Humans of RUET

Humans of RUET When everyone treats RUET only as an engineering University, we see it as emotion and a campus cramm Every person on our RUET campus features a story.

Every story is exclusive & unique in their own perspective. We wish to listen the stories from each person of RUET. A single person can have his own story as well as a group of have their common stories to share. The story doesn't got to be successful or a motivational one. The story is often anything. Any experience, good habit, inspiration, success, failure, humiliation, realisation after any ev

ent of life - anything is often a story. We will attempt to bring here the stories of everyone from campus students, teachers, our dining mama, photocopy shop jewel bhai. This text will explain the story we share and what we confine mind when sharing it on the story page.





“But how could you live and have no story to tell?”
― Fyodor Dostoevsky, White Nights


FOR SHARING STORIES:

1. WRITE YOURSELF
If you want, you can write your story in your own hand and send it to us. If our team feels the need to edit the text, they will edit the story. Our editing team will seek your permission before publishing the story. After your confirmation, your story will be published.

2. TELL THE STORY, WE WILL WRITE
You can share your story with us on phone if you want. In this case 2-3 members of our team will listen to your story. These calls will be recorded for ease of writing. Team members will join you and may ask you some questions to help you creating a story. That will help you present your story more beautifully.



the storyteller's privacy and picture:

1. In addition to the story on our page, a picture of the person about whom the story is usually written is also posted. In this case single / portrait picture of the storyteller is taken. Our logo will be placed on the picture.


2. We respect every story. Besides, it is possible for many to share the story, but sometimes people don’t feel comfortable to reveal their names. We are completely okay with that. So, you can share the story with us without revealing your name if you want. In that case you can share your story with us by phone call. In this case you can comment on the edited version of the story. We keep your identity hidden. "Great stories happen to those who can tell them."
--Ira Glas

১৯৮৫ ইং, আমি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অধিনস্ত আশুগঞ্জ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ডেপুটি ম্যানেজার অর্থাৎ ২য়...
01/04/2023

১৯৮৫ ইং, আমি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অধিনস্ত আশুগঞ্জ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ডেপুটি ম্যানেজার অর্থাৎ ২য় বৃহৎ কর্মকর্তা। ম্যানেজার ছিলেন শ্রদ্ধেয় ইন্জিঃ নেপাল চন্দ্র চৌধুরী, যিনি আমার কার্যক্রমে খুবই সন্তুষ্ট ছিলেন। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যা হলে, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ থাকলে, সমস্যা সমাধানে কখনো দিন-রাত নির্ঘুম কাজ করতে হতো, যা আজও হয়। কিন্তু নেপাল বাবুকে কখনোই রাতে প্লান্টে থাকতে না দিয়ে বলতাম, স্যার আপনি ঘুমান-বিশ্বাস করুন, আমি তো আছি। ইতোমধ্যে ১৯৮৩-৮৪ সলে আমি সিম্পল সাইকেল গ্যাস টারবাইন এবং কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনায় ইংল্যান্ড হতে সাফল্যের সাথে নিবিঢ় প্রশিক্ষন গ্রহন করি।

১৯৮৫ এর শেষাংশে পারিবারিক জরুরী প্রয়োজনে ৭ দিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় যাই। ছুটির ৫ম দিনে ঢাকাস্থ হেড অফিস, মতিঝিল ওয়াপদা ভবনে গেলে শুনি বিদ্যুৎ বোর্ড আমাকে খুঁজছে। সৌজন্য সাক্ষাতে এসে বিব্রতকর অবস্থায় পড়লাম। অগত্যা-চীফ ইঞ্জিনিয়ার, জেনারেশন প্রয়াত এ,বি, এল রহমানের সামনে হাজির হলাম। আমাকে পেয়ে স্যার খুশী হয়ে বললেন-নেসার তোমার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি ৪/৫ দিন বন্ধ থাকায় বিদুৎ পরিস্থিতি নাজুক, তাই অবিলম্বে সেখানে যেতে হবে। ঢাকার কাজ অসমাপ্ত রেখেই পরদিন সকালেই আশুগঞ্জ পৌঁছলাম। দেখি-জার্মান, ব্রিটিশ, কোরিয়ান, চাইনিজ এবং স্থানীয় বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞগন গলদ-ধর্ম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সমস্যা খুঁজছেন, যা বিগত ৪/৫ দিনেও দুঃখ-জনকভাবে খুঁজে না পেয়ে তখনও সকলে মহাব্যস্ত।

বলা বাহুল্য যে ঐ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ২য় কর্মকর্তা হলেও উহা ঠিকমত চালু রাখার গুরু দায়িত্ব মূলত: আমাকেই পালন করতে হতো। অগত্যা সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ হতে বারংবার জিজ্ঞাসায় জানতে পারি কখন, কিভাবে গ্যাস-টারবাইনটি বন্ধ হয়েছিল এবং বিশেষজ্ঞগণের চেষ্টায় অগ্রগতি কি? সঠিক জানলাম যে গ্যাস টারবাইনটি কিছুতেই সেল্ফ-সাসটেইনিং স্পীড পাচ্ছেনা-অর্থাৎ প্রাইম-মুভার তার সেল্ফ সাসটেইনিং স্পীড পর্যন্ত যেতে পারছেনা। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে গ্যাস টারবাইনটির প্রাইম মুভার ১টি ডিজেল ইঞ্জিন।

প্রাথমিকভাবে ডিজেল ইঞ্জিনটি ১৬০০ আর, পি, এম গতি পেলে, গ্যাস টারবাইন তার নিজ গতি লাভ করে। অতপর সে নিজেই নির্দিষ্ট ৫০০০ আর,পি,এম গতিতে পৌঁছে চলতে থাকে। সকল এক্সপার্টগন তখনও নকশা-আলোচনায় মহা ব্যস্ত। আমি মেইনটেনেন্স ম্যানুয়েল পরীক্ষা করে নিশ্চিত সে প্রাইম মুভারেই সমস্যা, কারন বারংবার চেষ্টায় সেতো গ্যাস টারবাইনকে তার সেল্ফ-সাসটেইনিং স্পীডেই নিতে পারছেনা। অর্থাৎ প্রাইম মুভারের নিজ গতিই বাড়ছেনা- সুতরাং সমস্যা প্রাইম মুভারটিতেই। দুপুরে বিশেষজ্ঞগন লাঞ্চে গেলে, সে ফাঁকে ১ জন এসজিই, ফোরম্যান ও ২ জন ফিটারসহ প্লান্টে যাই। প্রাইম মুভারের ফুয়েল সোর্স, ফুয়েল ট্যাংক হতে ইঞ্জিন পর্যন্ত চেক করে সবই ঠিক্ পেলাম। অতঃপর ফুয়েল ফিল্টার খুলে দেখি প্রতিটি সিলিন্ডারের ফিল্টারই প্রায় ডিজেল-শূন্য! তাই ফুয়েল লাইন বাতাসে-পূর্ণ। যে কারণে পর্যাপ্ত ফুয়েল না পেয়ে, প্রাইম মুভার নিজেই স্পীড-আপ হতে পারছেনা। সে ক্ষেত্রে গ্যাস টারবাইনের গতি বাড়ানো অসম্ভব। তক্ষনাৎ ফিল্টার গুলিতে ডিজেল ভর্তি করে, মেশিন স্টার্ট দিলে, গ্যাস টারবাইন চলতে শুরু করেছে দেখে মেশিন বন্ধ করে দেই। কারন টেস্ট রান বলে ফিল্টার গুলি ভালভাবে টাইট দেওয়া হয়নি। মূহুর্তে বিলেতি গ্যারান্টি ইঞ্জিনিয়ার মিঃ স্টীভ ছুটে এসে অবাক দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করলো- হেই মি: চৌধুরী, হোয়াট ইউ হ্যাভ ডান, দা মেশিন ওয়াজ কামিং আপ কারেন্টলি এন্ড হোয়াট ইউ আর ডুইং? মেশিনের প্রকৃত সমস্যা ধরতে এবং দূর করতে সমর্থ হওয়ায়, খুশীতে বললাম, ওয়েট অন মি: স্টিভ, আই হোপ উইদিন ওয়ান আওয়ার ইউ উইল গেট ইউর মেশিন রেডি।

প্রায় ৪০ মিনিট পর ডিজেল ইঞ্জিনের ফুয়েল ফিল্টার গুলি পূর্ণ ডিজেল ভর্তি করে ভালও মত ফিট করে, একটু গর্বিত কন্ঠস্বরে বললাম মি: স্টিভ, নাও ইউ ক্যান স্টার্ট দ্য মেশিন, বাট বিফোর পুশিং দ্য সুইচ প্লিজ টেল বিসমিল্লাহ। ইংরেজ গ্যারান্টি ইঞ্জিনিয়ার যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতই বিসমিল্লাহ বলে সুইচ অন করলে আল্লাহর রহমতে অবিলম্বে ৯০ মে:ও: কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হয়ে গেল। ছুটে এলেন আমার ম্যানেজার এবং বিশেষজ্ঞগণ। সবাই হাঁ করে আমায় দেখছে আর প্রশ্ন করছে-মি: চৌধুরী হোয়াট হ্যাভ ইউ ডান রিএলি! সেদিন হতে বিদেশী ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞগন সর্বদাই সমীহ করে চলতো। তাছাড়া জিইসি গ্যাস টারবাইন কোম্পানীও ইংলন্ডে থেকে চাকুরীর অফার দিয়েছিল। যা-হোক আমার মনে একটা প্রশ্নই অবাক-বিস্ময়ে ঘুরছিল যে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ সেজে এবং কতগুলি ব্রিটিশ, জার্মানী, কোরিয়ান ও চাইনিজ ইঞ্জিনিয়ার মিলে-দীর্ঘ প্রায় পাঁচ-দিন চেষ্টা করে একটা গ্যাস টারবাইন প্রাইম মুভারের সহজ ঐ রোগটা তারা কেউ ধরতে পারলোনা কেন?

প্রসঙ্গতঃ ১৯৮৬ সনে আশুগঞ্জ হতে সিলেট-ম্যানেজার পদে বদলী হলে ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার নেপাল চন্দ্র চৌধুরী মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। অবশেষে এলো আমাকে বিদায় দেবার পালা। অনেক বক্তার শেষে শ্রদ্ধেয় নেপাল বাবু আমাকে আদর-ভালবাসায় বহু-বিশেষণে ভূষিত করে অবিশ্বাস্যভাবে কেঁদেছিলেন। যে মমতা-ভালবাসার কান্না-স্মৃতি আজও ভোলা গেলনা। হৃদয়ে গভীরে গভীর ক্ষত হয়েই রইল।

আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার চৌধুরী নেসারুল হক
মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৯৬৪ সিরিজ

[আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার চৌধুরী নেসারুল হক কনক তাঁর জীবনে অসংখ্য সাফল্য এবং পদক পেয়েছেন। ছাত্রজীবনে তিনি বিভিন্ন খেলাধুলায় সফলভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পদক পেয়েছেন। Humans of RUET তাঁর উত্তরোত্তর সাফল্য এবং সুস্থতা সম্বলিত দীর্ঘায়ু কামনা করে।]

In 1985, I served as the Deputy Manager of the Ashuganj Combined Cycle Power Plant under the Power Development Board, making me the 2nd senior official. The Hon'ble Eng. Nepal Chandra Chowdhury was the manager at the time and was pleased with my performance. Whenever there was a problem with power generation or if the plant had to be shut down, we worked tirelessly day and night to resolve the issue, which still happens today. However, I never allowed Nepal Babu to stay overnight and would tell him to rest, saying, "Sir, you should sleep - believe me, I am there." In 1983-84, I received intensive training from England on the operation of simple cycle gas turbines and combined cycle power plants, which was a success.

Towards the end of 1985, I went to Dhaka for a 7-day leave due to a family emergency. On the 5th day of my vacation, I heard that the electricity board was looking for me when I went to the Motijheel Wapda Bhavan head office in Dhaka. I was embarrassed to meet them, but the Chief Engineer of Generation, late AB, L Rahman, was happy to see me. He said, "Your power generation plant in Nesar has been closed for 4/5 days, and the power situation is critical, so I need you to go there immediately." I left my unfinished work in Dhaka and reached Ashuganj the following morning. I saw that German, British, Korean, Chinese, and local power experts were still working hard to find the problem with the Golad-Dharma power plant, which had unfortunately eluded them for the last 4/5 days.

Despite being the 2nd officer of the power plant, I had the significant responsibility of keeping it running properly. I repeatedly asked the relevant engineers when and how the gas turbine was stopped and what progress the experts had made. I discovered that the gas turbine never reached its self-sustaining speed, meaning the prime mover could not reach its self-sustaining speed either. Note that the prime mover of the gas turbine is a diesel engine.

The diesel engine must first reach a speed of 1600 rpm before the gas turbine can reach its own speed and continue at the specified speed of 5000 rpm. All the experts were still engrossed in design discussions, but I checked the maintenance manual and confirmed that the prime mover was the problem. The prime mover was unable to get the gas turbine up to its self-sustaining speed even after repeated attempts. This indicated that the problem was in the prime mover itself, as its own speed was not increasing. At noon, when the experts went to lunch, I went to the plant with one SGE, a foreman, and two fitters. I checked the prime mover's fuel source, fuel tank to the engine, and everything seemed fine. However, upon opening the fuel filter, I discovered that each cylinder's filter was almost diesel-free, meaning the fuel line was air-filled. Without enough fuel, the prime mover could not speed up itself, and it was impossible to increase the gas turbine's speed. I immediately filled the filters with diesel, started the machine, and stopped it after confirming that the gas turbine started running. The test run revealed that the filters were not properly tightened. Suddenly, Mr. Steve, the ticket guarantee engineer, came running and asked with a surprised look, "Hey, Chowdhury, what have you done? The machine was coming up, and what are you doing now?" I was overjoyed that I had found and fixed the actual problem with the machine and said, "Wait on me, Steve, I hope you'll get your machine ready within an hour."

After approximately 40 minutes, the fuel filters of the diesel engine were completely filled with diesel and installed successfully. In a slightly proud tone, I said to myself, "Steve, now you can start the machine, but before pushing the switch, please recite Bismillah." The English Guarantee Engineer, as if under a spell, said Bismillah on the switch, and by God's grace, the 90 MW Combined Cycle Power Plant immediately started up. My manager and experts rushed over, all looking at me and asking questions: "Chowdhury, what have you done?" From that day on, foreign and local experts worked together closely. Additionally, GEC Gas Turbine Company offered job opportunities from England. However, one question was lingering in my mind: why did experts with long training and many British, German, Korean, and Chinese engineers try to diagnose a simple problem with the gas turbine prime mover for five days?

In 1986, when the manager engineer Nepal Chandra Chowdhury was transferred from Ashuganj to the post of Sylhet manager, it felt like the sky had fallen on his head. Finally, it was my turn to bid farewell. After many speeches, the venerable Nepalese Babu showered me with epithets of affection and wept uncontrollably. The tears of compassion and love are still vividly remembered. A deep wound was left in the heart.

সাল ২০১৭। পরীক্ষা দিচ্ছি, পাশ করতে পারছি না, ফেলের পাহাড়। দিশেহারা আমি। প্রথমবারের মত বাসায় জানালাম একাডেমিক লাইফের ইত...
05/01/2023

সাল ২০১৭।
পরীক্ষা দিচ্ছি, পাশ করতে পারছি না, ফেলের পাহাড়। দিশেহারা আমি। প্রথমবারের মত বাসায় জানালাম একাডেমিক লাইফের ইতিবৃত্ত। বাবা বললেন, রিজিকের ফয়সালা জমিনে হয় না, আসমানে হয়। আল্লাহ ব্যবস্থা করে দিবেন। এক নারী এসে হাত ধরলো। বললো, আমি আছি, তুমি লড়াই করতে থাকো। ফেইল করা সাবজেক্টগুলো আমাকে পড়াতে শুরু করলো, প্রথমবারের মত পাশ করা শুরু করলাম।

সাল ২০১৯।
মাকে বললাম, আমাকে দিয়ে কি কিছুই হবে না? মা বললো, হয়ে যাবে একটা কিছু, তুমি দোয়া করো যেটা হবে, সেটা যেনো হালাল হয়, হালাল রিজিকের চেয়ে বড় কিছু নাই।

সাল ২০২০।
বিয়ের সময়টা। এক অসম সাহসী বাবা-মা তার মেয়েকে তুলে দিলেন আমার হাতে। আমি ভাবছি কিভাবে চলবে দিন? তারা বললেন, আমরা আছি চালায়ে নিবো। আমার পরিচয় তখন শুধু ইন্টার পাশ, আমার স্ত্রী মাস্টার্স পাশ অলরেডি।

সাল ২০২১।
বিয়ের বছর পেরোলো। আমি রাজশাহীতে তখনও পরীক্ষায় পাশ করার আশায় যুদ্ধ করে চলেছি। বাবার চোখের সমস্যা ধরা পড়লো। সেই মেয়েটা আমাকে না জানিয়ে যুদ্ধ করে চললো, আমারই বাবার জন্য। তারপর ফিরলাম, বাবার চোখ তখন একদমই বিকল, যুদ্ধ চলছে, পাশে শুধু ওই মেয়েটাই দাড়িয়ে। জুলাইয়ের এক গরম দিনে বাবা ছেড়ে গেলেন। নিজ হাতে নামিয়ে দিয়ে আসলাম কবরে। মাথায় এক ভেঙ্গে পড়া আকাশ। ভাবলাম পড়াশোনা হবে না । তারপরও এক চোখ কান্না নিয়ে পড়তে থাকলাম, পরীক্ষা দিলাম।

সাল ২০২২।
মার্চের একটা দিন পাশ করলাম, আমি গ্রাজুয়েট। ৩-১ শেষে সিজিপিএ ছিল ২.৪১, সেখান থেকে ৩.১৩ নিয়ে বের হলাম। ততদিনে আমার স্ত্রীর পোস্ট গ্রাজুয়েশনও শেষ। এবার পরিচয় বেকার। ভাবলাম মাস্টার্সে ভর্তি হই, চাকরির চাপটা সামলে রাখা যাবে। ওই মেয়েটা বললো, তুমি তোমার স্বপ্ন পূরণ করো, আমি আছি, আমি চাকরি করে খাওয়াবো তোমাকে, তোমার কোন চিন্তা করতে হবে না। সেই প্রথম মনে হলো, ও থাকলে আর ফিরে তাকাতে হবে না।

সাল ২০২৩।
আজ আমার স্বপ্ন পূরণের দিন। স্বপ্নের চাকুরি। সাবজেক্ট ফিল্ড, ঢাকার মধ্যে সরকারি চাকুরি— যা চেয়েছিলাম তাই একদম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এর সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে জয়েন করলাম, আজ দেখেছি সেই মেয়েটার মুখের বিজয়ের হাসি। আজ জেনেছি, বিজয়ের আনন্দ কাকে বলে। আমার কষ্টের জায়গাটা এইটাই যে যে লোকটা আমার সারাজীবনের স্ট্রাগল দেখে গেলেন, তিনি এই বিজয়টা দেখতে পারলেন না। তিনি থাকলেই বোধহয় সব পূর্ণ হতো।

এক বুক ভরা স্বপ্নে আশায় বাধা এই বুক, একটা পরিবর্তন আনবোই, আমার সোনার বাংলাদেশে। রিজিকের ফয়সালা আসমানে হয়, জমিনে নয়। আল্লাহ হালাল রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন, তিনিই বরকত দেন, তিনিই আমার দায়িত্ব নিবেন। পরকাল তিনিই গড়ে দিবেন। পরকাল ঠিক না থাকলে, এই জীবনের কোন মানে নেই। আল্লাহ আমার আশা পূরণ করুক, পরকালের সেই আশাটা। আল্লাহ আমাদের মঙ্গল করুন।

আবিদ আহসান
সিএসই '১৪

The year 2017. I'm taking the exam I can't pass, the mountain of fall. I am confused. I told the history of academic life at home for the first time. Father said Rizik's decision was not on the ground but in the sky. God will provide. A woman came and held her hand. He said, I am here; you keep fighting. They started teaching me failed subjects, and I passed the first time.

The year is 2019. I said to my mother, what will happen to me? Mother aid, something will happen; you phat it will be halal; there is nothing more significant than halal sustenance.

The year 2020. It's time to get married. A courageous parent handed over her daughter to me. I wonder how the day will go. They said we would drive. My identity was only inter pass, my wife's master's pass already.

The year is 2021. The year of marriage has passed. I was still fighting in Rajshahi, hoping to clear the exam. Father's eye problem was diagnosed. That girl fought without telling me about,t r my father. Then I returned, the father's eyes were utterly broken, the war was going on, only that girl was standing next to him. One hot day in July, father left. I brought it down to the grave with my hands—a broken sky on the head. I thought I would not study. Even then, I continued to read with tears in one eye; I took the exam.

The year is 2022. I passed one day in March; I am a graduate. CGPA at the end of 3-1 was 2.41, came out with 3.13. By that time, my wife's post-graduation was also over. Now the identity is unemployed. I thought that if I enrolled in a master's, I could handle the work pressure. That girl said you fulfill your dreams; I am here; I will work and feed you; you don't have to worry. That first thought, if he is there, there is no need to look back.

The year 2023. Today is the day of fulfilling my dream. Dream job Subject Field, Government Jobs in Dhaka - Exactly what I wanted. I joined the Dhaka Electric Supply Company Limited (DESCO) under the Ministry of Power, Energy and Mineral Resources of the People's Republic of Bangladesh as an assistant engineer; today, I saw the smile of victory on that girl's face. Today I know what the joy of success is. My trouble is that the man who saw my struggle throughout my life could not see this victory. If he were there, everything would have been fulfilled.

A chest full of dreams, this chest is full of hope; I will bring a change, my gold in Bangladesh. The judgment of Rizik is in heaven, not on earth. Allah has provided Halal sustenance; He is the one who blesses, and He is the one who will take responsibility. He will be building the hereafter. If the Hereafter is not correct, this life has no meaning. May Allah fulfill my hope, that hope of the future. May Allah bless us.

Abid Ahsan
CSE '14

রুয়েটিয়ানদের জীবনের গল্প তুলে আনার হিউম্যানস অফ রুয়েটের যাত্রায় যুক্ত হতে চেয়ে  আপনাদের বিপুল সাড়া দেখে আমরা আপ্লুত। আপন...
07/12/2022

রুয়েটিয়ানদের জীবনের গল্প তুলে আনার হিউম্যানস অফ রুয়েটের যাত্রায় যুক্ত হতে চেয়ে আপনাদের বিপুল সাড়া দেখে আমরা আপ্লুত। আপনাদের অনুরোধে আমরা ডেডলাইন ২ দিন এক্সটেন্ড করছি।

যারা যুক্ত হতে চান আমাদের এই যাত্রায়, গল্প শুনতে এবং বলতে ভালোবাসেন, অসাধারণ মুহূর্তগুলো ছড়িয়ে দিতে পারেন অসংখ্য মানুষের মাঝে, নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে ফর্মটি পূরণ করে ফেলুন। হিউম্যানস অফ রুয়েট মুখিয়ে আছে কিছু প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর স্টোরি টেলার এর অপক্ষায়!

[গুগল ফর্মের লিংক কমেন্ট বক্সে।]

আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের পর আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় গল্পের। আমরা একে অপরের সাথে যুক্ত হই গল্পের মাধ্যমে। আমরা ক্...
01/12/2022

আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের পর আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় গল্পের। আমরা একে অপরের সাথে যুক্ত হই গল্পের মাধ্যমে। আমরা ক্রমাগত মাথার মধ্যে গল্প বানাই, নিজেকে নিয়ে, নিজেদের নিয়ে। এই গল্পগুলোর উপর আমরা গড়ে উঠি। নিজেরা যেমন অন্যদের প্রভাবিত করতে পারি, তেমনই অন্যদের গল্প আমাদের প্রভাবিত করে। হিউম্যানস অফ রুয়েট এর শুরু এই সহজ এবং শক্তিশালি আইডিয়া থেকেই।

আমাদের রুয়েটে প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী ভর্তি হয় এবং পাস করে বের হয়। সবাই নিজস্ব একেকটা গল্প নিয়ে আসে এবং এই পুরো যাত্রায় তাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ হয়, জমে ওঠে বলার মতো আরও গল্প। এইসব গল্পগুলো সাধারণত নিজেদের বন্ধু কিংবা পরিচিত ছাড়া কেউ জানে না, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সব গল্পই অনেককে অনুপ্রাণিত করতে পারে বিভিন্নভাবে। আমরা চাই রুয়েটিয়ানদের গল্পগুলো সকলের মাঝে তুলে ধরতে, জানাতে।

আমাদের দু’বছরের কিছু বেশিদিনের যাত্রায় আমরা বলতে পেরেছি প্রায় ত্রিশ জনের গল্প, পেয়েছি বারো হাজারেরও বেশি মানুষ যারা আমাদের পেজে নিয়মিত যুক্ত থাকেন, আমাদের গল্প পড়েছেন লাখেরও বেশি মানুষ। কিন্তু আমরা এটুকুতেই আটকে থাকতে চাই না, আমরা আরও বেশি গল্প তুলে আনতে চাই, পরিচয় করিয়ে দিতে চাই আরও বেশি চরিত্রকে, যুক্ত হতে চাই পৌছাতে চাই আরও বেশি মানুষের কাছে।

এই যাত্রায় তাই আমরা চাই আরও কিছু গল্প বলিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত হোক। যারা সাধারণ ঘটনাকেও দেখতে পারে ভিন্ন লেন্সে, ভাবতে পারে বাক্সের বাইরে এবং রুয়েটিয়ানদের গল্পগুলো ঝেড়ে মুছে তুলে ধরতে পারবে এই বিশাল কমিউনিটির মাঝে। ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে জীবনের গল্পগুলোকে।

আপনারা যারা যুক্ত হতে চান আমাদের এই যাত্রায়, গল্প শুনতে এবং বলতে ভালোবাসেন, অসাধারণ মুহূর্তগুলো ছড়িয়ে দিতে পারেন অসংখ্য মানুষের মাঝে, নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে ফর্মটি পূরণ করে ফেলুন। হিউম্যানস অফ রুয়েট মুখিয়ে আছে কিছু প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর স্টোরি টেলার এর অপক্ষায়!
Deadline: 5th December, 2022 (11:59 pm)

[লিংক কমেন্ট সেকশন এ]

মানুষকে কোনো একটা কঠিন কিছু সহজ করে বোঝানো অনেক সুন্দর একটা ব্যাপার৷ প্রত্যন্ত এলাকার একজন শিক্ষার্থী যখন আমার পড়ানো বুঝ...
29/11/2022

মানুষকে কোনো একটা কঠিন কিছু সহজ করে বোঝানো অনেক সুন্দর একটা ব্যাপার৷ প্রত্যন্ত এলাকার একজন শিক্ষার্থী যখন আমার পড়ানো বুঝতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তখন একজন মানুষ হিসেবে নিজের সার্থকতা খুঁজে পাই। যখন দেখি একটা শর্ট ভিডিওতে আমার নাম এর পাশে রুয়েট লেখা, খুব ভালো লাগে!

ছোট বেলা থেকেই শুনতাম একবার একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলে সব চিন্তা শেষ, আর তেমন পড়াশোনা নাই, বের হলেই ভালো বেতনে চাকরি। অন্য সবার মতো আমিও এই স্বপ্ন দেখতাম যে একবার ভর্তি হয়ে যা খুশি করবো। এভাবে এসএসসি, এইচএসসি শেষ করে ভর্তি পরীক্ষার সময়টা চলে এলো। ছোট বেলা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা, সেই ইচ্ছা থেকেই রুয়েট এ ভর্তি হওয়া। এখন তো কাজ শেষ, আর পড়াশোনা নাই। প্রথম প্রথম যখন ক্লাস এ যেতাম, ভেতরে একটা আনন্দ কাজ করতো, আমার সামনে সব হাইলি কোয়ালিফাইড শিক্ষক, ক্লাস নিচ্ছেন, হা করে তাকিয়ে ক্লাস করতাম, কি এক উত্তেজনা! তবে কিছুদিনের মধ্যেই কেমন যেন লাগতে শুরু হলো, আবার সেই ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি পড়া, ম্যাথ পড়া! আমি তো ভেবে রেখেছি শুরুতেই গাড়ি বানানো শিখবো, এসব কি পড়ায়! কল্পনা আর চিন্তার মধ্যে বিস্তর ফারাক খুঁজে পেলাম। এতোদিন তো জানতাম ভার্সিটিতে পড়াশোনা নেই! তার উপর রাজশাহীর মতো সুন্দর পরিস্কার খোলামেলা জায়গা আগে দেখিনি, ছোট থেকেই ঢাকার সেই কোলাহল দেখেই বড় হওয়া। তাই প্রথম একটা বছর কার্বন-পার্টিকেল মুক্ত বাতাসে মুক্ত পাখির মতো ঘুরে বেড়ালাম। সমস্যা হয়ে গেল ফাইনাল এক্সাম এর সময়, এখানকার পরীক্ষাগুলো একদম আলাদা নিয়মে হয়, বড় ভাইদের সাথেও খুব একটা পরিচয় হয়ে ওঠেনি। তাই কোনো রকম আইডিয়া ছিলো না।

তারপরও কোনোভাবে একটা রেজাল্ট নিয়ে ২য় বর্ষে উঠলাম, ভুলগুলো খুঁজে ঠিক করার চেষ্টা শুরু করে দিলাম, ক্লাসে নিয়মিত হয়ে গেলাম কিন্তু তারপরেই শুরু করোনার আক্রমণ! বাসায় থাকতে থাকতে অনিয়মের একটা কারখানা খুলে বসলাম, আবার শুরু হলো আগের মতো। কিন্তু তখন এটুকু বুঝে গেলাম যে ক্লাসগুলো করলেই অনেকটা কাভার হয়ে যায়। কিন্তু মোটিভেশান টা বেশিদিন ধরে রাখতে পারলাম না, এর মধ্যে একটা জিনিস আবিস্কার করলাম সেটা হলো আমি যদিও এসএসসি লেভেল এ ফিজিক্স এ খুব ভালো ছিলাম কিন্তু ইন্টার এর বেসিক ততোটাই খারাপ কারন আমার কলেজ ছিলো দূরে, সময় মিলতো না ব্যাচ টাইম এর সাথে৷ তারপরে দেখলাম আমার সাব্জেক্টের মধ্যে ফিজিক্সটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর এটাতেই আমার প্রবলেম। ঠিক করলাম আবার এইচএসসির ফিজিক্স পড়বো।

ছোটবেলায় খেয়াল করতাম একটা জিনিস আমি নিজে ৫ বার পড়ার চেয়ে যদি ২ বার পড়ার পর কোনো বন্ধুকে বোঝাতাম তখন নিজের কনসেপ্ট আরো ক্লিয়ার হয়ে যেতো। এই থিওরিটাই নিজের ক্ষেত্রে কাজে লাগালাম ফিজিক্স শেখার ক্ষেত্রে। ভাবলাম আমি একটা জিনিস নিজে যখন বুঝবো তখন একইসাথে অন্যকেও বোঝাবো, আমার শেখাটা পরিপূর্ণ হবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মের সাথে পরিচিত হই, তাদের কার্যক্রম ভালো লাগে, তাদের জানালাম আমি তাদের সাথে কাজ করতে চাই, ডেমো ক্লাস দিলাম, তাদের ভালো লাগলো, আমাকে টিম এ নিলো ফিজিক্স ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে। একইসাথে এবার রেজাল্ট ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো হলো।

ভার্সিটিতে নাকি অনেকরকম স্কিল ডেভেলপমেন্ট দরকার, নিজেকে বাস্তবতার সাথে পরিচয় করানো দরকার। আমি মনে করি মানুষকে কোনো একটা কঠিন কিছু সহজ করে বোঝানোও একটা স্কিল। অনেক সুন্দর একটা ব্যাপার৷ কারণ প্রকৃত আনন্দ আরেকটা মানুষের উপকার করার মাধ্যমে পাওয়া যায়। আমি সেটা পাই, ভালো লাগে। করোনার পরে অনলাইন পড়াশোনা ব্যাপারটা অনেকটাি বেড়ে গিয়েছে, এখানে সুবিধা হলো ঘরে বসে আমি দেশের প্রত্যন্ত এলাকার একজন শিক্ষার্থীকে নিজের মতো করে পড়াতে পারি। সে যখন পড়াটা বুঝতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তখন একজন মানুষ হিসেবে নিজের সার্থকতা খুঁজে পাই। যখন একটা শর্ট ভিডিওতে আমার নাম এর পাশে রুয়েট লেখা, খুব ভালো লাগে, কতগুলো মানুষের সামনে নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারি, নিজের প্রতিষ্ঠান এর নাম কে সামনে আনতে পারি। এই সবকিছুর শুরু কিন্তু আমার বাবা-মা কে দিয়ে। যেকোনো কিছুর প্রতি আগ্রহকে অনুপ্রেরণা দেয়া, মানুষের জন্য কিছু করা এই জিনিসগুলো তাদের কাছেই শেখা, তাদের দোয়া আর নিজের সামান্য চেষ্টা।

দিনশেষে যখন একজন রুয়েটিয়ান হিসেবে নিজেকে এতো সুন্দর একটা জায়গায় উপস্থাপন করতে পারি, যেখানে লাখ লাখ শিক্ষার্থী ফ্রি তে শিখতে পারে, যারমধ্যে হয়তো কারো একটা প্রাইভেট পড়ার টাকা দিয়ে ১ সপ্তাহ বাজার করার ব্যবস্থা হবে তাদের উপকার করতে পারাটা আনন্দের। নিজে শেখা মানুষকে শেখানো এরমধ্যে আছে আত্মতৃপ্তি! আর এভাবে ক্লাসমেট, বন্ধু সবার কাছে যে একটা ভালোবাসা সমাদর পাওয়া যায় সেটা জীবনে আরো বেশি ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা দেয়।

সাব্বির আহমেদ রিফাত
এমই' ১৮

In my early years, I was told that if you get accepted into a public institution, all your troubles are over, and you only need to worry about finding a job when you graduate with a good salary. Like everyone else, I once fantasized that once I was admitted, I could do whatever I wanted. In this manner, the time for the admission exam has arrived following the completion of SSC and HSC. I've always wanted to study engineering, and RUET admittance is a result of that desire. The assignment is finished; no further studying is necessary. I used to look at the course with excitement when I first entered a classroom since there were so many highly competent teachers taking classes in front of me. But after a few days, it began to feel just like math, physics, and chemistry class once more! I would first learn how to build vehicles; what does this teach? I discovered a notable distinction between fantasy and reality. I've been aware for a while that there is no university study.

On top of that, despite growing up surrounded by the commotion of Dhaka, I have never seen a location as lovely, clean, or open as Rajshahi. I, therefore, moved freely in the air devoid of carbon for the first year. The issue arose during the final exam because the tests here were very different, and I had little contact with the older brothers. As a result, no one knew.



I managed to get into the second year, and as a result, I started attempting to correct my errors and attending class regularly, but then the corona attack began! I created a factory of anomalies at home and continued where I left off. But I soon realized that simply attending classes would cover a lot. But I couldn't maintain the drive for very long. Even though I excelled in physics at the SSC level, I found that because my college was far away and the time didn't coincide with the batch time, I performed horribly in primary in the HSC. Then I realized that physics is the most crucial topic in my field, and that is my issue. I choose to reread HSC physics.



When I was a child, I discovered that my explanations were more precise if I gave them to a friend after reading them two times rather than five times myself. As I was learning physics, I used this theory myself. I believed that once I fully grasped something, I could teach it to others, and my learning would be finished. In the interim, I became familiar with many online platforms, enjoyed their activities, expressed my desire to collaborate, and offered demonstration sessions. They thought it was good and hired me as a physics instructor for their group. Alhamdulillah, the outcome is also favorable.



A lot of skill development is necessary for university. You should become familiar with reality since it will help. Making complex concepts understandable to others is something I consider to be a skill. A fantastic item Because being kind to others brings about actual happiness. I agree and understand. Online learning has significantly increased since Corona. The benefit of this situation is that I can educate a student traveling from a far-off region of the nation. When he recognizes and expresses gratitude, I realize how valuable I am. I feel ideal when RUET is written next to my name in a brief video because I can represent myself in front of many people and draw attention to the name of my organization. My parents set everything in motion. Creating an interest in anything, helping others, learning from them and their prayers, and making a small effort of your own.



It is a pleasure to be able to help them when I can show myself as a RUETIAN in such a beautiful location where millions of students may learn for free and in which maybe someone can arrange to market for one week with the money from private tuition. Teaching others to study on their own gives one a sense of accomplishment! And in this way, the affection from classmates and friends inspires people to carry even more admirable deeds.
Sabbir Ahmed Rifat
ME’18

ধুলো-কাঁদা মাখা এক গ্রামীন শৈশব আমার, কোনো স্কুল ড্রেসের বালাই ছিলো না। স্পঞ্জের স্যান্ডেল ছিঁড়ে গেলে, খালি পায়েও যদি স্...
18/11/2022

ধুলো-কাঁদা মাখা এক গ্রামীন শৈশব আমার, কোনো স্কুল ড্রেসের বালাই ছিলো না। স্পঞ্জের স্যান্ডেল ছিঁড়ে গেলে, খালি পায়েও যদি স্কুলে যেতাম- পরিপার্শ্বের সাপেক্ষে সেটাও তেমন অস্বাভাবিক কিছু মনে হতো না। সরকারি প্রাইমারি স্কুলে তখন ক্লাস থ্রি পর্যন্ত কোন পরীক্ষাও নেয়া হয় না। বিষয়টা আমার ভাল্লাগলো না; বাবা’কে বললে তাঁর অনুরোধে স্কুল শিক্ষকে’রা আমার জন্য আলাদা প্রশ্ন-পরীক্ষা’র ব্যবস্থা করলেন, তাতে পড়ালেখার আগ্রহ বাড়লো; বিনিময়ে স্যারদের যেন একটাই শর্ত- শতবর্ষের পুরোনো আমাদের এই স্কুল থেকে কেউ কখনও বৃত্তি পায়নি- তোমাকে কিন্তু পেতে হবে। বাবাও যেন নিশ্চিন্তে বলে দিলেন, আমার ছেলে পারবে! কিন্তু তারপরই বিধি বাম-

ক্লাস ফোরে পড়ি তখন, খেলতে গিয়ে পাটখাঠির আঘাতে একটা চোখ যায় যায়- দু’বার সার্জারি, প্রায় ছ’মাস হাসপাতাল, পড়ালেখা চুলোয়। তারপর, ক্লাস ফাইভে উঠবো তখন, এক শীতের ভোরে হঠাৎ বুকে হাত দিয়ে কালেমা পড়তে পড়তে আমার সদ্য চল্লিশ পেরুনো বাবা চলে গেলেন আমাদের পৃথিবীটা অন্ধকার করে দিয়ে। খুব ছোটবেলায়ই যেন হঠাৎ করে বড় হয়ে গেলাম; মাথায় যেন দায়িত্ব চেপে বসল, বাবা বলে গেছেন “আমার ছেলেটা পারবে”। সারাজীবনে আর কি পেরেছি জানি না- তবে বাবা’র কথা রেখে গ্রামের ঐ স্কুলের শতবর্ষের ইতিহাসে প্রথম প্রাথমিক বৃত্তি আমি পাই।

তারপরের চ্যাপ্টার গ্রামেরই সদ্য গড়া এমন এক হাই স্কুল, যেখানে সাইন্সের সব সাবজেক্ট মিলিয়ে একজনই শিক্ষক; উচ্চতর গণিত বিষয় পড়ানোরই অনুমতি নেই- শুধু আমার জন্য নতুন করে সাবজেক্ট খোলা হলো। এর মধ্যে দাদু’র ক্যান্সারে ভুগে মারা যাওয়া, সংসারে অভাব অনটন মিলিয়ে একেবারে শাবানা’র সিনেমা’র মত দুঃখ-ভারাক্রান্ত বাঁকি-টুকু শৈশব! এসএসসি’তে এ+ পেলাম না। তবুও অনেক আশা-ভরসা নিয়ে চাচা’রা ঢাকায় নিয়ে এলো নটরডেম কলেজে ভর্তি করে দিতে। তখনই প্রথম ঢাকায় আসা। এই ব্যস্ত শহরের সাথে মানিয়ে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়; তারপরে আবার চোখের সার্জারি- মাসখানেক ক্লাস মিস, না বোঝা বিষয়গুলো বুঝে নিতে প্রাইভেট টিউটর রাখারও সামর্থ্য নেই; সব মিলিয়ে এইচএসসিতেও রেজাল্ট খারাপ। একেবারে ছোটবেলা থেকে যে স্বপ্ন বুয়েটে পড়বো- সেখানে ফর্ম তোলার পয়েন্টও নেই। ওটাই বোধহয় আমার জীবনের অন্যতম ডিপ্রেসিং ফেইজ! অন্যান্য ভার্সিটির ফর্ম তোলার টাকা চাইতেও লজ্জা লাগে। ইঞ্জিনিয়ারিং এ শুধু রুয়েটেই ফর্ম তুলেছিলাম। সেখানেও পরীক্ষার পর আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম, কারণ সে সময় ওয়েটিং লিস্টের ভালই পেছনে ছিলাম আমি। অবশেষে ভাগ্যক্রমে রুয়েটের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এ চান্স পাই।

রুয়েট যেয়ে শুরুতে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তাই সবকিছুতে যেন একবারে ঝাঁপয়ে পড়লাম। যত ক্লাব-এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি সম্ভব, একদম সবকিছুতে যুক্ত হলাম। পাবনা জেলা সমিতি, ডিবেটিং সোসাইটি, বন্ধুসভা, ব্লাড ফাউন্ডেশন, ডিএনএস, আরও যে কতকিছুতে ছিলাম। ৯০ এর দশকে বিতর্ক চললেও বিশেষ করে আমি যখন ক্যাম্পাসে আসি, সে সময়টায় রুয়েটে তেমন কেউ বিতর্ক করতো না। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এক বড় ভাইকে প্রস্তাব দেই পুনরায় ডিবেট ক্লাব চালু করার। দেখে ভাল লাগে, রুয়েটের ক্লাবগুলোর মধ্যে আমাদের বহু কষ্টে পুনরায় শুরু করা সেই ক্লাব এখন অনেক বেশি সক্রিয়।

এর পাশাপাশি আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ৫-৬টা করে টিউশনিও করিয়েছি। এতকিছুর পাশে- শুধু একটা জিনিস সবসময় আমি ঠিক রেখেছি- তা হলো ঠিকমত এবং খুব মনোযোগের সাথে ক্লাস করা। দিন-রাতের বাঁকি পুরোটা সময় বাউন্ডুলে সময় কাটালেও বোধহয় শুধু ঐ মনোযোগের সাথে ক্লাস করার কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করতে পারি ডিপার্ট্মেন্টে প্রথম দশজনের মধ্যে থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা ছিল বেশ উৎসবমুখর। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পর কি করবো, তা নিয়ে তেমন কোন প্ল্যান করা হয় নাই। রুয়েট অধ্যায় শেষে ঢাকায় এরোনোটিক্যাল কলেজে লেকচারার হিসেবে জয়েন করি। এর কিছুদিন পর অনেকটা ভালো স্যালারির লোভে পরেই একটা ব্যাংকের চাকরিতে ঢুকি। কিন্তু মাথার মধ্যে সারাক্ষণ ট্র্যাকে ফেরার একটা তাড়না আর থ্রি ইডিয়ট সিনেমা’র প্রভাবে নিজেকে গাধে গাধে বোধ হবার যন্ত্রণাও কিছুটা ছিলোই। তাই চাকরির পাশাপাশি বুয়েটে মাস্টার্স শুরু করি। চাকরি আর মাস্টার্স মিলে যেন ঢিমেতালে আমাকে স্লো করে দিচ্ছিলো আর হায়ার স্টাডি’র সুপ্ত ইচ্ছা যেন আরও ঝিমিয়ে পরছিলো। হঠাৎ একদিন আমার এক পুরাতন ফেইসবুকের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ব্যাংক থেকে সাসপেন্ড করা হয়, তখনই যেন আমি নতুন করে চিন্তা করার সুযোগ পাই। বুয়েটের মাস্টার্স শেষ করে, দেশের বাইরে হায়ার স্টাডির সিদ্ধান্তটা আসলে তখনই নেয়া।
দেশের বাইরে আসার গল্পটাও বেশ ইন্টারেস্টিং। ফুল ফান্ডিং অফার সত্ত্বেও দুইবার ভিসা রিজেকশনের পর হতাশ হয়ে পড়ি। তৃতীয়বার যখন ভিসা ইন্টারভিউ হয় আমার ক্লাস শুরুর আগের দিনই। থার্ড ইন্টারভিউতে আমাকে জিজ্ঞাস করা হয়, এই শেষ মুহুর্ত্বে ভিসা হলে কি যেতে পারব কিনা! অবশেষে দিনে দিনে ভিসা হয়, আর আমি কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই দু-ঘন্টার নোটিসে আমেরিকা চলে আসি। সে সময়টায় তেমনভাবে কাছের মানুষদেরও জানানোর সুযোগ হয় না। একরকম ঘোরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা এসে ক্লাস শুরু করি।

দেশের বাইরের পিএইচডি লাইফটা বেশ বৈচিত্রময় ও অনেকটা কষ্টেরই। বিশেষ করে অনেকবার রিসার্চ টপিক চেইঞ্জ হতে হতে বারবার মনে হতো- আর বুঝি ধৈর্য্য রাখা যাচ্ছে না, আর বুঝি পারলাম না! অবশেষে, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ছয় বছরে পিএইচডি শেষ করি। এসময়টাও বেশ কনফিউশন ছিল। ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার মাঝে দ্বিধায় পড়ে যাই। মাঝে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাকাল্টি হিসেবে জয়েন করার অফার পাই। পাশাপাশি, ন্যাশনাল ল্যাব, টেসলা, ইন্টেলসহ আরও কয়েকটা জায়গায় ইন্টারভিউ চলতে থাকে। সব শেষে, ইন্টেলে জয়েন করি। মজার বিষয়, আমরা রুয়েটে যেই দুই বন্ধু মিলে থিসিস করেছিলাম, দুজনই বর্তমানে ইন্টেলেই কাজ করছি। এখানে কাজের ধরণ ও পরিবেশে ভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে; তবে এই জীবনটাও খারাপ না!
আমার জন্ম, আমার শৈশব আত্রাই নদীর ধারে। নদীর মতই আমার জীবন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রবাহিত হয়েছে। শুরুটা হয়েছিল গ্রামের খুবই সাধারণ একটা স্কুলে। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। তবে কখনোই বোধহয় আমি কোনো গন্তব্যের পেছনে ছুটিনি- চলার পথটাতেই আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করেছি- করে যাচ্ছি।

বাবা বলেছিলেন ছেলেটা বড় হবে- শুধু সেই বড় হবার চেষ্টায়ও কখনো হালও ছাড়িনি। আমি দেখতে নাকি অনেকটা বাবা’র মতই- তবে মা’য়ের থেকে জেনেটিক্যালি ধৈর্য্য নামক এক অসামান্য আশীর্বাদ পেয়েছি। নাহলে বোধহয় চার বছরে মাস্টার্স আর ছয় বছরের পিএইচডি’র এক দীর্ঘ যাত্রার শক্তি বা মনোবল পেতাম না।

যাহোক- এই দীর্ঘ পথের মাঝেও জীবনের সেরা সময় বলতে গেলে হাতরে পাই রুয়েটে যে চার বছর সময় কাটিয়েছি সেটাই। আমার কাছে এটা মাত্র বছর চারেক সময় না- সারা জীবন মনে রাখার এক উজ্জ্বল অধ্যায়। কোন তরুন কিংবা যুবক এমন কান্না কাঁদতে পারে না যতটা কেঁদেছি রুয়েট থেকে ফেরার দিন। তাই তো পৃথিবীর বিপরীত প্রান্তে বসে আজও সে সময়টা মনে করেই আনমনে আবৃত্তি করে যাচ্ছি, প্রিয় এক কবি’র কবিতায়-

"শীত সকালে দেবদারু কি
আজও তোমার প্রতীক্ষাতে
বোকার মত দাঁড়িয়ে থাকে
ভালবাসার পত্র হাতে?

আজও কি সেই মাঠের পরে
মেঘের বশংবদ কুয়াশায়
হিমরোদ্রের আলোছায়ায়
তোমার গোলাপ মুখ দেখা যায়।

"বদ্ধ প্রেমের পাগল যদি
উষ্ণতা চায় মাঘের শীতে
আমার মত সেও যেন যায়
পদ্মাপারের রাজশাহীতে"

-Mohammad Khairul Habib Pulok ME’06
Core Competency Engineer, Intel Corporation

I grew up in a remote village where there were no school uniforms. Even nothing seemed abnormal if I went to school barefoot at times when the sponge sandals were torn. Back then, government elementary schools took no tests until third grade. I was unhappy about not being evaluated and pleaded with my father. At his request, the school teachers arranged a separate question-and-answer session for me, which boosted my interest in learning. In return for the favor, the teachers cultivated an expectation: no one has ever received a competitive scholarship from our century-old school; we hope one from you. "My son will achieve it!" my father responded confidently.

But the situation was not in favor. In fourth grade, I got hurt by a jute stick in one of my eyes while playing. Two surgeries, nearly six months in the hospital, and studies went in vain. Then, one of the most tragic events of my life happened when I was just promoted to fifth grade- My father passed away from a cardiac arrest in his early forties. Suddenly, I felt some maturity in me at such early age. Something always whispered in my ear, that is my father's voice, "My son can do it." I'm not sure what else I've accomplished, but I acquired the first primary scholarship in the school's centennial history, honoring my father's promise!

The following chapter takes place in a newly built high school in the village, where there is only one teacher for all science disciplines. Even the curriculum permission for advanced mathematics still needs to be approved- I became the first and only student of that subject. On top of that, several family incidents- deaths and diseases, including my grandfather's demise and the financial crisis, filled the rest of my childhood with melancholy, similar to what we call 'Shabana's film life.' I could not achieve a perfect score on my secondary school exam either. However, my uncle brought me to Dhaka and arranged my admission to Notre Dame College. That was my first visit to Dhaka. It takes a lot of time to adjust to such a hectic metropolis.
On top of that, I lost a month of classes due to another eye surgery and can't even afford to hire a private tutor to help me understand topics I didn't understand or missed classes. Eventually, I could have done better in my higher secondary too. I couldn't even apply to my dream Institute, BUET. That was most likely the most painful period of my life! I was hesitant to ask for money to apply to other universities. Among the engineering options, I only applied for RUET admission. I was not hopeful about that option either because I was far down the waiting list. Finally, I was fortunate to get admitted to RUET's Mechanical Engineering department.

It was not easy to cope with RUET either. So, I tried to jump into everything at once. I participated in as many club-extracurricular activities as I could. I was a member of the Pabna District Association, the Debating Society, the Bandhu Sabha, the Blood Foundation, the DNS, and many more student clubs/organizations. There was a little debating opportunity in RUET at the time, especially when I first arrived at school. At the request of a few of our friends, a senior took the initiative to replenish the club. It's encouraging to see that our hard-won club is now considerably more active than the others in RUET. Aside from that, I used to tutor 5-6 different school students during my academic life in RUET. The only thing I have always done correctly is to attend every class properly and attentively. Though I spent most of my time in extra-curricular activities, I could still finish my undergrad as one of the top performers in the department.

University life was a lot of fun. That could be a reason for not considering much about what I should do after graduation. However, I suddenly joined as a lecturer at the Aeronautical College in Dhaka immediately after graduation. I took a bank job for a higher salary a few months later. But I constantly desired to get back on track with my engineering background. The movie "3-Idiots" had a significant role in making me realize that too. To keep room to get back, I began my evening Master's program at BUET, maintaining the day job. Simultaneous graduate study on top of a full-time job took work. It slowed me down, and the underlying yearning for further education was fading away. Suddenly, an issue with my bank job due to one of my long old Facebook posts caused a problem, and I had a chance to rethink. At that time, I decided to pursue further studies outside the country.

The story of leaving the country was also dramatic. Despite a full funding offer, I was disappointed after two visa rejections. The third visa interview took place the day before my classes began. The Visa officer understood the mistake of the previous rejections! Finally, I got the US visa the same day and took the flight within a few hours. Unfortunately, there was no way to inform even the immediate family then. I rushed to America from Bangladesh and began my classes.

The Ph.D. experience outside of the country is diverse and challenging. I felt so impatient at times. I was frustrated due to multiple changes in my research areas over time! After many ups and downs, I finally completed my Ph.D. in six years. There was a lot of uncertainty in career selections too. Industry and academia are at odds. At first, I got a teaching position at a University, but my preference was industry. I was facing several interviews: the National Laboratories, Tesla, Ansys, General Electric, and Intel, are a few to name. Finally, after several rejections, I got an offer to join "Intel." The challenges in the job are different. Especially being a research engineer, I am and may always have to run after unknown findings. That may be what I was striving for. Life is not so unpleasant at all.

I was born and grew up on the bank of a river named Atrai. My life took me in different directions at different times, like a river. I started in a remote village in Bangladesh and now working for one of the leading companies in the world, contributing to future technologies- it feels like living a dream. But, irrespective of wherever I arrived, I never ran after any destination to achieve happiness. Instead, I kept going, trying to find delight and joy along the way.

Like most fathers, my father had a dream that his son would achieve the most dignified education and accomplished career path. I look a lot like my father, but I inherited an exceptional ability of patience from my mother. Otherwise, I wouldn't have had the stamina or motivation to complete a four-year Master's and six-year Ph.D. programs.

Despite different struggles, the four years I spent at RUET were the best time of my life. It's not merely four years but a great chapter to remember for a lifetime. Everything associated with RUET has an intense and emotional connection with me. I still feel nostalgic remembering the time I spent in the tea stalls of RUET, the never-ending international bridge at Selim hall, and midnight Talaimari- Bot Paratha.

-Mohammad Khairul Habib Pulok ME’06
Core Competency Engineer, Intel Corporation

Address

Rajshahi
6204

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Humans of RUET posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Humans of RUET:

Share

Category