবং রুম পেয়েছেন ৭৫ তলায় ।
তবে হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী,রাত ১২ টার পর লিফ্ট বন্ধ থাকে!
একদিন তারা ঘুরতে বের হল । কিন্তু তারা ফিরতে দেরি হয়ে গেল । হোটেলে এসে দেখে লিফ্ট বন্ধ
তারা চিন্তায় পড়ে গেলেন,, কিভাবে ৭৫ তলায় হেঁটে উঠবে!পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা উপরে উঠতে লাগল। তাদের মধ্যে একজন গল্প আরম্ভ করল!
তার গল্প শেষ হতে হতে তারা,২৫ তলায় পৌঁছাতে সক্ষম হলো !
এরপর আরেক জন
গানকরা আরম্ভ করল। গান শুনতে শুনতে দেখে ৫০ তলায় এসে গেছে !
এখন কি করা যায়?
তারপর তৃতীয় জন, গান , গল্প কিছুই পারেন না, তাই তার জীবনের ঘটে যাওয়া দুঃখ-কষ্ঠের কথা শুরু করলেন । তার সব ঘটনা যখন বলা শেষ হয়, তখন তারা ৭৫ তলায় গিয়ে পৌছে!
তারা যখন দরজা খুলতে গেল,দুর্ভাগ্য ক্রমে দেখা
গেল ,চাবিটা রিসেপশনে !
তবে এখনকি আর সম্ভব ! নিচে গিয়ে চাবি নিয়ে আসা?
এমনি ভাবে, আমরা যখন জীবনের তিনটি ধাপ পার করে, কবরে গিয়ে পৌছবো , যখন জান্নাতের সামনে গিয়ে দেখবো চাবিতো(নামাজ) দুনিয়ায় থেকে আনতে পারিনি , তখন কি আর দুনিয়ায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে?
তাই প্রতিদিন জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, জান্নাতের চাবিটা সাথে রাখার প্রয়োজন নয় কি ?
মহান রাব্বুল আল আমিন, আমাদের সবাইকে বুঝবার তৌফিক দান করুন, ( আমিন )

13/01/2022

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই বোন ও বন্ধুরা। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর কাছে দোয়ার মাধ্যমে আমাদের সকল প্রকার কল্যাণ নিহীত রয়েছে । মানুষের উপকার হয় ও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়- এমন অনেক দোয়া পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। প্রতিদিনের করনীয় দোয়া ও ফজিলত নিয়ে এই বিশেষ আয়োজন প্রতিদিনের আমল .

13/01/2022

স্ত্রীকে যদি সপ্তাহে একবার ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করার তৌফিক না থাকে, তবে ফুচকার দোকানে হলেও নিয়ে যান। একবারে টাকা জমিয়ে সুইজারল্যান্ড কিংবা বিদেশে ঘুরে আসার দীর্ঘ অপেক্ষায় চাইতে, মাঝে মাঝে নাগালের মধ্যে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন, হোক না সেটা কোন নদীর পাড়। একজন স্ত্রী অনেক অপেক্ষার দামি উপহারের চেয়ে, প্রতিদিনের ছোট্ট ছোট্ট উপহারগুলো বেশি পছন্দ করে। সময়ের ভালোবাসা তো সময়ই দিতে হয়। আপনি যদি ভেবে থাকেন, সব বাদ দিয়ে শুধু টাকার পিছনে ছুটবেন, স্ত্রী কিংবা পরিবারকে পরে অনেক সময় দিবেন। এটা বড়ই ভুল, বরং সাধ্যমত সময়ের ভালোবাসা সময়েই দিতে হবে নাহলে শুধু অর্থই থাকবে দিনশেষে, সেই সময়ের ভালোবাসার উপলব্ধি আর থাকবে না।
ব্যাপারটা অনেকটা ছোট বেলার ভাবনার মত, যে বড় হয়ে অনেক টাকা উপার্জন করে অনেক চকলেট আর অনেক কিছু কিনে ফেলার ইচ্ছা জাগতো, অথচ এখন বস্তা ভরা দামি চকলেট কেনার সামর্থ্য থাকলেও ইচ্ছেটা আর করে না, কারন একটাই, সুখের সময় ফিরে আসলেও অনুভূতির সময় কখনো ফিরে আসে না।

13/01/2022
13/01/2022

গাফলতি ছাড়ুন আমল করি জীবন গড়ি সিরিজ

Address

Rajshahi
Rajshahi
6000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আমল করি Amol kori posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share


Other News & Media Websites in Rajshahi

Show All