Daily Rajshahi

Daily Rajshahi বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত একটি জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা।
(1)

05/11/2024

১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম তিন দফা বাড়ানোর আজ ১ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা! হাসবেন নাকি কাঁদবেন?

নারীকে ছুঁতে পারা সাধনার বিষয়শরীর ছুঁয়েই যে পুরুষ বলে নারীকে ছুঁয়েছি, সে নির্বোধনারীর হৃদয় ছুঁয়েই তবে দেহ ছুঁতে হয়শরীর ত...
24/10/2024

নারীকে ছুঁতে পারা সাধনার বিষয়
শরীর ছুঁয়েই যে পুরুষ বলে নারীকে ছুঁয়েছি, সে নির্বোধ
নারীর হৃদয় ছুঁয়েই তবে দেহ ছুঁতে হয়
শরীর তো ধর্ষকও ছোঁয়।

পুরুষের ভালোবাসা পাওয়াও সাধনার বিষয়।
দেহদানের পরেই যে নারী ব'লে পুরুষের ভালোবাসা পেয়েছি, সে নির্বোধ
পুরুষের বিশ্বাস ছুঁয়েই দেহ ছুঁতে হয়
শরীর তো বেশ্যাও দেয়।

কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এভাবেই বলেছেন। শুভ জন্মদিন প্রিয় কবি।

22/10/2024

ফেসবুকের ভাষ্য : ‘মারা গেছেন’ তসলিমা নাসরিন! বিস্তারিত কমেস্টসে

19/10/2024

ছেলেদের জীবন বড়ই অদ্ভুত।

-১৬ বছর বয়সে ক্লাসমেট মেয়েদের পাশে যখন শত প্রেমের অফার আসে তখন ছেলেদের জাস্ট বন্ধু হবার মতোও কেউ জুটে না।

-১৮ বছর বয়সে ক্লাসমেট মেয়েরা বিয়ের যোগ্য হলেও ছেলেরা বাল্যকালের উপাধি পায়।

-২০ বছর বয়সে একটা রিলেশনশিপের জন্য কি অধীর আকুলতা অথচ ক্লাসমেট মেয়েরা হাসতে হাসতে তার সামনেই ৫ বছর সিনিয়র ভাইয়ের প্রশংসা করে।

-২২ বছর বয়সে যখন বান্ধুবিদের বিয়ের সিরিয়াল চলতে থাকে তখনো সমাজ ছেলেদের বলে অনার্স এর "বাচ্চা ছেলে"!

-২৪ বছরে মেয়েরা যখন পড়াশুনা প্রায় ক্ষ্যান্ত দিতে যাচ্ছে তখন ছেলেটার যেন যুদ্ধ শুরু"!

-নেশাগ্রস্ত হতাশাগ্রস্ত যাই হোক না কেন,যে ছেলেটার নিজেরই চালচুলো নেই তাঁকেও যেন বহুবার ভাবতে হয় ইনকাম না করলে বিয়ে হবে না-তাঁকেও দায়িত্ব নিতে হবে,সংসার,বউ,বাচ্চা"র
!"

-নীরব কান্নায় কাউকে খুঁজে না পেলেও একটা কথা সমাজ,আত্নীয়-স্বজন, পরিবার ঠিকই মনে করিয়ে দিবে-"ছেলে কি করে..?প্রতিষ্ঠিত তো..?

-অনার্স মাস্টার্স শেষ মেয়েটার জন্য শত বিয়ের অপশন পরিবার দিলেও,ছেলেটার সামনে একটাই অপশন , "কিরে আর কবে চাকরি পাবি.!"

-বিশ্ববিদ্যালয়ের আগুন ঝরা দিন গুলোতে প্রফেসর লেকচারে বলতেন "রিযিক আল্লাহর" হাতে, এটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করবে না,

-অথচ, তিনিও মেয়ের জন্য সরকারি চাকরিওয়ালা ছেলে চান.!"

-চাকরি করে ভাইবোনদের সেটেল করতে বা বাবার হাতকে শক্তিশালী করে বাসা-বাড়ি একটু সাজাতে বয়স পেরিয়ে যায়, ছেলেটার খেয়াল থাকে না।

-এতদিন পরে একটু স্বচ্ছল..!" সুন্দরি মেয়ে খুঁজলেও যেন অনেকেই বলে,এই বুইড়া ব্যাটা সম্পদ লোভী আবার অল্প বয়স্ক মাইয়া ও খুঁজে!"

-বিয়ের পর পরিবার আর বাচ্চাদের কথা ভেবেই পাড়ি দেয় বিদেশে একা..!"

-কিংবা সন্তানের শহরের "স্কুল কলেজের" কথা ভেবে নিজেই একা মেসে থাকে। হয়তো পরিবার থেকে চাকরিস্থল অনেক দূরে।

-কাজের বুয়ার রান্না,একাকী বিষণ্ণতা আর কোনো জেলা/উপজেলায় পাক্ষিক-মাসিক জার্নি করতে করতে কখন হাড় ক্ষয় হয়,ডায়াবেটিস বাঁধে খেয়ালও থাকে না।

বাবা মার মুখ উজ্জ্বল করতে যে ছেলেটার ছোটবেলায় স্বপ্ন শুরু,সংগ্রামের যৌবনকাল আর শেষ বয়সে এসেও সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে যুদ্ধ যেন আর শেষ হয় না।

-তবুও এই সমাজ বলে আহ.!"ছেলেরা কত স্বাধীন এতো কিছু করার পর ও বলে ছেলেরা ভালবাসতে জানে না। আসলে বাস্তবতা বরই কঠিন রে ভাই! সংগৃহীত

17/10/2024

দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর আগে দলীয় বিবেচনায় ২৩ বিচারপতি নিয়োগ কী ধরণের নিরপেক্ষতা বলবেন প্লিজ?

💠লালন ফকির💠জন্ম (১৭ অক্টোবর ১৭৭৪ –মৃত্যু  ১৮ অক্টোবর ১৮৯০) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, ল...
17/10/2024

💠লালন ফকির💠

জন্ম (১৭ অক্টোবর ১৭৭৪ –মৃত্যু ১৮ অক্টোবর ১৮৯০) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক ফকির সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তার গান উনিশ শতকে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
লালন শাহ'র জীবদ্দশায় তৈরি করা একমাত্র চিত্র, ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে এঁকেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
মৃত্যুর কারণ
বার্ধক্য
সমাধি
ছেউড়িয়া, কুষ্টিয়া
লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া।

16/10/2024
স্বামী: এই শুনছো, তুমি কি আমার সাথে ব্যায়াম করবে?স্ত্রী: কেন? আমি কি মোটা?স্বামী: না, না! ব্যায়াম তো স্বাস্থ্যের জন্য ভা...
14/10/2024

স্বামী: এই শুনছো, তুমি কি আমার সাথে ব্যায়াম করবে?

স্ত্রী: কেন? আমি কি মোটা?

স্বামী: না, না! ব্যায়াম তো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

স্ত্রী: ও, আমার শরীর বুঝি খারাপ!

স্বামী: আমি তা কখন বললাম! আচ্ছা তুমি যখন যেতে চাওনা, তবে থাকো।

স্ত্রী: তার মানে আমি অলস?

স্বামী: হায়রে! তুমি আমার কথা বুঝতে পারছ না।

স্ত্রী: কি, আমি অবুঝ?

স্বামী: আমি তা বলিনি!

স্ত্রী: মানে কি? আমি মিথ্যুক?

স্বামী: সাত সকালে গ্যাঞ্জাম করো না প্লিজ!

স্ত্রী: (রেগে গিয়ে) কি বলতে চাও তুমি? আমি ঝগড়াটে?

স্বামী: ঠিক আছে, তাহলে আমি যাব না ব্যায়াম করতে।

স্ত্রী: দেখছ, ইচ্ছে তোমার নেই, খামোখা আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছো!

স্বামী: কি মুশকিল! আচ্ছা, তুমি ঘুমাও! আমি একাই চললাম।

স্ত্রী: জানতাম, শেষ পর্যন্ত এটাই করবে। তুমি সবসময় আমাকে রেখে একা একা ঘুরো আর ফুর্তি করো!

স্বামী: উফ্, থামো এবার। আমার শরীর খারাপ লাগছে।

স্ত্রী: তুমি খালি নিজের শরীরের কথাই চিন্তা করো! আমার শরীর স্বাস্থ্যের কথা ভাবো কখনো?

স্বামী বেচারা আজ তিনদিন বসে বসে ভাবছে, কোথায় কি ভুল বললাম?

স্বামীকে ওভাবে বসে থাকতে দেখে স্ত্রী মুখ ঝামটা দিয়ে বলল, "সারাদিন দেখছি ঝিম মেরে বসে থাকো! কোন মেয়ের কথা চিন্তা করো? কার রঙ মনে ধরছে?"

স্বামী অজ্ঞান!

14/10/2024

নিউ মার্কেট 'পুষ্প স্টুডিও' মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু গত রাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)

14/10/2024

রাজশাহী নিউ মার্কেট 'পুষ্প স্টুডিও' বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু গত রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন (ইন্না... রাজিউন)

শুভ সকাল
12/10/2024

শুভ সকাল

10/10/2024

একদিন এক কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছে সীমা। অপরপ্রান্তে কোম্পানির বস, নাম অনিল।

বস অনীল সীমার কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, এই চাকরির জন্য আপনি কত বেতন আশা করেন? "

সীমা দ্বিধা ছাড়াই আত্মবিশ্বাসের সাথে বললেন, ‘সর্বনিম্ন ৯০,০০০ টাকা। "

অনিল তার দিকে তাকিয়ে আরও জিজ্ঞেস করল, "তুমি কি কোন খেলায় আগ্রহী? "

সীমা উত্তর দিল, "জি, আমি দাবা খেলতে পছন্দ করি। " "

অনিল হেসে বললেন, দাবা খুব মজার খেলা। চলো এটা নিয়ে কথা বলি। কোন দাবারের প্যাটার্নটা আপনার সবচেয়ে বেশি পছন্দ? অথবা কোন মুখ দেখে আপনি সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ? "

সিমা হেসে বললো, ওয়াজীর। "

অনিল অধীর আগ্রহে জিজ্ঞেস করল, "কেন? যদিও আমি মনে করি ঘোড়ার ট্রিক সবচেয়ে অনন্য। "

সীমা গম্ভীরভাবে উত্তর দিল, "আসলে ঘোড়ার চাল মজার, কিন্তু মন্ত্রীর সব গুণ আছে যা বাকি স্ট্যাম্পে ভিন্নভাবে পাওয়া যায়। " সে কখনো মোহর হয়ে পা দিয়ে রাজাকে রক্ষা করে, কখনো তৃষ্ণার্ত হয়ে চমকে দেয়, আবার কখনো ঢাল হয়ে রাজাকে রক্ষা করে। "

তার বোঝাপড়ায় মুগ্ধ হয়ে অনিল জিজ্ঞাসা করলেন, "খুব আকর্ষণীয়! কিন্তু রাজা সম্পর্কে আপনার মতামত কি? "

সীমা সাথে সাথে উত্তর দিল, স্যার, দাবা খেলায় আমি রাজাকেই সবচেয়ে দুর্বল মনে করি। তিনি নিজেকে রক্ষার জন্য শুধুমাত্র একটি পদক্ষেপ নিতে পারেন, যেখানে মন্ত্রী তাকে সব দিক থেকে রক্ষা করতে পারেন। "

সীমার প্রতিক্রিয়ায় অনিল মুগ্ধ হয়ে বললেন, "খুব ব্রিলিয়ান্ট! চমৎকার উত্তর। এবার বলুন তো এদের মধ্যে কোন মুখ আপনি নিজেকে মনে করেন? "

সীমান্ত দেরী না করে উত্তর দিল, "রাজা। "

অনিল একটু অবাক হয়ে বললো, কিন্তু তুমি রাজা কে দুর্বল ও সীমিত বললে, যে সবসময় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করে। "তাহলে নিজেকে রাজা মনে কর কেন? "

সীমা হালকা হাসি দিয়ে বললো হ্যাঁ আমিই রাজা আর আমার মন্ত্রী আমার স্বামী। সে আমাকে আমার চেয়ে বেশি আগলে রেখেছে,সব বিপদে পাশে দিয়েছে,কিন্তু এখন সে আর এই পৃথিবীতে নেই। "

অনিল এটা শুনে একটু চমকে গেল, এবং সে গম্ভীরভাবে জিজ্ঞেস করল, "তো কেন তুমি এই চাকরি করতে চাও? " "

সীমান্তের শব্দ, আর্দ্র হলো তার চোখ। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে বললেন, কারণ আমার প্রধানমন্ত্রী আর এই পৃথিবীতে নেই। এখন আমাকে প্রধানমন্ত্রী হতে হবে এবং আমার সন্তান ও আমার জীবনের দায়িত্ব নিতে হবে। "

রুমে একটা গভীর নীরবতা এটা শুনে। অনিল হাততালি দিয়ে বললো, সাবাশ সীমা। তুমি একজন শক্তিশালী নারী। "

শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের গুরুত্ব:

এই গল্পটি সকল মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণা যারা জীবনে যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। মেয়েদের সুশিক্ষা ও লালনপালন করা খুবই জরুরী,যাতে করে তারা কখনো কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে তারা প্রধানমন্ত্রী হয়ে নিজের ও পরিবারের জন্য শক্তিশালী ঢাল হতে পারে।

একজন পণ্ডিত বলেছেন, মহীয়সী স্ত্রী সেই যে স্বামীর উপস্থিতিতে আদর্শ নারী হয়, আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে পুরুষের ন্যায় পরিবারের বোঝা বহন করতে পারে। " "

এই গল্প আমাদের শেখায় যে জীবনে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আত্মবিশ্বাস আর বোঝাবুঝি থাকলে যে কোন কঠিন পরিস্থিতিকে অতিক্রম করা যায়।
সংগৃহীত

06/10/2024

একদিকে ইচ্ছা, পরিকল্পনা, মায়া; আরেক দিকে "কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত" অর্থ- প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে (সূরা আল ইমরান, আয়াত-১৮৫)

শিল্পীকে লাল সালাম
30/09/2024

শিল্পীকে লাল সালাম

29/09/2024

"নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন।
নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখি, ডেঙ্গু মুক্ত দেশ গড়ি। জমা পানি সর্বনাশা, এডিস মশা বাঁধে বাসা। সহজ উপায়ে কেরোসিন, জমা পানিতে ঢেলে দিন।"

28/09/2024

ছবি লেখা দুটোই সংগৃহীত কারোর জানা থাকলে বলবেন তাকে মেনশন করে দিতে চাই। আমার মত অনেকের জীবনের প্রতিচ্ছবি। এত মিষ্টি লেখাটা , থাকুক আপনার টাইমলাইনে-

মুদি দোকানে ডিম কিনতে গিয়েছি। পাশে এক লোক বাচ্চা নিয়ে দোকানে এসেছে। লোকটা সম্ভবত শ্রমিক বা রিকশাচালক। শুকনা। কন্ঠার হাড্ডি বের হয়ে গেছে। অভাব অনটন তাকে কেমন জীর্ণশীর্ণ করে দিয়েছে।

তার বাচ্চাটারও একই অবস্থা। লোকটা ২৫০ গ্রাম তেল আর লবন কিনতে এসেছে। বাচ্চাটা জুলজুল চোখে লজেন্সের বয়ামের দিকে তাকিয়ে আছে। বেচারা চাইতে সাহস পাচ্ছে না। ওর বাবা সেটা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু দারিদ্র্য মাঝেমাঝে চোখে নির্লজ্জ টিনের চশমা পড়িয়ে দেয়। সেই কথিত "চশমার" আড়ালে ছেলের মায়াভরা মুখটা দেখে ভালোবাসায় ভেজা গলায় বাবাটা বললো, "কিছু লইবি?"

ছেলেটা লাজুক ভাবে কথা না বলে আঙ্গুল তুলে দেখালো। বাবা হেসে লজেন্সের বয়ামের কৌটা খুলে দুইটা লজেন্স বের করে ছেলেকে খুব আদর করে বলো, "তিনের ঘরের নামতাটা কও তো বাপ"

বলেই লোকটা আড়চোখে সবার দিকে হালকা তাকালো। তার সেই দৃষ্টিতে কেমন একটা চাপা উত্তেজনা। যদি না পারে? সবাই তো তাকিয়ে আছে!

ডিমের পুটুলি হাতে নিয়ে আমিও তাকিয়ে আছি ছেলেটার দিকে।

দোকানদারও সরু চোখে তাকিয়ে আছে। এই পিচ্চি পোলা! নাক দিয়ে সিকনি ঝরছে, সে বলবে তিনের ঘরের নামতা! এই কঙ্কালসার ছেলে তিনে তিনে কত হয় সেটাই তো জানে না!

ছেলের হাতে লজেন্স। সে লজেন্স দুইটা এহাত-ওহাত করছে। বাবার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে স্পোর্টস কারের গতিতে সে বলতে শুরু করলো,

"তিন অক্কে তিন, তিন দুগুনি ছয়, তিন তিরিক্কা নয়, তিন চাইরে বারো...."

কেমন টেনেটেনে গানের তালে মাথা নেড়েনেড়ে সে বলে যাচ্ছে। বাবার চোখে যেন নামতার পাতাটা সেঁটে আছে, ও শুধু দেখে দেখে পড়ে যাচ্ছে।

নামতা শেষ হলো ত্রিশ কি চল্লিশ সেকেন্ডে। শেষ করে সে একটা লজেন্স মুখে পুড়লো। মুখ ঝলমল করে বাবাকে বললো, "আব্বা, চাইরের নামতাও পারি। কমু?"

সেই জীর্ণ লোকটা, হয়তো প্রতিদিন ঠিক মতো পয়সা পায় না। পাঁচটাকা বেশী রিকশা ভাড়া চাইলে দুইচারটা গালি খায়, মহাজনের গুঁতা খায়।

সেই গাল ভাঙ্গা কুঁজো হয়ে যাওয়া লোকটা প্রতিদিনই হেরে যায়। সমাজের কাছে, সংসারের কাছে, পিতৃত্বের কাছে।

আজ সে হারেনি। আজ তার অনেক বেশি আনন্দ। সবার সামনে ছেলে তার মুখ উজ্জ্বল করেছে। এবার সে আড়চোখে না, পূর্ণ দৃষ্টিতে আমাদের সবার দিকে তাকালো। তার চোখে গর্বের অশ্রু, আনন্দাশ্রু।

যে লোক শুধু পরাজিতই হয়, আমাদের চোখে, আসলে সে পরাজিত না। সে আসলে অনেক বড় যোদ্ধা। আমাদের চেয়ে অনেক সাহসী। আমরা তো যুদ্ধের আগে নানান পরিকল্পনা করি, কত ফন্দিফিকির, কাকে নিচে নামিয়ে কাকে মাড়িয়ে আমরা উপরে উঠবো।

কিন্তু এই লোকগুলো কাউকে মাড়িয়ে উপরে উঠতে চায় না, নিশ্চিত পরাজয় জেনেও প্রাণপণ যুদ্ধ করে যায়।

যে সিঁড়ি বেয়ে আমরা তড়তড়িয়ে উপরে উঠে যাই, আমরা কি জানি তাদের কাঁধের উপরই সেই সিঁড়ি চাপানো!

লোকটা আজ সাহস পেয়েছে। তিনের ঘরের নামতাটা শুধু নামতা নয়, একটা সাহস, একজন বাবার শক্ত একটা কাঁধ, একটা অবলম্বন। তিনের ঘরের নামতাটা এই দরিদ্র লোকটার স্বপ্ন পূরণের উপাখ্যান।

লোকটা তার ছেলেকে কোলে তুলে ফেললো। সে কেঁদেই ফেলেছে। এই সময় হুট করে দোকানী ডীপফ্রিজ খুলে একটা ললি আইসক্রিম পিচ্চির হাতে দিলো,

"সাবাস! জজ ব্যারিস্টার হইয়া দেখায়া দিস সবাইরে! ল, আইসক্রিম খা। বেশি খাইস না, গলা ফুইলা গেলে কথা কইবার পারবি না।"

ছেলেটা খুশি মনে আইসক্রিমটা নিলো। বাবা ছেলে চলে গেলো। আমি ওদের দিকে তাকিয়ে আছি।

দোকানদার আমাকে বললো, "আমি তো ভাববারও পারি নাই। বান্দরটা কেমনে চ্যালচ্যালাইয়া নামতা কইয়া দিলো! দেখলেন নি কারবার ডা!"

একি! দোকানির চোখেও পানি! আসলে যারা ক্ষুধার কষ্ট বোঝে, তাদের একজনের মনের সাথে অন্যজনের মন একই সুতোয় গাঁথা থাকে। একজনের কষ্ট আরেকজন বুঝতে পারে, আবার আনন্দগুলোও স্পর্শ করে প্রবলভাবে।

আর আমরা? কোটি টাকার স্বপ্নে বিভোর আর প্রতিযোগীতার উন্নাসিকতায় ভুলে যাই আমরা আসলে কি!!!

আমি ডিম হাতে একা একাই হাঁটছি আর বলছি, "তিন অক্কে তিন, তিন দুকুনে ছয় ..."

আমাকেও সংক্রামিত করেছে তাদের জয়ের আনন্দ।

Address


৬১০০

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Daily Rajshahi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Daily Rajshahi:

Share